অনুতাপ পর্ব -১২

#অনুতাপ
#দ্বাদশ_প্রহর
#Yasira_Abisha (#Fatha)

নিজের জন্মের পর থেকে যেই অঞ্চলে শৈশব কৈশোর পার করেছি। এই প্রথমবার আজকের যাত্রায় আমার চিরচেনা এই সব কিছু আজ যেনো আমি নতুনভাবে আবিষ্কার করছি। কেমন যেনো একটা ভালোবাসা- ভালোলাগা এসে ভর করেছে এই জায়গাটায়। বোধহয় পাশে ভালোবাসার মানুষটা আছে দেখেই সব কিছুতে প্রেমের ছোয়া মিশে গেছে। সে আমার পাশে বসে ড্রাইভ করছে গভীর মনোযোগ দিয়ে, আমি মাঝে মাঝে তার দিকে দেখছি বারবার যেনো তার প্রেমে পরে যাচ্ছি। এই মানুষটা যে কোনো কাজই খুব নিখুঁত ভাবে করেন তাই তো আমি আরো বেশি দুর্বল হচ্ছি দিনে দিনে তার গুণের কাছে। আমরা সিলেট আসার পরেও ইরাদ বুঝতে পারছিলো না তার মোবাইলে কি হয়েছে কেনো চলছে না আর আমিও আমার ফোনটা বন্ধ করেই রেখেছিলাম। আর আমাদের কারোরই আজকের ট্রিপে আসা কোনো টিচার বা স্টুডেন্টদের নাম্বার মুখস্থ নেই। ইরাদ নিরুপায় হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো,
– চলে তো এলাম এখন কি করা যায়? তাদের কাউকেই তো রিচ আউট করা যাচ্ছে না।
– স্যার সিলেটে খুবই ভালো ও নামকরা মাজার শরীফ আছে। এরকম একটা পবিত্র স্থানে যেহেতু আমরা এসেছি তাহলে আমার মনে হয় আপনি যদি বলেন তাহলে একবার হয়ে আসা ভালো? স্যার আপনি যাবেন কি?
– হুম শাহাজালাল ও শাহাপরানের মাজার শরীফ আছে এখানে। আমি নাম শুনেছি কিন্তু কোনোদিন আসা হয়নি, যাওয়া যায়।
রুহি খুব খুশি হয়ে গেলো তখন ওরা মাজারেই যাচ্ছিলো এবং সে সময়ই সামান্থা ওদেরকে দেখে মেঘাকে কল দেয়। ফোনটা পাওয়ার পর থেকেই কেমন যেনো একটা অস্থিরতা কাজ করছে মেঘার। রুহিকে ও অনেক ভালোবাসে, এভাবে কাউকে না বলে কোনো ছেলের সাথে রুহি কেনই বা সিলেটে আসবে তাও তো মেঘার জানা লাগবে৷ কারণ ভালো মন্দ বোঝার বয়স এখনো যে তার হয় নি। অনেকবার চেষ্টা করেও যখন রুহিকে মেঘা ফোনে পেলো না তখন সে দিবা কে ফোন করলো৷ সবাই পিকনিকে এলেও দিবা আসে নি কারণ একে তো সিলেট ওর নিজের বাসা, এখানে সবই ঘুরে দেখা শেষ আর ফ্লাইট ছাড়া এভাবে বাসের জার্নি দিবা খুব একটা কম্ফোর্ট ও ফিল করবে না তাই সব মিলিয়ে বাসায় ঘুমানোটাই ওর ভালো মনে হয়েছে। আর এদিকে রুহি যে খুব পছন্দ করে ইরাদকে এটা তো অন্য কেউ না জানলেও দিবা জানে আর আজকে ইরাদের জন্যই রুহি সিলেট যাচ্ছে এটাও ওর জানা আছে। রুহি যাওয়ার আগেই দিবাকে বলে গিয়েছিলো “বাসা থেকে ফোন এলে সামলে নিবি প্লিজ”
হঠাৎ করে মেঘার ফোন আসায় দিবা রিসিভ করলো,
– হ্যালো ভাবী
– দিবা রুহিকে অনেকবার কল দিচ্ছি ও পিক করছে না।
– কোনো জরুরি কাজ ভাবী?
– না। সামান্থা আমাকে কল দিয়ে বললো ও নাকি রুহিকে আমাদের সিলেটে দেখেছে গাড়িতে একটা ছেলের সাথে। আমি খুবই ওয়ারিড, তাই জিজ্ঞেস করছি তোমাকে।
দিবা মনে মনে খুশি হয়ে গেলো
রুহি তাহলে নিশ্চিত ইরাদ স্যারের সাথে একা ট্রাভেল করছে। যাক ভালোই হলো তাহলে।
– দিবা কিছু বলছো না যে?
– ও আমার বাসায়। আসলে কি ভাবী রুহি ঘুমাচ্ছে ওর শরীরটা একটু খারাপ তো তাই আমিই ওকে নিয়ে এসেছি আমাদের বাসায়।
– তাহলে ও বাসায়?
– হ্যাঁ ও বাসায়। আপনি টেনশন নিয়েন না রুহি কেমন তা তো জানেনই।
– হ্যাঁ জানি
– ও তো ছেলেদের সাথে কথাও বলে আর যদি কোথাও যায় ও কোনো ছেলেকে নিয়ে কি আর সিলেট যাবে?
– তাও কথা। আমার মনে হয় সামান্থা ভুল দেখেছে।
– হ্যাঁ ভুল দেখেছে ভাবী। রুহি ঘুম থেকে উঠলে আমি বলবো ও যেনো আপনাকে কল দেয়।
– ঠিক আছে রাখছি তাহলে।
মেঘা এখন খুব শান্তি পাচ্ছে, বোনটা তাহলে কোনো ভুল কাজ করছে না, ও সঠিক রাস্তায়ই আছে। মেঘা গুনগুনিয়ে গান গাইতে গাইতে কিচেনে চলে গেলো, বিকেলের নাস্তা করতে হবে বাচ্চাদের জন্য।

.

ইরাদ আর রুহি দু’জন মিলে মাজার শরীফ গুলো জিয়ারত শেষ করে ফেলেছে। বিকেল হয়ে গেছে,
ইরাদ- চলুন তাহলে খেতে যাই
রুহি ইশারায় ইরাদকে বুঝালো সে আসছে। বড় একটা গাছ আছে মাজারের মধ্যে। এই বট গাছটায় রুহি শুনেছে লাল সুতো বেধে নাকি মনের ইচ্ছা বললে সেটা পূরণ হয়। রুহির জানা নেই এই কথা সত্যি কি না? তবে রুহি জানে ইরাদকে ও ভালোবাসে, যদি এটা কাজের হয়ে থাকে? যদি রুহির এই কাজের মাধ্যেমে ইরাদ ওকে ভালোবেসে ফেলে? তাহলে সারাটা জীবন একসাথে থাকতে তো কোনো বাধাই থাকবে না। রুহি ভালোবাসে ইরাদকে তাই হয়তো এই পাগলামি।
– কি হলো এটা?
– এখানে নিজের মনের যে কোনো পবিত্র ইচ্ছে নিয়ে সুতো বাধলে নাকি সেটা সত্যি হয়।
– মনের ইচ্ছে পূর্ণ হয়?
– হুম
– কি চাইলে?
– মানত বলা যায় না।
ইরাদ রুহির কান্ড-কারখানা দেখে মুচকি হাসলো। আর মনে মনে বললো,
– বাচ্চা মেয়ে।
রুহি বড় বড় চোখ গুলো স্থির রেখে ইরাদের দিকে তাকিয়ে বললো,
– আমি মোটেও বাচ্চা নেয়ে নই
কথাটা শুনে ইরাদ চমকে উঠে, এই মেয়েটা প্রায় প্রায়ই অনেক কথা ইরাদের ভাবনাতে থাকলেও সে বলে দিতে পারে। কিভাবে এই জিনিসটা পারে রুহি? তার কোনো সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা ইরাদের জানা নেই। কিন্তু যখন থেকেই রুহি ও ইরাদের সম্পর্ক ভালো হয়েছে তখন থেকেই এই ঘটনা যথারীতি ঘটে যায় হুটহাট করে। ইরাদ এই বিষয়টা খাপ খাওয়াতে পারেনি এখনো। রুহি সুন্দর করে হেটে হেটে মাজার থেকে বেড় হয়ে গেলো। এখান থেকে বের হতেই হাতের ডান দিকে একটা ছোট রেস্টুরেন্ট আছে, বেশ সাজানো গোছানো। সারাদিনের এতো এতো লোকের ধকল সামলানোর পরেও এতোটা টিপটপ রাখা কিছুটা কষ্টকর। রুহি আর ইরাদ ভাত ডাল মুরগির মাংস আর একটা সবজি অর্ডার করলো। খাওয়া শেষে ইরাদ বললো,
– তাহলে এখন ফিরে যাওয়া যাক?
রুহি কাদো কাদো চেহারা করে ইরাদের দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে। ইরাদ ওর এরকম করে তাকিয়ে থাকা দেখে অনেক অবাক হয়ে গেলো
– কি হয়েছে?
– একটু ঘুরতে চেয়েছিলাম,
বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী মিলিয়ে রুহি বিশেষ করে “একটু” চিহ্ন বানিয়ে ইরাদকে দেখায়। এই ব্যাপারটায় ইরাদ রীতিমতো হেসে দেয়। যদিও সে এখনি ফিরে যেতো কিন্তু রুহির এই অচরণটা ইরাদের খুব কিউট লাগে তাই সে রুহিকে ঘুরানোর জন্য রাজি হয়ে যায়। রাজি হলেও তো সমস্যা আছে একটা সে তো সব কিছু চিনেই না আর ফোনেও কাউকে পাওয়ার কোনো রাস্তা নেই।
– কোথায় যাবেন?
– উম্মম্ম রাতারগুল যাবো সোয়াম্প ফরেস্ট দেখতে
যাবো। ওটা অনেক সুন্দর
– এটা এক্সাক্টলি কোথায়?
– আমি চিনিয়ে দিচ্ছি
– আপনি চেনেন?
– এখন তো কোনো জায়গায় চেনা কষ্টকর না আমি এক আপুর থেকে লোকেশনটা সুন্দর করে জেনে নিয়েছি। রুহির কথা মতো, ইরাদ ড্রাইভ করছে। এভাবে যেতে যেতে প্রায় মাগরিবের আযান দিয়ে দিলো, গাড়িতেই ওরা নামাজ পরে নিলো।
ইরাদ ড্রাইভ করছে আর করছে তাও পথ তো আর শেষ হচ্ছে না। ২৫ কিলোমিটারের পথ। মুখে বললেই তো আর শেষ হয় না। রুহি মনের আনন্দে গান করছে কারণ আজ রাতে তাদের এখানে থাকতে হবে এটা তো একদম ফিক্সড।
– আর কতটুকু দূর?
– এইতো এখানেই আপনি চলতে থাকুন
ঠিক এই রকম করতে করতে ওরা শহর ছেড়ে রাতারগুল চলে এলো দীর্ঘ ৪ ঘন্টা পরে। শহরের মতো কোনো কিছু নেই এখানে শুধু মাঠ আর মাঠ, ইরাদ ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে রাত ৯টা বাজে।
– এখন বন দেখবেন?
রুহি গাল ফুলিয়ে বলে,
– এতো রাতে এলাও করবে না।
– এতো দূর জায়গাটা আমাকে আগে জানালে কি হতো? আমরা এখন ফিরবো কি করে?
আর ফ্লাইটের বুকিং ও তো করা হয়নি।
রুহির চোখ গুলো ছলছল করছে।
– আমি তো শুধু একটু ঘুরতে চেয়েছিলাম
আপনি আমাক্ব বকা দিচ্ছেন? আমার খুব খারাপ লাগছে।
ওমন মায়াভরা মুখ নিয়ে যদি কোনো সুন্দরী মেয়ে এভাবে কাউকে বলে এতে যে কেউ চুপ হয়ে যাবে। আর তা ছাড়া রুহির প্রতি ইরাদের ও তো একটা দুর্বলতা কাজ করে এই মেয়েটাকে তাই ও এখন আর কিছুই বলতে পারে না তেমন। আর এমনিতেও রুহি নিজেকে বকা দেওয়ার মতো কোন কাজ সাধারণত করেও না। ইরাদ এবার অসহায়ের মতো রুহির দিকে তাকিয়ে বলে,
– এখন কোথাও ডিনার করে তাহলে ফিরে যাই।
– হ্যাঁ? এখন কিভাবে?
-তাহলে কি করবো?
– এখানেই হলিডে হোম রেসোর্ট আছে। চলেন ওখানে যাই আমি অনেক অনেক বেশি টায়ার্ড আর জার্নি করা পসিবল না।
রুহির কথা শুনে ইরাদের মায়া হলো, আর ও নিজেও খুব টায়ার্ড হয়ে গেছে।
– প্লিজ প্লিজ চলেন
ইরাদ আর রুহি চলে এলো রিসোর্টে। দেখতে বেশ সুন্দর একটা বাগানবাড়ির মতো এটা, তবে বিপত্তি সৃষ্টি হলো তখন যখন ওরা একটা রুম ছাড়া আর কিছুই পেলো না।
ইরাদ- দেখুন আমি ট্রপল পে করবো বাটা আমাকে আর একটা রুম দিতেই হবে। নাহলে রেস্ট হাউস দিন।
ম্যানেজার -স্যার আমাদের এখানে একটা রুম খালি হয়েছে আজকে বিকেলেই, এটা আপনাদের ভাগ্য ভালো বলতে পারেন নাহয় স্যার খালি পাওয়া যায় না বুকিং না দিলে।
রুহি- হ্যাঁ সমস্যা নেই দেন রুম
ম্যানেজার – আপনারা হাসব্যান্ড ওয়াইফ তো?
ইরাদ চোখ গুলো বড় বড় করে ফেলে কিছু একটা বলতে যাবে তখনই রুহি বলে,
– হুম, আমি তার ওপরে রাগ করে বলেছি তোমার সাথে রুম শেয়ার করবো না। আসার সময় একটু ঝগড়া হয়েছিলো তো তাই।
ম্যানেজার দাতঁ কেলিয়ে একটা হাসি দিয়ে রুহির মেহেদী রাঙানো হাত দেখে বললো,
– স্যার আর ম্যামের নতুন বিয়ে তাই তো?
সমস্যা নেই আমাদের কাছে যে রুমটা আছে সেটা বেস্ট হবে আপনাদের জন্য।
কথা গুলো রুহির তো খুব ভালো লাগছে কিন্তু ইরাদ লজ্জা পাচ্ছিলো খুব। ওরা যখন রুম বুক করলো তখন হাসব্যেন্ডের জায়গায় ইরাদের নাম ও ওয়াইফের জায়গায় রুহির নাম দিলো। জিনিসটা খুব ছোট কিন্তু কি যে শান্তির তা রুহি কাউকে বলে বুঝাতে পারবে না। ইরাদ একদম অস্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিলো এই জিনিসটার পর ও শুধু ভাবছে রুহি কি না কি ভাবতে পারে।

.

রুমটা খুন সুন্দর সাজানো একদম সাদা পুরো ঘরটায় বাদামী কিছু আসবাবপত্র এবং ঘরোয়া একটা পরিবেশ, এক প্রকার স্নিগ্ধতা বিরাজমান এই জায়গাটায়। রুহি পুরো রুমটা দেখে নিলো ঘুরে ঘুরে। ওর সাথে বড় একটা ব্যাগ আছে, রুহি রুমটা দেখে ব্যাগ থেকে কি কি যেনো বের করতে শুরু করে আর ইরাদ একটু সোজা হয়ে সোফার ওপরে শুয়ে পরে, সারাদিনের জার্নির পর একদম টায়ার্ড হয়ে পরেছে ইরাদ। রুহি একটা কালো টি-শার্ট আর একটা ট্রাউজার বের করে ইরাদকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
– এগুলো পরে নিন
ইরাদ অবাক হয়ে বলে,
– দেখে তো জেন্স মনে হচ্ছে, কোথায় পেলেন?
– আমার ব্যাগের থেকে, আপনার জন্যই নিয়েছিলাম। ঢাকা গিয়ে দিতাম কিন্তু এখন দরকার তাই এখনি পরুন।
ইরাদ একটু অবাক হয়,
– আচ্ছা তাড়াতাড়ি করে চেঞ্জ করে আসুন প্লিজ, আমরা নামাজ পরে খেতে যাবো। জলদি করুন
রুহি এই বলে ইরাদকে তাড়া দিলো। কারণ এখন ইরাদ সামনে থাকলে আরো ১০টা প্রশ্ন করতো আর এতো প্রশ্নের উত্তর রুহির কাছে আপাতত নেই। তবে এটা সত্যি রুহি এই গুলো ইরাদের জন্যই নিয়েছিলো ভেবেছিলো এগুলো ঢাকা গিয়ে ওকে দিবে। কিন্তু এখন তো ভালোই হলো।ইরাদ বাথরুমে থাকতে থাকতে রুহি ফোনটা অন করে দেখলো মেঘার কম মেসেজ আর দিবার ও অনেক গুলো কল মেসেজ। রুহি দিবার মেসেজ পরে বুঝতে পারলো আজ কি ঘটতে যাচ্ছিলো। সে আজকের ঘটনাটা সুন্দর করে দিবাকে জানিয়ে দিলো টাইপ করে এবং বললো পরিস্থিতি যেনো সামলে নেয়। এবং মেঘাকে একটা মেসেজ দিলো,
“আপু আমার শরীরটা একটু খারাপ আমি রেস্টে আছি, চিন্তার কিছু হয়নি বাসায় কাউকে জানিও না সবাই খামোখা চিন্তা করবে। সুস্থ হয়ে আমি তোমাকে ফোন করবো। ভালো থেকো তোমার আদরি।”

ইরাদ একদম শাওয়ার নিয়ে এসেছে কালো টিশার্টে ওকে একদম যেনো রাজপুত্র দেখাচ্ছে। রুহি নামাজ শেষ করে তজবি পরছিলো ইরাদ আসার পরে ও চলে গেলো ওয়াশরুমে।
ইরাদ ভাবছে মেয়েটা দেখতেও অসম্ভব সুন্দরী তেমনি স্মার্ট ইন্টালিজেন্ট এবং ধার্মিক ও বটে। কত গুলো গুণ তার মাঝে আছে তা হয়তো ইরাদ গুনে শেষ করতে পারবে না।
রুহি শাওয়ার নিয়ে কালো একটা তাতেঁর সালোয়ার কামিজ পরেছে। ঠোঁটে কমলা লিপস্টিক দিয়েছে আর চেহারায় হাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেছে। এতেই ওকে বেশ দেখাচ্ছে। ইরাদকে রুহি নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
– নামাজ হয়েছে?
– হ্যাঁ
– চলুন তাহলে
– হুম
ওরা দু’জন মিলে ডিনার করে নিলো বাগানে কিছুক্ষণ হাটলো এরপর সোজা রুমে চলে এলো।
রাত প্রায় ১১ঃ৩০ বাজে। বাইরে বাতাস বইছে শো শো আওয়াজ করে, চারিদিক কেমন যেনো সুন্দরতায় মুগ্ধ হয়ে আছে। যেনো পরিবেশ বলছে এমন সময় প্রতিদিন আসে না। এমন সময় শুধুই প্রেমিকদের সময় এটা হাত ছাড়া হতে দিও না, নিজেদের মধ্যাকার দূরত্বটা ঘুচিয়ে ফেলার সময় তো চলে এলো।
ইরাদ- আপনি ঘুমিয়ে পরুন খাটে, আমি সোফায় ঘুমাচ্ছি।
– রুহি ইরাদের হাত ধরে খাটে নিয়ে বসিয়ে বলে,
-না, আপনি এখানে বসুন। আজকে আপনাকে ঘুমাতে দিবো না।
রুহির কথা শুনে ইরাদের চোখ দুটো বড় বড় হয়ে যায়।

(চলবে….)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here