আবছায়া
Writer::প্রিয়া
২৯
সন্ধ্যে তারা গুলো মিটমিট করছে জ্বলছে আকাশে।ইনায়া ভাবছে ওর মা-বাবার কথা কোথায় আছে ওরা ঠিকমতো গ্রামে পৌঁছে গেছেন না কি সে চিন্তায় অস্থির।
দরজা খোলার শব্দে ইনায়া পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে আইজান এসেছে।
কোনো কথা না বলেই ওয়াসরুমে চলে গেলো।
ইনায়া ও বারান্দায় চলে যায় এর সাথে কথা বলে কোনো লাভ নেই।
ড্রইংরুম থেকে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।তখনি আইজান টাওয়াল দিয়ে শরীর মুছতে মুছতে বাইরে আসলো।
বিরক্তি নিয়ে বললো কেউ কি মারা গেছে এতো চিৎকার কিসের।
ইনায়া শুনে ও শুনলো না।
আইজান দ্রুত পায়ে ড্রইংরুমে চলে গেলো।ইনায়া বারান্দা থেকে এসে দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে রইলো।
তাকিয়ে দেখছে আইজানের বাবা কে।এই প্রথম উনি উচ্চস্বরে কথা বলছেন।
কখনো ইনায়া উনাকে রাগতে দেখেনি।
-কোথায় ছিলি তুই।
‘তা জেনে তুমি কি করবে বাবা কাল গিয়েছি আজ ফিরে আসছি।
-তোর লজ্জা করলো না ঘরে বউ রেখে কাজের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যেতে।
‘উফফ বাবা পালিয়ে গেলাম কোথায়। ওকে ওর বাড়িতে রেখে আমি চলে আসছি।
-বাড়িতে রেখে আসছিস মানে কি।
‘এতো মানে খোঁজো না তো ও ওর বাড়িতেই আছে এই নাও ফোন ওর বাবাকে ফোন দাও।
আইজানের বাবা সত্যি সত্যি ফোন নিয়ে কলির বাবাকে ফোন দিলেন।
আইজান কলিকে বাড়িতে রেখে এসছে তাহলে এই চিঠি।
চিঠি কিসের চিঠি বাবা কার না কার চিঠি তোমরা আমাকে সন্দেহ করছো।
মা খিদে পেয়েছে খেতে দাও।
ইনায়া আইজানের মায়ের দিকে তাকায় ছেলেকে একটা কথা বলেননি উনি।
ইনায়া আবার রুমে চলে আসে বারান্দার ইজি চেয়ারটাই বসে কল্পনা করছে।
আবেগ যদি ওকে এতোই ভালোবাসতো তাহলে সেদিন কেনো বলেনি চিঠি,রক্ত দেয়া সবকিছুই কেনো গোপন রেখেছিলো।যদি আবেগ ইনায়াকে ওর মনের কথা বলেই দিতো তাহলে আজকের দিনটা অন্যরকম হতে পারতো।
কখন যে ঘুম চলে আসলো খেয়ালই নেই ওর।
ভোর রাতে ঘুম ভেঙে দেখে আইজান ওকে য়জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে। ও তো বারান্দায় ছিলো এখানে আসলো ওহ আইজান নিয়ে এসেছে তাহলে।
ঘৃণায় গাঁ ঘিনঘিন করছে আইজানের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে সোফায় গিয়ে বসলো।
সকাল হয়ে গিয়েছে উঠে বসে ফোন হাতে নিলো।
মায়ের নাম্বারে ডায়াল করতে কল গেলো।
ওপাশ থেকে মায়ের কন্ঠ শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়।
-মা ও মা তোমরা কোথায় আছো।
‘গ্রামে চলে আসছি রে এসে তোর চাচার ঘরে খাওয়াদাওয়া করলাম।
কিছুক্ষণ পর আমাদের ঘর পরিস্কার করবো।তোর বাবা বাজার করতে যাবেন।
-মা তুমি কি করে রান্নাবান্না করবে তোমার তো হাই প্রেশার আগুনের কাছে যেতে পারো না।
‘আরে তোর চাচাতো বোন মুনা আছে না ওই আসার পর থেকে আমার পিছে পিছে আছে রান্নাবান্না সব কাজ পারে।
-শুনে শান্তি লাগছে মা।
‘তোর এই বিপদের সময় তোর পাশে থাকতে পারছি না।
-আমি ভালো আছি মা চিন্তা করো না বাবার দিকে খেয়াল রেখো।
*ইনায়া আইজানের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে প্রয়োজনের বেশি কোনো কথা বলে না।
আইজান ও এড়িয়ে চলে ইনায়াকে।
ইনায়ার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই তাই সব সহ্য করে পরে আছে আইজানের বাড়িতে।
দেখতে দেখতে ইনায়ার প্রেগন্যান্সির সাত মাস চলছে।ইনায়ার দিনকে দিন ডিপ্রেশন বেড়ে যাচ্ছে অযথা ওর খুব কান্না আসে।
কেমন জানি সবকিছু ভুলে যায় সহজে কোনোকিছু মনে রাখতে পারেনা মনে করতে চাইলে মাথা যন্ত্রণা বেড়ে যায়।
এই সমস্যা কারো সাথে শেয়ার করতে পারে না এসব বোঝার মতো কেউ নেই এই বাড়িতে।
কিন্তু ওর শ্বশুর আছেন প্রচন্ড ভালো মানুষ বিকেল হলেই বেড়িয়ে যান বউমার পছন্দের জিনিস আনা উনার দ্বায়িত্ব।
ইনায়াকে চোখে চোখে রাখেন নিজে ওষুধ কিনে দেন।
ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যান।
হঠাৎ করেই ইনায়া আজ সকালে মাথা ঘুরে পরে যায়।আইজান ওকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যায়।
-আইজান সাহেব আপনার স্ত্রী শরীর এতো দূর্বল রক্তের পরিমাণ খুবই কম।
ইমিডিয়েটলি উনাকে রক্ত দিতে হবে।পারলে আজই।
– আপনাদের এখানে রক্তের ব্যবস্থা আছে।
‘আছে আমি সব ম্যানেজ করে দিচ্ছি।
ইনায়ার শরীরে রক্ত ভরিয়ে গাড়িতে উঠার আগেই আচমকা ওদের সামনে এসে দাঁড়ায় অজান্তা।
সাজসজ্জায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। জিন্স প্যান্ট টপস পরা হিল জুতো।
আগের অজান্তা আর এখনকার অজান্তার মধ্যে অনেক তফাৎ।
অজান্তা ইনায়াকে জড়িয়ে ধরে।
-ভাবী তোমার বাচ্চা হবে।
‘হ্যাঁ আপু কি অবস্থা তোমাদের উনি।
-ওহ আমার স্বামী মোস্তাক।মোস্তাক আমার কাজিন আইজান আর ওর বউ ইনায়া।
অনেকক্ষণ ওদের সাথে কথাবার্তা বলে ওরা বাসার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরে।
অজান্তাকে অনেক সুখীই মনে হচ্ছে। ইনায়ার বেশ ভালো লাগে অজান্তাকে দেখে।
*লম্বা শাওয়ার নিয়ে এক দফা ঘুমিয়ে যায় ইনায়া।
মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গে খিদার যন্ত্রণায়।
ওরা সবাই যেনো রোবট একটা মানুষ না খেয়ে ঘুমিয়ে আছে কেউ একটা বার ডাকতে আসলো না।
আইজান খাটে নেই উঠে রুম থেকে বাইরে যেতে কারো ফিসফিস শব্দ শুনতে পেলো।
ড্রইংরুমে সোফায় বসে আইজান ফোনে কথা বলছে ইনায়া ওর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে সে খেয়াল নেই।
-অজান্তা বেবি তোমার তো হেব্বি হট ফিগার হয়ছে।
দেখেই না মনের ভিতর আকুমবাকুম শুরু হয়ে গিয়েছিলো।
ওপাশ থেকে কি কথা হচ্ছে ইনায়া শুনছে না।
-কবে দেখা করবে বলো সারাদিন আমার সাথে থাকবে।
”…..
-না করছো কেনো বেবি আগে তো আমার অপেক্ষায় থাকতে কবে তোমার কাছে যাবো।এখন বর পেয়ে আমাকে ভুলে গেলে।
‘….
-আমার বউ আছে তো কি হয়েছে আমার তোমাকে লাগবে। কবে আসবে সেটা বলো আমি বাসা ঠিক করে রাখছি।
‘—-
-কি বললে আসবে না।তুমি ভুলে গেছো তোমার কতশত ছবি ভিডিও আমার কাছে আছে।
বাড়াবাড়ি কোথায় করলাম বেবি ভালোবেসে বলছি শুনছো না তাই একটু কঠিন করে বললাম।
‘–
“অজান্তা প্লিজ সোনা রাজি হয়ে যাও না। আমার ল্যাপটপ মোবাইলে ও কিন্তু ভিডিও গুলো সেইভ করা।
দু দিনের ভিতর রাজি না হলে সব তোমার স্বামীর ফোনে পাঠিয়ে দিবো।
শয়তানি হাসি দিয়ে আইজান ফোন রেখে দিলো।
ইনায়ার প্রচুর ঘৃণা হচ্ছে ওর মনে হচ্ছে মেরে দিতে আইজান কে।
কিছু না খেয়েই আবার ঘুমাতে গেলো ইনায়া।
আইজান ঘুমানোর পর ওর ল্যাপটপ বের করলো।
ফোল্ডার খুলতেই অজান্তার হাজারটা ছবি ভেসে উঠলো।অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ভিডিও দেখে ইনায়া ফুঁফিয়ে কান্না শুরু করলো।
চোখ বন্ধ করে সবকিছু ডিলিট করে দেয়।আইজানের ফোন হাতে নিয়ে ও সবকিছু ডিলিট করে।
ভোরের আলো ফুটতেই ইনায়া অজান্তাকে ফোন দিলো।
অজান্তা ফোন রিসিভ করছে না চারবার ফোন দেয়ার পর ও ফোন রিসিভ করে।
কাঁপা কাঁপা গলায় অজান্তা কথা বলছে।
-ভয় নেই অজান্তা আমি ইনায়া।
‘ভাবী।
-আমি সব জেনে গেছি আপু। আমরা মেয়েরা এতো বোকা কেনো সবচাইতে খারাপ মানুষটাকে ভালোবেসে সর্বস্ব দিয়ে দেই।
‘ভাবি আমাকে মাফ করে দিন।আমায় বিয়ে করবে বলে আমাকে দূর্বল বানিয়ে এই সুযোগ কাজে লাগায় আইজান।
-আচ্ছা শুনো আইজান উঠে যাবে ভয় নেই তোমার আমি সব ভিডিও ছবি ডিলিট দিয়ে দিছি। ও আর কিছু করতে পারবে না।
ইনায়া পিছন ঘুরতেই দেখে আইজান দাঁড়িয়ে আছে।
আবছায়া
Writer::প্রিয়া
৩০
ইনায়া আইজানকে পাশ কাটিয়ে রুমে যেতে চাইলে। আইজান ইনায়ার চুলের গুছি ধরে সামনে টেনে নিয়ে আসে।
-আমার কাজে বাঁধা দেয়ার সাহস হলো কি করে তোর।
‘অভদ্রের মতো চিৎকার করে কি বুঝাতে চাও।তুমি খুব নেক কাজ করতে চাইছিলে আমি বাঁধা দিয়েছি।
লজ্জা করে না ঘরে অন্তসত্তা স্ত্রী রেখে আরেকটা মেয়ের সাথে ফষ্টি নষ্টি করতে।
আরেকটা মেয়ের জীবন নিয়ে খেলতে।
-তুই কিসের স্ত্রী হ্যা আয়নায় চেহারা দেখেছিস হাতির মতো দেখতে হয়েছিস।তোর দিকে এখন আমার চোখ যায় না।
অজান্তাকে দেখেছিস কি ফিগার দেখলেই না।
-আমাকে কেনো বিয়ে করেছিলি অজান্তাকে বিয়ে করতে পারলি না।
‘তখন তুই অজান্তার চাইতে ও বেশি হট ছিলি।
‘তুই একটা রাস্তার কুকুর না কুকুর ভাষা সাবলীল তুই একটা কুত্তা।
-কি বললি আমি কুত্তা।
‘কুত্তা হ্যাঁ তুই একটা কুত্তা।
-ঠাসসস ঠাসসস
দুটো থাপ্পড় দিতে ইনায়া বারান্দার গ্রিলের উপর গিয়ে পরে।
আইজান আবার ওর চুলের মুটি ধরে টেনে তুলে এলোপাথাড়ি থাপ্পর দিতে শুরু করে।
আইজানকে ছাড়িয়ে রুমে ছুটে চলে আসে ইনায়া।দরজার কাছে যেতেই পিছন থেকে ওর চুল ঝাপ্টে ধরে আইজান।টান দিয়ে খাটে ফেলে দেয়।
প্যান্ট থেকে বেল্ট খুলে আঘাতের পর আঘাত করেই যাচ্ছে।
ইনায়ার চিৎকার শুনে আইজানের বাবা,মা দরজা ধাকাচ্ছেন।।
শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ইনায়া আইজানকে লাথি মারে।লাথি খেয়ে কিছুটা দূরে ছিটকে পরে আইজান।
ইনায়া জান বাঁচানোর জন্য খাট থেকে উঠতে আইজান ইনায়ার পেট বরাবর লাথি মারে।
বাবা গো বলে চিৎকার করে ইনায়া ফ্লোরে পরে যায়।
আইজান দরজা খুলে বাইরে চলে যায়।
আইজানের মা-বাবা রুমে এসেই চিৎকার শুরু করেন।ইনায়া সেন্স লেস হয়ে পরে আছে ফ্লোর জুড়ে রক্ত ভেসে যাচ্ছে।
আইজানের মা আইজানের কাছে ছুটে যান।
-কি করেছিস মেয়েটার পুরো ঘর ভেসে যাচ্ছে রক্তে।
‘মরে গেছে।
-কি বলছিস মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোর।তাড়াতাড়ি গাড়ি বের কর না হলে সত্যি সত্যি মরে যাবে।
-মরে গেলে মরে যাবে আমি পারবো না।
‘তোর ফুফি যদি জানতে পারেন কুকুরের মতো তাড়িয়ে দিবে বুঝতে পারছিস।
ইনায়াকে উনি মেয়ে বানিয়েছেন। এতো বড় বিশাল সম্পত্তি সব হাতছাড়া হয়ে যাবে।
-শীট যাচ্ছি। তুমি আর বাবা মিলে ওকে বাইরে বের করো।
অনেক কষ্টে ইনায়াকে বাইরে বের করে আইজানের বাবা-মা।
হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার চিকিৎসা করতে নিষেধ জানালো।
-রোগীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পুলিশে কেস করতে হবে।পুলিশ আসার পর চিকিৎসা হবে।
আইজান মোটা অংকের টাকা দিয়ে ডাক্তারের মুখ বন্ধ করে চিকিৎসা করতে বলে।
ডাক্তার চেকাপ করে জানায় বাচ্চা জীবিত আছে এক্ষুণি সিজার করতে হবে।
আইজান সাইন করে দেয় সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় ইনায়াকে।
*সকাল থেকে ইনায়ার বাবার মনে শান্তি নেই।ঘর থেকে বাহিরে যাচ্ছেন আবার ঘরে এসে বসছেন।ফ্যান চলছে তা ও উনি ঘামছেন।
-আচ্ছা ইনায়ার মা আমার এমন লাগছে কেনো।
‘তোমার কি শরীর খারাপ লাগছে ডাক্তারের কাছে যাবে।
-শরীর ঠিক আছে কিন্তু শান্তি পাচ্ছি না আমার ছেলেমেয়ে কি ঠিক আছে।
‘কোন ছেলেমেয়ে সব স্বার্থপরদের জন্য এতো দরদ কেনো তোমার।
-অন্যদের চিন্তা করি না আমি সবাই চালাকচতুর শুধু মাত্র আমার ইনায়া বোকা।
আচ্ছা ইনায়ার বেবি হওয়ার কি সময় এসে গেছে।
‘না তো আর দু মাস বাকি।দাঁড়াও মেয়েকে ফোন দিচ্ছি কথা বলে শান্ত হও।
ইনায়ার মা ফোন দিলেন ইনায়ার নাম্বারে।রিং হচ্ছে কেউ রিসিভ করছে না।
অনেকবার ফোন দেয়ার পর কেউ রিসিভ করলো না।
এবার উনার ও টেনশন হচ্ছে বাধ্য হয়ে আইজানের কাছে ফোন দিলো।
আইজান জানালো ইনায়ার প্রেগন্যান্সিতে সমস্যা থাকার কারণে আর্জেন্ট সিজার করতে হচ্ছে।
ফোন রেখে কান্না করছেন ওরা দুজন মেয়ের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছেন দু হাত তুলে।
**পুরো দেড় ঘণ্টা অপারেশনের পর ডাক্তার ওটি থেকে বেড়িয়ে আসেন।
-আপনার ছেলে হয়েছে মা মোটামুটি সুস্থ তবে পুরোপুরি চিন্তামুক্ত না।
যেহেতু আপনার বাচ্চা ৩৪সপ্তাহে জন্ম নিয়েছে তাই ওকে বাচ্চাদের নিউওন্যাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হবে, কয়েক সপ্তাহের জন্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আইজানের মা-সেটা আবার কি ডাক্তার। ওকে কি খাওয়ানো হবে তাহলে।
-ইনকিউবেটরগুলিতে স্বচ্ছ ডোমে রাখা হয় অনেকে বলে গ্লাসের রাখা যা কেবলমাত্র সঠিক পরিমাণে আলো প্রবেশের অনুমতি দেয়। তাদের খাওয়ানো এবং শ্বাস প্রশ্বাসের জন্যও নল থাকে। এনআইসিইউর অভ্যন্তরিণ বায়ুমণ্ডলটি তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও গ্যাসের আংশিক চাপগুলির সঠিক মিশ্রণ সহ সাবধানে নিয়ন্ত্রণ করা হয় যা শিশুর বৃদ্ধি এবং পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করে।
আইজান-কতদিন রাখতে হবে আমার ছেলেকে।
-এখন ৩৪সপ্তাহ চলছে মিনিমাম আরো ২সপ্তাহ মানে বাচ্চার বয়স ৩৬সপ্তাহ হলে ওকে আপনাদের কাছে বাসায় দিয়ে দিবো।
এক দিন পর ইনায়ার জ্ঞান ফিরে চারিদিকে নল লাগানো অক্সিজেন মাস্ক খুলে গোঙাতে লাগতো।
নার্স এসে ওর পাশে বসে।ঠোঁটগুলো শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।
পানি খাওয়ার জন্য বলছে নার্স এসে ওর মুখে চামচ দিয়ে পানি খাইয়ে দিলো।
পেটে হাত দিয়ে দেখে বাচ্চা নেই।
-ম্যাম আপনার ছেলে বাবু হয়ছে মাশা আল্লাহ অনেক সুন্দর।
হাজারো কষ্টের মাঝে দুফোঁটা সুখের অশ্রু বেড়িয়ে গেলো ইনায়ার চোখ থেকে।
চলবে
চলবে