হৃদয়ের একাংশ তুই পর্ব -১২

#হৃদয়ের_একাংশ_তুই
#Part_12
#Writer_NOVA

রাফি স্থির দৃষ্টিতে হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। গোছালো ছেলেটা কয়েক দিনের ব্যবধানে কেমন অগোছালো হয়ে গেছে। চেহারায় সবসময় বিষন্নতা ঘিরে থাকে। চেয়ারে বসে পা ছড়িয়ে মেঝের দিকে তাকিয়ে আছে হৃদয়। বাকি কোনদিকে হুশ নেই তার। ওর কি হয়েছে তাও বলছে না।রাফি লঘুস্বরে ডাকলো,

‘হৃদয়!’

হৃদয়ের কোন ভাবান্তর নেই। তার দৃষ্টি এখনো মেঝেতে নিবদ্ধ। রাফি জোরে ডাকলো,

‘হৃদয়!’

আস্তে অথচ কাটা কাটা সুরে হৃদয় বললো,
‘শুনছি বল।’

‘কি হয়েছে তোর?’

‘কিছু না।’

‘আজকাল আমার থেকেও কথা লুকানো শিখে গেছিস।’

রাফির সাথে হৃদয়ের চোখাচোখি হলো। রাফি তীক্ষ্ণ নজরে হৃদয়ের চোখের দিকে তাকালো। অবসাদে ঘেরা দুটো চোখ।

‘তোর বর্ষার সাথে কি হয়েছে?’

রাফি পুনরায় প্রশ্ন করলো। হৃদয় বর্ষার নাম শুনে হালকা কেঁপে উঠলো। নিজেকে সংযত করে উত্তর দিলো,

‘বললাম তো ভাই কিছু হয়নি।’

‘আমায় মিথ্যে বলছিস?’

‘কই না তো।’

হৃদয় আবারো আনমনা হয়ে গেলো। রাফি তীর্যক দৃষ্টি হেনে বললো,

‘আমি জানি তুই ঠিক নেই। দয়া করে এসব নাটক করা বন্ধ কর। আর খোলাখুলি বল বর্ষার সাথে কি হয়েছে?’

হৃদয় বন্ধুর দিকে আহত চোখে তাকালো। রাফি কাছে এসে কাঁধে হাত রেখে ভরসা দিলো। হৃদয়ের চোখ দুটো জ্বলছে। একবার মন বলছে রাফিকে সব বলে দিতে। কিন্তু মন সায় দেয় না। যেদিন রাফি ওকে বর্ষাকে ভালোবাসার কথা বলছিলো সেদিন হৃদয় দেখেছিলো রাফি অনেক খুশি ছিলো। সেই খুশিটাকে নষ্ট করতে ইচ্ছে করছে না তার। কিছুতেই নয়।তার বারবার মনে হয়েছে, বর্ষাকে গ্রহণ করে নিলে রাফির সাথে বেইমানি করা হবে। যা হৃদয় করতে পারে না। ভালোবাসার জন্য যারা বন্ধুের সাথে বেইমানি করে তারা বন্ধু নামে কলঙ্ক। সে বন্ধুর সাথে এতবড় বেইমানি করতে পারবে না। কিছুতেই না। বন্ধুর জন্য জীবন দিতে পারলে ভালোবাসার মানুষ দিতে পারবে না? তাতে যাই হোক বন্ধু ওকে বেইমান তো বলতে পারবে না। বর্ষা ওর না হোক আফসোস লাগবে না। বন্ধুত্বে ধোঁকা দিলে কোন সাহসে এই মুখ দেখাবে। যেই মুখ দিয়ে সে বলেছে, বন্ধুর জন্য সব করতে পারবে?

বন্ধুত্ব, ভালোবাসায় রোলারকোস্টারের মতো পিস্টে যাচ্ছে হৃদয়। কি করবে, কিভাবে সব সামলাবে তা বুঝতে না পেরে পাগল প্রায় অবস্থা। বর্ষাকে মেনে নিলে রাফির সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। বর্ষাকে মেনে না নিলে বর্ষার সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। এদিকেও যেতে পারে না। ঐদিকেও না। মনকে শক্ত করে ভাবলো ছোট বেলার বন্ধু রাফিকে সে চয়েজ করবে। এতে বর্ষাকে হারাতে হবে তা জানে। কিন্তু কিছু করার নেই। একজনকে বাছাই করলে আরেকজনকে হারাতে হবে। এমনিও বর্ষার সাথে সব ঠিক করে নিলে সারাজীবন অপরাধবোধে বিদ্ধ হবে। বিবেক কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে।বারবার তাকে জানান দিবে রাফির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সে একজন বিশ্বাসঘাতক। বর্ষাকে না পেলেও বেইমান খেতাব তো পাবে না।

‘বর্ষা তুই আমার না হোস তাতে আফসোস নেই।তবে মনে রাখিস এই হৃদয়ের একাংশ তুই থাকবি।’

বিরবির করে বললো হৃদয়। হঠাৎ করে হৃদয়ের নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসছে। কান্না গলার কাছে দলা পাকিয়ে আটকে আছে। যেকোনো সময় ছিটকে বেরিয়ে পরবে।রাফি এক হাতে বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে নরম গলায় বললো,

‘তোকে এভাবে নিতে পারছি না আমি। প্লিজ সব খুলে বল আমায়। আমি সব ঠিক করে দিবো।’

হৃদয় উত্তর দিলো না। হুট করে দাঁড়িয়ে রাফিকে জড়িয়ে ধরে কাঁধে মুখ গুজলো। রাফি স্তব্ধ! কিছু সময় পর টের পেলো হৃদয় কাঁদছে। কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি উঠে গেছে। হৃদয়কে শেষবার এভাবে কাঁদতে দেখেছিলো ক্লাশ নাইনে টিসি দেওয়ার পর। রাফি স্বান্তনার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। এমন কিছু হবে তা ওর কল্পনার বাইরে ছিলো। কিন্তু রাফি তো জানে না তার অগোচরে কতশত কাহিনি হয়ে যাচ্ছে। যা হৃদয় ওর কান অব্দি পৌঁছাতে দিচ্ছে না আর দিবেও না।

‘বর্ষা মা, খেতে আয়।’

বাবার মোলায়েম স্বরের ডাক শুনেও বর্ষা চোখ মেললো না। তার এখন ইচ্ছে মতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করতে মন চাইছে। ঠোঁট ফুলিয়ে যেভাবে ছিলো সেভাবে শুয়ে রইলো। চোখ খুললো না। নজরুল সাহেব মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে চুমু খেলেন। মেয়ে তার বড্ড অভিমানী। সেদিন চড় মারার পর ৫ দিন কেটে গেছে। এর মধ্যে তার বা জুনায়েদের সাথে একটা কথাও বলেনি। জুনায়েদ এহেম এহেম করে কেশে বর্ষাকে শুনিয়ে শুনিয়ে তার বাবাকে বললো,

‘বাবা, বর্ষু যখন ঘুমাচ্ছে তাহলে আমরা ওকে বাসায় তালা মেরে রাতের খাবারটা বড় কোন রেস্টুরেন্টে সেরে আসি।’

বর্ষা কপাল কুঁচকে ফেললো। মনে মনে বললো,
‘হুহ যা খুশি করো গা। আজ আমি পটছি না।’

নজরুল সাহেব মেয়ের চোখ পিটপিটানো দেখে মুচকি হাসলেন। বর্ষা জেগে আছে। তাই গলার স্বর উঁচিয়ে বর্ষার দিকে আড়চোখে নজর দিয়ে জুনায়েদকে বললো,

‘হ্যাঁ, তাই চল। আজকে কি খাবি? বিরিয়ানি নাকি অন্য কিছু?’

জুনায়েদ মুখ টিপে হেসে বললো,
‘আরে আস্তে বলো। বর্ষা উঠে যাবে তো। ওকে আজ নিবো না। ও যখন রাগ করে আছে ওকে নেওয়ার দরকার নেই। এমনিও বর্ষা আমাদের সাথে যাবে না।’

‘জুনায়েদ জলদী গিয়ে বউমা, বৃষ্টি তোর মা কে তৈরি হতে বল। বর্ষা ওঠার আগে চলে যেতে হবে।’

‘আচ্ছা বাবা। তুমি কিন্তু আবার বর্ষাকে জাগিয়ো না। কি প্রয়োজন ওর এতো সাধের ঘুম ভাঙানোর।’

বিরিয়ানির নাম শুনে বর্ষার জিভে জল চলে এসেছে। কিন্তু বাপ-ভাইয়ের কথোপকথন শুনে ভীষণ রাগ হচ্ছে। যদিও সে বুঝতে পারছে তাকে রাগানোর জন্য বলছে। বুঝেও কেন যে রেগে যাচ্ছে তাই মাথায় ঢুকছে না।

কিছু সময় পর….

বর্ষার কানে কোন শব্দ পাচ্ছে না। তাহলে কি তারা চলে গেলো? বর্ষা ঠোঁট উল্টে ফুপিয়ে উঠলো। এক লাফে উঠে বসে চেচিয়ে বললো,

‘আমি যাবো।আমায় নিয়ে যাও।’

ভালো করে তাকিয়ে দেখলো জুনায়েদ ও তার বাবা অদূরে দাঁড়িয়ে মিটমিট করে হাসছে। তার মানে এটা বর্ষাকে কথা বলানোর জন্য পুরোটা চাল ছিলো। নজরুল সাহেব এগিয়ে এসে মেয়ের মাথায় পরম মমতায় হাত রেখে বললেন,

‘তোকে ছাড়া কি আমরা কোথাও যেতে পারি?’

বর্ষা অভিমানে মুখ ঘুরিয়ে রাখলো। নজরুল সাহেব মেয়েকে এক হাতে জড়িয়ে নিয়ে মাথায় চুমু খেয়ে বললেন,

‘মা রে আমরা কি তোর খারাপ চাই বল? কোন বাবা কি তার সন্তানের অমঙ্গল চাইতে পারে? তুই অবাধ্য হলে, ভুল পথে গেলে আমার তো শাসন করতে হবে। এই যে আমি এতো কষ্ট করি। কার জন্য করি, কাদের জন্য করি বল তো? তোদের ভবিষ্যতের জন্যই তো। নাকি আমার জন্য করি। আমি মরে গেলে কি আমি এসব কবরে নিয়ে যেতে পারবো? সব তোদেরি থাকবে। তোকে ভালো একটা ছেলের হাতে তুলে দিয়ে চোখ বুজতে পারলেও আমার শান্তি। বৃষ্টির বিয়ের আশা করি না। হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে। উনি যখন চাইবেন তখুনি এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে পারি জমাতে হবে।’

নজরুল সাহেবর কন্ঠ ভারী হয়ে এলো। জুনায়েদ থম মেরে রয়েছে। বাবার বলার কথাগুলো তার মনকেও আহত করেছে। বর্ষা আর নিজেকে সামলাতে পারলো না। তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদে দিলো। জুনায়েদ ব্যস্ত হয়ে সামনে এসে বর্ষার পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে বললো,

‘এই পাগলি কি হয়েছে?’

বর্ষা কান্না করছে তো করছেই। একসময় কান্নার তোর কমে এলে ভাঙা ভাঙা গলায় নজরুল সাহেবকে বললো,

‘একদম মৃত্যুর কথা বলবা না।’

নজরুল সাহেব শুকনো হাসি দিয়ে বললেন,
‘শুনো মেয়ের কথা! চিরদিন কি কেউ বেঁচে থাকে?’

‘না থাকুক। তুমি এসব বলবে না।’

জুনায়েদ বোনের মাথায় গাট্টা মেরে বললো,
‘ছেদ কাঁদুনি! এবার জলদী তৈরি হো। আমরা এখুনি বেরুবো।’

বর্ষা চোখ ছোট করে কলা করে বললো,
‘কেন আমাকে বাবা আদর করছে বলে কি তোমার হিংসে হচ্ছে?’

জুনায়েদ হাসলো। অবশেষে যে বোনের রাগ পরেছে তাতে সে খুশি। দরজার আড়াল থেকে পুরো ব্যাপারটায় নজরে রাখছিলেন মিনা বেগম আর অনামিকা। বাপ, মেয়ে, ভাই-বোনের অভিমান শেষ হওয়ায় তারাও খুশি হলেন। যেই পা টিপে নিজেদের রুমের পথ ধরলেন তখুনি নজরুল সাহেব গম্ভীর স্বরে বললেন,

‘জুনায়েদের মা, বউমা তোমাদের মেয়েদের কি আড়াল থেকে আড়ি পাতা স্বভাব কখনো যাবে না?’

মিনা বেগম, অনামিকা থমকে গিয়ে একে অপরের দিকে জিভ কামড়ে তাকালো। ধরা পরে যাওয়ায় দুজনেই লজ্জা পেয়েছে। অপরদিকে ঘরের ভেতর চাপা হাসির রোলটা এবার জোড়ালো হলো।

তিন রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে ৪ টা ছেলে। তাদের মধ্যে আয়াজও আছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এলাকার ছেলেরা এখানে আড্ডা দেয়। আয়াজ আজ কোন কিছুতে ধ্যান দিতে পারছে না। বারবার বর্ষার কথা মনে পরছে আর আপনমনে হেসে উঠছে। ওর এক বন্ধু বন্ধন ওর গলা জড়িয়ে ধরে টিটকারির সুরে বললো,

‘মেয়েটা কে বন্ধু?’

আয়াজ থতমত খেয়ে গেলো। নিজেকে সামলে অবাক হওয়ার ভান করে বললো,

‘কোন মেয়ে?’

‘যেই মেয়েকে ভেবে মিটমিট করে হাসছিস সেই মেয়ে।’

আয়াজ বিষম খেলো। মাথার তালুতে হাত দিয়ে চাপর মারতে মারতে বললো,

‘তেমন কিছু না।’

আয়াজের আরেক বন্ধু নিশীথ সুর টেনে জিজ্ঞেস করলো,

‘তাহলে কেমন কিছু।’

আয়াজ বললো,
‘এমনি কি হাসতে পারি না?’

বন্ধন দৃঢ় বিশ্বাসের স্বরে বললো,
‘বুঝি, বুঝি। একা একা হাসা যে নয়া নয়া প্রেমে পরার লক্ষ্মণ তা আমরা জানি ভাই। এখন ভণিতা না করে ভাবি কে তাই বল।’

‘তোরা যা ভাবছিস তেমন কিছু নয়।’

আয়াজ প্রতিবাদী সুরে বললো। নিশীথ ধমকে উঠলো,
‘একদম লুকাবি না। ভাবীর বিষয় সব বল।’

আয়াজ উসখুস করছে। সে এখন বন্ধুদেরকে বর্ষার বিষয় বলতে চাইছিলো না। তাহলে টিপ্পনী কেটে কথা বলতে ছাড়বে না।উঠতে বসতে খোঁচা মারবে। কিন্তু ওদের জোড়াজুড়িতে না বলেও পারলো না। সব শুনে মাহিন বললো,

‘মেয়েটার বিষয় খোঁজ খবর নিছিস?’

আয়াজ মাথা নাড়িয়ে বললো,
‘বুঝতে পারছি না কি করবো।’

নিশীথ পাশে দাড়িয়ে বললো,
‘তুই টগরকে লাগিয়ে দে। টগর এসব বিষয় অনেক এক্সপার্ট। হাজার খানেক টাকা দিলে মেয়ের মোবাইল নাম্বার সহো এনে দিবে।’

বন্ধন আয়াজের পেটে কনুই দিয়ে গুঁতা মেরে বললো,
‘শা’লা ট্রিট দিবি। কত বড় হারামী। আমাদের থেকে ভাবীর কথা লুকিয়ে যাচ্ছিলো।’

আয়াজ পেটে হাত দিয়ে আউচ করে শব্দ করে উঠলো। পেট ধরে রেখে ধমকে বললো,

‘মেয়ের যাবতীয় খোঁজ নিলাম না তোরা ভাবী বানিয়ে বসে আছিস?’

মাহিন জোর গলায় বললো,
‘তুই পছন্দ করেছিস। এটাই তোর বউ হবে। না হলেও তুলে এনে তোর সাথে বিয়ে দিবো। এত বছর পর তোর কাউকে মনে ধরেছে আর বন্ধুর জন্য এতটুকু করতে পারবো না।’

আয়াজ একগালে ফিল্মের ভিলেনের মতো হেসে বললো,

‘একজনকে যেতে দিয়েছি বলে কি এটাকে যেতে দিবো নাকি? এবার চুপচাপ থাকবো না। মাহিন ঠিক বলেছে। আমার না হতে চাইলেও আমার করে ছাড়বো। তবে তোদের ঐ জোর করে নয়। ভালোবাসা জোর করার বিষয় নয়। বর্ষার থেকে আমি ভালোবাসা আদায় করে নিবো। প্রথমে চেষ্টা করবো৷ তারপর যদি সোজা আঙুলে ঘি না উঠে তাহলে না হয় বাঁকা করে কাজে লাগাবো।’

বন্ধুরা হৈ হৈ করে উঠলো। নিশীথ ওহো করে চেচিয়ে সুর টেনে বললো,

‘ভাবীর নাম বর্ষা। আয়াজের বর্ষা।’

আয়াজ হাসিমুখে বললো,
‘বর্ষায়াজ।’

বন্ধন মাহিনকে বললো,
‘টগরকে কল লাগা। এখুনি আসতে বল।’

মাহিন টগর নামের ছেলেকে কল লাগালো। জরুরি তলব পেয়ে টগর মিনিট পনেরোর মাথায় এসে হাজির হলো। ১৯ বছরের তাগড়া জোয়ান পোলা টগর। সারা এলাকার খবর ওর কাছে থাকে। শুধু নিজের এলাকা নয় পাশের কয়েক এলাকার খবরও তার কাছে মজুদ থাকে। এসে হাসি হাসি মুখ করে বললো,

‘কি খবর মাহিন ভাই? এতো জরুরি তলব।’

মাহিন বললো,
‘একটা কাজ করে দিতে হবে টগর।’

‘জে ভাই কন।’

চার বন্ধু পুরো বিষয় টগরকে বুঝিয়ে বলতে লাগলো। টগর মনোযোগ দিয়ে সব শুনছে। মাঝে মাঝে প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করলো। টগর সব শুনে আশ্বাস্ত গলায় আয়াজের দিকে তাকিয়ে বললো,

‘কোন চিন্তা কইরেন না ভাই। দুই দিনের মধ্যে ভাবীর সকল খবর আমি আপনার কাছে আইনা দিমু।এমন কি ভাবীর মোবাইল নাম্বারও পাইয়া যাইবেন তবে খরচ একটু বেশি পরবো।’

আয়াজের চোখে চাপা হাসি। তা লুকিয়ে গলার স্বর মোটা করে সিরিয়াস ভঙ্গিতে বললো,

‘টাকা-পয়সা নিয়ে তুই ভাবিস না। তুই শুধু বর্ষার সব খবর আমাকে এনে দিবি। তারপর তুই যা চাইবি তাই পাবি।’

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here