আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৯+২০

#আগুনের_তৃষ্ণা
#Maishara_Jahan
Part………..19

বাট ফাইলটা রাখতে গিয়ে যা চোখে পড়লো তা বিশ্বাস করার মতো না, পুরো ফাইলটা পড়ে আমার মাথা ঝিম ঝিম করছে। ফাইলটা দেখে মনে হচ্ছে অয়ন আমার সাথে কোনো গেইম খেলছে, “কে বাঁচে কে মরে” এমন টাইপের গেইম। ফাইলটা নিয়ে আমি বিছানায় বসে পড়ি, চোখের পানি কোনো ভাবেই বাঁধা মানছে না।

আমি বসে বসে কান্না করছি, হঠাৎ আলোর কণ্ঠের আওয়াজ পেয়ে চোখের পানি মুছে ফেলি,হয়তো আমি যেমন ভাবছি ওমন নাও হতে পারে। আমি আমার চোখ মুছে সায়ন এর রুমে গেলাম, আলো সায়নকে চেক করছে, আমি সেখানে গিয়ে আলোকে জিজ্ঞেস করলাম ,,, কি হয়েছে আলো সায়ন ঠিক আছে তো।

আলো,,,,,হুমম ঠিক আছে, মেডিসিন গুলো একটু স্ট্রং তো তাই একটু প্রবলেম হচ্ছে।

আমার একটু অদ্ভুত লাগলো, মনে মনে ভাবতে লাগলাম এমন কি স্ট্রং মেডিসিন যেটা খেলে রাগ হয়।

আলো কেমন অদ্ভুত করছে,হয়তো কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু বলতে পারছে না আমার কারনে হয়তো, তাই আমি আলোর জন্য কফি আনার বাহানায় বাহিরে গেলাম আর দরজার আড়াল থেকে শুনার চেষ্টা করছি কি বলে। কারন আলোকে কেমন আমার সন্দেহ হচ্ছে।

আলো চেয়ার থেকে উঠে সায়নের সামনে বিছানায় বসে জিজ্ঞেস করে,,,,সায়ন তোমার কেমন ফিল হচ্ছে একটু আমাকে বলবে।

সায়ন একটু উঠে বালিশের সাথে হেলান দিয়ে অর্ধেক শুয়া অবস্থায় বলে,,,,,, জানি না হঠাৎ করেই আমার অনেক রাগ উঠছে, আবার প্রয়োজনের তুলোনায় খুব বেশি ঘুম ঘুম পাচ্ছে, মেমি তুমি চলে গেলে আমি হয়তো ঘুমিয়ে যাবো।

,,,,,আর কিছু মনে হচ্ছে।

,,,,না, জানি না কেমন সব উল্টো পাল্টা লাগছে।

,,,,,, তুমি চিন্তা করো না, এটা কোনো প্রবলেম না, আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। তোমাকে একটু বেশি বেশি রেস্ট করতে হবে। আর যেটা তোমার ভালো লাগে সেটা করতে হবে। যেমন গিটার বাঝানো, গান গাওয়া, এগুলো করবে দেখবে মন ভালো থাকবে। মন ভালো থাকলে সব কিছু এমনি ভালো থাকবে।

,,,হুমম।

আমি বাহিরে থেকে এসব শুনে চলে যায়,এটা তেমন কিছু সন্দেহর ব্যাপার না এটা ভেবে। গিয়ে আলোর জন্য কফি বানিয়ে নিয়ে আসি। আলোকে কফি দিয়।

আলো,,,, থ্যাঙ্ক ইউ মেম।

আমি হেঁসে বলি,,,আমাকে মেম কেনো বলছো,অন্য কিছু বললে ভালো লাগবে।

আলো কিছু একটা চিন্তা করে বললো,, সায়ন তুমি মেমকে কি বলে ডাকো।

সায়ন ব্রু কুঁচকিয়ে বললো,,,আমার ভাবী হয় তো ভাবীই ডাকবো।

আলো হেঁসে বলে,, ওহহ তাহলে আমিও ভাবী ডাকবো, কোনো প্রবলেম নেয় তো ভাবী।

,,,না কোনো প্রবলেম নেয়, আচ্ছা তোমরা কথা বলো আমি আসছি।

আমি সেখান থেকে চলে যায়। আলো সায়নকে ঔষধ খায়িয়ে সেখান থেকে চলে যায়। আমি বারান্দায় বসে আছি, মাথায় শুধু দুটো কথায় চলছে। একটু পরে একজনের হাঁটার আওয়াজ শুনেই আমি আমি বুঝতে পারি সেটা কে।

আমার নাম ধরে ডাকছে, আমি তার সামনে যায়, গিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি। অয়ন আমাকে দেখে মুচকি হাসে, কিন্তু আমার কোনো চোখে পানি থেকে অয়নের হাসি গায়েব হয়ে যায়,আমাকে ধরে জিজ্ঞেস করে, কি হয়েছে।

আমি অয়নের হাত ছুটিয়ে অয়নের চোখের দিকে তাকিয়ে বলি,,,,ভালোবাসো আমাকে তাই না।
অয়ন মুচকি হেঁসে বলে,,, কেনো কোনো সন্দেহ আছে নাকি।
,,,,,,থাকার কথা নয়।

,,,,মানে।
,,,,মানে যদি তুমি আমাকে ভালোবাসো তাহলে আমাকে মারার চেষ্টা কেনো করবে।
অয়ন অভাক হয়ে বললো,,,,, মানেহহ,,আমি তোমাকে মারার চেষ্টা করবো পাগল হয়ে গেছো নাকি। কেও নিজেকে খুন করার চেষ্টা কেনো করবে।

,,,,,ঠিক আছে তাহলে প্রমান দিচ্ছি, দাঁড়ান।

আমি টেবিল থেকে ফাইলটা নিয়ে অয়নের সামনে ধরি, অয়ন ফাইলটা নিয়ে পড়ে অভাক হয়ে যায়। ফাইলে, যেসব লোকেরা আমার মারার চেষ্টা করেছে তাদের ছবি, নাম্বার, কন্ট্রেকের পেপার সব কিছু ছিলো। অয়ন এসব কিছু ভালো করে দেখে রাগে আমার দু বাহু ধরে বলে,,
কোথায় পেয়েছো এটা, যার কাছ থেকে এটা পাওয়া গেছে মানে সেই এটা করেছে৷ তুমি তার নামটা শুধু বলো।

আমি থিম গলায় বললাম,,,,,, অয়ন খান।

অয়ন আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বলে,,,, মানে।

,,,, মানে ফাইলটা আমি আপনার রুমে আপনার আলমারিতে পেয়েছি, তাহলে কি দাঁড়ায় এতে।

অয়ন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,, তোমার কি মনে হয় এসব আমি করেছি।

আমি নিশ্চুপ হয়ে নিচের দিকে নিরভে চোখের পানি ফেলছি।

অয়ন তুচ্ছ হাসি দিয়ে ফাইটা নিচে রাগে ফেলে বলে,,,তোমার মনে হয় তোমাকে মারার প্লেনটা আমি করেছি ওয়াও,, এতো দিনে আমাকে এক ফোঁটাও চিনতে পারলে না। আমার এতো কাছে গিয়েও আমার ভালোবাসাটা চিনতে পারলে না। তুমি এটা ভাবলেও কি করে।

আমি অয়নের দিকে অশ্রু ভরা চোখে তাকিয়ে রাগে চিৎকার বলি,,,,, যেটা দেখবো ঐটাই তো বিশ্বাস করবো। আর আপনাকে সন্দেহ করার অনেক কারন আছে আমার কাছে। আরে আমি তো এখনো আমাদের বিয়ের সত্যিটাই জানতে পারলাম না।

অয়ন আবারো তুচ্ছ হাসি দিয়ে চোখে অশ্রু নিয়ে বলে,,, তুমি আমার তৃষ্ণা হতেই পারো না, আমি ভুল মানুষকে ঠিক ভেবে বিয়ে করে ফেলেছি হয়তো। তুমি আমার নীর হতেই পারো না, কারন আমার নীর আমাকে চিনে, সে নিজের থেকে বেশি বিশ্বাস আমাকে করে। তুমি আমার নীর না, তবে এটা বলতে পারি কেও আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আর যে এটা করছে তাকে আমি ছাড়বো না।

বলে অয়ন রাগে রুম থেকে বেরিয়ে যায়,আমি অয়নকে আটকাতে গিয়েও পারিনি। চুপচাপ বিছানায় বসে ভাবতে থাকি,,অয়নকে দেখে মনে তো হচ্ছে না যে এমন কিছু করেছে আর তাছাড়া অয়নের চোখে আমি আমার জন্য সত্যিকারের ভালোবাসা দেখেছি। হতে পারে কেও অয়নকে ফাশাচ্ছে। কিন্তু কে এমন করবে,আর আমাদের রুমেই বা কে আসবে। অয়নকে হার্ট করে ফেলেছি।

অয়ন বাহিরে বেরিয়ে যায় রাগে, যাওয়ার সময় প্রহরের সাথে ধাক্কা খায় কিন্তু তাও থামে না, সোজা গাড়ি নিয়ে চলে যায়, প্রহর ডাকে তাও শুনে না। প্রহর তাড়াতাড়ি মারুর কাছে যায়।

প্রহর এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে,,,,, কি হয়েছে মারু, অয়ন এমন রাগে চলে গেলো।

আমি প্রহরকে সব কিছু বলি, প্রহর ফাইল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি প্রহরের দিকে তাকিয়ে বললাম,,,, এখন কি করবো।

আমার কথায় প্রহরের হুঁশ আসে, সে আমার দিকে তাকিয়ে বলে,,,অয়ন তোমাকে মারার চেষ্টা করতেই পারে না, তাহলে এটা অয়নকে ফাশানোর জন্য কে করলো। কিন্তু ফাইলটা দেখে তো মনে হচ্ছে অয়নের। তোমার ওকে সন্দেহ করা ঠিক হয়নি। আমি অয়নকে কল করছি।

আমি প্রহরকে থামিয়ে দিয়ে বললাম,,, অয়নকে আমি কল করছি, আপনি রুমে যান।

,,,, ওকে আমি ফাইলটা নিয়ে যাচ্ছি। খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি। তুমি অয়নকে কল করো।

,,,হুমম।

প্রহর চলে যায়, আমি অয়নকে কল করি কিন্তু ধরছে না, তাই বার বার করি। একটু পরে দেখি ফোন অফ শুনাচ্ছে।আমার অনেক ভয় লাগছে।

অনেক ক্ষন ধরে অপেক্ষা করছি, কিন্তু অয়ন আসছে না, এখন তো আমার ভয়টা বেড়ে গেছে। প্রহরকে কি বলবো। আমি আর না ভেবে রুম থেকে বের হয়, গিটারের আওয়াজ শুনে সায়ন এর রুমে যায়, সায়ন কেমন পাগলের মতো গিটার বাজাচ্ছে।

আমি একটু ভয়ে সায়ন বলে ডাক দিয়, সায়ন আমার দিকে তাকিয়ে রাগী একটা লুক দেয়, আমি বুঝতে না পেরে সায়নকে জিজ্ঞেস করি,,,, কি হয়েছে সায়ন তুমি ঠিক আছো তো।

আমার কথা শুনে সায়ন নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করে বললো,,,, ভাবী জানি না আমার কি হচ্ছে, আমার প্রচুর রাগ হচ্ছে, পিল্জ এখান থেকে চলে যান,না হলে আপনাকে আঘাত করতে পারি।

আমি মুচকি হেঁসে বলি,,,,আমি জানি তুমি আমাকে আঘাত করতে পারবে না, তুমি ঐদিন বলেছিলে না, ভাবী নাকি মায়ের মতো, তো আমাকে তুমি আঘাত করতেই পারো না।

সায়ন চোখের কোনায় পানি নিয়ে বলে,,,ভাবী আমি নিজেকে সামলাতে পারছি না, প্রচুর রাগ হচ্ছে, কষ্ট হচ্ছে, সব ইমোশন এক সাথে কাজ করছে, জানি না এমন কেনো হচ্ছে।

,,,,তুমি ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।

,,,হুমম

,,,কোনো হুমম না, আমার সামনে ঔষধ গুলো খাও।

সায়ন ঔষধ গুলো বের করে খেতে থাকে, দেখে অভাক হলাম, জাস্ট কেটে যাওয়ার জন্য এতো ঔষধ। অয়নের সাথে কথা বলতে হবে। ঔষধ খেতেই সায়ন বলে তার নাকি খুব ঘুম পাচ্ছে, এতো তাড়াতাড়ি ঘুম এসে গেছে,নিশ্চয়ই অনেক স্ট্রং মেডিসিন।

আমি দরজা বন্ধ করে, প্রহরের রুমে যেতে নিয়, তখনি গাড়ি আসার আওয়াজ শুনে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলি, দরজা খুলে দেখি অয়ন দাঁড়িয়ে আছে, আমি অয়নকে দেখে খুশি হলেও পরে ওর মাথার দিকে কিছুটা কাটা দেখে তাড়াতাড়ি গিয়ে অয়নকে ধরে বলি,,,,কি হয়েছে অয়ন তোমার মাথা কাটলো কিভাবে।

অয়ন আমার হাত সরিয়ে বলে,,,কিছু হয়নি।

আমি গাড়ির দিকে তাকিয়ে বুঝেছি যে নিশ্চয়ই এক্সিডেন্ট করেছে। অয়ন উপরে সিরি দিয়ে উঠে রুমে যায়, আমিও অয়নের পিছনে পিছনে যায়। আবার আমার দিকে তাকিয়ে রুম থেকে বের হতে নেয়, আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বলি,,,কোথায় যাচ্ছেন আবার।

,,,প্রহরের রুমে।

,,,,কেনো।

,,,,একটা খুনির সাথে শুলে তোমার ভয়ে ঘুম আসবে না তাই।

আমি মাথা নিচু করে বলি,,,,সরি অয়ন,, অনেক রাগ হয়েছে আমার কথা শুনে তাই না।
,,,রাগ না কষ্ট হচ্ছে তোমার কথা শুনে নীর।
,,,,সরি

অয়ন অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে, আমি অয়নের হাত ধরে বিছানায় বসিয়ে ফাস্ট বক্স নিয়ে আসি। নিয়ে এসে অয়নের সামনে বসিয়ে কপালে মেডিসিন লাগাতে যায় অয়ন তার মুখ সরিয়ে ফেলে, আমি একটা নিশ্বাস ফেলে অয়নের গাল চেপে ধরে আমার সামনে এনে মেডিসিন লাগাতে থাকি, অয়ন আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি কিছু বলছি না, মাথায় একটা ওয়ান টাইম লাগিয়ে দিয়।

তারপর অয়নের শরীর ভালো করে চেক করতে করতে বলি,,,,,, অন্য কোনো জায়গায় লাগেনি তো।

,,,আমার লাগলেই কি না লাগলেই কি, আমি তো খুনি কার কি এসে যায়।
,,,,, আমার এসে যায়,কি করবো ভালোবেসে ফেলেছি যে।

অয়ন আমার দিকে অভাক হয়ে তাকিয়ে বলে,,,কি বলেছো, আবার বলো তো।

,,,কি বলবো ভালোবেসে ফেলেছি।

অয়ন চোখে মুখে খুশির ঝলক নিয়ে বলে,,,ভালোবাসো আমাকে।

,,,,,, ভালো না বাসলে, আপনার এতো কাছে বার বার যেতাম না, সব কথা বলতে হয় নাকি।

অয়ন আমাকে জরিয়ে ধরতে নিয়ে আবার সরে যায়, আমি মুখটা একটু কালো করে অয়নে জরিয়ে ধরে বলি,,,আম সরি তো,,,, আসলে আমার মাথায় এতো কিছু ঘুরছিলো যে, হঠাৎ এটা সামনে আসায় আমি বেশি কিছু ভেবে দেখিনি, যা মাথায় এসেছি বলে ফেলেছি, মন দিয়ে ভাবিনি। সরি সরি।

,,,,,হুম হুম হয়েছে। যাক এটার কারনে ভালোবাসিবএটা তো বলেছো।

অয়ন ও আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে, আমি ভাবছি এখন কি আমি আমার অতীতের বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবো, না না এটা সঠিক সময় না জিজ্ঞেস করার।

সকালে,,,,,,,

সায়নের চিৎকার শুনে আমরা সবাই নিচে দৌড়ে যায়।
#আগুনের_তৃষ্ণা
#Maishara_Jahan
Part………..20

অয়ন ও আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে, আমি ভাবছি এখন কি আমি আমার অতীতের বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবো, না না এটা সঠিক সময় না জিজ্ঞেস করার।

সকালে সায়নের চিৎকার শুনে আমরা সবাই নিচে দৌড়ে যায়।
গিয়ে দেখি কফির কাপ নিচে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে, আর সায়ন পাগলের মতো কাজের মহিলার উপর চিল্লাচ্ছে। মহিলাটা ভয়ে চুপসে গেছে। অয়ন সায়নকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করে বলে,,,, সায়ন কি হয়েছে এতো রাগছিস কেনো।

সায়ন রাগে জোরে বলে,,,,, তো কি করবো, এক কাপ কফির ঠিক করে বানাতে পারে না এরা। তাহলে কিসের জন্য টাকা নেয়।

অয়ন সায়নকে ধমকে বলে,,,,, সায়ন,, কি ভাবে কথা বলছো, এভাবে কেও কথা বলে।

সায়ন রাগে বলে,,,তুমিও আমার উপরে রাগ দেখাচ্ছো, ভালোই দোষ করলো কে আর বকা খাচ্ছে কে। দূরর থাকবো না আমি এখানে।

বলে রাগে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সবাই তার পিছনে পিছনে তাকে ডাকতে ডাকতে যায় কিন্তু সায়ন
গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়।

সবাই সায়ন সায়ন বলে ডাকে কিন্তু সায়ন শুনে না। অয়ন অভাক হয়ে বলে,,,, হঠাৎ সায়নের কি হলো,ও তো এমন না।

প্রহর,,,,, হয়তো কোনো কারনে অনেক রেগে আছে।

আমি বলবো কি বলবো না, চিন্তা করে অবশেষে বলেই দিয়,,,আসলে অয়ন তোমাকে কিছু বলা হয়নি।

অয়ন,,,,,কি।

,,,,,সায়ন বেশ কিছু দিন ধরে এমন করছে,ও বলছে হঠাৎ এমনি নাকি ওর রাগ উঠছে, মাথা ব্যাথা করে, কাল তো মাথা ঘুরেও পড়ে গেছিলো মেভি। আলো এসেছিলো, ও বলেছিলো স্ট্রোং মেডিসিনের কারনে নাকি এমন হয়েছে।

,,,,তুমি এসব আমাকে আজ বলছো।

,,,, সায়ন আমাকে বলতে না করেছিলো।

,,,,তাই বলে তুমি আমাকে বলবে না। আর এমন কি মেডিসিন দিয়েছে যার কারনে এতো প্রবলেম হবে। চলো তো সায়নের রুমে দেখি।

প্রহর,,,,তোরা যা, আমি বের হচ্ছি স্নেহা অনেক বিপদে আছে মনে হয়, ও কল দিছিলো আমি আসছি, কোনো প্রবলেম হলে বলিস।

অয়ন,,,,হুমম ঠিক আছে, তুই যা।

অয়ন আর আমি সায়নের রুমে যায়।সেখানে গিয়ে অয়নের মেডিসিন খুঁজতে থাকে। সায়নের আলমারিতে একটা ছবির ফ্রেম দেখে, ছবির দিকে তাকিয়ে আছে।

আমি ছবিটা দেখে বললাম,,সায়নের গার্লফ্রেন্ড দিয়া,,দেখতে সুন্দর না।

,,হুমম,,বলে হঠাৎ আমার দিকে তাকিয়ে বলে, তুমি কিভাবে জানলে এটা সায়নের গার্লফ্রেন্ড, আর ওর নাম দিয়া।

,,,,সায়ন আমাকে বলেছে দিয়ার সম্পর্কে।

,,,,ওহহহ,,এখনো ভুলেনি দিয়াকে তাহলে।

,,,ভুলবে কেনো, সায়ন তো প্রতিদিন দিয়ার সাথে কথা বলে।

এটা শুনে অয়ন কিছু না বুঝার মতো আমার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,মানেহহ প্রতিদিন কথা বলে তাও দিয়ার সাথে।

,,,,হুমম আমি অনেক বার দেখেছি দিয়ার সাথে কথা বলতে। যানো সায়ন দিয়াকে গান শুনিয়ে রাগ ভাঙায়।

,,,,,দিয়া এখানে কিভাবে থাকবে,, তুমি দেখেছো ওকে, সায়নের সাথে কথা বলতে।

আমি সায়নের মেডিসিন খুজতে খুজতে বলি,,,আরে আমি কিভাবে দেখবো, সায়ন তো ফোনে কথা বলে দিয়ার সাথে।

অয়ন চিন্তার জগতে হারিয়ে যায়, আমি মেডিসিনের বক্সটা বের করে অয়নের হাতে রাখি। অয়ন বক্সটা খুলে মেডিসিন গুলো চেক করে হয়রান হয়ে বলে,,,,এই সব মেডিসিন কে দিয়ে সায়নকে।

,,,কেনো আলো দিয়েছে।

,,,,কিন্তু কেনো।

,,,,আরে সায়ন আঘাত পেয়েছে তাই।

,,,,,, আঘাতের জন্য এই মেডিসিন,, আমার ভাইকে কি পাগল করতে চাই নাকি, এসব ঔষধ কোনো সুস্থ মানুষ খেলে পাগল হয়ে যাবে, আলোর সাহস কি করে হলো আমার ভাইকে এসব ঔষধ দেওয়ার জন্য। এখনি ফোন করছি আমি আলোকে।

অয়ন অনেক বার কল করার পরেও আলোকে ফোনে না পেয়ে, সায়নকে কল করে কিন্তু সায়ন তার ফোন রুমে রেখে চলে গেছে।অয়ন রাগে আলোর বাসায় ফোন করে যানতে পারে, আলো বাসায় নেয়।

আমি অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করি,,, কি হয়েছে।

অয়ন রাগে বলে,,,,,, কাওকেই ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাকে এখনি যেতে হবে সায়নকে খুঁজার জন্য, এই আলোকে তো আমি পরে দেখে নিবো।

অয়ন ও গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। মাঝখান দিয়ে আমি কিছু না বুঝে বসে আছি।
,,,,,,,
প্রহর যায় স্নেহার বাড়িতে, বেল বাঝানোর সাথে সাথে দরজা খুলে আমাকে টান দিয়ে ভিতরে নিয়ে যায়। তার মা বাবা মুখে হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ও হেঁসে তাদের হ্যালো বলি।

স্নেহার মা আমাকে বসতে বলে। আমিও বসি, স্নেহার মা বাবা আমার সামনের সোফাতে বসে, আর স্নেহা তাদের পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। ওর মা বাবা কেমন অদ্ভুত ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

হঠাৎ স্নেহার মা বলে উঠে,,, আমার তো ছেলে অনেক পছন্দ হয়েছে। আমার মেয়ের পছন্দ আছে বলতে হবে। প্রথমে আমি ভেবেছি লেখক যেহেতু কেমন না কেমন হবে, কিন্তু তুমি তো অনেক হেন্সাম।

স্নেহা ,,,,,, একদম কোনো মডেলের মতো দেখা যায় তাই না মা।
মা,,,,,হুমম।

ওদের কথার কিছু আগা মাথা বুঝতে না পেরে আমি কফিতে একটা চুমুক দিতেই স্নেহার মা বলে উঠে,,, তোদের বিয়েতে আমার কোনো আপত্তি নেয়।

এটা শুনে কফিটা আমার গলা দিয়ে আর নামলো না মনে হয়, বেরিয়ে আসলো, আমি কাশতে থাকি, স্নেহা এসে আমার পিঠে হাত বুলাতে থাকে, আমি হাত উঠিয়ে ইশারা করি যে,,হয়েছে আর লাগবে না।

আমি অভাক হয়ে জিজ্ঞেস করি,,,,বিয়ে মানে, কার বিয়ে।

মিসেস্ খান,,,,, তোমাদের বিয়ে, তোমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসো তো বিয়ে তো করবে নাকি।

আমি স্নেহার দিকে তাকায়, স্নেহা একটা ইনোসেন্ট হাসি দিয়ে, আমার কানে কানে বলে,,,পিল্জ আমার জন্য একটু আমার বিএফ এর এক্টিং করুন,না হলে মা বাবা আমার বিয়ে অন্য জায়গায় করিয়ে দিবে, পিল্জ পিল্জ।

মিঃ খান একটু কঠোর কন্ঠে বলে,,,, লেখক হলে কেনো, এতো সব অপশন থাকতে।

আমি ধীর গলায় বললাম,,,,, কারন এটা করতে আমার ভালো লাগে, লেখা শুধু আমার পেশা না, এটা আমার শখ, স্বপ্ন, ভালোলাগা তাই।

ওর বাবা একটু মুখ বেকিয়ে বললো,,,,এতে আর কতো টাকা পাওয়া যায়। একটা বিজনেস করলে আজ কতো টাকার মালিক হতে তুমে যানো।

আমি মুচকি হেঁসে বলি,,,আংকেল সব কিছু টাকা দিয়ে মাপা যায় না, আর টাকা অর্জন করার কথা আসলে বলবো আমি কোনো বিজনেস ম্যান এর থেকে কম রোজগার করি না। আর কে বললো এতে টাকা নেয়।

মিঃখান অহংকার কন্ঠে বললো,,,, এমন বড়ো বাড়ি আছে।

আমি মুচকি হেঁসে চারদিকে তাকিয়ে বলি,, এর থেকে বড় তো আমার ফার্ম হাউজ। আমেরিকায় গেলে আমার বাসায় অবশ্যই আসবেন।

মিঃখান চায়ের কাপটা নিতে নিতে বলে, আই লাইক ইউর এটেটিউড। একদম বাবার মতো হয়েছো। বাট বিয়ে আরো এক বছর পরে করতে চাও কেনো,কোনো সমস্যা।

আমি স্নেহার দিকে তাকায়,, স্নেহা তার বাবাকে বলে,,,, বাবা আমার আমার আর্টস কোর্স শেষ করতে আরো এক বছর আছে তো তাই। ও চাই আমি কোর্সটা শেষ করেই ওকে বিয়ে করি।

মিঃখান,,,,,হুমম।

প্রহর,,,,, আচ্ছা আংকেল আমার একটা জরুরি কাজ আসে তাই যেতে হবে।

মিসেস্ খান ,,,,,,,,,, ওনার কথায় রাগ করো না, ওনি এমনি, আরেকটু বসে যাও।

,,, না আন্টি, আজ আর বসতে পারবো না, আমি অন্য দিন আসবো। আর আংকেলকে তো আমার সরি বলা উচিত একটু বেশি রুডলি কথা বলে ফেলেছি, আসলে আই লাভ মাই পেশন।তাই এটা নিয়ে কেও কথা বললে, বুঝতেই পারছেন৷ সরি আংকেল।

মিঃখান,,,,,ইটস ওকে। আজকাল সরল সোজা থাকলে টিকে থাকা যায় না।

,,,,হুমম,,,তাহলে আজ আমি আসি।

স্নেহা,, আমি প্রহরকে গেইট পর্যন্ত দিয়ে আসি।

প্রহর যায় পিছনে পিছনে স্নেহা ও যায়,প্রহর গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, স্নেহা প্রহরের দিকে তাকিয়ে ইনোসেন্ট হাসি দিতে থাকে।

প্রহর একটু রাগী ভাবে বলে,,,, কি হচ্ছে এসব, বলবে পিল্জ।

,,,আসলে বাবা মা কিছুতেই রাজি হচ্ছিলো না, তাই আমি বলেছি যে, আমার বয় ফ্রেন্ড আছে। তখন ওরা আমার বয় ফ্রেন্ডের কথা জিজ্ঞেস করছিলো, কিন্তু আমার তো কোনো বয়ফ্রেন্ড নেয় তাই,

,,,,তাই আপনি আমার নাম বলে দিলেন তাই তো।

,,,,হুমম,,এক বছরেরি তো ব্যাপার, তাছাড়া আপনি তো এখানে সারা জীবন থাকবেন না, তখন মা বাবাকে কিছু একটা বলে দিবো। আর আপনি তো বলেছেন বিয়ে ভাঙার জন্য যা খুশি করো, আমি তোমার পাশে আছি।

,,,,,তোমার জন্য আমি আমার কতো ইমপোর্টেন্স কাজ ফেলে এসেছি, বাই চললাম আমি।

,,,,ঠিক আছে, ধন্যবাদ আমাকে সাহায্য করার জন্য।

প্রহর গাড়ি করে চলে যায়। অপর দিকে মারুর কাছে একটা কল যায়৷ কল যেতেই মারু বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যায়। মারু ফোনের অপর পাশে যে আছে তাকে বলে,,,, আমি এখনি আসছি, ডোন্ট ওয়ারি, কিছু হবে না।

বলে মারু বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে।

বেশ অনেক ক্ষন ধরে অয়ন সায়নকে খুঁজে কিন্তু পাই না, আলোকে মেডিকেলে খুঁজেও পাই না। তাই বাসায় চলে আসে। বাসায় এসে নীর নীর বলে ডাকছে কেও সারা দিচ্ছে না। অয়ন পুরো বাসা খুঁজে কাওকে পাই না।

বাসার লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে বলে মারু নাকি তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেছে। অয়ন মারুর মা বাবাকে ফোন করে কিন্তু তারাও কিছু জানে না। অয়ন রাগে বলে,,,,, সায়নকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না,নীর আমার ফোন ধরছেনা। হচ্ছেটা কি আজকে।

অয়ন প্রহরকে ফোন করে বলে সব কিছু, প্রহর আসছি বলে ফোন রেখে দেয়। বেশ কিছু ক্ষন পরে প্রহর এসে দেখে অয়ন কাদের যেনো ফোনে বলছে নীর আর সায়ন কে খোঁজার কথা।

প্রহর অয়নের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, মারুকে পাওয়া গেছে।

,,,না এখনো পাওয়া যায়নি। যানি না কোথাই চলে গেছে। সায়নকেও পাওয়া যাচ্ছে না।

,,,,, সায়নের কি হলো।
,,,,,আলো সায়নকে উল্টো পাল্টা মেডেসিন দিয়েছে, না জানি সায়ন এখন কোন অবস্থায় আছে।তুই এতো লেইট করে আসলি কেনো।

,,,,জেম ছিলো। এখন ওদের খুঁজার ব্যবস্থা করতে হবে, আচ্ছা মারুর সাথে যাওয়ার জন্য না কতোগুলো বডিগার্ড রেখেছিলি, তাদের কি হলো।

,,,,তাদের ও পাওয়া যাচ্ছে না।

,,,,ওরা মারুকে কিটনাপ করেনি তো।

,,,,,,, কিন্তু ওরা আমার অনেক বিশ্বাসস্থ লোক ছিলো, টাকার কারনে পাল্টে গেলো। আমার তো এসব কিছু একটা প্লেন লাগছে।

,,,,,মানে।

,,,,মানে,কালকে আমার রুমে ফাইল পাওয়া, সায়নকে পাগলের মেডিসিন দেওয়া, আজকে সায়ন আর নীরের কিটনাপ হওয়া সব কিছু একটা প্লেন ছিলো মনে হচ্ছে। কিন্তু এটা করেছে কে।

,,,,, সায়নকে কিটনাপ করার কি দরকার হতে পারে।

,,,,সায়নের শত্রুও কম নেয়।

,,,আচ্ছা, মারুকে ঐছেলেটা কিটনাপ করেনি তো, কি যেনো নাম, মারুর বেস্ট ফ্রেন্ড হয় যে ঐ ছেলেটা।

,,,,কে রিয়ান।

,,হ্যাঁ

,,,,,,রিয়ানকে আমি ছাড়বো না,, চল রিয়ান কোথায় আছে বের করতে হবে।

অয়ন আর প্রহর রিয়ান এর বাসায় যায়, অয়ন গিয়েই রিয়ানের কর্লার ধরে রাগে বলে,,,, বল কোথায় নীর,,নীরকে কিটনাপ করে কোথায় রেখেছিস বল এখনি, না হলে তোর জান নিয়ে নিবো।

রিয়ান অয়নকে ধাক্কা দিয়ে বলে,,,, কে নীর,, আর তোর সাহস কি করে হলো আমার বাসায় এসে আমাকে হুমকি দেওয়ার৷

অয়ন রিয়ানকে ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। প্রহর অয়নকে ধরে, অয়ন রাগে বলে,,,,মারুর কথা বলছি আমি,, বল মারু কোথায়।

রিয়ান উঠে বলে,,,, মারু কিটনাপ হয়ে গেছে মানে, আমি এখনি পুলিশকে ফোন করবো, নিশ্চয়ই এর পিছনে তোর হাত আছে, একে তো তুই মারুকে জোর করে বিয়ে করেছিস,আবার তার খেয়াল ও রাখিসনি। পুলিশে তো আমি তোকে দিবো।

অয়ন মারতে যায় কিন্তু প্রহর ধরে রাখে,, অয়ন রাগে বলে,,,,নাটক করছিস তুই আমার সামনে তাই না, সত্যি কিভাবে বের করতে হয় সেটা আমি দেখাচ্ছি তোকে,,ছাড় প্রহর আমাকে।

প্রহর৷ ,,,, এরকম করলে মারুকে পাওয়া যাবে না, আগে পুরো বাড়িটা খুঁজে দেখি।

অয়ন আর প্রহর পুরো বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুজেঁ দেখে। কিন্তু কাওকে পায় না, সব জায়গায় খুঁজে নিচে আসে। রিয়ান বলে,,,, দেখেছো ভালো করে, আরে কিটনাপ করার হলে তো আমি এই অয়নকে করতাম, আমার আপমানের জবাব দিতাম।

অয়নের রিয়ানের কথার দিকে কোনো খেয়াল নেয়, অয়নের অবস্থা খারাপ, অয়নের চোখে পানি। অয়নের অবস্থা দেখে রিয়ান বলে,,,, এখানে এভাবে বসে থাকলে কিছু পাওয়া যাবে না। চলো গিয়ে আগে মারুকে খুঁজি।

প্রহর,,,,রিয়ান ঠিক বলেছে, চল তাড়াতাড়ি।

অয়ন আর প্রহর যেতে থাকে রিয়ান ও তাদের সাথে সাথে যায়। অয়ন আর প্রহর রিয়ানের দিকে তাকায়,রিয়ান বলে,,,, মারু আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয় তাই আমিও যাবো তোমাদের সাথে, তিন জন খুঁজলে তাড়াতাড়ি হবে, তাছাড়া আমার তোমাদের ওপর বিশ্বাস নেয়।

অয়ন রাগে তাকায় রিয়ানের দিকে, রিয়ান গাড়িতে বসে বলে,,,চলো চলো লেইট হয়ে যাবে।

প্রহর,,,,, আর দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না, চল।

তিন জনে পুলিশ স্টেশনে যায়,অয়ন সেখানে পুলিশের সাথে রাগারাগি লাগিয়ে দিয়েছে। কারন পুলিশ ২৪ ঘন্টার আগে মিছিং রিপোর্ট লিখবে না। বলে দিয়েছে।
অয়ন সেখানে চিল্লাচ্ছে, প্রহর চর রিয়ান অয়নকে ধরে পুলিশ স্টেশনের বাহিরে নিয়ে আসে।

অয়ন রাগে বলে,,,, ছাড় আমাকে পুলিশের কাজ আমি ওকে শিখাচ্ছি। ২৪ ঘন্টা বলছে না, অয়ন খান চাইলে ২৪ সেকেন্ডের মধ্যে ওর চাকরি খেয়ে ফেলতে পারি।অয়ন খানকে চিনে না।

প্রহর রাগে বলে,,, সব জায়গায় এসে এমন রাগারাগি করলে মারুকে আর সায়নকে কিভাবে পাবি। একটু শান্ত হয়ে থাকতে পারিস না।

রিয়ান রাগে বলে,,,, আরে ঠিকি আছে। শালারা টাকা ছাড়া কিছু বুঝে না, এদের মুখের উপর টাকা ছুঁড়ে মারলে এরা সব কিছু করতে পারে। শালা ঘুষ খাওয়ার দল।এদের পুলিশের চাকরি দিছে কে আগে এটা আমাকে বলো, শালাদের ভুঁড়ি দেখছেন, চোরের পিছনে ছাড়ো শালারা একা দৌড়ালেও লাস্ট আসবে।

প্রহর,,,,, এখানে একজনকে সামলাতে পারছি না, তুমি পিল্জ শুরু করো না এখন।

অয়ন,,,কতো টাকা লাগবে ওদের, আমি দিচ্ছি চল।

প্রহর,,,,তুই গিয়ে ওদের কলার ধরে কথা বলবি আর ওরা তোর কাজ করবে তাই না।

এমন সময় অয়নের কাছে ফোন আসে যে দুটো লাশ পাওয়া গেছে। তিনজনে যায় গিয়ে দেখে এটা মারুর সাথে থাকা বডিগার্ড। এদের লাশ দেখে সবাই ভয় পেয়ে যায়,মারুর কিছু করলো নাকি এটা ভেবে।

রিয়ান,,,,,, যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে, এখানে বিষয়টা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

অয়নের লোকরা অয়নকে ফোন করে যানায় আলোকে নাকি পাওয়া গেছে, তারা আলোকে বন্ধী করে রেখেছে।এটা শুনে তিনজন সেখানে যায়।
,,,,,,,

মারুর হাত পা বাঁধা অবস্থায় নিচে পড়ে আছে। একটা পুরোনো বাড়িতে। মুখে টেপ লাগানো। মারু চোখ খুলে, রুমে অন্ধকার জালানা দিয়ে হালকা আলো আসছে। কোন জায়গা এটা কিছুই বুঝতে পারছে না। হাত পা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here