#লাভার_নাকি_ভিলেন?
#পার্টঃ১৩
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona
আকাশ মেঘলার ফোনে অনেকবার ফোন দিয়েছে কিন্তু ফোন সুইচ অফ।
আকাশ মেঘলাকে খোঁজে খোঁজে ক্লান্ত হয়ে গেছে সব জায়গায় খোজে দেখেছে কিন্ত আসেপাশে কোথাও মেঘলা নেই।
আকাশ নিরাশ হয়ে হোটেলে ফিড়ল।
তখন নাবিল এসে বলল মেঘলা নাকি কাল রাতেই বাসায় চলে গেছে।
আকাশঃ কিভাবে জানলি?
নাবিল আকাশকে একটা এসমেস দেখাল যেটা মেঘলার ফেসবুক থেকে নাবিল কে করেছে
।
ভাইয়া আমার এখানে ভাল লাগছে না তাই চলে যাচ্ছি,আমি সোজা বাসায় যাব আমাকে নিয়ে টেনশান করবেন না।
নাবিলঃ এই দেখ একটু আগে এসমেস করেছে ও বাসা পৌছে গেছে।
আকাশঃ দাড়া বাসায় ফোন করে খোঁজ নিই।
আকাশ ফোন দিল তার মা ফোন তুলল।
আকাশঃ মা মেঘলা কোথায়?
মাঃ কেন নিজের ঘরে।
আকাশ ফোন কেটে দিল।
নাবিলঃ কি হল?
আকাশ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বলল যাক বাবা নিশ্চন্ত হলাম ম্যাডাম চলে গেছেন।
নাবিলঃ তুই যেমন মেঘলাও তেমন কারোর চেয়ে কারো জেদ কম না। মন ভাল করার কত চেস্টা করলাম তাও চলে গেল।এত শপিং করে দিলাম একটাও নিল না সব রুমে রেখে গেছে।
আকাশঃ এটাই মেঘলা….
নাবিলঃ তো এখন কি করবি চলে যাবি?
আকাশঃ আরে না যাব কেন?মেঘলা তো ঠিক আছে তাহলে যাওয়ার কি দরকার তাছাড়া সবাই কি ভাব্বে এভাবে চলে গেলে।
নাবিলঃ হুম ঠিকি বলেছিস ২ দিনের ত ব্যাপার।আচ্ছা যা রুমে গিয়ে বিশ্রাম নে অনেক তো খোঁজা খোঁজি করলি।
আকাশঃ হুম ক্লান্ত লাগছে বলে ঘরে গেল।
।
।
।
অনেক আনন্দের সাথে ২ দিন কাটল আকাশের ট্যুরে অনেক মজা করছে সে।
সন্ধ্যায় আকাশ ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসে ফেসবুক ঘাঁটছিল।
হটাৎ একটা পোস্টে আকাশের চোখ আটকে গেল।পোস্টটা মেঘলার একাউন্ট থেকে করা পোস্টে মেঘলার একটা ছবি,খুব সুন্দর করে সেজেছে সে লাল শাড়ি লাল চুড়ি লাল লিপস্টিকে মেঘলাকে একদম বউ বউ লাগছে।
ছবিটা দেখে আকাশ ততটা অবাক হল না সব মেয়েই মজা করে বউ সাজে কিন্তু ক্যাপশন টা দেখে আকাশের হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে
ক্যাপশনে মেঘলা লিখেছে….
“ভালবাসা সেতো হাজারো স্বপ্নে বুনা মরিচীকা”
যার পিছনে অনন্ত কাল ধরে ছুটা যায় যেমন আমি ছুটে আসছি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কিন্তু এতদিন পড়ে এসে বোঝলাম মরিচীকা শুধু দূর থেকেই দেখা সম্ভব কাছে আসলে তা বিলীন হয়ে যায়। আমার ক্ষেত্রও তাই হয়েছে।তাই ভালবাসার মানুষটাকে ভাল রাখতে এতদিন ধরে জমিয়ে রাখা নিজের ইচ্ছাগুলিকে কবর দিয়ে স্বপ্নের লাশের উপড় দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি নতুন জীবনের দিকে আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন…. কিছুক্ষন পর আমার বিয়ে জানিনা উল্ট পাশে থাকা মানুষটাকে কতটা মেনে নিতে পারব তবুও কারোর উপড় বোঝা হয়ে আর থাকতে চাই না।আজ থেকে সবার মুক্তি সাথে আমারও এতদিন ধরে পোষে রাখা ভালবাসা নামক পাখিটাকে মনের ঘর থেকে আজ মুক্তি দিয়ে দিব।
পোস্টটা দেখে প্রথমে আকাশের থাক্কা লাগলেও বিশ্বাস হল না একদিনের মধ্যে কারো বিয়ে হওয়া সম্ভব নাকি? তারউপড় বাড়ির একজনের বিয়ে হবে আমাকে জানাবে না সেটা কি করে হয়। তবুও মনের ভিতর উতালপাতাল করছে।
তখনি নাবিল অস্থির হয়ে আকাশের রুমে ঢুকল।
নাবিলঃ আকাশ এসব কি হচ্ছে?
আকাশঃ কি হচ্ছে?
নাবিলঃআর কিছুক্ষন পর নাকি মেঘলার বিয়ে….
আকাশঃ আরে ধুর কি যে বলিস এত তাড়াতাড়ি বিয়ে কিভাবে হবে….ঢপ মারছে।
নাবিলঃ না ঢপ নয় সত্যি….
আকাশঃ কিভাবে বোঝলি…???
তোর বাবার সাথে আমার বাবার ভাল সম্পর্ক জানিস তো সেই সুবাদে আংকেল আমার বাবা মাকে ইনভাইট করেছেন।বলেছেন ছেলে পক্ষ আজ মেঘলাকে দেখতে আসবে পছন্দ হলে আজই বিয়ে।
আকাশঃ সবাইকে ইনভাইট করছে আর আমি বাড়ির ছেলে আমাকে বলবে না এটা কেমন কথা?
নাবিলঃ ছোট বেলার কাহিনী ভুলে গেছিস আকাশ? তুই মেঘলার জন্য কত পাগল ছিলি সেই ভয়েতেই হয়ত তোকে বলেনি তুই বাড়ি নেই সেই ফাঁকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে
আকাশঃ না এটা হতে পাড়ে না আমি বিশ্বাস করি না।
নাবিল দাঁড়া দেখাচ্ছি মা তোদের বাসায় গিয়েছে কল দিচ্ছি।
নাবিল তার মা কে কল দিল,
নাবিলঃ মা বিয়েতে আর কে কে এসেছে?
নাবিলের মাঃ তেমন কেউ না তোর আংকেলের খুব কাছের কয়েকজন কে ইনভাইট করেছে জানিস তো তর আন্টি মেঘলার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি পছন্দ করেন না। তাও তোর আংকেল ছেলে পক্ষের জন্য ভালই ব্যবস্থা করেছেন।
নাবিলঃ সবাই কি করছে…???
মাঃ বাড়িতে বিয়ে মানে তো অনেক কাজ তোর আংকেল এতই খুশি যে নিজেই বাড়ি সাজাচ্ছে তোর আন্টি রান্নায় ব্যস্ত আর বিপাশা মেঘলাকে সাজাচ্ছে।
নাবিলঃ মা ভিডিও কল দাও আর ফোন টা মেঘলাকে দাও কেমন সেজেছে দেখি।
মাঃ আচ্ছা ধর দিচ্ছি।মেঘলা এই মেঘলা নাও তোমার ফোন বলে নাবিলের মা মেঘলাকে ফোনটা দিয়ে আসল।
মেঘলা ফোন হাতে নিয়েই ঘুমটায় মুখ ঢাকল।
নাবিলঃ কি হল….
মেঘলাঃ উমম লজ্জা পেয়েছি
নাবিলঃ লজ্জা কিসের ঘোমটা তুলো কেমন সেজেছো দেখি বাস্তবে ত আর দেখতে পাড়লাম না।
মেঘলাঃ ভাইয়া বিশ্বাস করুন এভাবে বিয়ে করার ইচ্ছা আমার ছিল না কিন্তু ছেলে নাকি বিদেশে চলে যাবে তাই এমন হচ্ছে।তা না হলে আপনাকে বলতাম।আর ফেসবুকে দেখলাম আপনারা ওখানে অনেজ মজা করছেন তাই আর ডাকি নি।
নাবিলঃ ওহ আচ্ছা বিয়ের কারন তাহলে জেদ (মনে মনে)
আকাশ নাবিলের হাত থেকে ফোনটা একটানে নিয়ে বলল ইচ্ছা করে এসব করেছিস তাই না মেঘলা?
মেঘলাঃ কি করেছি?
আকাশঃ আমি বাসায় নেই এই দিনেই বিয়েটা করতে হচ্ছে?
মেঘলাঃ আজ হোক বা কাল বিয়ে ত করতেই হবে আন্টি অনেক দিন আগে থেকেই এই বিয়েটার জন্য বলছিল এখন রাজি হলাম আংকেল কেউ আমি রাজি করিয়েছি। ছেলে বিয়ের পর পড়াশোনা করাতে রাজি তাই রাজি হয়েছে সবাই।আফসোস আপনারা নেই নাবিল ভাই আর আপনি থাকলে খুব ভাল হত।
আকাশঃ চিন্তা করিস না তোর বিয়ে আর আমি আসব না তা কি করে হয় ওয়েট কর আসতেছি।গিফট নিবি না? বিয়ে বলে কথা।
নাবিলঃ মেঘলা এমন ভাবে কথা বলছে যেন কিছুই হয় নি আর আকাশেই বা কেন বলছে না বিয়ে করিস না আমি তোকে ভালবাসি এত জেদ কিসের ওদের?
মেঘলাঃ ওখান থেকে আসতে আসতে বিয়ে হয়ে যাবে ভাইয়া তাই কস্ট করে আসার দরকার নেই।আপনি সবার সাথে মজা করুন পাড়লে ইরা আপুকে নিয়ে একটু সমুদ্র স্নান করে আসুন ভাল লাগবে আর বিয়ের পর আমার শ্বশুড় বাড়ি বেড়াতে আইসেন কেমন?
আকাশঃ কিভাবে বোঝলি বিয়েটা হবে? ছেলে তো তোকে এখুনো দেখেই নি।আগে তো পছন্দ করুক।
মেঘলাঃ বোকার মত কথা বলছেন….. আরে না দেখে কেউ বিয়ের আয়োজন করে নাকি? ছেলের সাথে আমার আগেই দেখা হয়েছে এখন শুধু মা বাবা দেখবে যাকে বলে ফর্মালিটি এই আর কি।আর আমি দেখতে এতও খারাপ না যে কোন ছেলে আমাকে রিজেক্ট করবে চিন্তা করবেন না পছন্দ ত আগেই করা শেষ তাই বিয়েটা হচ্ছে।
আকাশঃ ওয়াও এতদূর হয়ে গেছে…. আমি মনে হয় এতদিন মহাকাশে ছিলাম তাই কিছুই জানতে পাড়লাম না।
মেঘলাঃ মহাকাশে না আপনি তো কক্সবাজার ছিলেন। একটু বেশিই ব্যস্ত ছিলেন তাই জানতে পাড়েন নি।
আকাশঃ মার পরিচিত ছেলে মানে আমিও নিশ্চুই চিনি। তা নাম কি তোর বরের?
মেঘলাঃ ভাইয়া আমার সাজ কমপ্লিট করতে হবে ভাবি রাগ করছে এখন রাখি পড়ে আবার কল দিব বলেই মেঘলা ফোন কেটে দিল।
আকাশ ফোন টা রেখেই মাটিতে বসে পড়ল।
নাবিলঃ এত ভেংগে পডিছিস কেন বিয়েটা এখুনো হয় নি চল আকাশ আমাদের এখুনি ফিরতে হবে।
আকাশঃ ফিড়ে আর কি হবে নাবিল?আমরা যেতে যেতে বিয়েটা হয়ে যাবে।মেঘলার অনেক জেদ ও বিয়েটা করবেই কারো কথা শুনবে না।
নাবিলঃ তাহলে ত তুই সব জেনেই গেছিস মেঘলা তো ঠিকি বলেছে তুই বরং ইরা কে নিয়ে একটু সময় কাটা। আর গিয়ে কিছু হবে না এটা না বলে বল যে ইরাকে ছেড়ে যেতে তোর ইচ্ছা করছে না তাই যাবি না।
আকাশ এবার হাওমাও করে দিল।
নাবিল আকাশ কে জড়িয়ে বলল শান্ত হ আকাশ কিছুই হবে না। আমি এই বিয়ে হতে দিব না।
আকাশঃ খুব ভালবাসি রে নাবিল…..
মেঘলাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।আমার অসহায়তা টা মেঘলা বোঝল না আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলের এত বড় শাস্তি দিচ্ছে। এতে তো ও নিজেও কস্ট পাবে।তুই কিছু একটা কর নাবিল। আমার মাথা কাজ করছে না।কিভাবে যাব আর যদিও বা যেতে পাড়ি সবার সামনে কিভাবে বিয়ে ভাংব? মেঘলা যতটা রেগে আছে আমি কিছু করলে ও রিয়েক্ট করবে।
।
।
।
।#লাভার_নাকি_ভিলেন?
#পার্টঃবোনাস
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona
নাবিলঃ এত চিন্তা করছিস কেন? আমি আছি ত আকাশ, আমি সব করব তোর কিছুই করতে হবে না। চল আমরা এখনি যাব।আর কক্সবাজার এতও দূর না যে আমরা যেতে পাড়ব না প্লেনে গেলে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা লাগবে এখন কথা হল এই সময় ফ্লাইট আছে কিনা।চল গিয়ে দেখি
আকাশের ভাগ্য ভালছিল তাই সময়মত টিকিট পেয়ে গেল। কিন্তু আসতে আসতে বিয়ের সকল প্রস্তুতি শেষ।নাবিল বলল আকাশ তুই যা আমি কিছু একটা ব্যবস্থা করছি!
আকাশঃ ব্যবস্থা করার কিছু নেই মারের উপড় ওষধ নেই পিটে কয়েক ঘা পড়লেই জামাই বাবাজির বিয়ের শখ মিটে যাবে।বর পক্ষ বাসার সামনে আসলে আমাকে কল দিস। দেখব নি কার দৌড় কত দূর।তুই এখানেই থাক আমি বাসায় গিয়ে দেখি ওদিকের কি অবস্থা।
আকাশ বাসায় এসে ঘরে ঢুকতেই দেখতে পেল বরপক্ষ চলে এসেছে, ড্রয়িং রুমে মেঘলা আর হবু বর পাশাপাশি বসেছে।ছেলেটি আকাশের অপরিচিত কেউ নয় সম্পর্কে আকাশের কাজিন হয় সে।যাকে আকাশ শুভ ভাই বলে ডাকে আর তাকে মারা তো দূর কিছু বলার সাহস ও আকাশের নেই। শুভ আকাশের চেয়ে বয়সে বড় খুব ভালবাসে সে আকাশকে। আকাশ শুভ কে দেখে হতবাক হয়ে গেল এখন সে কি করবে বোঝতে পাড়ছে না।সব প্লেন বেহেস্তে গেল শুভকে সে কিভাবে মারবে?
আকাশ কে দেখে তার মা কিছুটা ঘাবড়ে গেল কারন আকাশ কিছু না বলে মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যে এত দূর থেকে ফিরে এসেছে মানে গন্ডোগোল হবে নিশ্চিত।
আকাশের মাঃ কি ব্যাপার তোর ত কাল আসার কথা ছিল আজ চলে আসলি…???
আকাশকে কিছু বলতে না দিয়ে মেঘলা আমার বিয়ে ভাইয়া না আসলে হয়? আমি বলেছি আসতে।
শুভঃ এতক্ষন তো সালা বাবুকেই মিস করছিলাম। কিরে দূরে দাঁড়িয়ে আছিস কেন কাছে আয়।এতদিন ভাই ছিলি এখন সালা হবি।
আকাশঃ হুম সম্পর্কের নামটা বেশ ভাল হয়েছে সালা……🥴
আর মেঘলা আমার সামনে অন্যজনের জন্য এত সাজগোজ করেছিস কত সাহস তোর দাঁড়া মজা দেখাচ্চ (মনে মনে)
আকাশ গিয়ে সবার সাথে বসল।
আকাশঃ তা শুভ ভাই মেয়ে কেমন লাগল?
শুভঃ তোর বোন আমার কি খারাপ লাগতে পাড়ে?
আকাশঃ তাই তো মেয়ে ভালই….. তবুও আমি ত তোমার ভাই তাই না? ভাই হিসেবে আমারো ত কিছু দায়িত্ব আছে তাই না?
শুভঃ অবশ্যই আছে কি করতে চাস…???
আকাশঃ বলছি দাঁড়াও, ভাবি দেবরকে এক কাপ চা করে খাওয়ান তো দেখি রান্নার হাত কেমন?
মেঘলাঃ এখন চা খাওয়ার সময়?
আকাশঃ বোঝলাম কিপটা বউ কখনো মেহমানদের খেতে দিবে না। যাক সমস্যা নেই
ভাবি একটু হেটে দেখান….
মেঘলাঃ কি আজব হাঁটব কেন?
আকাশঃ ভাই দেখো বউ কেমন জগড়াটে? নতুন বউ তাও মুখে মুখে কথা বলে বিয়ের পর কি হবে চিন্তা করো….
মেঘলাঃ আমি মোটেও জগড়াটে নই চুপ থাকুন দেখাচ্ছি।মেঘলা হেটে দেখালো।
আকাশঃ আচ্ছা ভাবি আপনার চুল কত লম্বা দেখান দেখি।
মেঘলা ঘোমটা খুলে চুল দেখাল।
আকাশঃ যাক ঘোমটা খুলার পর আর বউ বউ লাগছে না 😋
বাহ বেশ বেশ সুন্দর চুল….আচ্ছা ভাবি এবার ঠোঁট থেকে এই লাল রং টা মুছোন দেখি।
মেঘলাঃ এসব কি ধরনের কথা?
শুভঃ সত্যিই তো আকাশ কি করছিস?
আকাশঃ আমি থাকতে তুমি ঠকবে তা কি করে হয় ভাই?ইনি ৫ কেজি ময়দা মেখে এখানে বসেছেন তাই বাস্তবে দেখতে কেমন সেটাই দেখাতে চাচ্ছি।
কি বলেন আন্টি আমি ঠিক বলি নি?
শুভর মাঃ ঠিকি ত এত সাজগোজের কি দরকার নরমালি মেয়ে কে দেখতে কেমন দেখি।
মেঘলাঃ আমার সাথে ফাযলামি……. আমি বউ সেজেছি সেটাই সহ্য হচ্ছে না তাই তো?যাক সাজটা সার্থক হল আপনাকে জ্বালানোর জন্যই তো এত সাজগুজ।এখন আবার আমাকে শিক্ষা দিতে চাচ্ছেন? তাত হবে না সোনা আমিই উল্ট আপনাকে শাস্তি দিব মিঃ আকাশ দাঁড়ান দেখাচ্ছি(মনে মনে)
।
মেঘলাঃ আচ্ছা আপনি তো আমার সাথে একা কথা বলতে চেয়েছিলেন তাহলে আমার ঘরে চলুন।আমি চেঞ্জ করে নরমাল হয়ে আসি আর ততক্ষনে আপনিও কথা বলে নিবেন।
শুভঃ ঠিক বলেছেন আচ্ছা চলুন।
আকাশঃ একটা ছেলেকে নিয়ে ঘরে যাচ্ছে তাও আবার তার সামনে চেঞ্জ করবে….🤔
বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলছিস মেঘলা থাম চাস না প্লিজ (মনে মনে)
মেঘলা শুভ কে নিয়ে গিয়ে ভিতর থেকে দরজা লক করে দিল।
আকাশঃবিয়েটা কিভাবে ভাংব শুভ ভাইকে বলা মানে ত সবাইকে জানানো।এই মুহুর্তে বাড়ির কেউ কি আমাদের সম্পর্ক মেনে নিবে?যেখানে আমার বিয়ে ইতিমধ্যে ঠিক হয়ে আছে।আর এখন মেঘলা নিজেও তো আপত্তি করবে আমি কি করব এখন? ভাবতে ভাবতে মন খারাপ করে আকাশ নিজের ঘরে গেল।
।
।
।
বেশ অনেক্ষন হয়ে গেছে মেঘলা আর শুভ একসাথে রুমে সময় কাটাচ্ছে রুম থেকে বের হওয়ার নামই নিচ্ছে না তাও ঘরের দরজা ভিতর থেকে লক করে দিয়েছে। আকাশের খুব রাগ হচ্ছে কিন্তু কিছু বলতে পাড়ছে না কারন বাড়ির সবাই শুভ কে জামাই হিসেবে মেনে নিয়েছে কেউ তাদের একসাথে থাকা নিয়ে আপত্তি করছে না তাই আকাশ ও কিছু বলতে পাড়ছে না।
আকাশঃ এখন যদি বের না হস আমি তোকে খুন করে ফেলব মেঘলা…..আর এই শুভ উগান্ডার বাচ্চা ভিতরে এতক্ষন ধরে কি করছিস হে 🙄
বের হ ভাই প্লিজ তোর ২ টা পায়ে পড়ি আর
ভাল লাগছেনা। উফফ কেমন যে লাগছে কিভাবে বোঝাব….
নাহ আর সহ্য হচ্ছে না এবার মনে হয় হার্ট অ্যাটাক করব এসব আর নিতে পাড়ছি না🥺
খোদা রহম করো ঘূর্নিঝড় দাও,ভুমিকম্প দাও তবু এদের ঘর থেকে বের করো প্লিজ…..!!!
।
।#লাভার_নাকি_ভিলেন?
#পার্টঃ১৪
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona
অনেক্ষন পর মেঘলা আর শুভ রুম থেকে বের হল। মেঘলা কাপড় খোলে জামা পড়েছে এটা দেখেই আকাশের মন খারাপ হয়ে গেল।
আকাশঃতারমানে মেঘলা ভাইয়ের সামনে ড্রেস চেঞ্জ করেছে ছি…. মেঘলা।
মেঘলা আর শুভ যখন নিচে যেতে চাইল
আকাশ মেঘলাকে ডাকল,
মেঘলাঃশুভ কে বলল আপনি যান আমি আসছি।
শুভঃ ঠিক আছে।
মেঘলা আকাশের ঘরে যেতেই আকাশ গম্ভির গলায় বলল,মেঘলা তুই বিয়েটা সত্যিই করতে চাস?
মেঘলাঃ হুম….
আকাশঃ ভেবে বলছিস?
মেঘলাঃ ভাবার কি আছে?
আকাশঃ পড়ে কখনো মনে হবে না তো ভুল করেছিস…
মেঘলাঃ না এসব কেন মনে হবে ছেলেটা বেশ ভাল।
আকাশঃ তোর পছন্দ হয়েছে?
মেঘলাঃ হুম….
আকাশঃ ভাল,আচ্ছা এতক্ষন ঘরে কি করলি….তুই ভাইয়ের সামনে শাড়ি খুললি?
মেঘলাঃ অদ্ভুত প্রশ্ন….আপনি একটা ছেলে এগুলি আপনাকে কি করে বলব….
আকাশঃ হুম তাই তো আচ্ছা যা….
মেঘলাঃএখন আমাদের বিয়ে পড়ানো হবে আপনি যাবেন না?
আকাশঃ আমি যদি না আসতাম আমাকে ছাড়াই তো বিয়ে হত তাহলে এখন ডাকছিস কেন? তুই যা….
মেঘলা আস্তে করে যেতে চাইল
পিছন থেকে আকাশ বলে উঠল মেঘলা……
মেঘলা খুব আগ্রহ নিয়ে বলল কিছু বলবেন…..
আমাকে ভালবাসেন বলুন না প্লিজ (মনে মনে)
আকাশঃ না কিছু না….. যা।
মেঘলা মন খারাপ করে চলে গেল।
আকাশঃএতবার জিজ্ঞাস করলাম তবুও বল্লি তুই বিয়েটা করতে চাস? সত্যিই চাস বলেই তো বল্লি ঠিক আছে যা আর বাধা দিব না তোর ইচ্ছায় আমার ইচ্ছা তোকে খুশি রাখার ক্ষমতা আমার নেই মেঘলা।আমি এত বাধা ডিংগিয়ে তোকে নিজের করে নিলেও তুই কখনো সুখি হতে পাড়বি না। এই বাড়িতে সারাজীবন সবাই তোকে কাজের মেয়ে করেই রাখবে তার চেয়ে যা হচ্ছে ভালই হচ্ছে শুভ ভাই অনেক ভাল ছেলে তোকে খুশি রাখবে আমি নাহয় তোর খুশিতেই সুখি হব …..
মেঘলাঃ নিচে এসে বসেছে মনে মনে ভাবছে এখুনো বলবেন না আমায় ভালবাসেন আমি আপনার যোগ্য নই তাই সবার সামনে বলতে পাড়েন না তাই না? ঠিক আছে চলে যাব সত্যিই চলে যাব।আপনি কি আমায় ভালবাসেন নাকি সবি আমার মনের ভুল?
হুম এসবি আমার মনের ভুল আপনি তো ইরা আপুকে ভালবাসেন।আমাকে কেন ভালবাসতে যাবেন।
।
।
।
।
বিয়ে পড়ানো শুরু হলল।
আগে রেস্ট্রি পেপারে সাইন হবে তারপর ধর্মমতে বিয়ে হবে।
কাজিঃ মা এখানে একটা সাইন করো।
মেঘলা বারবার ফিড়ে ফিড়ে দেখছে আকাশ আসে কিনা কিন্তু আকাশের কোন পাত্তা নেই মেঘলা হতাশ হয়ে হাতে কলম নিল।
সাইনের জন্য যেই কলম বাড়াল তখনি নাবিল এসে বলল থামো, কি করছো এসব মেঘলা?
নাবিলের মাঃ কেন কি হয়েছে বাবু? আর তুমি হটাৎ এখানে? তুমি তো কক্সবাজার ছিলে।এখানে আসলে কি করে?
নাবিলঃ দরকার আছে তাই এসেছি…
নাবিলের মাঃ কি দরকার?
নাবিলঃ আমি মেঘলাকে ভালবাসি মা….
কথাটা শুনে সবাই থমকে গেল।
মেঘলা অবাকে শেষ সীমায় পৌছে প্রশ্ন করল ভাইয়া আপনি এসব কি বলছেন?
নাবিলঃ তুমি কি সত্যিই কিছু বোঝনা মেঘলা? এতকিছু করলাম তবুও বোঝলে না?
মেঘলা চুপ হয়ে গেল।
নাবিলের মাঃ যখন ফোন করেছিলে তখন কেন বল্লে না? এখন বিয়ের ঠিক আগ মুহুর্তে এসে কি বলছো এসব?
নাবিলঃ বিয়েটা তো হয় নি মা তাই এখনো সময় আছে।
নাবিল গিয়ে আকাশের বাবা কে বলল আংকেল প্লিজ এই বিয়ে দিবেন না।
।
আকাশের বাবা অবাক হয়ে বলল আমি তো ওকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছিনা যখন বিয়ে ঠিক করলাম মেঘলা আমায় এ ব্যাপারে কিছু বলল না কেন?
।
নাবিলঃ ও নিজেই তো জানে না আংকেল আপনাকে কি করে বলবে? ওর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু আমি ওকে ভালবাসি।
নাবিল এবার শুভর কাছে গিয়ে বলল মেঘলা অনেক ভাল মেয়ে ওকে বিয়ে করলে আপনি খুব সুখি হবেন আর এই বিয়ে হলে মেঘলারও কোন অসুবিধে নেই। কিন্তু আমি মেঘলাকে ছাড়া থাকতে পাড়ব না ভাই। আমার উপড় দয়া করুন প্লিজ।দেখুন ভাই আপনি দেখতে ভাল তাছাড়া সমাজে প্রতিষ্ঠিত একজন।আপনার পাত্রীর অভাব হবে না।
শুভঃ মেঘলা তুমি কি চাও…..???
মেঘলা কি বলবে বোঝতে পাড়ছে না তাই চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।
নাবিল শুভ কে ডেকে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে শুভকে কিছু ছবি দেখাল যাতে মেঘলা নাবিলের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।এই ছবিগুলি আকাশ সেদিন তুলেছিল বাসে যখন মেঘলা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তখন।
নাবিলঃভাই বোঝতেই পাড়ছেন মেয়ে মানুষ তার উপড় আশ্রিতা মুখ ফোটে বলার সাহস ওর নেই।ও বড়দের মুখের উপড় কথা বলতে পাড়বে না। যা করার আপনি করুন প্লিজ।
শুভ ব্যাপারটা বোঝতে পেড়ে বলল,মেঘলাকে আমার পছন্দ হয়েছে এটা ঠিক কিন্তু আমাদের মধ্যে তেমন কোন সম্পর্ক নেই যার জন্য বিয়েটা হতেই হবে।আর তুমি আকাশের বন্ধু মানে আমার কাছে আকাশের মতই।
আমি কি পাড়তাম আকাশের ভালবাসাকে কেড়ে নিতে?তাহলে তোমার কাছ থেকেই বা কি করে কেড়ে নিব? আর মেঘলারও যখন তোমাকে পছন্দ করে তখন এ বিয়ে হবে না চিন্তা করো না।
শুভ এসে সবাইকে বোঝিয়ে বলল আর নাবিল ছেলে হিসেবে ভাল,তারউপড় আজাদ সাহেবের ঘনিষ্ট বন্ধুর একমাত্র ছেলে তাই আকাশের বাবা শুভর সাথে বিয়ে ভেংগে দিলেন।
আজাদ সাহেবঃ নাবিল শোন বাবা তুমার যেহেতু পড়াশুনা এখুনো শেষ হয় নি আর মেঘলাও এত বড় হয় নি তাই যতদিন না তোমার পড়া শেষ হচ্ছে আর মেঘলাও উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছে ততদিন বিয়ে হওয়ার দরকার নেই মেঘলা এখানেই থাকুক।
নাবিলঃঅবশ্যই আপ্নারা যেমনটা চাইবেন। অনেক ধন্যবাদ আংকেল।
নাবিল তার বাবা মার একমাত্র ছেলে হওয়ার তার বাবা মাও নাবিলের কথা মেনে নিল।
শুভ আর তার পরিবার চলে গেল।
কি ঘটল মেঘলার মাথায় কিছুই ঢুকল না। নাবিল ও কিছু না বলে চলে গেল।
মেঘলাঃ কাল কলেজে গিয়ে নাবিল ভাইয়ার সাথে কথা বলতে হবে।
রাতে সবাই খেতে বসেছে কিন্তু আকাশ আসল না।
মেঘলাও আকাশের খোঁজ নেয় নি।
.
.
.
.
.
.
.
.
পরদিন মেঘলা কলেজে গেল।আকাশ আর নাবিল দাঁড়িয়ে কথা বলছে তখনি ট্যুর থেকে সবাই ফিড়ে আসল।
ইরা এসে আকাশ কে বলল আকাশ তুমি আমাকে এভাবে রেখে কেন চলে আসলে আরো হাজারো প্রশ্ন করছে।আকাশ ইরার সাথে কথা বলছে তখনি
মেঘলা কোথা থেকে দৌড়ে এসে মাঠের সবার সামনে নাবিলকে আঁশটে পিশটে জড়িয়ে ধরল।
সবার কেন্দ্রবিন্দু এখন মেঘলা আর নাবিল।যাকে বলে বিনা টিকিটে সবাই বাংলা সিনেমার রোমান্টিক সিন দেখছে।
এমন পরিস্থিতিতে পড়ে নাবিল স্বব্ধ হয়ে গেছে। কি করবে বোঝতে পাড়ছে না আর কি ঘটল মাথার সভ উপড় দিয়ে গেল।নাবিল হতবাক হয়ে আকাশের দিকে তাকাল।
আকাশ এটা সহ্য করতে পাড়ল না। এসে জোর করে টেনে মেঘলাকে নাবিলের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল লজ্জা সরমের কি মাথা খেয়ে ফেলেছিস সবার সামনে কি করছিস এসব?
মেঘলা মুখে কিছু না বলে সবাইকে অবাক করে, সবার সামনে দাঁড়িয়ে আকাশের গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে গেল।
থাপ্পড়ে আকাশের কিছু না হলেও ধাক্কাটা সে ভালই পেয়েছে সবার সামনে কিছুটা অপমান তো হয়েছে সেটাও ব্যাপার ছিল না কিন্তু কিছু কথা ভেবে আকাশ আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পাড়ল না চোখের পানি ছেড়ে দিল
আকাশঃ তবে কি নাবিল যা বলেছিল সেটাই হল? মেঘলা নাবিল কে ভালবেসে ফেলেছে? আমার এতদিনের বিশ্বাস তুই কি করে ভেংগে দিলি মেঘলা?কি করে পাড়লি এটা করত?একবারো আমার কথা ভাবলি না?
নাবিলঃ আমার কি বলা উচিত জানি না আকাশ তবে আমি তোকে আগেই বলেছিলাম আগুন আর ঘী পাশাপাশি রাখতে নেই।
আকাশঃ চোখ মুছতে মুছতে জোর করে মুখে হাসি টেনে বলল আমি হেরে গেছিরে নাবিল আজ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় হার হল। আমি হেরে গেছি….সত্যিই হেরে গেছি…. বলতে বলতে সেখান থেকে চলে গেল আকাশ।
।
।
।
।
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেছে,আকাশের বাড়ি ফিড়ার নাম নেই।গভীর রাতে আকাশ বাড়ি ফিরল সবাই তখন ঘুমিয়ে গেছে।
কিন্তু মেঘলার চোখে ঘুম নেই সে আকাশের জন্য অপেক্ষা করছিল হয়ত অথবা সবার সামনে এমন করায় অনুশোচনা হয়েছে তাই ঘুমাতে পাড়িনি তাই আকাশ ফিড়তেই সে আকাশের ঘরে গেল।গিয়ে দেখল,আকাশ ঘরে নেই।
আকাশ অন্ধকারে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। মেঘলা বেলকনিতে গিয়ে লাইট অন করে দিল।আলো ফোটে উঠতেই মেঘলা চমকে উঠল কারন আকাশ বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে।আকাশের চোখ ২ টি লাল টকটকে হয়ে গেছে অনেক্ষন কাঁদলে যেমনটা হয়।নাক মুখ ফুলে গেছে।
আকাশকে সিগারেট খেতে দেখে মেঘলা খুব অবাক হল কারন আকাশ যে সিগারেট খায় সেটা মেঘলার জানা ছিল না।মেঘলা অবাক হলেও মেঘলাকে দেখে আকাশ একটুও বিচলিত হল না সে সিগারেটের নেশায় ব্যাস্ত একের পর এক টান দিয়ে যাচ্ছে যেন সিগারেট খাওয়াটা তার কাছে নিতান্তই সাধারন বিষয়।
মেঘলাঃ আপনি সিগারেট খান?আগে তো কখনো দেখি নি….
আকাশ গম্ভির গলায় উত্তর দিল আগে খেতাম না এখন থেকে খাব…ছাড় এসব তুই এতরাতে এখানে কি করছিস?ঘুমাস নি কেন?
মেঘলাঃ খাবার নিয়ে এসেছিলাম।
আকাশঃ আমি খাব না খাবারগুলি তুই নিয়ে যা।আর ঘুমা গিয়ে অনেক রাত হয়ে গেছে।এখন তোকে এখানে কেউ দেখলে খারাপ বলবে।
মেঘলাঃ অল্প কিছু খেয়ে নিন প্লিজ।কাল রাত থেকে কিছুই খান নি।
আকাশ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল আচ্ছা রেখে যা পড়ে খেয়ে নিব।
মেঘলাঃ রাগ করে আছেন তাই না?
আকাশঃ না তো কিসের রাগ?
মেঘলাঃ কলেজে সবার সামনে আমার এমন করাটা উচিত হয় নি….
আকাশঃ এটা নিয়ে আমি কোন কথা বলতে চাচ্ছি না মেঘলা তুই প্লিজ এখান থেকে যা।
মেঘলা চলে যেতে চাইলে আকাশ পিছন থেকে বলল মেঘলা…..
মেঘলাঃ হুম….
আকাশঃ আলমারিতে একটা বক্স আছে যাওয়ার সময় নিয়ে যাস।
মেঘলাঃ কি আছে বক্সে….
আকাশঃ তেমন কিছু না রুমে গিয়ে দেখিস হয়ত ভাল লাগবে অথবা খুব খারাপ লাগবে।ভাল লাগলে রেখে দিস খারাপ লাগলে ফেলে দিস।
মেঘলা বক্স টা নিয়ে ঘরে চলে গেল….
।