অবশেষে পূর্ণতা পর্ব -১৩+১৪

#অবশেষে_পূর্ণতা
#লেখক_আহম্মেদ_নীল
#পর্ব_১৩

-‘সামিয়া আবারো আতিক কে জড়িয়ে ধরতে লাগলো,আতিকও আর মানা করলো না,তবে আতিক এর কাছে সামিয়াকে এখন বিরক্তিকর লাগছে। সামিয়া আবারো আতিক এর ঠোঁটের কাছে নিজের ঠোঁট নিয়ে যেতে চাইলে আতিক আর কোন বাধা দেয়না। সামিয়া মনে মনে নারগিস বেগমের কথা অনুযায়ী কাজ শুরু করে। সামিয়া আতিককে অনবরত কিস করতে থাকে। হঠাৎ আতিকের মাথা আবারো ফারিয়া নামক রমনীর কথা ভেসে ওঠে।

“তখুনি আতিক সামিয়াকে ধাক্কা মেরে একটু দূরে ফেলে দেয়। সামিয়া কোমড়ে অনেক লাগে,মা বলে উঠে। আতিক নিজেও বুঝতে পারছে না তার সাথে বারবার কেনো এমনটা হচ্ছে। সামিয়ার উপর সে কেনো বিরক্তিকর হচ্ছে নিজের মনের অজান্তেই। আতিকের মাথায় শুধু ফারিয়ার স্মৃতিগুলো ঘুরপাক খেতে থাকে। এদিকে সামিয়া কান্না করতে থাকে কোমড়ের ব্যাথায়,কিন্তুু সে দিকে আতিকের বিন্দু মাত্র ভ্রু ক্ষেপ নেয়। সে বিভোর হয়ে আছে ফারিয়ার স্মৃতিগুলো নিয়ে,তা তাকে প্রতিনিয়ত একটুও ভালো থাকতে দিচ্ছে না। হয়তো এটা প্রকৃতির বিচার। যা থেকে কেউ রক্ষা পায়না।

‘সামিয়ার কান্না শুনে আতির এর ঘোর কাটলো। আতিক অবাক হয়ে তাকিয়া আছে সামিয়ার দিকে। সামিয়া দু চোখ বেয়ে টপটপ করে অঝোরে নোনাজল গড়িয়ে পরছে। আতিক নিজেকে একটু স্বাভাবিক করে সামিয়ার দিকে এগিয়ে এসে বলে,আই এম সরি। আসলে আমি বুঝতে পারিনি ঘুমের ঘোরে তোমাকে ধাক্কা মারা হয়ে গেছে।সামিয়া বুঝতে পারছে না তার সাথে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে,যা সামিয়া আর আতিক কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।

(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
-‘সামিয়া অনেকটা ব্যাথা পেয়েছে,তাই আতিক কোমড়ে মলম লাগিয়ে দেয় আপাতত।তারপর আতিক বেলকনিতে চলে যায় গভীর রাতে। কারন আতিকের মনের মাঝে অশান্তি নামক মরনব্যধির আগমন ঘটেছে যা হয়তো ফারিয়ার সাথে করা অন্যায়,আর অত্যাচার আতিকের জীবনে একে একে ফেরতে আসতে চলেছে। আতিক চেয়ারে হেলান দিয়ে একের পর এক জলন্ত সিগারেট শেষ করেই চলেছে। ফারিয়াকে পাওয়ার তিব্র অনুভূতি তার মাঝে বিরাজ করছে প্রতিনিয়ত,আর সামিয়ার প্রতি দিনে দিনে সে বিরক্তিকর হচ্ছে। জলন্ত সিগারেট হাতে নিয়ে সে ভাবতে থাকে আগামীকাল আবার সে ভার্সিটিতে যাবে,যদি ফারিয়াকে চোখের দেখা দেখতে পায়,তাও আতিকের মনে একরাশ প্রশান্তি হবে। আতিক সিদ্ধান্ত নেয় আগামীকাল সে যে করেই হোক ফারিয়াকে বলবে, তার মনের ভেতরে জমে থাকা কথাগুলো। এদিকে সামিয়া অঝোরে কান্না করে বালিশ ভেজায়,কারন তার প্রতিটা প্লান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নারগিস বেগমের বলা কথা অনুযায়ী, সে একটা কাজও ঠিক মতো করতে পারছে না। পারবেই বা কেমন করে,আতিক তো তাকে কোন সুযোগ দিচ্ছে না,রবং তার প্রতি সবসময় বিরক্তিকর হচ্ছে।

-এই বিষন্ন ভরা জীবন সামিয়ার আর ভালো লাগছে না।সবকিছু জেনেও কেনো সে আতিককেই বিয়ে করলো,কত ভালো ভালো পাত্র তার কাছ থেকে রিজেক্ট হয়ে ফিরে গেছে। আর শেষে আতিককেই বিয়ে করে নিলো,তাও আবার রিলেশন করে। সামিয়া জানতো আতিক বিবাহিত, প্রথমে তাদের পরিচয় হয় ফেসবুকে। সবকিছু জেনে শুনেও সামিয়া ছয় মাস রিলেশন করার পর সিদ্ধান্ত নেয় আতিককে বিয়ে করবে,সে যদি ফারিয়াকে ডিভোর্স দিয়ে সারাজীবন এর মতো বাড়িয়ে থেকে তাড়িয়ে দিতে পারে। সামিয়ার বলা কথা অনুযায়ী আতিক ফারিয়াকে ডিভোর্স দিয়ে সামিয়াকে বিয়ে করে আনে। সামিয়া আর আতিক ভেবেছিলো তারা দুজন দুজনকে আপন করে নিতে পারবে। আদেও কি একটা নিষ্পাপ মানুষের মন ভেঙে, একটা সুন্দর সাজানো গোছানো সংসার ভেঙে আদেও কি যায় নতুন করে সুখে শান্তিতে সংসার গড়া.? হয়তো না।

‘রাত ঘুনিয়ে ভোর হবে হবে ভাব তখন আতিক রুমে এসে দেখে সামিয়া ঘুমিয়ে রয়েছে। চোখগুলো ফোলা ফোলা, আতিকের বুঝতে অসুবিধা হলোনা সামিয়া অনেক কান্নাকাটি করেছে সারারা । তবে আতিকের কিছু করার নেই। সে সামিয়ার পাশে শুয়ে পড়ে কিছুক্ষণের জন্য। আতিক এর করা একটা ভুলের জন্য তিনটা জীবন নষ্ট হয়ে গেছে। আতিক যদি সামিয়ার সাথে সম্পর্কে না জড়াতো তাহলে আতিককে হয়তো আজকের এর অশান্তি ভরা জীবনকে ভোগ করতে হতো না। ভোরের আযান সামিয়ার কানে আসতেই সে উঠে পড়ে।(লেখক_আহম্মেদ_নীল) আতিক এর ঘুমন্ত নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ ভাবতে লাগলো,এই নিষ্পাপ মুখটা কেমনে করে পারে আমার সাথে প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার করতে,বিয়ের পরেও তো কখনো এমন ব্যবহার করতো না,বরং আমাকে সবসময় আগলে রাখতো। বিয়ের পরে আতিক এর কেয়ারিং গুলো আমার কাছে একটু বিরক্তিকর লাগতো,মনে হতো আমি ছোট্ট বাচ্চা। আর ছোট্ট বাচ্চাদের মতো খেয়াল রাখতো। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস,নিয়তি আজ সবকিছু বিপরীত করে দিয়েছে। এখন আমি আতিকের কাছ থেকে আগের সেই একটু কেয়ারিং আর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত পাগল হয়ে যাচ্ছি।

(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
“তবে আমি হাজারো চেষ্টা করে তাও পাচ্ছিনা। যত সময় যাচ্ছে আমার মনে হচ্ছে, সবকিছু কেমন যেনো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। সামিয়ার দু নয়ন বেয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়তে লাগে। ওড়না দিয়ে চোখগুলো মুছে সে চলে যায় ওয়াশরুমে।তারপর ফ্রেশ হয়ে আবার রুমে চলে আসে। রুমে গেলেও সামিয়ার একটু ভালো লাগেনা,তাই সে বেলকনিতে এসে ভোরের সকালটা উপভোগ করতে থাকে। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর ভাবতে থাকে,আমার আশাকটাতেও কিছুদিন আগেও এমন নীল সুন্দর ছিলো। কিন্তুু এখন পুরো আকাশটাতে ঘুটঘুটে কালো মেঘে পুরো আকাশটাকে গ্রাস করে নিয়েছে। যদি তার মনের আকাশের কালো মেঘগুলো সড়ে গিয়ে আবারো আগের মতো নীল হয়ে যেতো হয়তো ভালো হতো সামিয়ার। আকাশের দিকে তাকিয়ে সে সৃষ্টিকর্তাকে বলতে থাকে,সবকিছু আবার আগের মতো করে দিতে এবং আতিককে আগের মতো স্বাভাবিক করে দিতে। আদেও কি সামিয়ার জীবনটা আবার আগের মতো করে পাবে.?

-‘সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়ে গেলো পুরো শহরটা, নিত্যদিনের মতো যে যার কাজে ব্যস্থ হয়ে পড়লো। সামিয়া নাস্তা রেডি করতে লাগলো। তবে সামিয়ার মনে একবুক কষ্ট জমে আছে,যা সে কাউকে দেখাতে পারছে না। আতিক এর জন্য এককাফ কফি তৈরি করে রুমে দিকে অগ্রসর হলো। রুমে গিয়ে দেখলো আতিক বাচ্চাদের মতো এখনো ঘুমিয়ে আছে। কয়েকবার ডাকার পরও আতিক উঠলো না,সামিয়া অনেকটা ভয় পেয়ে যায়,তারপর সে গায়ে হাত দিয়ে ডাকলো। (লেখক_আহম্মেদ_নীল)তখন আতিকের একটু ঘুমের ঘোড় কাটলো। অনেক রাত অবদি জেগে থাকার কারনে হয়তো এত ঘুম হয়েছে,যা কয়েকবার ডাকার পরও বুঝতে পারিনি। তাড়াতাড়ি উঠে পড়ো কফি ঠান্ডা হয়ে যাবে তো। আর প্রায় ৯ টা বেজে গেছে কথাগুলো বলে সামিয়া কাফটা রেখে হনহন করে চলে যেতে নিলেই,আতিক সামিয়ার হাতটা টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়,সামিয়া অনেকটা ভালো লাগে,তার মনে জমে থাকা সকল অভিমান আর কষ্টগুলো ভেঙে যায় নিমিষেই।

-“একটু পর সামিয়াকে চোখ বুঝে শুয়ে আছে,কিন্তুু আতিক তাকে ছেড়ে দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়। সামিয়া বুঝতে পারে আতিক তাকে ছেড়ে দিয়েছে। সামিয়া হয়তো আতিক এর গভীর ভালোবাসা পেতে চেয়েছিলো,কিন্তুু তা আর হলো না। কফি খাওয়ার পর সামিয়াকে গুছিয়ে নিতে বলে আতিক। সামিয়া আতিককে বলে তার কোমড়ে এখনো অনেকটা ব্যাথা রয়েছে তাই সে আজ ভার্সিটিতে যাবে না। আতিক তো মনে মনে অনেক খুশি,কারন আজ অফিসে দেরি করে যাবে,প্রথম টাইম সে ভার্সিটিতে যাবে ফারিয়ার সাথে দেখা করতে। কিন্তুু সামিয়া গেলে তাতে বিঘ্ন ঘটিতে পারে। ব্রেকফাস্ট করে আতিককে তারাতাড়ি রেডি হতে দেখে নারগিস বেগম বললো,কিরে আজ এত তারাতাড়ি চলে যাচ্ছিস যে.? আসলে মা আজকে অফিসে গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং আছে,তাই ফাইলগুলো রেডি করতে বলেছে বস। তাই তারাতাড়ি যেতে হবে। কথাটা সামিয়া বিশ্বাস করলেও নারগিস বেগমের মনে একটা খটকা লাগে।

‘ইদানীং আতিক কে তার মা নারগিস বেগম বিশ্বাস করতে পারেনা। কারন নারগিস বেগম অনেকটা বুঝতে পারে সামিয়ার সাথে করা খারাপ ব্যবহারের কথা।নারগিস বেগম বুঝতে পারে ফারিয়ার শূন্যতা আতিককে ভেতর থেকে অস্থির করে তুলছে। আতিক সামিয়ার প্রতি বিরক্তিকর হচ্ছে তা মুখে না বললেও তার আচারনে অনেকটা বুঝতে পারে সামিয়া ও নারগিস বেগম। নারগিস বেগম আর সামিয়া কি আদেও পারবে আতিককে জীবন ফারিয়ার শূন্য দূর করে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে.? নাকি আতিক,সামিয়া আর নারগিস বেগমের করুন পরিনতি হতে চলেছে.?

(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
______________

“আমাদের কি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে যদি আমাদের পরিচয়ে শিশুটাকে বড় করে সুন্দর একটা জীবন দিয়.?
আমার তো মনে হয়না যে কোন সমস্যা হবে। নীলের মা সাদিয়া বেগম সবটা বুঝতে পারে তারপর নীলকে বলতে থাকে,আমি তোমার প্রস্তাবে রাজি। আমি ফারিয়ার সাথে তোমাকে বিয়ে দিবো। নীল তুমি আমার মনের ভেতরের খারাপ মনোভাবগুলো তুমি আজকে দূর করে দিয়েছো।আসলে আমি বা আমাদের সমাজের মানুষ একটা ডিভোর্স মেয়ে বলতেই খারাপ মনে করি। আসলে প্রতিটা ডিভোর্স মেয়ে আসলেই যে খারাপ হয়না,কিছু কিছু মেয়ের জীবনে ডিভোর্স নামক অভিশপ্ত বিষয়টা পরিস্থিতির কারনেও হয়ে থাকে তা তুমি আমাকে বুঝালে। নীল পেরেছে তার ভালোবাসাকে জয় করতে। পেয়েছে তার মা-বাবার মনের মাঝে থাকা ভুল ধারনাগুলো দূর করে, নতুন করে তাদের মনকে আলোকিত করতে।

-‘সাদিয়া বেগম ছেলেকে উদ্দেশ্য করে আবারো বললো,নীল তুমি আরেকবার ভেবে দেখো। বিয়েটা কিন্তুু পুতুল খেলা না,যে দুদিন পর তা ভেঙে ফেললে। এটা কিন্তুু সারাজীবনের একটা বন্ধন। মম আমি আমার সিদ্ধান্তে অটুট। হাজারো প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করে হলেও ফারিয়াকে আকড়ে ধরে বাঁচতে পারবো। নীলের এত মনোবল দেখে তার বাবা ও মা বললো,কালকেই আমাদের বাসায় ওদেরকে আসতে বলো।আচ্ছা বলে নীল নিজের রুম থেকে বেড়িয়ে বেলকনিতে চলে যায়।

-“একটু পর নীলের নাম্বারে কল করে, নীল কলটা রিসিভ করে বলতে লাগলো,কি করছো.?তেমন কিছু না বসে আছি।আপনি কি করছেন.?এইতো বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছি আর তোমার কথা ভাবছি। ফারিয়া ফোনের ওপাশ থেকে কিছুটা লজ্জা পায়,আর ভাবে এই মানুষ একদম আমার মনের মতো। সবসময় আমাকে নিয়ে ভাবে,না হয় চিন্তা করে। এমন মানুষকে জীবনসঙ্গী পাওয়া যে সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকে গিফট ছাড়া আর কিছু না। আচ্ছা শুনো আগামীকাল তোমরা সবাই আমাদের বাসায় আসবে,আর তুমি কিন্তুু একটা শাড়ি পড়ে আসবে। আ,,আমি আপনাদের বাসায় যাবো.?আবার শাড়ি পড়ে.? কিন্তুু কেনো জানতে পারি.?

(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
‘মা-বাবা তোমাকে দেখবে এবং তোমার মা-বাবার সাথে কথা বলবে।ফারিয়া কিছুক্ষনের জন্য হতভম্ব হয়ে যায়। সত্যি বলে তাহলে আমাকে শেষমেশ আবার বিয়ে পিড়িতে বসতে হবে। কথাগুলো ভাবতেই ফারিয়া ঠোঁটের কোনে হাসির ঝলকানি দেখা দিলো ফারিয়ার অজান্তেই। এই তুমি চুপ কেনো.? নীলের কথা শুনে ফারিয়ার সকল ঘোর কাটলো। না মানে এমনি। নীল বলতে লাগলো,আর একটা কথা বলতেই তো ভুলে গেছি। কী কথা বলতে পারেন.?

“আগামীকাল সকাল ১০ টার সময় রেডি থেকো। ওপাশ থেকে বলতে লাগলো,কিন্তুু কেনো.? কেনো যেতে কোন সমস্যা.?না। তাহলে রেডি থেকো আমি নিয়ে আসবো গাড়িতে করে বলেই কলটা কেটে দিলো। বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ চোখ পড়ল বিকালে ডুবন্ত সূর্যের দিকে । কত সুন্দর লাগছে ডুবন্ত লালচে সূর্যটা। হয়তো নীলের জীবনটা এমন সুন্দর মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। নীল তখুনি ভাবে,ইস আজ যদি ফারিয়া আমার সাথে থাকতো,তাহলে আমি তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে দুজন একসাথে এমন সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করতে পারতাম। তখুনি নীল বলতে থাকলো,

(লেখনিতে_নীল)
“-তোমার নেশা ধরানো চোঁখ দু’টো দেখে,
-চোঁখ নয় যেন দুটি রাতের আকাশের শুকতারা ,
-পলকে পলকে হয়ে যায় দিশেহারা,
-ভ্রু দু’টো কৃষ্ণ গোলাপের পাপড়ি,
-মন কেড়ে নেই দিবা শর্বরী!”
#অবশেষে_পূর্ণতা
#লেখক_আহম্মেদ_নীল
#পর্ব_১৪

“আগামীকাল সকাল ১০ টার সময় রেডি থেকো। ওপাশ থেকে বলতে লাগলো,কিন্তুু কেনো.? কেনো যেতে কোন সমস্যা.?না। তাহলে রেডি থেকো আমি নিয়ে আসবো গাড়িতে করে বলেই কলটা কেটে দিলো। বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ চোখ পড়ল বিকালে ডুবন্ত সূর্যের দিকে । কত সুন্দর লাগছে ডুবন্ত লালচে সূর্যটা। হয়তো নীলের জীবনটা এমন সুন্দর মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। নীল তখুনি ভাবে,ইস আজ যদি ফারিয়া আমার সাথে থাকতো,তাহলে আমি তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে দুজন একসাথে এমন সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করতে পারতাম। তখুনি নীল বলতে থাকলো,

(লেখনিতে_নীল)
“-তোমার নেশা ধরানো চোঁখ দু’টো দেখে,
-চোঁখ নয় যেন দুটি রাতের আকাশের শুকতারা ,
-পলকে পলকে হয়ে যায় দিশেহারা,
-ভ্রু দু’টো কৃষ্ণ গোলাপের পাপড়ি,
-মন কেড়ে নেই দিবা শর্বরী!”

(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
-‘ফারিয়া ঘুম থেকে উঠে ফোনের স্কিনের দিকে তাকি অনেকটা অবাক হয়ে যায়,তখন বাজে ৯ টা। এতো বেলা অবতি ফারিয়া কখনো ঘুমায় না। তারপর ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রুমে আসে। তারপর নাস্তা করে রেডি হয়ে নেয়,নীলের সাথে যাওয়ার জন্য। ৯ টা ৩৫ মিনিটে নীল কল করে জানিয়ে দেয়,সে বাসা থেকে রওনা দিবে একটু পর,ফারিয়া যেনো রেডি হয়ে বাসার সামনে দাড়িয়ে থাকে। নীলের বলা কথা অনুযায়ী ফারিয়া বাসার সামনে দাড়িয়ে থাকে,নীল গাড়ি নিয়ে আসে ফারিয়াকে নিতে। সাথে দাড়িয়ে ছিলো ফারিয়ার মা অহনা বেগম,নীলকে দেখে বললো ভেতরে যেতে,কিন্তুু নীল বললো এখন না। কিছুক্ষণ পর অহনা বেগমকে বললো,একটা কথা বলতে তো ভুলেই গেছি, আজ বিকালে আমাদের বাসায় যাওয়া লাগবে আপনাদের সবাইকে। ফারিয়ার মা অহনা বেগম বললো,কেনো.? আসলে আগামীকাল বাবা-মা লন্ডন থেকে দেশে এসেছে,তারা আপনাদের সাথে কথা বলতে চাই এবং ফারিয়াকে দেখবে বলেছে। আমি যাওয়ার পথে আংকেলকে বলবো,আপাতত আপনার সাথে দেখা হয়ে গেলো তাই আপনাকে বললাম। তারপর নীল ফারিয়াকে ধরে গাড়িতে তুলে নিলো,তারপর সিটবেল্টটা লাগিয়ে নিতে বললো। তারপর গাড়িটা স্টাট দিলো নীল। ফারিয়া নিজেও জানেনা নীল তাকে কোথায় নিবে যাবে। একটু যেতেই জ্যামের আটকে যায় নীল। ফারিয়া গ্লাসটা খুলে দেয়।

-“আজকে আতিকও ভার্সিটিতে যাচ্ছিল ফারিয়াকে দেখার উদ্দেশ্য একই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ আতিক পাশের দিকে তাকাতেই হতভম্ব হয়ে যায়। যাকে খোজার উদ্দেশ্য আতিক ভার্সিটি যাচ্ছি, শেষমেশ সে তার চোখের সামনে আছে। আতিক এর মনের মাঝে অনেকটা প্রশান্তি হতে লাগে ফারিয়াকে দেখে। আবার পরক্ষণে ভাবতে থাকে ফারিয়া গাড়িতে করে কেমন করে,তারমানে কি ফারিয়া বিয়ে করে নিয়েছে। কথাটা ভাবতে আতিকের ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে উঠে। বুকের বামপাশে ব্যাথা অনুভব হয়। নিজেই বলতে থাকে এটা কখনোই হতে পারেনা। একটু পর জ্যাম কেটে গেলে নীল আবারো গাড়ি চালাতে শুরু করে। আর আতিক তাদের গাড়িটাকে ফলো করে পিছনে পিছনে যেতে লাগে।

‘বড় একটা শপিংমল এর সামনে এসে গাড়িটা থামায় নীল। তারপর ফারিয়াকে নামতে বলে,আর পিছনে পিছনে আতিকও গাড়ি থামিয়ে নেয়। আতিক একটা মাস্ক পড়ে নেয় যাতে করে ফারিয়া তাকে এতগুলো মানুষের ভেতরে চিনতে না পারে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। আতিক ফারিয়ার সাথে ছেলেটাকে দেখে সহ্য করতে পারেনা,তার অনেক রাগ হতে থাকে। তার ভেতরটা ভেঙে চুরমার হতে থাকে। তারপর শপিংমল এর ভেতরে গেলো আতিক। দেখলো ছেলেটা ফারিয়াকে বলছে,এই ড্রেসটা পছন্দ হয়েছে কিনা.? ফারিয়া হেসে হেঁসে বলছে পছন্দ হয়েছে। আর আতিক এদিকে একটু দূরে দাড়িয়ে সবকিছু শুনতে আর ভেতর থেকে জ্বলছে। (লেখক_আহম্মেদ_নীল) তারপর বিল পরিশোধ করে গাড়ির সামনে আসতে নীল ফারিয়াকে বললো,তুমি ১ মিনিট দাড়াও আমি একটু ভেতর থেকে আসছি। ফারিয়া মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো। নীল ভেতরে গিয়ে লাল বেনারসিটা আর নীল একটা শাড়ি কিনে।

“এদিকে আতিক ফারিয়ার পিছনে ছিলো,এই সুযোগটা সে কাজে লাগাবে। মাস্ক খুলে ফারিয়ার সামনে আসতেই ফারিয়া রেগে যায়। ফারিয়া যত চায় এই পশুটাকে চোখের সামনে দেখবে না,তত তার চোখের সামনেই নরপশুটা চলে আসে।
আতিক বলতে লাগলো,ফারিয়া আমাকে মাফ করে দাও,প্লিজ আমার জীবনে আবার ফিরো আসো। কথাটা বলার সাথে সাথে ফারিয়া আতিক এর গালে সজড়ে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। ফর্সা মুখটা হাতের ছাপ বসে গেছে। মুখটা লাল হয়ে গেছে। ফারিয়া হয়তো এত জোরে মারতে চায়নি,তবে রাগের মাথায় হয়তো জোরে হয়ে গেছে। নীল আসতেই ফারিয়া অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। আতিককে আরো কষ্ট দেওয়ার জন্য নীলকে বলে, দেখোনা নীল এই লোকটা আমাকে যত কি সব বাজে কথা বলছে। নীল আতিককে জিজ্ঞেস করে,কিরে ভাই কি সমস্যা আপনার আপনি বলতে পারেন। আতিক নীলকে পুরো বিষয়টা বলে। নীল অট্ট হাসি দিয়ে বলে,, সরি ভাইয়া আপনি অনেক দেরি করে ফেলেছেন,ফারিয়া এখন আমার স্ত্রী। আপনি হয়তো ওর জীবন থেকে চলে না গেলে ফারিয়ার মতো এমন একজন জীবনসঙ্গী পেতাম না। আপনার পুরো বিষয়টা আমি শুনেছি। আপনি তো একটা স্বার্থপর পুরুষ। না হলে কি ঘরে একটা বউ রেখে অন্য আরেকটা বিয়ে করতে পারতেন.?
আমি মানছি বাচ্চা হচ্ছিল না,একটা সময় তো হতেও পারতো তাইনা। আমাদের দেশের অনেক মেয়েদের দেরিতে বাচ্চা হয়। অনেকের দেখা যায় বিয়ের ১০,১৫ বছর পর বেবি হয়। আর আপনাদের তো মাত্র ৫ বছর। আপনি কি করলেন,আরেকটা বিয়ে করে সুখের আশায় একটা নিষ্পাপ মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে তাড়িয়ে দিতে পারলেন.? আদেও কি আপনি মানুষের ভেতরে পড়েন.? আমার তো মনে হয় না। একটা মেয়েকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে,এতদিন পর পুরঃরায় আবার তাকে চাওয়াটা সত্যিই বোকামী ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।

(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
-‘একটা মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করাকে পুরুত্ব বলে না। একটা মেয়ের পাশে ভালো-খারাপ সকল পরিস্থিতিতে পাশে থাকতে হয়। সংসার জীবনে এমন বিপদের সম্মুখীন হতেই পারে, তাকে ছেড়ে না বরং তাকে আকড়ে ধরে থাকার নামই বলা হয় পুরুষত্ব। যা বর্তমান সমাজের লোক বলে বউ পাগল। মেয়েদের জীবন কতটা কষ্টের একটু ভেবে দেখেছেন কখনো,জম্মের পর যারা তাকে কোলে পিটে মানুষ করে, নির্দিষ্ট একটা সময়ের পর তাদের ছেড়ে নতুন একটা অপরিচিত পরিবারে যেতে হয়,যেটাকে আমরা বলি শ্বশুর বাড়ি। তারপর স্বামী, সংসার দেখে রাখতে হয়। তারপর বাচ্চা-কাচ্চা হলে তাদের দেখাশোনা শুরু করতে হয়,তাদের ভালো রাখার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়। এবার বলুন তো মেয়েদের জীবনটা কতটা কষ্টের.?আর আপনি কত বড় অন্যায় করেছেন একটা মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে একবার ভেবে দেখেন। এই কথাগুলোর জন্য অনেকে আমাকে বলতে পারে নীল একটা মেয়েবাজ লেখক। আসলে বিষয়টা এমন না। আমি বাস্তব ভিত্তিক আর সমাজে ঘটে যাওয়া কথাগুলো গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন করে থাকি। এতে আমাকে কে কি বললো দেখার সময় নেই।

-“আতিক বুঝতে পারে নীলের কথাগুলোর গভীরতা সম্পর্কে। আতিক ফারিয়ার সাথে করা অন্যায় সম্পর্কে সবকিছু বুঝতে পারে। নীলের মুখ থেকে এমন মধুর বাধ্য শোনার জন্য আতিক একটুও প্রস্তুত ছিলো না। লেখক_আহম্মেদ_নীল)আতিক এর বুকের ভেতরে কেউ যেনো লোহার হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর মতো যন্ত্রণা হতে থাকে,যা সে কেবল নিজেই অনুভব করতে পারছে। প্লিজ ভাই পরবর্তীতে ফারিয়ার পিছনে পিছনে ঘুরবেন না,এখন সে আমার স্ত্রী, আমার চেনা পরিচিত কেউ দেখলে ফারিয়াকে খারাপ ভাববে। আশা করছি আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন।

‘তারপর নীল চলে যায়,আতিক হতভম্ব করে দাড়িয়ে থাকে অনেকক্ষণ। আতিক এর পুরো আকাশটা আজ কালো মেঘ ছেয়ে গেছো। যদি এখন তার মনের আকাশটাতে বৃষ্টি হয়ে তার মনের ভেতরে জমে থাকা কষ্টগুলো ধুয়ে মুছে ছাপ হয়ে যেতো তাহলে হয়তো আতিক এর জন্য অনেকটা ভালো হতো। একটু পর ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আতিক গাড়ি চালাতে থাকে। আতিক এর চোখ বেয়ে টপটপ করে জল পড়তে থাকে। আতিক এর কানে সেই একটা বাধ্য বারবার গ্রাস করতে থাকে,ফারিয়া আমার স্ত্রী। অফিসে বসে কাজ করতে থাকলেও আতিক কাজে কোন রকম মন বসাতে পারছে না।
আতির এর একটা ভুলের কারনে আতিক ফারিয়াকে চিরতরের মতো ফারিয়াকে হারিয়ে ফেললো,কথাটা ভাবতেই আতিকের বুকের ভেতরে দুঃখ কষ্টে জর্জরিত হতে থাকে।

“এদিকে নীল নিজ হাতে কেনা বেনারসি আর একটা নীল শাড়ির প্যাকেটটা ফারিয়া হাতে দিয়ে বললো বাসায় গিয়ে দেখতে। তারপর নীল চলে ফারিয়াকে নিয়ে যায় নামকরা একটা ডাক্তারের কাছে। ভেতরে গিয়ে কল করলো নীলের বেস্ট ফ্রেন্ড লামিয়ার কাছে। কিরে নীল কেমন আছিস.?লেখক_আহম্মেদ_নীল) ভালো আছি, তুই কেমন আছিস.?আমার স্ত্রী ফারিয়াকে নিয়ে তোর কাছ আসলাম চেকাপ করাতে। নীলের মুখ থেকে এমন কথা শুনে লামিয়া রিতিমতো চমকে গেলো,বলতে লাগলো,তুই আবার কবে বিয়ে করলি রে.? সরি তোকে বলা হয়নি,সরি,আসলে তারাহুরো করে বিয়েটা করে নিয়েছিলাম,তাই কাউকে বলতে পারিনি।

-আগে চেকাপটা করে নে,পরে না হয় এই বিষয়ে কথা বলবো।একটু পর চেকাপ করানোর জন্য ফারিয়াকে নিয়ে গেলো রুমের ভতরে আর নীল বাইরে বসে থাকে। চেকাপ শেষ করে লামিয়া নীলকে বলতে লাগলো,সুখবর আছে তোর জন্য। নীল বলতে লাগলো,কি সুখবর.? নীল ছেলে হবে আমাদের ভাবির,আর তুই তো ছেলে খুব পছন্দ করিস। নীলের কথাটা শুনে মুচকি হাসলো,তারপর লামিয়ার সাথে অনেকক্ষণ ফারিয়া আর নীল কথা বলে চলে গেলো। নীলের মনের মাঝে আজকে একরাশ আনন্দ অপ্লুত হতে থাকে নিজের অজান্তেই। নীল ড্রাইভিং করছে আর মুচকি মুচকি হাসছে তা দেখে ফারিয়া অনেকটা লজ্জা পাচ্ছে।ফারিয়ার লজ্জা পাওয়া দেখে নীল বলতে লাগে, লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। ফারিয়ার বাসার সামনে এসে নীল গাড়িটা থামিয়ে ফারিয়াকে ধরে বাসার ভেতরে নিয়ে যায়,তারপর ফারিয়াকে নিজের রুমে দিয়ে এসে। ফারিয়ার মা নীলের জন্য নাস্তা রেডি করে,তারপর নীল কিছুক্ষন বসে থেকে আমিন সাহেবকে ডাকতে বলে,তারপর ফারিয়ার বাবা আমিন সাহেবকে বলে আজকে বিকালে তাদের বাসায় যাওয়ার জন্য। তারপর নীল চলে যাবে,তখুনি নীলের মনের মাঝে ইচ্ছে জাগে ফারিয়াকে আরেকবার দেখার জন্য। নীল আবারো ফারিয়ার রুমে গেলো,তারপর ফারিয়াকে বললো,বিকালে নীল শাড়ি পড়ে তাদের বাড়ি যেতে। ফারিয়া পড়ে গেলো মহা বিপদে,নীল শাড়ি এখন কোথায় পাবে,এখন কি বাজারে যাওয়া সম্ভব। কারন ফারিয়া জানতো না যে নীল তাকে একটা বেনারসি আর নীল শাড়ি কিনে তার হাতে দিয়েছিলো। তারপর নীল নিজের বাসার জন্য অগ্রসর হতে লাগলো।

_______________

‘আতিক অফিসে বসে বসে নিজের করা ভুলগুলোকে মনে করতে থাকে। অফিস শেষ করে আজ সে বাসায় যাবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেয়। অফিস শেষ করে ড্রিংক করে অনেক অফিসে বসেই। এদিকে সামিয়া একের পর এক কল করেই যাচ্ছে, আতিকের নাম্বারে। আতিক ড্রিংক করে মাতাল হয়ে পড়ে আছে রেস্ট নেওয়া রুমে। তার মনে পরে শুধু,নীলের বলা কথাগুলো ঘুরপাক খেতে থাকে। আতিক নিজেও বুঝতে পারেনা তার জন্য কি অপেক্ষা করছে। হয়তো তার জন্য অনেক খারাপ কিছু পরিনতি অপেক্ষা করছে। এদিকে নারগিস বেগমের কাছে যায় সামিয়া,তারপর কান্না করতে থাকে। এবার নারগিস বেগম কল দেয় আতিকের নাম্বারে,কিন্তুু কলটা রিসিভ হয়না। নারগিস বেগম সামিয়াকে নিয়ে আতিক এর অফিসে যায়। প্রথমে অফিসে এসে খুজে আতিক এর কাজ করা বসা রুমে,যখন না পায় তখন যায় রেস্ট রুমে। দেখে আতিক এর মাতাল দেহটা পড়ে আছে।আর সে অনবরত ভুল বকেই চলেছে।তার মুখ দিয়ে একটায় ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে, ফারিয়া আমাকে মাফ করে দাও,আবার আমার জীবনে ফিরে আসো। আরো অনেক কথা বলেই চলেছে অনবরত। ছেলের এমন হাল দেখে নারগিস বেগমের চোখ বেয়ে টপটপ করে জল পড়তে থাকে। একটু পর সামিয়া আর নারগিস বেগমের আতিককে নিজেদের গাড়িতে তুলে নিয়ে বাসায় নিয়ে যায়।

“নারগিস বেগম আর সামিয়া ফারিয়ার সাথে করা অণ্যায় পরিনাম সম্পর্কে ভাবতে থাকে। সামিয়া নিজেও বুঝতে পারছে তাদের জন্য খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। সামিয়া নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারে। একটু পর সামিয়া আতিক কে রেখে ওয়াশরুম যায় ফ্রেশ হতে,এমন সময় লক্ষ করলো,তার নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছে, সামিয়া অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। পরে ভাবতে লাগে,হয়তো অতিরিক্ত চিন্তা করার কারনে এমনটা হচ্ছে। তবে সামিয়ার মনের মাঝে একরাশ ভয় জন্মাতে থাকে।

-‘এদিকে নারগিস বেগম নিজের রুমে গিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে বসে ভাবতে থাকে,ফারিয়ার সাথে যে অন্যায়গুলো তারা করেছে,আজ সবগুলো একে একে ফেরত আসতে চলেছে আতিকের জীবনে। তবে নারগিস বেগম বলতে লাগে,আমি এত সহজে হার মানার পাত্র না। আতিকের জীবন থেকে তো ফারিয়া নামক মেয়েকে আমি সড়িয়েই ছাড়বো। তারপর আতিকের রুমের দিকে অগ্রসর হয়।(লেখক_আহম্মেদ_নীল) তারপর সামিয়াকে তার রুমে আসতে বলে। নারগিস বেগম কথামতো সামিয়া তার রুমে যায়,তারপর তাকে ধমক দিয়ে বলে,তোমাকে যে কাজগুলো দিয়েছিলাম,তা কি সঠিকভাবে করতে পেরেছো.?

-সামিয়া অনেকটা ভয় পেয়ে যায়,সামিয়া তো তার কথামতো কোন কাজে সফলতা পায়নি,তাহলে সে এখন কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না সামিয়া। তার মনের মধ্যে একরাশ ভয় গ্রাস করতে থাকে। সামিয়া বললো,আমি চেষ্টা করছি তবে ইদানীং আতিক আমার সাথে খুব বেশি খারাপ আচারন করছে।

‘হঠাৎ নারগিস বেগম বলে উঠে,,,

চলবে কী.?

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here