সীমাহীন পর্ব ১০

সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ১০
সারা ঘর বেলুন দিয়ে সাজানো। বিভিন্ন কালারের জরি সারা রুমে ছিটিয়ে আছে। ব্যাপার টা কি?
এতো আয়োজন কিসের?
রুম থেকে বের হতেই দেখলো দরজার সামনে ইমোজি বেলুন কতোওওওও গুলো। এতোওওওওওও কিউট বেলুন গুলো। সারা সিড়িতে জরি আর বেলুন ছড়ানো।
আরাধ্যাঃ রিধিইইইইই রিধিইইইইই। কইইইই তুইইই দেখ কি সুন্দর বেলুন কতো গুলো।
আল্লাহ হাওয়াই মিঠাই এতো গুলো সোফায় কে রাখছে? সাদা গোলাপি লাল এতো কালেরের হাওয়াই মিঠাই। উফফফফ আমি তো আজ খুশীতে পাগল হয়ে যাব। বাসার সবাই কইইই?
আল্লাহ ঘড়িতে ১২ টা বাজে। এতো লেট হলো কেন যে আজ উঠতে,
এলার্ম টা কে যে অফ করে দিছিলো। আর বাসায় সবাই কইই?
ফোন টাও খুজে পাচ্ছি না।
কি যে করি? চকোলেট? ওওও ডেইরি মিল্ক, কিটকাট, গেলাক্সি🍫🍫🍫 উমমমম আর কতো কি যে পাবোওওও?
ফ্রিজের ডিফের উপর ওটা কি লেখা?
এটা খোলো?
ওওওওমাআয়ায়ায়ায়াইই
আল্লাহ 😮😮😮😮😮😱😱😱😱😱😱 আইসক্রিম
কিন্তু বাসার কেউ নেই কেন?
যাই হোক।
চকোলেট গুলো কেমন আমার দিকে চেয়ে আছে 😥 আইসক্রিম গুলোও তাই।
আগে এগুলো খেয়েনি।
পরে অন্য সব ভাবা যাবে।
উফফফ ফ্রেশ ও তো হলাম না। আগে ফ্রেশ হয়েনি।
চকোলেট গুলো সাথে নিয়ে গেল ভালো৷ আর যদি বিড়াল এসে নিয়ে যায়।
আরাধ্যা উপরে নিজের রুমে চলে গেল।
ফ্রেশ হয়ে নিল।
টিভি অন করে চকোলেট হাতে নিয়ে বসলো। চকোলেট খেতে খেতে টিভি দেখতে লাগলো।
এভাবে ঘুম এসে গেল আরাধ্যার।
সন্ধায় হঠাৎ হৈচৈ শুনে ঘুম ভেংগে গেল আরুর।
রুম থেকে বের হতেই দেখলো একটা বক্স।
আরাধ্যা বক্স টা খুলে দেখলো একটা সাদা গাউন। হাতা থেকে গলার অর্ধেক নেটের। গলায় উপর ছোট ছোট লাল গোলাপ বসানো। নিচে দিয়েও সেরকম কাজ।
একটা কাগজও পেল বক্সে। গাউন টা পরে নিচে আসো।
আরাধ্যা গাউন টা পরে সাথে হালকা লাল লিপ্পি। কানে লাল সাদা পাথরের ঝুমকা পরলো৷ দেখতে তাকে পরির চেয়ে কম লাগছে না। নিচে নামতেই লাইট আফ হয়ে গেল। হঠাৎ লাইট জ্বলে উঠে। আর সবাই এক সাথে উঠলো হ্যাপি বার্থডে আরাধ্যা।
আজ আমার বার্থডে। আর আমার মনেই ছিল না। ইসসস,
মনে মনে বলল আরাধ্যা।
সাবাই আছে কিন্তু আরাধ্যার দুই চোখ শুধু আরিয়ানাকেই খুজছে। কই স্যার? সাবাই আছে তাও স্যারের জন্য এমন অস্থির লাগছে কেন আমার। মনে মনে বলল আরাধ্যা। এর মাঝেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এলো আরিয়ান হাতে কেক নিয়ে। হ্যাপি বার্থডে মাই কুইন। মেনি মেনি হ্যাপি রিটার্নস অফ দা ডে।
এবার কেক টা তো কাট।
আরাধ্যার উদ্দেশ্যে কথা টা বলল আরিয়ান। কেক কাটার পর্ব শেষ হলো। সবাই উইস করলো আরুকে। গিফট দিল।
সারপ্রাইজ কেমন হলো?
আরুউউউ। বলল রিধি।
আরুঃ দারুউউউউউণ
তুই করছিলি সব?
রিধিঃ আমি তো জাস্ট ভাইয়াকে হেল্প করছি। কাল রাত থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সব প্ল্যান কিন্তু ভাইয়ার। সব ভাইয়া করছে।
আরুঃ সত্যিইইই???
রিধিঃ হুমমম
আরুঃ গলাটা একদম শুকিয়ে গেছে। একটু জুস খাই চল।
রিধিঃ তুই যা। আমি একটু রাজের সাথে কথা বলি।
আরুঃ ওওও প্রেম হপ্পে বুঝি? 😎😉😉😉
রিধিঃ যা তো।
আরাধ্যা জুস খেতে চলে গেল। স্যার কোথায় স্যারকে একটা থ্যাংকস বলা দরকার। মনে মনে ভাবলো আরু। এদিক ওদিক তাকাছে আর একটা জুস নিয়ে এক ঢোকে খেয়ে নিল৷ ইইইই কেমন যে ছিল?
যাক গলা টা তো ভিজলো।
.
.
.
রাজঃ এই যে মিস? কই ছিলে তুমি? খুজতে খুজতে পাগল হয়ে গেছি।
উফফফসস আজকে তো তোমাকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। ইসসস ইচ্ছে করছে আজই বিয়ে করে বাসর করে ফেলি।
রিধিঃ যাও তো ফাজিল।
খালি বাজে কথা।
রাজঃ আসো না একটু রুমে যাই।
রিধিঃ উমম, যাবা?
রাজঃ এতো ভাবার কি আছে? চলো না পাখিইইইই
.
.
.
পার্টি প্রায় শেষ। সবাই বাসায় চলে যাচ্ছে। আরাধ্যার সাথে কথা বলে।
মাথাটা এমন ঘুরছে কেন আমার? কি যে হয়েছে? বলল আরাধ্যা। সবাই চলে গেছে।
.
.
.
আরাধ্যা ভাবছে স্যার কোথায়? স্যারের সাথে তো কথাই বলা হলো না।
খুজতে খুজতে আরিয়ানের রুমে চলে গেল৷
আরুঃ স্যার।
আরিয়ান পিছনে ফিরে দেখলো আরাধ্যা দাঁড়িয়ে আছে। ভেতরে আসো বলল আরিয়ান।
আরাধ্যা আরিয়ানের রুমের ভেতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল।
আরিয়ানঃ ওই কি হইছে তোমার? দরজা বন্ধ করলে কেন?
আরুঃ আজ অনেক কথা আছে তোমার সাথে। ঢুলতে ঢুলতে।
চলবে………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here