যখন তুমি এলে পর্ব ৪

#যখন_তুমি_এলে
#পর্ব- ০৪।
লেখা – জাহান লিমু।

তুমুল বর্ষণের পর প্রকৃতি জুড়ে যেমন স্নিগ্ধতা বিরাজ করে,সাচীর মনের অবস্থাটাও এখন তেমন। যতক্ষণ তুহিনের সামনে বসে ছিল,সাচীর হার্টবিট ঝড়ের গতিতে ঢিব ঢিব করছিলো। সাচীর ভয় হতে লাগলো যে,ধরা না পড়ে যায়। অবশ্য তুহিন ভীষণ প্রফেশনাল। সাচীর সাথে স্বাভাবিক আচরণই করেছে। এমনকি কোন প্রকার জড়তা ছাড়াই সাচীর চোখে চোখে তাকিয়েই কথা বলেছে। তার কাছে হয়তো এটাই স্বাভাবিক। কারন কত মানুষের সাথেই কথা বলতে হয়। তাই অপরিচিত হলেও,তার কাছে এগুলো নিত্যনৈমেত্তিক ব্যাপার। সাচীর অবশ্য এতে ভীষণ অসস্থি হচ্ছিল। কারন সে তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতেই পারছিলনা। কেউ কারো চোখের দিকে তখনি তাকাতে পারেনা,যখন তার প্রতি বিশেষ কোন অনুভূতি থাকে। সেটা ছেলেমেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই,তবে মেয়েদেরটা একটু বেশি। কারন মেয়েরা প্রকৃতি গতভাবেই একটু বেশি লাজুক হয়। কিন্তু তবুও সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে সাচী। এবং সে কোনরকমে শো শেষ করে বাসায় আসার জন্য ছটফট করতে লাগলো। মরার হার্ট বোধহয় পারলে তখন সাচীর শরীর থেকে বের হয়ে, তার সামনে লাফিয়ে সব ফাঁস করে দিতো। নাচতে নাচতে বলতো,সাচী লাভস ইউ আরজে,সাচী লাভস ইউ! ভাবতেই সাচীর মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো। ঐখান থেকে বের হয়েই শাড়ি একটু উপরে তুলে সাচী হাঁটতে লাগলো। আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আসার সময়ও আকাশ পরিষ্কার ছিলো। একদম ফকফকা নীল আকাশ। আর এখন কেমন কালো মেঘে ঢেকে গেছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে অবশ্য এখন। অফিসের নিচে এসে একটা দোকানের ভেতর দাঁড়ালো সাচী। শাড়িটা হালকা ভিজে গেছে, নিচের দিকে ময়লা লেগে গেছে। সাচী নিজের প্রতিই নিজে বিরক্ত হয়ে বললো, দূর!
বিরুপুর শাড়িটাই নষ্ট করে দিলাম আমি। কেন যে শাড়িটা পরিয়ে দিলো বেচারী!

ফোন গুতাচ্ছিল সাচী। ঠিক তখনি চমৎকারটা ঘটলো। তুহিন গাড়ি নিয়ে ঐ দোকানটার সামনে দাঁড়ালো। সাচী অবশ্য বুঝতে পারেনি। কিন্তু যখন গাড়ির গ্লাসটা নামালো,তখন আজকে শেষবারের মত সাচী আরেকদফা কল্পনায় হুঁশ হারালো। এই ছেলেকে দেখেই সাচী আজকে বারবার কল্পনায় হুঁশ হারাচ্ছে।
ইস! যদি কেউ কল্পনায় কি ভাবে,সেটা মানুষ বুঝতে পারতো,তাহলে সাচীর কি হতো আজকে?
ভাবতেই শরীরটা কাঁটা দিয়ে উঠলো। তবে সাচীর কল্পনায় ব্যাঘাত ঘটলো গাড়ির হর্ণের শব্দে। আর হর্ণটা সামনের ব্যাক্তিই বাজাচ্ছে। কিন্তু সাচী হতভম্বের মতই তাকিয়ে আছে। কি করবে, কি বলবে, কিছু ভেবে পাচ্ছে না।
ঠিক তখনি সাচীকে চূড়ান্ত অবাক করে দিয়ে তুহিন গাড়ি থেকে নেমে আসলো। সাচী তার বড় বড় চোখগুলো,আরো বড় বড় করে তাকানোর বৃথা চেষ্টা করলো। সাচী যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো,সেই ছাউনিটার নিচেই এসে দাঁড়ালো তুহিন। এটা একটা চায়ের দোকান,সাথে অন্যন্যা টুকিটাকি সামগ্রী আছে। সাচী রোবটের মতই দাঁড়িয়ে রইলো। আজকে ও শেষ!
তখন সাচীর ধ্যান ভেঙে সে বলে উঠলো,

” এতো জোরে জোরে হর্ণ বাজাচ্ছি,আপনার নাম ধরে ডাকছি,তবুও শুনতে পাচ্ছেন না। কানে সমস্যা আছে নাকি উডবি ডিরেক্টর ম্যামের?”

এবার যেন সাচী সংবিত ফিরে পেলো। আর সাথে সাথেই লজ্জায় কুঁকড়ে যেতে লাগলো। এতো স্টুপিড কেন সে?
আমতা আমতা করে বললো,

“ইয়ে মানে,বুঝতে পারিনি আসলে। দোকানের ভেতর গান বাজছে তো তাই। তাও আবার বাউল গান,বুঝেনই তো সেসব গানের মিউজিক কেমন। কান ঝালাপালা করার মতন। তুহিন বেশ বুঝতে পারলো, সাচী কথা ঘুরানোর জন্য এটা বলেছে। তবে দোকানে আসলেই গান বাজছিল। সাচী একনাগাড়ে মিথ্যে বলে,এবার এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিল শুধু। সেসব পাত্তা না দিয়ে তুহিন বললো,

” চা খাবেন? আমি কিন্তু ভীষণ চা খোর। এত্তো পরিমাণ চা খোর,যে মাঝে মাঝে মনে হয় বিয়েটা দার্জিলিং-ই করি। এটা বলে তুহিন নিজেই হাসলো।

” সাচীও হাসলো, আর একবাক্যে রাজি হয়ে গেল চা খাওয়ার জন্য। যদিও ওর চা খুব একটা পছন্দ না। ওর কফি পছন্দ। কিন্তু তুহিন নিজে থেকে অফার করছে,সেটা না করার মত দুঃসাহস সাচীর নেই। দুজন দুটো টুলের মধ্যে বসলো। দেড়ফুট দূরত্বে। তবুও সাচীর দমবন্ধ হয়ে আসছিল। বৃষ্টির পানি পড়ে, তুহিনের স্পাইক করা চুলগুলো কপালে ছড়িয়ে রয়েছে এলোমেলোভাবে। সাদা টি-শার্ট হালকা ভিজে শরীর আবছা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। হাতের লোমগুলো ইয়া বড় বড়। সেই লোমগুলোতেও বৃষ্টির কয়েক ফোঁটা জল পড়ে, ঘাসে জমে থাকা শিশিরে রৌদ্র পড়লে যেমন দেখায়,ঠিক তেমন চিকচিক করছে। ফর্সা হাতে সেই কালো লোমগুলো আরো অধিকতর স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সাচী একটা ঢোক গিললো। এভাবে খুঁটিয়ে দেখার অপরাধে, নিজেই নিজেকে বাসায় গিয়ে দন্ড দেয়ার মনস্থির করলো। দন্ডটা হলো,আগামী একদিন সে তুহিনের শো শুনতে পারবেনা। তারপর নিজে নিজেই বিড়বিড় করতে লাগলো,শাস্তিটা বেশি হয়ে গেছে মনে হয়!
এটা ভীষণ অন্যায়,এভাবে কারো দিকে ঢ্যাব ঢ্যাব করে তাকিয়ে থাকা। তুহিন অবশ্য মাথার চুল ঝাড়ছিল,তাই সাচী যে তাকে চোখ দিয়ে স্কেন করছিল,সেটা ধরতে পারলনা। চুল থেকে পানি ঝেড়ে, হাত বাড়িয়ে চায়ের কাপ হাতে নিল। সাচীর সামনে চায়ের কাপ ধরলো,কিন্তু সাচী তো আবার হুঁশে নেই। বিষয়টা তুহিনকে বেশ ভাবাচ্ছে। মেয়েটার কোন সমস্যা আছে নাকি। হঠাৎ হঠাৎ হারিয়ে যায় কোথায়?
‘শো’ চলাকালীন ও এভাবে কোথায় যেন গায়েব হয়ে যেত।

সাচী আচমকা সামনে তাকিয়ে দেখে তুহিন চায়ের কাপ হাতে ধরে রেখেছে ওর সামনে। সাচী তাড়াতাড়ি সেটা নিয়ে নিলো। তুহিন হাঁফ ছেড়ে বললো,”যাক সন্ন্যাসিনীর ধ্যান ভাঙলো।”
এটা শুনে সাচী চা মুখে দিতে গিয়ে বিষম খেলো। কারন কথাটার মানে ঠিক বুঝতে পারলনা। তুহিন সাচীর মাথায় হাত দিয়ে বললো,আমি কমপক্ষে নব্বই সেকেন্ড আপনার সামনে চায়ের কাপটা ধরে রেখেছি। কিন্তু আপনি তো সেই হিমালয়ে বসে ছিলেন সম্ভবত। সাচী ভীষণ লজ্জা পেল এবার। তুহিনের কথায়, আর কাজে। বিষম খাওয়ার দরুন,সে সাচীর মাথায় হাত রাখলো। সাচী মনে হয় তখন শূন্যে ভাসছিল।
এবার সে আরেকটা ভয়ানক কাজ করলো। গরম চা শাড়িতে ফেলে দিল। যদিও ওর কিছু হয়নি,কারন চা খুব গরম ছিলো না। তবে বিরুপুর শাড়িটার পোস্টমর্টেম করে দিল আজকে সাচী। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো,ভাইয়ের সাথে বিয়েটা ঠিক হলেই বিরুপুকে একটা আকাশী শাড়িই গিফট করবে সর্বপ্রথমে। সাচীকে আবার ভাবনায় ডুবে যেতে দেখে,এবার তুহিন হাসলো। বুঝতে পারলো,এভাবে হুঁটহাঁট হারিয়ে যাওয়া এই মেয়ের স্বভাব। তাই চা শেষ করে বললো,

“বৃষ্টি তো বাড়ছে,আমি কি আপনাকে বাসায় নামিয়ে দিবো?”

সাচী এবার খালি মুখেই বিষম খেলো। আজকে একের পর এক বিষয়গুলো সাচীর হজম হচ্ছে না। কেমন অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে রইলো সাচী। স্বপ্ন দেখছে না তো?
নিজের হাতে নিজে একটা চিমটি কাটলো। নাহ,পুরোটাই সত্য। সাচী যদি কোন সম্রাজ্ঞী হতো,তবে আজকের দিনটা স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখতো। তবে মনের খাতায় তো আজকের দিনটা স্বর্ণাক্ষরে অনেক আগেই লিপিবদ্ধ করে ফেলেছে সে,তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।

এবার সাচী নিজেই ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে প্রশ্ন করলো,
যতটুকু জানি…আপনার বাসা তো এইদিকে না মে বি?
সাচী অফারটা পেয়ে খুব বেশি বিস্মিত হয়নি,এটা বুঝানোর জন্যই এই প্রশ্নটা করলো সে। অপরদিকে মনে তো লাড্ডু ফুটছিল তখন। বিরুপুর কথাই কি তবে সত্যি হয়ে গেল?
আরজে কি কুপোকাত হয়ে গেছে?
জাস্ট বিরুপুর আকাশী শাড়ি পরাতেই কুপোকাত হয়ে গেল?
শাড়ির এতো পাওয়ার!
আগে জানলে,আরো আগে শাড়ি পরা শিখে নিতো সে। এতো পাওয়ারফুল একটা বস্ত্র, সে পরতে জানেনা দেখে মনে মনে ভীষণ আক্ষেপ করতে লাগলো।
এই বিষয়টাও সাচী হজম করতে পারছেনা। আজকে ওর বদহজম দিবস। কোনকিছুই হজম হচ্ছে না।

বোনের বাসায় যাবো আজকে। ভুরিভোজ করতে। প্রতি শুক্রবারেই যায়,শো শেষ করে। আর ওর হাতের রান্নার যা স্বাদ না, বেস্ট শেফের পুরষ্কার পাওয়ার মত। আর আমি একটু পেটুক কিনা। এটা বলে তুহিন হাসলো। সাচী দু’চোখে রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে সেই হাসিতে ডুবে গেল পুরোপুরি। এখান থেকে উঠার সাধ্য সাচীর কি আছে!
সে আঁটকে গিয়েছিল তার কন্ঠে,এবার ডুবে গিয়েছে তার বাঁকা দাঁতের হাসিতে। তার চাহনি,তার কন্ঠ,তার হাসি সবকিছুতে আঁটকে গেছে সাচী।
এর থেকে বের হওয়ার উপায় সাচীর জানা নেই। জানে হয়তো এ ভালোলাগার যেকোন সময় সমাপ্তি হতে পারে।
আর এত বড় আরজে,যার পিছনে মেয়েদের লাইন লেগে থাকে। তার নিশ্চয়ই গার্লফ্রেন্ড আছে। এটা ভাবতেই সাচীর বুকটা ছ্যাত করে উঠলো। জানে এটাই বাস্তব,তবুও মানতে কষ্ট হচ্ছে। সত্য যে বড়ই কঠিন।

বাসায় এসেই সাচী বিরুনিকার রুমে ছুটলো। আজকের দিনটা ওর জীবনে স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। বিরুপু বিরুপু ডাকতে ডাকতে রুমের দিকে এগুলো। বিরুনিকা তখন বাথরুমে। সাচীর কন্ঠ শুনে ভেতর থেকেই বললো,
“তুমি বসো,আমার গোসল প্রায় শেষ। এক্ষুনি বের হচ্ছি। সাচী উত্তেজিত গলায় বললো,তাড়াতাড়ি আসো। কথাগুলো তোমাকে এমুহুর্তে না বললে,আমি পেট ফেটে মরে যাবো। বিরুনিকা সাচীর উচ্ছ্বাসের কারন সবটা ধরতে না পারলেও,কিছুটা পেরেছে। মেয়েটা বড্ড পাগল।
সাচী বাসায় এসে শাড়িও বদলায় নি। বাসায় না গিয়ে আগেই বিরুনিকার কাছে এসেছে। বিছানায় বসে পা দোলাতে লাগলো একনাগাড়ে। যখন অস্থিরতায় ভোগে,তখন এমন পা দোলায় সে। আর আজকে তো ও চূড়ান্ত অস্থিরতায় ভুগছে। বিরুনিকাকে আবার ডাক দিতে যাবে,ঠিক তখনি সে বের হয়ে আসলো। মাথায় টাউয়ালটা পেছাতে পেছাতে সাচীর পাশে এসে বসলো। সাচীর মুখটা দেখেই বিরুনিকার মনটা খুশি হয়ে গেল। সরাসরিই প্রশ্ন করে ফেললো,
” আরজে সাহেবের কি সত্যি সত্যিই জ্বরে কাঁপন ধরে গেছে নাকি?”
” সাচী কোন কথা বলতে পারছেনা। আরজের জ্বরে কাঁপন ধরেছে কিনা সেটা সে জানেনা। তবে তার জ্বর যে আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেছে,সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। সাচীর চোখেমুখে অন্যরকম আভা বিরাজ করছে। সেটা দেখে বিরুনিকা বললো,
দেখতে হবে না বোনটা কার। এটা বলে বিরুনিকা একটা ভাব নিলো। সাচী সেসব পাত্তা না দিয়ে,ওর মতো করে সবটা বলতে লাগলো। একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত,একনাগাড়ে বলেই চলেছে। শেষ করার সাথে সাথেই বিরুনিকা জোরে বলে উঠলো,
” হায় আল্লাহ,তাকে বাসায় আসতে বলো নি তুমি?”
” সাচী মাথা নাড়ালো,সে বলেনি।”
” সাচীর কথা শুনে বিরুনিকা বেশ হতাশ হলো। এ মেয়ে তো তার চেয়েও বলদী। সুযোগ হাতের মুঠোয় পেয়েও,পায়ে ঠেলে দিলো। আর ঐদিকে তার ভাই তো, বিরুকে কোন সুযোগই দেয় না। সারাক্ষণ রুমের ভেতর কি যে করে। কোন মেয়েও, এভাবে ঘরে বসে থাকেনা। আর এই ঘরকুনো ব্যাঙটার জন্যই বিরুর হৃদয় পুড়ে। কি আর করার,ভালোবাসাটা বোধহয় এমনি অদ্ভুত। দুটো বিপরীত চরিত্রকে কিভাবে কাছাকাছি আনতে হয়,সেটা সে খুব ভালো করেই জানে। এটাই বোধহয় ভালোবাসার শক্তি।
সম্পূর্ণ কথা শেষ করে সাচী জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে বিরুর দিকে তাকিয়ে রইলো। বিরুনিকা বিষয়টা নিয়ে গভীর ভাবনায় ডুবে গেল। কিছুক্ষণ ভাবার পর সাচীকে বললো,
আপাতত তুমি যাও। আমাকে প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে একটু গভীর ভাবে ভাবতে হবে। সাচী হতাশার ভান করে চলে গেল। বিরুনিকা চুল মুছতে মুছতে নিজে নিজে প্রত্যেকটা বিষয়, একটার সাথে আরেকটা মিলানোর চেষ্টা করলো। সবগুলোই ঠিক আছে,তবে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে যাওয়াটা একটু ভাবাচ্ছে ওকে। একদিনের পরিচয়ে এটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। তবে বৃষ্টি ছিলো যেহেতু,আসতে পারে কিন্তু!
সবকিছু কেমন ধোঁয়াশা লাগছে বিরুনিকার।
তবে তুহিন ছেলেটার বুদ্ধি যে প্রখড়,সে বিষয়ে বিরুর কোন সন্দেহ রইলো না। তুহিন হয়তো সাচীর মনোভাবটা ধরে ফেলেছে। অবশ্য সাচীর যে অবস্থা, ধরতে পারারই কথা। তবে প্রশ্ন হলো আরজে সাহেব ঠিক কি ভাবছেন?
এতোদূর আগানোর পেছনে কি কারন থাকতে পারে?
এসব সেলিব্রিটিদের এতো সহজে বিশ্বাস করতে নেই। সবাই এক না। তবে দেখা গেল,হয়তো কয়দিন ছুটিয়ে প্রেম করে, তারপর বিনা কারনে ব্রেকআপ করে দিবে। তখন কি সাচী সেটা সামলাতে পারবে!

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here