রংধনুর রং কালো পর্ব -০৮

#রঙধনুর_রঙ_কালো(৮)
***********************

সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে এসে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ বসে থাকে মামুন । মেয়েটা এসে তার হাঁটুতে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকে । অপূর্ব’র মন ভালো করার জন্য বাইরে নিয়ে যেতে চায় ওদের । অপূর্ব রাজি হয় না –

আজ যাবো না বাবা, ভালো লাগছে না এখন ।

বাইরে গেলে ভালো লাগবে চলো ।

চল না ভাইয়া, যাই । আইসক্রিম খাব, রাইডে চড়বো । চল না ভাইয়া ।

চোখের নীচের এতো ফোলা নিয়ে আমি বাইরে যাবো না । পরে যাবো বাবা।

মামুন দেখে চোখের নীচটা এখনো বেশ ফুলে আছে । যদিও ওষুধ খাচ্ছে তবুও দু’একটা দিন লাগবে ফোলা কমতে । সে আর জোর করে না । তিনজন মানুষ জড়াজড়ি করে বসে থাকে অনেকটুকু সময় । মনে হচ্ছে এরা সবাই সবার ভেতরের কষ্টগুলো শুষে নিচ্ছে ।

মিলা’র মেজাজটা কেমন খিঁচড়ে আছে । শুরু শুরুর দিকে সাইফ তাকে খুব মাথায় তুলে রাখতো । সারাক্ষণ নিয়ে হৈচৈ, মাতামাতি, গায়ে পড়ে লুটোপুটি । দিন বাড়ছে আর সাইফের যেন আগ্রহ কমে আসছে তার ওপর থেকে । এতোগুলো মাস পার হয়ে গেলো অথচ বিয়ের নাম মুখেই নিচ্ছে না । এখন তো অফিস শেষে সে একা বাসায় ফেরে । সাইফের ফিরতে রাত দশটা পার । কোথায় থাকে এতক্ষণ, কী করে কে জানে । জিজ্ঞেস করলেই বলে –

তোমার প্রয়োজনের সবকিছু রাখা আছে এখানে, নিয়ে মৌজ মাস্তি কর ।

এইসব কথার মানে কী? আমি কী এখানে মৌজ করতে এসেছি! আমি তোমার সান্নিধ্য চাই । আমি চেয়েছি, অফিস শেষে বেরিয়ে দেখবো, তুমি আমার অপেক্ষায় আছো । দুজন মিলে কেনো নাটক অথবা গানের শো দেখতে যাবো । মন চাইলে লং ড্রাইভে নিয়ে যাবে তুমি আমাকে । চাঁদের আলোয় তোমায় গান শোনাবো । ছুটির সকালটা আয়েশ করে তোমার গলা জড়িয়ে ঘুমাবো ।

মামুন ছাগলটার মতো? শব্দ করে হেসে ওঠে সাইফ ।

খুব রাগ হয় মিলা’র কিন্তু ইদানিং সে রাগ, অপমান হজম করছে শুধু বিয়েটা হয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় । এমন টাইট দেবে যে সাইফ নিজেই তখন ছাগলের মতো ম্যা, ম্যা করবে ।
আমাকে লোকজনের কাছে কথা শুনতে হচ্ছে খুব । বিয়েটা করে ফেলা উচিৎ । এসব কথা শুনতে ভালো লাগে না একদম ।

কথা শুনতে বলছে কে তোমাকে? কাজ কর, খাও দাও , টিভি, মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকো । লোকের কথায় কান দেয়ার কী আছে? লোক তেমাকে খাওয়ায় না পড়ায়?

তুমি কেন এভাবে কথা বলছো আমার সাথে? বিয়ে ছাড়া এভাবে থাকা যায়! থাকলে আমাদের সমাজে অনেক কটু কথা শুনতে হয়, তুমি জানোনা?

জানি তো, জানবো না কেন? আমি তো এই সমাজেরই অংশ নাকি?

তাহলে তুমি কেন দেরী করছো বল তো?

আমার তো ভাই এখন বিয়ের মুড নাই । সারাক্ষণ কানের কাছে বিয়ে বিয়ে বলে মাথা নষ্ট করবা না মিলা, বলে দিলাম । সারাদিন অনেক ঝামেলায় থাকি, ঘরে ঢুকেই তোমার এমন কা কা শুনতে ভালো লাগে না । খুব ঝাঁঝের সাথে কথাগুলো বলে সাইফ ।

মিলা চমকায় আবার, কা কা! তার কথা কাকের মতো শোনায়! এই মানুষটাকে ভীষন অচেনা মনে হচ্ছে তার । যে সাইফকে দেখে তার মাথা নষ্ট হয়েছিলো, তার সাজানো সংসার ছাড়তে সে দ্বিতীয় বার চিন্তা করেনি, যার কারণে লেকজন তাকে চরম অপমান করছে, এ তো সেই লোক না ।

কিছুদিন যাবৎ কিছুই যেন ভালো লাগে না । এ শহর, তার আজন্মের বেড়ে ওঠা শহরটা কেমন যেন অচেনা ঠেকে আজকাল । যাওয়ার জায়গা কমে গেছে অনেক । আত্মীয়দের বাড়িতে যাওয়া বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই । বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতে গেট টুগেদার হলে সেখানে যেতেও মন চায় না । সবাই যার যার পরিবার নিয়ে আসে । বন্ধুদের বাচ্চারা যারা অপূর্ব, পূর্বাকে চেনে ওরা জানতে চায় ওদের কেন আনে না মিলা । তাই আর পরিচিত জায়গা গুলোতে যায় না মিলা । খুব খারাপ লাগলে কফি খেতে চলে যায় । মাঝে মাঝে অফিসের কাউকে পায় আবার কখনো কেউ যেতে চায় না । তখন মিলা একাই যায় ।

সাইফকে কোনো বিকেলেই এখন আর কাছে পায় না । সাইফের বাড়িতে সে আছে বলে কী সাইফ তাকে এখন আর পাত্তা দিচ্ছে না ? কখন যায়, কখন ফেরে ঠিক বুঝতে পারে না মিলা । নিজের প্রয়োজন পড়লেই শুধু মিলা’র দরজায় কড়া নাড়ে সাইফ । কাজ শেষে তাই বাড়ি ফেরার কোনো তাড়া থাকে না । সেদিনও অফিস থেকে বেরিয়ে মার্কেটে চলে গেলো মিলা । সাইফকে ফোন দেয় সে, যদি ফ্রি থাকে তাহলে ভালোই হবে । অনেকদিন একসাথে বাইরে যায়নি তারা । সাইফ জানায়, সে জরুরী মিটিংয়ে আছে ধানমন্ডিতে । মিলা আর কিছু বলে না ।

বেশ কিছুদিন হলো শাড়ি কেনা হয় না । দু’টো গাঢ় রঙের কটন শাড়ি কিনবে সে । অনেক শাড়ি রয়ে গেছে ও বাড়িতে । কয়দিন ধরে খুব ইচ্ছে হচ্ছে মেরুন জামদানী পরার । কয়েকটা দোকান ঘুরে মোট তিনটা শাড়ি কিনে ফেললো মিলা । প্রত্যেকটার রঙ ভীষন সুন্দর । হঠাৎ মনে পড়লো ময়ূরকণ্ঠী রঙ শাড়িটার কথা । যেটা মামুন কিনে দিয়েছিলো অনুষ্ঠানের জন্য ।

শাড়ির দোকান থেকে বেরিয়ে কফি শপের পাশ দিয়ে আসার সময় একবার ভাবলো সে, কফি খেতে ঢুকবে কিনা । সাইফের খুব পছন্দের এই জায়গাটা । এখানকার কফিটা তার ভীষন ভালো লাগে । দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোকার পরই চোখে পড়লো, সাইফ বসে আছে । ঠিক বসে নেই, সোফার ওপর আধশোয়া অবস্থায় একটা মেয়ের কাঁধে সাইফের মাথা । ঝুড়িতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কফির কাপ সামনে সাজানো । সেদিকে সাইফের খেয়াল নেই । সে তার দু হাতের মাঝে মেয়েটার হাত নিয়ে খেলা করছে আর কথা বলছে । মেয়েটা খিলখিল করে হাসছে । দৃশ্যটা দেখে মিলা স্তব্ধ হয়ে গেলো । একবার ভাবলো ছুটে যেয়ে কলার চেপে ধরবে । সাথে সাথেই মনে হলো, সাইফ ইদানিং ধমক ছাড়া কথা বলে না তার সাথে । এখানে সিনক্রিয়েট করে লাভ নেই । শেষে তাকেই অপমান হতে হবে । আজ আসুক বাড়ি । যা হওয়ার তা আজই করবে সে । বিয়ে তো সাইফকে করতেই হবে । না করে যাবে কেথায়?

বাড়ি ফিরে অপেক্ষা করতে থাকে মিলা । সাইফ ফেরে রাত এগারোটায় । দরজা আজকে সে ই খোলে –

তোমার সাথে কথা আছে আমার ।

কী? এতো রাতে কী কথা? কাল সকালে কথা হবে। এখন আমি ভীষন ক্লান্ত ।

মিটিং করে ক্লান্ত হয়ে গেছো তাই না?

হ্যাঁ, মিটিং শেষ করতে দশটা বেজে গেলো ।

কোথায় ছিলো মিটিং?

বলিনি তোমাকে, ধানমন্ডি । ধমকে ওঠে সাইফ ।

ধানমন্ডি কবে থেকে বনানীতে চলে আসলো আমি তো জানিনা ।

কী? কী বললে তুমি?

ঐ মেয়েটা কে ছিলো তোমার সাথে? ঐ মেয়ের সাথে তোমার কিসের মাখামাখি এতো?

এক মুহূর্ত অপেক্ষা করে সাইফ, ওহঃ মাহজাবীন । ও আমার ফ্রেন্ড ।

কেমন ফ্রেন্ড তোমার?

তুমি আমাকে এতো প্রশ্ন করার কে মিলা?

আমিই তো তোমাকে প্রশ্ন করবো ।

কেন? তুমি কী আমার বিয়ে করা বউ? লাইসেন্স আছে তোমার প্রশ্ন করার?

লাইসেন্স ! এই তোমার মাথা ঠিক আছে ? আজকে তুমি আমাকে ফাইনালি জানাবে যে কবে আমরা বিয়ে করবো ।

আমরা বিয়ে করবো কেন? কী যখন তখন শুধু বিয়ের গান গাও । তোমার বিয়ে হয়েছে না একবার? আর কত বিয়ে দরকার তোমার ?

সাইফ!!!! চিৎকার করে ওঠে মিলা ।

আচ্ছা একটা কথার উত্তর দাও তো মিলা, আমি কী কখনো তোমাকে বলেছি যে তোমাকে আমি বিয়ে করবো?

কী বল তুমি এইসব? আমরা বিয়ে করবো বলেই তো একসাথে হলাম ।

না, তুমি বিয়ে করার কথা ভাবতে পারো সেটা তোমার ব্যাপার তবে আমার মুখ দিয়ে কখনো এই কথা বের হয়নি যে আমি তোমাকে বিয়ে করবো ।

তাহলে তুমি আমাকে আসতে বললে কেন? আমার সংসার ভাঙলে কেন?

প্রথম কথা, আমি তোমাকে আসতে বলি নাই । তুমি কেন সংসার ছাড়লে, তুমি জানো । আমার যা পাওয়ার আমি তো এমনিতেই পাচ্ছিলাম তোমার কাছ থেকে । তোমার প্যানপ্যানানিতে বাধ্য হয়েই না আমার বাসায় জায়গা দিলাম । আর দ্বিতীয় কথা, তোমার সংসার আমি ভাঙিনি, ভেঙেছো তুমি, তোমার লোভ ।

তুমি আমাকে ভালবাসনা সাইফ?

বাসি তো , হ্যাঁ এখনো মনেহয় একটু একটু বাসি । আমার তো সুন্দরী মেয়েদের ভালোবাসতে খুব ভালো লাগে । অনেকে ভালবাসে গাড়ি, কেউ কেউ ভালবাসে বাড়ি আর আমি ভালবাসি নারী । এর আগে আরো কতজনকে ভালবাসলাম কিন্তু দুই বাচ্চার মা এই প্রথম । কী করবো বলো, তুমি এমনই চিজ যে দেখেই ফিদা হয়ে গিয়েছিলাম । বাচ্চার মা মনেই হয়না । দেখনা এই জন্য কতো ভালবাসা দিলাম তোমাকে । দেশ বিদেশে ঘুরে কতো এনজয় করলাম । খুব মজার ছিলো ট্রিপগুলো তাই না মিলা?

তুমি এইসব কী বলো সাইফ?

আমি ভাই মুখের উপর সত্যি কথা বলি । তোমাকে ভালো লাগার আরেকটা কারণ কী জানো, বোকা আর গাধাগুলাকে বশে এনে কোনো মজা নাই । ঐগুলো বলার আগেই রেডি থাকে । তোমার মতো চৌকস যারা, সুন্দরী আবার শিক্ষিত, সাথে আছে তীব্র অহংবোধ, তাদের নিয়ে খেলতে আমার ভীষন ভালো লাগে । একটা একটা করে চাল দিতে হয় বশে আনার জন্য । আজকে দেখলে না মাহজাবীনকে, ওর মধ্যে আমি দারুণ চার্ম খুঁজে পাই । ওকে দেখলেই পাগল হয়ে যাই যেন। আমি এখন মাহজাবীনে ফিদা । উহঃ মাহজাবীন ।

মিলা’র মনে হলো, পায়ের নীচের মাটি সরে গেলো যেন । সে যেন কোনো গভীর অতলে ডুবে যাচ্ছে । তারপরও নিজেকে সামলে বলে, সাইফ শোনো মাথা গরম কোরো না । তুমি আমার কথাটা বুঝতে চেষ্টা করো, প্লিজ । আমি একদম শেষ হয়ে যাবো তুমি এভাবে কথা বললে । আমি তোমার সাথে জীবন সাজানোর স্বপ্ন দেখেছি ।

তোমার মতো মেয়ে মানুষের কোনো ভরসা আছে মিলা? তুমি তিনদিনের পরিচয়ে আমার জন্য এতোদিনের সংসার ছাড়লে, বাচ্চার কোনো মায়া করলে না? বাচ্চার মায়া করে না এমন মা আছে নাকি? তো তোমার কী ভরসা? আমার চেয়ে বড় টোপ কেউ দিলে তখন তুমি ঠিকই সেই টোপ গিলবে ।

তুমি আমাকে টোপ দিয়েছিলে! আমি টোপ গিলেছি? এবার মিলা সত্যি ছুটে গিয়ে কলার চেপে ধরে সাইফের ।

মিলার হাতটা ঝটকায় সরিয়ে দেয় সাইফ । প্রচন্ড জোরে একটা চড় বসিয়ে দেয় গালে । এইটা আমার বাড়ি । তোর সাহস কতোবড় যে এখানে দাঁড়িয়ে তুই আমার সাথে তেজ দেখাস? তোকে তো শুধু সহ্য করে যাচ্ছি কয়দিন ধরে, বুঝিস না ব্যাপারটা? তুই এখানে পড়ে আছিস বলে মাহজাবীন আসতে চায় না । ও বলেছে, আগে ঐ বুড়িকে বের করো তারপর আমি আসবো । কালকের মধ্যে বিদায় হবি আমার বাড়ি থেকে । তোর ছাগলটাকে ফোন দে । গিয়ে হাত পা ধর । দেখবি, ছাগলটা গলে গেছে । নইলে নতুন কারো খোঁজ কর । বলেই সাইফ বেরিয়ে যায় রুম থেকে ।

মিলা মনেহয় কানে শুনতে পাচ্ছে না কিছু । চোখের সামনেও সব কেমন ঝাপসা হয়ে আসছে । হৃৎপিন্ডটা কেউ যেন চেপে ঝরেছে, রক্ত চলাচল থেমে গেছে বোধহয় ।

মহাকালের অতলে কতগুলো সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা বিলীন হয়েছে কে জানে? মিলা যখন সম্বিত ফিরে পেলো, ভোরের আলো মাত্র ফুটতে শুরু করেছে । সে ওভাবেই পড়ে রইল আরো কিছুটা ক্ষন । মনের মধ্যে উথালপাতাল হচ্ছে । সবকিছু ভীষন এলোমেলো মনে হচ্ছে । মাথায় কোনো চিন্তা কাজ করছে না । সে কে, তার কোথাও কেউ আছে কিনা, সবই যেন কেউ মুছে দিয়েছে ব্ল্যাকবোর্ডের বুকে চকে লেখা অক্ষরের মতো । খুব ধীরে ধীরে কুয়াশার চাদর সরিয়ে তার চোখের সামনে দেখা দিলো কতগুলো মুখ । মনে হচ্ছে খুব চেনা কিন্তু পুরোপুরি যেন চিনতেও পারছে না । কী মায়াভরা মুখগুলো সব! এরা কী তার আপন কেউ? ছোট্ট মেয়েটা খুব মনযোগ দিয়ে একটা ছবি আঁকছে, পাশেই ছেলেটা ফুটবল নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করছে । ওদের পাশেই বেঞ্চে বসে গল্প করছেন একজন মহিলা । মা! তার মা! চিনতে পেরেছে মিলা ।

আমিনা বেগমের ভোরে ওঠার অভ্যাস অনেক বছরের । ফজরের নামাজ শেষে কোরআনের আয়াত পড়ে তারপর হাঁটতে বের হন । এখন আর বেশীদূর যান না । বাড়ির সামনেই হাঁটাহাঁটি করেন । বাগানে গাছগুলোর পরিচর্যা করেন বেলালের সাথে । ফুলে ফলে ভরা গাছগুলো দেখতে ভীষন ভালো লাগে তাঁর । আজও কোরআন পড়া শেষে হাঁটতে বের হবেন ঠিক তখনই ফোনটা বেজে উঠলো । এতো সকালে তো কেউ ফোন করেনা তাঁকে । ছেলেমেয়েরা ফোন করে একটু বেলা হলে । ছোট ছেলে নাফিজ থাকে দেশের বাইরে কিন্তু এতো সকালে তো তারও ফোন করার কথা না । ফোনটা হাতে নেন আমিনা বেগম, অচেনা নাম্বার । একবার ভাবলেন ধরবেন না আবার কী মনে করে রিসিভ করলেন ফোনটা –

হ্যালো..

হ্যালো মা

কে বলছেন?

মা, চিনতে পারছো না? আমি মিলা ।

কিছুক্ষণের জন্য থেমে যায় পৃথিবী । রং নাম্বার, মিলা নামে তো আমার কেনো মেয়ে নেই…………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here