গল্প: #অপত্যাশিত_ভালোবাসা
লেখক: #কাব্য_মেহেরাব
পর্ব:১০
মেঘা: প্রবীশবাবু আপনি এখানে?কিছু লাগবে?আমি কি কোন ভুল করেছি?(ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করলাম)
প্রবীশ বাবু আমার দিকে তাকিয়ে একরাশ হাসি দিয়ে বলল_
প্রবীশ বাবু:-নাহ ডালিয়া! তুৃমি কোন ভুল কর নি।আমি তো এসেছি তোমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে।কালকে দিনে রাতে কিছু খেয়েছো কি না কে জানে?।এভাবে না খেয়ে থাকলে যে তোমাদের শরীর খারাপ করবে।
তার এমন কথাই আমি শোয়া থেকে উঠে বসলাম।
এই নাও ব্রাশ, পেস্ট লাগানো আছে তাড়াতাড়ি দাঁত ব্রাশ করে আসো। এসে খেয়ে নাও। আর খেয়ে রেডি হও আমরা হসপিটালে যাব। তোমার এতদিনে কোনো চেকাপ করানো হয়েছে বলে তো মনে হয় না। তাছাড়া চেকাপ করানো তো জরুরি না কি?
তার এই কথা আমার মাথার কয়েক ইঞ্চি উপর দিয়ে গেল।
প্রবীশ বাবুর এরকম ব্যাবহার দেখে আমি কিছুটা না, অনেক অনেক অনেক টাই আশ্চর্য হলাম।কাঁপা কাঁপা হাতে ব্রাশটা নিয়ে বাথরুমে গেলাম। তার হঠাৎ এই পরিবর্তন টা আমাকে বিস্মিত করে তুললো। নিজের হাতে চিমটি কেটে দেখলাম আমি স্বপ্ন দেখছি না তো? কিন্তু না এটা বাস্তব। নিজের মনে সুখের পাখা মেলে উঠতে লাগলো
দ্রুত উঠে ব্রাশ নিয়ে বাথরুমে গেলাম আয়নায় নিজেকে দেখছি, এটা কোন হেলুসিলেশন নয়তো? বাথরুমের দরজাটা একটু ফাক করে দেখলাম তিনি এখনো বসে আছেন। তার মানে এটা বাস্তব।।দাঁত ব্রাশ করে রুমে আসলাম।খেয়াল করলাম প্রবীশ বাবু রুটিতে জেলি মাখাচ্ছে। আমাকে দেখেই প্রবীশ বাবু বলে উঠল_
প্রবীশ:-আরে ডালিয়া তাড়াতাড়ি আসো তো।চা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে । তাড়াতাড়ি রুটি দিয়ে জেলি, এবং চা খেয়ে নেও আর সাথে এক গ্লাস দুধ ও খেয়ে নিবে কেমন? তোমার সাথে এখন আর ও একটা জীবন জরিয়ে আছে । তোমাকে এখন থেকে সুস্থ থাকতে হবে ।তা না হলে তো বাচ্চাটাও ভালোভাবে সুস্থ হবে না আর না তুমি। এবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও তো।
আমি প্রবীশ বাবু কে যতই দেখছি মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি। প্রবীশ বাবুর এমন ব্যাবহার আমাকে কাব্যর কথা মনে করিয়ে দিলো।কাব্য এরকম সময় হয়তো এই ভাবে ই আমার যত্ম নিতো। কিন্তু তিনি তো আর আমার কাব্য নয়।ভয় টা সেখানে ই। আমি কিছুটা ভীত হয়ে প্রবীশ বাবুর পাশে গিয়ে বসলাম। চোখের ইশারায় তিনি আমাকে বসতে বললেন। আমি ও বসলাম। তিনি আবারও আমাকে তার আরো কাছে পাশে বসার ইশারা করলেন। অনেক দ্বিধা নিয়ে তার পাশে বসলাম।প্রবীশ বাবু আমাকে নিজ হাতে খাবার খায়িয়ে দিলেন।।কিছুটা ভয় ভয় নিয়ে আমি খেতে লাগলাম। সত্যিই এতো দিন পর এই ভাবে যত্ন করে খায়িয়ে দিচ্ছে ভাবতে ও দুই চোখ ভিজে আসছে। প্রবীশ বাবু তার পকেট থেকে একটা টিস্যু পেপার আমার হাতে দিয়ে চোখ মুছতে ইশারা করলেন। চায়ের কাপ টা আমার সামনে দিলেন।পাশ থেকে প্রবীশ বাবু বলে উঠল
প্রবীশ বাবু: ভয় নেই আজ বুলেট টি আনেনি।চা টা কেমন হয়েছে বলোতো?আমি নিজে বানিয়েছি কিন্তু।
মেঘা:( চায়ের কাপে অনেক সংকোচ নিয়েই চুমুক দিলাম)-হুম সত্যি ই অনেক ভালো হয়েছে প্রবীশ বাবু।আপনি সত্যিই এতো ভালো চা করেন আজ না খেলে জানতে ই পারতাম না। তবে আমার জন্য এতটা কষ্ট না করলেও পারতেন।
প্রবীশ বাবু:আরে এতে আর কি কষ্ট?আমার মনের একটু শান্তির খোরাক জোগানোর জন্য এটুকু কষ্ট তো করতেই পারি।আর শোন আমাকে আজ থেকে এই সব বাবু টাবু বলবে না। প্রবীশ বলে ডাকবে।বাবু বলার দরকার নেই। শুনতে কেমন যেন লাগে।( মুখ টা কেমন অদ্ভুত ভঙ্গিমা করে বললেন)
প্রবীশ বাবুর এ কথাটা শোনে আমি ফিক করে হেসে দিলাম।। বুঝতেই পারছি না যে আমি কি স্বপ্ন দেখছি নাকি সত্যি। তাকে আমি বললাম-
মেঘা:আচ্ছা আমি আপনাকে বাবু টাবু বলবো না।
প্রবীশ:আচ্ছা তোমার নাম কি ভাবে মেঘা থেকে ডালিয়া কি করে হলো?
মেঘা: অন্ধকার গলিতে আসার আগে যেই দুই বোনের কাছে আশ্রয় পেয়েছিলাম, তাঁরাই ভালো বেসে ডালিম ডালিয়া এইসব নামে ডাকতো। নিজের নাম টা কখনো শুনতে ই চাইনি। তারা এই পথের পথিক ছিল। তবে আমাকে আগলে রেখেছিল। কিন্তু ভাগ্য আমাকে ঐ পথে এনেছিল।
প্রবীশ:ওহ তাই বলো। আচ্ছা তোমাকে কি আমি ডালিয়া বলেই ডাকতে পারি? কারন তোমার ডালিয়া নামটা অনেক সুন্দর। মেঘা নাম টা আমি সহ্য করতে পারিনা।
মেঘা:( তার এমন আবদারে আমার হৃদয় গলে গেছিলো) আচ্ছা আপনার যা ইচ্ছা ডাকবেন।আমার আর কোন আপত্তি নেই।
প্রবীশ:ডালিয়া তুমি সত্যিই অনেক সুন্দর। তুমি নিজেকে পরিপাটি ভাবে সাজিয়ে রাখতে অনেক ভালোবাস তাই না?
মেঘা:ভালোবাসা বলতে পৃথিবীতে আমার যা কিছু ছিল আজ তা শুধু ই #অপ্রত্যাশিত_ভালোবাসা ।তবে আমার ভালোবাসার মানুষটি জন্য আমি নিজেকে গুছিয়ে রাখতে ভালোবাসি।
প্রবীশ বাবু কিছুটা মুচকি হেসে বলল
প্রবীশ: ভা লো বা সা বলতে সত্যিই কিছু আছে? সব টাকার খেলা। হঠাৎ একটু তাগড়া নিয়ে বললো তুৃমি রেডি হয়ে নাও।তোমাকে নিয়ে হসপিটালে বেরোতে হবে তো ।তোমাকে হসপিটালে না নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত আমি শান্তি পাচ্ছি না। বড্ড বেমানান লাগছে তোমাকে এইভাবে।আমি রেডি হচ্ছি তুমি ও রেডি হয়ে বের হও।
আমি প্রবীশ বাবুর কথা যতই শোনছি ততই বিস্মিত হচ্ছি।সত্যিই কি এমন কিছু হচ্ছে নাকি সব স্বপ্ন। না সত্যিই তো এটা বাস্তব। আমার ভাবনার সাগর থেকে বের হয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হলাম।প্রবীশ বাবু আমাকে দেখে বলল
প্রবীশ: হাসি খুশি থাকলে আগের মতন সুন্দর লাগবে তোমাকে।
প্রবীশ বাবুর কথা শোনে আয়নায় নিজেকে আবার দেখে নিলাম।প্রবীশ বাবু কি তাহলে সত্যি কথা বলছে? প্রবীশ বাবু আমাকে দেখে বলল
প্রবীশ:বাহ বেশ সুন্দর লাগছে।এ বলে একটা টিপ কপালে পড়িয়ে দিয়ে বলল এখন আরও বেশি সুন্দর লাগছে।
আমি প্রবীশ বাবু কে যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি।হঠাৎ করে প্রবীশ বাবুর এমন ব্যাবহার আমাকে যেন রূপকথার রাজ্যে নিয়ে গেল। তার মাঝে যেন কাব্যর প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি।তারপর দুজন মিলে একসাথে বের হলাম।। আমার কাছে সবকিছু যেন স্বপ্ন স্বপ্ন লাগতে লাগল।গাড়ির কাচ দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আকাশটা দেখতে লাগলাম।কতদিন আমি এই খোলা আকাশের নীচে হাঁটি নি।ছোটবেলার কথা গুলো মনে পরে গেলো। আমার মা আমাকে খাওয়ানোর জন্য কিভাবে দৌঁড়াতো, কিভাবে আমি পুতুল খেলতাম এসব ভাবতে লাগলাম। তবে আমার মায়ের মতো আমিও ছোট্ট একটা পুতুলের মত বাচ্চার পিছনে দৌড়াবো। নিজের হাতে খাইয়ে দিবো। পুতুল এর মতন করে সাজাবো।নিমিষেই যেন একটা সুখের রাজ্যে হারিয়ে গেলাম আমি।
হঠাৎ গাড়ির ব্রেকে আমার স্বপ্নের ঘোর কাটল।খেয়াল করলাম প্রবীশ বাবু গাড়ি থেকে নামল আর আমাকে নামার জন্য বলছে। আমিও নামলাম। আমি দেখলাম প্রবীশ বাবু আমাকে মস্ত বড় একটা হসপিটালে নিয়ে এসেছেন। আমার হাত ধরে ভিতরের দিকে ঈশারা করে বলছে
প্রবীশ:ডালিয়া এই যে হসপিটাল দেখছ? এখানে তুমি আমার স্ত্রী হিসেবে পরিচিত হবে। নিজেকে সেই ভাবেই প্রস্তুতি করে নাও। আর আমি যা বলব সেটা তে হ্যাঁ তে হ্যাঁ, না তে না মিলাবে কেমন?
প্রবীশ বাবুর কথাতে একটু অবাক লাগলো। তবে পরক্ষণে ভাবলাম তার স্ত্রীর পরিচয় যখন দিবে, হয়তো পরিচিত কেউ আছে তাই এটা বলছে। আমাকে নিয়ে গেল ভিতরে।
আমাকে বসিয়ে রেখে তিনি ডক্টর এর সাথে দেখা করতে চেম্বারের ভিতর প্রবেশ করলেন। জানিনা তিনি ডক্টর এর সাথে কি কি আলোচনা করেছিলেন। অনেকক্ষণ যাবৎ বাইরে বসে আমি অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ করে একটি নার্স আমাকে ভিতরে ডেকে পাঠালেন। প্রবীশ বাবু হাসি মাখা মুখে আমাকে বসতে বললেন তার পাশের সিটে।
আমাদের সামনের চেয়ারে বসে থাকা মহিলা ডাক্তারটি আমার মুখের পানে তাকিয়ে আছেন। হয়তো আমাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তার এই ভাবে চাহনি দেখে আমি একটি সৌজন্যমূলক হাসি দিলাম। এর মানেটা কি নিয়ে কি ভেবে নিলেন আমি বুঝতে পারলাম না।
তিনি আমাকে বললেন:’আপনি কি শিওর এই কাজটি করাতে চান?’দেখে তো মনে হচ্ছে না।
আমি বললাম: তিনি আমার জন্য যেটা ভালো মনে করবে সেটাই হবে। । আমার এই কথায় প্রবীশ বাবু শোনে আৎকে গেল।
ডাক্তার: তাহলে কি এবরশন টা আজি করাবেন?
মেঘা: ( এবরশন কথা টা শুনে আমার কলিজা টা ছ্যাত করে উঠলো)এবরশন করবে মানে?আমি কোন এবরশন টেবরশন করাবো না। এই বাচ্চাটা আমার জীবনের একমাত্র পাওয়া।জীবনে আমি অনেক কষ্ট করেছি দরকার পরলে আরও করবো কিন্তু আমি এই বাচ্চা কে নষ্ট করবো না। ( কানতে কানতে বললাম)
প্রবীশ বাবু আমার হাতে হাত রেখে জোরে চেপে ধরে চোখে চোখ রেখে ত্মীক্ষ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন।যেন তিনি আমাকে এখনি ভ্রম্ম করে দিবেন। কিন্তু আমি এই মুহূর্তে তার রাগের তোয়াক্কা না করে জোরে চিল্লিয়ে বললাম,
মেঘা: সে আপনি আমাকে যাই করুন। আমি কিছুতেই এই বাচ্চা নষ্ট করবো না। আমাকে মেরে ফেললেও না।
ডাক্তার: কি বলছেন আপনার স্ত্রী এই সব? আপনি তার অমতে এমন টা করতে পারেন না।
প্রবীশ: আসলে বিষয়টা হচ্ছে,ডালিয়া শারীরিক ভাবে অসুস্থ।এই অবস্থায় এই বাচ্চা টা ওর প্রাণহানির কা…….
মেঘা:( আমি দৌড়ে ডাক্তার মহিলাটির পায়ে পরে বললাম) দয়া করে আমার এতো বড় সর্বনাশ করবেন না। পৃথিবীতে আমার নিজের বলতে শুধু এই বাচ্চাটা ছাড়া আর কিছুই নেই।
ডাক্তার: আপনি উঠুন!(আমার হাত ধরে উঠিয়ে দিলো)
প্রবীশ বাবু আমার কাছে এসে আমাকে তার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে ডাক্তার কে উদ্দেশ্য করে বলেন..
প্রবীশ বাবু: বলেছিলাম না আমার স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ! আর আমি সামান্য একটা বাচ্চার জন্য তাকে হারাতে চাইনা।
আমি তার বুক থেকে সরে আসার চেষ্টা করি, তিনি আরো জোরে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন..
প্রবীশ: এমন পাগলামো করো না ডালিয়া! আমি আছি তো, তোমার পাশে। সারাজীবন থাকবো তোমার পাশে। আমি কোনো কিছুর বিনিময়ে তোমাকে হারাতে পারবো না, কেন বোঝো না তুমি?
মেঘা: ছেড়ে দিন আমাকে!(তার কাছ থেকে ছাড়া পেতে পেতে) আমি আপনার এমন কি ক্ষতি করেছি? কেন আপনি এমন অভিনয় করছেন?
ডাক্তার: আমার মনে হয় আপনি ভালোবেসে তাকে বোঝান ।সে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবে। তাছাড়াও কারো অমতে আমরা বাচ্চা নষ্ট করতে পারিনা।
প্রবীশ বাবু: আচ্ছা ঠিক আছে! আমি আমার স্ত্রীকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি ।দেখি ওকে বুঝাতে পারি কিনা?
ডাক্তার: আপনি তাকে সুন্দরভাবে বোঝোন। সে অবশ্যই আপনাকে প্রাধান্য দিবে।
তিনি জোর করে বুকে জড়িয়ে আমাকে হাসপাতাল থেকে বাইরে নিয়ে আসলেন। যেন আমি কোনো মানসিক রোগী। গাড়িতে করে আসার সময় আমার একটু একটু করে সাজানো স্বপ্নগুলো এক নিমেষেই ভেঙে দিলেন তিনি। তাহলে এই ছিল তোর মনে? বাড়িতে এসে আমার হাত ধরে টানতে টানতে বাসার ভিতরে নিয়ে এসে ঘুরিয়ে ফেলে দিলেন আমায় সোফার ওপরে।
প্রবীশ:এজন্যই তো তোমাকে হসপিটালে নিয়ে গেছিলাম।।তুমি কি ভেবেছিলে আমি তোমাকে আদর করছি।হাহাহা।এত বোকা মেয়ে আমি আমার জীবনে দেখি নি।আরে তোকে আদর করেছিলাম যাতে তোকে কষ্টটা বেশি দিতে পারি।
আমি সোফার উপর বসে কান্না করা থেকে মাথা উচু করে তার দিকে তাকালাম। প্রবীশ আমার সামনে এসে তার এক আঙ্গুল দিয়ে আমার চোখের পানি ধরে টোকা দিয়ে ফেলে দিয়ে বলল।
প্রবীশ: বিশ্বাস করো তোমার এই চোখের পানি আমার হৃদয়ের শান্তির খোরাক যোগান দেয়। কি যে শান্তি লাগে বলে বুঝাতে পারব না।
মেঘা-আল্লাহর দোহাই লাগে এত বড় কষ্ট আর ক্ষতি আপনি আমার করবেন না। আমাকে ছেড়ে দিন। বাঁচতে দিন আমাকে আমার মতন করে। আমি তো আপনার কোন ক্ষতি করিনি।
আমার কথা শুনে প্রবীশ বাবু পাশ থেকে খিল খিল করে হাসতে লাগল। তোমার মনে হয় তোমার এই ন্যাকা কান্না আমার মন গলাতে পারবে?
“দুনিয়াতে টাকা ছাড়া ভালোবাসার কোনো দাম নেই” সেখানে #অপ্রত্যাশিত_ভালোবাসা তো মূল্য হীন। আজ টাকার কাছে সে বিক্রি হয়ে আছে। যাবে তো যাবে কার কাছে? আজ কাব্য পাশে থাকলে এই দিন তাকে কোনো দিন ই দেখতে হতো না।মানুষের মন ও টাকার কাছে কিছু না।”আমি চিৎকার করে কান্না করছি আর পাশ থেকে প্রবীশ বাবু আমার চিৎকার দেখে হাসতে লাগল।তখন ডালিয়া অরণ্য কে বলল
মেঘা:আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি?কেন এমন করেছেন আমার সাথে।আমাকে আর কত কষ্ট দিবেন আপনি?
প্রবীশ:বলেছি তো মেয়ে মানুষকে আমার একদম ই সহ্য হয় না। তোমাকে কষ্ট দিতে পেরে আমার অনেক শান্তি লাগছে।কোন মেয়ে কষ্ট পেতে দেখলে আমার শান্তি লাগে।এই যে কষ্ট পাচ্ছো তুমি , আমার খুব শান্তি লাগছে। তোমাকে কিনে এনেছিই এভাবে কষ্ট দিতে হাহাহাহা।
#চলবে …..