অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে
পর্বঃ ১২
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
.
যদি তোমার নষ্টা বোনটির জন্য কষ্ট হয় তাহলে, তোমাকে দেওয়া জোঁড়া পুতুলটার সাথে গল্প করবে। তাহলে আমার সাথে গল্প করা হবে। ভাইয়া খুব ইচ্ছা করছে তোমার কুলে মাথা রেখে ঘুমাতে ‘ কিন্তু আমি আর কোনদিন ভাইয়ার কুলে ঘুমাতে পারবোনা, পারবোনা তোমার প্লেট থেকে মাংস চুরি করতে, চুরি করে বলবোনা আর কোনদিন ‘ ভাইয়া ছোট্ট বিড়ালে তোমার মাংস খেয়েছে! কথাটা শুনার পর তোমার মুখের সেই হাসিটটা আর দেখতে পারবোনা। আর কোনদিন আইনক্রিম এর জন্য বাইনা ধরতে পারবোনা,, যে ভাইয়া আইসক্রিম না আনলে গেট বন্ধ। ভাইয়া’ জানি শুনতে পারবোনা তবুও বলছি একবার ‘ মহারানী বলে ডাকবে আমায়?
.
— ইতি, তোমার নষ্টা বোন।
.
— এদিকে কণার চিঠিটা পড়ে নিজের অজান্তেই চোখের পানিতে ভেসে যাচ্ছে বুক, টপ- টপ করে চোখের পানি পড়ে চিঠিটা ভেঁজে যাচ্ছে। কণাকে দাফন করে, রওনা দিলাম ‘ সজিবের কাছে বোনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু গিয়ে যা দেখলাম তা দেখায় একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না আল্লাহ এতো বড় শাস্তি দিয়েছে সজিবকে। সজিব তাঁর মা বাবার লাশের কাছে বসে কাঁদছে। আঙ্কেল আন্টি রোড একসিডেন্টে কাল রাতেই মারা যায়। নিজের অজান্তেই চোখ থেকে দু’ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো। শত্রু হলে কী হবে, তাঁর মা- বাবাকে সবসময় নিজের মা বাবা মনে করতাম। আজ তাঁরা দুজন নিশ্চুপ হয়ে শুয়ে আছে। আঙ্কেল আন্টির লাশের পাশে বসে পড়লাম। একটা হাত সজিবের কাঁধে রাখতেই, সজিব চোখের পানি ছেঁড়ে দিয়ে জড়িয়ে ধরলো। বুকের মাঝে বোন হারানোর পাহাড়সম কষ্ট চাঁপা রেখে যে হাতে নিজের কলিজার টুকরা বোনটাকে মাটি দিয়েছি, সে হাতেই পাপিষ্ঠ’টাকে জড়িয়ে ধরলাম! বুকটা ধুঁমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে। বুকের মাঝে বোন হত্যার প্রতিশোধের আগুন দাউ-দাউ করে জ্বলছে! এদিকে দেখি সজিব ছোট বাচ্চার মতো বুকে মুখ লুকিয়ে কান্না করছে।
.
এই সজিব, মা- বাবা কারো চিরকাল বেঁচে থাকেনা।যে পাঠিয়েছে আঙ্কেল – আন্টি তাঁরই ডাকে সাড়া দিয়েছে। এতে আমাদের কারো কিছু করার নেই! এখন যদি এভাবে কান্না করিস তাহলে আঙ্কেল -আন্টির আত্মা কষ্ট পাবে। প্লিজ আর কাঁদিস না।
.
দোস্ত আমার আর আপন বলতে কেউ রইলো নাহ্!
.
সজিব তুই কি আমাকেও ভুলে গেলি, আমি কি মারা গেছি। আমার মা-বাবা তোর মা-বাবার মতোই তো।
.
আমার কথাগুলো শুনে, কেমন যানি অপরাধী দৃষ্টি নিয়ে তাকালো।এদিকে আঙ্কেল-আন্টিকে দাফন করার পর বাসায় এসে পড়লাম।
.
রাতে শুয়ে শুয়ে, ভাবছি আল্লাহর বিচার সবচেয়ে সুন্দর ও নিখুত বিচার। সজিব এর জন্য আমার বোনটাকে হারালাম। আর আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর মা- বাবাকে তাঁর থেকে দূরে সরিয়ে দিলেন।
.
পরদিন সকালে সজিবের বাসা থেকে ফোন আসে, সজিব নাকি কিছুই খায়নি।
.
কথাটা শুনে নিজের অজান্তেই কেমন যানি লাগছে। খুব কষ্ট লাগছে বিশ্বাসঘাতক’টার জন্য। তাই, আর দেরি না করে চলে গেলাম সজিবের বাসায় গিয়ে দেখি এখনো বসে বসে কাঁদছে। কাজের মেয়েকে খাবার এনে দিতে বললাম।দোস্ত হা কর।
.
রাজ ভাই আমি খাবোনা।
.
পাগল হয়ে গেলি। কাল থেকে কিছু খাইসনি, এভাবে না খেয়ে থাকলে অসুখ করবে হা কর বলছি। এদিকে সজিব’কে খাইয়ে দিচ্ছি, আর অন্যদিকে কে যেন কলিজাতে ছুঁড়ি চালিয়ে দিচ্ছে! যে হাতে আমার কলিজার টুকরা বোনটাকে খাইয়ে দিতাম,আজ সে হাতে তাঁর খুনিকে খাইয়ে দিচ্ছি। হাতটা কেমন যেন কাপঁছে। চোখ দিয়ে বোন হারানো ব্যথায় বিষাদ সিন্ধুর জল গড়িয়ে পড়ছে। খাওয়া শেষ হলে সজিব আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।
.
রাজ, দোস্ত তুই আমাকে ক্ষমা করে দে, তুই সত্যি অনেক মহান।
.
কি হলো কাঁদছিস কেনো। আর ক্ষমা কেন চাচ্ছিস?
.
দোস্ত আমি না “”” এ পর্যন্ত বলতেই পকেটে থাকা ফোনটা বেজে ওঠলো! স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে দেখি মা ফোন করেছে। ফোন ধরতেই মা বাসায় যেতে বলে। সজিব কি যেন বলতে চেয়েও বলতে পারলো না। আচ্ছা দোস্ত পরে আবার আসবো মা কেন যানি জরুরী ফোন করেছে বাসা থেকে।
.
গাড়িতে বসে বসে ভাবতে লাগলাম সজিব তোকে কীভাবে ক্ষমা করি। তুই যে আমার কলিজার ভেতর ছুঁড়ি চালিয়ে দিয়েছিস। যে হাতে বোনকে খাইয়ে দিতাম সসে হাতে বোনকে কবরে দাফন করেছি। তোকে ক্ষমা করলে যে আমার বোনটার আত্মা শান্তি পাবেনা। তুই আমার হৃদপিন্ডে আগেই ছুঁড়ি ডুকিয়ে দিয়েছিস। তোর বন্ধুত্বের জন্য নিজের ভালবাসাকে বন্ধুত্বের কাছে কুরবানী দিয়েছি। কথাকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসতাম। প্রতিটি রাত কথাকে নিয়ে হাজারো স্বপ্নের জাল বুনেছিলাম। কিন্তু যেদিন, তুই আমার কাছে বলেছিলি, তুই কথাকে ভালবাসিস। সেদিন পৃথিবীটা এক মুর্হুর্তের জন্য আমার চারপাশটা অন্ধকার হয়ে যায়। কিন্তু তুই যখন বলেছিলি তুই কথাকে ছাঁড়া বাঁচবিনা তখন আমার পৃথিবীটাই অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়। কারণ তুই শুধু আমার বন্ধু ছিলিনা ছিলি, আমার ভাই। সেদিন তোর ঠোঁটের কুণে হাসি ফুটানোর জন্য নিজের হৃদপিন্ডে ছুঁড়ি ডুকাতেও একবিন্দু কাপর্ণ্যতা বোধ করিনি । কিন্তু বিনিময়ে আমার বোনটার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করলি । কথা তো আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে ছিল।আর কণা ছিল আমার কলিজার টুকরা দুইজনকে তোর জন্য আজ হারিয়েছি।
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
.
কথা ডাইরির এই পর্যন্ত পড়ার পর, আর কিছু দেখতে পারছেনা। চোখ’দুটি ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। একটা মানুষ এতোটা মহান হয় কীভাবে, এতটা ভালবাসার পরও নিজের বন্ধুর মুখের হাসির জন্য নিজের ভালোবাসাকে কুরবাণী দেয়। আমি তো রাজকে কখনো ভালো তো দূরের কথা স্বামী হিসেবেও মানতে পারিনি। শুধু কষ্টই দিয়েছি।রাজ কী আমাকে ক্ষমা করবে? চোখ থেকে টপ-টপ করে জল পড়ছে। ডাইরির পাতা গুলো ঝট লেগে গেছে।
চোখ’টা মুছে আবার পড়তে লাগলো কথা;
মায়ের ফোনে বাসায় এসে শুনতে পারলাম আজ কণার মৃত্যুর সাতদিন! তাঁই দোয়া,কালাম পড়বে। ফকির-মিসকিন খাওয়াবে তাই মা বাজারে যেতে বললো।
.
সারাদিন ক্লান্তি শেষে রাতে, কণার রুমে গিয়ে বসলাম। হঠাৎ কণার ছবির দিকে চোখ যেতেই অবাক হলাম। মনে হচ্ছে, কলিজার টুকরা বোনটা আমায় ‘ভাইয়া,ভাইয়া বলে ডাকছে, মনে হচ্ছে আমার দিকে চেয়ে সে মুক্তা ঝরা হাসি আবার হাসছে’।এক’পা দু’পা করে কণা’র ছবিটার কাছে গিয়ে পলকহীন নয়ন জোড়া নিয়ে চেয়ে রয়েছি। বোন’টা আমার মিটি-মিটি নয়নে তাঁকিয়ে মুচকি-মুচকি হাসছে। নিজের অজান্তে কণা’র ছবিটাতে কাঁপা, কাঁপা হাতে, হাত ভুলাতে গেলেই। বুকটা কেমন যেন ছ্যাঁত করে ওঠে।নিঁচের দিকে তাঁকাতেই দেখি, কণা’র কাঁচের ফ্রেমে বাঁধাই করা ছবিটা টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে আমার কলিজা টুকরা, টুকরা হয়ে গেছে। নিঁচ থেকে কনার ছবি’টা তুলে বুকে জড়িয়ে নিলাম! বুকটা মনে হচ্ছে কষ্টের সাগর হয়ে গেছে। চোখ দিয়ে অবিরাম বিষাদ সিন্ধুর জল গড়িয়ে পড়ছে।
.
– বোনের ছবিটা বুকে নিয়ে বিছানায় বসতেই, শরীর টা কেমন যেন কেঁপে ওঠে! তাই বিছানায় গাঁ টা এলিয়ে দিতেই কখন যে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায় তা আর মনে নাই।
.
‘ভাইয়া, ভাইয়া, তুমি কাঁদছো কেনো? তুমি জানোনা তুমি কাঁদলে আমারো যে খুব কষ্ট হয়। আর কেঁদোনা প্লিজ।
.
– হঠাৎ চিরচেনা সে ‘ভাইয়া, ডাক শুনে দরজায় দিকে তাঁকাতেই দেখি দরজা খুলা। কিন্তু একি দরজায় ধব-ধবে সাদা একখানা শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে কণা। আর বলছে ‘ভাইয়া তুমি কেঁদোনা তুমি কাঁদলে আমারো খুব কষ্ট হয়”।
.
কণাকে সাদা শাড়িতে কেমন যেন লাগছে। তাই জিজ্ঞেস করলাম’ কণা তুই না সাদা শাড়ি পছন্দ করিস না তবে কেন এই শাড়ি পড়েছিস? তোর জন্য তো বৈশাখেও নীল শাড়ি কিনে দিলাম!
.
ভাইয়া, আমি চাইলেও আর নীল শাড়ি কখনো পড়তে পারবোনা! ভাইয়া তুমি আমার হত্যার বিচার করবেনা? আমার আত্মা যে, সে বিশ্বাসঘাতকের মৃত্যু না দেখে মুক্তি পাচ্ছেনা!
.
কণার কি সব বলছিস?।হঠাৎ কণার গলার দিকে তাকাতেই দেখি গলায় দড়ির দাগ! কণা বলে চিৎকার দিতেই ঘুম ভেঙ্গে যায়!ঘুম ভাঙ্গতেই আর বুঝতে বাকি থাকেনা এটা আমার দুঃস্বপ্ন ছিল।এখনো কণা’র ভেঙ্গে যাওয়া ছবিটা বুকে।দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি দরজা লাগানো, ভয় ও হচ্ছে আবার খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে, মনে ভাবলাম আমি আমার বোন হত্যার প্রতিশোধ ঠিকই নিবো আর আমার বোনের চল্লিশ দিন হওয়ার আগেই।
.
কথা ডাইরির পরের পাতা উল্টানোর আগেই, ফোনটা ক্রিং ক্রিং করে বেজে ওঠে!
.
ফোনটা ধরতেই ওই পাশ থেকে রিত্ত বলছে ‘ ভাবী, তুমি কোথায় ভাইয়া নাকি বাঁচবেনা! প্লিজ তুমি শেষ বারের জন্য হলেও ভাইয়া’কে দেখে যাও”।
.
এদিকে রিত্তের কাছে এমন কথা শুনে, কথার মনে হচ্ছে তার হৃদপিন্ডে কেউ ছুঁড়ি চালিয়ে দিয়েছে! রাজ না বাঁচলে যে কথাও বাঁচবেনা। ডাইরিটা আলমারীতে যে জায়গায় ছিল সেখানে রেখে হসপিটালে রওনা দেয়!
.
হসপিটালে আসার পর দেখে সবাই কান্না করছে! কথা সবার সামনে ডির্ভোস পেপার’টা ছিঁড়ে ফেলে। সবাই কথায় দিকে চেয়ে আছে!
.
কথা দৌঁড়ে রাজের পায়ের কাছে গিয়ে কাঁদতে, কাঁদতে বলতে লাগলো, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও! আমি যে তোমাকে ছাঁড়া বাঁচবোনা!আমাকে কেন এতো ভালোবাসলে। এতো ভালবাসার পর কেন ছেঁড়ে যাচ্ছো আমায়? তুমি চলে গেলে কে আমাকে ভালোবাসবে!
.
এদিকে নার্স এসে কথাকে কান্না করতে না করে এতে করে! পেশেন্টের ক্ষতি হবে। কথা রাজের মুখের দিকে তাঁকাতেই বুকটা হুঁ-হুঁ করে কেঁদে ওঠে। আজ কথার জন্যই তার স্বামী মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে! মনে হচ্ছে নিজেকে শেষ করে দেয়।
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
কিন্তু রাজের স্বপ্ন রাইসার জন্য বেঁচে থাকতে হবে। কি সুন্দর মায়াবী মুখখানা’কোন অশুভ ছাঁয়া গ্রাস করে ফেলছে! চোখ থেকে জল বের হয়ে গাল বেয়ে পড়ছে! রাজের কপালে একটা চুমু একে দিলাম। মনে মনে বলছি’ রাজ কী আমায় ক্ষমা করবে?আমি যে স্ত্রী হয়ে, স্বামীকে মারার জন্য ঘুমের ওষধ খাওয়েছি! আল্লাহও আমায় ক্ষমা করবেনা। নিজেকে পৃথিবীর শেষ্ঠ অভাগী মনে হচ্ছে ‘ যে এতটা ভালবাসার পরও নিজের স্বামীকে খুন করার জন্য এমন ইতিহাসের জঘন্যতম খারাপ কাজ করছি! নিজের কাছে নিজেই আজ বড্ড অপরাধী! চোখ থেকে মনে হচ্ছে রক্ত বের হবে! কলিজাটা ফেটে যাচ্ছে রাজের ওভাবে নিশ্চুপ শুয়ে থাকা দেখে!
.
এদিকে বাবা আমাকে কাঁদতে দেখে, বাসায় নিয়ে এসে পড়ে।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এদিকে এশার নামায পড়ে; মহান আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে দু’খানা হাত তুলো বলতে লাগলাম’হে পরওয়ার দেগার কখনো তোমার কাছে হাত তুলিনি। কিন্তু আজ তোমার এই অভাগী বান্দী তোমার কাছে দু’টি হাত তুলেছে। হে রহিম- রহমান, তুমি আমার স্বামীকে সুস্থ করে দাও, আমার স্বামীর বুকে যেন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারি! আমি যে বড্ড অপরাধী গুনাহ্গার তবুও তোমার দরবারে হাত তুলেছি তুমি ছাঁড়া আর কেউ যে নেই আমার! তুমি যে মহান, দয়ার সাগর,তুমি রাজা-ধিরাজ! তুমি হায়াত-মউতের মালিক। তুমি নাহ্ বলেছে যখন কোন সন্তান কান্না করে দেয়, মা তাঁর সন্তানের কান্না শুনে দৌঁড়ে আসে, আর তুমি তো আমাদেরকে দুনিয়ার মায়ের চেয়ে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি ভালবাসো! যখন তোমার কোন বান্দা রহিম-রহমান বলে কান্না করে দেয়! তখন তোমার রহমতের সাগরে টান লাগে। আমি তোমার রহিম- রহমানের রহমতের দিকে চেয়ে রয়েছি মাবুদ আমার স্বামীকে তুমি ভালো করে দাও,সুস্থ করে দাও। নেক হায়াত দান করো! আমিন।
.
নামায শেষ করে জায়নামায টা তুলে রেখে রুম থেকে বের হতেই দেখি তোবা পুতুল ‘কে বলছে কাঁদে না শুনা! তোমার বাবা তোমার জন্য এওোগুলো চকলেট নিয়ে আসবে,তাই আর কেঁদোনা! কাঁদলে বাবাই রাগ করবে! আমার সোনা-মণি ঘুমায়! ইদানিং তোবার পাগলামি বেড়ে গিয়েছে! কাল নাকি তোবাকে সাইকিয়াটিস্ট দেখানে নিয়ে যাবে!
.
পরদিন তোবাকে ডাক্তার দেখানে নিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ, মনে পড়লো তোবার কার সাথে সম্পর্ক ছিল। যার সাথে অবৈধ সম্পর্ক করার জন্য এবারশন করতে হয় তোবার। কে সে যে তোবাকে মারসিক আঘাত দেয় । কার সাথে তোবার সম্পর্ক ছিল। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে পড়ে তোবার রুমে খুজলে নিশ্চয়ই কোন তথ্য পাওয়া যাবে।
যে ভাবা সেই কাজ অনেক খুজা-খুজির পর কিছু না পেয়ে হতাশ হয়ে যায় কথা।
.
অনেক্ষণ পর কথার ড্রেসিং টেবিলের লর্কার খুলে দেখে যে একটা লর্ক ডাইরি!”
.
কথা ডাইরির লক খুলতে না পেয়ো তালাটা ভেঙ্গে ফেলে।
.
ডাইরিটি নীল কালিতে লেখা!
” ডাইরির প্রথম পাতা’টি উল্টাতেই কথা শর্ক খায়! ডাইরির প্রথম পাতায় বড় করে লেখা” আমার অনুভূতির ক্যানভাসে তোমার নাম শুধু”
কথা পরের পাতা উল্টাতেই দেখে, নীল কালিতে লেখা ‘ ছেলেটাকে প্রথম দেখাতেই ভালবেসে ফেলি! নীল শার্টে ঠিক রাজপুএের মতো লাগছে! আমার হৃদয়ের রাজপুএ।
পরের পাতা উল্টটাতেই কথা একটা শর্ক খায় দেখে একটা কবিতা লেখা কবিতাটা রাজের লেখা তাহলে রাজ কী তোবার সাথে
#_____________চলবে________________
।
।
#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।
।
।
।
#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।