#সীমাহীন
#Aradhya_Ariya
#পর্ব ২
ওরা দুজন নিচে গিয়ে দেখলো,
আরাধ্যার ফোনটা আরিয়ানের পায়ের কাছে পড়ে আছে। টুকরো টুকরো হয়ে।
আরিয়ানের আম্মু আব্বু বোন রেশমী আর রিধিতা ও আরাধ্যা সবাই এখন নিচে আছে।
এসির ভেতরে ও আরিয়ান ঘামছে, চোখ দুটো রাগে লাল হয়ে আছে।
.
.
.
.
আরিয়ানঃ নীল কে? কেন কল দেয় তোমাকে?কি দরকার তোমার কাছে?কি চায় ও?
এক নিশ্বাসে সব কথা বলল আরাধ্যার দিকে তাকিয়ে।
আরাধ্যা ভয়ে কাঁপছে, নিচে দিকে তাকিয়ে আছে।আর চোখের পানি পড়ছে অনবত।
আরিয়ানঃ চুপ করে আছো কেন?উত্তর দাও আমাকে।
(ধমক দিয়ে)
আরাধ্যাঃ আসলে স্যার
নীল আমার সাথেই পড়ে। একটা সাবজেক্টে ওর প্রবলেম, তাই ও আমাকে ফোন দিছে। ওকে একটু হেল্প করার জন্য।
আরিয়ানঃ ক্লাসে আর কেউই কি নেই তুমি ছাড়া?তোমাকেই ফোন দিতে হবে কেন?
ওকে আর কিছু বলল না আমি। ফোন ব্যবহার করা নিষেধ তোমার।
এ বাড়িতে কেউ যদি ওকে ফোন ব্যবহার করতে দেয়,
তবে তার শেষ দিন হবে এ বাড়িতে।
কথা টা বলেই রাগে গজগজ করতে করতে উপরে চলে যায় আরিয়ান।
.
.
.
.
কেউ কিছু বলল না সবাই বেশ ভয় পায় আরিয়ানকে।
এ বাড়িতে ওর কথাই শেষ কথা। সবাই চলে গেল নিজ নিজ কাজে।
.
.
.
আরাধ্যা নিজের রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিল।
কেন এমন করছ আমার সাথে আল্লাহ?
কি দোষ আমার?
এসব ভাবছে আর কাঁদছে আরাধ্যা।
.
.
.
কিছুক্ষণ পরে সে ভাবলো,
আমি এ বাড়িতে না থাকলেই হয়তো এসব সহ্য করতে হবে না।আমিই সবার বোঝা।
.
.
.
বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছয় বছর আগের অতীতে ডুব দিল আরাধ্যা।
চলবে……..
.
.
.