অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে পর্বঃ ১১

0
1370

অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে
পর্বঃ ১১
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
অনেক ক্ষণ সজিবের ছবিটা বুকের সাথে জড়িয়ে রাখলো, তারপর ছবিটার কপালে চুমু দিয়ে বের হতেই দেখে সজিবের খাটের নিঁচে একটা আন্টির মতো কি যানি দেখা যায়!
.
— আন্টি’টা হাতে নিতেই কথা অবাক হয়ে যায়, এটা তো তোবার আন্টি এখানে কীভাবে এলো, নাকি তোবাও এখানে এসেছিল। কথার মাথায় অনেক কিছুই ঘুড়তে ছিল।তা হলে কি তোবা সবকিছুর পিছনে রয়েছে। হঠাৎ কথার ফোনটা বেজে ওঠলো!
.হ্যালো কথা মা তুই কোথায়, তোবাকে এবারশন করতে নিতে যাচ্ছি, তুমি হসপিটালে এসে পড়ো। ( কথার বাবা)
.
— এদিকে কথার বাবার কথা মতো, কথা হসপিটালে গিয়ে এবারশন করার সব কিছু ঠিক- ঠাক করে আসলেন!
.
— ডাক্তার তোবার ডিএন এ টেস্ট করে অবাক হয়ে গেলেন। যে সব রির্পোট ছিল সব ভূয়া। ডাক্তার কথা, এবং তার মা বাবাকর যা বললো তা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেল! ডাক্তার বললো, প্রকৃত পক্ষে তোবা অন্তঃসন্তা নয়, তার ডি.এন. এ রির্পোট তাই বলছে। ( ডাক্তার)
.
—-what. how possible..? সব রিপোর্ট ভূয়া।( কথা)
.
— হ্যাঁ আমিও ভাবতে পারিনি, তাই একই টেস্ট তিনবার করেছি!( ডাক্তার)
.
—ডাক্তার কি বলছেন এইসব, কিসের ভূয়া আপনি আবার টেস্ট করান। আর হ্যাঁ রির্পোট গুলো আপনাদের হসপিটালের সবচেয়ে বড় ডাক্তার’ সিনহা স্যারের’! তাঁর রির্পোট মিথ্যা হতে পারেনা “( কথা)
..
— শুনেন মিস কথা,ডাক্তার সিনহার রির্পোট এর জন্যই আমি একই টেস্ট তিনবার করেছি, । কিন্তু রির্পোট গুলো পড়ে সিনহা স্যারের প্রেসক্রিপশন ফর্ম এর সাথে মিলাতে গিয়েই, শকর্ড খেয়েছি। কারণ স্যারের প্রেসক্রিপশন হুবহু কপি এটা। আর এটা বানানো রির্পোট( ডাক্তার)
.
— ঠাস- ঠাস করে চড় বসিয়ে দিলেন কথার বাবা তেবার মুখে। চড় দিয়ে বলতে লাগলো; আজ তোর মতো মিথ্যাবাদী মেয়ের জন্য ‘রাজ ‘ হসপিটালে,মৃত্যুর সাথে পান্জা লডছে!”
.
— প্লিজ স্টপ, পেশেন্ট কে মারবেন না। সে সৎ জ্ঞানে এমনি করে নি! ” তোবা একজন মানসিক রোগী ‘ ডিসপ্রেশন গত সমস্যা এটা তার”। সম্ভবত কারো কাছ থেকে প্রচন্ড মানসিক আঘাত পেয়ে ‘অন্যকে দোষারোপ করা, গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলা, যেন সবাই বিশ্বাস করে,আর সবচেয়ে বড় কথা তার জেদটা মস্তিষ্কে মিশে গেছে।আর সবচেয়ে বড় কথা তোবার এর আগে একবার এবারশন হয়েছিল।এই জন্য এই মিথ্যা খেলাটা করছে,। তাই বলছি ওকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ” বিদেশে পাঠাতে হতে পারে” নইলে বড্ড পাগল হয়ে যাবে। ( ডাক্তার)
.
— এদিকে ডাক্তারের কথা শুনে কথার কলিজাটা ফেঁটে যাচ্ছে! চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে, আর মনেমনে ভাবছে, সেদিন রাজের কথাগুলোই সত্য ছিল। আচ্ছা! রাজ কেন অপরাধ না করেও, আমার হাতের দুধের গ্লাসে ঘুমের ওষধ থাকার পরও কেন খেয়ে নিলো।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
নিজেকে কোন কারণে মৃত্যু মুখে ধাবিত করলো! আজ কথার চোখে ভেঁসে ওঠছে, রাজের সেই ভালবাসা, যত্ম, অবহেলার পরও ভালবাসা পাওয়ার পাগলামি।
.
— আপু আমার বাবুকে কিন্তু কাউকে দিবোনা, আর তোমাদের ডির্ভোস কবে হবে আপু( তোবা)
.
— এদিকে তোবার কাছে বাচ্চার কথা শুনে কথা ভাবতে লাগলো, তোবা এর আগে এবারশন করেছে! তাঁর মানে তাঁর সাথে কারো সম্পর্ক ছিল। কে সেই জন এইসব অবশ্যই আমাকে জানতে হবে। আচ্ছা রাজের বোনও তো অন্তঃসন্তা ছিল, এবং ফাসিতে ঝুলে মারা যায়। সব কিছুর পিঁছনে কে? ( এসব ভাবতে ভাবতে কথার রাজের ডাইরির কথা মনে পড়ে”)
.
– কথা তাঁর বাবাকে বলে, চলে যায় রাজের বাসায়। আলমারি খুলে একটা ডাইরি দেখতে পায়। যে ডাইরিতে রাজ রাতে বসে বসে কি যেন লেখতো। কখনো পড়া তো দূরের কথা ‘ ডাইরিটা কথা ছুঁয়েও দেখেনি। কিন্তু আজ দেখতেই হবে। এইভেবে ডাইরিটা খুলতেই দেখলো ‘ আমি তুমি আর সজিব ‘ লেখাটা দেখেই খটকা লাগলো কথার। ‘তুমি”টা কে
.
— এদিকে ডাইরির পাতা উল্টাতেই চোখে পড়লো’ জীবনে একটা বন্ধু পেয়েছি যে শুধু আমার বন্ধু নয় কলিজার টুকরা’ সজিবকে মা- বাবাও অনেক পছন্দ করে! নিজের ছেলের মতো মনে করে! মনে করার কারণও আছে, সজিবের মতো ছেলে হয়না আমাদের ফ্যামিলিকে নিজের ফ্যামিলি মনে করে! মা অনেকদিন সজিবকে মুখে তুলে খাইয়ে দিয়েছে। সজিব মাকে মা বলেই ডাকতো। আমার সবসময় মনে হতো আমি একটা ভাই পেয়েছি।
.
— দিনগুলি ভালোই কাটছিল। যেখানে যেতাম দুজন মিলে যেতাম। যাইহোক একদিন ভার্সিটিতে বসে আছি। হঠাৎ নীল পাড়ের কালো শাড়ীতে একমেয়ে কলেজের গের্ট দিয়ে প্রবেশ করতেই বুকের মাঝে এক অজানা শিহরণ বয়তে থাকে। প্রথম দেখায় মেয়ে’টা হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। তাঁর পর সজিবের অজান্তেই মেয়েটার পিছন, পিছন ঘুরা- ঘুরি করি। মেয়েটা আর কেউ নয় ‘ সে হচ্ছে আমার মায়াপরী কথা’। তাই ডাইরি’টার নাম দিলাম “আমি,, তুমি,ও সজিব”।
.
— ভাবছিলাম সজিবকে, সারপ্রাইজ দিবো কথার সাথে রিলেশন করে। তাই প্রথম প্রপোজ করাতেই কথা রাজি হয়ে যায় এবং শর্ত দেয়, কলেজের সবার সামনে তাকে প্রপোজ করতে। সেদিন আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলাম। সারাটা রাত নির্ঘুম কাটে। সকাল হতেই একগুচ্ছ কদম নিয়ে ভার্সিটির সবার নিজের মায়াপরী, কল্পনার রাজকুমারী’ টাকে প্রপোজ করি। তাঁর পর ভার্সিটির সবার সামনে আমার পবিএ ভালবাসার প্রতিদান, তিনটি থাপ্পর দেয়। সেদিন বাসায় এসে মেয়েদের মতো দরজা লাগিয়ে কেঁদেছি, আমার কানে শুধু তখন সে কথাগুলো শুনা যাচ্ছিল, তোর কি করে সাহস হয়, আমাকে প্রপোজ করার। নিজের চেহারা কখনো আয়নার দেখেছিস। একটা ক্ষ্যাত মার্কা ছেলে,দেখে মনে হয় ঝুকার। আর হ্যাঁ তুই যে গত ছয়মাস আমার পিছনে ঘুরে যে যন্ত্রণা দিয়েছিস তাঁর শোধ নিলাম।তাই তোই যখন কাল আমাকে প্রপোজ করিস, আমার মাথায় রক্ত ওঠে যায়, তাঁর পরেও আমি মাথা ঠান্ডা রেখেছিলাম তোর টিজ করার সাজা দিবো বলে। ” রাজের কানে কথার এমন কথা বারি খাচ্ছে আর নিরবে বালিশ ভেঁজতেছে।
.
— তারপর ভার্সিটি যাওয়া বন্ধ করে দেয়! কিন্তু বিভ্রাট ঘটে তখন যখন সজিব আমার কলিজার ‘ ভাই টা শহরে আসে, সে এসে ভার্সিটিতে নিয়ে যায় আমাকে।
.
— দিনগুলি কথার প্রাণে তাকিয়েই পার করছিলাম,কিন্তু কথাকে ভুলে যায়নি! লুকিয়ে নামছাড়া চিরকুট দিতাম, আর আমি বরাবরের মতোই ফেসবুকে লিখা-লিখি করতাম, তা সজিব ছাড়া কেউ জানতো না ” কিন্তু কথাও আমার ফ্রেন্ডলিস্টে ছিল এবং সে তাঁর আইডি দিয়ে লেখাগুলো পড়তো।তেমনি একদিন কথা গল্প পড়তে পড়তে তাকে দেওয়া একটা স্ক্রীপ পোস্ট করা পায় নীচে লেখা’ অতিথি পাখি” কথার বুঝতে বাকি থাকেনা, তার অতিথি পাখিটিই, তাঁর প্রিয় লেখক নিজের অজান্তেই ভালবেসে ফেলে নিজের থেকে বেশি। এদিকে তাঁর চিরকুটের অতিথি পাখিটিকে দেখার জন্য পাগল প্রায়। কথা ম্যাসেন্জারে ভয়েস রেকর্ডে কান্না করে অডিও ক্রীপ দেয়। একটা সময় কথার পাগলামি গুলি সহ্য না করতে পেরে তার পর পরের দিন বিকালে কথাকে পার্কে দেখা করতে বলি!
.
— কথা এখনো আমাকে দেখেনি! জানিনা দেখলে কী রকম রিয়াক্ট করবে। এসব ভাবতে ভাবতে বাসা থেকে পার্কের উদ্দেশ্যে বের হতেই সজিব এর সাথে দেখা!
.
— কিরে সজিব হাতে ফুল নিয়ে,পাগলের মতো কোথায় যাস( আমি)
.
— দোস্ত তোকে পেয়ে ভালোই হইছে চল ওখানে বসে কথা বলি? (সজিব)
.
— হুম কি বলবি বল! (আমি)
.
— দোস্ত তোকে কীভাবে যে বলি! আমি একটা মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছি! তাঁকে ছাড়া বাঁচবোনা! দোস্ত তুই আমাকে বাঁচা যে ভাবে হয় ওই মেয়েটার সাথে প্রেম করিয়ে দে! আমাকে বাঁচা। ( সজিব)

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
.
— আরে তোর জন্য আমার জীবনও দিতে পারি! আর তোকে প্রেম করিয়ে দিবোনা! আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো!
.
— দোস্ত প্রমিজ কর আমাকে ওই মেয়ের সাথে প্রেম করিয়ে দিবি?( সজিব)
.
— আচ্ছা তোকে ছুঁয়ে বলছি প্রমিজ বল কোন সে ভাগ্যবতী রাজকন্যা যে আমার কলিজার টুকরা বন্ধুটার মন কেঁড়ে নিয়েছে?
.
— দোস্ত মেয়েটা আর কেউ না! আমাদের কলেজের সেরা সুন্দরী কথা! বল কীভাবে কি করলে আমাকে ভালোবাসবে কথা।( কথা)
.
— সজিবের মুখে ‘কথা’র নামটা শুনতেই কলিজাটা কেঁপে ওঠলো! সজিবের আড়ালে চোখের পানি মুছলাম। দাঁতে দাঁত- চেপে কান্না আকটে রাখছি!
.
— দোস্ত কিভাবে কীরবো প্লিজ বল! কথাকে না পেলে দোস্ত আমি মরেই যাবো হয়তো, সারাদিন তাঁকে ভেবেই পার করি!
.
— দোস্ত শোন আমার ফেসবুক আইডি এই নে পাস! যদি কথা কিছু বলে বলবি আইডি’টা তোর! কথাকে বলবি তার অতিথি পাখিটাই তুই! আমি আগেই জানতাম তুই কথাকে ভালোবাসিস তাই ফেইক আইডি দিয়ে তোর প্রেম করিয়ে দিলাম! আমার ট্রিটটা যেন পায় ঠিক সময়ে! ( আমি)
.
— দোস্ত তুই সত্যি মহান বলে, সজিব আমাকে জড়িয়ে ধরলো!
.
— দোস্ত আর লেট করিস না পার্কে কথা তোর জন্য অপেক্ষা করছে! ( আমি)
.
— আচ্ছা দোস্ত চলিয়ে, এই বলে সজিব পার্কে গিয়ে দেখে কথা বসে আছে! কথাকে সব বলার পর কথা তার অতিথি পাখি ভেবে, শক্ত করে জড়িয়ে ধরে!
.
— এদিকে দূর থেকে নিজের ভালবাসার মানুষটাকে অন্যের বুকে লেপ্টে যেতে দেখি!বুকের মাঝে চিন-চিনো ব্যাথা করছে,এ হয়তো ভালবাসা হারানোর ব্যাথা।আজ নিজের বন্ধুত্বের কাছে নিজের ভালবাসাকে কুরবানি দিলাম।
.
— কথার বুক ফেঁটে কান্না আসতেছে! চোখের পানি ডাইরির পাতায় টুপ- টুপ করে পড়ছে! ডাইরির পাতাগুলো ঝটলা বেঁধে যাচ্ছে! বামহাতে চোখের পানি মুছে আবারো, ডাইরির পাতা উল্টাতে লাগলো।
.
— দিনগুলি ভালোই কাটতেছিল, এখন কথাও আমার খুব ভালো ফ্রেন্ড এতেই আমার শান্তি কারণ ভালবাসার মানুষটাকে কাছ থেকে দেখতে পারবো।আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমার কলিজার টুকরা বন্ধুটার কাছে আমার ভালবাসার মানুষটি আছে!
.
— সবকিছু ঠিক-ঠাক চলছে, হঠাৎ এমন একদিন আসে সুখের সংসারটা কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডবন্ড হয়ে যায়। সেদিন সকাল টা যদি আর কোনদিন না আসতো তাহলেই ভালো হতো, প্রতিদিন সকাল বেলা চোখ বন্ধ করে, কাঁনার মতো হাতিয়ে, হাতিয়ে কলিজার টুকরা বোনটার রুমে গিয়ে সবার প্রথম ‘ কণা’র মুখটা দেখতাম। তারপর দিন শুরু করতাম প্রতিদিনের মতো সেদিনও চোখ বন্ধ করে ‘ ছোট্ট রাজকুমারী বোনটির রুমে গিয়ে চোখ বন্ধ করে বললাম, মহারাণী আপনার প্রজা কি চোখ খুলিতে পারে,? এভাবে কয়েকবার বলার পরও কোন সাড়া না পেয়ে চোখ খুলতেই মনে হচ্ছে আমি অন্ধ হলেই ভালো হতাম। কারণ আমার কলিজার টুকরা বোনটা যে ফ্যানের সাথে ঝুলছে! বুকের মাঝে কে যেন ছুঁড়ি চালিয়ে দিয়েছে। হৃদয় থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এদিকে কণা’কে জড়িয়ে ধরে কান্না করছি হঠাৎ এমন সময় কণা’র হাতে একটা চিরকুট পায়। চিরকুট’টাতে লিখা ;
.

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

— প্রিয়,
আমার নয়নের মণি ‘ ভাইয়া’
.
এ অপবিএ নষ্টা মেয়ে হয়ে তোমার পবিএ নাম কীভাবে নিবো ভেবে পাচ্ছিনা! তবুও নিলাম কী করবো আর হয়তো ডাকতে পারবোনা! এই ডাকটাই আমার শেষ ডাক! ভাইয়া আমি বাঁচতে পারলামনা। প্রতারকটা আমাকে আর আমার মাঝে বেড়ে ওঠা, অবৈধ ভালবাসার ফসলের স্বকৃতি দেয়নি ভাইয়া তাই মরার পথ বেঁছে নিলাম। জানো ভাইয়া’ বিশ্বাস ঘাতক সজিব আমার সাথে মিথ্যা প্রেমের নাটক করে। আমাকে বিয়ের কথা বলে দিনের পর দিন ভোগ করে, তারই ফসল আমার গর্ভে। ‘ ভাইয়া জানো সজিবকে যেদিন বলেছি, যে ভাইয়াকে বলো আমি অন্তঃসন্তা আমাকে তুমি বিয়ে করবে! প্রতিত্তরে সজিব বলেছে আমার গর্ভে নাকি তাঁর সন্তান না,আমি নাকি নষ্টা। আমাকে নিয়ে রাত কাটানো যায় তবে নাকি বিয়ে করা যায়না। আর সে আমাকে কোনদিনই বিয়ে করবে না।হাতে বাচ্চা নষ্ট করার ওষধ দিয়ে আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। সজিবের হাতে আমার ভালবাসার এতো বড় অপবাদ সইতে পারিনি।কীভাবে মুখ দেখাবো, কেউ যদি বলে এ বাচ্চার বাবা কে কি বলবো, বাচ্চাকে তো আর একা মারতে পারিনা তাই মা- সন্তান একসাথে পাড়ি জমালাম না ফেরার দেশে। ‘ ভাইয়া আজকের পর থেকে তোমাকে আর খাইয়ে দিতে পারবো না কারণ আমি যে নষ্টা, ভাইয়া বিশ্বাস করো আমি নষ্টা না, বিশ্বাস করেছিলাম ওকে’ ওই ‘আমাকে বিয়ের কথা বলে সর্বনাশ করেছে। ক্ষমা করোনা তাঁকে কোনদিনই। ভাইয়া কাঁদছো কেনো, একদম কাঁদবেনা তুমি কাঁদলে যে আমি কষ্ট পায়। যদি তোমার নষ্টা বোনটির জন্য কষ্ট হয় তাহলে, তোমাকে দেওয়া জোঁড়া পুতুলটার সাথে গল্প করবে। তাহলে আমার সাথে গল্প করা হবে। ভাইয়া খুব ইচ্ছা করছে তোমার কুলে মাথা রেখে ঘুমাতে ‘ কিন্তু আমি আর কোনদিন ভাইয়ার কুলে ঘুমাতে পারবোনা, পারবোনা তোমার প্লেট থেকে মাংস চুরি করতে, চুরি করে বলবোনা আর কোনদিন ‘ ভাইয়া ছোট্ট বিড়ালে তোমার মাংস খেয়েছে! কথাটা শুনার পর তোমার মুখের সেই হাসিটটা আর দেখতে পারবোনা। আর কোনদিন আইনক্রিম এর জন্য বাইনা ধরতে পারবোনা,, যে ভাইয়া আইসক্রিম না আনলে গেট বন্ধ। ভাইয়া’ জানি শুনতে পারবোনা তবুও বলছি একবার ‘ মহারানী বলে ডাকবে আমায়?
.
— ইতি, তোমার নষ্টা বোন।
.
— এদিকে কণার চিঠিটা পড়ে নিজের অজান্তেই চোখের পানিতে ভেসে যাচ্ছে বুক, টপ- টপ করে চোখের পানি পড়ে চিঠিটা ভেঁজে যাচ্ছে। কণাকে দাফন করে, রওনা দিলাম ‘ সজিবের কাছে বোনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু গিয়ে যা দেখলাম তা দেখায় একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না আল্লাহ এতো বড় শাস্তি –

#_____________চলবে________________


#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।



#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here