অন্ধপ্রেম পর্ব -৩৮+৩৯+৪০

##অন্ধপ্রেম
Writer : Shabnaj Hossain Moon
Part_38_39
(আমি অনেক দূর্বল একটুও এনার্জি নেই যে গল্প ভেবে টাইপ করবো ,কয়েকদিন ধরে এফবিতেও আসতে পারিনি ,দুঃখিত )
.
রাজের মাথায় রক্ত উঠে পড়েছে …সে কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা।
ইচ্ছে করছে শীতলের পুরো পরিবারকে কেটে কিমা বানিয়ে কুকুরদের খাওয়াতে বাট সেটা করা যাবেনা …
শীতলের জন্য রাজ এই কাজ করতে পারবেনা…
শীতলের জন্য কিছু করতে পাচ্ছেনা রাজ এটাই রাজের সবচেয়ে বড় দুঃখ।
.
.
.
রাজ স্প্রিডে ড্রাইভ করেছে…
শা শা করে ড্রাইভ করে রাজ শীতলের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে…
শীতলের কাছে ফোন নেই যে রাজ ফোন করে তাকে জানাবে….
শীতল কি করে পারলো ডিবোর্স পেপারে সাইন করতে….
ওর হাত একটুও কাপেনি…
রাজ ভেবেছিলো শীতল আর যায় করুক কখনো একেবারে তাকে লাইফ থেকে বের করবেনা বাট রাজের ধারণা ভুল হলো…
.
.
.
রাজ সোজা গিয়ে গেইট ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো….
কার থেকে নেমেই কারের দরজায় লাথি দিয়ে দরজা বন্ধ করলো….
রাজকে ইয়া মোটা মোটা দুটো জল্লাদ টাইপ লোকের সম্মখিন হতে হলো…
রাজ এই দুটোকে পিটিয়ে তক্তা বানাতে বেশি সময় নিলো না…
রাজ এই দুটোর পেটে যেই লাথি দিতে যাবে আবার তখন কারো গায়ের গন্ধ পেলো রাজ…
সামনে তাকিয়ে যাকে ভেবেছিলো তাকেই দেখতে পেলো রাজ…
.
.
.
রাজের মুখে কিছু ব্লিডিং লেগেছিলো…
কি রকম ভয়ংকর জানোয়ারের মতো দেখাচ্ছে…
.
.
.
রাজ উঠে দাড়িয়ে শার্টের হাতা ফ্লোড করলো….
তারপর শীতলের দিকে তাকালো… ..
শীতল ভয়ে নিচে তাকিয়ে আছে…
শীতল জানে রাজ প্রচন্ড রেগে আছে….
শীতলের ডিবোর্স পেপারে সাইন করার সময় বুক ফেটে কান্না আসছিলো…
সে তিনবার জ্ঞান হাড়িয়ে ছিলো….
তবুও রেহাই পাইনি সে…
রোদ একটা কাটারি দিয়ে নিজের গলা সহ বাবা মায়ের গলার সামনে ধরে রেখেছিলো….
শীতল বাবা মা ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ হতে চায়না তাই সে বুকে এক সাগর পাথর রেখে সাইন দিয়ে তৃতীয় বারের মতো জ্ঞান হাড়ালো..

.
.
.
.
রাত অনেক হয়েছে …
রোদ সহ তার বাবা মা উপরের করিডরে দাড়িয়ে রাজের ভয়ানক রুপ দেখছিলো…
সাহস কুলোয়নি তাদের রাজের মুখোমুখি হওয়ার….
.
.
.
রোদ ময়মনসিংহের পুলিশ কমিশনার কে ফোন করে আসতে বলেছে …
সাথে কিছু পুলিশ গার্ড নিয়ে আসতে বলেছে রোদ যেনো রাজকে আটকিয়ে বাড়ি থেকে বের করা হয়…
.
.
.
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য রোদ শীতলকে নিচে রাজের সামনে যেতে বলেছে….
রাজ শীতলকে দেখে রাগ ঝেরে কিছুটা শীতল হবে এর নিঃশ্চিয়তা থেকে রোদ শীতলকে রাজের সামনে তার কাছে পাঠিয়েছে….
.
.
.
রাজ একটা লাঠি নিয়ে শীতলের কাছে গেলো…
শীতল ভয়ে মাথা নিচু করে আছে…
সে ধরেই নিয়েছে রাজ তার মাথা ফাটাবে….
রাজ শীতলের মাথা ফাটিয়ে শীতলের দেহকে রক্তাক্ত করুক ….এটাই চায় শীতল…
সে আজ যা করেছে রাজের সাথে তাতে এটাই তার প্রাপ্য….
.
.
.
_তা ডার্লিং হঠাৎ আমার প্রতি এতো সদয় কেনো হলে??
শীতল ভয়ে ভয়ে বললো ..

_কেনো ??
_না মানে মেঘ না চাইতে জল পেলাম তো তাই…

এতোদিন তোমাকে কুকুর বিড়ালের মতো চিৎকার করে ডেকেছি তোমার মুখটুকু দেখার জন্য বাট তুমি আমার প্রতি একটুও সদয় হলেনা…
কিন্তু আজ দেখো আমি না ডাকতেই আমার শিকার ধরা দিয়েছে আমার জালে….
_দেখুন আপনি এখান থেকে যান …
কারণ এখনি কমিশনার আসবে…তখন আপনার বিপদ হবে কপালে…
সো বিপদ হওয়ার আগে এখান থেকে চলে যান….
.
.
.
_কি ব্যাপার কি ?? আজ বার বার মেঘ না চাইতে জল …
এতোদিন তো তোমার মুখ থেকে কোনো কথায় বের হতো না আর এখন তো দেখছি কথার বুলি ফুটেছে….
রাজ কথাটা বলেই শীতলকে উদ্দেশ্য করে হাতের লাঠিটা প্রয়োগ করলো..

শীতল ভেবেছে আজ তার দিন শেষ …
সে মনে হয় রাজের হাতে প্রাণ হাড়াবে…
অন্তত রাজের হাতে নিজের প্রাণ দিয়ে রাজের কোলে মৃত্যবরণ করতে পারবে সে ..এটা ভেবে নিজেকে শ্বান্তনা দিলো শীতল…
.
.
.
শীতল চোখ খুলে দেখলো তার পাশে থাকা মোটরে রাজ লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে….
ঝন ঝন শব্দ হচ্ছে পানি আর শীতলের ভেতরেও এমন ঝণ ঝন শব্দ হচ্ছে ভয়ে….
রাজ অট্টো হাসিতে ভেঙে পড়লো শীতলের সিচুয়েশন দেখে….
সে হাসি থামিয়ে বললো…
_ভয় পেয়ে গেলে বউ ???
ভেবেছো তোমাকে আঘাত করবো ???
তোমাকে এখন আমি কি আর আঘাত করতে পারি ???
তোমাকে আঘাত করা মানে নিজেকে নিজে আঘাত করা….
.
.
.

রাজ গায়ের শার্ট খুলে পানি দিলো মুখে…
শার্টটা শীতলের হাতে দিলো রাজ…
পানি দিয়ে মুছে নিলো রাজ তার শরীর…
শীতল চুপচাপ রাজের বডি দেখছে…

রাজের বডি দেখে শীতলের চোখ আটকে গেলো..

ছেলেরা যে এতো সুন্দর আর ফর্সা হয় সেটা রাজকে না দেখলে বোঝা যেতো না…
.
.
.
.
রাজ শীতলের দিকে তাকিয়ে শীতলের উড়না দিয়ে নিজের হাত মুখ মুছলো…
তারপর বললো….
_এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো ???
নিজের স্বামির বডির দিকে আড় চোখে তাকানোর কি হলো…??
মনে হচ্ছিলো তুমি কোনো অচেনা মেয়ে…
যাইহোক তোমার সাথে অনেক দিন ধরে বাসর করা হয়না তাইতো আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে ছিলে…
আচ্ছা ডার্লিং নো টেনশন বাসরের জন্য একটা ডেট ফিক্সড করছি…
শীতল কল্পনাও করেনি ডিবোর্স পেপারে সাইন করার পরও ঠান্ডা মাথায় এগুলো বলবে রাজ…
.
.
.
_আপনাকে আমার লাইফ থেকে বের করে দিয়েছি আমি…
ডিবোর্সের পেপার তো পেয়েই গিয়েছেন আপনি….
আমি আপনার বউ নই এখন তাই আমার সাথে আবারও নতুন করে বাসরের কথা ভুলে যান …
শীতল এই কথাগুলো বলেই ভেতরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো তখনি রাজ শীতলের লম্বা চুলের মুঠি ধরে নিজের খুব কাছে নিয়ে আসলো…
আচমকা এমন হওয়াতে শীতলের চোখ বন্ধ হয়ে গেলো আপনা আপনি…
রাজ শীতলের ঘাড়ে নাক ঘষে ঘষে দাতে দাত চেপে কঠিন গলায় বললো…
_এতো বড় আশপর্দা তোমার …তুমি আমায় ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতে পারলে আর ছেড়েও দিলে কত সহজে…
আচ্ছা এই কাগজ কি আমাদের আলাদা করতে পারবে…
এই কাগজ কি তোমার উপর থেকে আমার অধিকার কেড়ে নিতে পারবে…??
তোমার সাথে আমার আত্মার আত্মার সম্পর্ক …মন থেকে মনের,হ্রদয় থেজে হ্রদয়ের সম্পর্ক…
মৃত্যু ছাড়া তোমার থেকে কেউ আমাকে আলাদা করতে পারবেনা….
কারণ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা চান আমারা দুজন এক থাকি সদা সর্বদার জন্য…
শীতলের ভয়ে বুক কেপে উঠেছে…
রাজ আজ ভয়ংকর ভাবে রেগে আছে তার ব্যাবহারে….
রাজ মুখ নিঃশ্চয় ভয়ংকর রুপ নিয়েছে রাগে…
শীতলের রাজের মুখ দেখার সাহস নেই তাই চোখ বন্ধ করে আছে….
.
.
.
.
রাজ এবার শীতলের গলায় একটা হালকা কামড় দিলো…
_আহহহ,,,,কি করছেন কি ???
_একটু টেষ্ট দিলাম…
_কিসের ???
_আমাকে তো জানোয়ার ভাবো তুমি আর তোমার পুরো গোষ্ঠি তাই জানোয়ারের কামড় কেমন হয় তা তোমাকে বোঝালাম…
যদিও কামড়টা জাস্ট হালকা একটু শো ছিলো….
এর পর থেকে তোমার বাবা মা আর ভাইকেও কামর দেবো বাট এমন হালকা নয় অনেক জোরে….
শীতল এবার রাগি লুকে রাজের দিকে তাকালো….
.
.
.
_এভাবে তাকিয়ে থেকোনা গো…
আমার এখনি বাসর রুমে ঢুকতে ইচ্ছে করছে…
এরপর নিজেকে সামলানো দ্বায় হয়ে পড়বে …
রাজ একটা টেডি হাসি দিয়ে শীতলের গোলাপি ঠোটের দিকে এগুতো লাগলো ঠিক তখনি রাজের কানে কতগুলো জীপের হর্ণের আওয়াজ এলো…
আর সাথে সাথে কেউ শীলকে এক ঝটকা দিয়ে রাজের কাছ থেকে সরালো….
রাজ আচমকা চমকে গিয়ে নিচে পড়ে গেলো…
কেই রাজকে তোলার জন্য হাত বাড়ালো …
রাজ সাহায্য ছাড়াই উঠে দাড়ালো …
রাজ বেশ কয়েকজন পুলিশ গার্ডকে দেখতে পেলো….
তারমধ্যে একজন কমিশনার ছিলো….
তিনি রাজকে সালাম দিয়ে এখান থেকে চলে যেতো বললো….
রোদ বললো… শীতল সাইন করে দিয়েছে তাই রাজের সাথে শীতলের কোনো সম্পর্ক নেই আর…
.
.
.
রাজ হেসে বললো…. সে সাইন করেনি আর তাই শীতল এখনো রাজের প্রোপার্টি মানে ওয়াইফ…
তিন মাস পার হলেই ডিবোর্স সম্পন্ন হবে এই কথাটা রাজ জোরে জোরে সবাইকে বললো…
শীতল এখনো রাজের ওয়াইফ সেটাও রাজ চিৎকার করে বললো….
সবার কান ফেটে যাওয়ার উপক্রম হলো রাজের এমন চিৎকার শুনে….
.
.
.
.
#39
শীতল বিছানায় বসে আছে…
আর চোখ বন্ধ করে ভাবছে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোর কথা….
ঠিক মতো কাদতেও পাচ্ছেনা শীতল…
কাদলে শীতলের মন হালকা হতো বোধয়…
শীতলকে পাহাড়া দেওয়ার জন্য একটা কুড়ি বছরের কাজের মেয়ে রাখা হয়েছে…
সে শীতলের গায়ে সেটে সেটে থাকে…
শীতল যেনো কোনো ভাবেই রাজের সাথে যোগাযোগ না করতে পারে…
.
.
.
শীতলের বেডের পাশে রাজের শার্ট লুকানো ছিলো…
সে লুকিয়ে রেখেছে …যেই রুমের আলো অফ হবে অমনি শীতল রাজের গায়ের গন্ধ লেগে থাকা শার্ট নিজের বুকে নিয়ে ঘুমাবে …
.
.
.

রাজ তাড়াহুরো করে বেরিয়ে যাওয়াতে শীতলের কাছ থেকে শার্ট নিতে ভুলে গিয়েছে…
রাজ নিজের বাড়িতে গিয়ে রুমে ঢুকে চোখ বন্ধ করে ভাবতে লাগলো নেক্সট প্ল্যান কি হবে তার…
রাজ নিজের দিকে তাকিয়ে মিররের সামনে গেলো…
রাজের শরীরে এখনো শীতলের গায়ের ছোয়া আছে…
ওর গায়ের মিষ্টি সুভাস এখনো ফিল করছে রাজ…
.
.
.
রাজ দেখলো তার বুকে কতগুলো নখের দাগ…
নখের দাগ গুলো দেখে রাজ টেডি হাসি দিলো…
শীতলের ঠোটের স্বাদ নেওয়ার সময় হয়ত শীতল ‌রেগে বা শিহরীত হয়ে এই কান্ড গুলো ঘটিয়েছে…রাজ নিজের বুকে হাত নিয়ে চোখ বন্ধ করে ফিল করলো ….
কবে শীতল পার্মানেন্টলি রাজের বুকে সিফ্ট হবে…
রাজ বেডে উপর হয়ে শুয়ে পড়লো…
কারণ একদিন পর রাজ শীতলকে একটা সার্প্রাইজ দেবে…
শীতল হয়ত কল্পনাও করতে পারবেনা ….
.
.
.
রাতে কাজের মেয়ে ফ্লোরে একটা ক্যাম্প বেড বিছিয়ে ঘুমালো…(মাচার মতো চারটা খুটি যুক্ত আর মাঝখানে ঝালি থাকে,,,)
.
.
.
শীতল চুপচাপ রাজের শার্ট বুকে নিয়ে ঘুমালো…
শীতলের মনে হচ্ছে আজ সে শান্তিতে ঘুমাতে পারবে…
মনে হচ্ছে রাজ তার বুকের মধ্যে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে….
শীতলের মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলো….
সে ফিল করছে তার উপর কেউ ভর করে শুয়ে আছে…
গায়ের গন্ধ খুব চেনা চেনা…
বেশ ভারি কিছু…
শীতলের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে…
শীতল অনেক কষ্টে তাকিয়ে দেখলো রাজ তাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে…
শীতল চমকে গিয়ে বার বার চোখ অন করছে আর অফ করছে…
রাজ এখানে কিভাবে আসতে পারে এটাই ভাবছে শীতল….
শীতল কে রাজ শক্ত করে আরো জোরে জরিয়ে ধরলো….
শীতল এবার চমকে চোখ খুললো…
সে দেখলো কোথাও রাজ নেই…
রাজের শার্ট এখনো সে বুকে জরিয়ে শুয়ে আছে…
তার মানে এটা সপ্ন…
যাকবাবা শীতল বেশ হাফ ছেড়ে বাচলো…
.
.
.
সে চুল গুলি সামনের দিকে এনে কাজের মেয়ের দিকে চোখ বুলালো…
শীতলের চোখ গুলো বরাবরের মতো ছানা বড়া হয়ে গেলো…
কারণ কাজের মেয়ে ঘুমালে তার কিছুই ঠিক থাকেনা….
শীতলের গা ঘিন ঘিন করছে এমন অবস্থা দেখে…
শীতলের এমন হয় তাই বলে এতো না…
শীতলের মনে হচ্ছে এর একটা শিক্ষা দিতে হবে…
_তুই খাবি দাবি পাহাড়া দিবি আমাকে…সারাদিন সব কাজ করিস গুছিয়ে আর ঘুমাতে পারিসনা গুছিয়ে….
ইশসসস সপ্ন না হয়ে যদি সত্যি সত্যি রাজ আসতো আর ওকে এই ভাবে ঘুমাতে দেখতো তাহলে কি যে হতো….
.
.
.
শীতলের ধৈর্যের বাধ ভেঙে গিয়েছে সে ওয়াস রুম থেকে গামলা ভর্তি পানি এনে সারা গায়ে ঢেলে দিলো বেহ্যায়া কাজের মেয়েটার উপর….
কাজের মেয়ে চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠলো….
শীতল মেয়েটাকে কর্কশ গলায় বললো…বেরিয়ে যেতে রুম থেকে….
.
.
.
.
একদিন হয়ে গেলো শীতল রাজের কোনো খবর পাচ্ছেনা….
শীতল পরের দিন সকালে ছাদে গেলো হাটতে…
ছাদে অনেক ফুল গাছ আছে….
সেগুলো দেখলে শীতলের মন ভালো হবে কিছুটা…
কাজের মেয়েটাকে শীতল বুদ্ধি করে আটকে রেখেছে ওয়াস রুমে….
.
.
.
শীতল চোখ বন্ধ করে রাজের কথা ভাবলো…
তখনি কেউ কয়েকটা ফুল ছুরে মারলো শীতলের গায়ে…
শীতল তো রেগে আগুন হয়ে গেলো….
শীতল সামনে পেছনে কাউকে দেখতে পেলোনা…
শীতল বেশ সাহসি তাই সে জোর গলায় বললো….
_কে ??কে ??
কোন গর্দভ শয়তান ??
আমার গায়ে ফুল ছোড়া …
জানিস আমি কার ওয়াইফ ???
_তুমি মিসেস রাজের ওয়াইফ…
ওপাশের ছাদের থেকে কেউ বলে উঠলো….
শীতল তাকিয়ে দেখলো পাশের ছাদে রাজ দাড়িয়ে দাড়িয়ে টেডি হাসি দিচ্ছে…
.
.
.
_আপনি এখানে ??শীতল বেশ অবাক হলো …
_কেনো ??
অন্য কাউকে আশা করেছিলে নাকি ???
এমন কার বুকের পাঠা আছে যে আমার বউয়ের গায়ে ফুল ছুরে মারবে ???
_তাইতো ভাবি আপনি ছাড়া আর কেউ এমন গর্দভের মতো কাজ করবে কে….
তা এখানে কি করছেন অন্যের ছাদে ???
.
.
.
.
_অন্যের ছাদে মানে ??
নিজের ছাদ এটা …
আমি নগদ টাকা দিয়ে দিয়ে কিনেছি…
_মানে এই বাসা আপনি কিনেছেন ???
_জি হ্যাঁ
_আমার জানা মতে আপনার দাদা ঢাকার বাসা লোককে ঠকিয়ে কিনেছে…
আর আপনি বুঝি এই বাসা ঠকিয়ে কিনেছেন আরেক লোকের কাছ থেকে…
পুরো পরিবার লোক লোক ঠকানোর কাজ করেন তাইনা ???
.
.
.
রাজ শার্টের হাতা ফ্লোড করে টেডি হাসি দিয়ে বললো….
_আমি এখন এই বসায় থাকবো তাই এখন থেকে আমি তোমার প্রতিবেশি।
প্রতিবেশির একটু খেয়াল রাখতে শিখো…
রাজ কথা গুলো বলেই নিজের ছাদ থেকে শীতলদের ছাদে এসে পড়লো…
শীতল ছাদ থেকে চলে যেতে গেলেই রাজ শীতলকে এক টানে নিজের কাছে নিয়ে এসে কানে কানে বললো…
_আমার দাদা দাদিকে তোলে এনে চুরি করে বিয়ে করেছে…
আমার বাবা মাকে হাইজাক করে বিয়ে করেছে…
আর আমি তোমাকে ডাকাতি করে বিয়ে করেছি….
শীতল কিছু বোঝে উঠার আগেই রাজ শীতলের ঠোট নিজের আয়ত্তে নিয়ে এলো…
শীতল রেগে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে রাজের থেকে…
রাজ আরো জোরে শীতলকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে এলো তখনি তারা কারও চিৎকার শুনতে পেলো….
রাজ আর শীতল তাকিয়ে দেখলো কাজের মেয়ে ললিপপ খাচ্ছে আর জোরে চিৎকার দিচ্ছে….
(বাকিটুকু পরের পার্টে)
Part_40
39 এর বাকিটুকু….
.
শীতলেে বেশ রাগ হলো রাজের উপর ।
কাজের মেয়ে এভাবে তাদের দেখে ফেললো…
এবার সে বাবা মা আর রোদকে বলে দেবে।
রোদ ভাইয়া ঝামেলা করবে প্রচন্ড…
রাজও এবার ভাইয়াকে ছেড়ে দেবেনা…
রাজ শীতলের জন্য তার পরিবারের কোনো ক্ষতি করেনা বাট ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেলে খুব বাজে হবে সিচুয়েশন…
.
.
.
কাজের মেয়ে ললিপপ নিচে ফেলে দিয়ে দৌড় শুরু করলো নিচে যাওয়ার জন্য…
ঠিক তখনি রাজ বললো…
_ম্যাডাম ফুলি ।
জাস্ট 1মিনিট প্লিজজজ
ফুলি পেছনে তাকিয়ে বললো….
_এক সেকেন্ডও দাড়ানোর সময় নেই…
আমি নুন খেয়ে নোনা হাড়ামি করবোনা….
আমি এখন সবাইকে বলে দেবো এখানে এখন কি ঘটলো….
_ঠিক আছে ম্যাডাম বলুন বাট তার আগে আপনার ফোনে একটা এম এমেস পাঠিয়েছি সেটা দেখুন …
.
.
.
শীতল কিছুই বুঝতে পাচ্ছেনা রাজের কান্ড…
ফুলি নিজের ফোনের এম এমেস দেখে রাজের দিকে তাকালো….
ফুলি কথা বলছেনা কারণ ফুলির বুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে এম এমেসের ভিডিও দেখে….
.
.
.
রাজ ফুলির কাছে গিয়ে পকেট থেকে ললিপপ বের করে সেটা ফুলির মুখে পুরে দিলো…
ফুলি চোখ বড় বড় করে স্টেচু হয়ে দাড়িয়ে আছে….
শীতল ভাবছে রাজ কি এমন দেখালো যে ফুলি চুপ হয়ে আছে…
.
.
.
শীতলের মনে পড়লো ফুলি যে ঘুমিয়ে থাকে যে অবস্থায় সেটা আবার ভিডিও করলো নাকি রাজ যেনো সময়ে কাজে লাগানো যায়….
.
.
.
শীতলের বেজায় রাগ উঠলো…
নিজের কার্য সিদ্ধির জন্য কেউ এমন করে নাকি…
রাজ বললো…
_তো ফুলি ম্যাডাম আপনি এখনকার ঘটনা যদি কাউকে বলেন তাহলে ফোনের ঘটনা টা আমিও কাউকে না কাউকে বলবো…
.
..
ফুলি শুধু বললো…
_ধর্মের কল বাতাসে নড়ে …আমাকে এভাবে মেইল করলেন তো দেখবেন ধর্মে সইবেনা…
ফুলি নীরিহ মেয়ের মতো ছাদ থেকে চলে গেলো…
.
.
.
রাজ পকেট থেকে একটা ললিপপ বের করে শীতলের সামনে গেলো…
শীতল বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে রাজের দিকে….
_আপনি ভালো করে বলুন তো …ফুলির কি ভিডিও করলেন ???
ওর যে ঘুমালে কিছু ঠিক থাকেনা সেটা ভিডিও করেছেন আপনি …
এতো নিচ কবে থেকে হলেন আপনি ???
আমার সাথে যা করেছেন তাতেও মন ভরলোনা এখন আবার কাজের মেয়ে…
ছিঃ ছিঃ ছিঃ
.
.
.
রাজ শীতলের চুল ধরে নিজের খুব কাছে এনে বললো…
_প্রথিবীতে তোমাকে ছাড়া আর সবাইকে আমি মা বোনের চোখে দেখি…
আমি শুধু তোমার সাথেই….
যাইহোক একটা কথা শুনে রাখ …
আমি আর যায় করি তোমাকে ধোকা দেবোনা কখনোই…
আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি এন্ড ভালোবাসি…
তোমাদের ফুলির প্রেমিক হলল তোমাদের দাড়োয়ান…
সন্ধ্যার সময়ে তোমাদের দাড়োয়ান আর কাজের মেয়ে রোমান্স করছিলো সেটাই আমি ভিডিও করেছি …
এখন আমি সেটা দিয়েই ফুলিকে ভয় দেখালাম…
.
.
.
.
রাজ শীতলকে ছেড়ে দিয়ে ললিপপটা শীতলের মুখে পুরে দিলো…
.
.
.
শীতল বাধা দিলোনা সে অপরাধির মতো চুপচাপ মাথা নিচু করে আছে…
রাজ হঠাৎ করেই শীতলের মুখের ললিপপটা নিয়ে নিজের মুখে দিলো….
_আহহ…এবার খুব মিষ্টি লাগছে ললিপপ …
এই ললিপপে আমার ভালোবাসার ঠোটের ছোয়া আছে….
.
.
.
শীতল হাসবে না কাদবে সেটা বুঝতে পাচ্ছেনা…
শীতল নিচে নেমে চলে এলো….
.
.
.
কাজের মেয়ে তার দিকে কেমন করে যেনো তাকালো…
ফুলি বললো…
_আপাজান …
লোকটা সুবিধার না…
মানুষের ব্যাক্তিগত জিনিস নিয়া মেইল করে…
শীতল রাগী গলায় বললো…
_গর্ধব ওটা মেইল হবেনা …
ব্ল্যাকমেইল হবে রে…
আর শোন নিজের চরকায় তেল দে…
দাড়োয়ানের সাথে তোর লটর কটর আছে সেটা জানি আমি…
উনি আমায় বলেছেন…
.
.
.
.
#40
দুপুরে শীতল না খেয়ে ঘুমুচ্ছে ঠিক তখনি একটা ফুলি এসে তার ফোন দিয়ে গেলো…
শীতল কিছুই বুঝতে পারলোনা…
হঠাৎ ফুলির ফোনে রাজের নাম্বার থেকে কল এলো…
শীতল এবার বুঝতে পেরেছে বিষয়টা…
সব রাজের কান্ড…
_হ্যালো..
_হ্যালো ডার্লিং কেমন আছো???
_আমার নাম ডার্লিং না …
দয়া করে এসব থার্ডক্লাস নাম ধরে আমায় ডাকবেন না…
_ডার্লিং আমি তো থার্ড ক্লাস …তোমারাই তো এটা বলো…
এজন্য আমার সাথে এমন জানোয়ার থার্ড ক্লাসের মতো ভিহেব করো…
তাহলে আমি তো এসব থার্রডক্লাস কথা বলবোই…
শীতলের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে…
ঠিক বলেছে রাজ …
শীতল আর তার পরিবার তো রাজকে থার্ড ক্লাস ভাবে…
রাজকে সব সময় জানোয়ার বলে রোদ…
তখন শীতলের বুক ফেটে কান্না আসে…
.
.
.
_হ্যালো ডার্লিং তুমি যদি আমার কাছে চলে এসো তাহলে কথা দিলাম নিজেকে পাল্টাবো….
তুমি তো আমাকে পাল্টে দেবে তাইনা….
তোমার জন্য আমি পাল্টে গিয়ে পুরোপুরি তোমার মতো ফাস্ট ক্লাস হবো….
শীতল কিছু বলতে পাচ্ছেনা কান্নার জন্য….
.
.
.
_ডার্লিং কান্না অফ করো প্লিজজজজ…
আর কিছুদিন কষ্ট করো …
তারপর তোমার চোখের পানি পড়তে দেবোনা আর….
.
.
.
রাজ কিভাবে বুঝতে পারলো শীতল কান্না করছে এটা শীতল বুঝতে পারলোনা….
শীতল কাদো কাদো গলায় বললো….
আপনি কিভাবে বুঝতে পারলেন আমি কান্না করছি…..
_আশ্চর্য কথা বলছো তুমি…
আমার কান্না আমি বুঝতে পারবোনা ???
_মানে ???
_মানে আবার কি ???
তুমি আর আমি তো এক …
তাই তো তোমার কান্না আমি বুঝতে পারলাম…
_আপনি একটা পাগল
_ঠিক তবে তোমার প্রেমে পাগল….
আচ্ছা শোনো আমার কথা…
_তুমি না খেয়ে আছো কেনো বলোতো…???
তোমার ফিগার নষ্ট হবে শুধু শুধু…
দেখতে ভালো লাগবেনা তোমাকে….
প্লিজজজ আমার জন্য না হলেও নিজের কথা না ভেবে অন্তত নিজের ফিগারের জন্য খাও
রাজের কথা শোনে শীতল হেসে দিলো….
_আপনি আসলেই থার্ড ক্লাস পাগল…..
_এতোক্ষনে তোমার মুখে হাসি ফোটাতে পারলাম থ্যাংক গড…
এখন যাও কিছু খাও…
তোমার খাওয়া হলে ফুলি আমাকে বলবে তারপর আমি খাবো…
আমার ক্ষিধের জ্বালায় মাথা হ্যাং হয়ে আছে….
আমার শ্যালক রোদকে হাড়িয়ে কিভাবে তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবো সেটার প্ল্যান বানাতে পাচ্ছিনা….
.
.
.
রাজ ফোন রাখার সময় বললো….
_I love you ❤❤❤❤Darling
_I love you too❤❤❤❤(মনে মনে বললো শীতল)
_মনের কথা জোরে বলতে পারো তুমি…
_জি কি বললেন আপনি ???
রাজ ততক্ষনে ফোন কেটে দিলো….
.
.
.
শীতল ডাইনিংয়ে বসে খাচ্ছে…
ফুলি খাবার বেড়ে দিচ্ছে….
শীতল বুঝতে পারলো এগুলোও রাজের কান্ড…
শীতল খাওয়ার সময় ভাবলো….
রাজ তো বাহিরের খাবার তেমন খেতে পারেনা….
এখন তো তাকে বাহিরের খাবার খেতে হয়…
না জানি কিভাবে কি খাচ্ছে সে….
বিকালে শীতলের অনিচ্ছা সত্বেও সজল তাকে ময়মনসিংহের একটা ক্লাবে নিয়ে গেলো…
শীতল লং স্কার্ট আর স্কার্ফ মাথায় দিয়ে হালকা সুগার লিপস্টিক মেখে,হালকা কাজল দিয়ে সেজেছে…
শীতল এমনিতেই স্লিম ফিট আর ফিট বডির মাখনের মতো ধবধবে সুন্দরি…
রাজ ছাদ থেকে শীতল কে দেখতে পেলো….
রাজের চোখে শীতলকে মারাত্মক সুন্দরি লাগছে….
ইচ্ছে করছে ছাদ থেকে লাফিয়ে শীতলকে টাচ করে বুকের মাঝখানে জরিয়ে রাখতে…..
.
.
.
.
ক্লাবে সবাই শীতলকে কেমন করে যেনো দেখছে…
যেনো কখনো মেয়ে দেখেনি তারা…শীতল বেশ আন ইজি ফিল করলো…
সজলকে বললো সে বসায় যাবে বাট সজল বললো আর কিছুক্ষন থেকে তারপর যাবে….
.
.
.
সজল বেশ ড্রিংক করে ফেলেছে জোরাজোরিতে ফ্রেন্ডসদের…
শীতল কেও অনেক জোরা জোরি করা হয়েছে বাট শীতল ড্রিংক করলোনা…
.
.
.
শীতল একটা সুইমিং পুলের পাশে গিয়ে দাড়ালো….
সেখানে একটা ছেলে শীতলকে ড্রিংকের জন্য জোর করলো…
শীতল কিছুটা খেয়ে ভমি করে দিলো….
ছেলেটা হেসে হেসে আরেকটা ড্রিংকের জন্য গেলো…
তখনি কেউ ছেলেটাকে ধরে ক্লাবের কোনায় নিয়ে গিয়ে চোখে কাপড় বেধে মারতে শুরু করলো….
ছেলেটা কিছু বুঝতে পাচ্ছেনা কে এমন করলো….
শীতল আনমনে পুলের দিকে তাকিয়ে আছে…
.
.
.
এদিকে কাজলের মনে ভালোবাসার রং খেলা করছে পেপারে বিজ্ঞাপন দেওয়া হিমালয় নামের লোকের জন্য….
লোকের শেষ চিঠি ছিলো এরকম……ডিয়ার পত্রমিতা আমি আপনার সাথে দেখা করতে চাই…
আমি বর্তমানে তিনটা জিনিস চায় লাইফে….
তার মধ্যে আপনাকে দেখা তারমধ্যে একটি…
আপনাকে ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছি দয়া করে আসবেন…
আমার প্রতি এতোদিনে আপনার বিন্দু মাত্র বিশ্বাস জন্মেছে কিন্তু আমার আপনার প্রতি অগাত বিশ্বাস জন্মেছে…
সেই বিশ্বাস নিয়েই বলছি আপনি আসবেন…
সবুজ শাড়ি পড়ে একা আসবেন…
সাথে কাউকে নিবেন না …
আমিও সবুজ শার্ট পড়ে আসবো….
ইতি আপনার পত্রমিতক
#হিমালয়….
.
.
.
কাজল ভাবছে দেখা করতে যাবে লোকটার সাথে বাট কাউকে জানাবেনা …
.
.
..
.
শীতল পারে দাড়িয়ে রাজের সাথে থাকা অবস্থায় একটা দিনের কথা ভাবছিলো …
সেই দিনটা শীতলের সবচেয়ে বেস্ট দিন ছিলো রাজের সাথে সময় কাটানোর । ..
রাজ শীতলকে নিয়ে একটা পার্টিতে গিয়েছিলো….
তখন সেখানে এরকম একটা সুইমিং পুল ছিলো…
শীতলকে রেখে রাজ পুলে নামলো সাতার কাটতে…
রাজ শুধু একটা থ্রিকর্টার পড়েছে….
রাজের স্টিল বডিটা দেখছিলো নির্লজ্জের মতো শীতল…
কেনো যেনো শীতলকে খুব টান ছিলো রাজের বডি…
শীতলের বান্ধবিরা সবাই বলতো ….দেখবি শীতল তুই যেমন ফিট বডির হরিণি সুন্দরি তোরও ঠিক তেমনই একটা স্টিল বডির বাঘের সাথে বিয়ে হবে….
তুই বাঘের বউ হবি….
বান্ধবিরা ঠিক বলেছিলো…
আসলেই তো রাজ একটা বাঘ আর শীতল একটা বাঘের বউ….

.
.
.
হঠাৎ শীতলকে কেউ সুইমিং পুলে ফেলে দিলো…
শীতল পানিতে হাবুডুবু খাবে সে সময় রাজ শীতলকে কোলে তোলে নিলো….
শীতলের শাড়ি অলরেডি খুলে গিয়েছে রাজের পায়ের সাথে বেজে….
_আমাকে ছাড়ন প্লিজজজজ..
আমার খুব ভয় করছে…
আমার পানি দেখলে ভয় করে….
রাজ টেডি হাসি দিয়ে বললো….
_আমি তো আছি ডার্লিং …
আমি থাকতে কিসের ভয়???
_আপনি আছেন বলেই আমার সবচেয়ে ভয়…
_কি এতো বড় কথা …
ঠিক আছে নাও ছেড়ে দিলাম তোমায়…
রাজ শীতলকে ছেড়ে দিতেই শীতল রাজকে জরিয়ে ধরলো….
_না না ছাড়বেন না প্লিজজজ আমি তাহলে মরে যাবো…
_রাজ শীতলকে নিজের কোলের মধ্যে নিয়ে জরিয়ে ধরে বললো….
_এই বুক থেকে মরে যাওয়া সহজ না…
রাজ শীতলকে পিঠে নিয়ে অনেক ক্ষন সাতার কাটলো তখন…
শীতলের ভয় করছিলো আর বেশ মজাও লাগছিলো…
ছোটবেলায় রোদ শীতলকে নিয়ে এভাবে সাতার কাটতো….
.
.
.
.
শীতলের ভেজা ঠোট নড়ছিলো রাজ সেই সুযোগ পেয়েই….
শীতলের ধ্যান ভাঙলো সে বাস্তবে ফিরে এলো….
.
.
.

কিছুক্ষন পর শীতলকে কে যেনো একটা ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিলো…
পুলে বেশ পানি ছিলো…
শীতল সাতার জানেনা…
তাই সে পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে….
শীতলের পানিতে খুব ভয়…
শীতল কি করবে বুঝতে পাচ্ছেনা….
কেউ তাকে পানি থেকে তুলছেও না…
সজল ড্রাংক অবস্থায় কোথায় যেনো পড়ে আছে কে জানে….
.
.
.
শীতল পানি খেয়ে কাশছে…
সবাই পারে দাড়িয়ে মজা দেখছিলো আর হাসছিল …
শীতল যেনো হাড়িয়ে যাচ্ছে অতলে….
রাজের কথা তার মনে পড়ছে বেশ….
রাজ থাকলে তো তাকে জিবন দিয়ে হলেও বাচাতো ।
আল্লাহ শীতলকে শাস্তি দিচ্ছে বোধয় ….
রাজের সাথে সে যা করেছে তাতে এটা তার প্রাপ্য ছিলো…
রাজকে জিবীত অবস্থায় পাবেনা কখনোই শীতল …
অন্তত রাজের হয়ে মরতে পারবেতো শীতল….
শীতল চোখ বন্ধ করে রাজের স্মৃতিতে হাড়িয়ে গেলো…..
.
.
.
.
চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here