আমার তুমি পর্ব ৫

#আমার_তুমি❤
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি ❤
#পর্ব:- ৫

–কে তুমি?

আরুশি প্রশ্নটা শুনা মাএ মাথা উচু করে সামনের লোকটার দিকে তাকালো,
ফর্সা করে একটা লোক দাড়িয়ে আছে।

–তোমাকে কিছু জিগ্গেস করছি কে তুমি? এখানে কি করছো বাসায় ঢুকলে কিভাবে?

–আমমমি আরুশিশশ,

–ভয় পেয় না তোমাকে কেউ কিছু বলবে না। আমি যা প্রশ্ন করবো তার ঠিক ঠিক উওর দেবে।

আরুশি মাথা নারালো,

–এবার বলো তুমি এখানে কি উদ্দেশ্যে এসেছো?

–আমি কোন উদ্দেশ্যে আসি নি বিশ্বাস করুন। আর আমি চোর না সবাই আমাকে ভুল বুঝছে !!

–তুমি চোর না আমরা বিশ্বাস কেন করবো মা বলো। এভাবে বাসার ভেতরে এসে লুকিয়ে ফুল ছিরেছো এটা তো চুরিই হয়েছে তাই না।

–হুম আমার এভাবে ফুল ছেড়া উচিত হয় নি কিন্তু আমি চোর না। আপনি কি উদ্দেশ্যে বলছেন আমি জানি না। কিন্তু আমি এখানে ইচ্ছে করে আসি নি। কিভাবে চলে এসেছি আমি নিজেও জানি না।

এটা বলতেই পাশে থেকে একজন গার্ড বলে উঠলো,

–ইহহ ইচ্ছে করে আসে নি মিথ্যাবাদী ইচ্ছে করে না আসলে কে তোকে তুলে এনেছে শুনি। আমাদের বোকা পেয়েছিস তাই না। সত্যি করে বল এখানে কি ভাবে এলি কে পাঠিয়েছে তোকে স্যার এর কোন শএুর পক্ষে থেকে এসেছিস বল??

–আরুশি কিছু বুঝতে পারছে কি শএু কার কি করবে? আন্কেল আপনি বিশ্বাস করেন আমি খারাপ মতলবে এখানে আসি না। ভুল ক্রমে চলে এসেছি এখানে আসার কোন ইচ্ছে ছিলো না কিন্তু কাল রাতে নিজেকে বাচাতে গাড়িতে আশ্রয় নেই তারপর কখযে গাড়িতেই ঘুমিয়ে পরেছি খেয়াল নেই। সকালে যখন চোখ খুললাম নিজেকে এখানে পেলাম তারপর থেকে এখানে। আর এই ফুল আমার খুব পছন্দের তাই দেখে নিজেকে সামলাতে না পেরে ছিরে ফেলেছি। আমাকে বিশ্বাস করুন প্লিজ।

আরুশি ভয়ে কান্না করে দিয়েছে,
ওই গার্ডটা আবার বলে উঠে, এসব মেয়েদের একদম বিশ্বাস করবেন না বড় স্যার এরা কান্না করে মিথ্যে কথা সত্যি বলে প্রমাণ করার জন্য। নিজেকে অসহায় বলে সবার সর্বনাশ করে। এই মেয়ে ভালোই ভালোই বল তোর মতলব কি নাহলে কিন্তু,…..

কথার মাঝে রায়হান চৌধুরী গার্ডকে হাতের ইশারায় থামিয়ে দিলো, গার্ড ভয়ে চুপ করে সরে দাড়ালো,
রায়হান চৌধুরী এতো ক্ষণ তাকিয়ে ছিলো আরুশির দিকে মেয়েটার একটা কথাও তার মিথ্যে বলে মনে হয় নি। এত নিশ্পাপ মুখ মেয়েটার দেখলে কেউ অবিশ্বাস্য করতে পারবে না । কেন জানি খুব বিশ্বাস করতে মন চাইছে তার। মেয়েটা বলল নিজেকে বাচাতে গাড়িতে উঠেছিল গাড়ি তো লক থাকার কথা রাইয়্যানের কাছে শুনতে হবে কাল গাড়ি আনলক ছিলো নাকি।

–গাড়িতে উঠেছিলে নিজেকে বাচাতেঁ কি হয়েছিল তোমার আর রাতে বাইরে একা কি করছিলে তুমি।

সঙ্গে সঙ্গে আরুশি মনটা আর ও খারাপ হয়ে গেল নিজের এই র্দুদিনের কথা কাউকে বলে নিজেকে হাসির পাএ করতে চায় না কিন্তু সত্যি না বলে উপায় ও নেই এরা খুব নামিদামী মানুষ বুঝা যাচ্ছে।

— আমার তো কেউ নেই কোথায় যাবো কে থাকবে সাথে। আর বাইরেই তো থাকবো আমার ত বাড়ি নেই।

রায়হান চৌধুরী চমকে তাকালো, মেয়েটা কী বলে বাড়ি নেই মানে। আচ্ছা গার্ড ঠিক বলেছে নাকি মেয়েটা আমাকে মিথ্যে বলে সিমপাতি নিতে চাচ্ছে না তো।

–বাসা নেই মানে তাহলে এতো দিন কোথায় ছিলে??

–আগে একজনের আশ্রয় এ থাকতাম এখন তারা আর আমাকে রাখবে না তাই বাসা থেকে তারিয়ে দিয়েছে।

–তাড়িয়ে কেন দিলো??

–জানি না,

–তুমি যে সত্যি বলছো তার কি প্রমাণ আছে। আমাদের হাতে থেকে বাচতে ও তো মিথ্যে কথা বানিয়ে বলতে পারো তাইনা।

–হুম তা আপনার মনে হতেই পারে কিন্তু আমি একটুও মিথ্যে বলছিনা [ মনে মনে ভাবে একটু মিথ্যে হলে ও তো এটাই সত্যি আগে আশ্রয় ছিলো এখন নাই] কিন্তু আপনাদের প্রমাণ দেওয়ার মতো কিছু নেই আমার কাছে। [ চোখ দিয়ে অধরে পানি পরছে কেন লুকিয়ে থাকলাম না। কেন এই ফুল নিতে এলাম এগুলো তো আমার জন্য না যা আমার না তা কেন নিতে চাস আরুশি তোর এতো লোভ কেন? নিজের গালে নিজের চর মারতে মন চাইছে।

রায়হান চৌধুরী তাকিয়ে আছে মেয়ের দিকে তার মন সাই দিচ্ছে না মেয়েটার বিরুদ্ধে যেত কেন জানি খুব আপন লাগছে মেয়েটাকে তার এতো কাছে মনে হচ্ছে কেন? বিশ্বাস করতে মন চাইছে খুব কান্না দেখে বুকে লাগছে কে এই মেয়ে একে তো আগে কখনো দেখি ও নি তাও এতো আপন লাগছে কেন?
অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলো মেয়েটিকে শাস্তি দেবে না।

–সবাই এখানে থেকে যাও।

সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে এই মানুষ টা একটু বেশি ভালো একটুতেই বিশ্বাস করে নিলো। গার্ড রা বলা বলি করতে করতে চলে গেল। ছোট
স্যার থাকলে ঠিক একটা ব্যবস্থা করতো মেয়েটার।

–তোমাকে আমার বিশ্বাস হয়েছে তাই ছেড়ে দিচ্ছি।

আরুশি খুশি হয়ে তাকায়ে আছে লোকটার দিকে কি ভয় টাই না পেয়েছিলো। উফ জান আমার বের হয়ে যাচ্ছিলো কি ভালো এই আন্কেলটা কিছু বললো না। আরুশি এগিয়ে গিয়ে পা ধরে সালাম করলো রায়হানের সবাই চলে গেছে সে একটাই আছে এখানে। রায়হান চমকে তাকালো,

–একি করছো উঠো!!

— ধন্যবাদ আন্কেল বিশ্বাস করার জন্য, আপনি খুব ভালো মানুষ আমার দেখা দ্বিতীয় ভালো মানুষ আপনি অচেনা একটা মেয়ের কথা এভাবে বিশ্বাস করবেন আমি ভাবি না।

–তোমার কথা আমার বিশ্বাস হয়েছে। তোমাকে আমার কেন জানি আপন লাগছে মনে হচ্ছে রক্তের সম্পর্ক আছে কিন্তু বুঝতে পারছি না। তুমি এখন যাবে কোথায়?

–জানি না।

–মানে তাহলে যাবে কোথায় এভাবে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে নাকি??

–যার কেউ নেই তার তো রাস্তায় ই ঘুরতে হবে। আচ্ছা আন্কেল ভালো থাকবেন আসি।

বলেই ফিরে চলে যেতে নেই আবার ফিরে আসে, রায়হান তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে খুব মিষ্টি মেয়েটি আজ তার একটা মেয়ে থাকলে ও এই রকম ই হতো কিন্তু কপাল খারাপ হলে যা হয় এক ছেলের পর আর কোন সন্তান হয় নি তার স্ত্রীর। হঠাৎ আবার আরুশি ফিরে আসতে দেখে ভ্রু কুচকে তাকায়,

–আন্কেল ফুলটার জন্য তো অনেক বকা খেয়েছি এখন কি ফুলটা আমি নিতে পারি। আসলে ছিরে ফেলেছি তো এটা এখানে পরে থাকলে তো নষ্টই হয়ে যাবে তাই আর কি??

বলেই মাথা নিচু করে ফেলল, আরুশি উচ্চ সুরে হাসি কানে আসতেই মাথা উচু করলো সাথে সাথে উপরে তাকিয়ে দেখলো ওই আন্কেলটা হাসছে।মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো,

–পাগলী মেয়েটা একটা যাও নেও ফুল। তোমার তো ফুল অনেক পছন্দ দেখছি।

নেওয়ার কথা বলতেই আরুশি ফুলটা নিচে পরে ছিলো সেটা তারাতারি উঠিয়ে নিলো আবার ধন্যবাদ দিয়ে চলে যেতে নিলো। খুশি লাগছে অনেক লাফাতে লাফাতে চলে যেতেছে। হঠাৎ আবার নিজের নাম ধরে ডাক দিতেই চমকে তাকালো আল্লাহ আবার বকবে নাতো এতো ডাকে কেন? একবার বের হতে পারলে শান্তি পেতাম।

ভয় হচ্ছে কিন্তু নিজেকে ঠিক করে আবার পেছনে ফিরে হাসি হাসি মুখ করে বলল, কি?

আরুশি কি বলবে আর আচ্ছা উনার কি এখন আবার আমাকে অবিশ্বাস্য হচ্ছে নাকি। ইসস ফুল নিতে কেন এলাম আবার তার সামনে দাড়াতেই তিনি বলল,

— তোমার তো এখন যাওয়ার জায়গা নেই বলল, আগে যেখানে থাকতে তারা তো তাড়িয়ে দিতেছে এখন থাকার জায়গা ও নাই।

–হুম

— তাহলে এভাবে রাস্তায় ই কতো সময় ঘুরবে। এভাবে ঘুরে কোন আশ্রয় পাবে বলে মনে হয় না। আর যেকোন সময় যেকোনো বিপদের সমোক্ষিণ হতে হবে তোমাকে। তুমি চাইলে এখানে থাকতে পারো।

আরুশি যেন চাদঁ হাতে পেল এমন অবস্থা।

–এখানেনন কিন্তু

–তোমাকে এভাবে রাস্তা একা তো ছাড়া যায় না। কাল বিপদে পরছিলে আজ ও তো পরতে পারো।

–এখান কেনই বা রাখবেন অযথা থাকবোই বা কেন? আপনাদের ঘারে বুঝা হয়ে থাকতে চাইনা আমি।

–বুজা হয়ে থাকবে কেন কাজ করবে।

–কাজজ

–হ্যাঁ

দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে এলো আরুশি সাথে আন্কেলটাও আছে। বলার সাথে সাথে আরুশি রাজি হয়ে গেছে কাজ ছাড়া থাকবে না আরুশি তাই উনি বলেছেন উনার দেখা শুনা করতে। তার সাথে আড্ডা গল্প, দিতে তার কাজ করে দিবে। আরুশি তো সেই খুশি। আন্কেল টাকার কথা বলেছে আরুশি বলেছে টাকা লাগবে না খেতে আর থাকতে দিলেই হবে। ভেতরে ঢুকে আরুশি আরেক দফা চমকায় আল্লাহ গো এতো বড় বাসা চোখ ধাধানো সুন্দর। কি সুন্দর আরুশি হা করে চারদিকে তাকিয়ে আছে পুরো রুমে সাদা রং করা বড় বড় সোফা কি সুন্দর তার সামনে ছোট একটা টেবিল তার উপর ফুল সাজানো। পাশে একটু দূরে একটা ইয়া বড় টেবিল বাসার অনেক মানুষ নিশ্চয়ই এতো বড় টেবিল। একটা মেয়ে আরুশির মতোই বয়স টা একটু বেশী হবে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে গিয়ের রং শ্যামলা কিন্তু মনে হচ্ছে খুব সেজে গুজে থাই মেয়েটা। ঠোটে টকটকে লিপস্টিক কেমন যেন তাকানো তার সে আমার দিকে এগিয়ে এসে আন্কেলের দিকে তাকিয়ে বলল,

–কাকু এই মাইয়া এখানে কেন ওরে তাড়ান নাই??

–না ও এখন থেকে এখানেই থাকবে জেসমিন। নিচে তো রুম খালি নাই উপরে রাইয়্যানের পাশের রুম ওকে দিয়ে আস। ও ওখানেই থাকবে।

জেসমিন তো হা হয়ে আছে। থাকবে মানে বলে কি কাকু টা এই মাইয়াটারে এখানে রাখবো। বিরক্ত চোখে তাকিয়ে আছে ও আরুশির দিকে। আবার ছোট স্যার এর পাশের কি সুন্দর রুম টাই থাকতে দিবো।

–কি হলো তোমার কানে আমার কথা যায় না এভাবে দাড়িয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছো কেন যাও?

আর কি বা বলবে এদের বাসা এরা যা বলবে তাই তো করতে হবে। রাগ বিরক্ত নিয়ে আরুশিকে আসতে বলে হনহন করে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলো,,,

জেসমিন আগেই উঠে গেছে আরুশি পেছনে পরেছে কারণ ও তো চারপাশে দেখতে দেখতে লেট করে ফেলছে,

এখানে থাকবে ও ভাবতে আনন্দে মনটা নেচে উঠছে আরুশির। এক পা এক পা করে সিড়ি দিয়ে উঠতে লাগলো। উপরে উঠে গেছে এখন বিপদ হলো মেয়েটা গেল কই কোন দিকে গেল কে জানে এখন কোথায় যাবো।

আরুশি পরছে বিপদে ইস কেন যে বারবার ভুল করে ফেলি অন্য দিকে মনোযোগ না দিয়ে তার সাথে যাওয়া উচিত ছিলো চারটা রুম কোনটায় যাব।

নখ নামরাচ্ছে আর ভাবছে কোনটায় যাবো। দূর এতো ভেবে কাজ কি একটা একটা করে সব রুম চেক করলেই তো হয় মেয়েটা কোন রুমে আছে যেটায় পাব সেটাই ঢুকে যাব।

আরুশি পূর্ব সাইটের আগে শেষের রুমের দিকে যেতে লাগলো।
দরজায় কাছে এসে গেছে একটু খুলে ফাকঁ করে মাথা ঢুকালো কিন্তু নিজের অসাবধানতার দরজাটা পুরো খুলে গেল ভয় পেয়ে যায় আরুশি তারাতারি দরজা চাপালো আবার। ভেতরে ওই মেয়েটাকে দেখেনি আরুশি,

পেছনে ঘুরে চলে আসতে পেয়। হঠাৎ হাতে টান অনুভব করে চমকে উঠে,

— হু অার ইউ, এই তুমি সেই চোর মেয়েটা না। বাসার ভেতরে চলে এসেছোএ একদম আমার রুমে। ও মাই গড, তুমি রুমে কিভাবে এলে সবাই তোমাকে এলাউ করলো আববু কোথায়?

চিৎকার করে আববু বলে ডাকতে লাগল,
রাইয়্যান আরুশির ড্রেস দেখে চিনতে পরেছে। কারণ নিচে থাকতে ড্রেস দেখেছে ভালো করে।

আরুশি তো রেগে ফাইয়ার ওকে চোর বলল আবার এই কণ্ঠ টি তখন ও পেয়েছিল। আবার এখন ও তখন তো আর এই কণ্ঠের মালিকে দেখতে পারেনি এবার একে ইচ্ছে মতো কথা শুনাবো আমাকে চোর বলা। এই বাসার মালিক তো আন্কেল তিনি আমাকে বিশ্বাস করে নিয়েছে। আর এ কে আমি আর ভ য় কেন পাব। সাহস করে পেছনে ফিরে তাকালো আরুশি সাথে সাথে একটা ঝটকা খেলো। চেনা চেনা লাগছে যেন কোথায় যেন দেখেছি মনে মনে করতে পারছে না আরুশি। কালো টিশার্ট গায়ে গালে খোচা খোচা দাড়ি গায়ে রং অতিরিক্ত ফর্সা। হাতে ঘড়ি, এক কানে রিং বাপরে কি ভাব ছেলেরাও রিং পরে যত দেখছে চেনা লাগছে, চোখ দেখে আর ও ব্রাউন কালারের চুল গুলো কপালে পরে আছে।

–তোমাকে আমার চেনা লাগছে কেন? হুয়াই কোথায় যেন দেখেছি। [ রাইয়্যানের ও চেনা লাগছে রেগে হাত চেপে ধরেছিল। এদিকে তাকাতেই আরুশি দেখে চমকায় এতো চেনা লাগছে কেন]

–আপনার ও আমাকে চেনা লাগছে।

–হ্যা মনে হচ্ছে আগে দেখেছি। আচ্ছা তুমি কি আগে ও এখানে চুরি করতে এসে ধরা পরেছিলে আমার কাছে। তাই ই হবে সিউর আমি ধরেছিলাম একজন চোরকে তো এ ছাড়া আমার চেনার কথা নাহ। রাই…..

মাঝ পথে আরুশি রাইয়্যান কে থামিয়ে দিলো মানে হাত টান মেরে ছারিয়ে নিলো, রাগে আরুশি কটমট করে তাকালো,
অসভ্য লোক জানি কোথাকার আমাকে পার্মান্টলি চোর বলছে, আগে ও আমি চুরি করেছি আর ধরা খেয়েছি। এতো বড় অপবাদ,

–আপনার এতো বড় সাহস আপনি আমাকে চোর বলছেন। আমি এখনই আন্কেলের কাছে বিচার দিবো অসভ্য লোক একটা চেনা নেই জানা নেই এভাবে চোর বলে দিলেন।

–চোর বললে সমস্যা কি একটু আগে ও তুমি চুরি করেছো সো ইউ একটা,

–চুপ আর একবার ও চোর বললে, ভালো হবে না বলে দিচ্ছি। একটা ফুল ছিরলে কেউ চোর হয়ে যায় না ওকে। আর যার বাসার থেকে ছিরেছি সে আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে তাই আপনি আমাকে এভাবে চোর বলতে পারেন না।

চলবে❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here