লাভার নাকি ভিলেন পর্ব ১৫+১৬+১৭

#লাভার_নাকি_ভিলেন?
#পার্টঃ১৫
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona

আকাশঃ আলমারিতে একটা বক্স আছে যাওয়ার সময় নিয়ে যাস।

মেঘলাঃ কি আছে বক্সে….

আকাশঃ তেমন কিছু না রুমে গিয়ে দেখিস হয়ত ভাল লাগবে অথবা খুব খারাপ লাগবে।ভাল লাগলে রেখে দিস খারাপ লাগলে ফেলে দিস।

মেঘলা বক্স টা নিয়ে ঘরে চলে গেল….




কিছুক্ষনপর আকাশ মেঘলার ঘরে গেল।গিয়ে দেখল মেঘলা বক্সে থাকা জিনিসগুলি নিয়ে কাঁদছে কারন এগুলো মেঘলার ছোট বেলার ব্যবহৃত কিছু জিনিস যা আকাশ এতদিন ধরে যত্ন করে রেখেছে।
আকাশ মেঘলার কাছে গিয়ে বলল কাঁদছিস কেন?
মেঘলা উঠে দাঁড়িয়ে আকাশকে থাপ্পড় মারল আর এবার সে একটা থাপ্পড় দিয়ে থামে নি আকাশকে সমানে মারতে লাগল।

আকাশ মেঘলাকে জড়িয়ে ধরে বলল শান্ত হ…. এত রাগ নিজের মধ্যে জমিয়ে রেখেছিস কেন?
মনের ভিতরে জমিয়ে রাখা অভিমান গুলি সব বলে ফেল। আজ আমি তোর সব প্রশ্নের জবাব দিব তার আগে শান্ত হ…. কান্না থামা।

আকাশ মেঘলার চোখ মুছে দিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিল।তারপর নিজে মাটিতে হাটুঘেরে বসে মেঘলার হাত ২ টি ধরে বলল এবার বল কি জানতে চাস।

মেঘলাঃ আমি কি দেখতে খারাপ?

আকাশঃ আমাকে কি তোর অন্ধ মনে হয়?

মেঘলাঃ তাহলে বাবা মার পরিচয় নেই জন্যে আমাকে ভালবাসেন না?

আকাশঃ ভালবাসি না কে বলল? তোকে আমি অনেক ভালবাসি যদি না বাসতাম তাহলে তোর সবকিছু এত যত্নে গুছিয়ে রাখতাম?

মেঘলাঃ সব কিছু গুছিয়ে রেখে কি লাভ? আমাকেই ত কাল অন্যজনের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন।

আকাশঃ দিয়েছি কি?

মেঘলাঃনাবিল ভাইয়া না থাকলে ত আজ আমি অন্যকারো বউ থাকতাম।

আকাশঃ হা হা হা পাগল নাকি? তোর একবারো মনে হল না যে নাবিল তোকে বোনের মত আদর করে সে হটাৎ তোর প্রেমিক হয়ে গেল কি করে?

মেঘলাঃ তারমানে নাবিল ভাইয়ের এমন আচারনের পিছনে আপনি ছিলেন?

আকাশ একটু হাসল….
মেঘলাঃ নাবিল ভাই সবার সামনে বলতে পাড়লে আপনি কেন বলতে পাড়েন না?মেঘলা রেগে গিয়ে আকাশের কাছ থেকে হাত ২ টি ছাড়িয়ে নিল।
আকাশ নিচ থেকে উঠে মেঘলার পাশে বসে মেঘলাকে জড়িয়ে ধরে বলল এবার ছাড়িয়ে দেখা দেখি।

মেঘলা গাল ফুলিয়ে বলল দরকার নেই ধরে রাখার ছেড়ে দিন।

আকাশঃ ছাড়ার হলে সেদিনি ছেড়ে দিতান যেদিন আমায় ছেড়ে গ্রামে চলে গিয়েছিলি।

মেঘলাঃ ধরেই বা রেখেছেন কোথায়? এটা কেমন ভালবাসা যে কারো সামনে বলা যায় না।সবার সামনে অপমান করে মনে মনে ভালবেসে কি লাভ?

আকাশঃ মেঘলা তুই তো জানিস ছোট বেলায় আমি তোর জন্য কত পাগল ছিলাম। জানি না কেন তুই আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলি তুই চলে যাওয়ার পর খুব কেঁদেছিলাম।তোর শোকে এতই কাতর হয়েছিলাম যে অসুস্থ হয়ে অনেকদিন হাসপাতালে ছিলাম।তবুও তুই আমাকে একবার দেখতে এলি না।

মেঘলাঃ আমি যেতে চাই নি আকাশ।

আকাশঃ কতদিন পর তুই আবার আগের মত আমাকে আকাশ বলে ডাকলি…..আবার ডাক না মেঘলা।

মেঘলাঃ আমি যেতে চাই নি আকাশ আমাকে পাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আকাশঃহুম আগে বোঝতাম না ভেবিছিলাম তুই নিজেই চলে গেছিস। জানিস আমি এত অসুস্থ ছিলাম দিনরাত তোকে ডাকতাম ডাক্তারো অনেকবার বলেছিল তোকে নিয়ে আসার জন্য মা তবুও তোকে আনতে দেয় নি।
তুই বল এখন যদি আবার আমি তোর প্রতি ভালবাসা দেখাই মা তকে এখানে থাকতে দিবে? কখনই দিবে না তোর পড়াশুনাটা বন্ধ হয়ে যাবে তোকে আবার গ্রামের পাটিয়ে দিবে অথবা বিয়ে দিয়ে দিবে তারচেয়ে তুই সবসময় আমার চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছিস এই ভাল নয় কি?

মেঘলাঃ আগে তো ছোট ছিলেন প্রতিবাদ করতে পাড়েন নি এখনো কি পাড়বেন না?

আকাশঃ আমি এখনো নিজের পায়ে দাঁড়াই নি মেঘলা তোর উপড় যা যা অন্যায় হয় সেগুলির প্রতিবাদ করতে হলে তোকে নিয়ে এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।কিন্তু তকে নিয়ে রাখব কোথায় খাওয়াবই বা কি?আমি চাইলে চাকরি হয়ত করতে পাড়ব কিন্তু আমার ইচ্ছা আমি রাজনীতি করি তাই একটু সময় নিচ্ছিলাম কিন্তু তুই যদি চাস আমি কালেই তোকে নিয়ে এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাব।

মেঘলাঃ না আমি চাই না আপনি বাড়ি ছাড়ুন।আচ্ছা বাড়িতে না হয় প্রবলেম কিন্তু কলেজে আমার সাথে এমন করেন কেন?

আকাশঃ ইরাকে দেখেছিস…. জানিস ও কে?

মেঘলাঃ হুম জানি আপনার প্রেমিকা….

আকাশঃ একটা থাপ্পড় মেড়ে সবগুলি দাঁত ফেলে দিব বেয়াদব মেয়ে।
ইরা বিপাশা ভাবির বোন ওর সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে বাবা মা।কলেজে যদি তোর সাথে মিশতাম ও বাসায় হাজারটা কথা বানিয়ে বানিয়ে বলত।সেটাও তেমন সমস্যা ছিল না সমস্যা হল আমি কলেজে যত ছেলেদের মেরেছি তারা সবাই সবসময় সুযোগ খোঁজে কিভাবে আমাকে আঘাত করা যায় আমাকে মারার সাহস পায় না তাই কিছু করতে পাড়ে না। কিন্তু ওরা যদি একবার জেনে যায় তুই আমার উইক পয়েন্ট ওরা তোর ক্ষতি করবে আমি সেটা কিভাবে সহ্য করব? সেই ভয়েই তোর সাথে কথা বলি না।তোকে সবসময় পাহাড়া দিয়ে রাখা কি আমার পক্ষে সম্ভব বল?

মেঘলা ভ্যা ভ্যা করে দিল…..

আকাশঃ অই আবার কি হল কাঁদিস কেন?

মেঘলাঃ আপনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে….??

আকাশঃ হুম হয়েছে কিন্তু তাতে তোর কি?তুই তো আমায় ভালবাসিস না তুই ত নাবিল কে ভালবাসিস।

মেঘলা আবার আকাশকে মারতে শুরু করল

আকাশঃ আচ্ছা আচ্ছা আর মারবেন না ম্যাডাম আমার ভুল হয়ে গেছে আর বাজে কথা বলব না।

কে শুনে কার কথা মেঘলা আকাশকে মেরেই চলেছে এবার আকাশ বিছানায় শুয়ে মেঘলাকে একটানে নিজের বুকের উপড় নিয়ে শুয়িয়ে দিল।
আকাশ মেঘলাকে চেপে ধরে বলল,আমার কি দোষ কলেজে সবাই তো এটাই দেখেছে।

মেঘলাঃ তাই বোঝি….আমি যখন নাবিল ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরেছিলাম আমার গায়ে যে ওড়না ছিল না সেটা চোখে পড়ে নি? জড়িয়ে ধরেছি সেটাই শুধু চোখে পড়ল?

আকাশ মেঘলাকে সরিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল কি বলছিস এসবের মানে কি মেঘলা?

মেঘলাঃ যেদিন প্রথম কলেজে গিয়েছিলাম কয়েকটা ছেলে আমাকে বাজে কথা বলেছিল।আজ অনেকদিন পর ছেলেগুলি কলেজে এসেছিল এতদিন আসে নি এসেই আমার কাছে এসে সবাইকে ক্লাস থেকে বের করে দিল আর জানি না কেন ছেলে গুলি বলল আমি নাকি ওদের মার খাইয়েছি তাই ওরা আমার সাথে……….
আমি কোনরকমে সেখান থেকে পালিয়ে
আপনার কাছেই যাচ্ছিলাম কিন্তু আপনি বলেছিলেন সবার সামনে কথা বলা যাবে না তারউপড় ইরা আপুও সেখানে ছিল আমি জানতাম আপনার কাছে গেলে উনি আমায় আবার মারবেন কিন্তু আমি এতই ভয় পেয়েছিলাম যে নাবিল ভাইকে জড়িয়ে ধরেছিলাম।

আকাশঃ কি বলছিস এসব? সেদিন ওদের এত মারলাম তবুও ওদের শিক্ষা হয়নি? তুই তখন আমায় বলিস নি কেন? নাবিলকে অন্তত বলতি।

মেঘলাঃ আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম কি করব বোঝতে না পেড়ে চলে এসেছিলাম।

আকাশঃএই ভয়েই আমি তোকে নিষেধ করেছিলাম আমার সাথে কথা বলতে আর এটাই ঘটল… তুই থাক আমি আসছি বলে আকাশ চলে যেতে চাইল।

মেঘলা আকাশের হাত ধরে বলল এত রাতে কোথায় যাচ্ছেন?

আকাশঃ তোর গায়ে হাত দেওয়ার শাস্তি কতটা ভয়ংকর হতে পাড়ে সেটাই দেখাতে যাচ্ছি।

মেঘলাঃ না…. থামুন যেতে হবে না যা হওয়ার হয়ে গেছে।বাদ দিন এসব।

আকাশঃ ছাড় মেঘলা আমাকে যেতে হবে।

মেঘলাঃ উম্ম ছাড়ব না এখন এসব মারামারির চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে আপনার জন্য।

আকাশঃ কি কাজ?

মেঘলাঃ আমাকে প্রপোজ করুন।

আকাশঃ তাই বোঝি…

মেঘলাঃ হুম 😋

আকাশঃ আপনি যদি চান কাল কলেজে সবার সামনে নাহয় প্রপোজ করব…

মেঘলাঃ না আমি চাইনা কেউ জানুক আপনি আমায় ভালবাসেন আমি আপনাকে আপনার স্বপ্ন পুরনের সময় দিতে চাই।

আকাশঃ পাগলি একটা আয় কাছে আয়।

মেঘলা আকাশের কাছে যেতেই আকাশ নিজের হাত থেকে একটা আংটি খুলে মেঘলার হাতে পড়িয়ে দিয়ে কপালে চুমু খেয়ে বলল আমি আমার পাগলিটাকে খুব ভালবাসি। নিজেকে কখনো আসহায় ভাব্বি না মনে রাখিস আকাশ সব সময় মেঘলার ছায়া আছে।সমস্ত বিপদ থেকে সে তার মেঘলাকে আগলে রাখবে।
তুই এত গাধা কেন মেঘলা? ফোনটা তোকে কেন দিয়েছিলাম? তোর সমস্যাগুলি আমাকে এসমেস করেও তো বলা যায় তাই না?

মেঘলাঃ আমি কি জানতাম আপনি আমায় ভালবাসেন? আমি ত আপনাকে ভয় পেতাম কিছু হওয়ার আগেই শুধু থাপ্পড় মারেন।

আকাশঃ আমি কখনো তোর উপড় রাগ করিনা।যখন কেউ তোর সাথে অন্যায় করে আর আমি কিছু করতে পাড়ি না তখন তোর উপড় রাগ জারি যেখানে অধিকার আছে সেখানেই তো রাগ দেখানো যায়।দেখ তুই কলেজে আমাকে সবার সামনে থাপ্পড় মারলি আমি কি রাগ করেছি?

মেঘলাঃ আপনার ভালবাসাটা এত অদ্ভুত সেটা বোঝতে বোঝতে আমার মাথার চুল সাদা হয়ে যাবে।

আকাশঃ ভালই হবে তুই বুড়ি হয়ে যাবে আচ্ছা দেখি আমার বুড়িটাকে কেমন দেখাবে তখন।

মেঘলাঃ হুম দোয়া করি খোদা যেন আপনার এই ইচ্ছাটা পূরন করেন বুড়ি বয়সেও আমি যেন আপনার পাশে থাকতে পাড়ি।

আকাশঃ থাকবি….. আকাশের বুকে মেঘলা সারাজীবন থাকবে।আমি থাকতে কখনো কোন দুশ্চিন্তা করবি না। আকাশ মরার আগে পর্যন্ত তোকে সমস্থ বিপদ থেকে আগলে রাখবে যাই হয়ে যাক তোকে কখনো হারাতে দিবে না।
ছোট থেকেই তোকে বউ হিসেবে দেখে এসেছি আজও দেখি সারাজীবন দেখব।তুই আমার একমাত্র বউ আমার লক্ষি বউ।

মেঘলাঃ আমিও আপনাকে খুব ভালবাসি,সারাজীবন বাসব।

।#লাভার_নাকি_ভিলেন?
#পার্টঃ১৬
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona

পরদিন সকালে মেঘলা কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হল। বাসে মেঘলা দাঁড়িয়ে আছে হটাৎ লক্ষ্য করল কেউ একজন তার ঘাঁ ঘেঁসে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটি ক্রমশো তাকে পিছন থেকে আঁশটে পিশটে জড়িয়ে ধরছে।মেঘলা সিধান্ত নিয়েছে এবার ছেলিটিকে একটা থাপ্পড় মারবে.
মেঘলা যখন ভাবনা মত কাজটি করার জন্য পিছনে ঘুরল সে ছেলেটির একদম কাছে গিয়ে পড়ল। ছেলেটির সাথে প্রায় গাঁয়ে গা মিশে গেছে,ঠোঁট ছুই ছুই অবস্থা চোখে চোখ পড়ল। সাথে সাথে ছেলেটি পিছনের সবাইকে ধাক্কা দিয়ে একটু পিছনে সরে গেল।কিন্তু ছেলেটিকে দেখার পর মেঘলার মনে হচ্ছে যা হচ্ছিল ভালই হচ্ছিল কেন যে বাঁধা দিলাম।

মেঘলা অবাক হয়ে বলল আপনি এখানে….???
আকাশঃ আর কখনো বাসে আসবি না….।

মেঘলাঃ মানে?
আকাশঃ অসহ্যকর,ভাল লাগছেনা। চল এখান থেকে….এই ড্রাইভার বাস থামান নামব।

আকাশ মেঘলার হাত ধরে নিয়ে নেমে গেল।
মেঘলাঃ রাগ করলেন কেন?

আকাশঃ বাসে এভাবে হ্যারেস হতে হয় কোনদিন বলিস নি তো…

মেঘলাঃ কই কি হয়েছে?

আকাশঃ আজ আমার জায়গায় অন্যকেউ থাকলেও তো একই অবস্থা হত পিছনের সবাই যেভাবে ধাক্কা দিচ্ছিল।

মেঘলাঃ ছাড়ুন ত এসব কোন ব্যাপার নাকি।

আকাশঃ ঠাস করে একটা থাপ্পড় মারব।তুই অন্যজনের সাথে ধাক্কা ধাক্কি করে কলেজে যাবে এটা আমি মানতে পাড়ব না।

মেঘলাঃ তাহলে কি আমি কলেজে যাব না?

আকাশঃ যাবি আমি কলেজের বাসে যাবি আমি বলে দিব যদিও এই রাস্তায় বাস আসে না তবুও আমি বলে দিব যেন তোকে এসে নিয়ে যায়।

মেঘলাঃ সেসব না হয় পরে হবে আপনি বাসে কি করছেন বাইক কোথায়?

আকাশঃ রাস্তায় রেখে এসেছি তোকে দেখতে ইচ্ছা করছিল তাই তোর সাথে এসেছি।

মেঘলাঃ আজব মানুষ এই তো বাসা থেকে এসেছি তখনি ত দেখা হল কলেজে গিয়ে আবার তো হতই।
আকাশঃ এত কথা বলিস কেন চুপ থাক না। এখন কি নিজের বউ এর সাথে দেখা করতে তোর পারমিশন নিতে হবে নাকি?

মেঘলাঃ না বাবা আপনার বউ আমি বলার কে যা মন চাই কইরেন এখন চলুন কলেজের দেড়ি হয়ে যাচ্ছে।

আকাশঃ আমরা কলেজে যাব কে বল্ল তোকে?

মেঘলাঃ তাহলে কোথায় যাব?

আকাশঃ আজ তোর ভালবাসার প্রথমদিন আজ ডেটিং এ যাবি।

মেঘলাঃ ডেটিং সেটা আবার কি?

আকাশঃ আগে চল দেখাচ্ছি…

আকাশ মেঘলাকে নিয়ে একটা পার্কে গেল। মেঘলা ভেবেছিল সেখানে রোমান্টিক কিছু হবে কিন্তু সেখানে গিয়ে তার রীতিমতো ভয় করছে।
কারন সেখানে কালকের ছেলেগুলি দাঁড়িয়ে আছে।

মেঘলাঃ থামুন থামুন আপনি তো বলেছিলেন ডেটিং যাচ্ছি তাহলে এখানে কি হচ্ছে?

আকাশঃ কি হচ্ছে?

মেঘলাঃ এখানে তো মারামারি হবে মনে হচ্ছে ডেটিং এ কি কি হয় আমি জানি সেখানে মারামারি হয় না।
আকাশঃ কিছুক্ষন আগেই ত বল্লি ডেটিং কি জানিস না।
মেঘলাঃ মিথ্যা বলেছিলাম চলুন না এখান থেকে চলে যাই।
আকাশঃ কার কাছে ডেটিং মানে কি জানি না তবে আমার কাছে একে অপরকে খুশি করতে পাড়াটাই হল ডেটিং।আর আমার মনে হয় এদের মারতে পাড়লেই তুই খুশি হবে তাই এ ব্যবস্থা।

মেঘলাঃ কি অদ্ভুত ভালবাসা….???

আকাশঃ হুম এটাই আকাশের ভালবাসা,ভিলেনি ভালবাসা…. আকাশ কাকে যেন বলল লাঠি দিতে।একটা ছেলে এসে একটা হকি স্টিক দিয়ে গেল।আকাশ স্টিক টা মেঘলার হাতে দিয়ে বলল যা যত খুশি মার।

মেঘলাঃ কি বলছেন আমি ওদের মারব? আমি এতগুলো ছেলের সাথে পাড়ব?

আকাশঃ আমাকে কি তোর পাগল মনে হয়?যে ব্যবস্থা না করে তোকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
এই তোদের বলছি চারদিক টা ভাল করে দেখে নে আশে পাশে যাদের দেখছিস সবাই দাঁড়িয়ে আছে মেঘলাকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য কেউ একটু ঝামেলা করবি গণধোলায় খেয়ে সোজা উপড়ে চলে যাবি আর চুপচাপ মার খেলে একটা মেয়ে আর কতক্ষন মারবে এমনি ছেড়ে দিবে।বাকিটা তোদের ইচ্ছা।

মেঘলাঃ আমি পাড়ব না…..

দূর থেকে নাবিলঃ আকাশ আগেই বলেছিলাম এই মেয়েকে দিয়ে হবে না যা করার তকেই করতে হবে।

মেঘলাঃ আপনিও আছেন?

নাবিলঃ জ্বি আজ্ঞে হে….এখানে থাকা আমি থেকে ফুচকাওয়ালা সবাই আপাতত আপনার এসিস্ট্যান্ট ম্যাডাম।

আকাশঃ মেঘলা এই পর্বটা তাড়াতাড়ি শেষ কর আরো অনেক কাজ বাকি আছে।

মেঘলা এবার স্টিক টা হাতে নিয়ে এগিয়ে বলল তোমরা চলে যাও….আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম।

আকাশঃ অই কি বলছিস এসব?

মেঘলাঃ আজ আমার জীবনের সবচেয়ে ভাল দিন আমি কোন ভাল কাজ দিয়ে দিনটা শুরু করতে চাই আর ক্ষমার চেয়ে ভাল কি হতে পাড়ে?
সাথে সাথে ছেলেগুলি এসে মেঘলার পায়ের কাছে বসে পড়ল। অনেক ভয় পেয়েছিলাম ভাই যে আজ আমাদের ছাড়বেন না জানতাম আপনি যে মাফ
করে দিবেন ভাবতেই পাড়ি নি আকাশ ভাইয়ের মার খেয়ে ২ মাস হাসপাতালে ছিলাম এবার তো আরও বেশি মারত।
আপু আমাদের ভুল হয়ে গেছে আপনার এই ক্ষমার কথা আমরা কোনদিন ভুলব না আর কখনো কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলেও তাকাব না।
আশেপাশের সবাই হাত তালি দিতে থাকল,
নাবিল এসে আকাশের কাঁধে হাত রেখে বলল এমন মেয়ে পাওয়া ভাগ্যের বিষয় তুই অনেক লাকি।

মেঘলাঃ যাও তোমরা…. বলে নাবিল এর কাছে এসে বলল লাকি উনি নন আমি।প্রমিকাকে খুশি করতে এত ব্যবস্থা কটা ছেলে করতে পাড়ে বলেন?কিন্তু আমি চাইনা আমার জন্য উনি কারো সাথে ঝামেলা করুক আর বিপদে পড়ুক। ভালবাসার উপড়ে কোন পাওয়ার নেই আমি আমার ভালবাসা দিয়ে উনাকে সবাইকে ভালবাসতে শিখাব।উনি আর কখনো কাউকে মারবে না।

আকাশঃ পাঁকা বুড়ি একটা….থাক আপনার আর পাকামি করতে হবে না চলুন এবার।

মেঘলাঃ আচ্ছা চলুন….

নাবিলঃ আকাশ থাকলাম তাহলে যা তোরা…. কোন অসুবিধে হলে ফোন দিস।

মেঘলাঃ আপনিও চলুন না….

নাবিল আকাশ ২ জনেই হেসে উঠল….
নাবিলঃ বোকা মেয়ে যাও তো।

আকাশ মেঘলাকে নিয়ে চলে গেল।
মেঘলাঃ কোথায় যাচ্ছি আমরা?

আকাশ চল তো….

কিছুদুর যাওয়ার পর আকাশ মেঘলার চোখ বেঁধে দিল।
মেঘলাঃ চোখ বাঁধছেন কেন?
আকাশঃ তোকে বেঁচে দিব তাই।চুপচাপ চল।
যখন চোখ খুলল তখন সেখানে কিছুই দেখা যাচ্ছে না চারদিক অন্ধকার।

মেঘলাঃ আকাশ এটা কোথায়…. আমি তো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।

আকাশের কোন সাড়াশব্দ নেই।

মেঘলাঃ আকাশ…. আকাশ…..আপনি কোথায়?
উত্তর না পেয়ে মেঘলা হাতরে হাতরে আকাশকে খোঁজল কিন্তু আকাশের পাত্তা নেই
মেঘলা বোঝতে পাড়ল আকাশের উপস্থিতি এখানে নেই।

ভয়ে মেঘলার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।প্রায় ১ ঘন্টা হয়ে গেছে আকাশ নেই।এখান থেকে বের হওয়ার সব চেস্টা করে মেঘলা ব্যার্থ হল এবার মেঘলার কান্না পাচ্ছে…..

মেঘলাঃ আকাশ আপনি কোথায় আমার এখানে থাকতে কস্ট হচ্ছে, ভয় করছে আমাকে নিয়ে যান প্লিজ।আপনি আমার সাথে এটা কি করতে পাড়লেন?কি এমন অন্যায় করেছি যার শাস্তি এভাবে দিচ্ছেন।

।#লাভার_নাকি_ভিলেন?
#পার্টঃ১৭
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona

মেঘলাঃ আকাশ আপনি কোথায় আমার এখানে থাকতে কস্ট হচ্ছে, ভয় করছে আমাকে নিয়ে যান প্লিজ।আপনি আমার সাথে এটা কি করতে পাড়লেন?কি এমন অন্যায় করেছি যার শাস্তি এভাবে দিচ্ছেন।




কিছুক্ষন পর আকাশ আসল আর অবাক হয়ে বলল মেঘলা ঘর অন্ধকার করে রেখেছিস কেন?
আকাশ ফোনের ফ্লেশ অন করল।
আকাশের কন্ঠ শুনে আর আলোর রেখা দেখেই মেঘলা দৌড়ে গিয়ে আকাশকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল।

আকাশঃ আরে কাঁদছিস কেন?

মেঘলা আকাশকের বুকে মুখ গোঁজে চোখ বন্ধ করে শক্ত করে আকাশ কে জড়িয়ে আছে মুখে কোন কথা নেই।

আকাশঃ আচ্ছা বোঝেছি,এবার ছাড় গিয়ে লাইট অন করি।তারপর শুনি কি হয়েছে,
ছাড়ার কথা শুনে মেঘলা আকাশকে আরো শক্ত করে আঁখরে ধরে বলল আমি এখানে থাকতে চাই না আমাকে নিয়ে চলুন প্লিজ।
আমার এমন অদ্ভুত ভালবাসার দরকার নেই।

আকাশঃ তাই বোঝি?আচ্ছা মেঘলা তুই এত বোকা কেন?তোকে আমি কেন অন্ধকার ঘরে বন্ধ করে যাব বল তো?আর গেছিই যখন নিশ্চুই কোন কারন ছিল,তোর কাছে তো ফোন ছিল নাকি?এতই যখন ভয় পাচ্ছিলি ফোন করলি না কেন তোকে বলেছিলাম না যেকোন অসুবিধায় পড়লে সাথেসাথে আমাকে এসমেস করবি।
আমি ত ভেবেছিলাম ফ্লেশ অন করে তুই সারপ্রাইজটা উপভোগ করবি তাই তোকে সময় দিয়েছিলাম।তাই বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম।

এত কিছু বলার পড়েও মেঘলা আকাশকে ছাড়তে রাজি না তাই আকাশ মেঘলাকে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে লাইট অন করল সাথে সাথে উপড় থেকে গোলাপের পাপড়ি পড়তে লাগল মেঘলা তা দেখে অবাক হয়ে গেল।সে আকাশের কোলে থেকেই চারপাশে চোখ বুলিয়ে খুশি হয়ে গেল।ঘরটা গোলাপ বেলুন দিয়ে সাজানো। সবটা মেঝেতে গোলাপের পাপড়ি ভিছানো। মেঘলার গোলাপ খুব পছন্দ তাই ফুল দেখেই খুশি হয়ে গেল।

আকাশঃ নামবি নাকি কোলেই থাকবি?আমার অবশ্য কোন আপত্তি নেই।
মেঘলা এক লাফে কোল থেকে নেমে ঘুরে ঘুরে সব দেখতে লাগল দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে কত খুশি হয়েছে।

মেঘলা সব দেখছে এই ফাঁকে আকাশ আবার বাইরে চলে গেল।

মেঘলা সবকিছুর মাঝে দেখল ঘরের একপাশে ২ টা পুতল সাজানো পুতুল গুলি দেখে মেঘলা আবার কেঁদে দিল।

আকাশ একটা কেক নিয়ে ফিরে এল। এসে দেখে মেঘলা পুতল হাতে নিয়ে কাঁদছে।

আকাশ এবার রেগে ধমক দিয়ে বলল তোকে কি কান্না রোগে পেয়েছে নাকি?
শুধু শুধু এত কাঁদছিস কেন?দেখতো কেঁদে কেঁদে চোখ মুখের কি অবস্থা করেছিস?

মেঘলাঃ পুতল গুলি আকাশের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল এরা আকাশ,মেঘলা তাই না?

আকাশঃ হ্যা… তো এর সাথে কাঁদার কি সম্পর্ক?

মেঘলা এসে আকাশকে জড়িয়ে ধরে বলল এত ভালবাসেন আমায়?

আকাশঃ সন্দেহ আছে?

মেঘলাঃ না নেই তবুও এতদিন আগের মাটির পুতুল কিভাবে রাখলেন?

আকাশঃ তোর মনে আছে মেঘলা আমি পুতুল খেলতে চাইতাম না তুই জোর করতি খেলার জন্য ছোট বেলা কতবার এই পুতুল আকাশ আর পুতুল মেঘলার বিয়ে দিয়েছিস সেগুলি কি করে হারাতে দেই বল?আচ্ছা চল এবার কেক টা কাট।

মেঘলাঃ আপনি এত কিছু কখন করলেন?
আকাশ একটু হাসল।

মেঘলা কেক কাটার জন্য কেকের কাছে গেল।

আকাশঃ দাঁড়া আগে একটা কাজ আছে।

আকাশ হাঁটু ঘেরে বসে মেঘলার দিকে একটা আংটি বাড়িয়ে দিয়ে বলল সারাজীবন থাকবি তো আমার পাশে?

মেঘলাঃ রাতে তো আংটি দিলেন তাহলে এটা আবার কেন?

আকাশঃ ওটা তো পুরুনো, তুই সেই মুহূর্তে প্রপোজ করতে বলেছিলি তাই দিয়েছিলাম।ওটা খুলে এটা পড়।

মেঘলাঃ কিন্তু আমার ওটাই বেশি পছন্দের কারন ওটা আমার আকাশের।

আকাশ মুখটা গুমরা করে বলল তোর জন্য পছন্দ করে আনলাম তুই নিবি না….

মেঘলা হেসে বলল হাত তো ২টা তাই না?

আকাশ হেসে ডান হাতে আংটিটা পড়িয়ে দিল।

তারপর ২ জন মিলে কেক কাটল। ২ জন ২ জনকে খায়িয়ে দিল।

আকাশঃ এবার চল রেস্টুরেন্ট গিয়ে লাঞ্চ করে তোকে শপিং করে দিয়ে বাসায় যাব।

মেঘলাঃ আমি যাব না ….

আকাশঃ কেন যাবি না? জানিস এই দিনটার জন্য কত স্বপ্ন দেখেছিলাম মোটামুটি সব পূরন হয়ে গেছে এবার শুধু ওই গুলি করলেই শেষ।

মেঘলাঃ এই দিনটা নিয়ে আমারো তো কিছু স্বপ্ন থাকতে পাড়ে তাই না?

আকাশঃ তাই বোঝি তা কি করতে চান বলুন আমি সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

মেঘলাঃ আমার ব্যবস্থা আমিই করব কারোর হেল্প দরকার নেই।

আকাশঃ আচ্ছা তবস দেখান দেখি আপনার কি স্বপ্ন।

মেঘলাঃ চলুন তবে….

আকাশ বাধ্য ছেলের মত যেতে লাগল মেঘলা আকাশ কে নিয়ে শহর পেড়িয়ে গ্রাম,গ্রাম পেড়িয়ে দিগন্ত,দিগন্তের শেষে বিশাল এক বট গাছের দিকে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে মেঘলার গন্তব্য সেটাই….

আকাশঃ মেঘলা আমরা এতদুরে কোথায় যাচ্ছি?

মেঘলাঃ গেলেই দেখতে পাবেন।আমার স্বপ্ন এত সস্তা না যে বল্লেই পূরন করতে পাড়বেন তার জন্য কস্ট করতে হবে মশাই।

আকাশঃ আমি রাজি…. আমিও দেখতে চাই কি এমন স্বপ্ন যা সহজে পূরন করা যায় না।

মেঘলা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে বলল অনেক হেঁটে এসেছেন বসে একটু বিশ্রাম নিন আমি আসছি।

মেঘলা চলে গেল।
আকাশ চারদিক টা যতই দেখছে ততই অবাক হচ্ছে চারদিকে কোন মানুষজন বা বাড়িঘর নেই একদম নিস্তব্ধ কোন কোলাহল নেই। একদিকে বিস্তর দিগন্ত অন্যদিকে বিশাল জলরাশি।
তার মাঝখানে এক বটগাছের নিচে আকাশ বসে আছে। পরিবেশটা দেখে আকাশের ২ চোখ জুরিয়ে গেল।

কিন্তু মেঘলা কোথায় গেল প্রায় আধ ঘন্টা হয়ে গেছে তবুও খোঁজ নেই।
কিছুক্ষন পর মেঘলা ফিড়ে এল আরো একজনকে সাথে নিয়ে।

মেঘলা হাঁপাতে হাঁপাতে বলল চাচা নৌকা টা নিয়ে আসুন আমরা অপেক্ষা করছি।

লোকটি চলে গেল।

আকাশঃ এভাবে হাঁপাচ্ছিস কেন আর উনি কে?

মেঘলাঃ উনি মাঝি চাচা, অই যে দুরের বাড়িটা দেখতে পাচ্ছেন ওখানে থাকেন। উনাকে আনতে গিয়েছিলাম দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়েছি তাই হাঁপাচ্ছি।আমি উনার নৌকায় অনেক ঘুরেছি আজ আমরা ২ জন ঘুরব তাই গিয়ে নিয়ে আসলাম উনাকে।

আকাশঃ এত দূর যাওয়ার কি দরকার ছিল…???

মেঘলাঃ হুম গেলাম বলছি না আমার স্বপ্ন সস্তা না।

আকাশঃ আমাকে নিয়ে গেলে হত না? ২ জন একসাথে যেতাম।

মেঘলাঃ আপনার কষ্ট হত এমনেতেই অনেকটা হেঁটে এসেছেন।

আকাশ হতবাক…..
মাঝি তার ডিংগি নিয়ে এসে নামতে নাময়ে বলল যা মা….

আকাশঃ চাচা আপনি নামছেন কেন? আপনি যাবেন না?

মাঝিঃ আমি কেন যাব? ওর অনেক দিনের ইচ্ছা তার রাজকুমার এসে তাকে স্বপ্নের বাড়িতে নিয়ে যাবে।আজ কতবছর পর আপনি এসেছেন আপনিই ওকে নিয়ে যান।

আকাশ মাঝির কথায় অবাক হল।

মেঘলা ব্যাগ থেকে টাকা বের করে মাঝিকে দিতে চাইল।
আকাশঃ টাকাটা আমি দেই….

মেঘলাঃ না এখানে যা হবে সব আমি করব আপনি শুধু দেখবেন।

মাঝিঃ না মা আজ এতদিন পর তোর স্বপ্ন পুরন হতে চলেছে কতদিন থেকে তুই এই দিনের জন্য অপেক্ষা করছিস আজ আমায় ভাড়া দিয়ে লজ্জা দিস না আমি নিতে পাড়ব না।

মেঘলা হেসে বলল আচ্ছা চাচা কিন্তু এখন এই মা কে যে আপনার একটা কাজ করে দিতে হবে।

মাঝিঃ কি কাজ বল।আমি নিশ্চুই করে দিব।

মেঘলা ফিসফিস করে মাঝির কানে কানে কি যেন বলল তারপর মাঝির হাতে কিছু টাকা দিয়ে দিল।

মেঘলাঃ চলুন যাই….

আকাশ মেঘলা ২ জনেই ডিংগিতে বসল।

মাঝিঃ বাবাজি মেঘলা কিন্তু সাঁতার জানে না একবার পড়ে গিয়ে ডুবতে বসেছিল।একটু দেখে যাবেন।

আকাশ চিন্তা করবেন না চাচা….!!! আমি সাবধানেই যাব।



চলবে….!!!
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here