অবশেষে পূর্ণতা পর্ব -০৯

#অবশেষে_পূর্ণতা
#লেখক_আহম্মেদ_নীল
#পর্ব_৯

‘বাসায় এসে দেখে সামিয়া বালিশে মুখ গুজে কান্না করছে।আতিক বিছানায় ব্যাগ ফেলে সামিয়ার দিকে এগিয়ে যেতে নিলেই সামিয়া চিৎকার করে বলতে থাকে,

“-খবরদার আমার দিকে এগিয়ে আসবে না। তোমাকে আমার ভালো মতো চেনা হয়ে গেছে কথাগুলো সামিয়া আতিককে বলছে। আতিক প্রতিত্তোরে বললো,আমি জানি আমার সামিয়া সোনাটা আমার উপর অনেক অভিমান করে আছে।বলেই সামিয়াকে জড়িয়ে ধরার জন্য কাছে যেতে ধাক্কা মেরে ফ্লোরে ফেলে দেয়। ড্রেসিং টেবিলের সাথে ধাক্কা লেগে খানিকটা কেটে রক্ত বের হতে থাকে,তা দেখে সামিয়া অবাক হয়ে যায়। কি করলো এটা সে.? কেমন করে পারলো তার ভালোবাসার মানুষটিকে এভাবে ধাক্কা মারতে। সামিয়া নিজের কাছে নিজেকে ছোট্ট মনে হতে লাগে। সামিয়ার রাগের মাত্রাটা হয়তো একটু বেশি হয়ে গিয়েছিলো। তার কারনেই এমনটা হয়েছে।

-‘সামিয়া নিজের সকল রাগ অভিমানকে মাটি চাপা দিয়ে আতিক এর মাথায় হাত দিতে গেলে আতিক উঠে চলে যায়,মাথায় হাত দিয়ে। একটু পর গাড়ি নিয়ে রাগান্বিত হয়ে চলে যায়। সামিয়ার চোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রু ঝড়তে থাকে। দেওয়ালের সাথে কয়েকবার নিজের হাতকে আঘাত করতে থাকে। কারন এই হাত কি করে এতটা নিষ্ঠুর হতে পারলে.?একটু পর আতিকের মা নারগিস বেগম সামিয়ার রুমে এসে বলতে লাগলো,কি হয়েছে মা আতিক দেখলাম গাড়ি নিয়ে হনহন করে চলে গেলো,আমি কয়েকবার ডাকা সত্বেও কোন জনাব না দিয়ে চলে গেলো,আবার তুমি এসে দেখি রুমে এভাবে কান্নাকাটি করছো।আমার সাথে না বললে কেমন করে বুঝবো তোমাদের ভেতরে কি হয়েছে.? সামিয়ার চোখ দুইটা রক্ত জবার ফুলের মতো লাল হয়ে রয়েছে। সামিয়ার এমন চাহুনি দেখে নারগিস বেগম কিছুটা হলেও আনুমান করতে পারে আজ বড়সর কিছু একটা হয়েছে।

‘আপনার ছেলে আমার জীবনটা দিনেদিনে শেষ করে দিচ্ছে। আমাকে এখন তার ভালো লাগে না। নারগিস বেগম বলতে লাগলো,কি হয়েছে না বললে আমি কেমন করে বুঝবো.?
তারপর একে একে ভার্সিটির সামনে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা বলতে লাগলো সামিয়া। নারগিস বেগম হতভম্ব হয়ে সামিয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে নারগিস বেগম কথা বলার শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলেছে। নারগিস বেগম এতদিন যে ভয়টা পাচ্ছিলো আজ তা বাস্তবে রুপ নিলো। নারগিস বেগম বুঝতে পারছে আতিক এর সাথে কি ঘটতে চলেছে। একটু পর নারগিস বেগম নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক করে সামিয়া বলতে লাগলো,তুমি চিন্তা করোনা সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। তোমাকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে,বাকিটা আমি দেখছি আতিক বাসায় আসলে বলেই নারগিস বেগম হনহন করে রুম থেকে চলে গেলো।

“এটা কি করে সম্ভব.?আতিক তো আমার কথামতো ফারিয়াকে ডিভোর্স দিয়ে দিলো।আমার নতুন করে নিজের পছন্দেই বিয়ে করলো। বছর না যেতে যেতে ফারিয়ার প্রতি এত টান জাগ্রত হলো। আমিতো ভেবেছিলাম আতিক হয়তো ফারিয়াকে ভুলে যেতে পারবে সামিয়াকে বিয়ে করলে। নারগিস বেগমের মাথায় একটা প্লান আসলো,যা সে কাজে লাগাবে। একটু পর সামিয়ার রুমে চলে গেলো কোন কথা না ভেবেই। সামিয়া মনমরা হয়ে বসে আছে খাটের সাথে হেলান দিয়ে। নারগিস বেগমকে দেখে উঠে বসলো। তুমিই পারবে আতিককে নিজের আয়ত্তে আনতে,আর তোমার প্রতি গভীর মায়ায় ফেলতে। নারগিস বেগমের এমন কথা শুনে কিছুক্ষনের জন্য সামিয়ার মন আনন্দে আপ্লুত হয়ে উঠলো। সামিয়া তো এটায় চাই,আতিক শুধু তাকে আকড়ে ধরে বাঁচবে, সামিয়ার গভীর মায়া জড়িয়ে যাবে। সামিয়া তো আতিক এর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য এককথায় পাগল।

-আমি সবকিছু পারবো আতিক এর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য। আপনি বলুন আমাকে কি কি করা লাগবে.? কথাগুলো সামিয়া বলছে আতিকের মা নারগিস বেগমকের উদ্দেশ্যে। তাহলে শুনো,তোমার একটা বেবি নিতে হবে,যত সম্ভব তারাতাড়ি নিতে হবে। আতিককে একটু সময় দিবে,আতিক যা বলে মুখ বুঝে সহ্য করতে হবে। প্রথমত তুমি যদি একবার মা হতে পারো,তাহলে আতিক তোমার কথা না ভাবলেও তার নিজের সন্তানের কথা ভেবে হলেও তোমাকে কেয়ারিং করবে,আর এভাবে কিছুদিন কেয়ারিং করার কারনে ফারিয়ার প্রতি যে মায়াটা কাজ করছে,তা আস্তে আস্তে উঠে যাবে। আর দ্বিতীয়ত আতিককে সময় দিতে হবে,ধৈর্য ধরতে হবে। আতিক যখন তোমাকে কিছু বলবে তখন তা মুখবুঝে সহ্য করতে হবে,কারন যখন তুমি সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করবে তখন তোমাদের মাঝে আর ঝগড়া কিংবা রাগ অভিমান হবে না। আর এই রাগ, অভিমান,ভুলবুঝা বুঝির,মিথ্যা কথার কারনে একটা সুন্দর সম্পর্কেও নষ্ট হয়ে যায় নিমিষেই।

-‘সামিয়া নারগিস বেগমের প্রতি কথা অন্তরে গেথে যায়,আসলেই তো ওনি ঠিক কথায় বলেছে,আজকে যা সমস্যা হচ্ছে হয়তো আমার বুঝার দোষেই হচ্ছে, কারন আমি আজকে যদি বাসায় আসার পর রাগ আর অভিমান না করতাম তাহলে আজ আমার আর আতিক এর মাঝে রাগারাগি হতো না। এমনকি আমাকে আতিক এর সাথে খারাপ ব্যবহার করার জন্য আফসোস করতেও হতো না। নারগিস বেগম সামিয়ার সকল ভাবনার ছেদ করে বলতে লাগলো,কি হলো পারবে তো আমার কথামতো এগুলো করতে.? যদি পারো তাহলে তুমি তোমার স্বামীকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারবে, আর না হলে আস্তে আস্তে আতিককে হারিয়ে ফেলবে। এখন ভেবে দেখো কি করবে.?

-“আমি সব করতে পারবো,প্রয়োজন পড়লে আমি আরো গভীরে যেতে পারবো,সবকিছুর বিনিময়ে আমি আতিককে নিজের করে পেতে চাই। আমি চাই আতিক সবসময় আমাকে নিয়ে বিভোর থাকুক। এইতো আমার লক্ষী মেয়েটা বলেই সামিয়াকে নিজের বুকে জড়িয়ে নিলো আর মনে মনে বলতে লাগলো,এইতো বাছা এবার বন্দি হয়েছে আমার খাচায়। আমারও জানা আছে,সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুলটা বাকা করতে হয়।

‘এদিকে আতিক সামনে একটু যেতেই একটা ফার্মিসি থেকে মাথাটায় ব্যান্ডিজ করে নেই। বেশি কাটিনি তবে মাথায় অনেক ব্যাথা পেয়েছে ধাক্কা মেরে ফেলার কারনে। আতিক এর মনের মাঝে দুঃখ-কষ্টেগুলো কালো মেঘেট মতো জমা হয়েছে। একদিকে ফারিয়াকে হাতের নাগালে পেয়েও সে তাকে বুঝাতে পারলো না,এদিকে সামিয়া তাকে ভুল বুঝলো,শেষে আতিক এর সাথে এমন খারাপ আচারন করলো। আতিক এর মনের মাঝে কালো মেঘগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে গেলে হয়তো আতিক এর জন্য ভালো হতো। যত দিন যেতে থাকে ফারিয়ার শূন্যতা তাকে তাড়া করে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। ফারিয়ার দেওয়া প্রতিটা কষ্ট এখন মনে হচ্ছে আতিক বহন করছে। এটা হয়তো প্রকৃতির চরম বিচার। হয়তো এই বিচার থেকে কেউ রক্ষা পায়না। যে যাকে যা কিছু যতটুকু দিবে,প্রকৃতি তা একদিন তাকে ফেরতে দেয়,হোক সেইটা ভালোবাসা কিংবা কষ্ট।

‘আতিক গাড়িতে একটা রেস্টুরেন্ড এর সামনে থামিয়ে কল দেয় তার গ্লোজ ফ্রেন্ড নেহালকে। আতিক কল করতেই ওপাশ থেকে বলতে লাগে,কিরে এতদিন পর যে কল করলি কি মনে করে.? তেমন কিছু না অনেকদিন পর তোদের শহরে এলাম,কোথায় তুই.? আতিক এর কথা শুনে নেহাল এর মুখে একরাশ আনন্দের ছাপ দেখা দিলো। তুই কোথায় তাই বল.? আমিতো ফাইভ স্টার হোটেল এর সামনে। আচ্ছা দোস্ত তুই ৫ মিনিট অপেক্ষা কর আমি চলে আসছি বলেই নেহাল কলটা কেটে দিলো। এদিকে মনটা বেজার করে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে নেহাল এর জন্য। আতিক আজকে প্লান করে অনেকদিন পর সে ড্রিং করবে ইচ্ছে মতো। ড্রিং করে তার কষ্টগুলো দূর করবে।

-‘বিয়ের আগে আতিক অনেক ড্রিং করতো। ফারিয়ার সাথে বিয়ে করার পরও করতো বটে। আস্তে আস্তে ফারিয়া আতিককে মদ পান করার ব্যাপারে কোরআনে বর্নিত বানীগুলো শুনাতো প্রতিদিন। আস্তে আস্তে আতিক ড্রিং করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে শুরু করে। ফারিয়ার বলা বর্নিত কুরআনের বাণী আর তার গভীর ভালোবাসার পরশে আতিক ড্রিং করা একেবারে ছেড়ে দেয়। অনেকদিন পর আজ আবার ড্রিং করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর নেহাল এসে হাজির হলো আতিক এর সামনে।

-“দোস্ত আর বলিশ না রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো, তাই আসতে একটু লেট হলো। আই এম সো সরি। আচ্ছা সমস্যা নেই। আতিক এর মাথায় ব্যান্ডিজ দেখে নেহাল অবাক দৃষ্টিতে বলতে লাগলো,তোর মাথায় ব্যান্ডিজ কেনো.? তেমন কিছু না একটু চোট লেগেছিলো তাই ব্যান্ডিজ করেছি। রাত প্রায় ৯ টা বেজে গেছে। আতিক আর নেহাল বসে আছে রেস্টুরেন্ট এ। আতিক বলতে লাগলো,নেহাল আজ ড্রিং করবো,এখন বরং সামান্য কিছু খেয়ে নেওয়া যাক। রাত আরেকটু হলে ড্রিং করবো। হঠাৎ এতদিন পর ড্রিং করবি,,সত্যি বলতো কি হয়েছে.? বাসায় কারো সাথে কোন সমস্যা হয়েছে.? নাকি ফারিয়া সাথে কিছু হয়েছে.? তুই যাই বলিস ফারিয়ার মতো তোকে আর কেউ ভালোবাসতে পারবে না.? নেহাল এর মুখ থেকে ফারিয়া নামক রমনীর কথা শুনে আতিক এর বুকের মাঝে চিনচিন অনুভব করে উঠে। নেহাল জানেনা, ফারিয়ার সাথে আতিক এর ডিভোর্স হয়েছে গত চার মাস,আবার আতিক দ্বিতীয় বিয়ে করেছে সামিয়াকে।
আতিক নেহালকে বলতে লাগলো,তেমন কিছু না অফিসের কাজে একটু চাপ যাচ্ছে। নেহাল আর কোন কথা না বাড়িয়ে সামান্য কিছু খেয়ে নেই।আতিক খাবার মুখে নিতে গেলে ফারিয়ার কথা মনে পড়ে যায়। ফারিয়ার সাথে করা প্রতিটা অন্যায় আতিক নাম নরপশু উপলব্ধি করতে পারে। ফারিয়াকে আবার ফিরে পাওয়ার তীব্র লোভ জাগ্রত হয় আতিক এর মনে। আদেও কি ফারিয়াকে ফিরে পাওয়া সম্ভব.?

‘রাত আরেকটু গভীর হলে আতিক ড্রিং করার জন্য মেতে ওঠে। নেহাল কাচের গ্লাসে ঢেলে নেয়। আর আতিক বোতল ধরে অনবরত ড্রিং করে আর মনে পড়ে যেতে থাকে ফারিয়ার বলা কথাগুলো, তোমার লজ্জা করেনা,ঘরে বউ থাকতে রাস্তার একটা মেয়েকে স্পর্শ করতে.? তোমার লজ্জা করেনা রাস্তায় মেয়েদের এভাবে ডিস্টাপ করতে। কথাগুলো ভাবছে আর ঢকঢক করে ঢোক গিলতে থাকে। দেখতে দেখতে বোতল অর্ধেক করে ফেলে আতিক।

_____________________

-ফারিয়ার মা অহনা বেগম রুমে যেতেই দেখতে পেলো,,ফারিয়া বিছানায় শুয়ে রয়েছে। অহনা বেগমকে রুমে আসতে দেখে ফারিয়া উঠে বসে আস্তে আস্তে। অহনা বেগম ফারিয়ার পাশে বসে মেয়ের মাথায় হাত বুলাতে থাকে। মেয়ের জন্য যে তাদের বড়ই কষ্ট। শ্বশুর বাড়ি থেকে মেয়েটাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে,সেখানে তার ঠায় হয়নি। কত ইচ্ছে ছিলো মেয়েটার,কিন্তুু তা পূরন হলোনা কথাগুলো অহনা বেগম ভাবতেই তার চোখগুলো ভিজে গেলো,তা দেখে ফারিয়া বলতে লাগলো, মা তুমি এভাবে কান্না করলে আমার ভিষণ কষ্ট লাগে,মনটা খারাপ হয়ে যায় বলেই ওড়না দিয়ে অহনা বেগমের চোখের অশ্রু কনাগুলো মুছিয়ে দেয়। ফারিয়া একটু পর তার মায়ের বুকে মাথা রাখে,তখুনি অহনা বেগম বলতে থাকে,মা তোকে একটা কথা বলার ছিলো।

‘বলতে পারো বলে ফারিয়া আদেশ দিলো। মা এভাবে তো আর দিন চলবে না। দেখ মা নীল ছেলেটা অনেক ভালো।তোকে অনেক ভালোবাসে ছেলেটার চোখে, মুখে আর তার কথাগুলোয় তা প্রমান করে দিচ্ছে। নীল তোকে এতটা ভালোবাসে,যে তোর সবকিছু জানা সত্বেও তোকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে,এমনকি তোর পেটে থাকা বাচ্চাটেও নীলের পরিচয়ে বড় করতে চাই। আমি মা হয়ে তোকে বলছি নীল তোকে সবসময় আগলে রাখবে আমার যতটুকু মনে হয়। আমার মনে হচ্ছে ছেলেটা তোকে কোনদিন কষ্ট দিবে না। আমি চাই তুই আবারো নতুন করে সবকিছু শুরু কর। জীবন কারো জন্য থেকে থাকেনা। আতিককে দেখ ঠিকই সংসার করছে তোকে রেখে আরেকজনের সাথে,তাহলে তুই কেনো পারবি না.?তবে আমি তোকে জোর করবো না,তুই তোর বাবার সামনে গিয়ে বলবি,সঠিকটা। রাজি থাকলেও বলবি আবার না থাকলেও বলবি। তোর মনের বিপরীতে আমরা কোন সিদ্ধান্ত নিবো না। কথাগুলো বলেই ফারিয়াকে ধরে নিয়ে গেলো অহনা বেগম।

(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
“এদিকে নীল অধীর আগ্রহে বসে আছে কখন ফারিয়া নামক রমনীর আসবে। আবার মনের একরাশ ভয় বিরাজ করছে। নীল পড়ে গেছে কঠিন সিচুয়েশনে। তার জন্য কি অপেক্ষা করছে তা একমাত্র উপর ওয়ালাই ভালো জানে। নীলের কাছে এটা মনে হচ্ছে পরিক্ষার হলরুম। প্রশ্ন না পাওয়ার পর্যন্ত সে বুঝতে পারবে না তার পড়া প্রশ্নগুলো এসেছে কিনা। তবে নীল অনেক প্রস্তুতি নিয়েছে। একটু পর গুটিশুটি পায়ে নীলের সামনে হাজির করলো ফারিয়াকে। নীলের সামনা সামনি ফারিয়া বসে আছে। আমিন সাহেব মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো,মা আমরা তোমার মনের বিপরীতে যাবোনা এমনকি নীলও যেতে পারবে না। তুমি তোমার মনের ভেতরের কথাটা শুধুমাত্র আমাদের সামনে প্রকাশ করবে।
নীল অনেকটা ঘাবড়ে রয়েছে তবে তার মনোবল অনেক বেশি সে,এই কঠিন পরিক্ষা জিতবেই,

-সবাইকে চমকে দিয়ে ফারিয়া বলতে লাগলো,আমি এই,,,,

চলবে কী.?

(আসসালামু ওয়ালাইকুম। আশা করছি সকলে ভালো আছেন। আজকে ১৯০০ শব্দের মতো শব্দ লিখেছি। অনেকটা কষ্ট পায় কিছু পাঠক-পাঠিকার কথায়। কিছু পাঠক- পাঠিকার মন্তব্যের কারনে অনেকের গল্প লেখার ইচ্ছেটা নষ্ট হয়ে যায়।এটা একদম অন্যরকম একটা গল্প হতে চলেছে। দয়াকরে সকলে ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। আবার অনেক পাঠিকা বলছে এত সুন্দর হচ্ছে মনে হচ্ছে গল্পটা বাস্তব। যত পড়ছি ততই পড়তে ইচ্ছে করছে। আবার অনেকে বলছে,এত ছোট করে লিখেন কেনো.? আমি প্রতিটা পর্বে ১৬/১৭০০ এর বেশি শব্দ লিখি,তারপরও ছোট বললে আমার কিছু করার নেই।আমি টিউশনি করায়,নিজে পড়ি তারপর যতটুকু সময় পায় গল্প লিখি। এত অভিযোগ আমি আর মেনে নিতে পারিনা। গল্পটা পড়ে সকলে গঠনমূলক কমেন্ট করে আপনাদের সকলের মতামত জানাবেন। গল্পের ভেতরে কোনপ্রকার ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। হ্যাপি রিডিং।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here