#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_9
মাঝে কেঁটে গেছে পাঁচ পাঁচ টা দিন।
এর মাঝে ফারাবি বাসা থেকে বের হয় নি এক মুহুর্তের জন্য ও।
এক প্রকার ঘরের ভেতর নিজেকে বন্দি করে রেখেছে।
মূলত ফারহানের থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্যই এই পথ।
ফারহানের রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে যাচ্ছে।
পাঁচ দিনের মধ্যে ফারাবির মুখ এক সেকেন্ডের জন্য ও দর্শন হয় নি ওর।
ফারহান যতবার বাড়িতে এসেছে ততোবার ওয়াসরুমে কিংবা নিজের রুমে গিয়ে বসে ছিলো ফারাবি।
রিমি আসলে চেক করে নিয়ে দরজা খুলেছে।
ফারহানের ইচ্ছে হচ্ছে মেয়েটার গালে চট করে থাপ্পর বসিয়ে দিতে।
তারপর যখন বাচ্চা দের মতো ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদবে তখন আবার আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিতে।
ফারাবি কেন বুঝতে চায় না ফারহান ওকে কতোটা ভালোবাসে।
ফোঁস করে দম ফেললো ফারহান।
সব কিছু বিষাক্ত মনে হচ্ছে, আকাশের তাঁরা গুলো ঝিক মিক করছে ।
কিন্তু এ সৌন্দর্য ওর মন কাড়তে পারছে নাহ।
মনের ভেতর ঢেউ চলছে , ঘূর্ণিঝড়ের দমকা ঢেউ।
যখন তখন মৃত্যু নিশ্চিত।
আজ যে করেই হোক ফারাবির সাথে দেখা করতেই হবে। না হলে শ্বাস রোধ হয়ে মারা যাবে ওহ।
এক মুহূর্তের জন্য চোখের দেখা হলে ও দেখবে।
না হলে ফারহান পুরো পাগল হয়ে যাবে, জ্বলে পুরে ছাই হয়ে যাবে ।
পাগল পাগল মনে হচ্ছে, গত তিন টে বছর নিজেকে কি করে বুঝিয়েছে ও জানে নাহহ।
কিন্তু এতো কাছাকাছি এসে নিজে কে দমিয়ে রাখতে পারছে না ওহহ।
রাত প্রায় বারোটা ছাড়িয়ে এতো রাতে কেউ জেগে নেই।
মোটামুটি,, এই সময় টাতে ক্লান্ত শহর টা নিস্তেজ হয়ে পরে। আর শহরের ব্যস্ত মানুষ গুলো সবাই ঘুমিয়ে থাকে হাতে গোনা কয়েক জন ছাড়া।
ফারহান কালো জ্যাকেট পরে বাসার পেছন গেইট দিয়ে বের হলো।
বাসা থেকে বেরিয়ে এসে মাথায় জ্যাকেটের টুপি টা দিয়ে নিলো আর মুখে সুপারম্যান এর মাস্ক।
ফারাবির বাসার পাঁচিল বেশি উঁচু নয় তাই ফারহান এক নিমিষেই পাঁচিল টপকে গেল।
বাগানের ভেতর দিয়ে পা টিপে টিপে যেতে লাগলো।
দাড়োয়ান টের পেলে আবার মহা ঝামেলা।
ফারহান বাড়ির পেছন দিক টায় চলে এলো।
বাসার সামনের দিক টাতে বড় দের ঘর।
আর পেছনের দিক থেকে গেলে ডান পাশের শেষের রুম টা ফারাবির।
আর সব থেকে ভালো বিষয় ফারাবির রুমের আগের দুটো রুম গেস্ট রুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
যেহেতু ওদের বাসার সব গুলো রুমে সাউন্ড প্রুফ সিস্টেম নেই তাই একটু মুশকিল ছিলো।
কিন্তু এখন বিষয় টা সহজ হয়ে গেল।
ডুপ্লেক্স বাসা টার দিকে তাকিয়ে ফারহান শ্বাস নিলো।
নিচ তলাতে কেউ থাকে না , শুধু দুজন মেড থাকেন আর বাকি ঘর গুলো ফাঁকা ।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নিচ তলা দিয়ে যেতে পারবে নাহহ।
কারন সিঁড়ি বেয়ে উঠলে বড় দের রুম গুলো বরাবর।
কেউ জেগে থাকলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
ফারহান তপ্ত শ্বাস ফেলে দেয়াল বেয়ে উঠতে লাগলো।
একের পর এক ব্যলকনি টপকে টপকে উপরে উঠতে লাগলো।
প্রায় দশ মিনিটের মাথায় দোতলায় উঠে গেল।
ফারাবির ব্যলকনি টা খোলা বারান্দা ।
তাই ফারাহান সেই ব্যলকনিতেই চলে আসলো।
ভেতরে যেতে হলে ব্যলকনি আর না হলে সিঁড়িগর দিয়ে যেতে।
ছাঁদ থেকে যেতে গেলে ধরা পরার চান্স আছে।
সব থেকে সেফ আর সহজ ব্যলকনি দিয়েই ঢোকা।
ফারাবির ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে ই ফারহান দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
দশ মিনিট কষ্ট করেছে সাথে বিদঘুটে জ্যাকেট।
ভ্যাপসা গরমের মাঝে যেন একদম সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এতো এতো পরিশ্রম শেষে কাঙ্খিত মুখ টা দেখতে পেলেই শান্তি।
ফারহান ব্যস্ত ভঙ্গিতে ব্যলকনির লক খোলার জন্য কিছু খুঁজতে লাগলো।
চাবি ছাড়া খোলার জন্য ক্লিপ প্রয়োজন।
ফারহান যে ক্লিপ এনেছে তাতে কাজ হচ্ছে নাহহ।
ফারহান মাথা চেপে ধরলো।
এতো পরিশ্রমের পর যদি ফল হয় শূন্য তখন মাথা নষ্ট হওয়ার ই কথা।
ফারহান নিজের মাথার চুল গুলো খামচে ধরে এলোমেলো করতে লাগলো।
এই মেয়েটা ওকেই মেরেই ফেলবে।
কেন এতো শত দূরত্ব রাখে ওহহ ?
চোখের দেখা অব্দি দেবে নাহহ।
ফারহান চোখ বন্ধ করে মাথা ঠান্ডা করলো।
নাহহ আজ ফারাবির কাছে পৌছেই ছাড়বে।
ফারহান দুটো ক্লিপ নিয়ে বাঁকাতে লাগলো।
নানা রখম ভাবে ক্লিপ এর সেপ দিলো।
প্রায় আধ ঘন্টা চেষ্টা করার পর লক খুলে গেল।
ফারহানের চোখে মুখে খুশির ঝলক দিলো।
ফারহানের ইচ্ছে হলো লাফাতে।
কৈশোর এ যেমন সূক্ষ্ম বিজয়ে অস্কার জয়ের মতো লাফাতো ঠিক তেমনি।
ফারহান বুক ফুলিয়ে প্রশস্ত হাসলো।
দরজা খুলে ভেতরে যেতে না যেতে দুম করে ওর বাহুতে টচ লাইটের বারি পরলো।
ফারহান সামান্য ব্যাথায় আহহ করে উঠলো।
যদি ও ব্যাথা টা খুব ই অল্প তবে হঠাৎ আক্রমণে চমকেই আহ করেছে ফারহান ।
ড্রিম লাইটের আলো তে ফারহান কে দেখে ভরকে গেল ফারাবি।
চমকে চিৎকার দিতে গেলেই ফারহান মুখ চেঁপে ধরলো।
ফারাবি উমমম উমম করতে লাগলো।
ফারহান ধীর কন্ঠে বলল
_ চেঁচাবি না একদম।
গন কেলানি খাওয়ানোর ধান্না করেছিস নাকি?
ফারাবি মাথা ঝাঁকালো।
ফারহান শ্বাস ফেলে ফারাবি কে ছেড়ে দিলো।
ফারাবি ছিটকে গিয়ে পাঁচ হাত দূরে দাঁড়ালো।
ঘন ঘন শ্বাস ফেলতে লাগলো।
মনে হচ্ছে ওর মাথায় কেউ বন্দুক ধরে আছে।
ফারাবি ভয়ে একদম চুপসে গেছে ।
ফারহান কে টচ দিয়ে বারি মেরেছে।
ইসসস বিষয় টা কি লজ্জার।
ওর ই বা কি দোষ , ব্যলকনির লকে খট খট আওয়াজ হচ্ছিলো।
ফারাবির ঘুম আসছিলো নাহহ তাই চোখ বুজে ছিলো।
আওয়াজ গাঢ় হতেই তা ওর কানে পৌছালো।
আর লাফিয়ে পাশে থাকা লোহা স্টিলের টচ লাইট নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো।
কেউ আসলেই টাকে বারি মেরে দিবো ভেবে।
আর তখনি ব্যলকনির দরজা খুলে ফারহান এন্ট্রি নেয় আর ফারাবি চোখ বন্ধ করে জোরে বারি মেরে দেয়।
ফারহান মুখে গম্ভীরতা নিয়ে বেডে বসে আছে।
আড়চোখে ফারাবি কে দেখতেই গগন কাঁপিয়ে হাসি এলো তার।
মুখ চেপে হাসি থামালো।
ফারাবি এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন কেউ ওকে মেরেই ফেলবে।
চোখ থেকে যখন তখন বর্ষন নেমে যাবে।
ফারহান পুরোপুরি রিয়েক্টশন দেখার জন্য চোখে মুখে রাগ ফুটিয়ে তুললো।
গলা খাকাড়ি দিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলল
_ ফারাবি
ফারাবি আর নিতে পারলো নাহহ।
মুহুর্তেই হু হু করে কেঁদে দিলো । ফারহান তাজ্জব বনে গেল। ফারাবি ঠোঁট উল্টিয়ে কাঁদতে লাগলো। ফারহান উঠে গিয়ে ওর কাছে আসলো।
ফারাবি চোখ বন্ধ করেই ঠোঁট উল্টিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল
_ আমি আপনাকে ইচ্ছে করে মারি নিহহ।
আমি তো ভেবেছিলাম চোর হবে তাই চোখ বন্ধ করেই মেরে দিয়েছি।
ফারাবির কথা শুনে ফারহান এক দৃষ্টি তে তাকিয়ে রইলো।
ইসসস তাকে নাকি চোর ভেবেছিলো।
লজ্জায় এক গ্লাস পানিতে ডুব দিতে ইচ্ছে হচ্ছে ওর।
ফারাবি কাঁদতে কাঁদতে আবার বলতে লাগলো।
_ আমি আর এমন করবো নাহহহ। প্লিজ আমায় punish দিবেন নাহহ।
ফারহান হো হো করে হেসে উঠলো। পেট ফেটে হাসি আসছে ওর । ওকে ভালোবাসে তা জানার পর ও একটা মেয়ে কি করে এতো টা ভয় পেতে পারে ?
হাউ
ফারহান হাসি থামিয়ে বলল
_ পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য হলি তুই।
ফারাবি নাক টেনে বলল
_ কিহহহ।
ফারহান উঠে দাঁড়ালো, ফারাবির চার পাশে চক্কর লাগাতে লাগাতে বলল
_ এই যে আমাকে জমের মতো ভয় পাস।
আমি মানছি আমি একটু রাগি , রগচটা , তোর ভাষ্যমতে বজ্জাত হনুমান তা ও আবার রসকষ হীন।
তাই বলে এতো টা ভয় পেতে হবে ?
আমি হলপ করে বলতে পারি বাঘের সামনে তোকে ফেললে ও এতো টা ভয় পাবি না তুই।
ফারাবি ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকিয়ে সামান্য বিরক্তি নিয়ে বলল
_ আজব তা কেন হতে যাবে ?
বাঘের সামনে পরলে বাঘ তো আমায় খেয়েই ফেলবে আর আপনি তো খেয়ে ফেলল
ফারাবি দু হাতে মুখ চেপে ধরলো।
ভুল জায়গায় ভুল বানী ছুঁড়ে দিয়েছে সে।
এখন নিশ্চয়ই ফারহান তার লাগামহীন কান্ড করবে।
ফারাবি শুকনো ঢোক গিললো।
মনে মনে নিজেকে এক গাঁদা গালি দিলো।
এই অন্যমনস্কের জন্য বার বার ফারহানের হাতে পরতে হয় ওকে।
ফারহান কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে থেকে ধীর পায়ে আগাতে লাগলো।
ফারাবি পিছিয়ে যেতেই দেয়ালের সাথে বারি খেল।
ফারহান টেনে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো।
ফারাবির শ্বাস আটকে গেল। ফারহানের উষ্ণ নিশ্বাস এসে পরছে ওর গাঁয়ে।
অস্বস্তি, লজ্জা আর ভালো লাগা সব গুলো মিলিয়ে বিচিত্র অনুভূতি কাজ করতে লাগলো।
ফারহান ঘোর লাগানো কন্ঠে বলল
_ এতো কাছে থেকে যে অনুভূতি গুলো হচ্ছে তা আমাকে আসক্ত করে ফেলছে।
এই বুকের মাঝে রেখে শান্তির নিশ্বাস ফেলতে চাই।
রোজ এ অনুভূতির সাথে নতুন ভাবে পরিচিত হতে চাই।
আর তুই কি না আমার থেকে হাজার মাইল দূরে থাকিস।
অনুভব কর আমায় ট্রাস্ট মি ছেড়ে থাকতে পারবি নাহহ।
ফারহান থামলো লম্বা করে শ্বাস নিয়ে আবার বলা শুরু করলো
_ ছোট্ট ফারাবি অনেক বড় হয়ে গেছে তাই নাহহ ?
সবাই বিয়ের কথা বলতেই সে বিরোধীতা করলো নাহহ।
কি যেন নাম ঐ যে তোর মামাতো ভাই হয় ।ওহহহ হ্যাঁ রিক , ওকে বিয়ে করবি তুই ?
একবার ও বারন করলি নাহহ ?
পরিবার কে এতো এতো ভালোবাসিস ?
ফারাবি মুখ ঘুরিয়ে কান্না আটকে ধরলো। পরিবারের কথার পৃষ্ঠে কি বলতে পারে ওহ?
ফারহান তপ্ত হাসলো।
ঠোঁটের কোনে তাচ্ছিল্য হাসি ফুটিয়ে বলল
_ রিক কে ভালোবাসিস ?
ফারাবি ছলছল নয়নে চমকে তাকালো। ফারহানের চোখে পানি চিক চিক করছে। ফারহানের ঘন নিশ্বাস বলে দিচ্ছে ঠিক কতোটা পুরছে ওহহ।
ফারাবির বুক ফেঁটে কাঁদতে ইচ্ছে হলো। এতো শত রকমের যন্ত্রণা নিতে পারছে নাহহ ওহ।
ঠিক ভুল কিছু বুঝে উঠতে পারছে নাহহ , সব কেমন ধোঁয়াশা লাগছে ।
ফারহান নেশাক্ত চোখে তাকিয়ে ফারাবির কপালে অধর ছোঁয়ালো।
আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো ওহহহ। নাকে নাক ঘষতে ঘষতে শান্ত কন্ঠে বলল
_ আমার প্রতি তোর রাগ হয় ?
ফারাবি মাথা ঝাঁকালো। ফারহান মলিন হাসলো , সরস গলায় বলল
_ তাহলে ? আমার থেকে তোর এতো দুরুত্ব কেন ?
আমি তোর কেউ হই নাহহ ?
ফারাবি মাথা নিচু করে রইলো।
উত্তর নেই ওর কাছে। বুক টা ধুকপক করতে লাগলো।গলায় এসে সব আটকে যাচ্ছে। ভেতর আর বাইরের সাথে মহা যুদ্ধ হচ্ছে। দু রকমের মত ওকে এলোমেলো করে দিচ্ছে ।
ফারহান ছলছল নয়নে তাকিয়ে থেকে ফারাবির ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে দিলো।
নেশা হয়ে গেছে ওর এই ছোট্ট মেয়ে টার নেশা।
ফারাবির শরীরের মিষ্টি ঘ্রান টা উম্মাদ করে দিচ্ছে।
গলার ভেতরে এক রাশ অবাধ্য চাওয়া এসে আটকে যাচ্ছে।
ইচ্ছে গুলো মলিন হয়ে যাচ্ছে।
ফারাবি পারছে না আর , ফারহানের ছোঁয়া গাঢ় হচ্ছে।
ফারাবি দু হাতে ফারহান কে আটকালো।
ফারহান বিরক্ত বোধ করলো।
ফারাবির গলা ছেড়ে এক হাতে চুল ধরে অন্য হাতে জড়িয়ে ধরে নাকের কাছে মুখ নিয়ে ছোট্ট করে চুমু খেল।
ফারাবি খামচে ধরলো ফারহান কে। ফারহান বিগলিত হেসে সরস কন্ঠে বলল
_ অনেক অনুভূতি দিতে চাই।
না চাইলে ও দিতে চাই, আর সব শেষে শুধু তোকে চাই।
ফারাবির শ্বাস বেড়ে গেল। ফারহান বিষয় টা লক্ষ্য করে ফোঁস করে শ্বাস ফেলল।
এই মেয়েটা ওর কাছে আসলেই পাগল হয়ে যায়।
একটু ও নিতে পারে না ওকে , আদৌ কি সম্ভব ওর থেকে পালানোর ?
উহহুমমম সম্ভব নয়।
ফারহান অভিমান নিয়ে আদুরে কন্ঠে বলল
_ একটা কথা রাখবি তুই ?
ফারাবি কিছু বলল নাহহ।
ফারহান দীর্ঘশ্বাস টেনে বলল
_ একটু ঘুমাতে চাই আমি। বহু দিন হয়ে গেছে ঘুমাতে পারি নাহহ।
চোখ গুলো দেখ লাল হয়ে গেছে। শান্তি পাচ্ছি না আমি।
একটু কোলে মাথা রেখে ঘুম পারিয়ে দিবি।
ফারাবি অবাক চোখে তাকালো। ফারহান ঘড়িতে টাইম দেখে মিষ্টি কন্ঠে বলল
_ 1’19 বাজে প্রমিস 4’30 তে চলে যাবো।
আর 5 টার আগে কারো উঠার চান্স ই নেই।
ফারাবি ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে রইলো।
ফারহান প্রশস্ত হেসে ফারাবি কে টেনে নিয়ে বেডে বসিয়ে দিলো।
ফারাবি জানে হাজার চেষ্টা করে ও একে আটকানো যাবে নাহহ।
ফারাবি দীর্ঘশ্বাস ফেলে কোলে বালিশ রাখলো।
ফারহান নাক মুখ কুঁচকে নিয়ে বালিশ সরিয়ে দিলো।
ফারাবি প্রশ্নবোধক দৃষ্টি তে তাকাতেই ফারহান এক গাল হাসলো।
ফারাবি কিছু বলতে যাবে তার আগেই ফারহান সরস গলায় বলল
_ আই নো তুই ঘুমাতে পারবি নাহহ , আমাকে 4’30 তে ডেকে দিস আমি চলে যাবো তারপর তুই ঘুমোস।
ফারাবি মুখ উচিয়ে কিন্তু বলতেই ফারহান ঠোঁটের সামনে আঙুল দিয়ে বলল
_ হুসসস একদম নাহহ।
ফারাবি কে আর কিছু বলতে না দিয়েই ফারাবির কোলে মাথা রেখে দিলো ফারহান।
বালিশ জরিয়ে নিয়ে আবার বালিশ রেখে দিলো।
ফারাবির কোমর দু হাতে পেঁচিয়ে বাচ্চা দের মত করে বলল
_ একটু চুল টেনে দে নাহহ।
ফারাবি মাথা ঝাঁকিয়ে বিনাবাক্যে ফারহানের মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।
অতি যত্নে হালকা হাতে চুল টেনে দিলো।
ফারহান মুগ্ধ হেসে ফারাবি কে আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
ফারাবির বেশ অস্বস্তি হলে ও কিছু বললো নাহহ।
ফারহান এক গাল হেসে পেটে চুমু খেলো।
ফারাবি শিউরে উঠলো আনমনেই হেসে বলল
_ ছিইইই অসভ্য কে ও হাড় মানাবে এই লোকটা।
ফারহানের কানে সে কথা পৌছায় নি।
কারন সে তার প্রেয়সীর কোলে মাথা রেখে ঘুমে তলিয়ে গেছে।
ফারাবি লজ্জা হাসলো। হঠাৎ ই ভালো লাগা কাজ করছে।
কেন যেন নিজেকে পূর্ন পূর্ন লাগছে।
এই মানুষ টা প্রতি বার ই অন্য রকম জাদু নিয়ে আসে।
ইসসস তখন কি কাজ টাই না করে বসলো লোকটা।
ফারাবি লজ্জা হেসে ফারহানের নাক টেনে দিলো।
তারপর আবার হাসলো , কেন যেন খুব বেশি ই ভালো লাগছে ওর।
অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে । হঠাৎ ফারাবির বাজে এক ইচ্ছে হলো।
বেশ কিছুক্ষণ হাঁসফাঁস করতে করতে কাজ টা করেই ফেলল।
ফারহানের ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।
#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_10
ভোরের তীক্ষ্ম আলো হাজার মাইল পারি দিয়ে পৃথিবীতে মোহ ছড়াচ্ছে।
থেকে থেকে পাখির গুঞ্জন ও শোনা যাচ্ছে।
ফারাবির সে দিকে কোনো ধ্যান ই নেই। ফারাবি মত্ত ফারহান নামের ঝলকানির দিকে।
কি মিষ্টি দেখাচ্ছে ছেলেটাকে , ঠোঁটের কোনে অসাধারন এক মোহনীয় হাসি।
ফারাবি কখন থেকে ছেলেটা কে দেখে যাচ্ছে , কিন্তু এক ফোঁটা ক্লান্তি নেই তাতে ।
অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছে।
ফারাবি লাজুক হাসলো , কে জানতো এই ছেলেটার হাজার শাসনে লুকিয়ে আছে খাঁটি ভালোবাসা।
ফারাবি ভেবে পায় না ছেলেটা কেন এতো ভালোবাসে ওকে।
এতো এতো কেয়ার কেন করে ?
যে চোখ তুলে তাকায় তাকেই উপরে ফেলে।
ফারাবির ধ্যান ভাঙ্গলো ঘড়ির টিট টিট আওয়াজে।
মুহুর্তেই মুখ টা ছোট হয়ে গেল।
সময় কেন এতো তাড়াতাড়ি চলে যায় ?
মুখ গোমড়া করে ঘড়ির দিকে তাকাতেই ভরকে গেল ফারাবি।
5 টা বেজে গেছে, ইসস পুরো 30 মিনিট লেট হয়ে গেল।
ফারহানের দিকে তাকাতেই ফারাবির মুখে আড়ষ্টতা ভর করলো।
ছেলেটার ঘুম ভাঙাতে ইচ্ছে করছে না ওর।
কিন্তু উপায় নেই যে , ফারাবি দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
বুক ভরা শ্বাস নিয়ে ফারহানের মাথায় হাত বুলালো।
প্রশান্তি তে চমকে উঠলো ওর সবাঙ্গ। শ্বাস বেড়ে গেল সহস্র গতিতে ।
ধীর কন্ঠে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল
_ ফারহান ভাইয়া উঠুন। অনেক দেরি হয়ে গেছে, সবাই জেগে যাবে।
বার কয়েক ডাকার পর ও ফারহান উঠলো নাহহ।
ফারাবি রুদ্ধশ্বাস ফেলল।ধীরে ধীরে ধাক্কা দিতে দিতে বলল
_ উঠুন অনেক লেট হয়ে গেছে।
আরে উঠুন নাহহহ।
ফারহান চোখ পিট পিট করে তাকালো।
ফারাবি কিছু বলতে যাবে তার আগেই ফারাবির কোলে মাথা রেখেই কোমর আরো শক্ত করে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো।
ফারাবির পেটে সুরসুরি লেগে গেল।
ফারাবি তেতে বলল
_ উঠুন। কি ধরনের অসভ্যতামু এটা ?
ফারহান ঘুমো ঘুমো কন্ঠে বলল
_ এমন করছিস কেন ? আমি আর ও ঘুমাবো, একটু কষ্ট কর জান।
ফারাবি মুখ বাকালো , একা একাই বির বির করলো
_ এমন করছিস কেন জান। যত্তসব ফালতু লোক, আমার কোল কে সরকারি বালিশ পেয়েছে।
কোলে মাথা রেখে হয় না আবার কোমর জড়িয়ে আছে।
এতো এতো ঢং আর সহ্য হয় নাহহ।
ফারহান চোখ বোজা অবস্থাতেই ফারাবির পেটে চুমু খেল।
ফারাবি বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থেকে ফারহান কে জোরে ধাক্কালো।
এই সব ফালতু লোকের জন্য মায়া করতে নেই।
একে প্রথমেই যদি টেনে উঠাতাম তাহলে ঠিক ছিলো।
ফারাবির ধাক্কা ধাক্কি তে ফারহান উঠে বসলো। বিরক্তিতে ভরে গেছে সম্পূর্ণ মুখ। ফারাবি রুদ্রমুর্তি ধারন করে আছে।পা রছে না শুধু ফারহানের গলা টা টিপে ধরতে।
ফারহান বিরক্তি নিয়ে ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলল
_ একটু ঘুমিয়েই তো ছিলাম ,দিলি ঘুম টা নষ্ট করে।
ফারাবি ভেঙ্চি কেঁটে বলল
_ বাজে কয়টা ?
_ কেন তোর রুমে ঘড়ি নেই ?
ফারহানের কথায় ফারাবির ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় অব্দি রেগে উঠলো।
কিন্তু সেটা মুখ দিয়ে বের হওয়ার আগেই বাতাস হয়ে উবে গেল।
ফারাবি দীর্ঘশ্বাস ফেলল । ইসস যদি ফারহান কে দু চার টে গালি মারা যেত।
তাহলে বজ্জাত টা বুঝতো মজা।
ফারহান লম্বা করে হাত মেলে দিয়ে আড়মোড়া ভাঙলো।
এক হাত গিয়ে লাগলো ফারাবির মাথায়।
ফারাবি আহহ করে উঠতেই ফারহান এক গাল হাসলো।
ফারাবি চোখ বাঁকিয়ে নিলো।
এই সব ফালতু লোকের একশ হাতের মাঝে থাকাই ভয়ঙ্কর।
আর ও তো আছে কয়েক ইঞ্চি দূরে।
ফারহান চোখ ডলে নিয়ে ফোন অন করলো।ফোনে টাইম দেখে লাফিয়ে উঠলো। ফারাবি তাচ্ছিল্য হাসলো, ফারহান ব্যস্ত কন্ঠে বলল
_ এতো লেট হয়ে গেছে।
4’30 টার সময় ডাকতে বলেছিলাম তুই কি না 5’24 এ ডেকে তুললি।
কোনো ম্যানার্স ই নেই দেখছি।
ফারাবি চোখ ছোট ছোট করে তাকালো। নিজে লেট করে এখন ওকে দোষ দিচ্ছে এখন। ফারাবি বিরক্তি ঝেরে ধীর কন্ঠে বলল
_ শুনুন আমি আপনাকে আগেই ডেকে তুলতাম।
ভাবলাম একটু আগে ঘুমিয়েছেন তাই 5 টার সময় ডেকেছি।
আর তারপর ও আপনি এতো লেট করেছেন।
ফারহান সন্দিহান চোখে তাকালো। কয়েক সেকেন্ড পর প্রাণোচ্ছল হাসলো। ফারাবির বাহু তে বাহু দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বলল
_ সামথিং সামথিং ?
ফারাবি না বোঝার চোখে তাকিয়ে বলল
_ কিহহ ?
ফারহান বাঁকা হাসলো। ফারাবি মুখ ঘুরিয়ে নিলো।
ফারহান ফারাবির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল
_ কাল অনেক ভালো ঘুম হয়েছে আমার ।
আর খুব সুন্দর ছিলো সময় টা। স্পেশালি ঐ চুমু টাহহ , আমি কখনো ই ভুলবো না সেটা।
বেস্ট ফিলিং অফ মাই লাইফ।
ফারাবি চমকে তাকালো। ভয়ে চোখ মুখ ঘোলা হয়ে গেছে ওর।
ফারহান বাঁকা হাসতেই লজ্জায় লাল হয়ে গেল।
ফারহান বিগলিত হেসে বলল
_ আমার লজ্জাবতী, লজ্জা তে আপনাকে আবেদনময়ী লাগে।
আমি কন্ট্রোল লেস হয়ে যাই , কিছু করে ফেললে, পরে আমাকে দোষ দিতে পারবি নাহহ।
ফারহানের কথায় ফারাবির চোখ বড় বড় হয়ে গেল।
এই লোকটা ওকে লজ্জা আর অস্বস্তি দিতে দিতেই মেরে ফেলবে।
ফারাবির চুল নাক ডুবিয়ে ফারহান ঘোর লাগানো কন্ঠে বলল
_ তুই ভেবেছিস আমি ঘুমিয়েছি কিন্তু আমি তখন ও ঘুমোই নি।
আমি চোখ বন্ধ করে তোর শরীরে মিষ্টি ঘ্রাণ টা অনুভব করছিলাম।
তোর হাতের মিষ্টি ছোঁয়া গুলো তে আমি হাড়িয়ে যাচ্ছিলাম।
আর ঠিক তখনি তুই আমার ঠোঁটে উপহার স্বরূপ চুমু খেলি।
আই সয়ার আমি কেঁপে উঠেছিলাম , আমার সত্তা থমকে গিয়েছিলো।
আমি ভাবতে পারি নি তখনো , তুই আমাকে কিস করেছিস।
বলতে বলতে ফারহানের চোখ ছলছল করে উঠলো।
চোখ মুখে তৃপ্তি, ঠোঁটে লেগে থাকা স্নিগ্ধ হাসি।
ফারাবি নুইয়ে গেল , ফারহানের বলার ধরন ওকে লজ্জা দিচ্ছে সাথে এক আকাশ সমান অনুভূতি।
ফারাবি নিজ থেকে চুমু খেয়েছে দেখে এতো টা খুশি ওহহ।
হাউ ?
ফারহান আলতো হাতে ফারাবি কে জড়িয়ে ধরলো।
ফারাবি কিছু বললো নাহহ। ফারাবির চুল গুলো এক সাইট করে দিয়ে ওর কাঁধে থুতনি ঠেকিয়ে প্রাপ্তির স্বরে বলল
_ thanks for Frist kiss.
আমাদের প্রথম কিস টা তোর থেকে হবে আমি কল্পনা ও করি নি।
ফারহানের কথায় ফারাবি নড়েচড়ে উঠলো। কাল কি হয়েছিল ওর ? ইসসস কি কাজ টাই না করে ফেলল।আবার ধরা ও খেয়ে গেল।
ফারাবি কে ছেড়ে দিয়ে ফারহান বলল
_ আমি তোকে সম্পূর্ণ অনুভব করতে চাই জান।
দেখ সূর্য টা ও হাসছে , প্রকৃতি টা ও চায় তোর হাত আমার হাতের মাঝে থাকুক।
ইনফেক্ট তুই নিজে ও আমাকে ভালোবাসিস । কিন্তু সেটা অনুভব করছিস নাহহ আর মেনে ও নিতে চাইছিস না।
ট্রাস্ট মি জান আমি তোকে খুব ভা ফারহান দমে গেল, প্রসঙ্গ বদলে বলল
_ আই মিন মিস করি জান।
বুঝিস না কেন আমাকে ? আমি কিন্তু সব কিছু টলারেট করলে ও তোকে অন্য কারো সাথে টলারেট করবো নাহহ।
তোর ঐ সো কলড কাজিন রিক কে বলে দিছ যেন তোর থেকে শ হাত দূরে থাকে।
না হলে এবার হাত না শুধু , সাথে ঠ্যাঙ্গ ও ভেঙে দিবো।
ফারাবি নাক কুঁচকে বলল
_ মানে।
ফারহান রহস্য হাসলো। যার বিন্দু মাত্র ফারাবি বুঝলো না। থমথমে কন্ঠে ফারহান বলল
_ আই নো তুই ওকে ভালোবাসিস নাহহ।
সব টা পরিবারের সম্মান রাখতেই করছিস।
কিন্তু জান এটা তো অনুচিত । সব কিছু সব সময় সম্ভব না, এটা তো ভাবতে হবে।
ফারাবি কিছু বলল নাহ। ভেতর থেকে এক ফালি দীর্ঘশ্বাস বের হলো। ফারহান যে কি করে বসবে কে জানে । তবে ভয়ঙ্কর কিছু হয়ে যাবে।
ফারাবিই বা কি করবে ?
সমস্ত কিছুই যে হাতের বাইরে।
রিক কে বিয়ে করার জন্য রাজি যে ওকে হতেই হতো।
কিন্তু ফারহান কি তা মেনে নিবে ?
ফারাবির নিজে কে খুব বেশি অসহায় মনে হচ্ছে।
ফারহান ব্যলকনি থেকে আবার ফিরে এসে মেকি হাসলো। ফারাবি তার ভাবনায় মত্ত ছিলো।
খানিকটা ঝুঁকে ফারহান বলল
_ বাই দ্যা ওয়ে আমরা কি লুকিয়ে প্রেম করছি ?
ফারাবি ঘুরে মুখ বাঁকিয়ে বলল
_ হোয়াট আমি কি আপনাকে
ফারাবি কে থামিয়ে দিয়ে ফারহান গম্ভীর গলায় বলল
_ আই নো তুই বলবি তুই আমাকে ভালোবাসিস নাহ হ্যান ত্যান।
বাট ইউ নো হোয়াট আই ডোন্ট কেয়ার এবাউট ইউর ভাব ।
হুহহ
ফারাবি মুখ ঘুরিয়ে নিলো, কে বলছে কেয়ার করতে ?
আজব লোক ,ভাব দেখলে গা পিত্তি জ্বলে যায়।
ফারহান চলে যেতে যেতে বলল
_ আমাকে গালি মারা শেষ হলে একটু ঘুমিয়ে নে।
আর শোন এখন বেশি ঘুমাবি নাহহহ নয়টার মধ্যে উঠে ব্রেকফাস্ট করে নিবি।
আর বিকেলে লম্বা ঘুম দিবি।
ফারাবি কোন প্রতিউত্তর করলো নাহহ।
ফারহান আশে পাশে তাকিয়ে অতি সাবধানে নেমে গেল।
গেটের কাছে এসে দেখলো দারোয়ান তালা খুলছে।
ফারহান দ্রুত একটা মোটা রেনট্রি গাছের পেছনে লুকিয়ে পরলো।
দারোয়ান গেট খুলে চলে যেতেই ভো দৌড়।
নিজের বাসার সামনে এসে দেখলো দারোয়ান রহিম তার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।
ফারহান বাঁকা চোখে তাকিয়ে বলল
_ কি হয়েছে এভাবে তাকিয়ে আছো কেন ?
রহিম মুখ কুঁচকে বলল
_ এহহ
ফারহান দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
এই রহিম টা আরেক প্যারা। শুদ্ধ ভাষা প্রায় সময় ই বুঝে নাহহ একটু অশুদ্ধ করে বললেই তার মস্তিষ্কে সে কথা ধরা দেয়।
ফারহান শান্ত কন্ঠে বলল
_ কইলাম যে এমনে তাকাইয়া আছো কিসের লাইগা ?
রহিম এক গাল হেসে বলল
_ আরে ভাইজান কি আর কইতাম আন্নারে।
আন্নে বাইরে গেলেন কেমনে?
হামি তো গেট এহনি খুললাম।
ফারহান সোজা গলায় স্পষ্ট উত্তরে বলল
_ পাঁচিল টপকে।
_ কিতা ?
_ কিছু নাহহহ রহিম ভাই। তুমি আমার মাথা টা আর নষ্ট কইরো নাহহ। এমনি তেই বহুত প্যারা তে আছি ।
বলতে বলতে ফারহান বাসায় ঢুকে পরলো।
রহিম ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে পরলো।
ফারহান দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাগানে গিয়ে এক্সারসাইজ করতে লাগলো।
সব কিছু ই ঠিক ঠাক আছে , এখন ঐ রিক কে টপকানোর পালা।
হাত ভাঙার পর ও থামে নাই , সেই ফারাবির দিকেই নজর দিচ্ছে।
এর ঠ্যাঙ্গ ভেঙে হাতে ধরাতে হবে।
ফারহান বাঁকা হেসে পুশ আপ করতে লাগলো।
প্রচুর শক্তি অর্জন করতে হবে , যাতে এক ঘুষিতেই কাপুকাত হয়ে পরে।