অজানা অনূভুতি পর্ব -০৩

#গল্পঃঅজানা_অনূভুতি
#লেখীকাঃফারহানা_জান্নাত
#পর্বঃ০৩

মম সামনে থাকা মানুষ টাকে দেখে অবাক এর চরম পর্যায়ে চলে যায়!

মমঃ আবির কখন আসসো তুমি, আর আসবে বললে ও না একবার, দেখি ছাড় উঠি আমি, তুমি একটু ও ভালো না আবির দেশের বাহিরে গেলা অথচ একটা বার আমার সাথে কথা বলো নাই কি হয়ছে বলো তো তোমার।

আবিরঃ হুস চুপ, একটা কথা ও না, আমি কি তোর এতো কৈফিয়ত দেওয়ার জন্য বসে আছি, আমার ইচ্ছা হয়নি কথা বলি নি এতে তোর কি সমস্যা বল তো, আর একটা কথা ও বলিস না চুপ থাক রাগাবি না আমাক।

আবির এর এমন রেগে কথা বলায় মম ভয় পেয়ে যায়, কেমন যেন মানুষ টা বদলে গেছে, মম কিছু বলবে তার আগের আবির মম এর ঘাড় থেকে চুল সরায় ঘারে কামড় বসায় দিতাছে, মম ব্যাথায় চিল্লে উঠলে আবির মম এর মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরে।

আবিরঃ উফ বেবি চিল্লাতে চাও কেন, পাশের রুমে তোমার শাশুড়ী মা আছে, ওহ সরি সরি আমার রুম তো সাউন্ড প্রুফ মনে ছিল না, চিল্লাও কতো চিল্লাতে পাড় তুমি, তবে তোমাকে একটা কথা বলে রাখি আজ থেকে আমার অত্যাচার সহ্য করার ক্ষমতাটা রেখ। আর রুমে যা হবে তা যেন বাহিরে না যায় কার কানে তাহলে আমার থেকে খারাপ কেও হবে না।

আবির মম এর গলায় স্লাইড করতে করতে কথা গুলো বললো, মম ব্যাথায় নিরবে কেঁদে যাচ্ছে এক পর্যায়ে আবির নিজের মতো চাহিদা মিটাতে লাগলো, নিজের কাজ শেষে মম কে ধাক্কা দিয়ে বেডের অন্য পাশ হয়ে শুয়ে পরে আবির,

মম আবির এর দিকে তাকিয়ে নিরবে কেঁদে যাচ্ছে, তার মাথায় যেন কিছু ঢুকতেছে না হুট করে আবির এমন করতে শুরু করছে কেনো, মনে হচ্ছে মম কে শুধু তার চাহিদা মেটাতে কাছে টানছে, আর আজ হুট করে দেশে আসলো তাও এতো খারাপ ব্যাবহার সব যেনো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে, সকালে মম এর ঘুম ভেঙে গেলে চোখ মেলে দেখে আবির পাশে নিস্পাপ শিশুদের মতো করে ঘুমিয়ে আছে, মম শরীর এর ব্যাথায় ঠিক মতো নড়তে পারতিছে না, কোনো রকম নেমে গোসল সেরে নিচে যাবে এমন সময় আবির মম এর ওড়না টেনে ধরে বলতে লাগে।

আবিরঃ ফাস্ট কফি আন ১০ মিনিট সময় এর বেশি সময় লাগলে তোর কপাল এ সুনি আছে, আমি গোসল করে বের হয়ে যেন কফি পাই যা ভাগ এখান থেকে,

এই বলে আবির মম কে ধাক্কা দিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়, মম ধির পায়ে নিচে গিয়ে কফি বানায় আনে এসে দেখে আবির রাগি ফেস করে বসে আছে, মম আবির কে কফি দিয়ে আসতে যাবে তখনই আবির মম এর হাতে গরম কফি ধেলে দেয়, হাতের জালায় চিল্লিয়ে কেঁদে উঠে, এবার বাকি যে টুকু কফি ছিল সেটা ও মম এর হাতে ধেলে দেয়, মম চোখ-মুখ খিচে বন্ধ করে আছে, একটু পর আবির মলম নিয়ে এসে মম এর হাতে লাগায় দিতে দিতে রাগি সুরে বলে,

আবিরঃ তোকে বারবার বলছিলাম ১০ মিনিট এর মধ্যে আসবি সেখানে তুই ৩০ মিনিট লাগালি কোন সাহস এ, রাতের কথা কি তোর মনে নেই, আমি আগের আবির না যে তোকে আগলে রাখবো এখন থেকে আমার আসল রুপ দেখবি তুই, যা খাবার রেডি কর নিচে গিয়ে আমি হসপিটালে যাব,

মম কিছু না বলে বা হাতে চোখ মুছে নিচে গিয়ে মামুনি কে খাবার বারার কথা বলে উপরে আসবে তখন দেখে আবির রেডি হয়ে নিচে আসসে,

আবির এর মামুনিঃ মম কই যাচ্ছিস আয় খেয়ে নেয়, কাল তোর গায়ে জ্বর ছিল অল্প খাইছিস এখন খেয়ে নে তো, আর হাতে কি হয়ছে এমন করে হাত রাখছিস কেনো, আবির কে ও খাবার দে তুই ও খাবার নিয়ে খা,

মমঃ না মামুনি খুধা নাই খাব না আমি, আর হাতে একটু লাগছে তেমন কিছু না, (হুহ কিভাবে খাব তোমার গুনধর ছেলে আমার হাত পুড়ে ফেলাইছে হাতের জালায় আমি মরতেছি আর এই হাত দিয়ে খেলে আমাক আর নিতে হবে না হুহ,)

আবিরঃ মম এখানে আসো খাওয়াই দেই, আমাকে বলো নাই কেনো যে হাত এ লাগছে বাচ্চামি সভ্বাব কি তোমার এখন ও যায় নি, আমার তারা আছে কাম ফাস্ট খাওয়াই দেই তোমাকে তার পর আমি খাব।

এই বলে আবির মম এর হাত ধরে টেনে কাছে বসায় খাওয়াতে লাগলো, মম কি বলবে বুঝে উঠতে পারলো না, রুমে এক ধরনের ব্যাবহার বাহিরে এক ধরনের ব্যাবহার এটা কেমন, আবির কি সবার সামনে ভালো সাজার নাটক করতিছে, কিন্তু কেনো। আবির মম কে খাওয়ায় দিয়ে নিজে খেয়ে মম এর কপালে কিস করে হসপিটালের চলে গেলো, মম কয়দিন আগে এইচএসসি এক্সাম দিল তার জন্য এখন সে ফ্রি আর আয়ান স্টাইল মেরে ভার্সিটির উদ্দেশ্য বেরিয়ে গেলো। মম ছাদে গিয়ে নিজ মনে ভাবতে লাগলো তাদের বিয়ের আগের কাহিনি,

মমঃ আবির হুট করে এমন হয়ে গেলো কেনো, আর বিয়ের দিন তো বললো ও নাকি আমাকে পছন্দ করতো তাহলে, যেখানে আয়ান এর সাথে ছাড়া কোনো ছেলের সাথে আমাকে মিশতে দিত না আর কেও কিছু আমাকে বললে সেখানেই মেরে আসতো সেই আবির কিনা এখন নিজ থেকে আমাকে কষ্ট দিচ্ছে কিন্তু কেন কি চায় আবির কেন এমন করতিছে এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না এর একটা বিহিত করতে হবে,

মম নিজে বিরবির করে কথা গুলে বলে নিজের রুমে পা বারায়, অন্য দিকে.

আবিরঃ কি ভাবিস তুই নিজেকে বলতো তোকে আমি শেষ করে দিব তিলে তিলে শেষ করবো তোকে মম, যেখানে আমি তোকে সেই ছোট থেকে আগলে রাখছি সেই তুই কিনা এখন অন্য কার মায়ায় ছিলিস, আমি ছাড়া তোর জীবনে কেও থাকবে না কেও না তোকে আজ থেকে আমার মন এর ঘরে বন্ধ করে রাখবো, #তুই_আমার_বন্দিনী শুধু আমার বন্দিনী আমি ছাড়া তোর প্রতি কার অধিকার নাই,

আবির বাসায় ফিরে রাত ১২ টার পড় রুমে ঢুকা মাএ মম এসে আবির এর কলার চেপে ধরে আবির মুচকি হাসে যেন সে যানতো এমন কিছু হবে পরক্ষণেই চোখ-মুখে রাগি ভাব এনে চোখের ইশারায় মম কে কলার ছাড়তে বলে,

মমঃ ছাড়বো না আমি কি করবা তুমি বলো, আমি তো তোমাকে বিয়ে করতে চাইনি তুমি নিজে জোর করে বিয়ে করছো আমাকে, এখন কেন এমন ব্যাবহার করতিছ আর সবার সামনে সাধু সাজতিছ, কেনো বলো, কই বিয়ের রাতে তো ভালোবেসে কাছে টানছিলা আর কাল রাতে একজন ধর্ষক এর মতো আচরন করছো আমার সাথে, কি করছি আমি কেন এমন করতিছ আমার উওর চাই,

আবির মম এর দিকে সরু চোখে তাকায় নিজের কলার থেকে মম এর হাত ঝাটকা মেরে ফেলে দিয়ে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুম এ ফ্রেশ হওয়ার জন্য ঢোকে, মম হতবাক হয়ে দারায় আছে সেখানেই, আবির ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে মম ঐভাবেই দাড়াই আছে হুট করে মম এর গালে পরপর ৩ টা থাপ্পড় পরে মম তাল সামলাতে না পেরে মেঝেতে পরে যা, আবির মম এর থুতনিতে হাত এর চাপ দিয়ে বলতে শুরু করে।

আবিরঃ শোন আমি তোকে আগে ও বলছি তোর কৈফিয়ত আমি দিব না তাও তুই কোন সাহস এ আমার কলার ধরছিস তোর সাহস দিনদিন বারতিছে নাকি, আচ্ছা তোকে কাবু করার একটা উপায় দেখি আমার আদর রাইট চল তোকে আদর করি মন ভরে তোর হাসবেন্ড দূর্বল না চল,

আবির রাগি ভাবে কথা গুলে বলে মম কে টেনে কোলে নিয়ে বিছানায় পাক মারে, মম কমড় এ ব্যাথা পেয়ে কেঁদে দেয়, একটু পর আবির মম এর উপর উঠে ঠোঁট এ কিস করতে থাকে এক পার্যায়ে কামড় দিতে শুরু করে মম এর ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে আবির কিছুক্ষণ পর উঠে সিগারেট নিয়ে বেলকনিতে যায়, মম বলিশ এ মুখ গুঁজে কাঁদতে লাগে, কিছুক্ষণ পড় কমড়ে গরম কিছু অনুভব করতে সেদিকে তাকাই জোরে চিল্লিয়ে উঠে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here