রংধনুর রং কালো পর্ব -০৬

#রঙধনুর_রঙ_কালো(৬)
**********************

সকাল থেকে টুংটাং শব্দ হয়েই চলেছে ম্যাসেঞ্জারে । কাজের চাপে মামুন চেক করতে পারছে না । এতো ম্যাসেজ আসছে কেন আজকে! লাঞ্চ আওয়ারে এসে একটু সময় পেলো সে । বাচ্চারা স্কুল থেকে ফিরলো কিনা খোঁজ নিয়ে ম্যাসেজ চেক করলো মামুন । একানব্বই জন নক করেছে তাকে সকাল থেকে! সবার একই প্রশ্ন, মিলা কই গেলো? মিলা’র সাথে তোর ছাড়াছাড়ি হলো কবে? মিলা আবার বিয়ে করলো কেন, কিছুই তো বুঝলাম না । মিলাকে এমনি ছেড়ে দিলি! উহঃ মামুনের মাথাটা যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে যেন । এতো মানুষ জানলো কী করে! সে তো এই পর্যন্ত কারো সাথে কথা বলেনি বিষয়টা নিয়ে, এমনকি শিহাবের সাথেও না । শিহাবের সাথে কথা হওয়ার পরদিনই মিলা চলে গেছে । শিহাব দেশের বাইরে আছে । সে ভেবেছে শিহাব ফিরলে ওকে জানাবে । তাহলে! বিষয়টা ঠিক ধরতে পারছে না মামুন । ঠিক তখনই শামীম ঢুকলো তার রুমে । শামীম তাদের দুজনেরই বন্ধু । শামীম রুমে ঢুকেই অস্থির –

জিনিষটা কী দাঁড়ালো মামুন?

আরে তুই আসবি একবার ফোনও তে করলি না । বস, কেমন আছিস?

তুই কেমন আছিস বল? তোর খোঁজ নিতে আসলাম । হলো কী এইটা! মিলা কী করলো রে ভাই!

আচ্ছা বলতো সবাই জানলো কীভাবে? তোকে বললো কে ? আমি তো কিছু বুঝতে পারছি না । ম্যসেঞ্জারে সবার একই প্রশ্ন ।

মিলা’র প্রোফাইল পিকচার দেখিসনি তুই? কাল রাতে দিয়েছে । আর এই ব্যাটা কে মামুন? তোদের হচ্ছে টা কী? তোর সাথে যে তিনদিন আগে কথা হলো কিছুই তো বললি না । দেখ, মিলা’র প্রোফাইলে যেয়ে দেখ ।

অনিচ্ছা সত্ত্বেও মামুন মোবাইল হাতে নেয় । খুঁজে পায় না মিলাকে । মিলা নেই তার ফ্রেন্ড লিস্টে। মুছে দিয়েছে তার নাম ।

এই দেখ, শামীম নিজের মোবাইল এগিয়ে দেয় ।

ছবিটা দেখে মামুন । মিলা এখন তাহলে মালয়েশিয়ায় সাইফের সাথে । টুইন টাওয়ার পেছনে রেখে ছবি তুলেছে । দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব এনজয় করছে মুহূর্তগুলো । জীবনের রুপ, রস, গন্ধ যা কিছুর আফসোস ছিলো সব বোধহয় চেটেপুটে খাচ্ছে এখন । সাইফের গলা জড়িয়ে ধরে আছে ছবিতে । মিলা’র সত্যিই ভিমরতি ধরেছে, মনে মনে ভাবে মামুন । এই ছবি দেখেই তাহলে সবাই নক করেছে তাকে ।

মোবাইলটা শামীমকে ফিরিয়ে দেয় মামুন । দীর্ঘশ্বাসটা চেপে যায় । কী খাবি বল?

কী খাবো আবার এই দুপুরে ? ভাত খাব, চল মালঞ্চে যাই । ওদের খাবার অনেক ভালো ।

না রে, ভালো লাগছে না । এখানেই কিছু আনাই ।

না, তুই এখন আমার সাথে যাবি । নিজের চেহারার দিকে তাকিয়েছিস একবার? বাচ্চা দুটো তোর ভরসায় বসে আছে বাড়িতে । ওদের কথাটা চিন্তা কর সবার আগে । শক্ত হ মামুন । তোকে দেখে মনে হচ্ছ, ভেতরে খুব তোলপাড় চলছে । মিলা’র ব্যাপারটা বলতো, কেমন করে ঘটলো এতেকিছু ? যদিও শুনতে ইচ্ছে করছে না তবুও বল মামুন । মিলা এমন কিছু করতে পারে, ভাবনাতেও আসে না রে ।

বাদ দে । ওগুলো নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে না ।

আচ্ছা বাদ দিলাম, যখন মন চায় বলিস কিন্তু এখন তুই আমার সাথে যাবি এইটা আমার অর্ডার ।

হেসে ওঠে দুজনেই । শামীমের সাথে কথা বলে মনটা একটু শান্ত হয় তার । খেতে যায় ওরা মালঞ্চে ।

মামুন ঘুম থেকে জেগে দেখে সব চুপচাপ । কোথাও কোনো শব্দ নেই । ঘড়িতে আটটা বাজছে । এমন তো হয় না । এই সময়ে প্রতিদিন তারা স্কুলের জন্য বেরিয়ে যায় । সকাল সাতটার আগে পূর্বা এসে তার বুকে মাথা রেখে খুব আদুরে গলার ডেকে তার ঘুম ভাঙাবে । এটা পূ্র্বার অনেক দিনের অভ্যেস । মামুন রুম থেকে বের হয়ে আসে । বিনু রান্নাঘরে কাজ করছে । বাচ্চাদের রুমের দরজা চাপানো । ভেতরে ঢোকে মামুন । দুজনই ঘুমাচ্ছে। পূর্বা নিজের বিছানা ছেড়ে ভাইয়ের বিছানায় এসে ওর পায়ের কাছে গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে । রাতে তো সে মেয়েকে নিজেই ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে গেলো । মাঝে বোধহয় ঘুম ভেঙে অপূর্ব’র কাছে এসে শুয়েছে । কাছে যেয়ে গায়ে হাত রাখতেই ঘুম ভাঙে ওদের –

কী ব্যাপার, কী হলো এটা আজকে, হুম । স্কুলের সময় যে পেরিয়ে গেলো । তোমরা ওঠোনি কেন আজকে? শরীর ভালো লাগছে না?

অপূর্ব চুপ করে বসে থাকে । পূর্বা কথা বলে-

বাবা, আমরা আজকে থেকে আর স্কুলে যাবো না ।

কী সর্বনাশ! কেন মা? সামনে সপ্তাহে পরীক্ষা তো । এখন না গেলে অনেক পিছিয়ে যাবে ।

না, বাবা, আমরা আর ঐ স্কুলে পড়ব না । ওখানে সবাই আমাদের খারাপ কথা বলে ।

কে খারাপ কথা বলে? কী বলে?

দু’জনেই চুপ করে থাকে । কোনো কথা বলে না ।

কী হলো বল, কে কী বলেছে?

পূর্বা কথা বলতে পারে না, ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলে । বাবাকে জড়িয়ে ধরে সে ।

বল সোনা, কে কী বলেছে তোমাকে? টিচার বকা দিয়েছে?

না বাবা, ভাইয়ার ক্লাসের ছেলেরা বলেছে, তোর মা খারাপ, তোর মা তো পালিয়েছে । তুই আমাদের সাথে কথা বলবি না, বসবি না আমাদের পাশে । তাহলে আমরাও খারাপ হয়ে যাবো ।

মামুন অপূর্ব’র দিকে তাকায় । ছেলেটা তেমনই নির্বিকার ভাবে বসে আছে ।

আর মীমে’র আম্মু আমাকে বলেছে, তোমার মা তো তোমাদের ফেলে চলে গেছে । তোমাদের এখন কে দেখে রাখে? বাবা, আমরা আর স্কুলে যাবো না । ওরা আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করে । আরো তীব্রভাবে মামুনকে জড়িয়ে ধরে পূর্বা । কান্নার দমকে হেঁচকি উঠতে থাকে ওর ।

ওভাবেই অনেকটুকু সময় বসে থাকে তিনজন। মামুন কোনো কথা খুঁজে পায় না বাচ্চাদের বলার মতো । প্রতিদিন নতুন নতুন পরিস্থিতির সামনে পড়তে হচ্ছে তাকে । মিলা কী করে গেলো তার সাথে, বাচ্চাদের সাথে? তার বাচ্চাদের এমন অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে, এটা সে চিন্তাও করেনি । কোনো তাড়াহুড়ো করে না মামুন । এখন কিছুটা সময় তার বাচ্চাদের কাছে থাকা দরকার । ব্যাংকে ফোন করে বসকে জানিয়ে দেবে যে বাসায় ঝামেলা থাকায় আজ সে আসবে না । আর ওরা দু’দিন বাসায় থাক ।

ক্লাস টিচারের সাথে কথা বলতে হবে । মীমের মা’র চেহারাটা মনে পড়লো, তাদের বিল্ডিংয়েই থাকে, টপ ফ্লোরে । কখনো কথা বলেনি মামুন শুধু যাওয়া আসার রাস্তায় দেখা হয়েছে । মহিলাকে দেখেতো এতোটা নির্বোধ মনে হয়নি । এতো ছোট একটা বাচ্চার সাথে এভাবে কেউ কথা বলে গর্ধভ ছাড়া!

অনেক বুঝিয়ে, শুনিয়ে দু’দিন পর ওদের স্কুলে নিয়ে যায় মামুন । ওরা ক্লাসরুমে চলে গেলে সে ক্লাস টিচারের কাছে যায় কথা বলতে । মৌমিতা মিস, মহিলাকে বেশ ভালো লাগে মামুনের । এর আগে দুবার দেখা হয়েছে প্যারেন্টস মিটিংএ । বাচ্চাদের সাথে খুব মমতা নিয়ে কথা বলেন আর গার্ডিয়ানকেও খুব সন্মান করেন । মিস এই বিষয়টি জানতেনই না । ক্লাসের বাচ্চাদের হয়ে অনেকবার সরি বললেন । মিসের কথায় একটু নিশ্চিত হয়ে মামুন নিজের কাজে যায় । তবে কাজে মন বসাতে পারে না । আজকের দিনে মানুষের ভেতর থেকে মানুষ্যত্ব ব্যাপারটা প্রায় ওঠেই গেছে । অবলীলায় খুব কঠিন কথা বলে ফেলে একজন আরেকজনকে । সেটাকেই খুব ভয় পাচ্ছে মামুন । সে তো সহ্য করবে সবকিছু তবে তার অতোটুকু বাচ্চারা এইসব নোংরা কথা কী করে সহ্য করবে?

আমিনা বেগম মেয়ের সাথে আর কথা বলবেন না বলে ঠিক করেছেন । এই মেয়ের জন্য তার বাড়ির দরজা বন্ধ । আত্মীয়স্বজনেরা তাকে কথা শোনাচ্ছে এই জাহান্নামী মেয়ের জন্য । তিনি যদি বুঝতেন বড় হয়ে এই রকম কুলাঙ্গার হবে তাঁর সন্তান তাহলে ছোটবেলাতেই মেরে ফেলতেন । লজ্জায় ও বাড়িতে যেতে পারেননি একবারও । তবে নাতিদের সাথে ফোনে কথা বলছেন প্রতিদিন । মামুনের সাথে কথা হয়েছে একবার । উল্টো মামুন তাকে সান্ত্বনা দিলো বার বার । আম্মা একদম টেনশন করবেন না, মন খারাপের কিছু নাই । আল্লাহর ওপর ভরসা রাখেন আম্মা, আরো কত কথা । মামুনকে বলেছেন নাতিদের কয়দিনের জন্য তাঁর কাছে রেখে যেতে কিন্তু অপূর্ব, পূর্বা ওদের বাবাকে ছেড়ে কিছুতেই আসবে না ।

শুক্রবার দিন এতো সকালে ঘুম ভাঙে না কখনো । সকাল তো না, রাতের শেষ তখন । কতক্ষণ ঘুমানোর চেষ্টা করে বুঝলো এখন আর ঘুম আসবে না । মামুন উঠে বিছানায় বসে রইল কিছুক্ষণ । রুম থেকে বেরিয়ে বাচ্চাদের রুমে এসে উঁকি দিলো । দুজনেই ঘুমাচ্ছে । হৈচৈ করে বাড়ি মাতিয়ে রাখা বাচ্চাদুটো খুব মন মরা হয়ে থাকে ইদানিং । মামুন বাইরে কোথাও নিয়ে যেতে চাইলেও ওরা যায় না । পড়ালেখার বাহানা দেয় । মামুন বোঝে কীসের ভয়ে ওরা বাইরে যেতে চায় না । পরিচিত কারো সামনে পড়ে গেলেই মা’কে নিয়ে প্রশ্ন করে সবাই । খুব কষ্ট হয় মামুনের । কী করে সবার মুখ বন্ধ করবে সে? ঘুমিয়ে থাকা ছেলেমেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ভীষন কান্না পায় তার ।

ভোরের আজান ভেসে আসছে মসজিদ থেকে । ভোরের আজানটা যেন কেমন, মনটাকে আরো উদাস করে দেয় । নামাজ পড়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ায় সে । চারদিক এখনো নিস্তব্ধ । একজন দুজন বেরিয়েছেন মসজিদে যাওয়ার জন্য । এই সময়টাকে দিনের মধ্যে পবিত্রতম ক্ষন মনে হয় তার কাছে । অনেকদিন পর ভোরবেলায় ঘুম ভেঙে খুব ভালে লাগলো তার । আরেকটু আলো হতেই দেখলো লোকজন হাঁটতে বেরোচ্ছে । দরজাটা লক করে অনেকদিন পর হাঁটতে বের হলো সে ।

হেঁটে হেঁটে বেশ খানিকটা দুর চলে এসেছিলো মামুন । পরিচিত কয়েকজনের সাথে দেখা হলো । কারো সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় তো কারো সাথে কেবল হাসি বিনিময় হলো । ফেরার পথে লিফটের মুখে দেখা হলো মীমের মা আর নুসরাত আপার সাথে । ওনারাও হাঁটতে বেরিয়েছিলেন । নুসরাত আপা তাদের ফ্লোরেই থাকেন । স্কুলে পড়ান তিনি । কয়েকবার এসেছেন তাদের বাড়িতে মিলা’র কাছে । সালাম দেয়া ছাড়া আর কোনো কথা হয়নি কখনো । আজও সালাম দিয়ে মামুন চুপ করে দাঁড়িয়ে লিফট আসার অপেক্ষা করছিলো । মীমের মা নিজ থেকে কথা বললেন –

ভাই তো মনে হয় খুব বিপদে আছেন বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে । বিপদ তো হবেই । মেয়ে মানুষ ছাড়া সংসার সামলানো যায়? পুরুষ মানুষ দিয়ে কী আর ঘরের কাজ হয়?

মামুন কোনো কথা বলে না । এই মহিলার সাথে সে আগেও কোনোদিন কথা বলেনি তাই উত্তর দেয়ার প্রয়োজন মনে করে না ।

তো ভাই পালানোর আগে কিছু বুঝতে পারেন নাই? এমন একটা লজ্জায় ফেলে পালালো আপনার বউ আপনাদের যে ভাবলে খুব কষ্ট লাগে । আহারে, বাচ্চাগুলা! মাথা নিচু করে স্কুলে যায় । মাথা নিচু করে তো যাবেই । মায়ের পাপের সাজা বাচ্চাদের ভুগতে হচ্ছে ।

মহিলা কথা বলছে আর মিটমিট করে হাসছে । বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায় মামুন । কিছু বলতে যাবে তখন নুসরাত আপা বলে ওঠেন –

ছি ছি ভাবি আপনি এইসব কী বলেন! পাপের শাস্তি, পালানো এইসব কী কথা?

আরে আমি কী বললাম! আমি তো বললাম, বাচ্চাগুলোরে দেখলে খুব কষ্ট হয় আমার ।

কষ্ট হওয়ার এই নমুনা? মানুষের দুর্বল পয়েন্ট নিয়ে কথা বলে এমন মজা পান কীভাবে আমি তো বুঝিনা ?

আমি কই মজা পেলাম । ড্রাইভার, দারোয়ান, বুয়া এদের কথা যদি আপনি শুনতেন তাইলে কী বলতেন? আমার ড্রাইভার তো আমাকে বলছে যে যাওয়ার আগে তুমুল মারামারি, গালাগালি হয়েছে দুইজনের মধ্যে । গয়নাগুলো তো আগেই সরিয়ে ফেলেছিলো, এইসব জানেন আপনি?

মামুনের আরো অবাক হওয়ার পালা । এই মহিলা পাগল নাকি! কী বলে এইসব ?

নুসরাত আপা আবারো বলেন, শুনেন আপা, আমার জানার দরকার নাই । আর ড্রাইভার, দারোয়ানের তুলনা দিয়েন না । ওরা আপনার মতো শিক্ষিত? আপনার তো এতোটুকু বিবেক থাকা উচিৎ, কোন কথা কখন, কীভাবে বলতে হয় । ওদের মুখ তো আপনি বন্ধ করতে পারবেন না । ওরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করবেই কিন্তু ওদের কেউ কী নিজ থেকে এসে এভাবে কথাগুলো বলেছে ভাইয়ের সাথে, যেভাবে আপনি বললেন?

আমি বললেই দোষ? আপনি কার কার মুখ আটকাবেন শুনি?

আপনি আপনার মুখটা অন্তত আটকান । অন্যদের চিন্তা আপনার না করলেও চলবে ।

মীমে’র মা এবার একটু চুপ হন । রাগে গজগজ করতে থাকেন যেন ।

মামুন ভেবেছিলো কিছু বলবে কিন্তু নুসরাত আপা কথা বলার পর তার মনে হলো আর কিছু বলার দরকার নাই । মহিলার লজ্জা থাকলে এই বিষয়ে আর কথা বলবে না । নুসরাত আপার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজের ফ্ল্যাটের দিকে পা বাড়ালো সে । মনে মনে কৃতজ্ঞতা জানালো মহিলাকে । দুজন মহিলার সামনে দাঁড়িয়েছিল সে এতক্ষণ । বেশভূষায় একই রকম দু’জন মানুষ অথচ ভাবনা চিন্তায় কতো ফারাক………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here