#হৃদয়ের_একাংশ_তুই
#Part_08
#Writer_NOVA
সবাইকে ঘুম থেকে তোলার দায়িত্বটা অনামিকার।এক কথায় জুনায়েদ বউটা এই সংসারের লক্ষ্মী। আজকের দিনে এমন মেয়ে পাওয়া আসলেই সৌভাগ্যের বিষয়। মিনা বেগম খুশিমনে তাই আলমারির চাবি বউয়ের আঁচলে চালান করেছেন। সব দিকে সমান নজর তার। শ্বশুরের কি লাগবে, কখন রান্না করবে, বৃষ্টির সব দিকে খেয়াল, জুনায়েদের অফিসের আগে সব তৈরি করে রাখা, বর্ষাকে সময় দেওয়া, শাশুড়ীর মন মতো চলা ইত্যাদি ইত্যাদি। কোনদিকে নজর নেই!
‘অনামিকা! আমার ক্রিম কালার শার্টটা কোথায়?’
জুনায়েদ রুম থেকে চেচিয়ে উঠলো। অনামিকা দ্রুত হাতে রুটি বেলছে।মাঝে মাঝে তাওয়ার গরম রুটি হাত দিয়ে উলোটপালোট করে ছেঁকে নিচ্ছে। আজ দেরী হয়ে গেছে। একটু পর জুনায়েদ আর তার শ্বশুর মশাই বেরুবে। আটা মাখা হাতে কপালের কাছের বেবী চুলগুলো সরিয়ে উত্তর দিলো,
‘আলমারির ওপর তাকে দেখো।’
‘তুমি দিয়ে যাও।’
‘আমি পারবো না বাপু। রুটি পুড়ে যাবে।’
জুনায়েদ হাত দিয়ে শার্ট খোজার নামে আলমারির জামাকাপড় নষ্ট করছে। অনামিকা আসার পর থেকে নিজের কোন কাজ তার নিজ হাতে করতে মন চায় না। এই যে এখনকার কথাই! আলমারিতে শার্ট খুঁজতে গিয়ে তার মনে হচ্ছে বিশাল বড় ঘাসের মাঠে সূচ খুঁজছে। তবুও পেলো না। অথচ শার্টটা প্রথম দিকেই দুটো শার্ট পরে ছিলো।শার্ট না পেয়ে গোমড়া মুখে খাটে বসে রইলো।
‘দেখ গিয়ে জুনায়েদ কি চায়।’
মিনা বেগম পাশে দাড়িয়ে বললো। অনামিকা শাশুড়ীর দিকে না তাকিয়ে আগের থেকে দ্রুত গতিতে রুটি বেলতে বেলতে বললো,
‘হাতের কাজ ছেড়ে যাই কি করে?’
‘আমি করছি তুই যা।’
‘কিন্তু মা…’
‘কিন্তু টিন্তু করিস না তো। আমি কি পারবো না রে?’
‘তেমনটা নয়। আপনার বাতের ব্যাথাটা বেড়ে যাবে।’
‘কিছু হবে না। তুই যা! নয়তো একটু পর তুলকালাম কান্ড বাঁধিয়ে ফেলবে।’
অনামিকা দেরী করলো না। বেসিন থেকে হাত ধুয়ে ওড়নায় হাত মুছে রওনা দিতেই নজরুল সাহেব রান্নাঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
‘বউমা, আমার চা।’
অনামিকা হন্তদন্ত ভঙ্গিতে বললো,
‘দিচ্ছি বাবা।’
মিনা বেগম কিছুটা গম্ভীর স্বরে বললো,
‘তুই যা অনামিকা। আমি দিচ্ছি।’
অনামিকা আচ্ছা বলে নিজের রুমের দিকে পথ ধরলো। ছেলের বউ সরতেই মিনা বেগম নিচু গলায় স্বামীর ওপর খেঁকিয়ে উঠলো,
‘আমাকে কি চোখে দেখেন না? সব কিছুতে মেয়েটাকে ডাকাডাকি। ও তো একটা মানুষ। কত দিক দেখবে?’
নজরুল সাহেব স্ত্রীর কথায় হাসলেন। হাসতে হাসতে বললেন,
‘তুমি তো এই মেয়েটাকে মেনে নিতেই চাওনি। দেখেছো ছেলে আমার খাঁটি সোনা বেছে এনেছে।’
মিনা বেগম জোরে কুকান দিয়ে উঠলো।কপট রাগ দেখিয়ে বললো,
‘তুমি তো ছেলেটাকেই বাসায় উঠতে দিতে চাওনি। এখন তো নাতনী, ছেলের বউকে চোখে হারাও।’
নজরুল সাহেব চুপ হয়ে গেলেন। পুরনো স্মৃতি মনে এতেই বুক চিড়ে দীর্ঘ শ্বাস ফেললেন।ছেলেকে বাসায় জায়গা দিতে চাননি। রাগে, ক্ষোভে প্রায় ছয় মাস জুনায়েদের সাথে কথা বলেননি। অবশ্য তা যা করেছেন তা সব বাবাই করতো। সন্তানের তো তার বাবা-মায়ের মান-সম্মানের কথা চিন্তা করতে হয়। এই মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে এই শহরে কতশত সন্তান যে নিজেদের ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে দিচ্ছে। সেই খবর কি কেউ রাখে?
★
ছাদে বসে গল্প জুড়িয়ে দিয়েছে বর্ষা, বৃষ্টি, সুরভি। সুরভী মেয়েটা বর্ষার বয়সী। বিয়ে হয়েছে দুই বছর আগে। এইচএসসির পর ভালো ছেলে পেয়ে পরিবার দেরী করেনি।সুরভির এখনো বাচ্চাকাচ্চা হয়নি। সুরভি ও তার স্বামী আবিদ চার তলায় ভাড়ায় থাকে।বর্ষার সাথে মেয়েটার দারুণ ভাব। সুরভি বর্ষাকে আজ তার প্রথম ভালোবাসার মানুষের গল্প শুনাচ্ছে। ছেলেটার জন্য হাজার পাগলামির কারণগুলো বলছে আর হেসে কুটিকুটি হচ্ছে। বর্ষা এক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে চাপা হাসি দিলো। মেয়েটা হাসলেও ওর মনে যে কি চলছে তা বর্ষার অজানা নয়। বৃষ্টি বর্ষার কোল ঘেঁষে বসে হা করে ওদের কথা গিলছে।যদিও তার ফুপু বা সুরভি আন্টির কথা ছোট মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। তবুও সে কথা গিলতে ব্যস্ত।
‘তোমাদের মিল হলো না কেনো?’
বর্ষা স্বাভাবিক গলায় জিজ্ঞেস করলো। সুরভির মুখটা ঘন আঁধারে ঢেকে গেলো। মুখ কালো করে উত্তর দিলো,
‘সে হিন্দু ছিলো গো।’
‘তুমি তো প্রথম থেকেই জানতে তার সাথে তোমার মিল হবে না। তারপরেও কেন তাকে ভালোবাসলে?’
সুরভির মুখে অসন্তোষের মেঘ ছেয়ে গেলো। ম্লান হেসে বললো,
‘সত্যিকারের ভালোবাসা কি জাত, ধর্ম, বংশ গায়ের রং, উঁচু-নিচু ভেদাভেদ দেখে? মন কি এসব মানে গো? কখন নিজের অজান্তে আমরা অপরকে মন দিয়ে বসে থাকি নিজেও জানি না।’
বর্ষা গভীর চোখে সুরভির দিকে তাকালো। সুরভির গলাটা আবেগে বুজে আসছে। চোখ দুটো টলমলে। এই বুঝি বৃষ্টি নামবে! সুরভি মুখ অন্য দিকে করে ফেললো। কিন্তু ওর চোখের নোনা জাল গাল বেয়ে পরে গেছে। বর্ষা দেখেও না দেখার ভান করলো। বৃষ্টি বর্ষাকে ঝাঁকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
‘ভালোবাসা কি পিপি?’
বৃষ্টি অনেক সময় ধরে এই ভালোবাসা শব্দটা শুনছে। এটার মানে তার ছোট্ট ব্রেণটা বুঝতে পারছে না। তাই সাহস করে বর্ষাকে জিজ্ঞেস করেই ফেললো। বৃষ্টির প্রশ্ন করার ভঙ্গিতে বর্ষা ফিক করে হেসে উঠলো।
‘যেমন ধরো তোমার স্বচ্ছ মনটা কারো প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। তাকে তোমার লাগবেই লাগবে।আর সেই মানুষটা তোমার হৃদয়টাকে ভেঙেচুরে ক্ষত-বিক্ষত করে দিলো।কিন্তু তরপরেও তুমি সে হৃদয়ের প্রত্যেকটি ভাঙা টুকরো দিয়েও তাকে নিজের করে পেতে চাও।তাকেই ভালোবাসা বলে।’
বৃষ্টি মাথা চুলকালো। এত ভাব, গাম্ভীর্য, বড় মানুষের কথাবার্তা তার মাথায় ঢুকেনি। তবুও মুখে এমন একটা ভান ধরিয়ে রেখেছে যে সব বুঝে ফেলেছে। বর্ষা গাল টেনে বললো,
‘বড় হো বুড়ি। তারপর বুঝবি। এখন ছোট মাথায় এতো ভার নেওয়ার দরকার নেই।’
বৃষ্টি মাথা নাড়িয়ে বললো,
‘আচ্ছা।’
কিছু সময় থেমে গভীরভাবে কি জানি ভাবলো বৃষ্টি। তারপর চট করে বললো,
‘আমিও কিন্তু ভালোবাসা খেলবো পিপি।’
সুরভি, বর্ষা একসাথে হো হো করে হেসে উঠলো। বৃষ্টি বোকা বনে গেলো। তার কথার হাসির কি হলো তাই বুঝেনি। কড়া স্বরে বললো,
‘এই তোমরা হাসো কেন?’
সুরভি হাসতে হাসতে বৃষ্টিকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বললো,
‘ভালোবাসা খেলার জিনিস নয় সোনা। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অনুভূতি। কারো অনুভূতি নিয়ে খেলতে নেই।’
বৃষ্টি ফ্যাল ফ্যাল করে সুরভির দিকে তাকিয়ে রইলো। যার মানে সে কিছুই বুঝেনি।
★
‘বর্ষা, তোমার সাথে একজন দেখা করতে এসেছে।’
বহু দিন পর টেবিলে বই মেলে বসেছিলো বর্ষা।বই ধরার পর থেকে চোখে রাজ্যের ঘুম নেমে আসছে। হাই তুলতে তুলতে বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে। বই হলো ঘুমের ঔষধ। এটাকে ধরলেই চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে। হঠাৎ অনামিকার কথায় ঘুমু চোখে তাকালো।
‘জলদী এসো।’
‘কে এসেছে ভাবী?’
‘দেখে যাও। আমি বলতে পারবো না।’
অনামিকা দাঁড়ালো না। অতিথির জন্য চা নাস্তার ব্যবস্থা করতে রান্নাঘরে চলে গেলো। বর্ষার মাথা হ্যাং হয়ে আছে। ওর সাথে এই সন্ধ্যাবেলা কে দেখা করতে আসবে। হৃদয় তো ওদের বাসায় পা মাড়ায় না। তাহলে কে হতে পারে? সেদিনের ঐ ছেলেটা কি?
মৃদু পায়ে টলতে টলতে বসার রুমে হাজির হলো বর্ষা। সেখানে যেতেই ওর চোখ চড়কগাছ! হৃদয় বৃষ্টিকে কোলে নিয়ে হেসে হেসে কথা বলছে। এই অসময়ে হৃদয়কে দেখে বিস্মিত হলো বর্ষা। রিতীমত ঝাটকা খেয়েছে সে। হৃদয়ের সামনে গিয়ে বিস্ময়ের ঘোরে বললো,
‘তুই এখানে?’
বর্ষা হৃদয়েের পাশে বসলো। হৃদয় এক হাতে বর্ষার মাথায় গাট্টা মেরে বললো,
‘দেখতে এলাম তুই বেঁচে আছিস নাকি মারছিস। সাত দিন ধরে তোর কোন খবর নেই। কল দেই মোবাইল বন্ধ বলে। উপায় না পেয়ে আজ তোদের বাসায় আসতে হলো। কতটা রিস্ক নিয়ে এসেছিস তুই ভাব। তোর বাপ কিংবা ভাই যদি এখন এসে আমাকে দেখে তাহলে বাসায় কি হবে তা নিশ্চয়ই আমার বলতে হবে না।’
বর্ষা মুখ গোমড়া করে ফেললো। হৃদয় ভুল বলেনি। সেদিন নদীর পাড় থেকে আসার পর এক প্রকার নিজেকে সব থেকে গুটিয়ে নিয়েছিলো। সাতটা দিন কলেজ থেকে বাসা, বাসা থেকে কলেজ। এছাড়া অন্য কোথাও যায়নি। এমনকি কোচিং ও না। হৃদয় কোন জায়গায় খোঁজ করতে বাকি রাখেনি। শেষে উপায় না পেয়ে বর্ষাদের বাসায় এসে হাজির। ওর বাবা, ভাইয়ের খবর নিয়েও এসেছে। বর্ষা, হৃদয় নিজেদের মধ্যে আনুষঙ্গিক কথা বলা শুরু করলো। সেদিনের কথা কেউ তুললো না।
‘নাও, চা-বিস্কুট খেতে খেতে বাকি গল্প করো।’
অনামিকা টি-টেবিলে চা-নাস্তার ট্রে রাখতে রাখতে ওদের দিকে তাকিয়ে কথাটা বললো। হৃদয় কপট রাগ দেখিয়ে বললো,
‘এসবের কি দরকার ছিলো ভাবী?’
‘অনেক দরকার ছিলো। সেই কবে একবার এসেছিলে। এতদিন পর এসেছো। খালি মুখে বসিয়ে রাখবো নাকি?’
‘তাই বলে এতোকিছু?’
‘কই এতকিছু? চোখে কি বেশি দেখো? নাও কথা কম বলে শুরু করো।’
বৃষ্টি হৃদয়ের কোল ছেড়ে মায়ের দিকে তাকালো। তার বায়না মিটানোর এই সুবর্ণ সুযোগ। একটু আগে সে এক বাটি চানাচুর সাবাড় করেছে। এখন সে চা খেতে চায়। মায়ের আঁচল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কোমড় পেচিয়ে ধরে ফিসফিস করে বললো,
‘আমিও চা খাবো মা।’
হৃদয় বৃষ্টির কথা শুনতে পেয়ে তড়িঘড়ি করে এক কাপ চা বাড়িয়ে দিয়ে বললো,
‘এই নাও।’
অনামিকা হাত দিয়ে থামিয়ে বললো,
‘তুমি খাও তো। আমি এনে দিচ্ছি।’
বৃষ্টি খুশিমনে বসে পরলো। অনামিকা রান্নাঘরে ছুটলো চা আনতে। হৃদয় চা-এ বিস্কুট ভিজাতে ভিজাতে বর্ষাকে জিজ্ঞেস করলো,
‘তোর কি হয়েছে বল তো?’
বর্ষা বলতে ইচ্ছে করছিলো, ‘কেন তুই জানিস না?’ কিন্তু তা না বলে ছোট করে উত্তর দিলো।
‘কিছু না।’
‘তাহলে তুই এমন আজব বিহেভ করছিস কেন?’
‘কই?’
‘বুঝেও না বোঝার ভান করছিস?’
‘তুই কাকে বলছিস?’
হৃদয় চুপ হয়ে গেলো। দম টেনে কথা ঘুরানোর জন্য বললো,
‘মোবাইল বন্ধ কেন তোর?’
‘বন্ধ করে রেখেছি তাই।’
‘কেন করেছিস?’
‘আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই।’
‘ত্যাড়ামি করছিস?’
‘যা ভাবিস।’
হৃদয় কথা বাড়ালো না। মনোযোগ দিয়ে চা এ চুমুক দিলো। বর্ষা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে সুক্ষ্ণ চোখে হৃদয়কে দেখতে লাগলো। মনে মনে ভাবলো, মাঝে মাঝে কি অদ্ভুত পরিস্থিতিতে ফেলে আমাদের বিধাতা। এপাড়েও যাওয়া যায় না। ওপাড়েও না। অনামিকা চা নিয়ে এসে ওদের সাথে গল্প জুড়ে দিলো।
★
‘আগামীকাল ক্যাফেতে যাস। তোর সাথে কথা আছে।’
কেচি গেইটের বাইরে দাঁড়িয়ে হৃদয় বললো। অনামিকা অনেক করে রাতের খাবার খেয়ে যাওয়ার কথা বলার পরও হৃদয় রইলো না। কখন বর্ষার বাপ, ভাই চলে আসে ঠিক নেই। তারা চলে এলে বিপাকে পরে যাবে। তার আগে কেটে পরা ভালো। হৃদয়কে এগিয়ে দিতে কেচি গেইট অব্দি বর্ষা এসেছে।
বর্ষা একবার কপাল কুঁচকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বললো,
‘কেন তোর বন্ধুর গুনগান শুনতে?’
হৃদয় হাসলো। বর্ষার রাগ উঠলো। ও হাসার কি বলেছে? শ্বাস টেনে গলার স্বরে রাগী ভাব এনে বললো,
‘আমাকে আমার মতো ছেড়ে দে হৃদ।’
‘পারবো না। তোর সাথে আমার বন্ধুর জীবন জড়িয়ে আছে।’
বর্ষা অবাক হয়ে বললো,
‘তোর বন্ধুর কথা চিন্তা করলি। আর আমি কি বানের জলে ভেসে এসেছি?’
‘ওর জন্য আমি সব করতে পারবো।’
‘আর আমার জন্য?’
‘তুই যদি সারাজীবন আমার বেস্টফ্রেন্ড থাকতে চাস তাহলে তোর জন্য আমার জান কোরবান। কিন্তু অন্য কোন ক্ষেত্রে নয়।’
‘বন্ধুর জন্য নিজের ভালোবাসার মানুষের থেকে দূরে সরে চলে যাবি?’
‘হ্যাঁ! সবার আগে বন্ধুত্ব। তারপর বাকি সব।’
হৃদয়ের কথা শুনে বর্ষা প্রচন্ড অভিমানী সুরে বললো,
‘তুই কখনো আমার সামনে আসবি না হৃদ।’
বর্ষার চোখ বেয়ে কান্না ছিটকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। তা চেপে হৃদয়ের উদ্দেশ্য কথাটা বলে ধীরপায়ে সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে গেলো। হৃদয় জানে বর্ষা কাঁদছে। সামনের দেয়ালে পরপর কয়টা ঘুষি মারলো হৃদয়। হাত ছিলে জ্বালা করছে। সেদিক তার ধ্যান নেই। এর থেকে মনের জ্বালা যে বহুগুণ তীব্র।
#চলবে
রি-চেইক দেওয়া হয়নি। ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন।