আজও ভালোবাসি তোমায়❤ পর্ব -১১

#আজও_ভালোবাসি_তোমায়❤
#Writer_মাহিয়া_মিতু
#Part_11
🍁
🍁
চোখ মেলে মিতু নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করলো। মাথায়, হাতে , পায়ে প্রচুর ব্যাথা অনুভব করতে পারছে। ধীরে ধীরে মাথায় হাত দিয়ে উঠে বসলো আর সামনে একজন পুরুষ আর একজন মহিলা কে বসা দেখতে পেলো।
হঠাৎ করে ওর বাচ্চার কথা মনে আসতেই ও চিৎকার করে উঠলো এবং পেটে হাত দিয়ে বললো
——–আ আমার বাচ্চা! আমার বাচ্চা ঠিক আছে তো
তখনই পাশে বসে থাকা মহিলাটি এগিয়ে এসে বললো
—— হ্যা, ডোন্ট ওয়ারি, তোমার বাচ্চা একদম ঠিক আছে।
মিতু কিছু সময় মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো তারপর বললো
——– আপনি?????
——– আমি মালা, ও হচ্ছে আমার হাজব্যান্ড আবির🙂, কাল রাতে তুমি আমাদের গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়েছিলে। আমরা কালকে একটা পার্টিতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে ফিরছিলাম, আর তখনই মাঝ রাস্তায় তুমি আমাদের গাড়ির সামনে চলে আসলে আর ধাক্কা খেলে।
তারপর আমরা গাড়ি থেকে নেমে তোমার কাছে যায় কিন্তু ততক্ষণে তুমি সেন্সলেস হয়ে গিছিলে, আমরা তো কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না, তাড়াতাড়ি করে তোমাকে হসপিটালে নিয়ে এলাম, এখানে ডাক্তার রা তোমাকে দেখার পর জানলাম যে তুমি প্রেগন্যান্ট, ভাগ্য ভালো ছিলো যে অল্পের জন্য বাচ্চার কোনো ক্ষতি হয় নি। তোমার বাচ্চা একদম সেফ আছে 🙂
——- আমার জন্য আপনাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হলো তাই না, আই আম সরি 😥
——-আরে তুমি কেনো সরি বলছো, বিপদ কখনো বলে কয়ে আসে না বোন, আর তাছাড়া আমদের গাড়িতে তুমি আঘাত টা পেয়েছো, তাই সরি টা বরং আমাদের তোমাকে বলা উচিৎ।
——- না না, দোষ টা তো আমারই, কারণ আমিই আপনাদের গাড়ির সামনে চলে এসেছিলাম।😥
——– আরে বাদ দাও এবার এসব, বাট তুমি এতো রাতে রাস্তায় ওভাবে ছুটছিলে কেন।
পিছন থেকে মেয়েটির হাজব্যান্ড বলে উঠলো।
——– আসলে আমি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম তখনই কোথা থেকে কয়েক ছেলে এসে আমাকে টিস করছিলো, আমি ওদের ভয়ে কোনদিকে না দেখে ছোটা শুরু করি আর তখনই আপনাদের গাড়ির সাথে ধাক্কা খায়। 😥
—— এসব ছেলেগুলোর জন্য মেয়েরা ইচ্ছা মতো রাস্তা ঘাটে চলতে ও পারবে না😡, আচ্ছা ডাক্তার বলেছে তুমি এখন মোটামুটি সুস্থ, বাড়িতে গিয়ে রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে, তুমি তোমার নিজের কারো ফোন নং দাও আমি ফোন করে আসতে বলি তা নাহলে ঠিকানা বলো আমরাই তোমাকে পৌঁছে দিবো।
——– হ্যা, আবির ঠিক ই বলেছে, তোমার বাসা কোথায় বলো।
ওদের কথা শুনে মিতু এবার কেঁদে ফেলে, ওর কান্না দেখে মেয়েটি বলে
——- একি তুমি কাঁদছো কেন।
——— আমার যাওয়ার মতো আপাতত কোনো জায়গা নেই, জানি না আমি এখন কোথায় যাবো। আপনারা এখন যান, এবার আমি নিজে একটা ব্যবস্তা করে নেবো।
——– আরে সেটা কি করে হয়, আমরা তোমাকে এভাবে ফেলে চলে যেতে পারিনা।
তখনই পিছনে থেকে ছেলেটা বলে উঠলো
——- তারচেয়ে বরং এক কাজ করো তুমি আমাদের সাথে চলো, আমার না কোনো বোন নেই তোমাকে দেখে কেন জানি না আমার ভিষণ মায়াময় লাগছে তোমাকে। যাবে এই ভাইয়া আর ভাবির সঙ্গে 🙂।
—— ভাইয়া!!!! ভাবি!!
তখনই পাশ থেকে মেয়েটি বলে উঠে
—— হ্যা, ভাইয়া ভাবি, ও যখন তোমাকে বোন বলেছে তখন আজ থেকে আমরা তোমার ভাই ভাবি, তুমি আজ থেকে আমাদের সাথে ই থাকবে। আমাদের ছোট্ট সংসারে আজ থেকে একজন সদস্য বাড়বে, খুব ভালল থাকবো আমরা সবাই মিলে, চলো না বোন, প্লিজ না করো না।
ওদের কথা শুনে মিতু খুশিতে কেঁদেই দেয় আর বলে।
——- হ্যা, আমি যাবো আপনাদের সাথে।
তারপর ওরা মিতুকে নিয়ে ওদের বাড়িতে যায়।তারপর রাতে খাওয়া দাওয়া র পর ওরা একসাথে বসে ছিলো তখনই মালা বললো
——- আচ্ছা মিতু তোমার সাথে আসলে কি কি হয়েছে আমাদের বলবে, না মানে তোমার বাচ্চা! তাহলে তোমার স্বামী কোথায়। দেখো আমরা তোমাকে জোর করছি না, শুধু তোমার কষ্ট টা শেয়ার করতে বলছি। কষ্টের কথা শেয়ার করলে নাকি কষ্ট টা একটু হলেও হালকা হয়, তাই বলছি তুমি আমাদের নিজের মনে করে বলতে পারো।
তারপর মিতু ওদের প্রথম থেকে সবকিছু খুলে বললো। তা শুনে আবির বললো
——- কিন্তু ফারহান তোমাকে একবার ও বোঝার চেষ্টা করলো না, এভাবে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারলো।
—— আচ্ছা মিতু তুই কি চাস ওর সামনে সত্যি টা প্রমাণ করতে যদি চাস তো আমরা সাহায্য করবো তোকে।
——- হ্যা, তোর ভাবি ঠিক ই বলছে।
—— না ভাইয়া ভাবি আমি এরকম কিছু ই করতে চায় না, কারণ আমার বিশ্বাস আমার ভালোবাসা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে একদিন ও নিজেই সত্যি টা জানতে পারবে ও ঠিক একদিন আমার কাছে ফিরে আসবে😥।
——– মানুষ কখনো সবদিক থেকে পরিপূর্ণ সুখ পাই না মিতু, তাই এই নিয়ে কখনো মন খারাপ করবি না, এখন তোর সাথে ওরা কেউ নেই কিন্তু তোর সন্তান আছে আর জন্য তোকে ভালো থাকতে হবে।কারণ এটা যে তোর অনেক বড় পাওয়া, হয়তো তুই এখনি এর মর্ম বুঝবি না, যখন তোর সন্তান তোর কোলে আসবে তখন বুঝবি যে তুই কি পেয়েছিস। সন্তান না থাকার যে কি কষ্ট সেটা আমি জানি রে,😥
——- আহ, মালা আবার এসব তুলে মন খারাপ করছো।
—— মানে!!! ভাবি তুমি
——- হ্যা রে মিতু। আমি কোনোদিন ও মা হতে পারবো না😭।
——- ভাবি মন খারাপ করো না, তুমি ই তো বললে মানুষ সবদিক থেকে পরিপূর্ণ হয় না, তোমার সন্তান হয় নি ঠিক কিন্তু দেখো না তোমাদের মধ্যে আছে সীমাহীন ভালোবাসা, এটা ই বা কম কি বলো।
——- হুম তুই ঠিক বলেছিস, আমি আর এটা নিয়ে মন খারাপ করবো না।
তারপর ওরা ঘুমিয়ে পড়ে।
এদিকে ফারহান পরেরদিন বাড়ি চলে যায়।
এতোদিন পর ওর মা ওকে দেখে খুব খুশি হয়
——- ফারহান বাবা তুই এসেছিস, আমি জানতাম আমার ছেলে আমাকে ছেড়ে থাকতেই পারবে না। কিন্তু তোকে এমন লাগছে কেন বাবা, কি হয়েছে।
ফারহান এবার ওর মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে
—— মা মিতু আমাকে ঠকিয়েছে মা, ও এখন আর আমাকে চায় না,তাই ওকে আমি তাড়িয়ে দিয়েছি মা😥
——- ফারহান বাবা তোর বুঝতে ভুল হচ্ছে না তো, মিতু
——- না মা আমার কোনো ভুল হচ্ছে না
——- তবু্ও তুই
——– আহা শিফা ছাড়ো না, এতোদিন পর ছেলেটা ফিরে এসেছে এটাই অনেকে ওই মেয়েকে নিয়ে আর কোন কথা বলে না তো।
——– আব্বু!!
——– বাবারে, সব বাবা মা তার সন্তানের ভালো চায়,তুই এতোদিন আমাদেরকে ছেড়ে ছিলি এতে আমরা ও ভালো ছিলাম না রে, যাইহোক তোদের মাঝে কি হয়েছে আমি কিছুই জানতে চায়বো না, তুই ফিরে এসেছিস এতেই আমি খুশি।
—— থাংকস আব্বু
তারপর ফারহান ওর ঘরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে রেস্ট নেয় আর সেদিন সারা রাত ভেবে ও একটা ডিসিসন নেই।
পরেরদিন সকালে নাস্তার টেবিলে বসে ফারহান বলে
—— আব্বু আম্মু তোমাদের সাথে আমার জরুরি কথা ছিলো।
——- বলো কি বলবে।
——– আব্বু আমি লন্ডন চলে যেতে চায়, ওখানে আমাদের যে বিজনেস টা আছে আমি নিজে দেখাশোনা করতে চায়।
এটা শুনে ওর মা বলে
——- এসব কি বলছিস বাবা, এতোদিন পর ফিরে এলি আবার মাকে ছেড়ে চলে যাবি।
—— আম্মু প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো আমি মেন্টালি খুব ডিপ্রেজড। আমি কিছুদিনের জন্য নিজেকে ব্যস্ত রখতে চায় যেটা এখানে থাকলে পারবো না, হাঁপিয়ে গিয়েছি আমি এবার আর পারছি না।
—— কিন্তু বাবা তুই
——- শিফা, চুপ করো। আচ্ছা বেশ তুই যখন চায়ছিস আমি তোর যাওয়ার ব্যবস্তা করছি।
—— তুমি ওকে
——- শিফা ও ঠিক কথায় বলছে, কিছু দিন নিজেকে বিজি রাখুক ওর যখন মনে হবে এবার ও নিজেকে সামলাতে পারবে তখনই ও ফিরে আসবে।
তারপর ওর বাবা ওর যাওয়ার ব্যবস্তা করে ফেলে।
যাওয়ার দিন ওর বাবা মা বোন সবাই ওকে ইয়ারপোর্টে পৌঁছে দিতে আসে তারপর ফারহান সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।
এটা নিয়ে টিনা আর রাজের তো আফসোসের শেষ থাকছে না। ওরা কিছুতেই মানতে পারছে না এভাবে তীরে এসে তরি ডুবে গেলো😈,ওরা ভেবেছিলো ফারহান মিতুকে বের করে দিলে ওকে রাজ নিজের কাছে নিয়ে আসবে কিন্তু তার আগেই মিতু যে কোথায় চলে গেলো, আর খুজেই পেলো না😡।
আর টিনা ভেবেছিলো ফারহান বাড়িতে ফিরে গেলে ও তো এখন শুধু মিতুকে ঘৃণা করবে এই সুযোগে ওর মন জয় করে বাবাকে বলে ওর সাথে বিয়েটা দিয়ে দেবে। কিন্তু তার আগেই ফারহান দেশ ছেড়ে চলে গেলো।😠
এদিকে মিতুর মা অনেকদিন ধরে মিতুর কোন খোঁজ না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যায় সাথে ওর বাবাও।
মিতুও বাবা মার জন্য মন খারাপ লাগছে, তা দেখে মালা ওকে বলে ফোন দিয়ে ওর বাবা মার সাথে কথা বলতে।
যদিও মিতুর সাহস হচ্ছে না, যার জন্য নিজের বাবা মাকে ছাড়লো আজ সেই তাকে ফেলে চলে গেল, কিন্তু ও বুঝতে পারছে ওর বাবা মা ও ওর জন্য টেনশন করছে, তাই ও আর কিছু না ভেবে ফোন দিলো।
মিতুর মা কিচেনে রান্না করছিলো, ফোনের শব্দ শুনে বেরিয়ে এসে দেখে আননোন নং, তারপর উনি ফোন রিসিভ করে, ওপাশ থেকে মিতুর কন্ঠ শুনে উনি খুব খুশি হয়, তারপর অনেক সময় মিতুর সাথে কথা বলেন ওর বাবা ও পাশে ছিলো, ফোন লাউড স্পিকারে রেখে ওর মা কথা বলছিলো।
তারপর মিতু ভয়ে ভয়ে ওর মাকে সব বললো, সাথে বাচ্চার কথা ও সব শুনে ওর বাবা মা কি বলবে বুঝতে পারছিলো না, তারপর ওরা মিতুর কাছ থেকে আবিরের ঠিকানা নিয়ে ওখানে মিতুকে দেখতে যায়। মিতু এতোদিন পর বাবা মাকে দেখে খুব খুশি হয় ওর বাবা মা ও মেয়েকে পেয়ে খুব খুশি হয়।
তারপর ওরা মিতুকে ওদের সাথে নিয়ে যেতে চায় কিন্তু মিতু রাজি হয় না সাথে আবির আর মালা ও। কারণ এই অবস্থায় নিয়ে গেলে লোকের কথা ও শুনতে হবে, যা এই মুহুর্তে মিতুর জন্য ভালো হবে না। কারণ ওর এখন একদম টেনশন করা যাবে না।
তারপর আবির আর মালা ওর বাবা মাকে বুঝিয়ে বললে ওরা মিতুকে রেখে চলে যায়।
আস্তে আস্তে মিতুর ডেলিভারি ডেট এগিয়ে আসে, ওর বাবা মা ও প্রায় এসে মেয়েকে দেখে যায়।
দেখতে দেখতে সেই দিন চলে আসে যেদিন মিতুর লিভার পেইন ওঠে মালা তাড়াতাড়ি করে আবির কে বাসায় আসতে বলে আর ওর বাবা মাকে ও খবর দিয়ে মিতুকে নিয়ে হসপিটালে যায়।
মিতুকে ওটিতে ঢুকিয়ে ওরা সবাই বাইরে ওয়েট করতে থাকে। কিছু ক্ষণ পর ডাক্তার বেরিয়ে আসে ফুটফুটে একটা মেয়ে বাবু কোলে নিয়ে।ওরা সবাই খুব খুশি হয়।
তারপর মিতুকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এভাবে দিন চলতে থাকে।ওর মেয়ে যখন আধো আধো কথা বলতে শেখে তখন মিতুই ওকে আবির কে বাবাই আর মালা কে মামনি ডাকা শেখায়।এতে আবির মালা ও খুব খুশি হয়, এমনিতেই ওরা মিমি কে নিজের মেয়ের মতো দেখে তাই মিতু ওদের কে বাবা মা ডাকা শেখাতে ওরা খুব খুশি হয়, নিজেদের সন্তান হয় নি তো কি হয়েছে বাবা মা ডাক তো শুনতে পারছে, এই বা কম কিসে।
তারপর মিতুর বাবা মা জোর করে মিতুকে ওদের কাছে নিয়ে যায়, কারণ এতোদিন মেয়েকে ছেড়ে ছিলো কিন্তু এখন নাতনিকে ছেড়ে ওরা থাকতে পারবে না।
এবার আর আবির মালা ও বাঁধা দিতে পারে নি। তবে মিমিকে ছেড়ে থাকতে ওদের ও খুব কষ্ট হয়, তবে সমস্যা হয় না কারণ মিতু সপ্তাহে দুই দিন করে ওদের কাছে এসে থাকে আর বাকি দিনগুলোতে ওরা তো যায়ই।
এভাবে সময় যেন স্রোতের বেগে চলে যায়, দেখতে দেখতে পাচ বছর কেটে যায়। মিতুর বাবা এখন আর চাকরি করে না, এখন মিতুই সংসার চালায়।
অনেক কিছু ই বদলে গেছে এই পাঁচ বছরে ছোট্ট মিমি টা ও এখন অনেক টা বড় হয়ে গেছে।
আর ফারহান ও এই পাঁচ বছর লন্ডন থেকে এবার ফিরে এসেছে শুধু মায়ের জেদের কারণে।
দেশে এসে ও ওদের এখানকার বিজনেস দেখাশোনা করছে। একদিন ও রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো, হঠাৎ করে ওর গাড়ি খারাপ হয়ে যায়, তাই ও গাড়ি থেকে নেমে আশেপাশে দেখছিলো তখনি ওর চোখ যায় পাশে একটা স্কুলের মাঠে একটা ফুটফুটে ছোট্ট পরির মতো মিষ্টি মেয়ে বাচ্চাদের সাথে খেলছে।
হঠাৎ করে ওদের বলটা ফারহানের পায়ের কাছে এসে পড়ে আর সেই ছোট্ট পরিটা ওর কাছে সেই বলটা নিতে আসে।
তারপর ফারহান অনেক সময় ধরে মেয়েটার সাথে কথা বলে। কেন যেন ওর মেয়েটা কে ভিষণ ভালো লাগছে, মনে হচ্ছে খুব আপন কেউ।
সেদিন থেকে ই মিমির সাথে ফারহানের পরিচয়। তারপর থেকে প্রতিদিনই না চায়তেও ফারহান এই স্কুলের সামনে এসে মিমির জন্য ওয়েট করতে থাকে, ওর সাথে খেলা করে, ঘুরে।
মিমি ও ফারহানের সাথে মিসতে খুব ভালো লাগে।
ফারহান যে কিসের টানে ওর কাছে আসে সেটা ও নিজেও জানে না, কিন্তু মিমি কে এখন একদিন না দেখে ও থাকতে পারে না।
এভাবেই চলতে থাকে। মিমিও বাড়ি তে গিয়ে মিতুর সাথে বলে ওর প্রিন্স আংকেল এর কথা।
তারপর ওর জন্মদিনে ফারহান কে মিমি ইনভাইট করে আর ফারহান ও যায়, আর সেদিন ই মিতুর সাথে ওর আবার দেখা হয়।
এসব ভাবতে ভাবতে কখনোই যে রাত পার হয়ে গেছে মিতু বুঝতে ই পারে না আযানের শব্দে মিতুর ঘোর কাটে। আর ও চোখ মুছে নিজে নেমে আসে।
.
.
.
.
.
🌿
চলবে………
……..

….
(দিলাম অতীত শেষ করে এবার খুশি তো সবাই, অতীত কবে শেষ হবে, বর্তমান ভুলে যাচ্ছি বাববা এতো অভিযোগ সবার, নিন, অতীত শেষ 🙂)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here