“মন_বুঝা_দায় পর্ব:-(০৩)

#মন_বুঝা_দায় পর্ব:-(০৩)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
ধর্ষন করলে যেমন দেখায় ঠিক এমন দেখাচ্ছে এতিহাকে। এতিহার শরীরের কাপড় ছিড়ে গেছে মনে হচ্ছে জোর করে কেউ কিছু করতে চাইছে এমন ভাবে কাপড় ছিড়ে রাখছে। আলের বুকে এতিহা ঝাপটে ধরে রাখছে এর মাঝে সবাই এসে রুমে হাজির হয়ে গেছে। আল কিছু বলতে যাবে তখনি এতিহা দৌরে গিয়ে একজন মহিলাকে জড়িয়ে ধরে বলে।

এতিহা:- মামি আমাকে বাচান দেখেন ছেলেটা আমাকে বলে কান্না করতে আরম্ভ করছে। সবাই আলের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।

জুয়েলের বাবা:- আল তুমি এইটা কি করেছো? তোমার থেকে আমরা এমনটা আশা করিনি।

আল:- আঙ্কেল আমার কথাটা শুনেন। তখনি এতিহার মামি বলে।

এতিহার মামি:- তোর কথা কি শুনবে রে? এই তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে কি দেখছো! এতিহার কি সর্বনাশ করতে ছিলো ওকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দাও।

জুয়েল:- খালাম্মা আপনি কি বলছেন! আল এমন ছেলে নয় আগে আলকে বলতে দেন। আসলে কি হইছে এখানে।

এতিহা:- কি হইছে মানে এখানে তো সবাই দেখছে তাইনা। এই ছেলেটা আমাকে জোর করে এখানে টেনে নিয়ে এসে আমার সাথে বলেই আবার কান্না শুরু করছে।

জুয়েলের বাবা:- জুয়েল তুই এতিহার দিকে তাকিয়ে কি করে বলছিস আলের কথা শুনা প্রয়োজন? আল তুমি যা করেছো তার জন্য ক্ষমার কোনো প্রশ্ন আসে না। এর জন্য তোমাকে অনেক বড় শাস্তি পেতে হবে।

আল:- আমি কিছু করিনি তাহলে শাস্তির কোনো প্রশ্ন আসে না। দরকার হলে আমি নিজে আদালতে যাবো।

এতিহার মামি:- দেখছেন ভাই সাহেব ছেলাটা কতবড় বেয়াদব। এই তোমরা ছেলেটাকে বেঁদে রাখো। ওর বাবা মা আসুক এরপর থানায় খবর দাও।

এতিহা:- আমার ইজ্জতের কোনো মূল্য নেই আপনাদের কাছে। মামি আমি বলি এই ছেলেটা যেহেতু আমাকে নষ্ট করতে চাইছে ওর মাধ্যমে আমি সবার কাছে ভালো হতে চাই।

জুয়েল বাবা:- এতিহা তুমি কি বলতে চাচ্ছো?

এতিহা:- ওর সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দেন। ও জেলে গেলে কিছুদিন পর বেরিয়ে চলে আসবে। আর আমি সমাজের কাছে আর সবার কাছে একজন ধর্ষিতা বলে পরিচিতি হয়ে থাকবো। আমাকে ওর সাথে বিয়ে দিয়ে দেন তাহলে ওর উপযুক্ত শাস্তি পাবে।

আল:- তোমার মত মেয়েকে আমি বিয়ে করতে যাবো তুমি ভাবলে কি করে? দরকার হলে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে যাবো তাও তোমার মত মেয়েকে বিয়ে করবো না।

জুয়েল:- আল কি বলছিস তুই! তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকী? খালাম্মা আল এতিহাকে বিয়ে করবে। আগামীকাল আমার সাথেই বিয়েটা হবে।

আল:- জুয়েল তুই কি বলছিস? জুয়েল তুই কিছু জানিস না!

জুয়েল:- আমার কিছু জানার দরকার নেই আর হ্যা তুই বিয়েটা কর আমি তোর বাবা মায়ের সাথে কথা বলবো প্লিজ দোস্ত। আল চুপ করে আছে এতিহা মুচকি হাসছে।

এতিহার মামি:- জুয়েল তুই যে বলছিস তার কি গ্যারান্টি আছে।

জুয়েল:- আল আমার দোস্ত আমি যা বলছি তাই হবে। আল কি তুই রাজি আছিস তো?

আল:- জুয়ের জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্যান্ত নিতে হবে শুধু তোর মুখের দিকে তাকিয়ে। আর হ্যা তুই যেহেতু বলছিস সেহেতু আমি রাজি।

জুয়েলের বাবা:- ঠিক আছে তাহলে এতিহার বাবা মাকে খবর দেয় আর আলের বাবা মাকে খবর দেয়।

এতিহা:- নাহ আমার কাওকে খবর দিতে হবে না। আমি চাইনা আমার কলঙ্কের কথা সবাই যেনে যাক। আমি বিয়ের পরে সবাইকে জানাবো।

আল:- আঙ্কেল মা বাবাকে খবর দিতে হবে না। কিছুক্ষণ পরে এমনিতে বিয়েটা হয়ে যাক এরপর সবাই যেনে যাবে। আল বেরিয়ে আসতে ছিলো তখনি এতিহা ওর হাত ধরে বলে।

এতিহা:- কি হলো পালিয়ে যাচ্ছো কোথায়?

আল:- মানে কি বলছো তুমি?

এতিহা:- কি বলছি বুঝতে পারোনি? আঙ্কেল বিয়ে আগ পর্যন্ত আলকে আমার বন্ধুরা চোখে চোখে রাখবে। আর ওরা আলের সাথে সাথে থাকবে। আমার মন বলছে আর সুযোগ পেলেই ভাগবে।

জুয়েল বাবা:- ঠিক আছে তাই হবে। আল তুমি ওদেরকে সাথে নিয়ে যাবে। আল চেয়ে দেখে ঐ দুইটা ছেলে। যেই ছেলে গুলি এতিহাকে ধরাধরি করে এই রুমে নিয়ে এসেছে। আমার কাছে এসে বলে চলেন আমাদের সাথে। আল রাগে চোখ লাল করে ওদের সাথে গেছে। আল বুঝতে পারছে এতিহা কোনো একটা ফাদ তৈরি করছে। কিন্তু ফাদ তৈরি করলে বিয়ে করতে চাচ্ছে কেনো? আলের মনে হাজারো প্রশ্ন তৈরি হয়ে গেছে। যেই ছেলে গুলি এতিহাকে রুমে নিয়ে গেছে সেই ছেলে গুলি এতিহার বন্ধু। তার মানে সব কিছু এতিহার প্ল্যান করা ছিলো। আজকে রাতটা এভাবে কেটে গেছে সকালে সবাই রেডি হয়ে নিছে। আলের সাথে এতিহার ফ্রেন্ডগুলি আছে। কিছুক্ষণ পর সবাই মিলে কমিনিউটি সেন্টারে গেছে।

জুয়েল:- কিরে শরীর খারাপ নাকী বলেই মুচকি হাসি দিছে।

রাফি:- কেনো কি হইছেরে?

জুয়েল:- আরে তেমন কিছু না তবে তুই বাড়িতে যাবার পর একটা ঘঠনা ঘঠে গেছে। আস্তে আস্তে সব জানতে পারবি। আল জুয়েলের দিকে রাগি চোখে তাকিয়েছে। জুয়েল চুপ করে গেছে।

আল:- জুয়েল তোকে আমার সন্দেহ হচ্ছে কেনো জানি তুই এই কাজের সাথে জড়িত আছিস। আর শোন যদি আমি জানতে পারি তুই এটার সাথে জড়িত তাহলে তোর আমার বন্ধুত্ব তখনি শেষ মনে রাখিস। তখন জুয়েল কেমন একটা চুপ করে গেছে। তারপর মুচকি হেসে বলে।

জুয়েল:- শোন তুই আমার দোস্ত আমি এমন কোনো কাজ করবো না যেই জন্য তোর কোনো সমস্যা হবে। তখনি কাজি সাহেব এসেছে। এসেই জুয়েলের প্রথমে সাইন নিছে এরপর বলে।

কাজি:- আপনাদের মাঝে আল ইসলাম কে?

আল:- জ্বি আমি তখনি জুয়েলের বাবা এসে বলে বাবা আল সাইন করে দাও। এতিহা সাইন করে দিছে। আমি সাইন করেছি তখনি রাফি বলে।

রাফি:- আল এতিহাকে আর তুই সাইন করেছিস?

জুয়েল:- রাফি তুই চুপ থাক আজকে আমাদের দুজনের বিয়ে হইছে। রাফি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

রাফি:- মানে কি?

জুয়েল:- তুই বুঝবি না শুধু এই টুকু যেনে রাখ আলের বিয়েটা এতিহার সাথে হইছে। যদি দেখতি চাস তাহলে ভিতরে রুমে গিয়ে দেখে আয়। এতিহা নাম ধরে ডাক দিলে সারা দিবে। রাফি গেছে এতিহাকে দেখতে আর আল মন খারাপ করে বসে আছে। হুজুর দোয়া করে দিছে। জুয়েলের বউটা অনেক সুন্দর মাশাআল্লাহ দেখতে। আমরা বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম।

আল:- জুয়েল তোদের তো মনে হয় দেরী হবে আমি এতিহার সাথে কথা বলে ওকে ওদের বাড়িতে যেতে বলি। কারণ এতিহাকে আমাদের বাড়িতে বউ হিসাবে মেনে নিবে না। আর অন্য দিকে এতিহার পরিবার আমাকে মেনে নিবে না এতিহার স্বামি হিসাবে।

জুয়েল:- কেনো মেনে নিবে না আমি তোর বাবা মায়ের সাথে কথা বলবো।

আল:- তোকে এখন এসব কিছু বলা যাবে না। আচ্ছা তুই থাক সময় বলে দিবে এতিহার সাথে আমার বিয়েটা কত ধুর পর্যন্ত যাবে। আল ভিতরে রুমে এসে দেখে এতিহা সেলফী উঠাচ্ছে আর আল গিয়ে এতিহার হাত ধরে বলে। এতিহা চলো আমার সাথে।

এতিহা:- কোথায় যাবো?

আল:- জাহান্নামের চওরাস্তায়।

এতিহা:- তুমি যাও আমার জাহান্নামে যাবার কোনো ইচ্ছে নেই। আর শুনো বিয়ে হইছে বলেই যখন তখন আমার হাত বা স্পর্শ করতে আসবে না। তুমি ভেবোনা তোমাকে বিয়ে করেছি বলেই সব ভুলে গেছি। আমার সাথে যা করেছো তার জন্য তোমাকে প্রস্তাতে হবে। তখন আল চেয়ে দেখে রাফি বড় বড় চোখ করে আলের দিকে তাকিয়ে আছে। সাথে যারা আছে সবাই তাকিয়ে আছে আর এতিহার কথা গুলি শুনছে।

আল:- এতিহা তুমি নিজেকে অনেক কিছু মনে করছো তাইনা? তখনি এতাহার মামি এসে বলে।

এতিহার মামি:- কি হইছে তুমি আমার ভাগনীকে ধমকের সুরে কথা বলছো কেনো? তুমি কি ভুলে গেছো এতিহা তোমার কত বড় ক্ষতী থেকে বেরিয়েছো। আজকে যদি এতিহা তোমাকে বিয়ে না করতো তাহলে এতক্ষনে জেলে বসে বসে মশার কামড় খেতে খেতে জীবন শেষ।

আল:- হাসালেন আমাকে। আমি জেলে যেতাম তখন যখন আমি ধর্ষক হিসাবে চিহ্নিত যখন হতাম। আর আমি যে ধর্ষক নয় সেটা এতিহা সহ সবাই খুব ভালো করেই জানেন। আলের দিকে এতিহা তাকিয়ে আছে আর আল কোনো কিছু নাহ বলেই এতিহার হাত ধরে সবার সামনে থেকে টেনে নিয়ে এসেছে। সবাই আলের আর এতিহার দিকে তাকিয়ে আছে। এতিহাকে বাহিরে নিয়ে এসে কিছুটা ধুরে নিয়ে এসেছে।

এতিহা:- কি হচ্ছে এমন ভাবে টানা হেচরা করছেন কেনো? হাত ছাড়ুন আমি আপনার সাথে সাথে হাটতেছি। তখনি আল রিক্সা ডাক দিছে রিক্সা এসেছে।

আল:- এতিহা উঠো। এতিহা উঠেছে তখন আল রিক্সা চালকের দিকে টাকা দিয়ে বলে। মেম যেখানে যেতে চাই সেখানে নামিয়ে দিবে।

এতিহা:- মানে আমি যেখানে সেখানে যাবো আর তুমি কোথায় যাবে?

আল:- আমি আমার বাড়িতে আর তুমি তোমার বাড়িত থাকবে। আম্মু এমনিতেই তোমার পরিবার উপর ক্ষেপে আছে আর যদি দেখে তোমাকে আমি এখন বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে গেছি তাহলে আরো অশান্তি তৈরি হবে।

এতিহা:- আমিও চাই আরো অশান্তি তৈরি হোক। আর আমি তোমাকে বিয়ে করেছি কি আমাদের বাড়িতে থাকার জন্য নাকী? রিক্সাতে উঠো বলছি আমি তোমার সাথে তোমাদের বাড়িতে যাবো।

আল:- দেখো ধৈর্য্যের বাহিরে আচরন করতে আরম্ভ করছো। এতক্ষন কিছু বলিনি তার মানে এই না যে আমি তোমার প্রতি দূর্বল তাই এমন ভাবে ব্যবহার করছি। তোমাকে যা বলছি তুমি তাই করবে তুমি তোমাদের বাড়িতে যাও।

এতিহা:- আমি বাড়িতে যাই আর তুমি ডির্ভোসের কাগজ পাঠিয়ে দিবে। আরে রাতে আমার সাথে যা করছো তখন আমি যদি গর্ভবতী হয়ে যায়। তখন বলবে এই সন্তান আমার নয় আর নিজের বোনের প্রতিশোধটা খুব সহজে নিতে পারবে। বাহ কি সুন্দর প্ল্যান তোমার।

আল:- এই রাতে তোমার সাথে আমি করেছি? আর তুমি গর্ভবতী হবে কি করে? তখন রিক্সার ড্রাইভার বলে। স্যার আপনারা যাবেন নাকী আমি চলে যাবো।

এতিহা:- দেখছেন না ঝগড়া করছি আপনি দাঁড়িয়ে থাকেন আর তাড়া থাকলে চলে যান। তখনি রিক্সার ড্রাইভার বলে। আপা আপনারা কি পালিয়ে বিয়ে করছেন?

আল:- এই তুমি এত কথা বলছো কেনো? যাও মিয়া এই নাও একশ টাকা যাও এখান থেকে। তখন রিক্সা চালক বলেন। স্যার টাকা লাগবে না তবে আপনাদের দুজনকে বেশ মানিয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঝগড়া করলে মানুষ খারাপ বলবে। চলেন বাড়িতে নিয়ে দিয়ে আসি। আপনাদের দেখে আপনাদের বাবা মা মেনে নিবেবে এমন সুন্দর জামাই বউকে কোনো বাবা মা না মেনে নিয়ে থাকতে পারবে না।

এতিহা:- এই জ্ঞান দিচ্ছো কেনো যাওনা নিজের চরকায় তেল দাও। আল এতিহার দিকে তাকিয়ে আছে। এতিহা ওরনার মাথাটা পেঁচিয়ে যাচ্ছে। আল হঠাত করে কি যেনো ভাবতে লাগলো। কিছুটা ভেবে বলে।

আল:- এতিহা রিক্সায় উঠো। কি হলো উঠো?

এতিহা:- বলেছি না আমি বাড়িতে যাবো না তোমার সাথে তোমাদের বাড়িতে যাবো।

আল:- আমাদের বাড়িতে যাবো তখন চেয়ে দেখি এতিহা অনেক খুশি হইছে। আমরা দুজনে রিক্সায় বসে আছি। এতিহাকে দেখে মনে হচ্ছে বেশ খুশি। এতিহাকে যত দেখছি ততই কেমন অচেনা লাগছে। ৩০ মিনিটের মধ্যে বাড়ির সামনে এসেছি। রিক্সা ভাড়া দিয়ে এতিহাকে নিয়ে সামনের দিকে যাচ্ছি।

এতিহা:- শোনো তোমার আম্মু যদি আমাকে কোনো কিছু করতে চাই তাহলে তোমার পরিবারের সবার নামে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে থানায় ঢুকিয়ে দিবো।

আল:- আম্মু তোমাকে কি করবে জানি না তবে আমার কপালে খারাপি আছে এটা নিশ্চিৎ। তুমি আমার জীবনে যেদিন থেকে এসেছো সেদিন থেকে আমার জীবনটা একদম বরবাদ হয়ে গেছে।

এতিহা:- সবে তো শুরু হইছে চোখের পানি আর নাকের পানি যদি এক না করেছি তাহলে আমার নাম এতিহা না। তোমাদের পরিবারের জন্য আমাদের যে ক্ষতীটা হইছে সেইটার মাশুল তো তোমাদের দিতে হবে।

আল:- ক্ষতী তোমাদের হইছে নাকী আমাদের হইছে সেটা পড়ে জানতে পারবে। এখন আগে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেয় কিনা সেই চিন্তা করো। ক্রয়েন বেল চাপ দিতেই কিছুক্ষণ পর আলের ভাবি এসে দরজাটা খুলে দিছে। দরজা খুলে চলে যাচ্ছে আমি অবাক আরে ভাবি কিছু বলেনি কেনো? তখন চেয়ে দেখি এতিহা আমার ঠিক পেছনে লুকিয়ে আছে। কি হলো তুমি পেছনে কেনো যাও ভিতরে যাও।

এতিহা:- আগে নিজে যান তারপর আমি যাচ্ছি। ঝাড়ুর পাক্কা আর বকা গুলি নিজের উপর নেন।

আল:- হ্যা যাচ্ছি কেমন মেয়ে আমার জীবনটা তেজপাতা করে ছাড়বে। এতিহাকে নিয়ে যেই ভিতরে ঢুকেছি চেয়ে দেখি আম্মু সুফায় বসে বসে পত্রিকা পড়ছে।

ভাবি:- আল তোমার সাথে মেয়েটা কে? দেখতে তো বাড়ি মিষ্টি মেয়ে। তোমার গার্লফ্রেন্ড নাকী? তখনি আম্মু চোখ তোলে তাকিয়েছে। এর মাঝে বাবা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতেছে। নানী রান্নাঘর থেকে আসছে আর ভাইয়া বাড়ির ভিতরে ঢুকছে। আমি বলতেছি আসলে ভাবি ওর নাম এতিহা আমার ফ্রেন্ড ঠিক তকনি আর তখনি এতিহা বলে।

এতিহা:- এই মিথ্যা কথা কেনো বলছো আমি তো তোমার বউ সদ্য বিয়ে করেছো আর এখন বলছো ফ্রেন্ড। রাতে আমার সাথে কি করেছো সবাইকে বলবো? এতিহার কথা শুনে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর আমি সোজা এতিহার মুখ চেপে ধরেছি। তখনি আম্মু বলে। আল ওর মুখ থেকে হাতটা সরা। কাম সারছে হাত সরালে তো সব বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যাকথা বলতে আরম্ভ করবে। ঠিক তখনি এতিহা হাতে কামড় দিছে আর আমি জোরে চিৎকার আম্মা বলে।
!!
চলবে,,,,#মন_বুঝা_দায় পর্ব:-(০৩)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
ধর্ষন করলে যেমন দেখায় ঠিক এমন দেখাচ্ছে এতিহাকে। এতিহার শরীরের কাপড় ছিড়ে গেছে মনে হচ্ছে জোর করে কেউ কিছু করতে চাইছে এমন ভাবে কাপড় ছিড়ে রাখছে। আলের বুকে এতিহা ঝাপটে ধরে রাখছে এর মাঝে সবাই এসে রুমে হাজির হয়ে গেছে। আল কিছু বলতে যাবে তখনি এতিহা দৌরে গিয়ে একজন মহিলাকে জড়িয়ে ধরে বলে।

এতিহা:- মামি আমাকে বাচান দেখেন ছেলেটা আমাকে বলে কান্না করতে আরম্ভ করছে। সবাই আলের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।

জুয়েলের বাবা:- আল তুমি এইটা কি করেছো? তোমার থেকে আমরা এমনটা আশা করিনি।

আল:- আঙ্কেল আমার কথাটা শুনেন। তখনি এতিহার মামি বলে।

এতিহার মামি:- তোর কথা কি শুনবে রে? এই তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে কি দেখছো! এতিহার কি সর্বনাশ করতে ছিলো ওকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দাও।

জুয়েল:- খালাম্মা আপনি কি বলছেন! আল এমন ছেলে নয় আগে আলকে বলতে দেন। আসলে কি হইছে এখানে।

এতিহা:- কি হইছে মানে এখানে তো সবাই দেখছে তাইনা। এই ছেলেটা আমাকে জোর করে এখানে টেনে নিয়ে এসে আমার সাথে বলেই আবার কান্না শুরু করছে।

জুয়েলের বাবা:- জুয়েল তুই এতিহার দিকে তাকিয়ে কি করে বলছিস আলের কথা শুনা প্রয়োজন? আল তুমি যা করেছো তার জন্য ক্ষমার কোনো প্রশ্ন আসে না। এর জন্য তোমাকে অনেক বড় শাস্তি পেতে হবে।

আল:- আমি কিছু করিনি তাহলে শাস্তির কোনো প্রশ্ন আসে না। দরকার হলে আমি নিজে আদালতে যাবো।

এতিহার মামি:- দেখছেন ভাই সাহেব ছেলাটা কতবড় বেয়াদব। এই তোমরা ছেলেটাকে বেঁদে রাখো। ওর বাবা মা আসুক এরপর থানায় খবর দাও।

এতিহা:- আমার ইজ্জতের কোনো মূল্য নেই আপনাদের কাছে। মামি আমি বলি এই ছেলেটা যেহেতু আমাকে নষ্ট করতে চাইছে ওর মাধ্যমে আমি সবার কাছে ভালো হতে চাই।

জুয়েল বাবা:- এতিহা তুমি কি বলতে চাচ্ছো?

এতিহা:- ওর সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দেন। ও জেলে গেলে কিছুদিন পর বেরিয়ে চলে আসবে। আর আমি সমাজের কাছে আর সবার কাছে একজন ধর্ষিতা বলে পরিচিতি হয়ে থাকবো। আমাকে ওর সাথে বিয়ে দিয়ে দেন তাহলে ওর উপযুক্ত শাস্তি পাবে।

আল:- তোমার মত মেয়েকে আমি বিয়ে করতে যাবো তুমি ভাবলে কি করে? দরকার হলে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে যাবো তাও তোমার মত মেয়েকে বিয়ে করবো না।

জুয়েল:- আল কি বলছিস তুই! তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকী? খালাম্মা আল এতিহাকে বিয়ে করবে। আগামীকাল আমার সাথেই বিয়েটা হবে।

আল:- জুয়েল তুই কি বলছিস? জুয়েল তুই কিছু জানিস না!

জুয়েল:- আমার কিছু জানার দরকার নেই আর হ্যা তুই বিয়েটা কর আমি তোর বাবা মায়ের সাথে কথা বলবো প্লিজ দোস্ত। আল চুপ করে আছে এতিহা মুচকি হাসছে।

এতিহার মামি:- জুয়েল তুই যে বলছিস তার কি গ্যারান্টি আছে।

জুয়েল:- আল আমার দোস্ত আমি যা বলছি তাই হবে। আল কি তুই রাজি আছিস তো?

আল:- জুয়ের জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্যান্ত নিতে হবে শুধু তোর মুখের দিকে তাকিয়ে। আর হ্যা তুই যেহেতু বলছিস সেহেতু আমি রাজি।

জুয়েলের বাবা:- ঠিক আছে তাহলে এতিহার বাবা মাকে খবর দেয় আর আলের বাবা মাকে খবর দেয়।

এতিহা:- নাহ আমার কাওকে খবর দিতে হবে না। আমি চাইনা আমার কলঙ্কের কথা সবাই যেনে যাক। আমি বিয়ের পরে সবাইকে জানাবো।

আল:- আঙ্কেল মা বাবাকে খবর দিতে হবে না। কিছুক্ষণ পরে এমনিতে বিয়েটা হয়ে যাক এরপর সবাই যেনে যাবে। আল বেরিয়ে আসতে ছিলো তখনি এতিহা ওর হাত ধরে বলে।

এতিহা:- কি হলো পালিয়ে যাচ্ছো কোথায়?

আল:- মানে কি বলছো তুমি?

এতিহা:- কি বলছি বুঝতে পারোনি? আঙ্কেল বিয়ে আগ পর্যন্ত আলকে আমার বন্ধুরা চোখে চোখে রাখবে। আর ওরা আলের সাথে সাথে থাকবে। আমার মন বলছে আর সুযোগ পেলেই ভাগবে।

জুয়েল বাবা:- ঠিক আছে তাই হবে। আল তুমি ওদেরকে সাথে নিয়ে যাবে। আল চেয়ে দেখে ঐ দুইটা ছেলে। যেই ছেলে গুলি এতিহাকে ধরাধরি করে এই রুমে নিয়ে এসেছে। আমার কাছে এসে বলে চলেন আমাদের সাথে। আল রাগে চোখ লাল করে ওদের সাথে গেছে। আল বুঝতে পারছে এতিহা কোনো একটা ফাদ তৈরি করছে। কিন্তু ফাদ তৈরি করলে বিয়ে করতে চাচ্ছে কেনো? আলের মনে হাজারো প্রশ্ন তৈরি হয়ে গেছে। যেই ছেলে গুলি এতিহাকে রুমে নিয়ে গেছে সেই ছেলে গুলি এতিহার বন্ধু। তার মানে সব কিছু এতিহার প্ল্যান করা ছিলো। আজকে রাতটা এভাবে কেটে গেছে সকালে সবাই রেডি হয়ে নিছে। আলের সাথে এতিহার ফ্রেন্ডগুলি আছে। কিছুক্ষণ পর সবাই মিলে কমিনিউটি সেন্টারে গেছে।

জুয়েল:- কিরে শরীর খারাপ নাকী বলেই মুচকি হাসি দিছে।

রাফি:- কেনো কি হইছেরে?

জুয়েল:- আরে তেমন কিছু না তবে তুই বাড়িতে যাবার পর একটা ঘঠনা ঘঠে গেছে। আস্তে আস্তে সব জানতে পারবি। আল জুয়েলের দিকে রাগি চোখে তাকিয়েছে। জুয়েল চুপ করে গেছে।

আল:- জুয়েল তোকে আমার সন্দেহ হচ্ছে কেনো জানি তুই এই কাজের সাথে জড়িত আছিস। আর শোন যদি আমি জানতে পারি তুই এটার সাথে জড়িত তাহলে তোর আমার বন্ধুত্ব তখনি শেষ মনে রাখিস। তখন জুয়েল কেমন একটা চুপ করে গেছে। তারপর মুচকি হেসে বলে।

জুয়েল:- শোন তুই আমার দোস্ত আমি এমন কোনো কাজ করবো না যেই জন্য তোর কোনো সমস্যা হবে। তখনি কাজি সাহেব এসেছে। এসেই জুয়েলের প্রথমে সাইন নিছে এরপর বলে।

কাজি:- আপনাদের মাঝে আল ইসলাম কে?

আল:- জ্বি আমি তখনি জুয়েলের বাবা এসে বলে বাবা আল সাইন করে দাও। এতিহা সাইন করে দিছে। আমি সাইন করেছি তখনি রাফি বলে।

রাফি:- আল এতিহাকে আর তুই সাইন করেছিস?

জুয়েল:- রাফি তুই চুপ থাক আজকে আমাদের দুজনের বিয়ে হইছে। রাফি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

রাফি:- মানে কি?

জুয়েল:- তুই বুঝবি না শুধু এই টুকু যেনে রাখ আলের বিয়েটা এতিহার সাথে হইছে। যদি দেখতি চাস তাহলে ভিতরে রুমে গিয়ে দেখে আয়। এতিহা নাম ধরে ডাক দিলে সারা দিবে। রাফি গেছে এতিহাকে দেখতে আর আল মন খারাপ করে বসে আছে। হুজুর দোয়া করে দিছে। জুয়েলের বউটা অনেক সুন্দর মাশাআল্লাহ দেখতে। আমরা বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম।

আল:- জুয়েল তোদের তো মনে হয় দেরী হবে আমি এতিহার সাথে কথা বলে ওকে ওদের বাড়িতে যেতে বলি। কারণ এতিহাকে আমাদের বাড়িতে বউ হিসাবে মেনে নিবে না। আর অন্য দিকে এতিহার পরিবার আমাকে মেনে নিবে না এতিহার স্বামি হিসাবে।

জুয়েল:- কেনো মেনে নিবে না আমি তোর বাবা মায়ের সাথে কথা বলবো।

আল:- তোকে এখন এসব কিছু বলা যাবে না। আচ্ছা তুই থাক সময় বলে দিবে এতিহার সাথে আমার বিয়েটা কত ধুর পর্যন্ত যাবে। আল ভিতরে রুমে এসে দেখে এতিহা সেলফী উঠাচ্ছে আর আল গিয়ে এতিহার হাত ধরে বলে। এতিহা চলো আমার সাথে।

এতিহা:- কোথায় যাবো?

আল:- জাহান্নামের চওরাস্তায়।

এতিহা:- তুমি যাও আমার জাহান্নামে যাবার কোনো ইচ্ছে নেই। আর শুনো বিয়ে হইছে বলেই যখন তখন আমার হাত বা স্পর্শ করতে আসবে না। তুমি ভেবোনা তোমাকে বিয়ে করেছি বলেই সব ভুলে গেছি। আমার সাথে যা করেছো তার জন্য তোমাকে প্রস্তাতে হবে। তখন আল চেয়ে দেখে রাফি বড় বড় চোখ করে আলের দিকে তাকিয়ে আছে। সাথে যারা আছে সবাই তাকিয়ে আছে আর এতিহার কথা গুলি শুনছে।

আল:- এতিহা তুমি নিজেকে অনেক কিছু মনে করছো তাইনা? তখনি এতাহার মামি এসে বলে।

এতিহার মামি:- কি হইছে তুমি আমার ভাগনীকে ধমকের সুরে কথা বলছো কেনো? তুমি কি ভুলে গেছো এতিহা তোমার কত বড় ক্ষতী থেকে বেরিয়েছো। আজকে যদি এতিহা তোমাকে বিয়ে না করতো তাহলে এতক্ষনে জেলে বসে বসে মশার কামড় খেতে খেতে জীবন শেষ।

আল:- হাসালেন আমাকে। আমি জেলে যেতাম তখন যখন আমি ধর্ষক হিসাবে চিহ্নিত যখন হতাম। আর আমি যে ধর্ষক নয় সেটা এতিহা সহ সবাই খুব ভালো করেই জানেন। আলের দিকে এতিহা তাকিয়ে আছে আর আল কোনো কিছু নাহ বলেই এতিহার হাত ধরে সবার সামনে থেকে টেনে নিয়ে এসেছে। সবাই আলের আর এতিহার দিকে তাকিয়ে আছে। এতিহাকে বাহিরে নিয়ে এসে কিছুটা ধুরে নিয়ে এসেছে।

এতিহা:- কি হচ্ছে এমন ভাবে টানা হেচরা করছেন কেনো? হাত ছাড়ুন আমি আপনার সাথে সাথে হাটতেছি। তখনি আল রিক্সা ডাক দিছে রিক্সা এসেছে।

আল:- এতিহা উঠো। এতিহা উঠেছে তখন আল রিক্সা চালকের দিকে টাকা দিয়ে বলে। মেম যেখানে যেতে চাই সেখানে নামিয়ে দিবে।

এতিহা:- মানে আমি যেখানে সেখানে যাবো আর তুমি কোথায় যাবে?

আল:- আমি আমার বাড়িতে আর তুমি তোমার বাড়িত থাকবে। আম্মু এমনিতেই তোমার পরিবার উপর ক্ষেপে আছে আর যদি দেখে তোমাকে আমি এখন বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে গেছি তাহলে আরো অশান্তি তৈরি হবে।

এতিহা:- আমিও চাই আরো অশান্তি তৈরি হোক। আর আমি তোমাকে বিয়ে করেছি কি আমাদের বাড়িতে থাকার জন্য নাকী? রিক্সাতে উঠো বলছি আমি তোমার সাথে তোমাদের বাড়িতে যাবো।

আল:- দেখো ধৈর্য্যের বাহিরে আচরন করতে আরম্ভ করছো। এতক্ষন কিছু বলিনি তার মানে এই না যে আমি তোমার প্রতি দূর্বল তাই এমন ভাবে ব্যবহার করছি। তোমাকে যা বলছি তুমি তাই করবে তুমি তোমাদের বাড়িতে যাও।

এতিহা:- আমি বাড়িতে যাই আর তুমি ডির্ভোসের কাগজ পাঠিয়ে দিবে। আরে রাতে আমার সাথে যা করছো তখন আমি যদি গর্ভবতী হয়ে যায়। তখন বলবে এই সন্তান আমার নয় আর নিজের বোনের প্রতিশোধটা খুব সহজে নিতে পারবে। বাহ কি সুন্দর প্ল্যান তোমার।

আল:- এই রাতে তোমার সাথে আমি করেছি? আর তুমি গর্ভবতী হবে কি করে? তখন রিক্সার ড্রাইভার বলে। স্যার আপনারা যাবেন নাকী আমি চলে যাবো।

এতিহা:- দেখছেন না ঝগড়া করছি আপনি দাঁড়িয়ে থাকেন আর তাড়া থাকলে চলে যান। তখনি রিক্সার ড্রাইভার বলে। আপা আপনারা কি পালিয়ে বিয়ে করছেন?

আল:- এই তুমি এত কথা বলছো কেনো? যাও মিয়া এই নাও একশ টাকা যাও এখান থেকে। তখন রিক্সা চালক বলেন। স্যার টাকা লাগবে না তবে আপনাদের দুজনকে বেশ মানিয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঝগড়া করলে মানুষ খারাপ বলবে। চলেন বাড়িতে নিয়ে দিয়ে আসি। আপনাদের দেখে আপনাদের বাবা মা মেনে নিবেবে এমন সুন্দর জামাই বউকে কোনো বাবা মা না মেনে নিয়ে থাকতে পারবে না।

এতিহা:- এই জ্ঞান দিচ্ছো কেনো যাওনা নিজের চরকায় তেল দাও। আল এতিহার দিকে তাকিয়ে আছে। এতিহা ওরনার মাথাটা পেঁচিয়ে যাচ্ছে। আল হঠাত করে কি যেনো ভাবতে লাগলো। কিছুটা ভেবে বলে।

আল:- এতিহা রিক্সায় উঠো। কি হলো উঠো?

এতিহা:- বলেছি না আমি বাড়িতে যাবো না তোমার সাথে তোমাদের বাড়িতে যাবো।

আল:- আমাদের বাড়িতে যাবো তখন চেয়ে দেখি এতিহা অনেক খুশি হইছে। আমরা দুজনে রিক্সায় বসে আছি। এতিহাকে দেখে মনে হচ্ছে বেশ খুশি। এতিহাকে যত দেখছি ততই কেমন অচেনা লাগছে। ৩০ মিনিটের মধ্যে বাড়ির সামনে এসেছি। রিক্সা ভাড়া দিয়ে এতিহাকে নিয়ে সামনের দিকে যাচ্ছি।

এতিহা:- শোনো তোমার আম্মু যদি আমাকে কোনো কিছু করতে চাই তাহলে তোমার পরিবারের সবার নামে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে থানায় ঢুকিয়ে দিবো।

আল:- আম্মু তোমাকে কি করবে জানি না তবে আমার কপালে খারাপি আছে এটা নিশ্চিৎ। তুমি আমার জীবনে যেদিন থেকে এসেছো সেদিন থেকে আমার জীবনটা একদম বরবাদ হয়ে গেছে।

এতিহা:- সবে তো শুরু হইছে চোখের পানি আর নাকের পানি যদি এক না করেছি তাহলে আমার নাম এতিহা না। তোমাদের পরিবারের জন্য আমাদের যে ক্ষতীটা হইছে সেইটার মাশুল তো তোমাদের দিতে হবে।

আল:- ক্ষতী তোমাদের হইছে নাকী আমাদের হইছে সেটা পড়ে জানতে পারবে। এখন আগে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেয় কিনা সেই চিন্তা করো। ক্রয়েন বেল চাপ দিতেই কিছুক্ষণ পর আলের ভাবি এসে দরজাটা খুলে দিছে। দরজা খুলে চলে যাচ্ছে আমি অবাক আরে ভাবি কিছু বলেনি কেনো? তখন চেয়ে দেখি এতিহা আমার ঠিক পেছনে লুকিয়ে আছে। কি হলো তুমি পেছনে কেনো যাও ভিতরে যাও।

এতিহা:- আগে নিজে যান তারপর আমি যাচ্ছি। ঝাড়ুর পাক্কা আর বকা গুলি নিজের উপর নেন।

আল:- হ্যা যাচ্ছি কেমন মেয়ে আমার জীবনটা তেজপাতা করে ছাড়বে। এতিহাকে নিয়ে যেই ভিতরে ঢুকেছি চেয়ে দেখি আম্মু সুফায় বসে বসে পত্রিকা পড়ছে।

ভাবি:- আল তোমার সাথে মেয়েটা কে? দেখতে তো বাড়ি মিষ্টি মেয়ে। তোমার গার্লফ্রেন্ড নাকী? তখনি আম্মু চোখ তোলে তাকিয়েছে। এর মাঝে বাবা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতেছে। নানী রান্নাঘর থেকে আসছে আর ভাইয়া বাড়ির ভিতরে ঢুকছে। আমি বলতেছি আসলে ভাবি ওর নাম এতিহা আমার ফ্রেন্ড ঠিক তকনি আর তখনি এতিহা বলে।

এতিহা:- এই মিথ্যা কথা কেনো বলছো আমি তো তোমার বউ সদ্য বিয়ে করেছো আর এখন বলছো ফ্রেন্ড। রাতে আমার সাথে কি করেছো সবাইকে বলবো? এতিহার কথা শুনে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর আমি সোজা এতিহার মুখ চেপে ধরেছি। তখনি আম্মু বলে। আল ওর মুখ থেকে হাতটা সরা। কাম সারছে হাত সরালে তো সব বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যাকথা বলতে আরম্ভ করবে। ঠিক তখনি এতিহা হাতে কামড় দিছে আর আমি জোরে চিৎকার আম্মা বলে।
!!
চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here