আমার তোমাকে প্রয়োজন পর্ব -০১

#আমার_তোমাকে_প্রয়োজন💖
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_1

কপি নিষিদ্ধ ❌

র’ক্তা’ক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে ঐশী।
ঐশীর শরীর থেকে গলগল করে র’ক্ত বের হচ্ছে।
ওর র’ক্তে সাদা টাইলস লাল বর্ণ ধারণ করেছে।
ওর শরীরে উঠার মতো বিন্দু মাএ শক্তি নেই,
ও নিভু নিভু চোখে সামনে বসে থাকা ব্যাক্তিকে দেখছে।

ঐশীর সামনে হাতের বেল্টটা মুঠো করে ধরে চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে আহাদ।
চোখে মুখে রাগের রেশ এখনো কাটেনি তার,তড়তড় করে ঘামছে সে,ঐশীর গায়ে আ’ঘা’ত করে সে ক্লান্ত।

হ্যাঁ আহাদ ঐশীকে বেল্ট দিয়ে মে’রেছে,মে’রে র’ক্তা’ক্ত করে ফেলেছে।

আহাদ চেয়ার ছেড়ে উঠে,হেঁটে ঐশীর কাছে এসে মেঝেতে এক হাঁটু গেড়ে বসে শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে ঐশীর থুতনি উঁচু করে ঐশীর চোখে চোখ রেখে গম্ভীর স্বরে বলে,
“কি হলো জান উঠার শক্তি নেই?
উঠতে পারছো না?
তুমি কি ভেবেছিলে তুমি পালিয়ে যাবে আর আমি তোমায় ধরতে পারবো না?
ভুল ভেবেছিলে জান ভুল ভেবেছিলে,এই চার দেয়ালের
বাহিরে তুমি কখনো যেতে পারবে না,বাঁচতে হলে তোমাকে এখানেই বাঁচতে হবে ম’রতে হলেও তোমাকে এখানেই ম’রতে হবে,কখনো এখান থেকে পালাতে পারবে না,আমি তোমায় পালাতে দিবো না,
তোমাকে সারাটা জীবন এখানেই থাকতে হবে,
একটা কথা মাথায় রেখো তুমি শুধু আমার,শুধু আমার।
কথাটি বলে আহাদ হন হন করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
কথা বলার মতো শক্তি টুকুও নেই ঐশীর মাঝে,
আহাদের কথার উওরে সে একটি কথাও বলতে পারেনি কেবলমাএ ক্লান্তি মাখা নয়নে তাকে দেখেছে।
ঐশী বুঝতে পেরেছে ওর পালানো উচিত হয়নি কিন্তু ও কি বা করবে ওর যে এখানে দম বন্ধ হয়ে আসে,
ও কিভাবে সারাজীবন এখানে থাকবে।
ঐশী আর কিছু ভাবতে পারলো না জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।

ঐশী আহাদের গল্পের শুরুটা হয় ১ বছর আগে।

১ বছর আগে,
ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে ঐশী,
গায়ে জড়িয়েছে নীল শাড়ী,কানে পড়েছে দুল,দু হাতে পড়েছে নীল রংয়ের কাঁচের চুড়ি,নাকে পড়েছে ছোট হোয়াইট স্টোনের নোসপিন,চোখে চিকন করে আইলাইনার দিয়েছে আর ঠোঁটের হালকা কফি কালারের লিপস্টিক দিয়েছে,চুল গুলো আচঁড়ে ছেড়ে দিয়েছে,ব্যাস এতেই ওকে অনেক সুন্দর লাগছে।

আজ ভার্সিটিতে নবীন বরণ হবে তাই ঐশী ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে।

ঐশী রেডি হয়ে রুম থেকে বের হয়।
ঐশীর মা ঐশীকে রুম থেকে বের হতে দেখে ওর কাছে এসে ওর গালে হাত রেখে বলে,
মা রেডি তুমি।

হ্যাঁ আম্মু,আম্মু আমি ভার্সিটিতে যাচ্ছি তুমি সাবধানে থেকো।

আচ্ছা তুমিও সাবধানে যেয়েও।

ঐশী “আচ্ছা” বলে বাসা থেকে বের হয়।
রিকশা পেতেই রিকশা চড়ে বসে ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়।

[ঐশী ইসলাম,বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে,ঐশীর বয়স যখন পাঁচ বছর তখন ঐশীর বাবা মা’রা যায়,ঐশীর বাবা মা পালিয়ে বিয়ে করায় তাদের বাবা মা তাদের তেজ্জ করে দেয় এমনকি ঐশীর বাবা মা’রা যাওয়ার পরও ওনাদের ফেমেলি ঐশী ও ঐশীর মায়ের কাছে আসেনি,ওদের খবর নেওয়ার প্রয়োজনও মনে করেনি।
ঐশীর মা আমেনা একা হাতেই ঐশীকে মানুষ করেছেন
ওদের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ওদের বাড়ি,
ঐশীদের দোতলা বাড়ি আছে যার উপরের তলায় ওরা থাকে আর নিচের তলার দুটো ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছে।
সে ভাড়া দিয়েই ওদের চলতে হয়,এত অল্প টাকায় চলতে ওদের হিমসিম খেতে হয় তাই আমেনা কাজ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ঐশী তাকে কাজ করতে দিবে না,ঐশী সিদ্ধান্ত নেয় ও নিজেই কিছু করবে,
ও এখন তিনটে টিউশন পড়ায়।
ঐশী মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর,ফর্সা তার গায়ের রং,
চোখ দুটো টানা টানা,গোলাপি রংয়ের ঠোঁট তার,
সিল্ক চুলগুলো পিঠ অব্দি লম্বা,ঐশী দেখতে যেমন সুন্দর,তার ব্যবহার আরো সুন্দর,ঐশী খুব সহজ সরল মিষ্টি একটি মেয়ে,সে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে,
ঐশী অনার্স প্রথম বর্ষের ছাএী,আজ ওদের ভার্সিটিতে নবীনদের বরণ করা হবে তাই ও রেডি হয়ে ভার্সিটিতে গিয়েছে।]

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাতে ঘড়ি পড়ছে আহাদ শেখ
পরনে তার কালো শার্ট,কালো কোর্ট,কালো প্যান্ট আর
কালো জুতা।
আহাদ রেডি হয়ে ওর এসিস্টেন্ট সিয়ামকে কল দেয়।
হ্যালো সিয়াম।

ইয়েস স্যার।

আজকে কোনো মিটিং আছে?

জ্বী স্যার আজ পাঁচ টায় একটা মিটিং আছে।

ওকে।

আহাদ সিয়ামের সাথে কথা বলতে বলতে নিচে চলে আসে,একজন সার্ভেন্ট দরজা খুলে দেয় আহাদ বাসা থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে বসে,ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দেয়।

[আহাদ শেখ,আয়মান শেখের একমাত্র ছেলে।
আহাদ শেখ,তার নাম যতটা সুন্দর সে দেখতে তার থেকে আরো বেশি সুন্দর,ফর্সা তার গায়ের রং,সুঠাম দেহের অধিকার সে,ফর্সা গালের চাপ দাড়ি তার সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়,আহাদ একজন ব্যবসায়ী,
আহাদ খুব রাগী ও গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ,অফিসের সবাই তার রাগকে ভিষণ ভয় পায়।
ব্যবসায়ী পরিচয় ছাড়া তার আরো একটি পরিচয় আছে সে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের মা’ফি’য়া,তার নাম শুনতেই পুরো শহরের মানুষ থরথর করে কাঁপে,আহাদ সবার সামনে মানুষ খু”ন করে,মাঝে মাঝে রাস্তায় সবার গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় মানুষ খু”ন করে,সে কাউকে পরওয়া করে না,তার কাছে ভুলের একটাই শাস্তি তা হলো মৃ’ত্যু।
আয়মান শেখ ভার্সিটির প্রিন্সিপাল,তার ভার্সিটির চিফ গেস্ট আহাদ,আহাদ আয়মানের ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য বের হয়েছে।]

ভার্সিটির মেইন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ঐশী।
ঐশী মুচকি হেসে ভেতরে প্রবেশ করে,ভার্সিটির মাঠে স্টেজ তৈরি করা হয়েছে,ও সেখানে রাখা চেয়ারে যেয়ে বসে,এখনো প্রিন্সিপাল স্যার আর চিফ গেস্ট আসেনি।
ঐশী ফোনে ফেসবুকিং করছিলো তখন ও শুনতে পায়,
ওর পাশের মেয়েরা বলাবলি করছে,
“এই জানিস আজ আহাদ শেখ আসবেন।
তাই নাকি?
আরে হ্যাঁ উনিই তো আমাদের চিফ গেস্ট।
সত্যি বলছিস!
আরে হ্যাঁ সত্যি বলছি।
হায় আমার ক্রাশ আসবে,আমার যে কি খুশি লাগছে তোকে বলে বুঝাতে পারবো না।”
এরকম আরো কথা বলছে ওরা।
ওদের কথা শুনে ঐশীর মনে অজানা ভয় কাজ করছে।
আহাদ শেখ,মা’ফি’য়া আহাদ শেখ?
না না উনি কেনো আসবেন,ওনার এখানে কি কাজ,
না নিশ্চয়ই এটা অন্য আহাদ শেখ,হ্যাঁ অন্য কেউই হবে,
এই কথা গুলোই ঐশীর মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে।

ভার্সিটির গেট দিয়ে কালো রঙের চারটি গাড়ি প্রবেশ করলো,একটি গাড়ি থেকে আহাদ নেমে আসলো আর বাকি গাড়ি থেকে ওর গার্ডরা বের হলো।
আহাদ চোখে সানগ্লাস পড়ে,পকেটে হাত গুঁজে সামনের দিকে হাটা শুরু করলো আর ওর পেছন পেছন গার্ডরা হাঁটা শুরু করলো।

আহাদ স্টেজে পা রাখতেই সেখানে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে যায়,ঐশীও দাঁড়ায় কিন্তু ও এখনো আহাদের মুখ দেখতে পারেনি,আহাদ চেয়ারে বসে হাতের ইশারায় সবাইকে বসতে বলে,সবাই বসে পড়ে।
আহাদের চেহারা দেখা মাএই ঐশীকে ভয় জেঁ’কে ধরে,
ঐশী মা’রা’মা’রি,খু”ন খারাবী,মা’ফি’য়া এদেরকে অনেক ভয় পায়,ঐশী আহাদকে টিভিতে অনেকবার দেখেছে,ওর ব্যাপারে নিউজ পড়েছে,ওর করা সেই খু”ন গুলোর কথা মনে পড়লেই ঐশী ভয়ে কাঁপতে শুরু করে
এমনকি আহাদের নাম শুনলেও ঐশী ভয় পায়।
ঐশী এর আগে কখনো আহাদকে সামনাসামনি দেখেনি,ঐশীর ইচ্ছে করছে ছুটে চলে যেতে কিন্তু ও তা করতে পারছে না।

স্টেজে প্রথম প্রিন্সিপাল স্যার বক্তব্য দেন,তারপর আহাদকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য রিকুয়েষ্ট করা হয় আহাদ মাইক হাতে নিয়ে দু চারটে কথা বলে।
তারপর একে একে সব টিচাররা বক্তব্য দেয়।

বেশকিছুক্ষণ পর সংগীত পরিবেশন করা হয়,
তিন জনের গান গাওয়ার পর,একজন টিচার মাইকে ঐশীর নাম বলে,ঐশী নিজের নাম শুনতেই দাঁড়িয়ে যায়,আহাদ এতোক্ষণ ফোনের মাঝে ডুবে থাকলেও কেন যেন ঐশী নামটা শুনতেই সামনের দিকে তাকায় আর তাকাতেই নীল শাড়ী পরিহিত রমণীকে দেখতে পায় কেন যেন রমণীর মাঝে তার চোখ আটকে যায়
আহাদ ঐশীর থেকে চোখ সরাতে পারছে ঐশীর দিকে একমনে তাকিয়ে আছে।
টিচার ওকে স্টেজে আসতে বলছেন,ঐশী বুঝতে পারছে না কি করবে যাবে নাকি যাবে না।
শেষমেশ সাহস জুগিয়ে স্টেজের দিকে যায়,স্টেজে উঠতেই চোখ পড়ে আহাদের দিকে,আহাদ ওর দিকেই তাকিয়ে ছিল আহাদের চোখে চোখ পড়তেই ঐশী চোখ নামিয়ে নেয়,স্যার ওর দিকে মাইক বাড়িয়ে দেয়,
ঐশী মাইক হাতে নিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে প্রথমে নিজের পরিচয় দেয় তার পর চোখ বন্ধ করে গায়,
“আমারো পরানো যাহা চায়
তুমি তাই
তুমি তাই গো
আমারো পরানো যাহা চায়,

তোমা ছাড়া আর এ জগতে
মোর কেহ নাই
কিছু নাই গো
আমারো পরানো যাহা চায়।”

ঐশী সম্পূর্ণ রবীন্দ্র সংগীত গায়,আর আহাদ একধ্যানে ওর গান শুনে গানটা একদম বুকে লাগার মতো,
আহাদ এক মুহূর্তের জন্যও ঐশীর দিক থেকে চোখ সরাতে পারেনি চোখ সরাবে কি করে ঐশী দেখতে যেমন সুন্দর ওর গানের গলা আরো বেশি সুন্দর।
সেখানে উপস্থিত সবাই চোখ বন্ধ করে গানটা অনুভব করছে গান শেষ হতেই সবাই জোরে হাত তালি দেয়, ঐশী “ধন্যবাদ” বলে স্টেজ থেকে নেমে এসে নিজের সিটে বসে পড়ে।
আহাদ এখনও ঐশীর দিকে তাকিয়ে আছে।

ঐশীর ফোন বেজে উঠে,ঐশী সিট ছেড়ে উঠে স্টেজ থেকে একটু দূরে যায়,ঐশীর একটা স্টুডেন্টের মা কল দিয়েছে,ঐশী তাকে কল বেক করে।

আহাদ সিয়ামের সাথে কথা বলছে,কথা বলা শেষ হতেই ও পেছনে ফিরে দেখে।

একটি ছেলে ফুল হাতে ঐশীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছে।

আহাদের কেন যেন রাগ উঠে গেল,মুহূর্তের মধ্যে ছেলেটার কথা আহাদের রাগের মাএা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিল।

রবিন নামের ছেলেটি ঐশীর দিকে ফুল বাড়িয়ে বলে,
ঐশী আই লাভ ইউ।
রবিনের কথা শুনা মাএই ঐশীর ভ্রু কুচকে আসে।

ঐশী তুমি দেখতে যতোটা সুন্দর তোমার গানের গলা আরো বেশি সুন্দর,তোমার গাওয়া গানটা আমার বুকে যেয়ে লেগেছে,ঐশী প্রথম দেখতেই তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি,আই লাভ ইউ ঐশী।

আহাদ যেতে নিয়েও থেমে যায়,ও দেখতে চায় রবিনের কথার উওরে ঐশী কি বলবে,ঐশী কি ওর প্রোপাজাল এক্সেপ্ট করবে?

ঐশী এক কদম পিছিয়ে যায়।
সরি।

রবিন বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়।
সরি!

হুম সরি,আমি আপনার প্রপোজাল এক্সেপ্ট করতে পারবো না।

কিন্তু কেন?

আমি প্রেম ভালোবাসায় বিশ্বাসী না,আর এমনিতেও
আমি ভার্সিটিতে পড়তে এসেছি প্রেম করতে না।

ঐশী সামনের দিকে পা বাড়াতেই রবিন ওর হাত ধরে ফেলে।
এ কি হাত ধরেছেন কেন,আমার হাত ছাড়ুন।

যদি না ছাড়ি?

আমি ছাড়তে বলেছি,ছাড়ুন আমার হাত।
ঐশী এক ঝটকায় রবিনের হাত থেকে ওর হাত ছাড়িয়ে নেয়,শাহাদাত আঙ্গুল উঁচু করে শাসিয়ে বলে,
খবরদার আমার থেকে দূরে থাকবেন।

ঐশী হন হন করে হেঁটে চলে যায়,যাওয়ার সময় আহাদের সাথে ধাক্কা লাগে কিন্তু ও এতোটাই রেগে ছিল যে ও আহাদকে খেয়ালই করেনি।
আহাদ ঐশীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়।

সন্ধ্যা নেমে আসে,অনুষ্ঠানও শেষ হয়,আস্তে আস্তে সবাই ভার্সিটি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।
আহাদ আরো আগে বের হয়ে অফিসে চলে গেছে।

এখন বাজে রাত ৯ টা,
মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে,
বৃষ্টির মাঝে দাঁড়িয়ে আছে আহাদ।
একজন গার্ড ওর মাথার উপর ছাতা ধরে দাঁড়িয়ে আছে,আহাদ এখন বিরক্ত হচ্ছে সিয়াম কখন বলেছিলো ঐ লোকটাকে নিয়ে আসবে কিন্তু এখনো অব্দি ওদের আসার কোনো নাম গন্ধ নেই।
আহাদের এখন রাগ হচ্ছে ও সিয়ামের নাম্বার কল দেয়,
আহাদ পেছনে ঘুরতেই একটি মেয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে,
আহাদ থমকে যায়,মেয়েটি ওকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,আতঙ্কিত গলায় বলে,
“আমাকে বাঁচান,প্লিজ আমাকে ওদের হাত থেকে বাঁচান।”
কথা বলতে বলতেই মেয়েটি আহাদের গায়ে ঢলে পড়ে।

#চলবে

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here