অজানা অনূভুতি পর্ব -০২

#Story_Writer_Official
#গল্পঃঅজানা_অনূভুতি
লেখীকাঃফারহানা_জান্নাত
#পর্বঃ০২

মম চুপ মেরে যায় কি নির্লজ্জ কথা বার্তা সে কি বলবে, হুট করে একটা কথা বলে বসে আবির হাসবে না কাঁদবে ভেবে পাচ্ছে না, মম আবির এর বুকে মাথা ঢুকায় বলে বসে,

মমঃ ভাইয়া তুমি রাত থেকে যা শুরু করছো একটু পর দেখবো আমার পেট ফুলছে সবাই বলবে আমি প্রেগন্যান্ট,

আবির মম এর এমন বাচ্চামি কথায় খিলখিল করে হেঁসে উঠে, মম বোকার মতো আবির এর দিকে তাকায় আছে, কি সন্দুর এই হাসিটা, হুট করেই আয়ান এর কথা মনে হতেই আবির কে কাছ থেকে সবাই দিয়ে অন্য পাশ হয়ে শুয়ে পড়লো, আবির পিছন থেকে জরায় নিয়ে চোখ বন্ধ করলো,

সন্ধা লেগে এসেছে আবির যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিচে অপেক্ষা করতিছে তার বউটাকে একবার দেখার জন্য কিন্তু সে কই আসে পাশে নেই, আবির চলে গেলো, রাত নেমে সকাল হয়ে গেলো মম এর ফোন অনবরত বেজেই চলছে তা দেখে ও ফোন রিসিভ করার কোনো মানে নেই, আবির বিরক্তির হয়ে বাসায় ফোন দিয়ে সবার সাথে কথা বলে নিল, আবার ও রাত নেমে আসলো মাএ মম রুমে আয়ান কে টেনে এনেছে অনেক কষ্টে, আর এখন ফোন এর শব্দে বিরক্ত প্রকাশ করলো, আয়ান ফোনটা হাতে নিয়ে মম এর উদ্দেশ্য বললো,

আয়ানঃ ভাবি কি সমস্যা ভাইয়া ফোন দিচ্ছে বারবার ও মাই গড ১০০+ কল আসসে ধরিছ নাই কেন, আবির ভাইয়া এখন তোর স্বামী সো এতো জেদ না নিয়ে কথা বল, আমি তোর সব কথা শোনবো প্লিজ ভাইয়ার ফোন রিসিভ কর ভাইয়ার রাগ কেমন জানিস তো,

মম কিছু না বলে ফোন রিসিভ করলো, আবির নন্সটপ বকা দিয়ে যাচ্ছে মম তা কানেই উঠালো না তারপর বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন রেখে দিয়ে আয়ান এর সামনা সামনি বসলো,

মমঃ আয়ান তোর মনে আছে আজ থেকে দুই বছর আগের কথা, সেদিন আমার বার্ডে ছিল, তুই আমাদের বাসায় গেছিলিস সেদিন আমাকে প্রপোজ করছিলিস আমি রাজি না হলে কতো কি বলছিলিস কই গেলো তোর এতো ভালোবাসা, সব কি শেষ তোর চোখের সামনে বিয়ে হলো আমার বাধা দিলি না, এবার কি সমস্যা আমাকে এখন ভালো লাগে না তোর, তুই এভাবে আমাকে ঠকালি কি সমস্যা তোর বল আমায়,

মম এই বলে আয়ান কে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে কান্না করতে লাগলো, হঠাৎ করে আয়ান এর কলার চেপে ধরে বলতে লাগলো,

মমঃ আমাকে ব্যবহার করার আগে তোর মনে ছিল না এটা যে তুই আমাকে বিয়ে করতে পারবি না, কই তখন তো খুব নিজের চাহিদা মেটাতে ব্যাস্হ ছিলিস একবার ও আমার কথা ভাবিস নি, তোর মতো জান*য়ার কে ভালোবাসা ভুল ছিল আমার, কই তোর মনে নাই ৬ মাস আগের ঘটনা,

মম যখন ইন্টার এ ভর্তি হয় তখন থেকে তার মামুনিদের বাসায় থাকে সেখান থেকে আয়ান আর মম বেশি গভীর হয়, একদিন রাতে মম মাএ খাওয়া দাওয়া করে ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে শুয়ে পড়ে, দরজা খোলাই ছিল চোখ বন্ধ করে আছে হুট করে অনুভব করলো কেও তাকে পিছন থেকে জরায় নিছে সে দিকে তাকাই দেখে আয়ান ওকে আসটে পিসটে জরায় নিছে, মম কিছুটা অবাক হয়ে তাকায় আয়ান এর দিকে পড়ে বলতে শুরু করে,

মমঃ আয়ান এখানে কি করিস এত রাতে কেও দেখলে কি ভাববে যা নিজের রুমে যা, আর ছি এভাবে জরায় ধরে আছিস কেন, ছাড় আয়ান আমার কেমন অস্বস্তি লাগতিছে প্লিজ সোনা কইছি ছাড়,

আয়ানঃ উফ মম চুপ কর তো, আমাদের রিলেশন এর দেড় বছর হলো তোকে কখন ও কিস ছাড়া কিছু করি নাই, আর আমার সব ফেন্ডরা বেড শিয়ার করে বসে আছে, আমি আজকে তোকে আপন করে চাই,

আয়ান মম এর কথা না শুনেই মম এর কাছে ঘেঁসে পড়ে তারপর মম এর ঠোঁট এ কিস করতে করতে মম এর গায়ে হাত দেয়, মম লাথি মারতিছে তাও সরতিছে না, একটু পর মম হাত এ কামড় বসালে আয়ান মম এর ঠোঁট ছেড়ে মম এর দিকে তাকায়, তারপর মম এর বুক এ হাত দিয়ে আর ও কাছে টেনে নেয়, এবার মম যেন পাথর এর মূর্তির মতো হয়ে যায়, কিছুক্ষণ পর আয়ান মম কে জোর করে নিজের করে নেয় শেষ এ উপায় না পেয়ে মম ও আয়ান এর সাথে তাল দেয়,

মম এসব বলতে বলতে কেঁদে দেয়,

মমঃ আয়ান তুই কেন এমন করলি আমার সাথে বল কেন কেন, কেন এভাবে আমাকে ঠকালি, তুই আমাকে দিন এরপর দিন ব্যাবহার করলি অথচ বিয়ের সময় নিজেকে গুটিয়ে নিলি, তুই না আমাকে ভালোবাসিস তাহলে,

আয়ানঃ মম আমি তোকে প্রথম এ ভালো বাসলে ও পড়ে তোর শরীরকে ভালো লাগে আসতে আসতে তোর প্রতি বিরক্ত উঠে যায় আমার, পড়ে একটা মেয়ে আমাকে প্রপোজ করে ও তোর থেকে সুন্দর আর বড়লোক এর মেয়ে তাই ওর সাথে আমি রিলেশন এ জরায়, আর মম প্লিজ ভাইয়া ভালো তুই খুব ভালো করেই জানিস তাই ভাইয়ার সাথে সংসার কর তোর মত ন*ষ্টা মেয়েকে ভাইয়া আপন করে নিছে এটা তোর স্বভাগ্য।

এই বলে আয়ান মম কে ধাক্কা দিয়ে নিজের রুমে চলে যায়, মম বসে নিরবে কেঁদে যাচ্ছে, তাকে আয়ান ন*ষ্ট মেয়ে বলছে কিন্তু সে তো আয়ান এর কাছেই নষ্ট হয়ছে, তাও আয়ান জোর করেই কাছে টানছিল কই সে তো নিজ থেকে যায় নি,

এভাবেই দিন চলতিছে, মম এখন আয়ান এর থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে, তবে একটা বিষয় মম কে খুব ভাবায় প্রথম দিন আবির মম কে কল দিয়ে পাগল করে তুলছিল আর, এখন ৫ মাস চলে গেল আর একটা কল ও দেয়নি, মম কাওকে কিছু বলতে ও পারে না, দিনদিন কেমন জেনো আবির এর প্রতি দূর্বল হয়ে পড়তিছে কিন্তু আবির মম এর ফোন ও রিসিভ করে না, অথচ বাসার সবার সাথে কথা বলে আবির, মম কান্না করেই রাত পার করে,

আবির এর ৬ মাস সময় শেষ হয়ে আসলো, রাত ১১ টা বাজে মম এর ঘুম পাওয়ায় সে ঘুমিয়ে পড়ে আবির এর রুমে গিয়ে, হঠাৎ করে বুঝতে পারে কেও তাকে জরায় নিছে তবে শুধু তাইনা শরীর এ ও হাত দিতেছে, মম যখন ঘুরবে দেখার জন্য যে কে তখন মম কে নিজের দিকে করে নিয়ে মম এর ঠোঁট এ কামড় বসায় দেয়,

মম সামনে থাকা মানুষ টাকে দেখে অবাক এর চরম পর্যায়ে চলে যায়,

মমঃ….

(ছোট করে দেওয়ার জন্য সরি)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here