যখন তুমি এলে পর্ব ১২

#যখন_তুমি_এলে।
#পর্ব- ১২।

দু’দিন খোলা হাওয়ায় ঘুরে এসে একটু স্থির লাগছে সাচীর। মাঝে মাঝেই নিজেকে প্রকৃতির মাঝে বিলীন করে দেয়া উচিত। প্রকৃতি কখনো কাউকে নিরাশ করেনা। মন,শরীর দুটোই ভালো করে দেয়। ফোনে ভাইরাস জমে গেলে যেমন রিস্টার্ট দিই,মনের ভেতরও ব্যাথার ভাইরাস ঢুকলে প্রকৃতির কাছে গিয়ে তা উগড়ে দিতে হয়।
আবার নতুন উদ্যমে সাচীর জীবন শুরু হলো। যেখানে পেছন ফিরে তাকানোর কোন প্রয়োজন অনুভব সে করছে না। ভীষণ জেদ চেপে গেছে মনে। আর কাউকেই সে বিশ্বাস করবেনা সহজে। যদিও সে জানেনা,তার জন্য ঠিক কি অপেক্ষা করছে সামনে। আমরা যা দেখি,আর যা দেখিনা তার বাইরেও অনেক প্রশ্ন থেকে যায়। পৃথিবীটা গোল,আর জীবনটাই একটা গোলকধাঁধা। সেই ধাঁধার সমাধান এতো সহজ নয়। কেউ কেউ সে ধাঁধা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে,আবার কেউ আঁটকে যায়। গোলকধাঁধার কোন এক বাঁকে কেউ সামনে এসে দাঁড়ায়,আবার কেউ পেছনে পড়ে থাকে। তবে কাকে সঙ্গে নিয়ে সেই জীবনের গোলকধাঁধা থেকে বেরুনো যায়,সেটা বুঝতে পারাই কষ্টকর। ভুল মানুষকে নির্বাচন করলে বারবার গোলকধাঁধায় এলোমেলো ঘুরতে হবে। কোন পথ খুঁজে পাবেনা।

রুমে বসে রবীন্দ্র সংগীত শুনছিলো বিরুনিকা।

পাগলা হাওয়ার,বাদল দিনে
পাগল আমার মন,নেচে উঠে।

দুটো দিন তার স্বপ্নের মত কেঁটেছে। সে জন্য সাচীকে আরেকবার শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে মন চাইছে। যদিও সে এসে অনেকক্ষণ সাচীকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিল। বিরুনিকার পাগলামী দেখে সাচী ম্লান হাসি হেসেছিল।সাচীর এমন হাসির কারন বিরুনিকা পুরোটাই বুঝতে পেরেছিলো। তবে কিছুই করার ছিলো না। তবে সাচী নিজেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে,এটা বিরুনিকার বিশ্বাস। যা যায়,তা যেতে দিতেই হয়। সেটা মানুষই হোক,আর অন্যকিছু। আর যার ফিরে আসার,সে আসবেই।

বিরুনিকার মনটা অবশ্য বেশ ফুরফুরা লাগছিলো। যে মানুষটাকে দেখার জন্য প্রতিদিন বিরুনিকার নানা ছুঁতা ব্যবহার করতে হয়,সে দু’দিন সারাদিন তার সামনে ছিলো। এটাই যে অনেককিছু ওর জন্য। ভালোবাসার মানুষকে দু’চোখ ভরে দেখতে পাওয়ার মাঝেও অদ্ভুত ভালোবাসা অনুভূত হয়। সুখ সুখ লাগে।
যদিও এ ভালোবাসার ফলাফল বিরুনিকার জানা নেই। সাচীকে ভরসা করে থাকাটা কতটুকু যৌক্তিক সেটাও অবশ্য বিরুনিকাকে বেশ ভাবায়। আংকেল মানে সাচীর বাবাও বিরুনিকাকে বেশ স্নেহ করে। তবে সে কারনে অন্য কিছুর আশা করাটা কি একটু বোকামি হয়ে যায় না?
বিরুনিকা এতোটা বোকামি করতে চায় না। সে নিজেই এর একটা বিহিত করবে। আর সেটা খুব শীঘ্রই। হয় এসপার,না হয় ওসপার। অনুভূতি নিয়ে ঝুলে থাকার চেয়ে,অনুভূতিহীন হয়ে যাওয়াও ভালো।
মানুষটা একই সাথে গম্ভীর আবার ছন্নছাড়া। ছোট ছোট দুটি চোখে যেন হাজারো রহস্য লুকিয়ে আছে তার। ফর্সা চেহারায় গালে চাপ দাঁড়ি। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। মাথার চুল বড় এলোমেলো থাকে বেশিরভাগ। কপাল জুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। সবসময় জিন্স প্যান্টের সাথে ফতুয়া পরবে। তাও নির্দিষ্ট দুইটা রংয়ের। কালো আর কফি কালারের। মাঝে মাঝে বিরুনিকার বলতে ইচ্ছে করে,আপনার কি দুটোই ফতুয়া?
একদম সাদামাটা একটা মানুষ, নিজেকে বিশেষ করা নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই তার। যেমন আছে,তেমনি। ঠিক এই কারনেই হয়তো বিরুনিকা সায়াহ্নতে আটকে গেছে। তবে সে কি বাঁধা পড়বে বিরুনিকার ভালোবাসার ডোরে?
কতভাবেই তো বুঝিয়েছে সে,তবুও কেন কিছু বলে না সে?
মেয়েদের কোন ছেলে ইশারা করলেও বুঝে যায়, আর ছেলেরা এতো গবেট কেন?
সায়াহ্ন গবেট!
বিরুনিকা মনে মনে হাজার কোটি বার গালি দিলো সায়াহ্ন কে।
কিন্তু যতবার গালি দেয়,তার দ্বিগুণবার ভালোবাসি বলে।
ভালোবাসার এত শক্তি কেন থাকে?

একটা কফিশপে মুখোমুখি বসে আছে রোহানী আর তানিম।
রোহানী একটা ছাইরঙা শাড়ি পরেছে,সাথে ফুলহাতা নেটের সবুজ ব্লাউজ। ফর্সা হাতটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। অবশ্য হাতার হাফ অংশে মোটা কাপড় দেয়া,তাই ঐ অংশটুকু দেখা যাচ্ছে না। শাড়িটাতে সবুজ সুতা আর পাথরের কাজ করা। কোমড়ের একটু উপরে সিল্কি চুলগুলো ছড়িয়ে আছে। সামনে কয়েকগাছি চুল কপালে বারবার পড়ছে। আর তানিম বিভোর হয়ে সেই দৃশ্য দেখছে। তানিম ছেলেটাকে যত দেখছে,ততই অবাক হচ্ছে রোহানী। যেখানে রাস্তাঘাটে, ভার্সিটিতে ওকে মানুষ বডি শেমিং করে প্রতিনিয়ত,সেখানে তানিম দ্বিতীয় মানুষ যে এসবে পাত্তা দেয় নি। তানিম দেখতে কালো,তবে সুঠাম দেহের অধিকারী । লম্বা প্রায় ছয়ফিট, ওজন কমপক্ষে আশি প্লাস হবে। মাথার চুল কোঁকড়া। চোখের গড়ন মাঝারি,বড়ও না আবার ছোটও না। তবে যে জিনিসটা রোহানীকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছে তা হলো,তানিমের জোড় ঘন কালো ভ্রুযুগল। চেহারায় কেমন যেন একটা অন্যরকম আভা এনে দিয়েছে। রোহানীর দৃষ্টি ঐ ভ্রুযুগলে আঁটকে ছিল। ঠিক তখনি ওয়েটার কফি নিয়ে আসে। কফি শপে দেখা করার কথাটা রোহানীই বলেছে। তানিম অবশ্য বুঝতে পেরেছে কফিশপে কেন ডেকেছে। মেয়েটা এতোটা সিরিয়াসলি নিজের ওজন কমাতে চাইবে,তানিম ভাবতে পারেনি। শুধু বুঝিয়েছিল, অতিরিক্ত স্থুলতা ওর জন্যই কষ্টকর। রোহানীও কেমন যেন মন্ত্র মুগ্ধের মত একবাক্যে রাজি হয়ে গিয়েছিল। হয়তো এভাবে কেউ ওকে বলেনি। ছোট থেকেই ফাস্টফুড খেয়ে খেয়ে এ অবস্থা হয়েছে। বাসার চেয়ে,রেস্টুরেন্টেই বেশি খেতো। বাবা,মা টাকা ধরিয়ে দিতো কেবল। তারপর যা খুশি তা করো। অবশ্য এদিক দিয়ে সোহানী বেশ সচেতন। সে একদম জিরো ফিগার বানিয়ে রেখেছে নিজের। তার ধারণা সে ফিল্মের হিরোইন হবে। আর বাংগালী নায়িকাদের যে একটা দুর্নাম সব মটকি,সেটা সে দূর করবে। বলিউডের নায়িকাদের সাথে সে টেক্কা দিবে। সোহানী রোহানীর চেয়ে এক ইঞ্চি লম্বা,মানে পাঁচ ফিট ছয়। আর গায়ের রং যদিও ধবধবে ফর্সা নয়। উজ্জল শ্যামলা। তবে তার কথা হলো গায়ের রং কোন ফ্যাক্ট না। বলিউডের অনেক শ্যামলা নায়িকাও সুপারহিট। কাজল,দীপিকা পাডুকোন,সোনাম কাপুর এরা কেউই ফর্সা নয়। অথচ সেটা তাদের অগ্রযাত্রায় কোন বাঁধাই ফেলতে পারেনি। যদিও আমাদের দেশে গায়ের ফর্সা রংটাকেই প্রাধান্য দেয়। এজন্যই ভালো অভিনেত্রীর অভাব আমাদের দেশে। এটা সোহানীর ধারণা। কারন শুধু ফর্সা হলেই যেখানে সুযোগ দেয়া হয়,সেখানে সে গুণী নাও হতে পারে। হবেই না যে, তা না। রোহানী এসব শুধু হা হয়ে শুনে। সোহানী যতটুকু মেকআপ সম্পর্কে জানে,তার একভাগও রোহানী জানেনা। আর সোহানী পড়াশোনার চেয়ে বেশি ফ্যাশন সচেতন। নাচ,গান,অভিনয় সব বিষয়ে পারদর্শী সে। আর রোহানী শুধু খেতে জানে। মাঝে মাঝে ওর খারাপ লাগে,নিজের বিশেষ কোন প্রতিভা নেই দেখে। সেটা নিয়ে রাদের কাছে দুঃখও প্রকাশ করেছে সে। তবে রাদ ওকে বুঝিয়েছে,আরে খেতে পারাটাও একটা প্রতিভা। সবাই সেটা পারেনা। সেদিন রোহানী এটা শুনে খুশি হলেও,পরে বুঝতে পারলো রাদ তাকে লেগ পুল করেছিল। রাদটা এমনই। সবসময় ওকে পঁচাবে। আবার ওকে ছাড়া কিছু বুঝবেও না। এখন যে কোথায় কি করছে,কে জানে। মাথায় যে কোন খিচুড়ি পাকাচ্ছে, আল্লাহ মালুম। এই রাদটাকে নিয়ে ইদানিং রোহানীর বেশ টেনশন হচ্ছে।

অনেকদিন পর সাচী ভার্সিটি যাচ্ছে। জানে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে তাকে। অনেকে হয়তো খুঁচা দিয়ে কথা বলতে দুইবার ভাববে না। কিন্তু তাই বলে তো আর ঘরে বসে থাকবে না সে। এতোটাও দুর্বল মনের অধিকারী সে নয়। সম্পূর্ণ মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়েই সে যাচ্ছে।
একটা কালো টপস,আর কালো ওড়না পরেছে সে। মাথার চুল কালো ফিতা দিয়ে বাঁধা। বিরুনিকার ছোট বোনটা মাঝে মাঝে সাচীকে বেশ ক্ষেপায়। বলে যে, দুনিয়া ইদার কি উদার হো যায়,সাচী বু কি কেশ কা স্টাইল না পাল্টায়।
এসএসসি দিবে মেয়েটা। কমার্সে পড়ে। বেশ চালু। সারাদিন হিসাববিজ্ঞানের ডেবিট ক্রেডিট নিয়ে পড়ে থাকে। বেশ পড়ুয়া ছাত্রী। তার ইচ্ছা সে চার্টার্ড একাউন্টেড হবে।
সাচীর অবশ্য হিসাববিজ্ঞান নামটা শুনলেই মাথা ঘুরায়। চোখে ভাসে একগাধা অংক।

পরীক্ষার ডেট হয়ে গেছে রাদদের। সামনের মাসের তিন তারিখ থেকে। তার মানে আর সপ্তাহখানেক আছে। এবার পড়াশোনা নিয়ে একটু সিরিয়াস হওয়া দরকার। আরাদ ছাত্র হিসেবে খুব মেধাবী না,আবার খারাপও না। কিভাবে কিভাবে যেন ফার্স্ট ক্লাস এসেই গেছে গত তিন বছরে। তাই এবার একটু মনোযোগ দেয়া উচিত যেন অন্তত আগেরটার মত রেজাল্টটা থাকে। লাইব্রেরী তে বসে পড়াশোনা করছিলো সে। তখন রোহানী ওকে বলতে লাগলো,
” আমার না প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছে। চলনা ক্যান্টিনে যায়?”
আরাদ রোহানীর মুখের দিকে তাকালো। ওর মুখটা বেশ শুকনা লাগছে। রাদ ভ্রু কিঞ্চিত কুঁচকে প্রশ্ন করলো,
” তা বিয়ে টিয়ে করে ফেলেছিস নাকি আমাকে না জানিয়েই?”
রাদের কথায় রোহানী পুরো থ মেরে বসে রইলো। এমন প্রশ্নের কোন হেতু খুঁজে পেলো না সে। অবশ্য এটাই রাদের ক্যারেক্টার,তা সে জানে। কিন্তু এখন কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না সে। এই ছেলেটাকে ওর মাঝে মাঝে ছাদ থেকে সত্যি সত্যিই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে মন চায়। এমন সব কথা বলে না আচমকা। আমি নাকি বিয়ে করে ফেলেছি,তাও তাকে না জানিয়ে। রোহানী রাগ হজম করে বললো,
” আপনার ঠিক কি কারনে মনে হলো যে,আমার বিয়ে হয়ে গেছে? ”
রাদ বইটা বন্ধ করলো। তারপর গলার স্বর একদম খাদে নামিয়ে বললো,
” তোর মুখটা শুকনো দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে তোর বর তোকে দিয়ে সারাদিন তার বুয়াগিরি করায়,আর দিনশেষে অল্প একটু খেতে দেয় তোকে। তাই তোর চেহারার এই হাল। সেজন্যই বললাম বিয়ে টিয়ে করে ফেলেছিস কিনা। এটা বলে রাদ হালকা জোরে হেসে দিল। ঠিক তখনি লাইব্রেরীর ম্যাম কর্কশ কন্ঠে বলে উঠলেন,
” এটা লাইব্রেরী, প্রেম করার জায়গা না। প্রেম করতে হলে পার্কে যাও।”
রাদ আর রোহানী কোন কথা না বলে চুপচাপ বেরিয়ে গেল। পেছন থেকে শুনতে পেল ফ্যান্সি ম্যাম বলছে,
কি রকম বেহায়া ছেলেমেয়ে আজকালের। বললাম আর অমনি পড়া রেখে প্রেম করতে চলে গেল। এদের দ্বারা কিচ্ছু হবেনা। এরা দেশের ভবিষ্যৎ নয়,অন্ধকার। ম্যাম একরাশ বিরক্তি ঝাড়লেন। রাদ আর রোহানী দরজা পেরিয়েই দুজন একসাথে হো হো করে হেসে উঠলো। ম্যাম বোধহয় ওদের হাসি শুনে ফেলেছে। কারন দরজায় উঁকি দিয়ে দেখছিলেন। তার আগেই ওরা দুজন পাশের রুমটায় ঢুকে পড়ে। না হলে আজকে আরো কয়টা চটাং চটাং কথা শুনতে হতো। এই লাইব্রেরীর ম্যাম/স্যার গুলো এতো তিরিক্ষি মেজাজের হয় কেন?

হাসতে হাসতে দুজন ক্যান্টিনে প্রবেশ করলো। রাদ খাবারের অর্ডার দিতে দিতে রোহানীকে বললো,
” নে হাতি খা। তোর বফতো তো তোকে এখনি না খাওয়ানোর টেকনিক শেখাচ্ছে। যাতে পরে এখনের মতো খাই খাই না করতে পারিস।ছেলে কিন্তু সেয়ানা আছে বস। এটা বলে রাদ চোখ টিপলো। রোহানী কি বলবে ভেবে না পেয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো। আর রাদ ফোনে কি যেন ঘাটাঘাটি করছিলো গভীর মনোযোগ দিয়ে। কতক্ষণ রাদের দিকে সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো রোহানী। কিছু একটা ভেবে আচমকা প্রশ্ন করে বসলো,
” ঐ কাজটা তুই কেন করলি রাদ?”
” রাদ ফোনে মনোযোগ দিয়ে কি যেন করছিলো। তাই কথাটা খেয়াল করেনি। রোহানী আবার জিজ্ঞেস করলে,রাদ সংবিত ফিরে পায়। তবে রোহানীর প্রশ্ন আবারও সুকৌশলে এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু আজকে রোহানী একটুও ছাড় দিবে না রাদ কে। সে সম্পূর্ণ তথ্য নিয়েই আজকে প্রশ্নের ঢালি সাজিয়ে নিয়ে বসেছে। রোহানী রাদকে বললো,
” ওদের সত্যি সত্যিই ব্রেকআপ হয়েছে। আমি খোঁজ নিয়েছি। আর আমি এটাও জানি, এটা তোর কাজ। কিন্তু কেন করলি বলতো? অন্যসময় আমি কিছু বলতাম না। ইনফেক্ট তোকে সাপোর্ট দিতাম। বাট এবার তুই আমাকে এড়িয়ে গিয়ে কাজটা করেছিস। ঠিক সে কারনেই আমার তোকে সন্দেহ লাগছে। প্লিজ তুই আমাকে সবটা বল। রাদ কিছুক্ষণের জন্য থম মেরে বসে রইলো। তারপর শান্ত স্বরে বললো,
” হ্যাঁ আরজে তুহিন আর মিস চটড়-পটর মানে সাচী মেহতাজ এর ব্রেকআপ আমার কারনেই হয়েছে। তারপর আরাদ রোহানীকে পুরোটাই বলে দিলো। কিভাবে কি করেছে। সবটা শুনে রোহানী মাথায় হাত দিলো। ওর কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না। বারবার রাদকে বলছে,এটা কি তুই বেশি করে ফেলেছিস না?”
” একদম না। সম্পর্কে বিশ্বাস থাকা জরুরি। রাদ নির্লিপ্তভাবে উত্তর দিলো।সেটা দেখে রোহানী হতাশ চোখে তাকালো। তবে প্রায় সাথে সাথেই রোহানীর চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। সেটা দেখে রাদ বেশ অবাক হলো। রোহানীকে খুঁচানোর উদ্দেশ্যে বললো,
” কি রে চোখ এমন পেঁচার মত করে ফেলেছিস কেন? বার্গার দেখে ফেলেছিস,নাকি তোর বফকে? রোহানী কোন সাড়াশব্দ করলো না। সেটা দেখে রাদকে একটু চিন্তিত মনে হলো। হুঁট করে রোহানীর কি হলো?
ভূত দেখার মত চোখ করে রেখেছে কেন?

#চলবে…
#জাহান_লিমু।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here