#গল্পঃঅজানা_অনূভুতি
#লেখীকাঃফারহানা_জান্নাত
#পর্বঃ০৪_০৫
মম কিছুক্ষণ পড় কমড়ে গরম কিছু অনুভব করতে সেদিকে তাকাই জোরে চিল্লিয়ে উঠে, আবির সিগারেট এর আগুন কমড়ে চেপে ধরে রাখছে, মম ছটফট করতে শুরু করলে আবির সিগারেট ফেলায় দিয়ে অন্য পাশ হয়ে শুয়ে পড়ে, মম হাঁটুতে মাথা গুজে কেঁদে যাচ্ছে, আবির মম এর কান্নায় বিরক্ত হয়ে মম কে ঝারি মেরে বলে.
আবিরঃ কুত্তা*র মতো কানের কাছে ঘেউ ঘেউ করিস না তো, এর থেকে ও বেশি সহ্য করতে হবে তোকে তাই চুপচাপ ঘুমা আর আমাকে ও ঘুমাতে দে, নয়তো লাথি মেরে ফেলে দিব,
মম কিছু না বলে অন্য পাশ হয়ে শুয়ে নিরবে চোখের পানি ফেলে একসময় মম ঘুমিয়ে গেলে আবির মম কে কাছে টেনে নিয়ে কপালে কিস করে, এরপর কমড়ের কাপর উঠায় দেখে অনেকটা জায়গা কালো হয়ে আছে, আবির ধির পায়ে উঠে মলম এনে লাগায় দেয়, তারপর ভালো ভাবে শুয়ে দিয়ে ফোন নিয়ে সোফায় বসে, তখন মিতুল এর ফোন আছে (আবির এর বেস্টফেন্ড)
মিতুলঃ কিরে শা*লা কেমন আছিস ভাবি কেমন আছে, বউ পেয়ে তো আমাদের কথা ভুলে গেছিস, ওয়েট ওয়েট একটা কথা তুই তো ১৫ দিন এর ছুটিতে আছিস তাইনা, কাল কে সবাই তোর বাসায় যাব আমরা একা একা বিয়ে করলি একটা বার বললি ও না,
আবিরঃ ওম আচ্ছা আয়, একা একা কই বিয়ে করলাম, বউ ছিল বউ ছাড়া তো আর বিয়ে হয় না, কালকে আয় কেন এই ভাবে বিয়ে করলাম বলবো, আর ভালো লাগতিছে না কিছু, এই মেয়েটাক চোখের সামনে দেখলে মাথা গরম হয়, আর দূরে সরালে আমার জীবন শেষ হচ্ছে, ওরে ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না, আমি ইচ্ছা করে সিঙ্গাপুর গিয়ে থাকলাম ৬ মাস,
বলে আবির বাচ্চাদের মতো কেঁদে দেয়, মিতুল বোকা বনে যায় হুট করে কান্না করায়, পরে মিতুল বুঝতে পাড়ে কেনো আবির এমন করতিছে তাই কিছু না বলে চুপ থাকলো, কিছুক্ষণ পড় আবির স্বাভাবিক হয়ে কিছু কথা বলে ফোন রেখে দেয়, সকালে মম উঠে নামাজ পড়ে আবির কে ডাক দেয়,
মমঃ আবির উঠ নামাজ পড়বে, সময় যাচ্ছে উঠ, (ভয়ে ভয়ে মম ডাক দেয়, এতো কিছু হওয়ার পড় মম এর আর সাহস এ পাচ্ছে না)
আবিরঃ কি হয়ছে ঘুমাতে দিবি না নাকি, সকাল সকাল কানের কাছে মরিস না সর। আমি নামাজ পড়ছি নামাজ এর জন্য ডাকতে হবে না, আর উঠায়ছিস যখন কফি নিয়ে আয় যা,
মম বিড়বিড় করে বকা দিতে দিতে নিচে গিয়ে কফি এনে দেয়, তারপর একটু হাটাহাটি করে মামুনির সাথে রান্নার কাজে হাত লাগায়, কিছুক্ষণ পড় আবির এর সব ফেন্ডরা চলে আসে, সবাই মিলে বসে আড্ডা দেয়, এক সময় মিতুল আবিরকে নিয়ে ছাঁদে যায়,
মিতুলঃ কি হয়ছে বলতো, মমকে এমন দেখাচ্ছে কেন, তুই কি ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করিস নাকি, দেখ যা হবার হয়ছে ভুলে যা এখন বিয়ে করছিস ভালোভাবে সংসার কর, মেয়েটাকে কষ্ট দেস না, বাচ্চা মেয়ে না বুঝে ভুল করছে ও তো জানতো না যে তুই ওরে ভালোবাসিস তাই ঔ আয়ান এর সাথে রিলেশন এ ছিল।
আবিরঃ কি ভাবে তুই বল আমি ওরে ছোট থেকে আগলে রাখছিলাম কোনো ছেলের সাথে কখন ও মিশতে দেই নাই আর ও, ওকে আমি আমার ছোট ভাই এর সাথে মিশতে দেখছি নিজ চোখে, ওরা একবার দুইবার না কতবার যে এক হয়ছে সেটা ওরা ভালো জানে, কিভাবে আমি ওরে সহ্য করবো তুই বল,
আবির রেগে কথা গুলো বললো, মিতুল অবাক যে মম আর আয়ান বিয়ের আগে ছি, মিতুল কিছুক্ষণ ভেবে বললো,
মিতুলঃ দেখ তুই যখন সব জানিস তাহলে মম কে বিয়ে করলি কেন, তুই তো আয়ান এর সাথে মম এর বিয়ে দিতে পারতি, অযথা মম কে তোর সাথে না মিশালে ও পারতি, তুই ভালবাসিস মম কে বুঝলাম কিন্তু ও যদি আয়ান এর সাথে সুখে থাকে তাহলে তাতে তোর কি বাঁধা বল,
আবিরঃ (আবির কিছুক্ষণ দম নিয়ে বলতে লাগলো) আয়ান শুধু মম না আর ও মেয়ের সাথে ফিজি*কাল করছে, এমন কি এখন ও একটা মেয়ে কে বিয়ে করছে, সেটা মেয়েটাই জোর করে মেয়েটা আয়ান কে লাভ করে আয়ান মেয়েটার সাথে ফিজি*কাল করতে চাইলে মেয়েটা আগে বিয়ে করে তারপর, এখন বল কিভাবে আমি আয়ান এর সাথে মম এর বিয়ে দিব মম এর জীবন টা নষ্ট করবো কিভাবে আমি,
মিতুলঃ হাহাহা হাসলি তুই নিজে ও তো এখন খারাপ ব্যবহার করতেছিস মেয়েটার সাথে, আর এখন কার মেয়েরা কি দরকার বিয়ের আগে শরীর দিতে হবে বিএফ দের অযথা, যাই হোক কষ্ট দেস না মেয়েটাকে এমনি অনেক কষ্ট পাইছে একটু বুঝার চেষ্টা কর, ও আয়ান এর থেকে এমন আসা করে নাই, তোদের বিয়ে হলো আয়ান বাঁধা দিলো না, এতে কি মম কষ্ট পায় নি বুঝার চেষ্টা কর।
আবিরঃ কষ্ট পাইছে আর পাবে, সহ্য হয়না ওরে কি করবো বল, যেখানে ওর শরীর এ শুধু আমার ছোঁয়া থাকার কথা সেখানে, যাই হোক চল নিচে চল আগে একটু কষ্ট দেই বুঝাই কাওকে কষ্ট দিলে কি হয়, আমাকে দিন এরপর দিন কাদাঁয়ছে ওরে বুঝাবো আগে আমাকে কষ্ট দেওয়ার মজা।
এভাবে তিন মাস চলে গেলো, আবির এখন আর ও বেশি অত্যাচার করে মম কে, মম ভয়ে কাওকে কিছু বলতে পারে না, কারন বদ্ধ রুমে ছাড়া সব জায়গাতে তার সাথে ভালো ব্যবহার করে কাওকে কিছু বললে বিশ্বাস করবে না, রাতে মম সব কিছু ঠিকঠাক করে রুমে ঘুমানোর জন্য আসে তখন হুট করে আবির মম কে কোলে উঠায় বিছানায় শুয়ে দিয়ে উপরে শুয়ে পড়ে, মম ধাক্কা ধাক্কি করতে করতে বললো,
মমঃ আবির আমি ভার্সিটি ভর্তি হবো, আমি আর ও পড়াশোনা করতে চাই, মামুনিকে বলছি মামুনি তোমাকে বলতে বলছে, প্লিজ ভর্তি করায় দেও, আমি একজন লেকচারার হতে চাই।
আবিরঃ ( আবির মম এর দুই হাত এ নিজের হাত দিয়ে বিছানায় শক্ত করে ধরে বললো) কিসের ভর্তি তোর আর কোনো পড়াশোনা করার দরকার নাই, যা করছিস এটায় অনেক, নয়তো এই বাড়ি ছাড়তে হবে, কি চাস তোর হাসবেন্ড কি তোকে সুখ দিতে পাড়ে না, বাহিরের আরো ছেলের আদর প্রয়োজন নাকি তোর, চল আমি আদর করতেছি।
মম ফেলফেল করে তাকায় আছে কি বলবে বুঝতে পাড়তিছে না, এসব কি অসভ্য কথা বর্তা।
মমঃ আবির লাগতিছে ছাড় আমাক, এমনি শরীর দূর্বল কয়দিন থেকে ভালো লাগতেছে না, প্লিজ সর আমার কাছ থেকে,
কে শোনে কার কথা আবির নিজের মতো মম কে নিয়ে খেলতে লাগলো, সকাল এ আবির চোখ মেলে দেখে মম এখন ও শুয়ে আছে পাশে মম এর ফোন এ আলো জলতিছে আবির ফোন হাতে নিয়ে মেসেঞ্জার এ ঢুকে কিছু মেসেজ পড়ে রেগে ফোনটা আসার মারে, (মম এর ফোনে লক দেওয়া ছিল যেটা সেটা আবির যানতো) তারপর মম কে টেনে তুলে ফটাফট গালে দুইটা চড় বসায় দেয়,
আবিরঃ কু*ত্তার বা*চ্চা কয়টা লাগে তোর, মেসেঞ্জার এ এসব কি ছি লজ্জা করে না স্বামী থাকতে অন্য ছেলের সাথে, আমার বলতে ও লজ্জা করতিছে, আজ থেকে তুই আমার এই রুমের বন্দিনী ★তুই_আমার_বন্দিনী
মম কিছু বলার সুযোগ পেলো না, কাঁদতে কাঁদতে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো, আবির যখন মম এর ফোন নিয়ে মেসেঞ্জার এ যায় তখন মেসেঞ্জার এ একজন এর টেক্স এ গিয়ে দেখে.
#পর্বঃ০৫
মেসেঞ্জার এ একজন এর সাথে অনেক টেক্স আছে। অনেকটা নেগেটিভ কিছু মুখ হাইড করা পিক নু*ড*স পিক আছে। যা দেখে আবির এ মেজাজ গরম হয়ে গেলো। এদিকে মম ফ্রেশ হয়ে এসে নিচে যায় গিয়ে দেখে আবির আর আয়ান বসে বসে চা খাচ্ছে। মম সেদিকে তাকাই রান্না ঘরে চলে যায়। রান্না শেষ হলে আবির খাওয়া দাওয়া করে হসপিটালে চলে যায় আর আয়ান মম এর রুমে আসে। এসেই মম কে বলে।
আয়ানঃ কি অবস্থা ভাবি সংসার কেমন করতিছ। সকালে দেখলাম ভাইয়া তোর ফোন পাক মারছে কিছু হয়ছে নাকি। নতুন কোনো কাস্ট*মার খুজে নিছিস হয়তো। ভাইয়ার দারা কি হয়না।
আয়ান এর মুখে এমন বিশ্রি কথা শুনে মম রেগে তাকায় আয়ান এর দিকে। এরপর মম কিছুটা অবাক হয়ে বলে।
মমঃ কি ব্যাপার তোর বলতো। তুই তো আমার বিয়ের পড় একটা বার ও আমার সাথে কথা বলিস নাই তাহলে আজ হঠাৎ আমার রুমে আসলি। কোনো কারণ তো আছে অবশ্যই কি সেটা বল আর আমার রুম থেকে যা।
আয়ানঃ এই না হলো আমার ভাবি। খুব তারাতাড়ি বুঝে গেছিস দেখি। তেমন কিছু না আমার সাথে একটা রা*ত থাকতে হবে কেও জানবে না। কবে কখন থাকবি সেটা বল।
মম ঠাস করে আয়ান এর গালে দুইটা চড় বসায় দেয়। মম তো এখন ও আয়ান কে ভালোবাসে আর আয়ান কিনা এসব বলতিছে। মম নিজেকে কন্ট্রোল করে আয়ান কে বলে।
মমঃ তোর লজ্জা করে না আয়ান। সম্পর্কে এখন তোর ভাবি হই আমি। আর তুই কিনা ছি। আমার ভাবতে ও লজ্জা লাগে যে তোর মত জান*য়ার এর সাথে আমি রিলেশন এ ছিলাম। শুধু কি তাই।
মম আর বলতে পারলো না ডুকরে কেঁদে উঠলো। আয়ান সেসব এ পাত্তা না দিয়ে মম এর কমড় ধরে নিজের সাথে মিশায় নিয়ে বলতে শুরু করে।
আয়ানঃ লাফালাফি অফ কর আগে আমার কথা শোন। তুই বাদ্ধ আমার সাথে এক রাত থাকতে। কারন তোর আর আমার একটা ভিডিও আছে। করে রাখছিলাম যদি কাজে লাগে এখন বল কি করবি। আমি কিন্তু বেশি সময় নিব না বলে দিলাম।
মম অবাক হয়ে তাকায় আছে। মানিষ কত টা খারাপ হলে এই কাজ করতে পারে। আয়ান মুচকি হেঁসে “কখম সময় জানিয়ে দেস” বলে নিজের রুমে যায়। যেতেই আবির এর সাথে দেখা হয়। আবির রুমে ঢুকে মম এর দিকে একবার তাকায় নিজের ফাইল নিয়ে চলে যায়। মম ভয় পেয়ে যায় এই সময় আবিরকে দেখে কিন্তু পরক্ষণেই আবির চলে যাওয়ার দম ফেলে বিছানায় মুখ গুজে কেঁদে উঠে।
রাতেঃ
রাত তখন ১২ টা মম এর চোখে ঘুম নাই। আয়ান বারবার মেসেজ এ বিরক্ত করতিছে আর সময় শুনতে চাচ্ছে। মম কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। আবির ফোন ঘাটাঘাটি করতিছে আর মম এর কান্ড দেখতিছে একবার এ পাশ হয়তো একবার ঐ পাশ হচ্ছে। আবির এবার বিরক্ত হয়ে মম কে কাছে টেনে নেয়। গায়ে হাত পড়ায় মম কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। পরক্ষণেই আবির মমকে ঝাটকা মেরে উঠে বসে। মম ভেবাচেকা খেয়ে যায়।
আবিরঃ গায়ে এতো জ্বর কেনো। ঔষধ খাস নাই, নাকি অসুস্থ থাকলে তোর কাছে আসতে পারবো না সেই ভেবে খাসনি কোনটা বলতো। অসুস্থের বাহানা দিয়ে আমার থেকে দূরে থাকতে পারবি না তারাতাড়ি ঔষধ খেয়ে নে আর ঘুমা চুপচাপ।
মম কিছুটা বিরক্ত হয়ে ঔষধ খেয়ে ঘুমায় পড়ে। আবার ফোন এ মেসেজ আসে। এই বাটান ফোন নিয়ে বিরক্ত উঠছে মম এর। টাস ফোনটা ও তো আবির ভাঙ্গছে। মম মেসেজ দেখে ফোন অফ করে রেখে দিয়ে ভয়ে ভয়ে আবির কে বলে।
মমঃ ইয়ে মানে বলছিলাম কি, (আবির ভ্রু উচু করে মম এর দিকে তাকায়। মম ঢোক গিয়ে নিয়ে বলে) আসলে শোনো তুমি ফোন এ কি দেখছ জানি না। আমাক বলবা একটু কেনো ফোনটা ভাঙ্গছো প্লিজ।
আবির মম এর দিকে তাকায় কিছু না বলেই কমড় টান দিয়ে কাছে আনে। মম ভয় পেয়ে আবির এর গলা জরায় নেয়। মম কিছু বুঝে উঠার আগেই আবির মম এর পেটে স্লাইড করে আর মম এর ঠোঁট এ ঠোঁট ডুবায়। মম ঝাটকা ঝাটকি শুরু করতে লাগে। একসময় আবির ঠোঁট ছেরে গলায় কামড় বসায়। মম আবির কে ধাক্কা দিয়ে বলে।
মমঃ আবির তুমি কি পাগল হয়ছো। আমি অসুস্থ বুঝার চেষ্টা করো। আর প্লিজ বিরক্ত করো না আমি ঘুমাব। মাথা বেথ্যা করতিছে।
আবির মম কে ছেরে দিয়ে অন্যপাশ হয়ে শুয়ে পড়ে। হঠাৎ আবার পেটে হাতের ছোয়ায় মম আবির এর দিকে তাকায় আবির চোখের ইশারায় চুপ থাকতে বললে মম তবুও নাছোড় বান্দার মতো নড়াচড়া করে। আবরহাত থেকে ফোন রেখে মম কে অন্য পাশে নিয়ে নিচে ফেলে দেয়। মম কেঁদে উঠে।
আবিরঃ কুত্তা*র বাচ্চা চুপ থাকতে বলছিলাম। আমার একটা মেয়ে ফেন্ড আমাকে বিরক্ত করতিছে আমি বলছি আমি মেরিড সে বিশ্বাস করে না তাই তোরে সাথে নিয়ে ভিডিও কল করতেছিলাম আর তুই। তুই কি চাস আমি বাহিরে পর*কিয়া করি ওখে তাই হবে। আজ নিচেই থাকবি তোর এই বিছানায় জায়গা নাই। আর আয়ান এর কাছে যেতে মন চাইলে যা ওর কাছে থাক।
মম আবির এর দিকে তাকায় আছে। আর মনে মনে ভাবতিছে।
মমঃ অসুস্থ শরীর নিয়ে নাকি নিচে থাকবো। তার উপর আবির কি বললো ও কি আমার আর আয়ান এর ব্যাপার এ কিছু জানে। ইশ আমার কমড় গেলো আল্লাহ এই অত্যাচার থেকে মুক্তি দেও আমাকে আর পারতেছি না আমি প্লিজ।
মম কোনো রকম নিচেই শুয়ে পড়লো। সকালে ঘুম থেকে উঠে মম আবির এর জন্য চা এনে দেয়। আবির চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে নিচে চলে যায়। মম বকাবকি করে নিজে ও নিচের দিকে যা। সকাল ১০ টার সময় আবির যখন মম এর রুমে আসে তখন মম ভয় পেয়ে যায়। আবির এসে দরজা লাগাই দিয়ে বলে।
আবিরঃ সমস্যা কি তোর বল তো। এন্সার দেস না কেনো। ভিডিও ভাইরাল করতে হবে নাকি। আর আজকে বাসায় কেও নাই। ভাইয়া ও নাই তাই আজ কোনো কথা শুনবো না চল বিছানায়।
মমঃ আয়ান প্লিজ এমন করিস না। একটু বুঝার চেষ্টা কর এমনি তোর ভাইয়ের সাথে আমার ঝামালা চলতিছে প্লিজ। কোনো রকম জানতে পারলে মেরে ফেলবে আমাক প্লিজ এমন করিস না। তোর পায়ে পরি প্লিজ।
আয়ান কিছু বলতে না দিয়ে মম কে ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে দেয়। মম ঝাটকা ঝাটকি করলে ভিডিও ভাইরাল এর ভয় দেখায়। পড়ে মম থেমে যায়। আয়ান মম এর ঘারে নখের আচর বসায়। যখন মম এর শরীর এ হাত দিবে তখন মম এর ফোন এ আলো জ্বালায় উঠে মম তারাতাড়ি ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি একটা রং নাম্বার এ মেসেজ আসসে আর মেসেজ এ লিখা “আয়ান এর কাছে নিজেকে সঁপে দেওয়ার এতো ইচ্ছা নাকি। ওর ফোনে ভিডিও নাই। তুমি ওর থেকে নিজেকে সেফ করো। ভিডিও দেখছো তুমি কিন্তু সেটা আর নেই ভয় নেই ওরে কাঋপ আসতে দিও না, (তোমার শুভা কাঙ্খি)”
মম আয়ানকে ঝাটকা মেরে উঠে পড়ে। আয়ান ওর দিকে তাকালে মম বলে।
মমঃ যা ভিডিও ভাইরাল করবি তো কর। তবুও আমার কাছে আসতে দিব না তোকে। তুই কি করতে পারিস কর যা। বেট হো আমার রুম থেকে।
আয়ান রেগে ফোন বের করে ভিডিও বের করতে গেলে দেখে ভিডিও নেই। রেগে মেগে রুম থেকে চলে যা। মম সস্তির নিশ্বাস ফেলে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। আর ভাবে কে এই শুভাকাঙ্ক্ষী যে এতে বড় উপকার করলো। আবির নাতো, কিন্তু আবির এসব জানবে কি ভাবে।
রাতে মম এর খাওয়ার ইচ্ছা না থাকলে ও ঔষধ খাইতে হবে তাই নিচে আসে। জ্বর এ শরীর চলতিছে না শরীর দূর্বল হয়ে পড়ছে। মম খাওয়া শেষে যখন উপরে রুমে যাবে তখন হুট করে পড়ে যা আবির গিয়ে তারাতাড়ি নিজের রুমে নিয়ে যায়। সবাই আবির এর দিকে তাকায় আছে জানার জন্য যে কি হয়ছে। আবির বলে…
আবিরঃ কিছু না রুম থেকে যাও তো। রাত হয়ছে আমি দেখতেছি তোমরা যাও।
সবাই চলে যাওয়ার পড় আবির মম এর দিকে রাগি চোখে তাকায় বললো….
(কেমন হয়েছে সবাই কমেন্ট এ জানিয়ে যাও)