উপন্যাসের শেষ পাতায় তুমি পর্ব -১৮+১৯

#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_18

কপি নিষিদ্ধ ❌

নিলু দরজা খুলে দেখে আয়েশা ও তিশা দাঁড়িয়ে আছে।

নিলু : আম্মা আপা আইছে।

আয়েশা তিশা ভেতরে প্রবেশ করে।

অবান্তিকা তিশাকে জড়িয়ে ধরলো,

অবান্তিকা : আমার মামনি টা আমার সাথে দেখা করতে এসেছে।

তিশা : হুম মামনি, তোমার সাথে একজনের পরিচয় করিয়ে দিব।তোমাকে বলেছিলাম না আমার একটা বোন আছে ওই সে।

আয়েশা : আসসালামু ওয়ালাইকুম আন্টি।

অবান্তিকা : ওয়ালাইকুম আসসালাম,খব/রদা/র আন্টি বলবেনা, তুমি আমার মেয়ে তাই মামনি বলে ডাকবে।

আয়েশা : আচ্ছা মামনি।

অবান্তিকা : বসো এখানে।

ওরা সোফায় বসে।

তিশা : মামনি চলোনা ঘুরতে বের হই।

আয়েশা : হ্যাঁ মামনি চলো না।

অবান্তিকা : আচ্ছা বলো কোথায় যাবে,

তিশা : নতুন একটা পার্ক তৈরি হয়েছে চলো ঐটায় যাই।

অবান্তিকা : আচ্ছা তোমরা বসো আমি পার্স নিয়ে আসি।

ওরা ঘুরতে বের হলো,অবান্তিকা আয়েশাকেও সাদরে গ্রহণ করল,৩ মা মেয়ে সারাদিন অনেক ঘুরল,খেলো, আবার বাসায় এসে আড্ডা দিল,রাতে তিশা ও আয়েশা অবান্তিকাকে বিদায় দিয়ে বাসায় চলে আসলো।

পরদিন সকালে,
আজ আয়েশা অফিসে যাবে না তাই তিশা একাই অফিসে যাওয়ার জন্য বের হল,

তিশা হেটে ব্রিজটায় উঠে, একটু সামনে যেয়ে দেখে একটা মেয়ে কাঁদছে, মেয়েটা ব্রিজ থেকে ঝা/প দিতে নিলেই তিশা মেয়ে টার হাত ধরে আটকে দেয়,

তিশা : আপনি ঝা/প দিতে চাচ্ছেন কেন,

আমি বাঁচ*তে চাই না আপু আমার হাত ছেড়ে দিন আমি এই জীবন রাখতে চাইনা।
মেয়েটা অঝোরে কাঁদছে,

তিশা : আপু আপনি কাঁদবেন না প্লিজ, আসুন আমরা বসে কথা বলি।

তিশা আর ঐ মেয়েটা ব্রিজ থেকে একটু দূরে একটা কফি শপে যেয়ে বসে,

তিশা : আপনার নাম কি?

আরাবি আফসা।

তিশা : আপনি কেন বাঁচ*তে চাইছেন আপু,

আফসা কান্না করছে।

তিশা : আপু কান্না করেন না আমাকে বলুন কি হয়েছে।

আফসা : আমি একজনকে খুব ভালোবাসি,সেও আমাকে ভালোবাসতো, সবসময় আমার কেয়ার করতো, আমি একটু ব্যাথা পেলে ও পাগল হয়ে যেত, আমাদের মধ্যে অনেক ভালোবাসা ছিল, কেউ কাউকে হা/রা/তে চাইনি তাই আমরা সিদ্ধান্ত নেই বাসায় আমাদের রিলেশনের কথা টা বলবো।
কিন্তু,

তিশা : কিন্তু কি?

আফসা মুখ থেকে নেকাপটা সরাতেই তিশা আঁ*তকে উঠে। আফসা আবার নেকাপ টা পরে ফেলে।

আফসা : আমি টিউশনি করতাম, একদিন আসতে আসতে রাত ১০ টা বেজে যায়,আমাদের বাসায় যেতে হলে একটা গলি পেরোতে হয়, সেই গলিটা ছিল খুব নিরব,আমি গলি দিয়ে ঢুকতেই আমাদের এলাকাের এক ব*খাটে ছেলে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো, ওর হাতে একটা বোতল ছিল, ও আমাকে অনেক বার প্রেমের প্রোস্তাব দিয়েছিল আমি প্রতিবারই না করেছি ও সেদিন রেগে আমার মুখে এ*সি*ড ছু*ড়ে মে*রে পা/লিয়ে যায়, আমি জোরে চিৎকার দেই আমার চিৎকার শুনে কয়েকজন আমার কাছে এসে আমাকে হসপিটালে নিয়ে যায়, আমার টিটমেন্ট করা হয় কিন্তু আমার মুখ স*ম্পূ*র্ণ ন*ষ্ট হয়ে যায়। আমাকে তিন দিন হসপিটালে রাখার পর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়,আশেপাশের মানুষ আমাকে নিয়ে কানাঘুষা শুরু করলো, আমি ভাবলাম আর কেউ আমার কষ্ট না বুঝলেও আমার ভালোবাসার মানুষ আমার কষ্ট বুঝতে পারবে আর আমাকে এই রুপেও গ্রহণ করে নিবে, এই আশায় আমি ওর কাছে যাই ওকে সব বলি,

তিশা : তারপর কি হলো?

আফসা : ওকে বলার পরে ও উত্তরে বলে “তোমাকে এই রুপে আমার পরিবার মেনে নিবে না, আমার পক্ষে তোমাকে বিয়ে করা সম্ভব নয়, আমাকে মাফ করে দিও”ও সেদিন আমাকে শুন্য হাতে মাঝরাস্তায় ছেড়ে চলে যায়, আমাদের ভালোবাসায় ইতি টানে।ও তো ছেড়ে চলেই গেল, ভেবেছিলাম পরিবার থেকে সাপোর্ট পাবো, কিন্তু না সেটাও হলোনা, আমাকে সবাই তু*চ্ছ করে কথা বলে, আমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলে, এখন তুমি বলো আমি কার জন্য বাঁ*চবো, কি নিয়ে বাঁ*চবো।

আফসা কাঁদছে আফসার কান্না দেখে তিশার চোখ ছলছল করছে,

তিশা : আপনি নিজের জন্য বাঁ*চবেন আল্লাহর ইবাদত করার জন্য বাঁ*চবেন, আপনি সবার থেকে দূ/রে কোথাও চলে যান, আপনি আল্লাহর থেকে সাহায্য চান আল্লাহকে স্মরণ করুন, আল্লাহ আপনাকে পরীক্ষা করছেন আর আমি জানি আপনি এই পরীক্ষায় ঠিকই উত্তীর্ণ হবেন,আপনি শক্ত হন আপু এভাবে ভেঙে পরবেন না।

তিশার অনুপ্রেরণায় আফসা নিজেকে কিছুটা সামলায়,

আফসা : হুম তুমি ঠিক বলেছো আমি নিজের জন্য বাঁ*চবো। আল্লাহর ইবাদত করার জন্য বাঁ*চবো।

তিশা : হুম।

ওরা আরো কিছুক্ষন কথা বলে,
তিশা অফিসে চলে আসে,
তিশা কাজ করছে ঠিকই কিন্তু কাজে মন বসাতে পারছেনা, বার বার আফসার বলা কথা গুলো মনে পরছে, আফসার কথা গুলো ওর মাথায় গেঁ/থে গেছে ও কিছুতেই ভুলতে পারছেনা,কোনোরকমে কাজ শেষ করে বাসায় চলে আসে,ফ্রেস হয়ে এসে দেখে কলিংবেল বাজচ্ছে, দরজা খুলে দেখে নিচে রেপিং পেপার দিয়ে মো/ড়া/নো একটা বড় বক্স রাখা,বক্স টা নিয়ে ভেতরে চলে আসে,বিছানায় বসে বক্সটা খুলল,
বক্স টা খুলে দেখে,

হোয়াইট কালারের বার্বি গাউন, সাথে ডায়মন্ডের নেকলেস, ইয়া রিং, ব্রেসলেট,তিনটা সাদা গোলাপ আর একটা চিরকুট,
চিরকুটে লিখা ,

হৃদয়হরণী,
ড্রেসটা পরে বার্বি ডল হয়ে আমার কাছে চলে এসো, ৩০মিনিট পর স্পর্শ আসবে তোমাকে নিতে, ও তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে।জলদি চলে আসো আমি অপেক্ষা করছি।

আজ চিরকুট টা পরে তিশা খুশি হতে পারলোনা, ওর কানে বার বার আফসার বলা কথা গুলোই বাজছে,ও এখনো ভুলতে পারছেনা,আফসার কথাগুলো ওর মনকে বি/ষি/য়ে দিয়েছে।

তিশা গাউন টা পরে অন্যমনস্ক হয়ে রেডি হচ্ছে,ওর মধ্যে আজ কোনো আনন্দ বোধ নেই।
রেডি হয়ে নিচে যেয়ে দেখে স্পর্শ দাঁড়িয়ে আছে,
তিশা গাড়ির কাছে যায়,

স্পর্শ : আসসালামু ওয়ালাইকুম ম্যাম।

তিশা : ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাইয়া।

স্পর্শ গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে,
ম্যাম বসুন।

তিশা : হুম,

গাড়ি স্টার্ট দিল,

ওরা ওসমানের বলা যায়গা টায় পৌঁছায়,
তিশা গাড়ি থেকে নেমে সামনের দিকে হাটতে শুরু করে, মেইন দরজা খুলে ভেতর প্রবেশ করে দেখে ফুলের গা/লি/চা বিছিয়ে রাখা ও ফুল গুলোর উপর হেঁটে সামনের দিকে যাচ্ছে,ও দেখলো ডান পাশে খুব সুন্দর ফুলের বাগান তারপাশে সুইমিংপুলের পানির উপর ফুলের পাপড়ি আর ক্যান্ডেল বিছানো,চারপাশে তাকিয়ে দেখে জায়গা টা খুব সুন্দর করে সাজানো, ও একটু সামনে যেয়ে দেখে একটা ক্যানভাসে ওর আর ওসমানের ছবি আঁকা, ছবিটায় হাত বুলায়,ও কারো কন্ঠ স্বর শুনতে পায়,আর বুঝতে পারে কে এসেছে ,

Aankhon mein teri
Ajab si ajab si adaayein hai
Hoo.. Aankhon mein teri
Ajab si ajab si adaayein hai
Dil ko bana de jo patang
Saansein ye teri vo hawaayein hai

Aankhon mein teri
Ajab si ajab si adaayein hai
Hoo.. Aankhon mein teri
Ajab si ajab si adaayein hai
Dil ko bana de jo patang
Saansein ye teri vo hawaayein hai

তিশার কাছে যেয়ে ওর হাত ধরে কিছু টা সামনে নিয়ে গেল,এই পাশটা আরো সুন্দর করে সাজানো,ওর হাত ধরেই,

Aayi aisi raat hai jo
Bohat khush naseeb hai
Chaahe jise dur se duniya
Woh mere kareeb hai

Kinta kuch kehna hai
Phir bhi hai dil mein sawaal kahi
Sapno mein jo roz kaha hai
Wo phir se kahu yaa nehi

Aankhon mein teri
Ajab si ajab si adaayein hai
Hoo.. Aankhon mein teri
Ajab si ajab si adaayein hai
Dil ko bana de jo patang
Saansein ye teri vo hawaayein hai

তিশার হাত ধরে আরো একটু সামনে যেয়ে, হাতের ইশারায় ডান পাশ টায় তাকাতে বললে তিশা সেদিকে তাকিয়ে দেখে প্রোজেক্টরে ওদের ছবি গুলো দেখাচ্ছে,

Tere saath saath aisa koi noor aaya hai
Chand teri roshni ka halka sa ek saya hai
Teri nazroon ne dil ka kiya jo hashar
Asar ye huya…
Ab in mein hi doobke ho jaw par
Yehi hai dua…

তিশা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে,

Aankhon mein teri
Ajab si ajab si adaayein hai
Hoo.. Aankhon mein teri
Ajab si ajab si adaayein hai
Dil ko bana de jo patang
Saansein ye teri vo hawaayein hai…

পকেট থেকে একটা রিং বের করে তিশার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে,

হৃদয়েহরণী,
আমি অন্যদের মতো ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারিনা,না তো ফিল্মি স্টাইলে বলতে পারি,তুমি আমার জীবনের প্রথম ও শেষ ভালোবাসা, তুমি ছাড়া কোনো নারীই আমাকে মুগ্ধ করতে পারেনি,তোমাকে দেখে আমি বারংবার মুগ্ধ হয়েছি,তোমার মায়ায় খুব বা/জে ভাবে আ/ট/কা পরেছি, বলবো না আমাকে ভালবাসতে, তুমি শুধু শেষ নি/শ্বা/স অব্দি আমার সাথে থেকো। আমি তোমাকে প্রেমিকা নয় ঘরণী করতে চাই, আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চাই,
I Love You,
Will You Marry Me?

তিশার মুখে হাসি ফুটে ওঠে কিন্তু পরক্ষণেই আফসার কথা গুলো মনে পরে সেই হাসি গা/য়ে/ব হয়ে যায়,

তিশা দু কদম পিছিয়ে যায়, তিশাকে পিছিয়ে যেতে দেখে ওসমান বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়,
তিশা মাথা নিচু করে বলে,
সরি, আমি আপনার কথা রাখতে পারবোনা।

ওসমান : তুমি তো আমাকে ভালোবাসো।

তিশা ওসমানের দিকে তাকিয়ে বললো,
না বাসি না।

ওসমান : তোমার চোখ বলে দিচ্ছে ভালোবাসাে কি বাসোনা।

তিশা মাথা নিচু করে বলে,
আচ্ছা আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন, আমার সৌন্দর্য দেখেই আমার প্রেমে পরেছিন কাল যদি কোনো কারণে আমার এই সৌন্দর্য ন*ষ্ট হয়ে যায় কিংবা আমার যদি কোনো স/ম/স্যা ধরা পরে তখন কি পারবেন আমাকে আপন করে নিতে?

ওসমান : হুম পারবো।

তিশা মাথা তুলে বলে,
উহুম পারবেননা এই দুনিয়ায় সবাই সুন্দরের
পূ/জা/রি, কেউ চাইবেনা কু/ৎ/সিত কিংবা ত্রু/টি সম্পূর্ণ মানুষকে গ্রহণ করতে। আপনার মোহ এটা ভালোবাসা নয়, আমাকে ভুলে যান, আপনি আমার থেকে বেটার ডিসার্ভ করেন,আসি ভালো থাকবেন।

কথা গুলো বলার সময় তিশা গলা কাঁপছিল খুব কষ্টে কান্না আটকে রেখেছে।
তিশা দৌড়ে বেরিয়ে আসে,

ওসমানের চোখ থেকে একফোঁটা জল গড়িয়ে পরলো,পরক্ষণেই ওসমানের রাগ উঠে যায় ও সব কিছু ভে/ঙে ফেলে, সাজানো সব কিছু ন*ষ্ট করে ফেলে।কাঁচের টেবিলটা ঘু/ষি দিয়ে ভে/ঙে ফেলে,ওসমানের হাত থেকে র*ক্ত বের হচ্ছে,
ওসমান : তুমি আমার ভালোবাসা কে মোহ বললে,কষ্ট দিয়ে বলছো ভালো থাকতে, আমিও তোমায় বলে রাখলাম তোমাকে আমার কাছে ছু/টে আসতেই হবে।

তিশা বাসায় চলে আসে, কলিংবেল চাপ দেয়,
আয়েশা এসে দরজা খুলে দেয়, তিশা কাদঁতে কাদঁতে নিজের রুমে চলে যায়।

তিশাকে কাঁদতে দেখে আয়েশা ওমরের দিকে তাকায়,

আয়েশা ও ওমর তিশার রুম থেকে ভা/ঙ/চু/রের আওয়াজ পায়,আয়েশা দরজা বা/রি দিচ্ছে আর তিশাকে দরজা খুলতে বলছে, কিন্তু তিশা কোনো
রেস/পন্স করছে না,আয়েশা ও ওমর তিশার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেল।

আয়েশা : তিশা কাদঁছে কেন?

ওমর : ভাইয়া আর আপুর মধ্যে কি কিছু হয়েছে?

আয়েশা : তুমি ভাইয়ার কাছে যাও।

ওমর : হুম তুমি আপুর সাথে থাকো।

ওমর ওসমানের কাছে যাচ্ছে,

আয়েশা : তিশা প্লিজ দরজা খোল, কি হয়েছে আমাকে বল কেনো কাঁদছিস।

তিশা : আয়েশা চলে যা, আমাকে একা থাকতে দে।

আয়েশা : কি হয়েছে বল না।

তিশা : আমি চলে যেতে বলেছি চলে যা এখান থেকে,আমাকে একা থাকতে দে প্লিজ।

তিশা হাঁটু গেড়ে বসে অঝোরে কাঁদছে আর বিড়বিড় করে বলছে,
এটা কি করলাম আমি, কেনো করলাম,এইদিনের অপেক্ষায় তো ছিলাম,সবসময় ভাবতাম কখন সে
আমাকে ভালোবাসি বলবে,কিন্তু আজ আমি কি করলাম তাকে ফিরিয়ে দিলাম, কেনো করলাম?
তিশা অঝোরে কাঁদছে,
চোখের পানি মুছে,
না না ঠিকই করেছি আমার মতো এতিম ওনার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য না, যদি কোনো দিন আমার পরিনতি আফসা আপুর মতো হয়,তখন যদি ডক্টর সাহেব আমাকে ছে/ড়ে চলে যায় তখন,
আমিতো তার ধোঁ/কা স/হ্য করতে পারবোনা।
না আমি যা করেছি ঠিক করেছি,ভালোবেসে কষ্ট পাওয়া থেকে একা থাকাই ভালো,ভুলে যাবো হ্যাঁ ভুলে যাবো।
কিন্তু কিভাবে? আমি তো ওনাকে খুব ভালোবাসি আমি কিভাবে ওনাকে ভুলে যাবো,
তিশা অঝোরে কাঁদছে,

ওমর দ্রুত ওসমানের কাছে গেল, ওসমান কাছে যেয়ে দেখে, ওসমান সুইমিংপুলের দিকে তাকিয়ে আছে আর হাত থেকে র*ক্ত পরছে,ওমর ওর রুমাল দিয়ে ওসমানের হাত বেধে দেয়,

ওমর : ভাইয়া রুমে চলো,হাতে ব্যা/ন্ডেজ করতে হবে।

ওসমান সামনের দিকে তাকিয়ে আছে কিছু বলছে না,

ওমর : ভাইয়া চলো, ব্যা/ন্ডেজ করতে হবে।

ওসমান উত্তরে কিছু বলছেনা দেখে ওমর গাড়ি থেকে ফার্স্ট এইড বক্স নিয়ে এসে ওসমান সামনে বসে,ও চারপাশে তাকিয়ে দেখে সাজানো সব কিছুই ওসমান ভে/ঙে গু/ড়িয়ে দিয়েছে,

ওমর : কি হয়েছে এখানে, এমনটা তো হওয়ার কথা তো ছিলনা, ভাবিকেও দেখলাম কাঁদতে কাঁদতে রুমে যেয়ে দরজা লাগিয়ে দিল, কত বার দরজা খুলতে বলেছি তাও খুলেনি ভেতর থেকে শুধু
ভা/ঙ/চুর আর কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম।

ওসমান : ও ঠিক আছে তো?

ওমর : জানি না।

ওসমান : আমি ওর কাছে যাবো।

ওমর : না এখন না, আগে আমাকে বলো কি হয়েছে, কেন ভাবি কেঁদেছে আর কেন তুমি এগুলো ন*ষ্ট করেছো?

ওসমান ওমরকে তখনকার সব কথা বললো,ওমর ইতোমধ্যে ওসমানের হাতে ব্যা/ন্ডেজ করে দিয়েছে,

ওমর : দেখো ভাবি তো আর অবুঝ নয়,সে যথেষ্ট বুদ্ধিমতি,ভাবি এমনটা বলেছে হয়তো কিছু হয়েছে তার সাথে, নাহলে তো এমনটা করার কথা না, তুমিও জানো ভাবি তোমাকে ভালোবাসে,ভাবির এমনটা করার পিছে হয়তো কোনো কারণ আছে,এখন শুধু সেই কারণ টাই জানতে হবে আমাদের।

ওসমান : ওকে আমি বুঝবো যদি না বুঝতে চায় তাহলে জো/র করে হলেও আমার কাছে রাখবো।

ওমর : উহুম এমনটা করলে ভাবির মনে তোমার জন্য ঘৃ/ণা সৃষ্টি হবে।

ওসমান : তাহলে কি করবো আমি?

ওমর : আমরা জানি ভাবি অনেক জি/দ্দি, তার সাথে রা/গ বা জো/র করে বুঝানোর চেষ্টা করলে সে কখনোই বুঝবেনা বরং হি/তে/র বিপরীত হবে।ভাবি রা/গি হলেও সে কিন্তু খুবই আবেগি,তার মন নরম।দেখোনা অন্যের কষ্টেও কেমন কষ্ট পায়।ভাবিকে রাগ করে নয় ভালোবাসা দিয়ে বুঝাতে হবে আবেগিও কথা বলতে হবে তবেই তুমি ভাবিকে আবার ফিরে পাবে,বুঝেছো আমার কথা?

ওসমান : হুম।

ওমর : এবার রুমে চলো।

ওসমান ওর রুমে বিছানায় শুয়ে ওমরের কথা গুলো ভাবছে,
হ্যাঁ ওমর ঠিকই বলছে তিশাকে ভালোবাসা দিয়েই বুঝাতে হবে।আর এটাও জানতে হবে ওর হঠাৎ হলো টা কি,কেনো সেসব কথা গুলো বললো?
#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_19

কপি নিষিদ্ধ ❌

সকালে,

তিশা সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারেনি, তিশা ওসমানের দেওয়া সব কিছু একটা বড় বক্সের ভেতর রাখছে,সব ফেরত দিয়ে দিবে,ওর দেওয়া কিছু থাকলে বারবার তা চোখে পরবে আর কষ্ট বারবে,ও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ওসমানকে ভোলার, কিন্তু চাইলেই কি আর স্মৃতি মুছা সম্ভব।

সব কিছু ভরা শেষ, ও পায়ের নুপুরটার দিকে তাকিয়ে আছে, ও পারছে না এটা খুলতে, যতবারই খুলতে যাচ্ছে ততোবারই সেদিনের স্মৃতিগুলো মনে পরছে,এই নুপুরে যে ওসমানের স্পর্শ রয়েছে ও কিভাবে খুলবে এটা, শেষমেশ নুপুর জোড়া টা খুললো না, বাকি সব কিছু ওসমানের কাছে কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দিল।

ওসমান ঘুমিয়ে ছিল, কলিংবেলের আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেল, দরজা খুলে দেখে একটা লোক হাতে বক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, লোকটা ওর হাতে বক্স দিয়ে চলে গেল, ও রুমে এসে দেখে ওর দেওয়া সব কিছু তিশা ফিরিয়ে দিয়েছে,তা দেখে ওসমানের রাগ উঠে গেল,

আজ ২ দিন হল,
ওসমান তিশাকে না তো কল করতে পারছে, না তো দেখা করতে পারছে, তিশা এই দু দিন রুম থেকে বের হয়নি না তো কিছু খেয়েছে না তো কারো সাথে কথা বলেছে,নিজেকে ঘর ব/ন্ধি করে রেখেছে, আয়েশা ও ওমর ওদের দু’জন কে নিয়ে খুব টেনশনে আছে,

আয়েশা রুমে বসে ওমরের সাথে কথা বলছে,

আয়েশা : কি করবো কিছু বুঝতে পারছিনা, ও দুদিন ধরে কিছু খায়নি,সারাদিন নিজেকে ঘর ব/ন্ধি করে রাখে,না খেয়ে থাকলে তো অসুস্থ হয়ে যাবে।

ওমর : ভাইয়াও খুব রেগে আছে,আমি তো ভাইয়াকে নিয়ে টেনশনে আছি, রাগের মাথায় যদি কিছু করে বসে তখন,

আয়েশা : বুঝতে পারছি না হঠাৎ তিশার হলো টা কি,

ওমর : আমিও বুঝলাম না।

আয়েশা : কলিংবেলের আওয়াজ পেলাম, হয়তো কেউ এসেছে,
আয়েশা দরজা খুলে দেখে অবান্তিকা দাঁড়িয়ে আছে,

আয়েশা অবান্তিকাকে জড়িয়ে ধরে,
কেমন আছো মামনি,

অবান্তিকা : আলহামদুলিল্লাহ,তিশা কোথায়?

আয়েশা : ওর রুমে।

অবান্তিকা : ও তো আমাকে আসতে বললো।

আয়েশা : আচ্ছা তুমি বসো আমি ওকে ডেকে দিচ্ছি।

আয়েশা : তিশা মামনি এসেছে।

তিশা দরজা খুলে অবান্তিকা কাছে যায়,
মামনি তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে,চলো আমার রুমে যেয়ে কথা বলি।

তিশা অবান্তিকাকে নিয়ে রুমে যেয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়,

আয়েশা : হ্যালো।

ওমর : কে এসেছে?

আয়েশা : মামনি এসেছে, তিশা মামনিকে আসতে বলেছে।

ওমর : ওহ।

আয়েশা : ও মামনিকে নিয়ে ওর রুমে যেয়ে দরজা লাগিয়ে দিয়েছে।তাই আমিও আর ডাকাডাকি করিনি।

ওমর : মামনির সাথে কথা বলুক,যদি কিছু জানতে পারি।

আয়েশা : হুম।

তিশা অবান্তিকার কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে, অবান্তিকা ওর চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে,

তিশা : মামনি তোমাকে একজনের গল্প বলি,

তিশা অবান্তিকাকে আফসার গল্প শুনাল।

তিশা : মামনি একটা কথা বলি?

অবান্তিকা : একটা কেন হাজার টা বলো মামনি।

তিশা : আচ্ছা তুমি এখন আপুটার কথা শুনলে,ধরো তোমার বিয়ে হয়নি তুমি আমার বয়সি,আচ্ছা তুমি এখন আপুটার কথা শুনলে আর রাতেই তোমাকে কেউ খুব সুন্দরভাবে সারপ্রাইজ দিয়ে প্রোপশ করলো,তখন তুমি কি করবে?

অবান্তিকা : সে যদি ভালো হয় তাহলে তার প্রোপজাল এক্সেপ্ট করবো।

তিশা : আচ্ছা তোমাকে আমার এক ফ্রেন্ডের গল্প বলি।

তিশা ওর আর ওসমানের কথা বললো কিন্তু ওদের নাম টা বললো না।

তিশা : আচ্ছা ও কি কাজ টা ঠিক করেছে?

অবান্তিকা : একদম না।

তিশা : কেন?

অবান্তিকা : ও ভুল করেছে কারণ, ও আরেক জনের জীবনের পরিনতির কথা ভেবে নিজের জীবনের সুখ
ন/ষ্ট করেছে,সবার জীবন এক না, সবার জীবনের পরিনতিও এক না।

তিশা অবান্তিকার কথা মন দিয়ে শুনলো,

তিশা : মামনি এখন করনীয় কি?

অবান্তিকা : দেখাে যেহেতু মেয়েটার মনে স/ন্দে/হ জেগেছে, সেহেতু মেয়েটা ছেলেটাকে পরীক্ষা করুক, ও বুঝুক সত্যি কি ছেলেটার মনে ওর জন্য ভালোবাসা আছে নাকি নেই,এতে করে ছেলেটার প্রতি মেয়েটার আর কোনো স/ন্দে/হ থাকবেনা।

তিশা : হুম।

অবান্তিকা : চলো কোথাও ঘুরে আসি।

তিশা : আজ না মামনি অন্য একদিন যাই।

অবান্তিকা : আচ্ছা।

অবান্তিকা কিছুক্ষণ পর তিশাদের বাসা থেকে চলে আসে।

তিশা ভেবে দেখলাে অবান্তিকার কথাই ঠিক ও শুধু শুধু আফসার জীবন কথা ভেবে নিজের জীবন ন/ষ্ট করতে যাচ্ছিল,ও ওর ভুল বুঝতে পেরেছে।
তিশা : মামনি ঠিকই বলেছে ডক্টর সাহেবকে পরীক্ষা করে দেখা যাক উনি আমাকে ভালোবাসেন কিনা।

দেখতে দেখতে ১৫ দিন কেটে গেল,
এই পনের দিনে ওসমান অনেক চেষ্টা করেছে তিশাকে বোঝানোর,প্রতিদিন সকালে তিশার অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতো,তিশা ওকে দেখেও না দেখার ভান করতো,সন্ধ্যায়ও ওসমান তিশার জন্য অপেক্ষা করতো কিন্তু তিশা বরাবরের মতো ওকে ইগনোর করতো।ওসমান ওর দেওয়া জিনিস গুলো তিশাকে পাঠিয়ে ছিল কিন্তু তিশা পুনরায় সে গুলো ওসমানকে পাঠিয়ে দেয়,ওসমান তিশার ব্যবহারে অনেক কষ্ট পেয়েছে,কষ্ট যে শুধু ওসমানই পেয়েছে তা কিন্তু নয় তিশার আরো বেশি কষ্ট হতো,ও প্রতিদিন রাতে কান্না করতো।

সন্ধ্যায় তিশা অফিস থেকে বের হয়ে দেখে ওসমান দাঁড়িয়ে আছে,আজও ওকে এড়িয়ে চলে যেতে নিলেই ওসমান ওর হাত ধরে,

ওসমান : তিশা একবার আমার কথাটা শুনো।

তিশা : আপনি আমার হাত ছাড়ুন, আপনার কোনো কথা আমি শুনতে চাইনা।

ওসমান তিশার হাত শক্ত করে ধরে,

ওসমান : আমার কথা না শুনলে আমি হাতও ছাড়বো না।

তিশা : ছাড়ুন কোনো কথা শুনতে চাইনা।

ওসমান : তোমাকে শুনতেই হবে।

তিশা : ছাড়ুন আমার হাত।

ওসমান : ছাড়বোনা।

তিশা : ছাড়ুন বলছি।

তিশা এক ঝাটকায় হাত ছাড়িয়ে নেয়, কিন্তু ভুল বসত ওসমানের গালে চ/ড় পরে,তিশা চ/ড় দিতে চায়নি ভুলবসত লেগে গেছে, কিন্তু ওসমান মনে করেছে তিশা ইচ্ছে করে ওকে চ/ড় দিয়েছে,

ওসমান : ঠিক আছে শুনতে হবে না।

তিশা : আব,আমি,

ওসমান তিশার কথা শুনার আগেই গাড়িতে উঠে চলে যায়।

তিশা বাসায় এসে পরে,
বাম হাতে ধারালো ছু*ড়ি নিয়ে ডান হাতের দিকে তাকিয়ে আছে তিশা।
বিড়বিড় করে বলেছে,
এই হাত দিয়ে ওনাকে চ/ড় দিয়েছি,এই হাত আমি
ক্ষ/ত বি/ক্ষ/ত করে ফেলবো,

তিশা বিড়বিড় করছে আর বার বার ডানহাতের তালুতে আ/চ/ড় কাটছে, তিশার ডান হাতের তালু থেকে অনবরত র*ক্ত বের হচ্ছে, হাত টা ক্ষ/ত বি/ক্ষ/ত হয়ে গেছে।

তিশার চোখ দিয়ে পানি পরছে,
বিশ্বাস করুন আপনাকে আমি চ/ড় দিতে চাইনি,ভুল বসত লেগে গেছে,যেই হাত দিয়ে আপনাকে চ/ড় দিয়েছি সেই হাতই কে/টে ফেলবো,
তিশা ছু*ড়ি টা হাতের শিরার উপর রাখলো
আঁ/চ/ড় দিবে তখনই ও মাথা ঘুরে নিচে পরে গেল।

দুই দিন পর,
এই দুই দিন ওসমান তিশাকে একটা কল বা মেসেজও করেনি না ওর জন্য অফিসের সামনে এসে অপেক্ষা করেছে,তিশা এখন বুঝতে পেরেছে ও এত দিন ওসমানকে অবহেলা করে অনেক বড় ভুল করেছে।

রাতে তিশার রুমে,
তিশা : না অনেক হয়েছে আর না, এবার তার সাথে কথা বলা দরকার, আর কতো অবহেলা করবো,কালই তার সাথে দেখা করে সব বলবো।

পরদিন সকালে,
আজও তিশা অফিসে যেয়ে ওসমানের গাড়ি দেখতে পেলো না, তিশা এতে মাথা না ঘামিয়ে কাজে মন দিল।

সন্ধ্যায় তিশা অফিসে কাজ করছিল তখন ওর ফোনে একটা এসএমএস আসে,

ওসমান এসএমএস দিয়েছে, তাতে লেখা,
আজ একটু আসতে পারবে,প্লিজ আসো না,আর কখনো রিকোয়েস্ট করবো না,আসো না প্লিজ।

ওসমানের এসএমএস পরে ওর মুখে হাসি ফুটে ওঠে,

সন্ধ্যায় তিশা কাজ শেষ করে ওসমানের দেওয়া এড্রেসে যেয়ে পৌঁছায়,
যেয়ে দেখে পুরো বাড়ি অন্ধকার তিশা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো পুরো বাড়ি অন্ধকার,

তিশা : ডক্টর সাহেব, কোথায় আপনি, ডক্টর সাহেব
বাড়ি এত অন্ধকার কেন,কোথায় আপনি, কথার উত্তর দিচ্ছেন না কেন?

তিশা ওসমানের ডাকছে কিন্তু ওর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চলে যেতে নিবে,
তখন গিটারের সুর শুনে থেমে যায়, হঠাৎ হল রুমের সব লাইট জ্বলে উঠে,একটুপর ভেসে আসে,

Betahasaha dil mein
Tujhko hi chaha hai
Har dua me maine

তিশা পেছনে ঘুরে দেখে ওসমান গান গাইতে গাইতে ওর দিকে আসছে,,

Tujhko hi maanga hai
Tera jana jaise koi baad dua
Tera jana jaise koi baad dua
Door jaoge jo tum
Marr jayenge hum

Sanam teri kasam
Hoo.
Sanam teri kasam
Hoo.
Sanam teri kasam.

তিশা : [মনে মনে]:
Tumhe dekhte hi aankhe
Ho jaati namm.

ওসমান : Sanam teri kasam
Hoo.
Sanam teri kasam
Hoo.
Sanam teri kasam.

তিশার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে,

Hua.. ye.. Kya.. Hashar mera…
Judaa hua sabar mera.
Main tere bin ek lamha kyun kabhi na jiya.

তিশা চলে যেতে নিলে ওর হাত ধরে,

Raat bhar askhon ne
Tujhko pukara hai
Har dua mein maine

তিশার কাছে যেয়ে ওর কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে,

Tujhko hi maanga hai
Tera jana jaise koi baad dua
Tera jana jaise koi baad dua
Door jaoge jo tum
Marr jayenge hum

Sanam teri kasam
Hoo.
Sanam teri kasam
Hoo.
Sanam teri kasam.

তিশা : [মনে মনে]:
Tumhe dekhte hi aankhe
Ho jaati namm.

ওসমান : Sanam teri kasam
Hoo.
Sanam teri kasam
Hoo.
Sanam teri kasam.

পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে কাধে থুতনি রেখে,

Nasha tera dil ko laga
Dena nahi mujhko daga
Main teri adat ka maraa
Hau kya meri khataa..

তিশাকে চেয়ারে বসিয়ে ওর সামনে দু হাঁটু গেড়ে বসে,

Tere bin namum kin
Apna guzara hai
Har dua mein maine
Tujhko hi maanga hai
Tera jana jaise koi baad dua
Tera jana jaise koi baad dua

তিশার দিকে করুন চোখে তাকিয়ে,

Door jaoge jo tum
Marr jayenge hum

তিশার হাত ধরে,

Sanam teri kasam
Hoo.
Sanam teri kasam
Hoo.
Sanam teri kasam.

তিশা ওসমানের দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে,
[মনে মনে]:
Tumhe dekhte hi aankhe
Ho jaati namm.

ওসমান : Sanam teri kasam
Hoo.
Sanam teri kasam
Hoo.
Sanam teri kasam.

তিশার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে,
ওসমান : সত্যি তোমাকে খুব ভালোবাসি, বিশ্বাস করো আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা,
আমার তোমাকে চাই খুব করে চাই, প্লিজ আমাকে আর এভাবে অবহেলা করোনা।
হ্যাঁ এটা ঠিক তোমার সৌন্দর্যের মায়ায় আ/ট/কা পরেছি,কিন্তু তোমার প্রতি এটা আমার মোহো নয় ভালোবাসা,তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি,৫ বছর আগে তোমার প্রেমে পরেছিলাম, এরপর আস্তে আস্তে ভালোবেসে ফেলি,তখন তুমি আমার কাছে ছিলেনা তাই দুরত্ব টা সহ্য হয়েছে, কিন্তু এখন এতোটা কাছে থেকে যে দুরত্ব সহ্য হচ্ছে না,তোমার দ/হ/নে আমি ভীষণ ভাবে পু/র/ছি,সেদিন বলেছিলেনা তোমার সৌন্দর্য না থাকলে বা তোমার কোন ত্রু/টি থাকলে মেনে নিবো কিনা,আজ বলছি তোমাকে সব রুপেই আমি মেনে নিবো, কখনো নিজের থেকে দূরে রাখবোনা।

তিশা ওসমানের কথা শুনে কাঁদতে লাগলো,

ওসমান তিশার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে,
কাঁদছো কেনো জানপাখি, বলো আমায় কি হয়েছে?

তিশা কাঁদতে কাঁদতে আফসার কথা বলে,
কান্নারত অবস্থায়,
তিশা : বিশ্বাস করুন আমি চাইনি আপনাকে কষ্ট দিতে, চাইনি সেদিন আপনাকে অপমান করতে,
আমিও যে আপনাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি,
যখন আপনাকে ইগনোর করতাম তখন আমারও ভীষণ কষ্ট হতো, বুঝতে পারিনি আপনি আমাকে এতো ভালোবাসেন, আপনাকে স/ন্দে/হ করে আমি খুব বড় ভুল করেছি,আমি ভেবেছিলাম আমি হয়তো আপনার মোহ।মোহ কে/টে গেলেই আপনি হয়তো আমাকে ভুলে যাবেন।আমি চাইনা ধোঁ/কা পেতে, সরি আমি চাইনি আপনাকে কষ্ট দিতে, আই এ্যম সো সরি।

তিশা অঝোরে কাঁদছে,

ওসমান : হুসসস.. আর কেঁদোনা জানপাখি, তুমি আমার ভালোবাসা মোহ না।তুমিই বলো কখনো কি তোমার দিকে বা/জে দৃষ্টিতে তাকিয়েছি?

তিশা দু দিকে মাথা ঝাকায়, যার অর্থ না।

ওসমান : কখনো বা/জে/ভাবে স্পর্শ করেছি?

তিশা আবারও দু দিকে মাথা ঝাকায়।

ওসমান : বুঝেছি আপুটার কথা ভেবে তুমি মনে করেছো আমিও হয়তো তোমায় কষ্ট দিব।কি তাইতো?

তিশা মাথা উপর নিচ করে, যার অর্থ হ্যাঁ।

ওসমান : কখনো কি তা মন থেকে মেনেছিলে?

তিশা এবারও দু দিকে মাথা ঝাকায়।

ওসমান তিশার হাত একটু শক্ত করে ধরতেই তিশা ব্যাথায় আহ্ করে উঠে, ওসমান দ্রুত তিশার হাতটা ধরে দেখে ওর ডান হাতের তালু ক্ষ/ত বি/ক্ষ/ত,

ওসমান : এমন টা কিভাবে হল?

তিশা : আমি করেছি।

ওসমান : তুমি কি পাগল, কেন করেছো?

তিশা : সেদিন আপনার গালে এই হাত দিয়ে চ/ড় লেগেছিল তাই এই হাত অ/ক্ষ/ত রাখিনি, বিশ্বাস করুন আমি চাইনি আপনাকে চ/ড় দিতে, ভুলবসত চ/ড় লেগেছিল,সত্যি বলছি বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছে করে দেইনি।

ওসমান : আচ্ছা বুঝেছি তুমি ইচ্ছে করে দেওনি, কিন্তু তুমি হাত কা/ট/লে কেন,আজ বলে দিচ্ছি আর কখনো নিজেকে কোনো প্রকার কষ্ট দিবেনা, তুমি নিজের কাছে দামি না হলেও আমার কাছে অনেক দামি, বুঝেছো?

তিশা : হুম।

ওসমান : একটা কথা রাখবে?

তিশা : কি কথা?

ওসমান : আমাকে ভালোবাসতে হবে না, সারাজীবন আমার পাশে থেকো।

তিশা ওসমানের দিকে তাকিয়ে রইল।

ওসমান : ভালোবাসি জানপাখি,
I Love You So Much,
Will You Marry Me?

তিশা ওসমানের দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে,

ওসমান করুণ কন্ঠে বলে,
আজও কি ফিরিয়ে দিবে?

তিশা ওসমানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে, কাঁদতে কাঁদতে,
I Love You Doctor Saheb,Love You a lot.
কখনো আমাকে ছেড়ে যাবেন না প্লিজ, আমি আপনাকে ছাড়া বাঁ/চতে পারবোনা।

ওসমান : Love You Too,কখনো ছেড়ে যাবোনা তোমায়।

তিশার কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে আবারও জড়িয়ে ধরে,

কিছুক্ষণ পর,

আর কতো কাঁদবে তুমি,এবার কান্না বন্ধ করো প্লিজ।
তিশার কান্না কিছুটা কমলো, কান্না করতে করতে হিচকি উঠে গেছে,

ওসমান : নেও পানি খাও।

ওসমান : ফিল বেটার?

তিশা : হুম।

ওসমান : চলো ছাদে যাই।

ওরা ছাদে যায়,ছাদে রাখা দোলনাটায় বসে,

ওসমান : হাত দাও তো,

তিশা হাত বারিয়ে দিল, ওসমান তিশার আঙ্গুলে রিং পরিয়ে দিল।

ওসমান : সেদিন তো পরাতে পারিনি, আজ পরিয়ে দিলাম,এখন থেকে তুমি আমার, শুধুই আমার।
খুব শিঘ্রই তোমাকে আমার ঘরণী করবো।

তিশা : এতো কেন ভালোবাসেন?

ওসমান : তুমি আমার ভালোবাসার মানুষ তাই ভালবাসি।

তিশা মুচকি হাসলো,

ঐখানে কিছুক্ষন থেকে ওসমান তিশাকে বাসায় দিয়ে এসে,নিজেও বাসায় চলে আসে।

তিশা রুমে বসে রিং টা দেখছে আর তখনকার মুহূর্ত গুলো মনে করছে,

ওসমান আজ অনেক খুশি,
জানপাখি অবশেষে তোমায় পেলাম।

চলবে কি?

[ কেমন হয়েছে কমেন্টে জানাবেন,কোনো প্রকার ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,আজকের বড় পার্ট দিয়েছি ছোট বলে কেউ অভিযোগ করবেন না, ধন্যবাদ। ]
চলবে কি?

[ কেমন হয়েছে কমেন্টে জানাবেন,কোনো প্রকার ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,বড় পার্ট দিয়েছি,ধন্যবাদ। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here