অজানা অনুভূতি পর্ব -৪৪+৪৫

#অজানা_অনুভুতি
#পর্বঃ ৪৪
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে আদ্রিতা। পাশে একটি সোফায় সাজ্জাদ ফোনে কথা বলছে কারোর সাথে। কালকে সন্ধ্যায় সাজ্জাদই মিন্টুকে লাথি মেরেছিলো। সাজ্জাদ ফোনে কথা বলছে হঠাৎ দেখলো বেডে শুয়ে থাকা মেয়েটি হারকা নড়াচড়া করছে। সাজ্জাদ মেয়েটিকে একবার পরখ করে নিলো। দুই জুটি করা, পরনে স্কুল ড্রেস, বয়স ১৪ কি ১৫ হবে। লম্বাই মেবি ৫ ফুট আর সাজ্জাদ ৬ ফুট। কালকে সন্ধ্যায় পোড়া বাড়িতে এমন একটি মেয়েকে দেখে সাজ্জাদ অবাক হয়েছিলো। মেয়েটির ব্যাগে বাড়ির কোনো ঠিকানা বা নাম্বার পাওয়া যায় নি বলে হসপিটালে নিয়ে এসেছে। সাজ্জাদ একবার চলে যেতে চেয়েছিলো। পরে নিজের বিবেকের বাঁধা খেলো। তাই কালকে রাত থেকে অপেক্ষা করছে মেয়েটির জ্ঞান ফিরার। কিছুক্ষণ পর আদ্রিতার জ্ঞান ফিরে আসলো। আশেপাশে তাকিয়ে সাজ্জাদকে দেখে ভয়ে কেঁপে উঠলো। এদিকে সাজ্জাদ ফোনে কথা বলার সময় হঠাৎ দেখলো মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে।

এই মেয়ে তোমার নাম কি? ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। খু*ন হওয়া জায়গায় সাজ্জাদকে দেখে মনে হচ্ছে সাজ্জাদ ও খু*নের সাথে জড়িত৷ আদ্রিতা সাজ্জাদের কথার কোনো জবাব দিচ্ছে না। তখনই রুমে ডক্টর প্রবেশ করলো।

ডক্টর মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে?( সাজ্জাদ)

হুম আমি দেখছি। ( ডক্টর)

এখন কেমন ফিল করছো? ( ডক্টর আদ্রিতার উদ্দেশ্য কথাটি জিজ্ঞেস করলো)

আদ্রিতা ভয়ার্ত চোখে ডক্টেরের দিকে তাকালো। ডক্টর ব্যাপারটা বুঝতে পেরে সাজ্জাদকে বললো,

আপনি একটু আমার সাথে বাইরে আসুন। ( ডক্টর)

সাজ্জাদ বাইরে গেলো।

জ্বি বলুন ( সাজ্জাদ)

কালকের সন্ধ্যার ঘটনা শুনে মনে হচ্ছে সেখানে আপনাকে দেখে মেয়েটি আপনাকে ভয় পাচ্ছে। আপনি একটু ফ্রি হওয়ার চেষ্টা করুন ওর সাথে। ( ডক্টর)

আচ্ছা আমি ট্রাই করবো। ( সাজ্জাদ)

ওকে ( ডক্টর)

কথাটি বলে ডক্টর চলে গেলো। সাজ্জাদ স্বাধীনকে কল দিলো। স্বাধীনকে বলেছিলো কালকের ব্যাপারে

আলগা একটা ঝামেলা নিয়ে নিছি রে ( সাজ্জাদ)

কথা বলে দেখ কি অবস্থা ওকে বাসায় ছেড়ে দিয়ে অফিসে এসে পড়। ( স্বাধীন)

ওকে ( সাজ্জাদ)

সাজ্জাদ ফোনটি রেখে আদ্রিতার সামনে এসে বসলো। শান্ত গলায় বললো,

তোমার নাম কি? ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা, আদ্রিতা খান। ( আদ্রিতা)

নামটা শুনে সাজ্জাদের কাছে কিছুটা চেনা চেনা লাগলো। সেদিকে পাওা না দিয়ে বললো,

আমাকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। কালকে যাদের দেখেছো আমি তাদের সাথে কেউ নই। আমি তোমাকে দেখেছিলাম একা একা যাচ্ছে পোড়া বাড়ির দিকে তাই কৌতুহল বশত তোমার পিছু নিয়েছিলাম পরে দেখলাম বিপদে পড়েছে তাই সাহায্য করেছি এর বেশি কিছু না। আমি যা বলেছি বুঝতে পেরেছো? ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললো।

আচ্ছা তোমার চুলে যেই রাভার দিয়ে বেঁধেছো সেটি কোথায় পেয়েছো? ( সাজ্জাদ)

কেনো? আপনাকে কেনো বলবো? ( আদ্রিতা)

না আমার পছন্দ হয়েছে তোমার এই রাবার ব্যান্ডটি আমাকে দিবে? ( সাজ্জাদ)

আজব আমি আপনাকে এইটা কেনো দিবো?( আদ্রিতা)

সাজ্জাদ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,

কোন ক্লাসে পড়ো? ( সাজ্জাদ)

দশম শ্রেনী ( াদ্রিতা)

বয়স কতো? ( সাজ্জাদ)

১৫ বছর ( আদ্রিতা)

বাসা কোথায়? ( সাজ্জাদ)

আপনি আমাকে স্কুলের সামনে একটু নামিয়ে দিন। ( আদ্রিতা)

আচ্ছা ঠিক আছে চলো ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা সাজ্জাদের সাথে বেরিয়ে পড়লো। সাজ্জাদের আদ্রিতাকে স্কুলের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো। আদ্রিতা মাঠে দাঁড়িয়ে আছে। কালকে সন্ধ্যা থেকে যা যা হচ্ছে সব কিছু কেমন জানি কল্পনার মতো ছিলো। আদ্রিতার সামনে বার বার সেই খু*ন করার দৃশ্য ভেসে উঠছে। এমন সময় আলো আসলো,

কিরে আজকে তাড়াতাড়ি স্কুলে আসলি যে?( আলো)

আদ্রিতা আলোকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।

এই আদ্রিতা কি হয়েছে বল। ( আলো)

আদ্রিতা সব ঘটনা খুলে বললো আলোকে ভয়ে আলোর ও পশম দাঁড়িয়ে গেছে।

যে তোকে সাহায্য করেছে সে নিশ্চয়ই অনেক ভালো। না হলে এভাবে কেউ সাহায্য করে না ( আলো)

হুম হয়তো ভালো। ( আদ্রিতা)

**** কিছুদিন পর ****

সেদিনের পর প্রায় ১ মাস কেটে গেছে। এর মধ্যে সাজ্জাদের সাথে আদ্রিতার আর কোনো দেখা হয় নি। আদ্রিতা ও সেদিনের কথাটি ভুলতে বসেছে। কিন্তু অজান্তেই অনেক বড় একটি প্রমাণ নিযে আদ্রিতা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আদ্রিতা আর আলো স্কুলের ক্লাস শেষ করে কোচিং-এ এসে পড়লো। তখন শুনতে পারলো তাদের কোচিং-এর স্যার নাকি এক্সিডেন্ট করেছে। তাই আজকে থেকে তার পরিবর্তে নতুন একজন স্যার ক্লাস নিবে। ওই স্যার সুস্থ হলে আবার তিনি ক্লাস নিবেন।

***কিছুক্ষণ পর***

নতুন স্যার হিসেবে সাজ্জাদকে দেখে কিছুটা চমকে উঠলো।

ইনি তোমাদের স্যারের বন্ধু। যতদিন না তোমাদের স্যার সুস্থ হবে ততদিন পর্যন্ত ইনি ক্লাস নিবে। কথাটি বলে কোচিং-এর প্রধান স্যার চলে গেলো।

আদ্রিতা সাজ্জাদকে দেখে ভয়ে আলোর হাত খামছে ধরলো।

এই কি হয়েছে? ( আলো)

না কিছু না ( আদ্রিতা)

সাজ্জাদ একবার আড় চোখে আদ্রিতার দিকে তাকালো। তারপর ক্লাস নেওয়া শুরু করলো। ক্লাস শেষে সবাইকে বাড়ির পড়া দিয়ে দিলো। আর আদ্রিতার উদ্দেশ্য বললো,

একটু অফিস রুম এসো ( সাজ্জাদ)

কথাটি বলে সাজ্জাদ বেরিয়ে গেলো। আদ্রিতা ভেবে পাচ্ছে না সাজ্জাদ কেনো তাকে এখন ডেকেছে?

স্যার তোকে চিনে নাকি? ( আলো)

মনে আছে সেদিন সন্ধ্যার কথা? সেদিন উনি আমাকে সাহায্য করেছিলো ( আদ্রিতা)

আলো কিছুটা চমকে উঠলো কথাটি শুনে,

কি উনি তোকে সাহায্য করেছিলো? ( আলো)

হুম। ( আদ্রিতা)

মনে হয় তোকে চিনতে পেরেছে তাই ডেকেছে চল গিয়ে দেখি কি বলে। ( আলো)

ওকে ( আদ্রিতা)

আদ্রিতা আর আলো অফিস রুমের দিকে গেলো…
#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ৪৫
#লেখিকা ঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

আদ্রিতা সাজ্জাদের রুম প্রবেশ করলো আলোকে নিয়ে। সাজ্জাদ আড়চোখে একবার তাকালো। তারপর বললো,

কেমন আছো? ( সাজ্জাদ)

জ্বি হ্যাঁ আলহামদুলিল্লাহ ভালো ( আদ্রিতা)

আমাকে চিনতে পেরেছো? ( সাজ্জাদ)

হুম ( আদ্রিতা)

সাজ্জাদ এবার আলোর উদ্দেশ্য বললো তোমার নাম কি?

আলো আমি আদ্রিতার বেস্ট ফ্রেন্ড। ( আলো)

ও আচ্ছা ঠিক আছে যাও তোমরা। ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা আর আলো চলে গেলো।

স্যার খারাপ না মনে হয়। আমার মনে হয় না সেদিন তুই যেই খু*ন হতে দেখিছিলি সেখানে স্যারের হাত রয়েছে। আর ভয়ে পেয়ে লাভ নেই। ( আলো)

হুম ঠিক বলেছিছ। ( আদ্রিতা)

আদ্রিতা আর আলো কোচিং থেকে বেরিয়ে গেলো। সাজ্জাদ স্বাধীনকে কল দিলো,

আমাদের আর ও ৩ বছর অপেক্ষা করতে হবে। ( সাজ্জাদ)

হুম যেহেতু কাজ আমাদের তাই অপেক্ষা করতে ক্ষতি নেই। একটা কাজ কর কয়েকদিন তুই মেয়েটার সাথে একটু ফ্রি হওয়ার চেষ্টা কর। ( স্বাধীন)

হুম তাই করছি। ( সাজ্জাদ)

ওকে ( স্বাধীন)

স্বাধীন ফোন রেখে দিলো।

******

কেটেগেলো বেশ কয়েকদিন এর মধ্যে সাজ্জাদ আর আদ্রিতার বলতে গেলে খুব ভালো একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। সাজ্জাদ ক্লাস নিচ্ছে এমন সময় প্রধান শিক্ষক ক্লাস আসলেন,

তোমাদের পিকনিক এর ব্যবস্থা করেছি। নেক্সট শুক্রবার তোমাদের পিকনিক। আশা করি তোমরা সবাই যাবে। আমরা ময়নামতি যাবো বলে ঠিক করেছি। সবাই যাবে ত? ( প্রধান শিক্ষক)

জ্বি স্যার আমরা আসবো। ( সব স্টুডেন্ট একসাথে বললো)

সাজ্জাদের আর পড়ানো হলো না। সব স্টুডেন্টরা হাসি তামাশায় মেতে উঠলো।

দোস্ত যাবি ত পিকনিকে? ( আলো)

হ্যাঁ কেনো যাবো না আমি ত অবশ্যই যাবো ( আদ্রিতা)

আমি ও যাবো অনেক মজা হবে রে ( আলো)

হুম ঠিক বলেছিছ ( আদ্রিতা)

কি যে একটা ঝামেলায় ফেঁসে গেলাম এখন নাকি আবার ওদের সাথে পিকনিকে যেতে হবে। ( সাজ্জাদ মনে মনে কথাটি বললো)

****রাতে আদ্রিতাদের বাসায়****

মা আমি পিকনিকে যাবো। ( আদ্রিতা)

না এতো দূর যাওয়ার কোনো দরকার নেই। ( আদ্রিতার মা)

না মা প্লিজ আমি যকই আলো ও যাবে আমার সাথে। ( আদ্রিতা)

কোথায যাবি তোরা? ( আদ্রিতার মা)

ময়নামতি ( আদ্রিতা)

না এতো দূর যাওয়ার কোনো দরকার নেই। ( আদ্রিতার মা)

প্লিজ যায় না। বাবা তুমি ত কিছু বলো যেতে দেও আমাকে ( আদ্রিতা)

আচ্ছা যা ( আদ্রিতার বাবা)

ইয়েয়েসসস আমি ও যাবো অনেক মজা হবে। ( আদ্রিতা)

কবে যাবি? ( আদ্রিতার বাবা)

১ সপ্তাহ পর। ( আদ্রিতা)

আচ্ছা ঠিক আছে। ( আদ্রিতার বাবা)

সামিরা ক্যাম্পে গিয়েছে না হলে আদ্রিতার সাথে সাসিরা ও যেতো। পিকনিকে যাওয়ার অনুমতি পেয়ে আদ্রিতা খুশিমনে ঘৃমাতে চলে গেলো।

**** ১ সপ্তাহ পর ****

সকাল ৬ টার দিকে সবাই বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে। পিকনিকে যাওয়ার জন্য। আদ্রিতার ঘুমে অবস্থা খারাপ। আলোর ও একই অবস্থা। সাজ্জাদ ও এসেছে। ফরমাল ড্রেসে অসাধারণ লাগছে সাজ্জাদকে। আদ্রিতা একটি বেগুনি কালারের ড্রেস পড়েছে। বলতে গেলে সিম্পলের মধ্যে গরজিয়াছ। সবাই বাসে উঠে পড়লো।
আপন গতিতে বাস চলে যাচ্ছে। সবাই গান বাজনাতে মেতে উঠেছে।

*** কয়েকঘন্টা পর ***

সবাই পৌঁছে গেলো। প্রথমে সবাই কতক্ষণ রেস্ট নিয়ে নিলো। তারপর বিভিন্ন খেলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে কেটে গেলো অনেকটা সময়। দুপুরের সময় হয়েছে। সবাই খেতে বসেছে। এর মধ্যে কোনো সিট৷ খালি না পাওয়ায় আদ্রিতা সাজ্জাদের পাশে খেতে বসেছে। সাজ্জাদ একবার মেয়েটিকে পরখ করে নিলো। চুল গুলো বাতাসের কারণে হালকা উড়ছে। মাঝে মধ্যে সাজ্জাদের উপর এসে চুল গুলো পড়ছে। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক। বাড়তি কোনো মেকআপ নেই। বেগুনি কালার ড্রেসে অসাধারণ লাগছে। গায়ের রঙ একটু বেশি ফর্সা। গলায় একটি সোনার চেন পড়া। পিকনিকে সাধারণত কেউ সোনার চেন পড়ে না। হয়তো আদ্রিতাদের আর্থিক অবস্থা ভালো। তাই পিকনিকে ও সোনার চেন পড়েছে। সাজ্জাদ আদ্রিতাকে ভালো করে একবার পরখ করে নিলো। তারপর আবার খাওয়ায় মনোযোগ দিলো। খুব আনন্দ সহকারে কেটে গেলো সবার পিকনিক। সারাদিন শেষে সবাই আজকে ক্লান্ত। এখন বাসায় যাওয়ার জন্য সবাই বাসে উঠেছে

স্যার একটা সমস্যা হয়ে গেছে ( বাস ড্রাইভার কোচিং-এর প্রধান স্যারের নিকট কথাটি বললেন)

কি হয়েছে? ( প্রধান শিক্ষক)

বাস চলছে না। ( বাস ড্রাইভার)

কিকিকি? চলছে না মানে? ( প্রধান শিক্ষক)

জানি না স্যার আমার মনে হচ্ছে কেউ ইচ্ছে করে ইন্জিন এ কোনো ঝামেলা করেছে। ( ড্রাইভার)

সবাই আস্তে আস্তে বাস থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়ালো৷ সন্ধ্যা হযে এসেছে। তার মধ্যে অনেক গুলো ছেলে মেয়ে নিযে কিভাবে ঢাকা ফিরে যাবে কেউ বুঝতে পারছে না। সাজ্জাদ ভাবতে থাকলো কাউকে কল দিয়ে গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে আজকে আর বাসায় যাওয়ার কোনো উপায় থাকবে না। সাজ্জাদ দাঁড়িয়ে কথাগুলো ভাবছে। কোচিং-এর সব স্যাররা একএিত হয়ে ঠিক করছে যে কি করা যায়। হঠাৎ পিছন থেকে সব স্টুডেন্টরা চিল্লিয়ে উঠলো,

সবাই পিছনে তাকিযে দেখলো একদল ডাকাত তাদের ঘিরে রেখেছে। এর মধ্যে কয়েকজন স্টুডেন্টের গলায় ছু*রি ধরে রেখেছে। তার মধ্যে আদ্রিতা ও আছে।

কারা আপনারা ছেড়ে দিন ওদের ( প্রধান শিক্ষক)

আমরা কারা বুঝতে পারছিছ না? ( ডাকাত দলের সর্দার)

ওদের ছেড়ে দিন ওরা বাচ্চা। ভয় পাচ্ছে ওরা ( সাজ্জাদ)

এই হিরো বেশি কথা বলবি না তাহলে কিন্তু এক কো*পে সবাইকে খু*ন করে ফেলবো ( ডাকাত দলের সর্দার)

এই ওদের কাছে যা যা আছে সব কিছু নিয়ে ওদের সবাইকে এখানে মাটিতে পুঁ*তে দে। ( ডাকাত সর্দার আরেকটি ডাকাতের উদ্দেশ্য বললো,

ভয়ে সবার অবস্থা খারাপ। আলোর গলায় ছুরি ধরে নি। আদ্রিতা, মায়া, মারিয়া আর ও কয়েকজন স্টুডেন্টের গলায় ছু*রি ধরে রেখেছে। কয়েকজন ডাকাত এসে সবার ফোন টাকা পয়সা আর ও যা যা ছিলো সেগুলো সব নিয়ে নিলো।

সব দিয়ে দিয়েছি এখন সব স্টুডেন্টদের ছেড়ে দিন। ( সাজ্জাদ)

যাদের গলায় ছু*ড়ি ধরা ছিলো তাদের গলা থেকে ছু*ড়ি নামিয়ে ধাক্কা দিয়ে বাকি স্টুডেন্টদের কাছে ফেলে দিলো। আদ্রিতা যেয়ে নিচে পড়লো। আলো টেনে তুললো আদ্রিতাকে। সাজ্জাদের দেখে খারাপ লাগলে ও আদ্রিতার কাছে যায় নি।

সবাইকে বাঁধ ওদের খু*ন না করলে সমস্যা হবে। ( ডাকাত দলের সর্দার)

কথাটি শুনে যে যেই দিকে পারলো দৌঁড়ানো শুরু করলো, ডাকাত দলের মানুষরা ও দৌঁড়াচ্ছে। আলো আর আদ্রিতা হাত ধরে দৌঁড়ে যাচ্ছে।

আমি আর পারছি না রে ( আদ্রিতা)

থামিস না দৌঁড়াতে থাক ( আলো)

হঠাৎ একজন ডাকাত আদ্রিতা আর আলোর খুব কাছাকাছি চলে আসলো। ভয়ে একজন আরেকজনের হাত ছেড়ে দিলো। দুজন দু’দিকে চলে গেলো। আদ্রিতা একটি গ্রামের দিকে দৌঁড়ানো শুরু করলো আর আলো বাকিরা যেই রাস্তায় গিয়েছে সেই রাস্তায় গেলো। ওদের পিছনে সাজ্জাদ ও ছিলো। আদ্রিতাকে একা ওইখানে যেতে দেখে সাজ্জাদ ও আদ্রিতার পিছনে গেলো। সাজ্জাদের একটি কাজের খুব বড় প্রমাণ আদ্রিতার কাছে আছে। তাই কোনোভাবেই সাজ্জাদ চাই না আদ্রিতার কোনো ক্ষতি হোক। অনেক্ক্ষণ পর বাকিরা একটি পুলিশ স্টেশনের সামনে পৌঁছে গেলো। পুলিশ স্টেশনের সামনে দেখে ডাকাতরা এগোতে আর সাহস পেলো না। কিন্তু তাদের মনে পড়লো দু’জন গ্রামের দিকে গিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য গ্রামের দিকে ছুটতে থাকলো। আদ্রিতা দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে থেমে গেলো আর সম্ভব হচ্ছে না আদ্রিতার পক্ষে।

দাঁড়িয়ে থেকে না ( সাজ্জাদ)

আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না আর আলো কোথায়?( আদ্রিতা)

আলো অন্যদিকে চলে গেছে। আমার মসে হচ্ছে এদিকে শুধু আমরা দু’জন এসেছি বাকিরা অন্য দিকে চলো আমাদের সেদিকে আবার যেতে হবে( সাজ্জাদ)

আচ্ছা ( আদ্রিতা)

আদ্রিতা আর আলো যেতে নিবে তার মধ্যে কিছু মানুষ হাতে মশাল আর ছুড়ি হাতে এগিয়ে আসলো সাজ্জাদ আর আদ্রিতার দিকে। ভয়ে আদ্রিতার হাত পা জমে যাচ্ছে। সাজ্জাদ ও চিন্তায় পড়ে গেছে এরা কেনো এগিয়ে আসছে সাজ্জাদ আর আদ্রিতার দিকে?

#চলবে

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here