রংধনুর রং কালো পর্ব -০৩

#রঙধনুর_রঙ_কালো(৩)
***********************

সাইফের যাওয়া আসা আবার বাড়তে লাগলো । মিলা’র পছন্দের কাজ, মিলা’র ভাললাগা গুলো সে তার মাথায় গেঁথে নিয়েছে । মিলা’র মতো বিচক্ষণ মেয়েদের বাগে আনা সহজ ব্যাপার না । তবে সাইফ এই লাইনের পাকা খেলোয়াড়। আর এই খেলায় সে হারতে শেখেনি । নারী মনের অলিতে গলিতে কোথায় কীভাবে বিচরণ করতে হয় তা সে ভালোই রপ্ত করেছে । শুধু নার্ভটুকু ধরে ফেলতে পারলেই হয় তারপর সময় ও স্রোত নিজের গতিতে এগিয়ে চলে ।

সে মিলার কাছে এমন ভাব নিয়ে আসে যেন সে নিজেও দারুণ শিল্প প্রেমী । তার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ অনুক্ষণ দোলা দেয় । মিলা মুগ্ধ হয়ে শোনে সাইফের কথা । তার শিল্পী সত্ত্বাটা আবার স্বপ্ন দেখে । সেই স্বপ্নের সহযাত্রী হিসেবে সে সাইফকে নিজের পাশে আবিষ্কার করে । মামুন একসময় কতো উৎসাহ দিতো এসব বিষয়ে । বিয়ের পর থেকে কেমন যেন হয়ে গেলো মামুন । বাচ্চাদুটো ছাড়া যেন আর কিছু বোঝেই না । বাচ্চা তারও ভালো লাগে, তাই বলে নিজের শখ, স্বপ্ন কী ভুলে যেতে হবে? এ জন্যই সে অতো তাড়াতাড়ি বাচ্চা নিতে চায়নি ।

মামুন ফিরে এলে অপূর্ব, পূর্বা দুজনেই হামলে পড়লো বাবার ওপরে । বাবার জন্য তাদের রাজ্যের গল্প, কথা জমা হয়ে আছে । ছেলেমেয়ের সাথে খুনসুঁটির ফাঁকে মামুন খেয়াল করলো মিলা যেন একটু অন্যমনস্ক । ছেলেমেয়ে তাদের চাহিদার খেলনা, চকলেট পেয়ে দারুণ খুশী । দুজনে ওদের রুমে চলে গেলো । মামুন এসে হাত রাখলো মিলা’র কাঁধে –

কেমন ছিলে বল? ওরা বিরক্ত করেছে খুব? মন খারাপ কেন তোমার?

মন খারাপ না তো । আমরা তো ভালোই ছিলাম । তোমার ট্যুর কেমন কাটলো?

আমার শুধু মনে হচ্ছিল, তোমরা সাথে থাকলে ভীষন ভালো হতো । এতো সুন্দর দেশটা কী বলবো । এতো পরিস্কার চারপাশ! মানুষগুলোও ভীষন ভদ্র । আর ফুল!! উহ,, মিলা তুমি যদি দেখতে চেরী ফুলের কী অপার সৌন্দর্য্য! এতোটা সৌন্দর্য্য একা একা দেখলে মন খারাপ হয়ে যায় । আমারও তাই হয়েছে বার বার । প্রিয়জন ছাড়া এ সৌন্দর্য্য দেখে মনে প্রশান্তি হয় না মিলা । আচ্ছা আমরা এবারের ভ্যাকেশনটা জাপানের জন্য প্ল্যান করব ঠিক আছে?

দেখা যাক । আচ্ছা তুমি ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নাও, পরে কথা বলছি । আমার হাতের কাজগুলো শেষ করতে হবে ।

আচ্ছা এতো কী কাজ বলতো? আর অফিসের কাজ তো আমাদের কারো বাসায় আনার কথা না । একটু বোসো না আমার পাশে । তোমার হাতটা ধরা হয়নি সাত সাতটা দিন । বলেই মিলার হাতটা নিজের হাতে তুলে নেয় মামুন ।

শোনো খুব মজার একটা ঘটনা ঘটেছে ওখানে । রাফসানকে তো তুমি দেখেছো । সারাক্ষণই কিছু না কিছু দুষ্টামির মধ্যে থাকে । শেষ বিকেলে আমাদের সবার যখন ঝিমানো ভাব আসে তখন এমন একটা জোকস বলবে যে সবার হাসতে হাসতে বেহাল অবস্থা। আবার কেনো দুঃখের কাহিনী এমন দুখী মুখ করে বলবে কিন্তু বলার ভঙ্গিতে না হেসে উপায় নাই । তো রাফসান যাওয়ার আগে মোট তিনটি জাপানি বাক্য শিখেছিলো । কেমন আছেন, আমার খুব খিদা লাগছে আর ভালো থাকবেন, আবার দেখা হবে । সেমিনারের পর জাপানিদের সাথে আমাদের ডিনার ছিলো । ওখানে যিনি কো অর্ডিনেটর ছিলেন তাশোহুরা, উনি খুব চটপটে লোক । এই এখানে তো পরক্ষনেই ওখানে । খাবার টাইমে উনি আমাদের টেবিলে এসে বসলেন । আর শুরু হলো রাফসানের দুষ্টামি –

মামুন ভাই এতো কষ্ট কইরা শালাগো ভাষা শিখা আইলাম তো কমু কখন?

বলো না, কে নিষেধ করেছে তোমাকে ।

এই ব্যাটায় দেখছেন কেমন পাঙ্খার মতো ঘুরতাছে । হ্যার বাপে মায়ে নামডাও রাখসে তাড়াহুড়া ।

তাড়াহুড়া না রাফসান, তাশোহুরা ।

ঐ হইলো, লাউ আর কদু । থামেন, জাপানি শুনাইয়া ব্যাটারে টাসকি লাগাই দিতাছি । আচ্ছা এই কাঠি কুঠি দিয়া ব্যাটারা খায় ক্যামনে । দুরু আমি এইডি দিয়া খামুই না । বলেই সে তাশোহুরা’র দিকে ফিরে জানতে চাইলো –

কেমন আছেন স্যার?

তারপরই টাসকি খাওয়ার জোগাড় আমাদের৷। আর রাফসানের তো মাথায় পানি ঢালার অবস্হা । তাশোহুরা পুরা বাংলায় আমাদের কথার উত্তর দিলেন ।

আরে রাফসান ভাই আমি তো ঢাকাতে সিলাম তিন বসর। বাংলা তো আমার কুব বালো লাগে । আমি তো আমার বাসার কুক এর কাস থিকা বাংলা শিকশি । আর আমার বাপে মায়ে যেই নামটা রাখসে ঐটাতো ঢাকাতে তাড়াহুড়াই হইয়া যায়গা । আর শুনেন, জাপানি ভাষা যেইটা কইলেন ঐটা আগে কইয়া দিসেন। যা কইসেন, মানে হইল, ভালো থাকবেন, আবার দেখা হইব। আর বলেন তো শালাগো ড্যাশ কেমন লাগতাছে আপনাগো?

আমাদের তো ভয়ে জান ধুকপুক করছে । আল্লাহ ই জানেন আর কী সব কথা বলেছি আমরা এর মধ্যে । কে জানতো ব্যাটা যে ঢাকায় থেকেছে এতো বছর আর বাংলার মাস্টার হয়ে বসে আছে !

অনেকক্ষণ পর খুব হাসলো দু’জন মিলে । মিলা ভেবেছিলো এর মাঝে সাইফের সাথে বাইরে যাওয়ার বিষয়টা মামুনকে বলবে কিন্তু কী মনে করে চেপে গেলো ।

দিন গড়ায় সাইফ এর সাথে মিলা’র হৃদ্যতা বাড়তে থাকে । মিলা বুঝতে পারে যেটা বন্ধুত্বের নামে শুরু হয়েছিলো সেটা এখন নতুন মোড় নিয়েছে । সাইফ যে তার ভালো লাগার গুরুত্ব বোঝে, তার চাওয়া পাওয়ার মূল্য দেয়, এতে মিলা খুশী হয় । সাইফ এর মধ্যে তাকে নিয়ে বেশ নামী একটা হোটেলে সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজনও করে ফেললো । বেশ বড়সড় আয়োজন । এরজন্যে ছুটির পর প্রতিদিন রিহার্সাল করতে যাচ্ছে সাইফের পরিচিত আরেক শিল্পীর বাসায় । তিনি বেশ পরিচিত মুখ। দারুণ আনন্দে কাটছে সন্ধ্যা গুলো। মামুনকে সে বলেছিলো তার সাথে ওখানে যেতে কিন্তু বাচ্চারা সন্ধ্যার পর ওদের ফেরার পথে চেয়ে থাকে তাই মামুন মিলাকে অনুরোধ করলো সে যেন রিহার্সালের দিনগুলোতে একাই যায় । অনুষ্ঠানের দিন সবাই এক সাথে যাবে । মিলা আর কথা বাড়ায় না ।

অনুষ্ঠানের দিন মামুন বাসায় যেয়ে বাচ্চাদের নিয়ে তারপর হোটেলে আসে । মিলা অফিস থেকে বেরিয়ে সরাসরি রিহার্সালে যাবে । সেখান থেকে তৈরী হয়ে সরাসরি অনুষ্ঠানে । সেই প্রথম মামুন একটা ধাক্কা খায় । অনুষ্ঠানে পরার জন্য সে ময়ূরকণ্ঠী রঙের সিল্ক এনেছিলো মিলা’র জন্য । খুব পছন্দ হয়েছিলো শাড়ীটা মামুনের। অথচ অনুষ্ঠানে যেয়ে সে দেখলো মিলা টকটকে লাল কাঁথা স্টিচ শাড়ী পরে আছে । যদিও মিলাকে ভীষন সুন্দর লাগছে আর শাড়ীটাও খুব সুন্দর কিন্তু মামুনের মনটা একটু খারাপ হয়ে গেলো ।

দারুণ গেয়েছিলো মিলা সেদিন । সবার প্রশংসা উপচে পড়তে লাগলো । এরই এক ফাঁকে মামুন মিলাকে জিজ্ঞেস করেই ফেললো –

শাড়ীটা তোমার পছন্দ হয়নি মিলা?

কোনটা বলতো?

কাল যেটা আনলাম, ময়ূর…

ও,, আচ্ছা ঐ টা! না, মানে কী হয়েছে জানো, সাইফ ভাই খুব শখ করে শাড়ীটা দিলেন । না পরলে কষ্ট পেতেন ।

মানে কী? ওনার দেয়া শাড়ী তুমি নেবে কেন? আচ্ছা নাহয় গিফ্ট করলো বুঝলাম কিন্তু না পরলে রাগ হবেন কেন? উনি রাগ হওয়ার কে?

মিলা একটু থতমত খেয়ে যায় । কী যে সব ছোটখাটো বিষয় ধরে বসে থাকো না মামুন, একদম বুঝিই না তোমার সমস্যাটা । এই বিষয়ে পরে কথা বলি ।

মামুন আর কোনো কথা বলে না । চুপ হয়ে যায় ।

সাইফের সাথে কথা হয় মামুনের ।

কী ভাই এতো চমৎকার প্রতিভা ঘরে লুকিয়ে রাখলে চলে? দেখেন তো কেমন সাড়া ফেলে দিলাম চারদিকে। মিলাকে যে কোথায় নিয়ে যাবো আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না ।

মামুনের একটু বিরক্ত লাগে সাইফের বলার ভঙ্গিটা কিন্তু সে বুঝতে দেয় না । শুধু বলে, জ্বী ভাই সত্যি ভীষন ভালো হয়েছে অনুষ্ঠানটা ।

আপনি শুধু দেখেন মামুন ভাই সামনে কী দিন আসে ।

মৃদু হাসে মামুন। মিলাকে বলতে হবে এই লোকের সাথে মেলামেশা কমাতে । একটা প্রোগ্রাম হয়েছে ব্যস। এরপর মিলা নিজে চেষ্টা করে কিছু করুক। এই ধরনের লোকের থেকে দুরে থাকাই মঙ্গল সবার জন্য ।

সেদিন খুব ফুরফুরে মেজাজে বাড়ি ফিরলো সবাই । মিলা অন্যদিনের চেয়ে বেশী খুশী। চোখেমুখে তার ছটা ঠিকরে বেরোচ্ছে । রাতে শুতে এসে কথাবার্তার ফাঁকে মামুন তুললো কথাটা –

এই সাইফ ভাই লোকটা কেমন বলোতো?

কেন বলো তা?

না, মানে কথাবার্তা যেন একটু কেমন কেমন ।

এইটা কী বলো তুমি! মানুষটা আজ কতোদিন ধরে সময় দিয়ে আমার এতো সুন্দর একটা অনুষ্ঠান করে দিলো আর তুমি কী না…

না, না, মিলা শোনো অনুষ্ঠান তো অনেক ভালো হয়েছে কিন্তু লোকটার কথাবার্তা আমার কাছে যেন কেমন লাগলো।

তোমার যতোসব ফালতু কথা । তুমি কী জেলাস কোনো কারণে? এই যে সবাই এতো নাম করলো আমার ।

মিলা!!! কী বলো তুমি? আমি জেলাস! আর আমার কথা তোমার কাছে ফালতু লাগলো?

প্লিজ মামুন মেজাজটা আর খারাপ করে দিও না। অনেকদিন পর মনটা খুব ভালো আছে আমার ।

মামুন আর কথা বাড়ায় না । শাড়ীর বিষয়টা মনের মধ্যে খচখচ করতে থাকে । হচ্ছেটা কী! মিলা তার সাথে এভাবে কথা বলছে কেন?

সাইফের সাথে মিলা যোগাযোগ আরো বেড়ে যায় । সারাদিন টুংটাং ম্যাসেজ যাওয়া আসা করতেই থাকে । আপনি সম্বোধন তুমিতে নেমে এসেছে । আজ এখানে তো কাল ওখানে ছোটখাটো অনুষ্ঠান করা, কোথাও কোনো অনুষ্ঠান হলেই টিকেট হাতে সাইফ হাজির । সন্ধ্যার পর এক একসাথে খুব কমই বাড়ি ফেরে ওরা । এক গানের বাহানা দিয়ে মিলা মামুনের কাছ থেকে সবকিছু আড়াল করতে লাগলো ।

এরমধ্যে বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ফোন আসতে শুরু করলো । মিলাকে প্রায়ই দেখা যায় এক লোকের সাথে রেস্তোরাঁয় আর শপিংমলে ।

সেদিন ব্যাংকে জরুরী মিটিং চলছিলো । সাইলেন্ট মোডে থাকা ফোনটা মোট পাঁচবার বাজলো । শিহাবের ফোন । শিহাব ওদের দু’জনেরই বন্ধু । মিটিং শেষে কল ব্যাক করলো মামুন –

হ্যালো শিহাব কী অবস্হা? কেমন আছিস?

আরে ব্যাটা এতক্ষণ লাগাইলি ক্যান ফোন ধরতে?

মিটিং ছিলো দোস্তো । সরি ।

মিলা কই?

মিলা’র আজ গানের শুটিং আছে । এদিকেই কোথায় যেন । সেই সকালেই বেরিয়েছে । কেন দরকার ছিলো ? ফোন দে তাহলে।

তুই কইলি এইদিকে আর মিলারে তো আমি দেখি সাগরের বাতাস খায় ।

আরে ব্যাটা কাজের টাইমে কী ফাইজলামি করিস শিহাব? রাতে বাসায় আয়, সবাই মিলে আড্ডা দেবো । ভাবী আর বাচ্চাদেরও আনিস ।

আরে মামুনরে তুই সারাজীবন আর কতো ভোলাভালা থাকবি? শোন, আমি অফিসের কাজে কক্সবাজার আসলাম কালকে । যেই হোটেলে আছি সেখানেই আজ সকালে দেখলাম মিলাকে । সাথের লোকটাকে দেখে আমার ভালো লাগলো না মামুন ।

মামুনের বুকটা ধুকধুক করতে থাকে । মিলা কক্সবাজার!! সে শিহাবের কাছে সহজ থাকার চেষ্টা করে । আরে অন্য কেউ হবে বোধহয় । কাকে দেখতে কাকে দেখলি তুই?

আমি জানতাম তুই বিশ্বাস করবি না । ছবি পাঠালাম ম্যাসেজ্ঞারে । নিজেই দেখে নে দোস্তো । আচ্ছা রাখছি মামুন । পরে কথা হবে আর বিষয়টা একটু খেয়াল কর । বাই ।

ভয়ে মামুনের ভেতরটা কেমন কাঁপতে থাকে । কী বললো শিহাব? মিলা তার কাছে মিথ্যে বলছে কেন? মিলা কী সাইফের সাথে কোনো সম্পর্কে জড়িয়েছে?কিছুদিন ধরেই খেয়াল করছে, যখন তখন ফোন আসে আর মিলা ফোন হাতে পাশের রুমে চলে যায় । শিহাবের পাঠানো ছবিটা দেখার সাহস হলো না তার । নিজের রুমে এসে কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকলো মামুন। এরপর ফোনটা হাতে তুলে নিয়ে মিলা’র নাম্বারে ফোন করলো । “নাম্বারটি এখন বন্ধ আছে” কথাটা শোনার পর মামুনের মনে পড়লো, মিলা বেরোনোর আগে বলেছিলো শুটিং চলাকালে ফোন বন্ধ থাকবে । অংক মেলানোর চেষ্টা করলো মামুন । শিহাবের পাঠানো ছবিটা দেখলো এবার ।

রাতে মিলা ফিরে এসে খুবই স্বাভাবিক আচরণ করছে । শুটিং এর গল্পও বলছে টুকটাক । মামুন মুগ্ধ হয়ে দেখছে মিলা’র অভিনয় । বাচ্চারা পড়তে চলে গেলে মামুন রুমে এসে দরজা আটকে সরাসরি মিলা’র মুখোমুখি দাঁড়ালো । মিলা আবারো শুটিং এর গল্প শুরু করলো –

ভীষন ভালো লাগছে জানো । আমার স্বপ্নগুলো…

কোন স্বপ্ন মিলা?

আরে এতোদিন কী আমি নিজেই বুঝেছি যে এভাবে আবার নিজেকে ফিরে পাবো!

তুমি আজ কোথায় ছিলে সারাদিন?

মানে কী? এতক্ষণ কী বলছি তাহলে তোমাকে ।

তুমি আজ কোথায় ছিলে মিলা?

তেমাকে বলিনি যে আজ সারাদিন আমার গানের শুটিং চলবে ।

কোথায়?

কোথায় মানে? এভাবে কথা বলছো কেন তুমি আমার সাথে?

কক্সবাজারে ছিলো তোমার শুটি?

মিলা একটু চমকে ওঠে যেন তবে নিমিষেই নিজেকে সামলে নেয় । স্বপ্ন দেখছো নাকি মামুন? সারাদিন উত্তরা আর গাজীপুর ছিলাম ছিলাম।

কক্সবাজার ছিলে না তুমি?

সমস্যাটা কী বলতো?

উত্তর দাও, ছিলে কী না?

বার বার বলছি উত্তরা। কথার ফাঁকে সারাদিনের ঘটনাগুলো মনে করতে চেষ্টা করে মিলা । কেউ কী দেখলো তাকে? পরিচিত কারে মুখ তো মনে পড়ছে না।

মামুন আর কোনো কথা না বলে মোবাইল থেকে ছবিটা বের করে সরাসরি মিলা’র চোখের সামনে ধরে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here