আমার গল্পে তুমি পর্ব -১২+১৩

#আমার_গল্পে_তুমি🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
#১২_পর্ব
,
তোমাকে সেই প্রথম থেকে বলছি এতো বেশি বকবক করো না, এখন হলো তো?? তোমার নাম ইয়ানা না রেখে মিস বকবক রাখা উচিত ছিলো।

হুমম যত দোষ এখন এই নন্দঘোষের, এখন সব দোষ আমার হয়ে গেলো নিজের গাড়ি খারাপ তা বলবে না শুধু শুধু আমার দোষ দিচ্ছেন,

তো তোমারই তো দোষ এখন এতো বকবক না করে হাঁটো আর তোমার এই বিশুদ্ধ বাতাস অনুভব করো সাথে ধূলা আর গাড়ির হর্ন ফ্রি।

করবোই তো আপনার মতো কি মাস্ক পরে থাকবো নাকি,,শুনুন মাঝে মাঝে না একটু আধটু এই প্রকৃতির মাঝে থেকে প্রকৃতিকে অনুভব করতে শিখুন নয়ত রোবট হয়ে যাবেন।

তোমার সাথে আসাই আমার ভুল হয়েছে নিহাত মা বললো তাই নয়ই তোমাকে নিয়ে আসার সময় আমার নেই শুধু বকবক করে ইডিয়ট ।

এই শোনেন আমার ও না আপনার সাথে আসার কোনো ইচ্ছে নেই নেহাত আন্টি বলল আর রাস্তায় কুকুর থাকে তাই জন্য আসলাম নয়ত আসতাম না।

ওকে এখন নিজের মুখটা বন্ধ করে হাঁটো রাত অনেক হয়েছে।

অন্ধকার রাত মনে হয় আমাবস্যা নয়ত এতো অন্ধকার কেনো হবে,, তবে রাস্তায় থাকা ল্যামপোস্টের আলোই ভালোই দেখা যাচ্ছে রাস্তা,, কিছুদূর হেঁটে যাওয়ার পর ইয়ানা আর্দ্র কে বলল,,
এখন তো আমি অফিসে নেই আর আপনিও আমার বস নন তাই একটা কথা বলবো মিস্টার আর্দ্র।

নো,

মনে হচ্ছে ওনার সাথে কথা বলার জন্য আমার ঘুম নেই যত্তসব,,

,,,,,,,,,,

অবশেষে বাড়ি আসলাম আর্দ্র চলে গিয়েছে আমি দরজায় টুকা দিতেই আম্মু দরজা খুলে বকা শুরু করল, আসলে মায়েরা এমনি হয় সন্তানের জন্য যেনো তাদের চিন্তার শেষ নেই,, আমি আম্মু কে সবটা বুঝিয়ে বললাম তবুও রেগে আছে এতোরাত কেনো হবে আর কোনো খবরও দেয়নি তাই,, শেষমেশ আম্মু কে বুঝিয়ে ফোনটা দিয়ে সব দেখিয়ে দিলাম,,

শোনো এরপর যদি আমার আসতে দেরি হয় তাহলে আমি তোমায় ফোন করে বলে দেবো ওকে আর তুমি চিন্তা করবে না।

চিন্তা করো না বললেই তো হবে না চিন্তা করা লাগে না আপনা আপনি চলে আসে, যখন মা হবি তখন বুঝবি ওহ হ্যাঁ তোকে তো বলতে ভুলেই গেছি কালকে একটু তারাতারি বাড়ি আসতে পারবি।

কেনো??

আরে আমার চাচাত বোন আছে না ওর ছেলে সুহাগ,ও নাকি এখন ভালো একটা চাকরি করে মাসে চল্লিশ হাজার টাকা বেতন একটা কোন কোম্পানির ম্যানেজার পদে আছে।

ভালো তো ছেলে যখন হয়েছে তখন চাকরি তো করতেই হবে এতে আমি কি করবো এসব কথা আমাকে কেনো বলছো।

না মানে বলছিলাম কি কালকে ওরা তোকে দেখতে বসবে তাই তুই একটি যলদি আসবি।

আম্মু আমি তো তোমাকে বলেছি আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না দেরি আছে এখনো।

আরে দেখতে আসলেই তো আর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে না,, আার বয়স তো কম হচ্ছে না বিয়ে তো করতেই হবে।

আমি কি একবারও বলেছি যে বিয়ে করবো না করবো তো কিন্তু এখন না পরে,, কেবল চাকরিটা পেলাম আগে তোমাকে নিয়ে পুরা ঢাকা শহরটা ঘুরি আমার ছোট ছোট স্বপ্ন গুলো পুরোন করি তারপর।

কিন্তু,,

কোনো কিন্তু নয় তুমি ওনাদের আসতে বলো এসে বেড়িয়ে যাক তবে বিয়ে এখন আমি করবো না ওকে,, এখন চলো খেয়ে নেবে।

সকালে,,,,,,

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে না খেয়েই রোজাদের বাসায় চলে গেলাম নোট নিতে হবে আমি তো ভার্সিটিতে যেতে পারি না তাই ওর থেকেই নিয়ে পরতে হবে,,, নোট নিয়ে বাড়ি আসতে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গেলো গোসল সেরে কয়টা খেয়ে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম অফিসে।

,, শোনো মিস ইয়ানা আমরা আজকে একটা নতুন প্রডাক্ট বাজারে লঞ্চ করেছি তাই সেটারই আজকে মার্কেটিং করবো,, আজকে বলো অনেকগুলো ফোন কল আসবে সবগুলা রিসিভ করে সুন্দর করে কথা বলে ওনাদের বুঝিয়ে বলবা ওকে।

ওকে স্যার।

প্রথম কয়দিন অফিসে এসে কাজ করে ভালোই লাগছিলো এতো অল্প কাজ সব কিছু আর্দ্র করে দিতো আমি শুধু আর্ধেক টা করতাম কিন্তু আমার আরামের দিন শেষ আজকে ফোনে কথা বলতে বলতে জীবন শেষ অনেক ক্লান্ত লাগছে মানুষ যে অফিস কেমনে করে কে জানে কাজ করছিলাম আর শুধু বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলাম কখন চারটা বাজবে আর আমি এখান থেকে ছুটি পাবো।

স্যার সবগুলা ফোনকল ধরা শেষ আপনি আমাকে যেগুলা কাজ দিয়েছিলেন সব কাজ শেষ এখন আমি গেলাম।

ওয়েট, এখানে পাঁচ টা ফাইল আছে আমি সব কিছু করে রেখেছি তুমি শুধু আবার প্রথম থেকে দেখবে যে সবকিছু ঠিক আছে কি না।

কিহ?? সারাদিন এতো কাজ করলাম এখন আবার স্কুলের মতো হোমওয়ার্ক দিচ্ছে এনাকে এখানে নয় স্কুলেই ভালো মানাবে।

একা একা বিরবির না করে ফাইল গুলো নিয়ে যাও এখান থেকে আমার সময় নষ্ট হচ্ছে এখনো অনেক কাজ বাকি।

আজকে একবার বাড়ি যান তারপর দেখাবো মজা,, আমার মাথায় আবার দুষ্ট বুদ্ধি তে ভরা।

,,,,,,,

কি হলো কিউটি পাই তুমি আজকে তোমার মুখটা অমন গোমরা করে রেখেছো কেনো??

কি আর বলব দুঃখের কথা তোমার চাচ্চুর জন্য জীবনটা আমার তেন্যাতেন্যা হয়ে গেলো কাজ করতে করতে।

ত্যানাত্যানা কি কিউটিপাই??

ত্যানাত্যানা হলো নাহ কিছু না তুমি পরো চাম্প।

ওকে,,

মা আমার টাওয়াল টা বিছানার উপর রেখে যেও তো আমি কিছু বের না করেই শাওয়ার নিতে চলে আসছি।

এই ছেলেকে নিয়ে আমি কি করবো এতোবড় হয়ে গেলো তবুও সব কিছু আমাকেই এগিয়ে দিতে হয়।

একটা কাজ করেন মা আমাদের আর্দ্র কে এবার একটা বিয়ে করাই দেন তাহলে আপনাকে আর কিছু এগিয়ে দিতে হবে না,, এখন মায়ের আঁচল ধরে ঘোরে তখন বউয়ের আঁচল ধরে ঘুরবে।

কি বলো অন্তরা তুমি চেনো না আর্দ্র কে ও কেমন,, আচ্ছা আমি এগুলো আবার দিয়ে আসি তুমি তরকারি টা দেখো কেমন??

আচ্ছা মা আপনি যান।

আচ্ছা চাম্প তোমাদের পুরো বাড়ির কলের মানে টিউবওয়েল শাওয়ার আর বাকি যা আছে এগুলো মেন লাইনটা কোথায়??

কোথায় আবার ছাদে, কেনো তুমি কি করবে??

কিছু না সোনা তুমি পরো আমি একটা কাজ করে আসছি।

,,,,সারা গায়ে ফেনা নিচে টাওজার পরা আর গলার সাথে টাওয়াল ঝুলিয়ে হাতে বালতি নিয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে বাইরে আসছিলো আর্দ্র তখনি ইয়ানা পরশের রুমে ঢুকতেছিলো এমন সময় আর্দ্র সাথে ইয়ানার সামনা সামনি দেখা হলো একটুর জন্য ধাক্কা খায়নি।

আরে আপনি দেখি বাড়ির মধ্যে চলে আসছেন যান যান বাইরে যান এবাড়ির কেউই এখন বাথরুম পরিষ্কার করাবে না আপনি বরং অন্য বাড়ি দেখুন।
#আমার_গল্পে_তুমি
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
#১৩_পর্ব
,
আরে আপনি দেখি বাড়ির মধ্যে চলে আসছেন যান যান বাইরে যান এবাড়ির কেউই এখন বাথরুম পরিষ্কার করাবে না আপনি বরং অন্য বাড়ি দেখুন।
হোয়াট?? হাও ডেয়ার ইউ তোমার সাহস কী করে হলো আমার সাথে এভাবে কথা বলার ড্যামেইট।
আরে ব্যাস আমাদের দেশটা দেখি অনেক উন্নত হয়ে গেছে আজকাল ডোম রাও ইংরেজি তে কথা বলে, কিন্তু আপনার গলাটা না কেমন যেনো চেনা চেনা লাগছে ঠিক আমার ওই রাগী বসটার মতো।
তুমি কখনোই শুধরাবে না,,, এই বলে আর্দ্র নিজের মুখ থেকে ফেনা নিয়ে ইয়ানার সারা মুখে ফেনা দিয়ে মাখিয়ে দিলো।

আরে এটা কি করলেন আপনি??

এইতো এখনতো ঠিকি চিনতে পেরেছো, এতোক্ষণ নাটক টা না করলেই পারতে,,
মা মা,, ভাবি কোথায় থাকো সব আমার রুমের শাওয়ার অফ হলো কীভাবে??
কিরে এতো চেঁচাচ্ছিস কেনো,,,সেকিরে তুই এমন অর্ধেক গোসল করে ঘুরে বেড়াচ্ছিস কেনো??
আর ইয়ানা তুমিতো দেখি গোসল না করেই হাতে মুখে ফেনা নিয়ে রেখেছো।

স্টপ , তোমরা একটু চুপ করবে,, আমার রুমের শাওয়ার চলছেনা কেনো কে অফ করেছে??

আহ আর্দ্র এতো রেগে যাচ্ছিস কেনো দেখছি আমরা এতো চেঁচানোর কি আছে, তুই রুমে যা আমরা দেখছি।
আর শোনো ভাবি তোমার এই টিউশন টিচার কে বলে দাও যেনো পরবর্তী তে আমার সাথে যেনো লাগতে না আসে, এখন তো শুধু ফেনায় মুড়ায়ছি এরপর,,, থাক বললাম না,, আমি রুমে যাচ্ছি যলদি কল ঠিক করো আমি শাওয়ার নেবো।

হমমমম আমার বয়েই গেছে ওনার সাথে লাগতে আর আমাকে কিছু বললে আমি ছেড়ে দেবো নাকি।

এই তোমরা একটু বলবা কি হয়েছে আমার রুমে শাওয়ারটা হঠাৎ করে অফ হয়ে গেলো কেনো?? অনিক ও দরজা দিয়ে মুখ বার করে বলল ওর গায়েও ফেনা।
নিন এটারই বাকি ছিলো,,, কিচ্ছু হয়নি তুমি রুমে যাও মনে হয় কেউ ভুল করে লাইন অফ করে দিয়েছে।
অন্তরা তুমি রুমে গিয়ে অনিককে পানি দাও আমি রহিমকে(কাজের লোক) বলছি ছাঁদে গিয়ে দেখে আসতে,, আর ইয়ানা তুমিও গিয়ে মুখটা ধুয়ে নাও।
ঠিক আছে আন্টি।

,,,,,,,,,,

এর মাঝে কেটে গেছে আরো কয়েকটা দিন এখনতো ওবাড়ির সবার সাথে ইয়ানার বেশ মিল হয়ে গেছে সবাই ইয়ানাকে বেশ ভালোবাসে শুধু মাএ আর্দ্র বাদে,, অনিক তো ইয়ানাকে ছোট বোন বলে আর ইয়ানা অনিককে এতো ঝুঁকি নিয়ে বাঁচিয়েছে সেটা জানার পরতো এখন সবাই আরো বেশি করে ইয়ানাকে চোখে হারায়, পরশতো তার কিউটিপাই বলতে অঙ্গান ইয়ানা বেশির ভাগ সময় এবাড়িতেই কাটায়।
আরে ইয়ানা থাক তুমি রান্না করছো কেনো তুমি আমাদের গেস্ট যাও ডয়িং রুমে গিয়ে পরশের সাথে বসে কার্টুন দেখো।

আপু আমি কি ছোট নাকি যে কার্টুন দেখবো,, আর সারা সপ্তাহে এই একটা মাএ দিনেই ছুটি পাই তাই দিনটা শুয়ে বসে থেকে নষ্ট করতে চাইনা,, ওহ হ্যাঁ আম্মু তোমাদের জন্য তিলের নারু দিয়েছে ব্যাগে রেখেছি দাঁড়াও আমি এক্ষুনি আনছি।
আরে আস্তে যাও ইয়ানা পরে যাবে তো,, এই মেয়েটাও না বড্ড বেশিই ভালো।

,,,,,

এ বাড়ির কারো দেখছি সময়ের কোনো জ্ঞানই নেই সেই কখন কফি চেয়েছি এখনো আসার নামে খোঁজ নেই আমাকেই কিচেনে গিয়ে দেখে আসতে হবে কফি কতদূর।

এই কিউটিপাই আস্তে আসো নইলে চাচ্চুর সাথে বিশাল সংঘর্ষণ হবে,, এই এই যাহ বলতে বলতে ধাক্কা লেগেই গেলো,,, কান হাত দিয়ে বসে থাকি এখনি শুধু হবে দু পক্ষের বিশাল লড়াই।

তোমার নাম মিস বকবক এর সাথে চলন্ত ট্রেন রাখাও উচিত ছিলো,, এটা বাড়ি এখানে একটু আস্তে হাঁটতে পারো না?? না সেই ঘুরেফিরে আমার উপরেই পরবে।

এই শুনুন আমার মাথাটা কি আপনার কাছে নারকেল মনে হয় যে আমি ইচ্ছে করে লোহার সাথে ধাক্কা মারবো যেনো ফেঁটে যায়,,, আপনার গায়ে গোশত বদলে শুধু হাড় মনে হয়,, উফ আমার কপালটা আলু হয়ে গেলো।

তোমার সাথে ফাও পেচাল পারার সময় আমার নেই সরো সামনে থেকে,, ভাবি আমার কফিটা কোথায়।
আমার ও যেনো ওনার সাথে কথা বলার জন্য ঘুম নেই হুম??

একি চাম্প তুমি এভাবে কানে হাত দিয়ে বসে আছো কেনো?? এদিকে যে ফোন বাজছে শুনতে পাচ্ছো না??
ওহ তোমাদের ঝগড়া শেষ?? আচ্ছা আমি ফোনটা ধরছি,, হ্যালো পরশ স্পিকিং।

,,,,,,,,,,,, ওপাশে।

কিহ কবে??

,,,,,,,,,,

আচ্ছা আমি সবাইকে বলে আসছি,,, না কাউকে ফোন দেবো না আমি এখন রাখছি।

কে ফোন দিয়েছিলো চাম্প??
সরো সরো মাম্মাম কে বলতে হবে যে লিজা পিজ্জা আসছে,,

এই লিজা পিজ্জা টা আবার কে?? কি জানি হবে হয়ত কেউ,, যায় নারু গুলো নিয়ে আপুকে দিয়ে বাড়ি যায় অনেক্ক্ষণ হলো আসছি।

এই নাও আপু নারু আমি তাহলে যায় বলো অনেকক্ষণ হলো আসছি এবার বাড়ি না গেলে আম্মু রাগ করবে।

সেকি এখনি চলে যাবা?? না না এখন যাওয়া হবে না আমার কথায় যেমন এসেছো তেমনি আমার কথায় যাবা ওকে।

কিন্ত,,,,

কোনো কিন্তু নয় চুপ করে বসে থাকো।
সে নাহয় থাকলাম,, আচ্ছা আপু এই লিজা পিজ্জা টা কে??
তোমাকে নিশ্চয়ই পরশ বলেছে?? এটাকে নিয়ে যে কি করি আসলে লিজা হলো আমার শশুর মশায়ের একমাএ বন্ধুর একমাএ মেয়ে আর তোমার বস মানে আর্দ্রর বন্ধু।
বাবাহ ওনার আবার বন্ধুও আছে?? ভাবা যায়।
তোমার এতো ভাবা লাগবে না তুমি বরং এই কফিটা আর্দ্র কে দিয়ে আসো অনেকক্ষণ আগে কফি চেয়েছে এবার না দিলে তুলকালাম বাঁধাবে।

তুমি কি আমাকে মারার প্ল্যান করেছো আমার এতো তারাতারি মরার সখ নেই তোমার দেবর কে তুমিই কফি দিয়ে আসো আমি পারবো না বাবা।
প্লিজ বাবু একটু দিয়ে আসো আমি রান্নাটা নামিয়ে আবার রুমে যেতে হবে তোমার ভাইয়া ডাকছে।

আমি যাবো???

হুুমম তুমিই যাবে আর আমার দেবর বাঘ না ভাল্লুক যে তোমাকে খেয়ে ফেলবে,, এই নাও কফি আর যাও দিয়ে আসো, আমার অনেক কাজ আছে,, মা ও নেই যে ওনাকে বলবো।

কি আর করার ইয়ানা শেষ মেষ এই ছিলো তোর কপালে যাহ আবার একটা ঝড় সামলানোর জন্য তৈরি হয়।
,,,,,,,,,,,
এই যে মিস্টার এই নিন আপনার কফি এখানে রেখে গেলাম।
আস্তে আমি কাজ করছি দেখতে পারছো না,, চুপচাপ কফি রেখে চলে যাও।
আমার এখানে থাকার কোনো ইচ্ছে নেই হুমম??
ইয়নার কথায় আর্দ্র রেগে বিছানা থেকে নেমে ইয়ানার একদম কাছে এসে ইয়ানাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে বলল।
মিস বকবক তোমার এই বকবকানি আমার সামনে একদম দেখাবে না নয়ত।
ত,,,তো নয়ত ক,,কি কি করবেন।

কি করবো সেটা সময় হলেই বুঝবে,,।

ক,,কিচ্ছু করতে পারবেন না, আর আপনি আমার এতো কাছে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো দূরে যান আমার কেমন যেনো লাগছে।
কেমন লাগছে?? মুখটা আরো এগিয়ে এনে ভ্রু কুঁচকে বলল আর্দ্র।

সেটা আপনাকে বলবো কেনো আপনি সরুন তো সামনে থেকে দূর যান একদম অনেক দূরে এভাবে হুটহাট আমার কাছে আসবেন না।
এই শোনো তোমার মতো মেয়ের প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই ওকে সো অন্যকিছু ভাবা বাদ দাও।
আমি মোটেও অন্য কিছু ভাবছি না আপনি বরং অন্য কিছু মিন করছেন।
বাদ দাও তোমার সাথে কথা বলার ইচ্ছে আমার নেই,, গেট আউট,, আর হ্যাঁ যাওয়ার আগে দরজাটা দিয়ে যাবে।

পারবো না পারলে নিজে দরজা দিয়ে আসেন ওফ আজকে একটুর জন্য হাঁটুফেল থুরি হার্টফেল করছিলাম,,।

চলবে,,,,,,,??
চলবে,,,,,??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here