সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ১১
আরাধ্যা ঢুলতে ঢুলতে বলল আজকে অনেক কথা আছে তোমার সাথে।
আরিয়ানঃ কি বলতেছো এগুলো? তুমি মানে?
এই তুমি ড্রিংক করছো?
আরাধ্যাঃ আমি ওগুলো খেতে চাইনি। কি না কি খাইছি।(কেঁদে কেঁদে)😭😭
আরিয়ানঃ হইছে। আর কান্না করতে হবে না,
যাও অনেক রাত হইছে ঘুমাও।
আরাধ্যাঃ আজকে আমি এখানে ঘুমাবো 😁😁
তোমার সাথে।
আসো আমরা সেলফি নি।
আরিয়ানের ফোন হতে নিয়ে বলল আরু।
টাচ লেগে কখন ভিডিও হতে লাগলো কেউ খেয়ালি করে নি।
জানো তোমাকে আমার অনেএএএএএএএক কিছু বলার আছে। তুমি নাকি সব প্ল্যান করছিলা আমার জন্য? তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
আরিয়ানঃ কেন? তুমি বাসো নাকি?
আরাধ্যাঃ একদম,
খুব ভালোবাসি।
আরিয়ানঃ তাই নাকি?
তা কখনো বললে না যে?
আরাধ্যাঃ কেমনে বলতাম?
তুমি তো সারাক্ষণ আমাকে বকা দাও( মুখ ফুলিয়ে) 😔
আরিয়ানঃ তা তো তোমার ভালোর জন্য৷ তোমার পাশে যে আমার কাউকে সহ্য হয় না। কি করবো বলো? ভালোবাসি তো খুব।
ওকে আর বকবো না।
আরাধ্যাঃ সত্যিই? তাহলে আমাকে আদর করো।
আরিয়ানঃ কিইইইইইহ?
আরাধ্যাঃ হুমম। এখোনি,
না হয় আমি কিন্তু কান্না করবো। বলেই জোরে জোরে কাঁদতে লাগলো৷
আরিয়ানঃ ওরে আল্লাহ। এই মেয়ে আমার ইজ্জত রাখবে না। শুন প্লিজ চিল্লাইও না। তুমি যা চাইবা তাই হবে৷
আরাধ্যাঃ সত্যিই? আসো আদর করবো। বলেই আরিয়ানকে খাটের উপর ফেলে দেয়। তারপর আরিয়ানের উপর উঠে যায়, আর ওর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। দুজন দুজনকে শক্ত করে জড়িয়ে আছে। ওরা যেন এক ঘোরের মধ্যে আছে। আরিয়ান আরাধ্যার জামার পিছনে হাত দিয়ে চেইন টা খুলে ফেলে,
জামা টা কাধ থেকে একটু নিচে নামিয়ে দেয়।
আরাধ্যাকে নিজের উপর থেকে সরিয়ে, নিজের ভর টা আরাধ্যার উপর দেয়।
আরাধ্যার ঘাড়ে গলায় পাগলের মতো আদর করতে থাকে।
আরাধ্যা চোখ বন্ধ করে নেয়। আরিয়ানকে আরো শক্ত করে ধরে রাখে। নখ দিয়ে আরিয়ানের গলায় খামচে ধরে। আস্তে আস্তে আবার আরাধ্যার ঠোঁটের কাছে চলে যায় আরিয়ান।
আরাধ্যা আরিয়ানের ঠোঁটে আদর করতে করতে কামড়ে দিলেই। আরিয়ানের ঘোর কাটে।
আরিয়ানঃ উফফফফ কি করছো? আরাধ্যা কে ছেড়ে এক লাফে উঠে যায়।
আরাধ্যাঃ উমমম,
আদরই তো করছি।
আরিয়ানঃ আরু,
প্লিজ তোমার রুমে চলো৷ অনেক রাত হইছে
তোমার ঘুমানোর দরকার,
সকালে কথা হবে।
আরাধ্যাঃ না। আমি এখানেই থাকবো। তোমার বুকের মধ্যে ঘুমাবো। 😘
আরিয়ান মনে মনে ভাবলো এখন এখানেই ঘুমিয়ে যাক আরু। ঘুম এসে পড়লে রুমে দিয়ে আসবো। এখন কোনো কথা শুনবে না মেয়ে টা।
আরিয়ানঃ ওকে।
আরাধ্যাঃ আসো,
ঘুমাই।
আরিয়ানের বুকের উপর শুয়ে পড়লো আরু। আরিয়ান ওর চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে। পাঁচ মিনিটেই ঘুমের দেশে ডুব দিল আরু।
এভাবেই চেয়েছি সব সময় আমার আরাধ্যাকে। ভালোবাসে ও আমাকে। কালই বলল বিয়ের কথা।
মনে মনে ভাবলো আরিয়ান।
দেখলো আরাধ্যা ঘুমিয়ে গেছে।
কি মায়া লাগছে ওকে ঘুমের মধ্যে। আর বেশী দিন নয় আমরা এভাবেই ঘুমাবো প্রিয়তি।
আরুর দিকে চেয়ে বলল আরিয়ান। আলতো করে ওর ঠোঁট ছুঁয়ে দিল আরাধ্যার গালে।
তারপর আস্তে কোলে করে ওকে রুমে নিয়ে গেল। খাটে শুইয়ে দিল।
ওকে বুঝতে দেওয়া যাবে না,
রাতের কথা।
শুধু শুধু নিজেকে দোষ দিবে। মনে মনে বলল আরিয়ান।
না। ফার্ম হাউসে গিয়ে একটু একা থাকি ভালো লাগবে।
.
.
.
রাত বার টা বাজছে।
রাজের সাথে ফোনে কথা বলছে রিধি।
রিধিঃ আজ একটু বেশি হয়ে গেছে।
রাজঃ বেশি আর কই হলো?
শুধু আদরই তো করলাম।
মানুষ আরো কতো কিছু করে।
রিধিঃ আগে ভাইয়াকে আমাদের কথা বলো।
তারপর সব।
রাজঃ তোমার ভাইয়া সব জানেও। কথা টা মনে মনেই বলল।
আচ্ছা বলবো।
রিধিঃ আচ্ছা। গুড নাইট।
অনেক রাত হয়েছে।
রাজঃ ওকে বেবি,
লাভ ইউ।
.
.
.
আরিয়ান ফার্ম হাউসে আসলো।
আরিয়ানঃ একটু ফ্রেশ হয়ে নি। ওয়াশরুমে গিয়ে শার্ট খুলতেই নিজেকে আয়নায় দেখলো আরিয়ান। বুকে গলায় অসংখ্য নখের আঁচড়। ঠোঁট টা ফুলে লাল হয়ে আছে। নিজেকে বেশ ভালোই লাগছে আরিয়ানের।
সব ভালোবাসার দাগ।
.
.
.
সকাল হয়ে গেছে।
মাথাটা এমন ঝিম ঝিম করছে কেন আমার। রাতে তো নিচে ছিলাম উপরে এলাম কেমনে?
নিজেই হয়তো এসছি।
খাটের উপর বসে বসে ভাবছে আরাধ্যা।
গুড মর্নিং আরু।
আরাধ্যাঃ রিধি,
ভেতরে আয়।
রিধিঃ কিরে তুই এখনও চেঞ্জ করিস নি?
আরাধ্যাঃ না রে। ঘুমাই গেছিলাম।
আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে নিচে আয়। আমি যাচ্ছি বলল রিধি।
আরাধ্যাঃ হুম।
.
.
.
সবাই খাবার টেবিলে বসে আছে।
ফাতেমা বেগম বলে উঠলো সবাই আছে আরিয়ান কোথায়?
জানিনা আম্মু।
ভাইয়া রুমে নেই সেই সকালেই খুজতে গেছিলাম। রুমে ছিল না।
মায়ের উদ্দেশ্যে বলল রিধি।
আরাধ্যা ভাবছে।
কোথায় গেল স্যার?
থ্যাংকস টা ও বলা হয়নি।
মনের কথা টা আজ বলেই দিব স্যারকে।
.
.
.
গুড মর্নিং।
বাসায় ঢুকতে ঢুকতে বলল আরিয়ান।
ফাতেমা বেগমঃ কোথায় ছিলি তুই?
আয় খেতে বস।
ভাইয়া তোর ঠোঁটে কি হইছে? অমন লাল হয়ে আছে কেন রে?
আরিয়ানের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো রিধি।
আসোলে
.
.
.
তার মানে স্যার কালকে রাতে ওনার গফের সাথে ছিল? আর আমি কতো কিছুই না ভেবে ফেলছি।
ভাবতেই আরাধ্যার চোখে পানি চলে আসে।