অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে পর্বঃ ১৩

0
1501

অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে
পর্বঃ ১৩
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
তাহলে কার সাথে তোবার সম্পর্ক ছিল। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে পড়ে তোবার রুমে খুজলে নিশ্চয়ই কোন তথ্য পাওয়া যাবে।
যে ভাবা সেই কাজ অনেক খুজা-খুজির পর কিছু না পেয়ে হতাশ হয়ে যায় কথা।
.
অনেক্ষণ পর কথার ড্রেসিং টেবিলের লর্কার খুলে দেখে যে একটা লর্ক ডাইরি!”
.
কথা ডাইরির লক খুলতে না পেয়ো তালাটা ভেঙ্গে ফেলে।
.
ডাইরিটি নীল কালিতে লেখা!
” ডাইরির প্রথম পাতা’টি উল্টাতেই কথা শর্ক খায়! ডাইরির প্রথম পাতায় বড় করে লেখা” আমার অনুভূতির ক্যানভাসে তোমার নাম শুধু”
কথা পরের পাতা উল্টাতেই দেখে, নীল কালিতে লেখা ‘ ছেলেটাকে প্রথম দেখাতেই ভালবেসে ফেলি! নীল শার্টে ঠিক রাজপুএের মতো লাগছে! আমার হৃদয়ের রাজপুএ।
পরের পাতা উল্টটাতেই কথা একটা শর্ক খায় দেখে একটা কবিতা লেখা কবিতাটি রাজের লেখা তাহলে রাজ কী তোবার সাথে সত্যি এমনটি করেছে?
.
কথা কিছু ভাবতে পারছেনা সেই কবিতা যাহ্ রাজের ফেসবুক আইডি’তে পায়। কথা পড়তে লাগলো কবিতাটিঃ
.
আমার হৃদয়ে রংতুলি দিয়ে এঁকেছি তোমায় ছবি!
.
আমি হারিয়েছি আমায়!
তোমারি চোখের মায়াজালে,
মুগ্ধ নয়নে তাকিয়েছি তোমার দিকে,
যখনি তুমি শাড়ি পড়ে এসেছিলে কলেজের সেই কদমফুল গাছটির তলে।
.
আমি মাতাল হয়েছি,যে তোমার,
এলোকেশের আঁকা-বাকা বাজে।
ভালোবেসেছি তোমায়,
হয়তো পাবোনা জেনেও।
ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করিয়াছি, তোমায় হৃদয়ের গহীন কোণে।
তুমি কী বুঝেছ কভু?
আমার ছোট্ট হৃদয়ের ভালবাসাটুকু।
যদিও না পাই তোমায়,
তবুও ভালোবেসে যাবো অন্ততকাল।
“” ইতি ‘
” অতিথি পাখি”
.
কথা বিশ্বাসে আবারো আঁচ লাগলো। তাহলে রাজ এজন্যই সুসাইড করলো, প্রথমেই তোবাকে সে নষ্ট করেছিল। আর এই জন্যই তোবা রাজকে পাওয়ার জন্য এতো কিছু করেছে। কথা রাজকে অনেকটা ভালোবেসে ফেলেছে, তার প্রতি রাজের ভালবাসা দেখে। কিন্তু এসব পড়ে কথার নিজের ওপর ঘৃণা হচ্ছে।
.
কথা চোখটা মুছে আবারো ডাইরিটা পড়তে লাগলো।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
সেদিন তোমার লেখা তোমার লেখা কবিতা পড়েই তোমার প্রেমে পড়ে যাই।
.
তোমাকে নিয়ে দেখতে থাকি আমার হাজারো স্বপ্ন। প্রতিরাত তোমার অজান্তে লুকিয়ে তোলা তোমার ছবিটা ফোনের ওয়েল পেপারে সেভ করে রেখে চুমু খেতাম। হারিয়ে যেতাম আমার কল্পনার রাজকুমারের মাঝে। স্কুল শেষে প্রতিদিন তোমাকে একনজর দেখার জন্য লেট করে বাড়ি আসতাম। আর মা বলতো’ পাশের বাড়ির জান্নাত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে, তোর ফিরতে এতো লেট হয় কেন”। আমি কিছু বলতাম না, কারণ তোমাকে একনজর দেখতে পেলেই আমার সব কষ্ট দূর হয়ে যেতো। জানো আমার স্বপ্নের রাজকুমার তোমাকে নীল শার্টে অনেক সুন্দর দেখাতো। সত্যি বলতে তোমাকে প্রথম যেদিন কলেজের পাশে নীল শার্ট গায়ে দিয়ে ভার্সিটির পাশে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি সেদিনই তোমার প্রেমে পড়ে যায়। পরে জানতে পেয়েছি তোমার পছন্দের কালার নীল। তাই অনেক সময় নীল ড্রেস পড়ো!
.
কথা এ পর্যন্ত পড়ে, আর পরতে পারছেনা। মনে মনে ভাবছে রাজের ও তো নীল কালার পছন্দ! ডাইরিতে রাজের লেখা কবিতাটিও তোবা লেখে রেখেছে! তোবা তো রাজকে অনেক ভালোবাসতো। তা তোবার লেখা ডাইরির প্রতিটি অক্ষর সাক্ষী দিচ্ছে!রাজ তো আমাকে ভালোবাসতো, তাহলে তোবার সাথে কেন এমন করলো! সত্যি যদি রাজ তোবার সরল মন নিয়ে খেলে থাকে, তাহলে আমি কার ভালবাসা নিয়ে বাঁচবো। সজিব আর রাজের মাঝে তাহলে ফাঁরাক টা কোথায়? ডাইরিটার ওপর চোখের পানি পড়ার শব্দ হচ্ছে টপ – টপ করে! ঝাপসা চোখটা বাম হাতে মুছে আবারো পড়তে লাগলো, ডাইরিটা।
.
তারপর একদিন আমার স্বপ্নের রাজকুমার তোমাকে রাস্তায় একা বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। রাস্তাততে কেউ ছিল না। ভয়ে, ভয়ে তোমাকে দাড়াঁতে বলি। তুমি বলেছিলে” কিছু বলবেন? “।
.

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

বিশ্বাস করো সেদিন আমি বোবা হয়ে গিয়েছিলাম।
আমার সব ভাষা হারিয়ে গেয়েছিল সেদিন। তুমি আবার বলবে ” কি হলো দাঁড়াতে বললেন, দাঁড়ালাম এখন কিছু না বলে ফ্যাল-ফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন কেন?”।
.
আমি তোমাকে কিছু বলবো!
.
আচ্ছা বলেন কি বলবেন?
.
আমি তোমাকে ভালবাসি! কথাটা বলতে গলাটা কেমন ধরে এলো। সারা শরীর দিয়ে গরম ঝাঝ বের হচ্ছিল। কথাটা বলে যখনি দৌঁড় দিতে যাবো ঠিক তখনি তুমি আমার হাতটা ধরে ফেলো। আমার সারা- শরীর কেঁপে ওঠে, তোমায় ছোঁয়াতে, আজও ভুলতে পারিনা সেই প্রথম ছোঁয়া।
.
তারপর তুমি বলেছিলে” এ পাগলী আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো “। কথাটা বলে জড়িয়ে ধরো আমাকে, আমার সারা – শরীরে তখন বিদ্যুৎ বয়ে যাচ্ছিল।তারপর রাস্তার মাঝে,, আকাশ ডাক দিয়ে বৃষ্টি নামে। তুমি আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছিলে। আকাশ থেকে ভয়ংকর শব্দ করে বজ্র পড়েছিল। আমি ভয়ে তোমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছিলাম। তারপর বৃষ্টিকে সাক্ষী রেখে আমার ঠোঁটের সাথে তোমার উষ্ণ ঠোঁট টা মিলিয়ে দিয়েছিলে। কেমন যে লেগেছিল আমার তা তোমাকে বলে বুঝাতো পারবোনা।
.
জানো এরপর প্রায় প্রতিদিনই তোমার সাথে দেখা হতো। জানো আজও তোমার ছবিটা ডাইরির ভাজে রেখেছি! আমার স্বপ্নের রাজকুমার।
.
কথা এ পর্যন্ত পড়ে ডাইরির পরের পাতা উল্টাতেই, কথার দুনিয়া যেন উলট- পালট হয়ে যেতে লাগলো। কী দেখছে এসব। কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনাই, তোবার জীবনটা এই নষ্ট করবে। কত বিশ্বাস করেছিল মা- বাবা।আমি নিজেও বিশ্বাস করেছিলাম। কথা চোখে যেন অন্ধকার দেখছে। কেন এমন করলো, একটা মানুষ এতটা মুখোশধারী হয় কেমনে? পৃথিবীতে এত খারাপ মানুষও হয় নাকি, বিশ্বাস করা খুব কষ্ট হচ্ছে।
কারণ ছবিটা যে আর কারো নয় ” ছবিটা হচ্ছে, কালপির্ড সজিবের”। সজিব কে মনে হচ্ছে কবর থেকে তুলে নিজে খুন করি। নাহ্ তাকে হাজার বার খুন করলেও তার অপরাধের বিন্দুমাএ শাস্তি হবেনা যে অপরাধ করেছে। আমার নিঃশ্বাপ ফুলের মতো বোনটার কোমল জীবন নষ্ট করেছে। বোনটা পাগলপ্রায় হয়ে গেছে। রাজের বোন কণাকে নষ্ট করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। আমার ভালবাসার সাথে প্রতারণা করেছে সরল মনে বিশ্বাস করেছিলাম কালর্পিড টাকে। ওর জন্য রাজের ফুলের মতো পবিএ ভালবাসাকে বুঝতে পারিনা। অবহেলা করেছি আমার স্বামীকে। যে মানুষটা শত কষ্ট বুকে নিয়ে একটু ভালবাসা চেয়েছিল তাকে ঘৃণা ছাড়া কিছু দিতে পারিনি। আমি সত্যিই অনেক অপরাধী। কেমনে কষ্ট দিলাম, আমি সারা পৃথিবীর ভালবাসাকে অপমান করেছি, রাজের ভালবাসাকে অপমান করে! কারণ যে মানুষটা বন্ধুর মুখের হাসির জন্য নিজের ভালবাসাকে কুরবাণী দিতে পারে! তাঁর ভালবাসা কতটা পবিএ। যে মানুষটা ভালবাসার মানুষ অন্তঃসন্তা হওয়া সত্বেও, তাঁর ভালবাসার মানুষকে বাঁচাতে বিয়ে করে স্ত্রীর অধিকার দেয়। নিজের বোনের খুনির সন্তানকে নিজের পরিচয় দেয়, কতটা ভালবাসলে এতটা ত্যাগ করতে পারে একটা মানুষ। আর আমি এতই হতভাগী আমার স্বামীকে খুন করার জন্য দুধে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়! আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করো, আমার নিজের জীবনের বিনিময়ে আমার স্বামীর জীবন ভিক্ষা দাও। আল্লাহ স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা পবিএ তুমি বলেছে। তুমি কবুল ককরে ননাও আমাদেরকে!চোখ জোড়া আজ কোন বাঁধা মানছেনা অঝরো আষারো শ্রাবণ ঝরছে। নিজেকে কীভাবে সান্ত্বনা দিবে সে! চোখ দিয়ে মনে হয় রক্ত বের হবে এতটা কষ্ট কেন হচ্ছে। চোখ মুছে ঝাপসা চোখে ছবিটা সরিয়ে আবার ডাইরিটা পড়তে লাগলো কথা-
.
আজ আমি অনেক হ্যাপি,কারণ আজ স্বপ্নের রাজকুমার সজিবকে প্রাইভেট টিউটর হিসেবে বাসায় নিয়ে এসেছি। মা- বাবা সজিবের সাথে কথা বলে নিজের ছেলেদের মতো করে নিয়েছে। এখন পড়ার টেবিলে বসে হা করে তাঁকিয়ে দেখি আমার স্বপ্নের রাজকুমারটাকে। তবে কথা আপুকে অনেক ধন্যবাদ, আপুর সাথে সজিবের অনেক আগে থেকেই পরিচয়। আপু ও বলেছে সজিব ভালো ছেলে তাই যখন তখন আসতে পারতো সজিব আমাদের বাসায়।
.
দিনগুলি ভালোই কাটতেছিল। লুকিয়ে পড়া ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখা।পার্কে বেড়ানো কত ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটিয়েছি। তবে সজিবের সাথে ফ্যাজিক্যালি কোন রিলেশন হয়নি। সজিব অনেক বলেছে, কিন্তু আমি না করেছি। একদিন সজিব আমাকে প্রমিজ করে আমাকে সজিব বিয়ে করবে। আর আমি সেদিন থেকে সজিবকে নিজের স্বামী মনে করি। কিন্তু ফ্যাজিক্যাল রিলেশন হয়নি তখনো। একদিন নানা- নানী অসুস্থ হয়ে পড়লে,মা- বাবা নানা বাড়ি চলে যায়। বাসায় আমি আর আপু। সজিবকে ফোন দিয়ে বলেছি মা – বাবা আজ আসবেনা। তুমি প্রাইভেট পড়াতে এসো না।
.
কিন্তু প্রায় সন্ধ্যা লেগে গিয়েছে। আমি আর আপু তখন বসে ” তামিলের রামচরণ ” মুভিটা দেখতে ছিলাম। হঠাৎ দরজা নর্ক করার আওয়াজ। দরজা খুলতই বেশ হবাক হলাম। কারণ দরজার বাহিরে সজিব দাঁড়িয়ে আছে,হাতে বিয়িরানির প্যাকেট আর একহাতে সেভেন আপের বোতল।
.
সজিব ঘরে আসতেই আপু বললো ” আপনার আবার এসব নিয়ে আসতে কে বললো?”
.
নাহ্ আঙ্কেল – আন্টি নাকি নানী বাড়ি গেছে। তাই ভাবলাম যদি খাবার রান্না করে না রেখে যায়!
.
সজিবের কথা শুনে আপু মুঁচকি হাসলো। প্লেটে বিয়িরানি বেড়ে আপু খেতে বসতে বললো। আমাদের সাথে আপুও বসলো। খাওয়া- দাওয়া শেষ হতেই সেভেন আপ গ্লাস এ ঢেলেই আপুকে বললো সজিব” কথা আমি একটা ভুল করে ফেলেছি, বাহিরে বাইকের সাথে চাবিটা রেখে এসেছি,নিয়ে আসবে”।
.
আপু মুঁচকি হেসে চাবি নিয়ে আসতে গেলো।এ সুযোগে সজিব আপুর গ্লাসে কিসের যেন গুড়া মিশিয়ে দেয়। এদিকে খাওয়া শেষ করে আপু আমি আর সজিব মুভিটার শেষ দৃশ্য দেখছি। তখন সজিব বলে ওঠলো” তোমরা তাহলে থাকে, আমি আজ আসি”।
.
আচ্ছা যাবেই তো, তবে সিনেমাটা শেষ করে যাও।( আপু)
.
এদিকে বসে সিনেমা দেখছি হঠাৎ আপুর দিকে তাঁকাতেই দেখি আপু ঘুমিয়ে গিয়েছে। আমি অনেকটা অবাক হলাম,কারণ রাত ৮ টা বাজে এখনই আপু ঘুমিয়ে গেল। আপু তো রাত ১২ টার আগে কখনো ঘুমায় না।
.
পাশে বসে সজিব মুঁচকি মুঁচকি হাসছে। এই তুমি হাসো কেন?
.
কথা ঘুমিয়ে গিয়েছে, এই জন্য তুমি মনে মনে কি যেন ভাবছো। তাই তোমার দিকে চেয়ে হাসছি। আচ্ছা কথাকে নিয়ে শুইয়ে দাও। এদিকে আপুকে নিয়ে আপুর বেডে শুইয়ে দিয়ে বের হতেই দেখি সজিব আমার দিকে কেমন যেন, কামুক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে।
.
এভাবে তাঁকিয়ে আছো কেন?
.
আমার সোনা- ময়নাটাকে দেখি।
.
“তাই বুঝি”কথাটা বলতেই দেখি বাহিরের বৃষ্টি পড়ছে। হঠাৎ জোরে বজ্র পড়ার শব্দে আমি ভয়ে সজিবের বুকে লেপ্টে পড়ি। সজিব আমাকে কুলে তুলে নেয়। আস্তে আস্তে আমার রুমে নিয়ে এসে দরজাটা লক করে দেয়।
.
এই তুমি কি করছো! আমি জানতে পেলে কেলেঙ্কংকারি হয়ে যাবে।
.
হা,হা,হা’ তিনটা স্লিপিং পিল এর এ্যাকশন ৯ ঘন্টার বেশি থাকবে চিন্তা করোনা। কথার সেভেন- আপের গ্লাসে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দিয়েছি। আজকের রাতটা আমরা দুজন- দুজনকে শুধু ভালোবাসবো! ( সজিব)
.
কি বলছো? এসব করতে পারবোনা!
.
তুমি কি আমায় ভালবাসো?( সজিব)
.
নিজের থেকেও বেশি!
.
“ভালোই যখন বাসো তবে, কেন বিশ্বাস করছোনা! আমি তোমাকেই বিয়ে করবো। তাই তোমাকে আজ আপন করে নিতে চায়”কথাগুলো বলে আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিলো। দুই – হাত দিয়ে দুই হাত চেপে ধরলো ঠোঁটের সাথে ঠোঁট দুটি মিলিয়ে দিলো। শরীরটা ক্রমশ অবশ হয়ে আসছে। আমি চোখ বন্ধ করে আছি! মনে হচ্ছে সজিব আমার বুক থেকে কাপড় সড়াচ্ছে আমি বাঁধা দিতে গিয়েও দিতে পারলাম না। শরীলের প্রতিটি অঙ্গে আমার স্বপ্নের রাজকুমার তাঁ ঊষ্ণ ঠোঁটের জ্বালাময়ী ভালবাসার স্পর্শ এঁকে দিচ্ছে। একসময় নাভিতে হাত দিতেই নিজেকে কন্টোল করতে পারলাম না হাতটা ধরতে গিয়েও কেঁপে – কেঁপে ফিরে আসলো। তারপর হারিয়ে গেলাম অন্য এক জগতে। সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি আমার শরীরে কোন কাপড় নেই। সজিব আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে একটা মেয়েকে সব চেয়ে কুৎসিত লাগে, বিবস্ত্র অবস্হায়। রাতের কথা মনে পড়তেই চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো। কারণ,নিজের মহামূল্যবান সম্পদ টা কাল হারালাম। সজিবকে ছাড়িয়ে কাপড়টা পড়ে নিলাম। সজিব ঘুম থেকে ওঠে কাপড় পরে দেখে আমি কাঁদছি।
.

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
” এই পাগলী কাঁদো কেন” কথাটা বলে চোখ মুছে দিয়ে কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে বললো” আমি আসি সোনা- ময়না “। বলেই চলে গেলো।
.
এর পর থেকে প্রায় সময়ই সজিব সুযোগ পেলেই বিয়ের কথা বলে,আমাকে ভোগ করতো। আমিও কিছু বলতাম নাহ্কি। কারণ ভালবাসার মানুষই তো এসব করছে। আর সজিব আমাকে বিয়ে ককরবে। তাই কখনো বাঁধা দেয়নি।কিন্তু বিপত্তি’টা হলো তখনি যখনি আমার বমি আসতে শুরু করলো। শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে লাগলো। সজিবকে বললে সজিব বলে” তুমি এতো বোকা কেন একটা ট্যাবলেট খেয়ে নিলেই পারতে! আমি কান্না করে দিয় বললাম” তুমি না আমায় বিয়ে করবে?
.
আরে কি বলো বিয় তোমাকে যে মেয়ে বিয়ের আগে আমার সাথে এমন করতে পারে! তাঁকে আমি কেন কেউ বিয়ে করবেনা। আর হ্যাঁ মা- বাবার মানসম্মান বাঁচাতে চাইলে আমি যে এমন করছি কাকে বলোনা। আর হসপিটালে সব ব্যবস্থা করে রেখেছি গিয়ে এবারশনটা করে নিয়ে।মা- বাবার গলায় যদি দঁড়ি না দেখতে চাও।
.
– সজিবের কথাগুলো শুনে মায়ের নিচের মাটি সরে গেলে।। সাজানো স্বপ্নগুলো মুহূর্তের মাঝে এলোমেলো হয়ে গেলো। কলিজাটা কষ্টে ফেঁটে যাচ্ছে।। ইচ্ছে করছে নিজেকে শেষ করে দেয়। কিন্তু আত্মহত্যা যে মহাপাপ। আমি কি এমন অপরাধ করেছিলাম সজিব তুই আমার জীবন টা এভাবে নষ্ট করলি?সজিবের উওর ছিলো” ময়না পাখি তুমি ও মজা পেয়েছ আমিও পেয়েছি এতে আমার অপরাধ কি। সেদিন রাতে তো আমার ঘাম বের করে ফেলেছিলে, সত্যি তোমার সাথে রাত কাটানোর মজাই আলাদা!”
ঠাস- ঠাস-ঠাস লজ্জা করে না তোর এভাবে বলতে, তুই আমাকে বিয়ে করবি বলে আমার জীবনটাকে নষ্ট করে এসব বলছিস। তুই জীবনেও সুখী হবিনা, অভিশাপ দিলাম। চোখ দিয়ে পানি পড়ে গাল বেয়ে মাটিতে পড়ছে।( কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো বললো)
‘ তারপর বুকে হাজারো কষ্ট চাঁপা দিয়ে। পাহাড়সম কষ্ট নিয়ে নিজের পেটে হাত দিয়ে বললো” ক্ষমা করে দিস আমাকে,পাপিষ্ঠ’টা তোকে পৃথিবীর মুখ দেখতে দিলোনা! আমি যে তোর মা কলঙ্কিনী মা বড্ড অসহায়। ক্ষমা করে দিস, কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বললো তোবা।
.
আজ আমি নিজের গর্ভের সন্তানটাকে হত্যা করে আসলাম।পারছিনা আর এত কষ্ট সইতে, আমার ভালবাসার অপমান সজিব নামে জারজ সন্তানের হাতে ” তার খুনটা যদি আমি করতে পারতাম তাহলে পাপের বুঝাটা কিছুটা লাঘব হতো! তারপর ডাইরিতে কিছু লিখা নেই।
.
ডাইরিটা সম্পূণ পড়ে কথার আর বুঝতে বাকি থাকে না” সজিব নামে জারজ সন্তানটার জন্যই আজ তাঁর এ অবস্হা, তার বোন তোবা পাগলপ্রায়। আর কণা আপু কবরে! আর আমার জীবনের জীবন স্বামীটা হাসপাতালে।
.
সজিবের ছবিটা, ছিঁড়ে ফেললো গ্যাসের আগুনে দিয়ে ছবিটাকে জ্বালাচ্ছে। হঠাৎ ফোনটা ক্রিং ক্রিং করে বাজছে ফোনটা তুলতেই ”
ভাবী ভাইয়াকে আর বাঁচানো গেলো না “”””

#_____________চলবে________________


#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।



#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here