#অনুভূতিরা_শীর্ষে 💗
#লেখনিতে_সুমাইয়া_ইসলাম_মিম
#পর্ব_৬
.
সকাল থেকে বাবাকে তাড়া দিচ্ছি। আজ বাবার ভার্সিটি সকল প্রফেসরদের বিয়ের ইনভাইটেশন দেওয়া হবে তাই আমিও বাবার সাথে গিয়ে আমার ভার্সিটিতে চলে যাবো আর আমিও বেশকতগুলো কার্ড সাথে নিয়ে নিয়েছি। যারা যারা বাদ পড়েছে তাদের ইনভাইট করতে হবে। যাওয়ার পথে এতো গরম লাগছিলো। তাই আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে ভার্সিটির ভিতরে যাচ্ছি, বাবা আমাকে নামিয়ে দিয়ে সাথে সাথেই তার ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আর আমি আনমনে আইসক্রিম খেতে খেতে হাটছিলাম৷ সামনে কারো ধাক্কায় বেচারা আমার আইসক্রিম নিচে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। এতো কান্না পাচ্ছিলো। কোমরে হাত দিয়ে সামনে তাকাতেই দেখি সাদাদ ভাইয়ের মুখ! আচ্ছা এই লোকটার কি আর কোন কাজ নেই? দুনিয়ায় এই আমি কেন বারবার এই ব্যাটার সাথেই ধাক্কা খাই? কোনমতে ঢোক গিলে কোমর থেকে হাত নামিয়ে চোখ নিচে নামাতেই সাদাদ ভাই বলল,
–চোখ নিচে নামালে কেন? তাকাও আমার চোখের দিকে। লুক!
আমি ভয়ে আরো চোখটা বন্ধ করে রাখলাম। হাত কাঁপছে।
সুবাহর অবস্থা দেখে সাদাদের মেজাজ গেলো বিগড়ে। এই মেয়ে তাকে এতো কেন ভয় পায়? বেশ ধমকের সুরেই বলল,
–ওপেন ইয়োর আইস ডেম ইট!
সাদাদ ভাইয়ের চিৎকারে আমি কেঁপে উঠলাম। তাড়াতাড়ি চোখ খুলে ওনার দিকে তাকালাম। আমার ছলছল করা চোখগুলো দেখে উনি কেমন যেন দমে গেলেন! নরম সুরে বললেন,
–হেই! হেই! তোমার চোখ লাল কেন?
ওনার কথা বলতে বলতেই আমার চোখ দেখে একফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো। উনি আমার গালে হাত রেখে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে পানি টা মুছে বললেন,
–একটু ধমকের জন্য কান্না করা লাগে? ছিঁচকাদুনে!
ওনার কথা আপাতত আমার কান পর্যন্ত পৌছেছে কিনা বলতে পারি না৷ কারন আমি তো ওনার স্পর্শে কাঁপতে ব্যস্ত। উনি আমার কাঁপা-কাঁপি দেখে মুচকি হেসে চলে গেলেন। উনি যাওয়ার পরও ত্রিশ সেকেন্ড একদম স্তব্ধ হয়ে ছিলাম। শ্বাস আটকে আসছিল। হঠাৎ করে বড় একটা শ্বাস ছেড়ে নরমাল হলাম। তারপর পিছনে তাকাতেই দেখি সাদাদ ভাই আমার দিকেই তাকানো ছিল। আমি তাকাতেই বাইক স্টার্ট দিয়ে বেরিয়ে গেলো যেন আমার অনুমতির অপেক্ষায় ছিল। আর আমি হা করে তাকিয়ে আছি।
.
তখন থেকে সাদিয়ার ফোনটা বেজে যাচ্ছে কিন্তু সাদিয়া আপাতত বালিশে মুখ গুজে কান্না করতে ব্যস্ত। আজও আসিফ আসবে বলে আসে নি। খুব কষ্ট পেয়েছে সাদিয়া। কয়দিন পর তাদের বিয়ে কিন্তু আসিফ তাকে কেন অবহেলা করছে তাই সে বুঝতে পারছে না। কিন্তু অনবরত ফোনের শব্দে সে ঠিকভাবে কান্না করতে পারছে না। তাই বিছানায় বসে চোখটা মুছে ফোন হাতে নিতেই দেখে সাদাদ ফোন দিয়েছে। তাড়াতাড়ি চোখে মুখে পানি দিয়ে ফোন রিসিভ করলো সে।
-হ্যালো সাদ বল!
সাদাদ চিন্তিত গলায় বলল,
–এতোক্ষন ফোন ধরিস নি কেন দি? তুই ঠিক আছিস? আমি কি আসবো?
সাদিয়া হালকা হেসে দিলো সাদাদের পরপর কথায়।
-নাহ! আসতে হবে না। আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তাই ফোন তুলতে পারি নি।
সাদাদ একটা হাফ ছেড়ে বলল,
–ভয় পাইয়ে দিয়েছিস একদম! আসিফ ভাইয়ার সাথে দেখা করেছিস?
সাদিয়া মুখ চেপে কান্না আটকালো। আসিফের নামটা শুনতেই কেমন যেন কষ্টটা আবার চাড়া দিয়ে উঠলো। তাও নিজেকে সামলে বলল,
-আসলে হয়েছে কি বলতো! ও তো অনেক ব্যস্ত, আজ একটা মিটিং থাকায় আসতে পারে নি। সমস্যা নেই আমরা পরে দেখা করে নিবো।
সাদাদ নরমালভাবেই বলল,
–আচ্ছা ঠিক আছে। রাখছি!
ফোনটা রাখতেই সাদিয়ার চোখ থেকে আবারও পানি গড়িয়ে পড়তে লাগলো। ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্ট করেছে সে৷ বলতে গেলে এখনো সে ভালোবাসার কাঙাল, তাইতো আসিফের সবটা জানতেও বারবার তার কাছেই ছুটে যায়।
.
রাত্রিকে কার্ড দিতেই সে রীতিমতো নাচানাচি শুরু করলো। আপুর বিয়ে! কি মজা! আমিও হেসে দিলাম এর কান্ডে। মোটামুটি যাদের চিনি সবাইকেই কার্ড দেওয়া হয়ে গেছে। এর মধ্যেই দেখি সাদাদ ভাই আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। উনি না চলে গেছিল? ধুর! আমিও কি বলি? উনি তো আর এখানের স্টুডেন্ট না যে ক্লাস করে চলে যাবে। নিশ্চিত কোন কাজে গিয়েছিল। কিন্তু উনি আবার কেন এসেছে? হঠাৎ করেই মাথায় এলো সকালের ঘটনা। চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল। আচ্ছা আমার কি এখন পালিয়ে যাওয়া উচিত? এক মিনিট! ওনার হাতে কি? ভাবতে ভাবতে উনি আমার একদম সামনে এসে হাতটা বাড়িয়ে দিলো। ঠোঁটে মিষ্টি হাসি ফুটিয়ে বলল,
–সকালে আমার জন্যই তো তোমার আইসক্রিম টা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাই না, আর সকালের ধমকের জন্য সরি! এই নাও তোমার পছন্দের চকলেট এন্ড বাটার স্কচ আইসক্রিম!
আমি ওনাকে মানা করলেও এই আইসক্রিম আমাকে এত্তো এত্তো আদুরে ভাবে বলছে, “সুবাহ! দেখ আমি কতো টেস্টি! আমাকে মানা করবি?” আমি জোরেই বলে উঠলাম,
–কখনোই না!
সাদাদ ভাই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালো। রাত্রি মোটেও অবাক হলো না। সে আমার অভ্যাস সম্পর্কে অবগত। আমি হেসে তাড়াতাড়ি সাদাদ ভাইয়ের হাত থেকে খপ করে আইসক্রিমটা নিয়ে নিলাম। ওনার প্রতি এখন আমার কোনপ্রকার ভয়ই কাজ করছে না। থ্যাংক ইউ বলারও ধৈর্য্য নেই। মনের সুখে আইসক্রিম খাচ্ছি। সাদাদ ভাই রাত্রিকে আরেকটা আইসক্রিম এগিয়ে দিতেই রাত্রি বলল,
-কিছু মনে করবেন না ভাইয়া! ও আসলে এমনই বাচ্চা টাইপের। আইসক্রিম দেখলে মাথা কাজ করে না। আর তখন ও আইসক্রিমকে বলছিল কখনো না। কেননা কল্পনায় দেখেছে আইসক্রিম তার সাথে কথা বলছিল। রাত্রির কথা শুনে সাদাদ হেসে দিলো। রাত্রি নিজেও হেসে দিলো। আমি বেঞ্চিতে বসা ছিলাম। ওখান থেকেই বললাম,
–এই তুই আমার বদনাম গাইছিস?
রাত্রি মাথা ডানেবামে ঘুড়িয়ে বলল,
-কার ঘাড়ে কটা মাথা!
.
ক্লাস শেষ। ভার্সিটি থেকে বের হওয়ার সময় দেখি সাদাদ ভাই, তার টিমের সাথে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের ক্রস করে যেতে গিয়েও আবার ফিরে এসে বললাম,
–এই যে শুনছেন!
,#অনুভূতিরা_শীর্ষে 💗
#লেখনিতে_সুমাইয়া_ইসলাম_মিম
#অতিরিক্ত_পর্ব
.
সাদাদ ভাই অবাক চোখে আমার দিকে ফিরলো। আমি একটু ইতস্তত করে কার্ডটা এগিয়ে দিলাম তার পানে।
–আমার বোনের বিয়ে! আশা করবো আপনার উপস্থিতি! অবশ্যই আসবেন।
তারপর সাব্বির ভাই, তমাল ভাই তাদের দিকে তাকিয়ে বললাম,
–আপনারাও আসবেন কিন্তু।
সাদাদ ভাই অবাক হয়েই আমার থেকে কার্ডটা নিল। এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,
–তুমি অপেক্ষা করবে আমার?
আমি মাথা তুলে বললাম,
–জ্বি?
সাদাদ ভাই বুঝতে পেরেও বলল,
–যেহেতু জ্বি বলেছো তাহলে অবশ্যই যাবো। আপ্যায়ন এর দায়িত্ব কিন্তু তোমার থাকবে। কি রাজি?
আমি হা করে ওনার দিকে তাকিয়ে আছি। উনি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,
— অবশ্যই আসবো।
সাব্বির ভাই আর তমাল ভাই ও হেসে দিলো। সাব্বির ভাই বলে উঠলো,
-আমরা তো অবশ্যই আসবো বর……
সাদাদ ভাই হঠাৎ করেই সাব্বির ভাইয়ের পায়ে পাড়া দিল। আর সাব্বির ভাই আপাতত পা ধরে নাচছে আর চিৎকার করছে। সাদাদ ভাই আমাকে আবার বলল,
–আমরা সবাইই আসবো তুমি নিশ্চিন্তে যাও।
আমি এদের কাহিনী ঠিক বুঝতে পারলাম না। তাই হালকা হেসে আসতে নিয়ে আবার পিছন ফিরলাম। সাদাদ ভাই সাব্বির ভাইয়ের ঘাড় ধরা ছিলো, আমাকে দেখেই ছেড়ে দিয়ে ক্যাবলার মতো হাসলো। আমিও একটা হাসি ফেরত দিয়ে বললাম,
–আর ওইসময়ের আইসক্রিম এর জন্য ধন্যবাদ। তখন ধন্যবাদ দিতে পারি নি!
সাদাদ ভাই গম্ভীর কন্ঠে বললেন,
–তোমার ধন্যবাদের জন্য খাওয়াইনি আমি!
ওমা! এই না ওনার মুড ভালো ছিল! আবার এমন গম্ভীর হয়ে গেলেন কিভাবে? ওনার এই গম্ভীর আর রাগী ভাব দেখলেই ভয়ে শরীর কাঁটা দেয়। তাই তাড়াতাড়ি করে স্থান ত্যাগ করলাম।
.
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়েই ধুপ করে বিছানায় শুয়ে গেলাম। এখন আমার একটা শক্তিশালী ঘুম দরকার। ঠিকই শুতে না শুতেই ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলাম। আমি কখনোই দরজা লক করি না। তাই আম্মু কয়েকবার ডেকেও যখন সাড়া পায় নি তখন চলে গেছে। রাত ৯ঃ২০ এ আমার ঘুম ভেঙেছে। হাই তুলতে তুলতে ডাইনিং টেবিলে বসতেই আম্মু বললো,
-উঠলি কেন? দুপুরে তো না খেয়েই ঘুম দিয়েছিস। এখনো না খেয়েই থাক!
আমি ঠোঁট উল্টে বললাম,
–আম্মু!!!ক্ষিধে পেয়েছে!
আম্মু একদম গলে গেলো৷ তাড়াতাড়ি ছুটলো খাবার আনতে। আম্মু যেতেই বাবার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলাম সাথে বাবাও। ভাইয়া আর আপুও হাসছে। কেননা এটা যে আমার পুরোনো ট্রিক তা সবাই জানে। এমনকি আম্মুও! তবুও আম্মু আমার এই একটা কথায় একদম গলে যায়। কখনোই রাগ করে থাকতে পারে না। খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে আমি সবার রুমে উঁকিঝুঁকি মারছি। এখন আমার চোখে এক ফোটা ঘুমও নেই। তাই এখন আমার প্রধান কাজ সবাইকে বিরক্ত করা। আপুর রুমে উঁকি দিতেই দেখি রুবাপু কানে ফোন নিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। এ শিওর আরফান ভাইয়ার সাথে প্রেমালাপে ব্যস্ত৷ আমি বুঝিনা কি এমন কথা এরা বলে যে লজ্জায় বিভিন্ন রঙ ধারন করে? এখানে থাকলে আমি আরো বোর হয়ে যাবো তাই যথারীতি দরজাটা ভালোভাবে টেনে দিয়ে এগিয়ে গেলাম ভাইয়ার রুমের দিকে। দরজাটা একটু ফাঁকা করে দেখি ভাইয়া বিছানায় বসে আছে হাটুতে কনুই রেখে দুই হাতের মুষ্টি কপালে রেখে চোখ বন্ধ করে আছে। কিছুক্ষণ পর পর হাসছে। ব্যাপার টা অনেক সন্দেহজনক। মাথা উঠিয়ে আমাকে দেখেই বলল,
-আরে সুবাহমনি? দরজায় কি ভিতরে আসো।
আমি ভিতরে গিয়ে বললাম,
–ভাইয়া সত্যি সত্যি বলোতো তুমি একা একা হাসছো কেন?
ভাইয়া আমাকে তার পাশে বসিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
-এমনি! তা সুবাহমনির চোখে আজ ঘুম নেই? এভাবে উঁকিঝুঁকি মারছে?
আমি অসহায় গলায় বললাম,
–দুপুরে ঘুমিয়েছিলাম না তাই হয়তো! আচ্ছা তুমি হাসছিলে কেন? এমনি এমনি কেউ হাসে না আমি বাদে! এবার বলো কেন হাসছিলে? সত্যি বলবা কিন্তু!
ভাইয়া মুচকি হেসে বলল,
–একটা মেয়ের কথা মাথায় আসায় হাসছিলাম। রাস্তায় দেখা হয়েছিলো। বাচ্চাদের মতো কাঁদছিলো। আমি বাচ্চা বলায় আবার ক্ষেপেও গিয়েছিল। হাহাহা!
আমি বিজ্ঞদের মতো বললাম,
–ওওও….তার মানে আমার ভাই প্রেমে পড়েছে।
ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে বলল,
-এখানে প্রেমে পড়ার মতো কি হলো?
–ও তুমি বুঝবে না! প্রথম প্রথম তো তাই বুঝতে পারছো না।
ভাইয়া আমার কথায় হেসে দিয়ে বলল,
-আপনি কয়টা প্রেম করেছেন? প্রেম বিশেষজ্ঞ?
আমি এবার চিন্তায় পড়ে বললাম,
–আসলেই তো!
ভাইয়া আমার কথায় হো হো করে হেসে দিলো। আর আমি ভাবতে বসলাম তাহলে কি এখন আমার একটা প্রেম করা উচিত?
.
এ নিয়ে দশবারের মতো কার্ডে হাত বুলালো সাদাদ। তার সুবাহ আজ তার সাথে ইজি হয়ে কথা বলেছে ভাবতেই তার মনটা নেচে উঠছে। হটাৎ করেই মাথায় এলো সে তো দুইপক্ষ থেকেই ইনভাইটেশন পেলো কিন্তু যাবে কোন পক্ষ হয়ে? এক পক্ষে বন্ধু আর এক পক্ষে ভালোবাসা! তারপর চট করে তার সমস্যা সমাধান ও করে ফেলল। যাবে বরপক্ষ হয়ে, বিয়ে বাড়িতে দুইপক্ষ হয়েই থাকা যায়। সাদাদ কিছুক্ষন বসে ফোনটা হাতে নিয়ে নিচে চলে এলো৷ তার এখন একটা ব্ল্যাক কফির প্রয়োজন। ড্রয়িং রুমে সোফায় বসে সাদিয়াকে ডাক দিবে এর মধ্যেই তার সামনে কফি হাজির করে সাদিয়া। সাদাদও বোনকে দেখে হেসে দিয়ে কফিটা নিয়ে তার পাশে সাদিয়াকে বসায়। সাদিয়া হেসে হেসেই সাদাদ এর সাথে কথা বলছে। তাকে দেখে বোঝার ক্ষমতাই নেই যে তার মনে কতটা কষ্ট লুকিয়ে আছে।
এদিকে কেউ পুরোনো প্রেম নিয়ে ব্যর্থ তার কষ্ট লুকাচ্ছে তো অন্য দিকে কেউ প্রথম প্রেমের অনুভূতির জোয়ারে ভাসছে। কেউ তার প্রিয়তামার প্রতি অনুভূতিগুলো অনুভব করছে তো কেউ আছে তার নিজের জগতে ব্যস্ত, সে এখনো এটাই জানে না যে কেউ তার জন্য প্রতিনিয়ত তার অনুভূতির সাথে লড়াই করছে। ভাগ্য কাকে কোথায় নিয়ে যায় কেউ বলতে পারে না। আজকের ভালোবাসা কালকের ঘৃণায় না পরিনত হয়ে যায়!
,
,
,
চলবে…………..❤️
(