সমুদ্র বিলাস ২ এবং শেষ পর্ব

সমুদ্র বিলাস

দুই.

ভোর সকালে বাস এসে থামে গন্তব্যে। আরো আগে পৌঁছানোর কথা ছিল। রাস্তায় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়েছিল যার জন্য এতোটা দেরি হলো।চারদিনের ট্যুরে আসা এখানে।কক্সবাজার শুধুমাত্র সমুদ্র সৈকত নয়, কক্সবাজার আরো দর্শণীয় স্থান ও স্থাপনার জন্য বিখ্যাত। বিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠীর বসবাসে বৈচিত্রময় এই অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় স্থান রয়েছে অনেক। বিপ্লব আর বসন্ত লাবনী হোটেল বুকিং করেছিল অনলাইনে।রুমে উঠতে হবে এগারোটায়।সবাই মিলে নাস্তা সেড়ে কলাতলী সমুদ্রের দিকে এগোতে থাকল।তখন অঞ্জলি তোহাকে প্রশ্ন করলো, ‘কক্সবাজারের লাবনী বীচ, সুগন্ধা বীচ, কলাতলী বীচ, হিমছড়ি এগুলোর নাম শুধু শুনেছি।আরো কি জনপ্রিয় জায়গা আছে? জানিস?’

তোহা দূরে তাকিয়ে ভাবে।এরপর নির্লিপ্তভাবে বলল,
ইনানী বীচ, মেরিন রোড,সেন্টমার্টিন,রামু বৌদ্ধ বিহার, মহেশখালি,সোনাদিয়া দ্বীপ,আদিনাথ মন্দির, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক আছে।আরো আছে শুনছি।নাম মনে নাই।’

অঞ্জলি খুশিতে বাকবাকম হয়ে বলল, ‘আমরা সব জায়গায় ঘুরবো তাই না?’
তোহা কিছু বললো না। অঞ্জলি মুখ গুমোট করে ফেলল।তোহার মাঝে মাঝে যেন কি হয়!কী অদ্ভুত ব্যবহার করে।পাত্তা দেয়না একদম।অঞ্জলি তোহাকে পাশ কাটিয়ে বসন্তের পাশাপাশি হাঁটার চেষ্টা করে।

কলাতলী সমুদ্রে দেখা মিলল দিগন্তজোড়া বিস্তীর্ণ বালুকাবেলা, সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া একেকটি ঢেউ, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে জেলেদের কর্মচাঞ্চল্য,
মেঘ কালো সারি সারি ঝাউবন,ভোরের আকাশে পুব পাহাড়ের পেছন থেকে কাঁসার থালার মতো বেরিয়ে আসা সূর্যের মায়াবী রূপ।কী সুন্দর!স্বপ্নের মতো সব।তোহার সবকিছু পরিপূর্ণ লাগছে।না,ঠিক নয় কথাটি।তোহার কিছু একটা মিসিং মনে হচ্ছে।এবং সে জানে মিসিংটা কি? দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলল তোহা।হোটেলে তোহার রুম পার্টনার হলো নুপুর আর অঞ্জলি।এক রুমে বেড তিনটা।দুপুর কাটল সমুদ্র পাড়ের স্লিপিং চেয়ারে শুয়ে। পুরো দুপুরটা অন্য রকম ছিল।যতদূর চোখ যায় নীলে,নীলে ঢেউয়ের মেলা। বজ্রপাতের মতো ঢেউয়ের শব্দ।তিনটার দিকে নুপুর আর তোহা একসাথে ফিরছিল হোটেলে, তখন আবিষ্কার করল বাসের সেই ছেলেটিকে।নুপুরের মেজাজ খিঁচড়ে গেল। পরে জানতে পারল,ছেলেটি তাদের পাশের রুমটায় নিয়েছে।নুপুর আশ্চর্য হয়ে ভাবছে,একটা ছেলের এতো সাহস কি করে হয়? পাব্লিকের মাইরের ভয় কি নেই? নুপুরের ইচ্ছে হচ্ছে কয়টা দিতে ছেলেটাকে।কিন্তু ছেলেটি এখনো তেমন কিছু করেনি মারার মতো। রাতে যখন সে ছেলেটিকে প্রশ্ন করেছিল,ছেলেটি জবাব না দিয়ে বাসে উঠে গিয়েছিল!

নুপুর মিনমিনে গলায় তোহাকে বলল, ‘ ছেলেটা বেশি করতেছে না?’

তোহা অবাক হবার ভান করে বলল,’কোন ছেলেটা?’

‘ ওই যে,ফাজিল,বদমাশ বাসের ছেলেটা।’

তোহা বেশ মজা পেল নুপুরের কথা শুনে।নুপুর তোহার হাসি দেখে বলল,’তুমি হাসছো? একটুও কি রাগ হচ্ছে না?ছেলেটার স্পর্ধা দেখে আমি অবাক হচ্ছি।তোমার কি পূর্ব পরিচিত? আগে থেকেই জ্বালায়? আমি বলে রাখছি, এখনি যা ব্যবস্থা নেওয়ার নাও।নয়তো এই ছেলে খুব বড় ক্ষতি করে ফেলতে পারে।’

তোহা ছোট করে বলল, ‘আচ্ছা।’

নুপুর তোহার উপর বিরক্ত হচ্ছে খুব। মেয়েটা কেমন জানি। অনুভূতিশূন্য।

__________

রাত এগারোটা ত্রিশ মিনিটে তোহা হোটেল থেকে বেরিয়ে সমুদ্রের পাড় ধরে হাঁটতে থাকে।পরনে তাঁর শাড়ি।সাদা শাড়ির পাড় ছোট ছোট নীল ফুলে সেজে আছে।তোহার ঘাড় অব্দি সোজা চুল।নাক খাড়া।ফর্সা দেখতে।আকাশে থালার মতো ইয়া বড় চাঁদ।চাঁদের মায়াবী আলোতে তোহাকে ভারী স্নিগ্ধ লাগছে।একের পর এক বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে।সামনে বিশাল সমুদ্র।নীল আকাশ জুড়ে জ্যোৎস্নার লুটোপুটি খেলা। চোখ বন্ধ করতেই কানে সমুদ্রের গর্জন।কারো উপস্থিতি টের পেয়ে তোহা চোখ খুলল।বাসের ছেলেটি তার একদম গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েছে। তোহা কপাল কুঁচকে ফেলল।এরপর উল্টোদিকে হাঁটা শুরু করল।তাল মিলিয়ে ছেলেটিও পাশাপাশি হাঁটছে।তোহা জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলেও রাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না।চট করে দাঁড়িয়ে পড়ল।এরপর কটমট করে বলল,
‘ সমস্যা কি নিনিত?পিছু লেগেছ কেন? তোমার সাথে তো ফাইনাল ব্রেকাপ হয়েই গেল।তবুও… ‘

তোহাকে পুরো কথা শেষ করতে না দিয়ে নিনিত বলল,’আমি ব্রেকাপ করিনি।তুমি একা একা ব্রেকাপ করেছো।আমাকে সব কিছুতে ব্লক করেছ।’

‘একজন ব্রেকাপ করলেই হল।তুমি কেন পিছু লেগে কক্সবাজার অব্দি চলে এসেছ?’

‘আসব না? এক দল ছেলের সাথে চলে এসেছো।’

‘আমার বাপ অনুমতি দিয়েছে বলেই এসেছি।’

নিনিত শার্টের হাতা ভাঁজ করতে করতে নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল, ‘তোমার বাপ দিয়ে দিছে এর মানে আমি আমার হবু বউকে তো একা ছেড়ে দিতে পারি না এক বস্তা ছেলের সাথে।’

তোহা হা করে তাকায়।ব্রেকাপের পরও একটা মানুষ এতো অধিকার দেখিয়ে কি করে কথা বলে?তোহা একবার চোখ বুজে নিঃশ্বাস ফেলল।এরপর বলল,
‘তোমাকে আমি বিয়ে করছি না।তুমি যা করেছ…”
‘আমার কোনো দোষ নেই।’
‘সব অপরাধীর জন্মগত অধিকার ধরা পড়ার পর অপরাধ অস্বীকার করা।’
‘বেশি জানো তুমি?’

তোহা আর কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।সে ঘুরে দাঁড়ায়,হোটেলে ফিরে যাওয়ার জন্য।ব্যস্ত পায়ে হাঁটা শুরু করে।নিনিত দৌড়ে এসে সামনে দাঁড়ায়।অপরাধী স্বরে বলে, ‘তুমি যে অভিযোগ করেছো সেটা ঠিক না।আমার বুঝানো উচিৎ ছিল তোমাকে।তা না করে উল্টো রাগ ঝেড়েছি।এজন্য আমি সরি।আমাকে এখন বুঝানোর সুযোগ দাও প্লীজ?’ তোহা দুয়েক সেকেন্ড নিনিতের চোখের দিকে তাকিয়ে তাকল।তারপর সমুদ্রের দিকে মুখ রেখে বলল, ‘বল,কি বলবে।’

নিনিত মৃদু হাসলো।সে জানে তোহাও তার সাথে মিলতে চাইছে।আর তোহা যে অভিযোগ করেছিল, সেই অভিযোগ তোহা নিজেও বিশ্বাস করে না।শুধুমাত্র তাঁর মুখ থেকে পজিটিভ দিকটা জানতে চেয়েছিল।নিনিত তোহার ডান হাত মুঠোয় নিল।তোহা তাকাল না।নিনিত বলল, ‘আমি জানি তুমি একবারো ভাবছো না, মিলার সাথে আমার সম্পর্ক আছে।মিলার সাথে মাত্র ষোল দিন আমার প্রেম ছিল।দুজনের পক্ষ থেকেই ভালবাসা ছিল না।সেটাও তুমি জানো।আমার অনেক প্রাক্তন আছে আমি মানি।তুমি জীবনে আগে আসোনি বলে এতো প্রেম করেছি।এইযে,তুমি এসেছো প্রায় তিন বছর।একবারো কোনো মেয়ের দিকে অন্য চোখে তাকাইনি।সেটাও তুমি জানো।মিলার সাথে আমার যোগাযোগ ছিল না। আমাদের ফাইনাল করে ব্রেকাপ হয়নি।প্রেমের ষোল দিনের দিন মিলা ফ্রান্স চলে গেল।আমিও দু’দিন পর ভুলে গেলাম মিলা বলে কাউকে চিনতাম।এমনই সম্পর্ক ছিল।সেদিন হুট করে রাস্তায় দেখা হলো। অনেক দিন পর দেখেছে তো উত্তেজনায় জড়িয়ে ধরেছে।পূর্ব পরিচিত হিসেবে।আর সেটাই তুমি দেখেছো।আচ্ছা,ভাব তো আমার যদি সম্পর্ক রাখারই মন ছিল আমিকি আমার তেরো জন এক্সের ছবি তোমাকে দেখাতাম?’

তোহার কাঠখোট্টা স্বরে বলল, ‘এত এক্স আছে বলে তোমার কি গর্ব হচ্ছে?’
‘তা কখন বললাম?’
তোহা নিনিতের প্রশ্ন উপেক্ষা করে বলল,
‘আমি যখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম,তখন এমন মানুষের মতো বুঝিয়ে বললেই পারতে।’
নিনিত দু’কান ধরে ফেলল।অনুরোধ করে তোহাকে বলল, ‘সরি।’
তোহা আড়চোখে নিনিতের চোখের দিকে তাকাল।নিনিত আবার ক্ষমা চাইল।তোহা সমুদ্রের দিকে এগিয়ে যায়।নিনিত যায় পিছন পিছন।বলে, ‘আবার সুইসাইডের চেষ্টা করেছিলে তুমি?’
‘হুম।তুমি তখন যেভাবে আমাকে বকলে।এক মুহূর্তের জন্য হলেও ভেবে নিয়েছিলাম তোমার এক্সের সাথে তোমার সম্পর্ক আছে।’
‘আমার সব এক্সের সাথে এক মাসের বেশি প্রেম ছিল না যে টান অনুভব করে আবার প্রেমে জড়াবো।’
‘তখন তো বলনি।’
‘একটু ভেজাল হয়েছিল বাইরে।বাসায় এসেই তোমার অভিযোগ শুনে বাইরের রাগটা তোমার উপর ঝেড়ে ফেলি।এজন্য আমি সরি।’
‘আর্মিদের সাথে প্রেম করাই ভুল।’
‘আর্মিরা কি করল?আমি আর্মি বলে এখন পুরো আর্মি জাতির দোষ?’
‘হুম।তাই।’

তোহা ঠোঁট টিপে হাসল।নিনিত বলল, ‘এখন নিয়ে ষাটবার সুইসাইডের চেষ্টা করেছো।যদি সত্যি সত্যি কোনো অঘটন ঘটে যায়?’
‘আমি মন থেকে চেষ্টা করিনা।’
‘তবুও,কথায় কথায় সুইসাইডের কথা ভাবার কি দরকার?আমি শক্ত মনের মানুষ ভেবেছিলাম তোমাকে।’
‘আমি এমনই।’

নিনিত সরু চোখে তোহার দিকে তাকিয়ে তাকাল।তোহা নিনিতের দিকে না তাকিয়েই মুচকি হাসছে।নিনিত তোহার সামনে হাটুগেড়ে বসে।তোহা অবাক হয়না। সে জানতো এরকম হবে।গত মাসে নিনিত তার পুরো পরিবার নিয়ে বিয়ের প্রপোজাল নিয়ে আসে।তোহার পরিবার রাজি হয়।তখন তোহা বেঁকে বসে।নিনিতকে ছাদে ডেকে নিয়ে বলে, ‘আমার একটা ইচ্ছে আছে।’
‘কি ইচ্ছে?’
‘জোসনা রাত।সামনে সমুদ্র।এমন সময় নীল শার্ট পরে আমার হবু বর আমাকে বিয়ের জন্য প্রপোজ করবে।তারপর বিয়ে হবে।’

নিনিতের তখন একটুও রাগ হয়নি।তোহার শর্ত মেনে নেয়।তোহার ভালবাসা পেতে কত যে কষ্ট হয়েছিল তাঁর।যার এতো প্রাক্তন আছে তাকে কিছুতেই ভালবাসবে না তোহা। কিন্তু একসময় ঠিকই প্রেমে পড়ে গেল।ভালবেসে ফেলল।রাগারাগি করলো তোহার বাবা-মা।মেয়ে প্রেম করে আবার শর্তও দেয়!বাসে যখন নিনিতকে দেখল তোহা,তখনই তোহা ভেবে নিয়েছিল নিনিত এই সুযোগ হাতছাড়া করবে না।ঠিক তাই হলো।
নিনিত চমৎকার করে বলল, ‘রাজকন্যা তোহা,আপনি কি আমার রাজ্যের রানী হবেন?’

তোহা দু’দিন পর মন থেকে প্রাণখোলে হাসল।হাত বাড়িয়ে দেয় নিনিতের দিকে।নিনিত আংটি পরিয়ে দিল সযত্নে।এরপর দু’হাত ছড়িয়ে বলল, ‘বুকের বাঁ পাশে অনেকক্ষণ সময় নিয়ে কি মাথা রাখবেন?’

নিনিতের কথার ঢংয়ে তোহা আবারো হাসল।শক্ত করে নিনিতকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘ব্লু শার্টে তোমাকে কি দারুণ লাগে তুমি জানো?’
‘জানি।’
‘হু,তুমিতো সবই জানো।আসলে,সবজান্তার ভান ধর।’
‘আমি যখন ব্লু শার্ট পরি তুমি আড়চোখে আমাকে দেখ।মুগ্ধ হয়ে দেখ।তাই জানি।’
তোহা ধরা পড়ে লজ্জা পেল খুব।সত্যি,সে লুকিয়ে নিনিতকে দেখে।কেন জানি সরাসরি তাকাতে পারে না।মন কেমন যেন করে।তোহা আলতো করে নিনিতের বুকে কিল দিয়ে বলল, ‘কচু।’

________

নিনিতের প্যান্টের পকেট থেকে ফোন পড়ে যায়।নিনিত নত হয় ফোন তুলতে।তখন অনেক দূরে চোখ পড়ে।বাসে তোহার পাশে বসা মেয়েটা ব্যস্ত পায়ে এদিকেই আসছে।সাথে বিপ্লব।বিপ্লবকে চিনে নিনিত।মেয়েটা নিশ্চয়ই ভাবছে,সে তোহাকে ডিস্টার্ব করছে।তাই বিপ্লবকে নিয়ে আসছে তাকে পিটাতে।নিনিতের ধারণাই ঠিক।নুপুর তোহাকে খুঁজে সমুদ্রের পাড়ে এসেছিল।তখন দেখল,নিনিত তোহার পিছনে হাঁটছে।নুপুর সাবধানী হয়ে উঠে।হোটেল থেকে বিপ্লবকে নিয়ে আসে।নিনিত তোহাকে বলে, ‘তোমার লেডি পার্টনার আসতেছে আমাকে পিটানোর জন্য।’

তোহা ঘুরে তাকায়।নুপুর আর বিপ্লব ভাইয়া আসছে।তোহা নিনিতকে বলে, ‘ উনি নুপুর আপু।আপুটা তোমাকে বখাটে ভেবেছে।’
নিনিত নিজের গাল ছুঁয়ে আক্ষেপ করে বলল,’আমি কি দেখতে বখাটের মতো?’
নিনিতের কথা শুনে তোহা জোরে হেসে ফেলল।নিনিত তোহাকে ফিসফিসিয়ে বলে, ‘তোমার এই বোন আমাকে অনেক জ্বালিয়েছে বাসে।বার বার আগুন চোখে তাকিয়েছে।এখন আমি জ্বালাবো।তুমি শুধু দেখ।’

কথা শেষ করেই নিনিত তোহাকে কাঁধে তুলে নেয়।এরপর উল্টো দৌড়াতে থাকে।নুপুর আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব।সে নিনিতকে পিছনে ধাওয়া করে চেঁচিয়ে উঠল, ‘কিডন্যাপার,কিডন্যাপার।কেউ ধরুন।মেয়েধরা…”

নুপুর খেয়াল করেনি বিপ্লব তার পিছু আসছে না।কারণ,বিপ্লব নিনিতের মুখ দেখেই চিনে ফেলেছে।নুপুরকে কিছু বলার পূর্বেই নিনিতকে ধাওয়া করে নুপুর।

সমুদ্রের তীর ঘেষে নিনিত যেদিকে চোখ যায় দৌড়াচ্ছে।পিছন পিছন নুপুর।তোহার হাসতে হাসতে পেটে ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে।চুলের জন্য তোহার মুখ দেখা যাচ্ছে না।তাই, নুপুর তোহার হাসি দেখছে না।বিপ্লব দূর থেকে সেই দৃশ্য দেখে হেসে উঠলো গগন কাঁপিয়ে।সমুদ্রের গর্জনের চাপায় পড়ল সেই হাসি।জমিনের এই দৃশ্য দেখে যেন আকাশের চাঁদও হাসছে।

সমাপ্ত।
®ইলমা বেহরোজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here