মায়ায় জড়ানো সেই তুমি পর্ব -২৪

#মায়ায়_জড়ানো_সেই_তুমি
#পার্ট_২৪
জাওয়াদ জামী

জামিল চৌধুরীকে নিয়ে ডক্টরের কাছে গিয়েছিল তানিশা। আগের থেকে তিনি অনেকটাই ভালো। নিজে থেকেই দুই-এক ধাপ পা ফেলতে পারছেন।
এতে সবাই খুব খুশি। শায়লা চৌধুরীতো এখন তানিশাকে চোখে হারায়। জামিল চৌধুরীর ভাই-বোনেরা নিয়মিত এসে ভাইকে দেখে যায়। শায়লা চৌধুরীও তাদের সানন্দে গ্রহন করেছে।

সাদিফ ইদানীং লক্ষ্য করছে তানিশা ফোনে একটু বেশিই সময় দিচ্ছে। সাদিফ বাসায় থাকলেও হুটহাট ফোন আসছে আর তানিশা অন্য কোথাও যেয়ে কথা বলছে । সাদিফ সামনে থাকলে ফোন আসাতে তানিশা অপ্রস্তুত হয়ে যাচ্ছে। যে তানিশা একসময় ফোন ছুঁয়ে দেখতনা, সেই মেয়ে এখন ফোনেই ব্যস্ত থাকছে। আবার অফিসে গিয়ে সে ফোন করলে বেশিরভাগ সময় ওয়েটিং দেখায়। বিষয়টি ওর চোখে লাগলেও পাত্তা দেয়না। সে তানিশাকে নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করে। আর সে চায়না কোন ভুল বুঝাবুঝি হোক কিংবা তানিশা কষ্ট পাক।
তানিশার কোমড় জড়িয়ে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে সাদিফ। মেয়েটার একটুও নড়াচড়ার কোন উপায় সাদিফ রাখেনি।
” এই যে, এবার তো একটু বাঁধন ঢিলে করুন। আমাকে চেপেই মা*র*বে*ন দেখছি। ”
রা*গে সাদিফের চোখমুখ লাল হয়ে যায়।
” আমি ধরলেই তুমি ম*রে যাবে! এই বিশ্বাস আমার প্রতি! তুমি আমাকে ভালোবাসোনা তাই এই সামান্য জড়িয়ে রাখাও তোমার কাছে মৃ*ত্যু সমতুল্য মনে হচ্ছে। কিন্তু যতই লাফালাফি করো তোমাকে ছাড়ছিনা। ” সাদিফের দাঁত পিষে কথা বলা তানিশার চোখ এড়ায়না।
” এই, আপনি দিনদিন এত ঝগড়ুটে হচ্ছেন কেন! আমি কি বললাম, আর আপনি কি উত্তর দিলেন! ঐ না হওয়া এসপির মত করে কথা বলছেন দেখছি! ”
ব্যাস আ*গু*নে ঘি ঢালতে এই একটা কথাই যথেষ্ট।
” এই মেয়ে, গভীর রাতে স্বামীর সাথে এক বিছানায় শুয়ে পর পুরুষের কথা মুখে আনতে ভয় করলনা তোমার? আমাদের দুজনের কথার মাঝে ঐ ভদ্রলোক আসল কেন! এক মিনিট, তুমি কি তাকে মিস করছ? ঐটার একটা ব্যবস্থা না করলেই নয়। ”
তানিশা বিস্ময় নিয়ে চেয়ে থাকে সাদিফের দিকে। এসব কি বলছে সে! তানিশা প্রথম থেকেই লক্ষ্য করেছে সাদিফ ইশানের কথা শুনতেই পারেনা। সাদিফের এরুপ আচরণ তানিশার বোধগম্য নয়। তবে এই মুহূর্তে সাদিফকে আরেকটু রাগানোর লোভ সামলাতে পারছেনা।
” কি ব্যাপার, আপনি কি রেগে যাচ্ছেন! আবার একটু জেলাস ফিল করছেন মনে হচ্ছে! অবশ্য জেলাস ফিল করারই কথা। ইশান যেমন হ্যান্ডসাম, গুড লুকিং যেকোন পুরুষ তাকে দেখলেই জেলাস হবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষটা কত আন্তরিক। সহজে সবার সাথে মিশতে পারে। ”
এবার সাদিফ রীতিমত কাঁপছে। চোয়াল শক্ত করে তাকিয়ে আছে তানিশার দিকে। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে তানিশার পিলে চমকে যায়।
” এই রে, একটু বেশিই হয়ে গেছে বোধহয়। এই পাগলকে এখন সামলাই কেমন করে! ” মনে মনে আল্লাহকে ডাকছে তানিশা।
” ঐ লোকটা হ্যান্ডসাম, গুড লুকিং? আমি জেলাস হচ্ছি! খুব ভালো লাগে তাকে? আন্সার মি, ড্যাম ইট? আজকাল আমাকে ভালো না লাগার, সময় না দেয়ার কারন বুঝি এটাই? ”
তানিশা এবার সত্যিই ভয় পেয়ে গেছে। লোকটাকে শান্ত করতে না পারলে ওর যে বিপদ আসন্ন তা বেশ বুঝতে পারছে। সাদিফ অন্যদিকে তাকিয়ে রা*গ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। সে কিছুতেই তানিশার উপর রা*গ দেখাতে চায়না। কিন্তু তানিশা আজকাল ওর থেকে দূরে থাকছে কেন!
তানিশা হুট করেই সাদিফকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রাখে।
” আপনি রা*গ করছেন কেন! আমিতো আপনার সাথে মজা করছিলাম৷ কে বলেছে আপনাকে ভালো লাগেনা! আমার চোখে আপনিই একমাত্র সুদর্শন পুরুষ। বিয়ের পর থেকে এই চোখ দুটো আর কারও দিকে তাকায়নি। শুধু আপনাকে দেখেই দুনিয়ায় যা কিছু সুন্দর দেখার সাধ মিটিয়েছে। তবুও আপনি এভাবে বলছেন কেন? ” তানিশা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। নিমেষেই দপ করে সাদিফের মনের যত আ*গু*ন নিভে যায়।
” বউ, তুমি কি জানো ইশান তোমাকে পছন্দ করে? ওর চোখে আমি তোমার জন্য ভালোবাসা দেখেছি। সে যতই লুকাক না কেন, তার চোখে তোমার জন্য একরাশ ভালোবাসা দেখেছি আমি । ” সাদিফের শক্ত বাহুবন্ধনে থেকেও নিজেকে অসার লাগতে শুরু করেছে। এ কি বলছে সাদিফ! এ-ও সত্যি হতে পারে!
” আপনি এসব কি বলছেন! কই, ইশান কখনোই আমাকে কোন ইংগিত দেয়নি এ বিষয়ে! এমনকি কখনোই এমন কোন আচরণ করেনি যা দেখে আমি বুঝব সে আমার প্রতি দূর্বল। ”
” একজন প্রেমিক পুরুষের চোখের ভাষা চিনতে আর যাই হোক এই সাদিফ অন্তত ভুল করবেনা। আর সেখানে বিষয়টা তোমাকে নিয়ে সেখানে তো অবশ্যই নয়। আমি জেলাস নই বউ। আমার শুধু মনে হয়, আমি থাকতে অন্য কেউ কেন তোমাকে ভালবাসবে! তুমি শুধু থাকবে আমার মাঝে, অন্যের মাঝে তোমাকে মানতে পারিনা আমি। তুমি শুধুই আমার ভালো থাকার কারন হবে অন্য কারো নয়। আমার সব উজার করা ভালোবাসার মালিক তুমি। ”
দুজন কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে দুজনকে অনুভব করছে। তানিশার মনে অনেক প্রশ্ন জমা হয়েছে কিন্তু ও চায়না আবার সাদিফকে রা*গি*য়ে দিতে। দুজনের মাঝে তৃতীয় কাউকে এনে সম্পর্কের গভীরতা নষ্ট করতে চায়না।
” আমি শুধু একটা কথাই আপনাকে বলব, আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন। আর রইল ইশানের ব্যাপার। আমি যতদূর জানি রিশা এ সম্পর্কে খুব খুশি। ওরা বাবা-মা হতে যাচ্ছে। ইশানের মনে যদি আমার জন্য কিছু থাকে সেটা তার বিয়ের আগের বিষয়। তাদের বিয়ের পর দুজনকেই সুখী দেখেছি আমি। ”
” আমি তোমাকে বিশ্বাস করি বউ। কাউকে সত্যিকারের ভালোবাসলে তার প্রতি বিশ্বাস জন্মাতে কোন কারন লাগেনা। তেমনি তোমাকে কোন কারন ছাড়াই যেমন ভালোবাসি, তেমন বিশ্বাসও করি। আর রিশা খুব ভালো মেয়ে। ও ইশানকে খুব ভালোবাসে তাও আমি জানি। প্রথম ভালোবাসা কেউ কখনো ভুলতে পেরেছে কিনা আমার জানা নেই। ইশানের ক্ষেত্রে বোধহয় তাই ঘটেছে। হয়তো তুমি তার প্রথম ভালোবাসা ছিলে! ”
” এই, একদম চুপ। আমার নামে অন্য কারো ভালোবাসা শুনতে চাইনা, দেখতে চাইনা। শুধু আপনার ভালোবাসা পেতে চাই, দেখতেও চাই। সব ভাবে পেতে চাই আপনার ভালোবাসা। ”
” এখন একটু ভালোবাসা দিই বউ। যেভাবে পেতে চাও সেভাবেই। ” সাদিফের ঘোরলাগা গলা শুনে কেঁপে উঠে তানিশা।
” ছিহ্ নির্লজ্জ পুরুষ। এত ভালোবাসা কোথায় থেকে আসে! সময়-অসময় নেই আপনার ভালোবাসার! ”
” তোমাকে ভালোবাসতে সময়-অসময় লাগেনা। শুধু একবার মুখ ফুটে বলবে ভালোবাসা চাই। দেখবে তখনই অসময়কে সময় বানিয়ে এক সাগর ভালোবাসা নিয়ে এই বান্দা তোমার সামনে হাজির হবে। তুমি চাইলে ভালোবাসার ঝর্না বইয়ে দিব। আর ভালোবাসার সাগরে ডুব দেয়াই হবে তোমার একমাত্র কাজ। ” তানিশাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ওকে নিয়ে এক সাগর ভালোবাসায় ডুব দেয় সাদিফ।

কয়েকদিন থেকে তানিশার শরীর খুব একটা ভালো যাচ্ছেনা। আজকাল অল্পতেই শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। বারবার কদম তলী যেতে মন চাচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন আগেই তানিশা সবাইকে নিয়ে কদম তলী থেকে ঘুরে এসেছে। এমনকি ওর শ্বশুর-শ্বাশুড়িও গিয়েছিল। তাই এখন যেতে চাইলেও সাদিফ রাজি হবেনা। আবার ওর বাবা-মা’ও এসেছে এখানে। তিয়াসা সেই যে গেছে আর আসতে পারেনি। তৃষ্ণা এসে কয়েকদিন থেকে গেছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে তানিশা ধৈয্য করে।
সাদিফ কয়েকদিন থেকে লক্ষ্য করছে তানিশার শরীর ভালো নয়। ডক্টরের কাছে অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়েছে। আজ সন্ধ্যা যেতে হবে। বাড়ির সমস্ত কাজ সামলে মেয়েকে সামাল দিতে কষ্ট হচ্ছে তানিশার। তাই সাদিফ তিয়াসাকে ডেকেছে। তিয়াসা জানিয়েছে তিনদিন পর পরিক্ষা শেষ হলেই আসবে।

তানিশাকে নিয়ে ডক্টরের চেম্বারে বসে আছে সাদিফ। ডক্টর তানিশাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করছে। তানিশা সেগুলোর উত্তর দেয়। সবশেষে ডক্টর কিছু টেষ্ট করাতে দেয়। সব টেষ্ট করা হলে রিপোর্ট সেদিনই পায়। রিপোর্ট নিয়ে আবার এসেছে ডক্টরের কাছে। এদিকে তানিশার মন আনচান করছে তূর্ণার জন্য। মেয়েটাকে রেখে সেই বিকেলে এসেছে এখন রাত বাজছে সাড়ে দশটা। কখন বাসায় যাবে সেই চিন্তা কিছুই ভালো লাগছেনা।
ডক্টর মনযোগ দিয়ে রিপোর্ট দেখে হাসিমুখে সাদিফকে কনগ্রেচুলেশন জানায়।
” কনগ্রেচুলেশন সাদিফ চৌধুরী, তুমি দ্বিতীয়বার বাবা হতে চলেছ। তবে ভাবির শরীরটা খুব একটা ভালো নয়। তার টেক কেয়ার দরকার। ভাবির র*ক্ত স্বল্পতা আছে। আবার ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও দেখা দিয়েছে। তাকে নিয়মিত চেক-আপে রাখতে হবে। নতুবা মা-সন্তান দুজনেই রিস্কে থাকবে। ”
ডক্টরের কথা শুনে কলিজার পানি শুকিয়ে আসে সাদিফের। সে খুশি হবে না কষ্ট পাবে ভেবে পায়না।
” তুই কি আদৌ আমার বন্ধু! দুঃসংবাদ এমনভাবে দিচ্ছিস যেন মনে হচ্ছে মতিঝিল, আগারগাঁওয়ের বাসে মলম বিক্রি করছিস। তুই একজন ডক্টর হয়ে এমন ভাবলেশহীন মুখ করে কথা বলছিস কেন? কোথায় রুগীর চিন্তায় অস্থির থাকবি তা না করে আমার হার্টবিট বাড়াচ্ছিস! ”
” দোস্ত, বউটা তোর, আমার নয়। তোর বউয়ের চিন্তা তুই করবি, আমি কেন করব! ”
” একজন ডক্টর হিসেবে তোর উচিত রুগীর জন্য চিন্তিত থাকা। কিন্তু তুই কি করছিস! একদম নিউট্রাল আছিস। তোর কাছে আসলে রুগী সুস্থ না হয়ে আরো অসুস্থ হবে। ”
” মাফ কর আমার দোস্ত। এরপর থেকে দরজার বাইরে নোটিশ দিব, রুগী যার বউই হোক না কেন তার সব চিন্তা আমার। ”
” আশ্চর্য তুই অন্যের বউয়ের জন্য চিন্তা করবি কেন! তুই চিন্তা করবি রুগীর জন্য। তোর মনমানসিকতা আগের থেকেও খারাপ হয়েছে দেখছি! ”
তানিশা এদের কথপোকথন শুনে পারলে কেঁদে দেয়। এই সাদিফ এ হিং*সু*টে কেন হল ভাবতেই তানিশা পাগল পাগল হয়ে যায়। ওদের কথার মাঝে হস্তক্ষেপ করে দুজনকে থামিয়ে দেয়। বন্ধুকে জব্দ করতে না পেরে মুখ কালো করে থাকে সাদিফ।
” ভাবি এটাকে বাসায় নিয়ে মাথায় আইস ব্যাগ দিয়ে রাখেন। আমার বন্ধু যে এমন তার ছেঁড়া হবে ভাবতেও পারিনি। আর আপনি নিজের যত্ন নিবেন। ”
তানিশা ডক্টরের কথায় সায় জানিয়ে সাদিফকে নিয়ে বেরিয়ে আসে।

শায়লা চৌধুরী আবার দাদি হবেন শুনে সেকি খুশি। সাথে সাথে ফোন করেন সাইরা আর তানিশার মায়ের কাছে। জামিল চৌধুরীর চোখমুখে আনন্দ খেলে যাচ্ছে। প্রথমবার কেউই তাদের নাতনিকে ছোঁয়ার সুখ অনুভব করতে পারেনি কিন্তু এবার সেই সুখ তারা স্বচক্ষে অনুধাবন করতে পারবেন। তূর্ণা আরেকটা ভাই/বোন আসবে শুনে খুশিতে লাফালাফি করছে।

সাদিফ তানিশার উপর নানাবিধ বিধিনিষেধ জারি করেছে। তানিশা বেচারির সেসব না মেনে উপায় নেই। ওর সব কাজকর্ম বন্ধ করতে হয়েছে সাদিফের নির্দেশে। রহিমা খালাকে সাহায্য করার জন্য আরেকজনকে রাখা হয়েছে।
তিনদিন পর তিয়াসা আসে। তানিশা আর তূর্ণার দ্বায়িত্ব ওর কাঁধে দিয়েছে সাদিফ। তিয়াসাও খুশি মনে রাজি হয়েছে। সাইরা এসেছে দুইদিনের জন্য। সেও রহিমা খালাকে কাজে সাহায্য করছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ড্রয়িংরুমে বসে সবাই আড্ডা দিচ্ছে। সবার সাথে রাতুলও আছে। তিয়াসা রান্নাঘরে সবার জন্য নাস্তা তৈরী করছে। তানিশা জামিল চৌধুরীর পাশে বসে আছে। সাদিফ লক্ষ্য করল তানিশা কেমন অস্থির হয়ে আছে। কিন্তু কাউকে বুঝতে দিচ্ছেনা। একবার সাদিফ ওকে জিজ্ঞেস করেছে কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা। কিন্তু তানিশা বলেছে ও ঠিক আছে। কিন্তু সাদিফ খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছে তানিশার কিছু একটা হয়েছে। কি লুকাচ্ছে তানিশা! সাদিফ সন্তর্পনে তানিশাকে লক্ষ্য করতে থাকে।
সবার গল্পের মাঝেই কলিংবেল বেজে ওঠে। কলিংবেলের আওয়াজে তানিশাও কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। সাইরা যায় দরজা খুলতে।
দরজা খুলেই ও স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়। এদিকে তানিশা বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছে। সাদিফ কৌতুহলী হয়ে উঠে দাঁড়ায়। কে এসেছে! যার দরুন তানিশা এভাবে বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছে! দরজার সামনে আসতেই সাইরার ন্যায় সাদিফও থমকে দাঁড়ায়। রা*গে কপালের একপাশের শিরা দপদপ করছে। তবে কি তানিশা এসবের পেছনে আছে!
তানিশা বুঝতে পারল সাদিফ রে*গে গেছে। ও ধীর পায়ে এগিয়ে যায় সাদিফের কাছে। সাদিফের মুঠি বদ্ধ ডানহাত নিজের দুই হাতের মুঠোয় নেয়।
” ওকে ভেতরে আসতে দিন, প্লিজ। রা*গ করবেননা। ” অনুনয় ঝরে তানিশার গলায়।
শায়লা চৌধুরী ওদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে এসেছে। দরজার ওপাশে দাঁড়ানো ব্যাক্তিকে দেখে তার চোখে পানি এসে গেছে।
” প্লিজ, ওকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখবেননা। আমার কথা একটিবার শুনুন। ” তানিশার এমন অনুরোধ উপেক্ষা করার শক্তি নেই সাদিফের। দরজা ছেড়ে একপাশে সরে দাঁড়ায়। তানিশা আগন্তুককে ভেতরে ডাকে।
” এসো সাইফ। ”

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here