অব্যক্ত ভালোবাসা পর্ব -১৭

#অব্যক্ত_ভালোবাসা
#লেখনীঃআরভি_আহিয়াদ_তিহু
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ
#পর্বঃ17

–“আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন শান? কিছু না বলে অযথা ওকে মারছেন কেন?”

রুশার কথা শুনে শান অগ্নি দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকাল। শানকে এভাবে তাকাতে দেখে রুশা খানিকটা ভরকে গেল। শান এগিয়ে এসে সৃজার হাতের বাহু ধরে টান দিয়ে ওকে রুশার থেকে দূরে সরিয়ে আনলো। তারপর সৃজাকে নিজের মুখোমুখি দাড় করিয়ে চোয়াল শক্ত করে জিজ্ঞেস করল,

–“ফোন কোথায় তোর?”

সৃজা মাথা নিচু করে কাঁপাকাঁপা স্বরে বলল,
–“স-সাইড ব‍্যাগে।”

শান নিজের হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে চোখের ইশারায় সৃজাকে ফোনটা দিতে বলল। সৃজা ঠোঁট কামড়ে নিজের কান্না আটকানোর ব‍্যর্থ চেষ্টা করতে করতে কাঁপাকাঁপা হাতে ব‍্যাগের চেইন খুলল। তারপর আস্তে করে ফোনটা বের করে শানের বাড়িয়ে দেওয়া হাতের উপর রাখল। শান ফোনটা সুইচ অফ করে নিজের পকেটে রেখে দিল। তারপর ভিষন শান্ত আর গম্ভীর স্বরে বলল,

–“আজ থেকে এটা আমার কাছেই থাকবে। আর আশুর বিয়ের আগ পযর্ন্ত তুই এই বাড়ির বাইরে এক পাঁ-ও রাখবি না। যদি বাইরে পাঁ রাখিস তাহলে বুঝবি সেদিনই তোর বডি থেকে তোর পাঁ দুটো আলাদা হয়ে যাবে। কথাটা বোঝাতে পেরেছি?”

সৃজা নিশ্চুপ হয়ে মাথা নিচু করে রেখেছে। গাল গড়িয়ে অনবরত পানি পড়ে ওর জামার সামনের অংশ ভিজে যাচ্ছে। শান উচ্চ স্বরে আবারও বলল,

–“বোঝাতে পেরেছি?”

শানের ধমকে সৃজা চোখ খিচে বন্ধ করে দ্রুত উপর নিচ করে হ‍্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল। তারপর আর কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে এক দৌড়ে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে গেল। দৌড়ে কড়িডোরে আসতেই ‘ও’ আয়াশের মুখোমুখি হল। আয়াশ অনুভূতিহীন চোখে সৃজার দিকে তাকিয়ে রইল। সৃজা আয়াশকে সাইড কাটিয়ে ওখান থেকে দৌড়ে চলে গেল। আয়াশ চোখ জোড়া বন্ধ করে লম্বা একটা নিঃশ্বাস ফেলল।

সৃজা যেতেই শান এসে রুশার সামনে সটান হয়ে দাড়াল। তারপর রুশার দিকে স্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,

–“আশুর বিয়ের সাথে আমার মান-সম্মান জড়িয়ে আছে। এই বিয়েটা যদি কেউ ভাঙার চেষ্টা করে, তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।”

রুশা থমথমে মুখে বলল,
–“আপনার থেকে খারাপ মানুষ এই পৃথিবীতে আর এমনিতেও কেউ নেই। আপনি হচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ এবং জঘন্যতম ব‍্যাক্তি।”

শান রুশার দিকে একটু এগিয়ে গিয়ে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে রুশার দিকে তাকিয়ে বলল,

–“আমার খারাপ রূপটা ত এখনো তুমি দেখোই নি রুশা। আমার মান-সম্মান নিয়ে কেউ টানা হেঁচড়া করলে আমি ঠিক কতটা খারাপ হতে পারি, সেটা তোমার ধারনারও বাইরে।”
________________________
কাৎ হয়ে শুয়ে বালিশ মুখে চেপে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে সৃজা। আশু সৃজার মাথার কাছে বসে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে ওর কান্না দেখছে। সৃজাকে কি বলে শান্তনা দিবে সেটাও বুঝতে পারেছে না আশু। যা হয়েছে সব ত ওর জন‍্যেই হয়েছে। এরপরেও কি সৃজাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মুখ ওর আছে? আশুর এসব আকাশ কুসুম ভাবনার মধ‍্যে হুড়মুড়িয়ে রুমে ঢুকে আসলো রুশা। রুমে ঢুকেই ধরাম করে দরজা টা বন্ধ করে দিয়ে আশুর দিকে এগিয়ে আসলো। কোনো ভনিতা না করেই বলল,

–“আমরা এখানে আসার আগে কি হয়েছিল? মিঃ শান রায়জাদা হঠাৎ এত ক্ষেপলেন কেন?”

আশু করুন দৃষ্টিতে রুশার দিকে তাকিয়ে বলে উঠল,
–“তোমরা আসার কিছুক্ষণ আগে হৃদান শান ভাইয়াকে ফোন করেছিল। ‘ও’ বলেছে তোমরা নাকি ওকে হুমকি দিয়ে এই বিয়েটা করতে বারন করেছো। কিন্তু ‘ও’ তোমাদের কথা শুনতে চায়নি বলে তোমরা নাকি ভরা রেস্টুরেন্টে ওকে যা নয় তাই বলে অপমান করেছো। আর সৃজা নাকি ওর মুখে গরম কফিও ছুড়ে মেরেছে। শুধু শান ভাইয়াকেই না, বড় মামু, পাপা, মা, একে একে সবাইকে ফোন করে ‘ও’ এসব বলেছে। এসব শুনেই ত শান ভাইয়া সহ বাড়ির সবাই তোমাদের উপর রেগে গেছে।”

রুশা দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
–“ওর কানের নিচে আমি ঠাটিয়ে যে একটা চড় মে*রে এসেছি, সেটা ‘ও’ কাউকে জানায় নি? অবশ‍্য জানাবেই বা কিভাবে? সবার সামনে একটা মেয়ের হাতে চড় খেয়েছে, এটা এই বাড়ির লোক জানতে পারলে ত ওর মান-সম্মান সব ফুচচচ হয়ে বেড়িয়ে যাবে। তাইনা?”

আশু চোখ বড় বড় করে রুশার দিকে তাকিয়ে অবাক কণ্ঠে বলল,
–“হোয়াট? তুমি ওকে চড় মেরেছো?”

রুশা নির্লিপ্ত গলায় বলল,
–“হ‍্যাঁ মেরেছি। যদি জানতাম ‘ও’ আমাদের আগেই এইসব এ বাড়ির লোকদের বলে দিবে, তাহলে জু!তো দিয়ে ওকে পি!টিয়ে আসতাম।”

রুশার কথা শুনে আশু ঢোক গিলল। আশু খুব ভালো করেই জানত রুশা একটু বেপরোয়া টাইপ মেয়ে। কোনো মানুষকে সহজে পাত্তা দেয় না। তবে এখন ওর মনে হচ্ছে এই মেয়ে শুধু বেপরোয়া টাইপ না, মারাত্মক ভয়ংকর টাইপও বটে। আশুর এসব ভাবনার মধ‍্যে রুশা বলে উঠল,

–“ভেবেছিলাম সবাইকে সবটা সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে এই বিয়েটা ভেঙে দিব। কিন্তু ওই হা*রা*মির বাচ্চা সিনক্রিয়েট করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল টা মারল। এইবার ওর বিয়ে করার শখ আমি জনমের মতো ঘুচিয়ে দিব। আমাকে এখনো ‘ও’ চিনতেই পারেনি।”

কথাটা বলে রুশা দরজার দিকে হাঁটা দিল। আশু দৌড়ে এসে খপ করে রুশার হাত আকড়ে ধরে অনুনয়ের স্বরে বলল,

–“এসব করার কোনো দরকার নেই রুশা। আমার ভাগ‍্যে যা আছে সেটাই হবে। তুমি অযথা ঝামেলায় জড়িয়ে সবার চোখে নিজেকে শত্রু বানিয়ে দিও না। সবাই এমনিতেই তোমার উপর রেগে আছে। তারপর তুমি যদি এই বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করো তাহলে ওরা তোমার উপর আরো ক্ষেপে যাবে।”

রুশা ডোন্ট কেয়ার একটা ভাব নিয়ে বলল,
–“ত? আমি ওদের কারো ধার ধারি না-কি? ওরা আমাকে শত্রু ভাবলেই বা আমার কি? আর বন্ধু ভাবলেই বা আমার কি? আমি ওদের কারো টাকায় খাই না যে ওদের সামনে আমার নিজেকে ভালো প্রমান করতে হবে।”

আশু নরম গলায় বলল,
–“তুমি বুঝতে পারছো না রুশা। আমি যা বলছি তোমার ভালো জন‍্যেই বলছি।”

রুশা আশুর থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলল,
–“আমার ভালো তোমাকে ভাবতে হবে না। তুমি নিজেকে নিয়ে ভাবো। আমি কি করব, সেটা অলরেডি আমি ডিসাইড করে ফেলেছি। আর আমার ডিসিশন কখনো চেইঞ্জ হয় না।”

কথাটা বলে রুশা রুমের দরজা খুলে গটগট করে বেড়িয়ে গেল। আশু একটা হতাশ নিঃশ্বাস ফেলল। ওর জীবন গন্তব‍্যহীন নৌকার মতো বয়ে চলছে। ঢেউয়েরা এসে ওকে যেদিকে নিয়ে যাচ্ছে ‘ও’ নিশ্চুপে বিনা বাক‍্যে সেদিকেই চলছে। কে জানে ওর এই গন্তব‍্যহীন যাত্রার শেষ কোথায়?
________________________

রাত প্রায় সাড়ে বারোটা বাজে। ডাইনিং রুমে বসে আশু সৃজাকে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সৃজা থমথমে মুখ করে বসে নিজের গালে নিঃশব্দে গড়িয়ে পড়া চোখের পানিগুলো মুচ্ছে। আর কিছুক্ষণ পরপর নাক টানছে। বাসার প্রায় সবাই-ই আপাতত যার যার রুমে আছে। হয়ত অনেকে ঘুমিয়েও পড়েছে। সেই সুযোগে আশু জোর করে সৃজাকে নিচে ডাইনিং রুমে খাওয়ানোর জন‍্যে নিয়ে এসেছে। সারাদিনে মেয়েটা কিছুই খায়নি। সকালে এসে সেই যে আশুর রুমে ঢুকেছে তারপর আর ওই রুম থেকে আর বেরও হয়নি। বাসার সবাই-ই ওর উপরে রেগে আছে তাই ওকে কেউ খেতেও ডাকেনি। একে ত শান মেরেছে, তার উপর সারাদিনে কেউ ওকে একটু খেতে অবদি ডাকেনি, সব মিলিয়ে সৃজার ভিষণ অভিমান হয়েছে। তাই সেই অভিমান থেকে জন্মানো রাগ ‘ও’ এখন খাবারের উপর ঝাড়ছে। আধ ঘন্টার মতো খাবার মুখের সামনে ধরে রাখার পরেও যখন সৃজা খাবারটা মুখে তুলল না। তখন আশু খাবারের লোকমা টা প্লেটের উপর রেখে রাগি কণ্ঠে সৃজাকে উদ্দ‍্যেশ‍্য করে বলল,

–“সমস‍্যা কি তোর? খাচ্ছিস না কেন? অন‍্যদের রাগ খাবারের উপর ঝাড়ছিস কেন?”

সৃজা নাক টানতে টানতে কর্কশ গলায় বলল,
–“এই বাড়ির কোনো খাবারই আমি খাব না। দরকার হলে না খেয়ে মরে যাব। তাও খাব না।”

আশু হতাশ গলায় বলল,
–“এসব কেমন কথা সুজি? অযথা জেদ না করে খেয়ে নে প্লিজ।”

সৃজা রাগি গলায় বলল,
–“তোমার ইচ্ছে হলে তুমি খাও। আমি এই বাড়ির কিচ্ছু খাব না। এখানের কেউ আমাকে ভালোবাসে না। এরা কেউ ভালো না।”

আশু পড়ল মহা মুশকিলে। এতক্ষণ ধরে সৃজাকে এতকিছু বোঝাল অথচ সৃজা এখনো ‘কেউ ওকে ভালোবাসে না’ এই একটা কথাই আটকে আছে। এখন কি করবে ‘ও’? কীভাবে সৃজাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে খাবার খাওয়াবে? একবার ভাবল শানকে গিয়ে বলবে। কিন্তু শান এখন যেই পরিমান রেগে আছে তাতে এই মুহূর্তে ‘ও’ সৃজার এসব ত‍্যাড়ামি দেখলে সৃজাকে আবারও দুটো দিবে এতে মোটেও ভুল হবে না। আশুর এসব ভাবনার মধ‍্যেই আয়াশ সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে নামতে বলে উঠল,

–“কি ব‍্যাপার? কি হচ্ছে এখানে?”

আয়াশের কথায় আশু নিজের ভাবনা থেকে বেড়িয়ে এসে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,

–“বিয়ের আগেই বাচ্চা সামলানোর ট্রেনিং নিচ্ছি।”

আয়াশ সিড়ি দিয়ে নেমে এগিয়ে এসে আশেপাশে তাকিয়ে বলল,
–“কোথায় বাচ্চা?”

আশু চোখ দিয়ে সৃজাকে ইশারা করে দেখিয়ে বলল,
–“এই যে এটা।”

আয়াশ মুখ বাকিয়ে বলল,
–“এটা বাচ্চা? ঠিক সময়ে বিয়ে হলে এতদিনে চার-পাচটা বাচ্চার মা হয়ে যেত।”

আয়াশের কথা শুনে সৃজা বসা থেকে দাড়িয়ে গেল। তারপর তীক্ষ্ণ দৃস্টিতে আয়াশের দিকে তাকিয়ে আশুকে উদ্দ‍্যেশ‍্য করে বলে উঠল,
–“আমার ঘুম পাচ্ছে আপু। আমি উপরে গেলাম।”

কথাটা বলে সৃজা চেয়ার ঠেলে সিড়ির দিকে হাঁটা দিল। আয়াশ দ্রুত পায়ে এগিয়ে এসে খপ করে সৃজার হাত ধরে ফেলল। সৃজা চমকে আয়াশের দিকে তাকাল। আয়াশ স্বাভাবিক ভাবেই বলল,

–“তোমার ঘুমকে বলে দেও, তুমি এখন সুপারস্টার আয়াশ দেওয়ানের সাথে লং ড্রাইভে যাবে।”

সৃজা দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
–“আপনার সাথে আমি গোয়াল ঘরে যেতেও রাজি নই, লং ড্রাইভ ত অনেক দূরের কথা।”

আয়াশ মুখ বাকিয়ে বলল,
–“গোয়াল ঘরে তোমার মতো গরুরা যায়, আমার মতো হ‍্যান্ডসাম লোকেরা নয়। আর চিন্তা করো না, গোয়াল ঘরে আমি তোমার সাথে কখনো যাবও না। ওখানে তুমি তোমার মতো যে গরু গুলো আছে তাদের নিয়ে যেও।”

আয়াশের কথায় অপমানে সৃজার নাকের ডগা লাল হয়ে গেল। ‘ও’ রাগে ফোশফোশ করে ফুশতে লাগল। আয়াশ সৃজার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে আশুর থেকে কিছুটা দূরত্বে দাড়াল। আশু এতক্ষণ ভ্রু কুচকে আয়াশ আর সৃজার কথা শুনছিল। আয়াশকে নিজের মুখোমুখি এসে দাড়াতে দেখে ওর কপালে ভাঁজ পড়ল। আয়াশ কোনো ভনিতা না করেই আশুর দিকে তাকিয়ে বলল,

–“আমি সৃজাকে নিয়ে একটু বাইরে যাচ্ছি। কিছুক্ষণ পরেই চলে আসব।”

কথাটা বলে আয়াশ সৃজার হাত ধরে মেইন দরজার দিকে হাঁটা দিল। আশু বসা থেকে দাড়িয়ে দৌড়ে এসে আয়াশের পথ আগলে দাড়াল। তারপর খানিকটা অনুরোধের স্বরে বলল,

–“ওকে নিয়ে বাইরে যাবেন না ভাইয়া। শান ভাইয়া ওকে এই বাসা থেকে বের হতে বারন করেছে। যদি শান ভাইয়া জানতে পারে সৃজা ওনার কথা অমান‍্য করে বাসার বাইরে গেছে, তাহলে সৃজাকে উনি কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলবেন।”

আয়াশ ডোন্ট কেয়ার একটা ভাব নিয়ে বলল,
–“শানকে জানানোর জন‍্যেই ত ওকে নিয়ে বের হব। একটু আগে দেখে এলাম মহাশয় ছাদেই দাড়িয়ে আছেন। এখন আমি ওনাকে দেখিয়ে সৃজাকে নিয়ে বাইরে বের হব। তারপর আমিও দেখব উনার কথা অমান‍্য করলে উনি ঠিক কি করতে পারেন।”

আয়াশের কথায় সৃজা আর আশু দুজনের চোখ মুখেই ভয়ের ছাপ ফুটে উঠল। আশু শুকনো একটা ঢোক গিলে আয়াশের সামনে হাত জোড় করে বলল,

–“এমন কাজ করবেন না ভাইয়া। অলরেডি বাসার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে আছে। এরপর শান ভাইয়া রেগে গেলে এই রাতে আপনার সাথে একটা সিনক্রিয়েট করবে। তাতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। প্লিজ আপনারা নিজেদের জেদ বজায় রাখার জন‍্যে এই বাসার মানুষ গুলোকে অযথা অশান্তি দিবেন না।”

–“এই বাসার মানুষকে অশান্তি দেওয়ার জন‍্যেই ত আমার এখানে আসা। জীবনে এরা প্রচুর পাপ করে তারপর শান্তির ঘুম ঘুমিয়েছে। এইবার নাহয় আমি এদের শান্তির ঘুমকে একটু অশান্তিতে পরিনত করি।”

কথাটা বলে আয়াশ আশুকে সাইড কাটিয়ে হেঁটে এসে মেইন দরজার সামনে দাড়াল। তারপর এক হাত দিয়ে সৃজার হাত ধরে রেখেই অন‍্য হাত দিয়ে মেইন দরজার সবগুলো লক খুলতে শুরু করল। আশু চোখে মুখে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে আয়াশের দিকে তাকিয়ে রইল। ওর হার্টবিট দ্রুত গতিতে উঠানামা করছে। ‘ও’ ভালো করেই জানে এখন এখানে একটা অনর্থ ঘটে যাবে। ভয়ে আশুর হাত-পাঁ সব জমে আসছে।

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here