উপন্যাসের শেষ পাতায় তুমি পর্ব -২০+২১

#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_20

কপি নিষিদ্ধ ❌

তিনদিন পর,

তিশার জ্বর এসেছে তাই কম্বল মুড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে,ফোনের আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেল,কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,
হুম বলুন।

ওসমান : গলা এমন শুনচ্ছে কেন,কি হয়েছে?

তিশা : একটু জ্বর এসেছে।

ওসমান : আমি আসছি।

তিশা কিছু বলার আগেই ওসমান কল কেটে বেরিয়ে পরলো।

ওসমান,ওমর তিশার ফ্ল্যাটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, কলিংবেল বাজাতেই আয়েশা দরজা খুলে দেয়,
ওরা তিশার রুমে যেয়ে দেখে তিশা কম্বল মুড়িয়ে পুরো প্যাকেট হয়ে শুয়ে আছে,

ওমর ও আয়েশা : আমরা যাই।

ওমর, আয়েশা অন্য রুমে চলে যায়,

ওসমান তিশার পাশে বসে ওর মুখের উপর থেকে কম্বল সরায়,কম্বল সরাতেই তিশার ঘুম ভেঙে যায়।

তিশা : চলে এসেছেন।

ওসমান : হুম জ্বর কখন এসেছে?

তিশা : ভোরের দিকে।

ওসমান : মেডিসিন খেয়েছিলে?

তিশা : হুম।

তিশার কপালে হাত রেখে,
শরীর তো এখনো গরম, জলপট্টি দিয়ে দিচ্ছি দ্রুত সেরে যাবে।

তিশা : থাক শুধু শুধু কষ্ট করতে হবে না।

ওসমান : কথা না বলে চুপচাপ শুয়ে থাকো।

ওসমান তিশার কপালে জলপট্টি দিয়ে দিচ্ছে, তখন দরজায় কেউ নক করে,

আয়েশা : আসবো?

ওসমান : হুম।

আয়েশা : খাবার নিয়ে এসেছি।

ওসমান : টেবিলের উপর রাখো।

আয়েশা খাবার রেখে চলে যায়, ওসমান তিশাকে খাবার খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দেয়।

ওসমান তিশার মাথা টিপে দিচ্ছে,

তিশা : আপনি শুধু শুধু এত কষ্ট করছেন।

ওসমান : কষ্ট কোথায় করলাম,মাথা ব্যাথা একটু কমেছে?

তিশা : হুম একটু।

ওসমান : তুমি চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করো।

তিশা চোখ বন্ধ করে রাখলো, ওসমান ওর মাথা টিপে দিচ্ছে।

তিশার জ্বর না কমায় ওসমান ওর হাতে একটা ইনজেকশন পুষ করে,
৩ ঘন্টা পর তিশার জ্বর কিছুটা কমে আসে,
সারাদিন ওসমান তিশার অনেক সেবা করে, ওমরও এসে তিশার সাথে কথা বলেছে,রাতে তিশাকে মেডিসিন খাইয়ে ওসমান ও ওমর বাসায় চলে আসে,

কেটে গেল ১৮ দিন,

এই কদিনে ওসমান তিশার ভালোবাসা পুরোই জমে ক্ষীর, ওমর আর আয়েশারও ভালোই কেটেছে মুহূর্তগুলো।

রাতে,

ওসমান ও ওমর,
খান বাড়িতে এসেছে,
ওরা চার জন সোফায় বসে আছে,

ওসমান : তোমাদের সাথে কিছু কথা ছিল।

ওয়াহিদ : হ্যাঁ বলো।

ওমর : মামনি তোমার মেয়েদের আমরা বউ বানাতে চাই।

অবান্তিকা : সত্যি?

ওমর : হুম আমি আয়েশাকে ভালোবাসি।আর ভাইয়া ভাবিকে ভালোবাসে।

অবান্তিকা : ওরা অনেক সুন্দর, নম্র, ভদ্র আমার
ওদের ভীষণ পছন্দ হয়েছে,আমার কোনো আপত্তি নেই।

ওয়াহিদ : আমারও কোনো আপওি নেই।

অবান্তিকা : তাহলে পরশু যেয়ে ওদের এনগেজমেন্ট করিয়ে রাখবো।

ওয়াহিদ : হুম এটাই ভালো হবে,আমরা বিয়ের ডেটও ফিক্সড করবো।

অবান্তিকা : হুম।

ওমর : থ্যাঙ্ক ইউ বাবা মামনি,লাভ ইউ।

অবান্তিকা ও ওয়াহিদ : লাভ ইউ টু বাবা।

ওসমান : আচ্ছা বাবা আজ আসি।

অবান্তিকা : রাতে নাহয় খেয়ে যে..

ওসমান : খাওয়ার ইচ্ছে নেই, চল ওমর, আসি বাবা।

ওমর : আসি বাবা মামনি।

ওয়াহিদ ও অবান্তিকা : আচ্ছা।

ওমর ও ওসমান ওদের বাসায় চলে গেল।

আজ শুক্রবার,

তিশা নামাজ পড়ে, ল্যাপটপে কাজ করছে,
কাজের ফাকে ওসমানকে কল করলো,

তিশা : আজব তো বার বার বন্ধ বলছে কেন,আবারও ফোন ভা/ঙ/লো নাকি?
এই ব্যা’টার তো অনেক রাগ ভা/ঙ/তেও পারে।

আয়েশার রুমে,
আয়েশা : কি ব্যাপার বার বার বন্ধ বলছে কেন, ওতো কখনো এমন করেনা, ওর কি কোনো বিপদ হলো?

তিশা আর আয়েশা দু’জনই টেনশন করছে,

৪ টায়,

তিশা আয়েশার রুমে এসে গল্প করছিল আর অফিসের কাজ করছিল তখন কলিংবেলের আওয়াজ ওদের কানে আসে,

তিশা : আমি দেখে আসি,

তিশা দরজা খুলে দেখে অবান্তিকা হাতে একটা ডালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
তিশা খুশি হয়ে অবান্তিকাকে জড়িয়ে ধরলো,
মামনি কেমন আছো?
তিশার গলা শুনে আয়েশাও রুম থেকে বেরিয়ে আসে অবান্তিকাকে দেখে জড়িয়ে ধরে,
মামনি আসো আসো ভেতরে আসো।

অবান্তিকা : আমি একা আসিনি।

অবান্তিকার পেছন থেকে ওসমান, ওমর, ওয়াহিদ বেরিয়ে আসে ওদের হাতেও ডালা ছিল,

ওয়াহিদ : কেমন আছে আমার মামনিরা।

তিশা ও আয়েশা : আলহামদুলিল্লাহ বাবা খুব ভালো, আসো ভেতরে আসো।

ওরা চারজন ভেতরে প্রবেশ করে,

তিশা, আয়েশা রান্না ঘরে যেতে নিলে অবান্তিকা ওদের হাত ধরে সোফায় বসিয়ে দেয়।
অবান্তিকা : মামনিরা তোমাদের সাথে আমরা কিছু কথা বলবো, আমরা জানি তুমি ওসমানকে আর তুমি ওমরকে ভালোবাসো, তাই আমি আর তোমাদের বাবা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমাদের আজ এনগেজমেন্ট করিয়ে রাখবো, আর কিছু দিন পর বিয়ে।
তোমাদের কি মত?

তিশা,আয়েশা তো অবাক ওরা ভাবতে পারেনি অবান্তিকা ও ওয়াহিদ ওদের এত সহজে মেনে নিবে।

ওয়াহিদ : বলো মা তোমাদের কি মত?

তিশা ও আয়েশা : তোমরা যা ভালো মনে করো।

অবান্তিকা মুচকি হেসে ওদের দু’জনের হাতে দুটো ডালা ধরিয়ে দেয়,
যাও মামনিরা রেডি হয়ে এসো।

তিশা ও আয়েশা ওদের রুমে চলে গেলো, কিছুক্ষণ পর রেডি হয়ে আসে,

তিশা ও আয়েশা দু’জনই শেইম কালো রঙের লেহেঙ্গা পরেছে সাথে ডায়মন্ডের জুয়েলারি পরেছে।

অবান্তিকা তিশাকে ওসমানের সামনে আর আয়েশাকে ওমরের সামনে দাঁড় করায়।

অবান্তিকা তিশার হাতে এবং ওয়াহিদ ওসমানের হাত রিং দেয়,

অবান্তিকা ও ওয়াহিদ : এবার দু’জন দু’জনকে পরিয়ে দাও।

ওয়াহিদ : আগে ওসমান মামনি কে পরিয়ে দাও।

ওসমান তিশাকে চোখের ইশারায় জিগ্যেস করে ও কি ওসমানকে জীবনসঙ্গী করতে চায়?
তিশাও মুচকি হেসে চোখের ইশারায় সম্মতি জানায়।
ওসমান মুচকি হেসে তিশার হাত ধরে অনামিকা আঙ্গুলে রিং পরিয়ে দেয়।

ওরা সবাই হাত তালি দেয়।

অবান্তিকা : মামনি এবার তুমি পরিয়ে দেও।

তিশা মুচকি হেসে ওসমানের অনামিকা আঙ্গুলে রিং পরিয়ে দেয়।

আবারও ওরা হাত তালি দেয়।

ওয়াহিদ : বাবা এবার তুমি আয়েশা মামনিকে রিং পরিয়ে দাও।

ওমর আয়েশার চোখের দিকে তাকিয়ে অনামিকা আঙ্গুলে রিং পরিয়ে দেয়।

অবান্তিকা : আয়েশা মামনি এবার তুমি পরিয়ে দাও।

আয়েশাও মুচকি হেসে ওমরের অনামিকা আঙ্গুলে রিং পরিয়ে দেয়। আর সবার অগোচরে ওমরের চোখে দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দেয়।ওমর তা দেখে মুচকি হাসে।

ওয়াহিদ ও অবান্তিকা : আলহামদুলিল্লাহ, এবার বিয়ের ডেট ফিক্সড করা যাক।

ওসমানের পাশে তিশা, ওমরের পাশে আয়েশা এবং অবান্তিকার পাশে ওয়াহিদ বসেছে,
সবার অগোচরে ওসমান তিশার কানে আস্তে করে বলে,
এবার শুধু ঘরে তোলা বাকি, তোমাকে আমার নামে বুক করে ফেললাম, কিছুদিন পর পুরোপুরি নিজের করে ফেলবো।
ওসমানের কথায় তিশা লজ্জা পেল।

ওয়াহিদ : এই মাসে আমাকে একটু ঢাকার বাহিরে যেতে হবে।তাই ভাবছি আজ তো ৯ তারিখ, বিয়ের ডেট টা আমরা আগামী মাসের ৬ তারিখে রাখি,তোমারা কি বলো?

ওমর ও ওসমান : হ্যাঁ এটাই ভালো হবে।

অবান্তিকা : তাহলে ৬ তারিখ মেহেদী অনুষ্ঠান,৭ তারিখ হলুদ সন্ধ্যা, ৮ তারিখ বিয়ে এবং ৯ তারিখ বউভাত। ঠিক আছে?

ওয়াহিদ, ওমর, ওসমান, আয়েশা, তিশা : হুম,ঠিক আছে।

ওয়াহিদ : মামনি তোমরা বলো বিয়ের অনুষ্ঠান কি রিসোর্টে করবো নাকি আমাদের ফার্ম হাউজে করবো?

তিশা ও আয়েশা : বাবা তুমি যেটা ভালো মনে করো সেটাই করো।

ওয়াহিদ : আচ্ছা তাহলে আমাদের ফার্ম হাউজে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হবে।

ওরা আরো কিছুক্ষন কথা বলে,
রাতের ডিনার বাহিরে যেয়ে করে, ডিনার শেষে অবান্তিকা ও ওয়াহিদ, খান বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেয়, আর তিশা ও ওসমান ওদের গাড়িতে করে তিশাদের বাসার উদ্দেশ্য রওনা দেয়, আয়েশা, ওমরও ওদের গাড়িতে করে তিশাদের বাসার উদ্দেশ্য রওনা দেয়।

গাড়িতে,

তিশা : আমি ভাবিনি বাবা মামনি আমাদের এত সহজে মেনে নিবে।

ওসমান : তুমি কি মনে করেছিলে সিনেমার ভি/লেন বাবা মাদের মতো আমাদের মেনে নিবে না।

তিশা : কিছুটা সেরকমই। আচ্ছা একটা প্রশ্ন করতে পারি?

ওসমান : একটা কেনো হাজারটা করো আর এতো ফর্মালিটি কিসের, আমিতো তোমারই যা খুশি তাই বলো অনুমতি নিতে হবে না।

তিশা : আপনারা বাবা মামনির সাথে থাকেন না কেন?

ওসমান : এমনই আর আমরাতো লন্ডনে থাকি তাই আর বাবা মামনির সাথে থাকি না।

তিশা : ও।

ওসমান : হুম।

তিশা : আপনাকে আমার একটা আবদার রাখতে হবে।

ওসমান : হুম বলো।

তিশা : বিয়ের পর কিন্তু আমরা সবাই একসাথে খান বাড়িতে থাকবো।

ওসমান : কিন্তু,

তিশা : কোনো কিন্তু টিন্তু নেই আবদার রাখবেন কিনা, ইয়েস ওর নো।

ওসমান : ওকে আমরা সবাই একসাথে থাকবো।

তিশা : ইয়ে…..

ওসমান : কিন্তু জানপাখি আমার হসপিটাল তো লন্ডনে আমাদের তো লন্ডনে আবার ব্যাক করতে হবে।

তিশা : কবে?

ওসমান : ৩ মাস পর।

তিশা : আচ্ছা সমস্যা নেই আমরা ২ মাস বাবা মামনির সাথে থাকবো।

ওসমান : আচ্ছা।

তিশা : আপনি আমাকে জানপাখি বলে না ডেকে হৃদয়হরণী বলে ডাকবেন।

ওসমান : জানপাখি বলে ডাকবোনা কেন?

তিশা : জানপাখি টা খুবই কমন নাম আমার হৃদয়হরণী নাম টা ভালো লেগেছে।

ওসমান : আচ্ছা মহারানী।

তিশা : চলে এসেছি।

ওসমান : হুম।

গাড়ি পার্ক করল,

তিশা : আচ্ছা সাবধানে যাবেন।

ওসমান : হুম আল্লাহ হাফেজ।

তিশা : আল্লাহ হাফেজ।

তিশা,আয়েশা বাসায় চলে আসে।

ওসমান,ওমরও গাড়ি ঘুরিয়ে বাসার চলে যায়।

তিশা রুমে শুয়ে বালিস জড়িয়ে ধরে একা একাই বিড়বিড় করছে,
অবশেষে আপনায় পেলাম ডক্টর সাহেব, আমার তো সব কিছু স্বপ্ন মনে হচ্ছে, আচ্ছা সত্যিই কি আমার কপালে এত সুখ সইবে?

কিছুদিন পর,

ওমর তিশাকে ভাবিজ্বী আর তিশা ওমরকে দেবরজ্বী বলে ডাকে, ওরা এখন তুমি করেই বলে।

রাতে,

হৃদিকা,সাজ্জাত, ইয়াসিন, প্রিয়া,সামির
রিয়া,ওসমান,তিশা,ওমর,আয়েশা,
আহনাফ,মেঘা,তামিম,আরিশ,রাইসা,
সবাই একসাথে রেস্টুরেন্টের রুফটপে বসে আছে,

তিশা ও আয়েশার বিয়ের কথা শুনে
আহনাফ, মেঘা,রাইসা,আরিশ ও হৃদিকা তিশা ও আয়েশার কাছে ট্রিট চেয়েছে,
আর ইয়াসিন, প্রিয়া, সামির, রিয়া ও সাজ্জাত ওমর ও ওসমানকে ট্রিট দিতে বলেছে।
তাই আজ সবাই একসাথে রেস্টুরেন্টে এসেছে ট্রিটও দেওয়া হবে আর আড্ডাটাও জমে যাবে।
ওরা খাবার খাচ্ছে আর নানারকম কথা বলছে আর হাসাহাসি করছে,

ইয়াসিন : আমরা কিন্তু লাকি আমাদের কাছে চারজন সিঙ্গার আছে।

সামির : আড্ডা দিচ্ছি আর ওসমানের গান শুনবো না তা তো হবেই না, শুরু হো যা মে”রে ইয়ার।

ওসমান : নো ব্রো আজ গাইবো না।

রিয়া : তা হবে না ভাইয়া আজ আপনাদের চারজনকেই গাইতে হবে।

ওরা সবাই অনেক জোড়াজুড়ি করলো,অবশেষে ওরা চারজন গান গাইতে রাজি হয়।

ওসমান : চার জন একসাথে কোন গান গাইবো।

তিশা : উমম…..পেয়েছি,
আমাদের বিয়ের তো আর ২৮ দিন বাকি তাই এই বিয়ে নিয়েই গান গাইবো।

তিশা ইশারায় ওমরকে কিছু বুঝায়,

তিশা : বুঝেছো দেবরজ্বী।

ওমর : ইয়েস ভাবিজ্বী।

ওমর : Hamari shadi mein
Abhi baki hein hafte char
Char sau barash lagein
Yeh hafte kaise
Hoonge paar.

ওসমান : Nahin kar sakta mein
Aur ek din bhi intezar
Aaj hi pehna dein.

ওমর : Pehna dein
Pehna dein
Aaj hi pehna dein
Teri gori bahoon ka haar

ওসমান : Poonam ho,o jaanam ho,

ওমর : O poonam ho,o jaanam ho.

ওসমান : Neche jo dekhun to
Ocean hee ocean hain
Upar jo dekhun to tu akash
Mein roshan hai.

Milan ki jaldi hai
Milan ki jaldi hai.

ওমর : Plane ki dheemi hai raftar
Mera bash chale to mein
Doon uski chhat pe plane utar.

ওসমান : Maze sasural ki loon
Mahina pura wahan guzaar.

ওমর : Usse lekar lautoon
Sang lekar lautoon.

ওসমান : Use lekar lautoon
Maine jiska iklauta haqdar.

ওমর : Poonam ho, o jaanman ho.

ওসমান : O poonam ho, o jaanam ho

ওমর : Har pardes mein jaanewale
Ko meri hai raaye
Jaha bhi jaaye
Apna dildar
Sang mein hi le jaaye.

ওসমান : Doori ek pal ki
Hoo doori ek pal ki
Mujhse ab to sahi na jaaye.

ওমর : Kash kismat meri mera
Thoda sa sath nibhay.

ওসমান : Mujhse dilne ko woh
Dilli airport pe aaye.

ওমর : Usko dekhte hi
Achaanak dekhte hi.

ওসমান : Hoo usko dekhte hi
Mera dil zoron se cilllaye.

ওমর : Poonam ho, o jaanam ho.

ওসমান : O poonam ho, o jaanam ho.

ওমর : O poonam ho…

ওসমান : O jaanam ho….

তিশা : Ho..o..
Hamari shadi mein.

আয়েশা : Hamari shadi mein.

তিশা : Abhi baki hein hafte char
Mahine beet gaye.

আয়েশা : Yeh din bhi ho
Jaayenge paar.

তিশা : Na phir tarsaungi aur
Karwa ke intezaar.

আয়েশা : Mein yun pehna dungi.

তিশা : Aise pehna dungi.

আয়েশা : Haq se pehna dungi.

তিশা : Tumhe apni baahon ka haar.

আয়েশা : Saajan ho,o baslam ho.

তিশা : O Saajan ho, o baalam ho..

গান শেষে ওরা জোড়ে হাত তালি দিল,

ইয়াসিন : জাস্ট ফাটাফাটি।

মেঘা : বাহ বিয়ের ২৮ দিন বাকি আর সে ২৮ দিন নিয়েই গান গাইলে।

সামির : ভাবি তো মোমেন্টের সাথে মিলিয়ে গান খুঁজে বের করলেন।
সামিরের কথা শুনে তিশা মুচকি হাসে।

সাজ্জাত : গান টা চার জনই খুব সুন্দর ভাবে গেয়েছিস।

প্রিয়া : অনেক সুন্দর হয়েছে।

আহনাফ : আমি তো তোমাদের গানের ভিডিও করেছি।

তামিম,আরিশ : আমিও।

হৃদিকা : আপনাদের গান মানেই আড্ডাটা সম্পূর্ণ।

আরো কিছুক্ষণ থেকে ওরা যার যার বাসায় চলে গেল।

পরদিন,

ওসমান ওর কেবিন বসে কাজ করছিল,তখন কেউ কেবিনে প্রবেশ করে, তাকে দেখেই ওসমান রাগি কন্ঠে বলে উঠে,
#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_21

কপি নিষিদ্ধ ❌

তাকে দেখেই ওসমান রাগি কন্ঠে বলে উঠে,

ওসমান : নিহা তুমি এখানে কেন এসেছো,

নিহারিকা : তোমাকে দেখতে।

ওসমান : কিন্তু আমি তোমাকে দেখতে চাই না।

নিহারিকা : শুনলাম তিশাকে বিয়ে করছো।

ওসমান : হুম ঠিকই শুনেছো ২৭ দিন পর আমাদের বিয়ে।

নিহারিকা : আচ্ছা ওসমান, তিশার মধ্যে এমন কি আছে যা আমার মধ্যে নেই।

ওসমান : তিশার স্বচ্ছ মন আছে, মনুষ্যত্ব আছে, যা তোমার নেই,তোমার তো মানুষকে মা*রতেও হাত কাপে না।

নিহারিকা : আমি আজ ইতালি চলে যাচ্ছি,আর কখনো তোমাদের ডিস্টার্ব করবোনা। একটা কথা মনে রেখো আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি, ভালো থেকো, আসি।

ওসমান : হুম,তুমিও ভালো থেকো।

নিহারিকা কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়।

নিহারিকা যেতেই ওসমান কাজে মন দিল তখন আবারও দরজা কেউ নক করে,

ওসমান : কাম ইন।

তিশা : ডক্টর সাহেবকে কি ডিস্টার্ব করলাম?

ওসমান : জ্বি না ম্যাম।

তিশা : ব্যস্ত বুঝি?

ওসমান : তোমার জন্য অলটাইম ফ্রি।

তিশা : আমার সাথে একটা জায়গায় যেতে পারবেন?

ওসমান : হুম কোথায় যাবে,

তিশা : চলুন আমার সাথে।

তিশা ওসমান হসপিটাল থেকে বের হল।

তিশা : রিক্সায় চড়ে যাবো।

ওসমান : ওকে।

ওরা রিক্সায় চড়ে বসে,
তিশা : আপনাকে কি*ড*ন্যা*প করে নিয়ে যাচ্ছি, মে*রে গু*ম করে দিব,হাহাহা।

ওসমান : আমি ম*রলেও তোমাকে নিয়েই ম*রবো।

তিশা : তাহলে মে*রে ফেলা ক্যান্সাল, আইডিয়া আপনাকে পে/ত্নীর কাছে রেখে আসবো,তার পর সে আপনার ঘাড় ম*ট*কাবে, হাহাহাহা।

ওসমান : পে/ত্নী যদি আমার প্রেমে পরে যায় তখন,
ব্রু নাচিয়ে কথাটা বলে,

তিশা : ওহ হ্যাঁ তাই তো, না থাক পে/ত্নী টে/ত্নী বাদ আমিই আপনার ঘাড় ম*ট*কাবো।

ওসমান : এই নাও ম*ট*কাও।

তিশা : বিয়ে টা করে নেই তারপর ম*ট*কাবো,
আপনার জীবনটা আমি বাঁশ পাতা করে দিব।

ওসমান : ওকে,বাঁশ পাতা তো কাজে লাগে না, ধনেপাতা রান্না করতে লাগে,তাই আমি তোমার জীবন ধনেপাতা করে দিব,চলবে?

তিশা : দৌড়বে।
দু’জন একসাথে ফিক করে হেসে দেয়।

তিশা : চলে এসেছি আমরা।

তিশা : জায়গা টা সুন্দর না?

ওসমান : হুম খুব।

তিশা : এখানকার ঠান্ডা পরিবেশ খুব ভালো লাগে।

ওসমান : অশান্ত মনকে শান্ত করার জন্য যথেষ্ট।

তিশা : ডক্টর সাহেব হাত বারান।

ওসমান হাত বারিয়ে দিল তিশা একটা ঘড়ি পরিয়ে দিল।
ওসমান : তো ম্যাম আজ কোন উপলক্ষে দিলেন।

তিশা : কোনো উপলক্ষে না আমার ইচ্ছে আপনি সবসময় আমার দেওয়া ঘড়ি পরবেন, যখনই আপনি ঘড়ির দিকে তাকাবেন তখন আমার কথা মনে পরবে।আর সবসময় এটা স্মরণ করিয়ে দিবে আপনার খুব কাছের মানুষ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
তিশার কথা শুনে ওসমান মুচকি হাসলো।

ওমর হেটে হেটে ওর কেবিনের দিকে যাচ্ছিল হঠাৎ পেছন থেকে কেউ ওর চোখ ধরে,

ওমর : মায়াবতী।

আয়েশা হাত সরিয়ে,
বুঝলে কিভাবে?

ওমর : ইটস ম্যাজিক।

ওরা ওমরের কেবিন প্রবেশ করে,

আয়েশা ওর ব্যাগ থেকে একটা মাঝারি সাইজের বক্স বের করে ওমরের হাতে দেয়।

ওমর : কি আছে এতে?

আয়েশা : খুলে দেখো।

ওমর বক্সটা খুলে দেখে বক্সে কালো কালারের পাঞ্জাবি আর একটা ঘড়ি।

আয়েশা : পছন্দ হয়েছে?

ওমর : ভীষণ।

আয়েশা : যাও পরে এসো, আমরা বাহিরে যাবো।

ওমর : ৫ মিনিট ওয়েট করো।

ওমর চেঞ্জ করে আসে,

আয়েশা : খুব সুন্দর লাগছে। ঘড়ি আমি পরিয়ে দেই?

ওমর : হুম।
ও হাত বারিয়ে দেয় আয়েশাও ঘড়ি টা পরিয়ে দেয়।

আয়েশা : তোমার হাতে খুব মানিয়েছে।

ওমর : থ্যাঙ্ক ইউ।

আয়েশা : ভালোবাসার মানুষকে থ্যাঙ্ক ইউ নয় লাভ ইউ বলতে হয়।

ওমর : সরি, লাভ ইউ মায়াবতী।

আয়েশা : লাভ ইউ টু।

ওমর : চলো যাওয়া যাক।

আয়েশা : হুম।

ওরা সারাদিন ঘুরলো তারপর বাসায় চলে আসলো।

দেখতে দেখতে ২০ দিন কেটে গেল,

আজ তিশা,অবান্তিকা,ওয়াহিদ,ওমর,আয়েশা, ওসমান বিয়ের শপিং করতে এসেছে,

ওরা প্রথমে লেহেঙ্গা ও শাড়ির দোকানে গেল,

অবান্তিকা একটা সবুজ কালার কাঞ্জিবারাম শাড়ি তিশা ও আয়েশাকে দেখিয়ে,
মামনি দেখতো এটা কেমন লাগে,

তিশা : খুব সুন্দর।

অবান্তিকা : এটা মেহেদীর জন্য নিবো?

তিশা : হ্যাঁ নিতে পারো, মামনি বিয়েতে আয়েশা আর আমি শেইম ড্রেস পরতে চেয়েছিলাম।

আয়েশা : হুম মামনি।

অবান্তিকা : এটা তো ভালো আইডিয়া তোমরা দুজন শেইম ড্রেস পরবে আর ওসমান ওমরও শেইম ড্রেস পরবে,দেখতে সুন্দর লাগবে।

ওমর : যমজ যমজ ফিল আসবে।

ওসমান : দেখোতো ঐই গাউন টা কেমন লাগে,

গ্লোডেন ও ব্রাউন কালার কম্বিনেশনের ব্রাইডাল গাউন দেখিয়ে বললো।

তিশা : হুম সুন্দর বিয়ের জন্য পার্ফেক্ট, আয়েশা দেখতো।

আয়েশা : হুম আমারও পছন্দ হয়েছে, মামনি দেখো সুন্দর না।

অবান্তিকা : খুব সুন্দর,ড্রেসটার সাথে ভারী গহণা খু্ব মানাবে।

ওমর : এই ড্রেস দুটো প্যাক করে দিন।

দোকানদার : ওকে স্যার।

অবান্তিকা : এই সবুজ কালারের শাড়ি দুটো প্যাক করে দিন।

ওয়াহিদ : ঐই লেহেঙ্গা টা দেখান।

দোকানদার লেহেঙ্গা টা নামিয়ে দিল,লেহেঙ্গা টা ক্রীম কালারের হলেও হোয়াইট স্টোনের কাজ করায় ক্রীম কালার টা বুঝা যাচ্ছেনা।

ওয়াহিদ : দেখোতো লেহেঙ্গা টা কেমন?

তিশা, আয়েশা, অবান্তিকা : সুন্দর হলুদের জন্য বেস্ট।

ওয়াহিদ : এগুলোও প্যাক করুন।

ওরা তিশা ও আয়েশার জন্য হলুদের,
মেহেদীর,বিয়ের, বউভাতের অনুষ্ঠানের জন্য ড্রেস কিনে গহনার দোকানে গেল।
ওদের জন্য গহনা কিনে, ডিনার করে বাসায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠে বসে,

গাড়িতে ওসমান এক হাত দিয়ে ড্রাইভ করছে আর অন্য হাত দিয়ে তিশার হাত ধরে রেখেছে,

তিশা : আপনি বিয়ে তে খুশিতো?

ওসমান : খুব খুশি কত অপেক্ষা পর তোমাকে নিজের করে পাবো।

তিশা : আচ্ছা সেদিন বলেছিলেন আপনি ৫ বছর আগে আমার প্রেমে পরেছিলেন, কিন্তু আমি তো ৫ বছর আগে আপনাকে দেখিনি। আপনি আমাকে কোথায় দেখেছিলেন?

ওসমান : তোমাকে আমি ৫ বছর ৯ মাস আগে দেখেছি,কোথায় দেখেছি সেটা এখন বলবোনা, কিন্তু তুমিও আমাকে দেখেছিলে।

তিশা : কই আমার তো মনে পরছেনা। বলুন না কোথায় দেখেছেন।

ওসমান : উহুম এখন বলবোনা, বিয়ের পর কোনো একদিন জোছনা বিলাস করতে করতে বলবো।

তিশা :[মনে মনে]: কৌতুহল জাগিয়ে এখন বলছে পরে বলবে, ব/জ্জা/ত লোক।

পরদিন,
ওসমান ও ওমরের জন্য শপিং করে আর এর পরদিন অবান্তিকা, ওয়াহিদ ও ওদের রিলেটিভদের জন্য শপিং করলো। ওদের বিয়ের সব কিছু কেনাকাটা শেষ।

তিশা : নিন।
একটা ওয়ালেট ওসমানের দিকে বারিয়ে দিয়ে,

ওসমান : তুমি কেন কিনতে গেলে।

তিশা : বারে আপনাকেই আপনার টাকায় গিফট দিবো?দেখুন ওয়ালেটে আপনার আর আমার ছবি লাগানো।

ছবিটা দেখা মাএই ওসমানের মুখে হাসি ফুটে ওঠে।

তিশা : ছবিটা দেবরজ্বী তুলেছে আপনার আর আমার অগোচরে।

ওসমান : অগোচরে তোলাতেই ছবিটা সুন্দর হয়েছে।

তিশা : হুম।

ওরা গাড়িতে উঠে বসে,
ওসমান : তুমি চাইলে জব করতে পারো আমার কোনো আপত্তি নেই।

তিশা : রিজাইন লেটার দিয়ে এসেছি।

ওসমান : আমার জন্য জব টা ছেড়েছো?

সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে,
তিশা : উহুম নিজের জন্য ছেড়েছি,এবার শরীরটাকে বিশ্রাম দিতে চাই।

ওসমান উওরে কিছু বলেনা।

রাতে,

তিশা ওসমানের সাথে ফোনে কথা বলছে,
ওসমান : আর মাএ তিনদিন তারপর তুমি আমার বউ হবে।অপেক্ষার প্রহর কেটে যাবে।

তিশা ওসমানের কথা শুনে মুচকি হাসলো।

ওসমান : যদি বউ সাজােগো আরো সুন্দর লাগবে গো।

তিশা : হুম জানি তো।

ওসমান : দিলে তো গানের বারোটা বাজিয়ে, পরের লাইন টা বললেও তো পারতে।

তিশা : হিহি আপনাকে জ্বা/লা/তে ভালো লাগে।

ওসমান : ওহে হৃদয়হরণী কেন তোমার দ/হ/নে পো/ড়া/চ্ছো।

তিশা : আমিতো পো/ড়া পো/ড়া গন্ধ পাচ্ছিনা।

ওসমান : আমার কাছে আসো তাহলে পাবে।

তিশা : থাক আমার এত শখ নেই।

ওসমান : কিন্তু আমার তো আছে।

তিশা : এত শখ ভালো না।

ওসমান : আচ্ছা, তুমি আমাকে আপনি করে বলো কেন,বাবা মামনি ইভেন ওমরকেও তুমি করে বলো শুধু আমার বেলায় আপনি আপনি করো, আমার বেলায় এত না/ইন/শা/ফি কেন?

তিশা ওসমানের কথা শুনে ফিক করে হেসে দিল।

ওসমান : একদম হাসবেনা।এখন থেকে আমাকেও তুমি করে বলবে।

তিশা : জ্বি নেহি।

ওসমান : নেহি কেন?

তিশা : সময় হলে ঠিকই তুমি করে বলবো।

ওসমান : কখন আসবে সেই সময়।

তিশা : সবর করো বৎস সবর করো।

ওসমান : হায়রে,

ওরা আরো কিছুক্ষন কথা বলে।

তিশা কল কেটে চোখ বন্ধ করা মাএই নোটিফিকেশনের আওয়াজ পায়, চোখ খুলে ফোনের দিকে তাকায়।ফোন হাতে নিয়ে দেখে অচেনা নাম্বার থেকে এসএমএস এসেছে,
এসএমএস এ লিখা ছিল,
“ওসমানকে বিয়ে করোনা,ও তোমাকে ভালোবাসেনা,
ও তোমার জীবন ধ্বং/স করে দিবে।”
এসএমএস টা পরে ঐ নাম্বারে কল করে কিন্তু নাম্বার বন্ধ বলছে, এসএমএসও দিয়েছে কিন্তু কোনো রিপ্লাই পায়নি।
তিশা : কে পাঠালো এই মেসেজ, কেন এই কথা বললো, না যা লিখেছে সব ভুল ডক্টর সাহেব কখনো এমনটা করবেনা। আমি কালই ডক্টর সাহেব কে এই এসএমএস দেখাবো।আমি জানি কেউ ইচ্ছে করেই আমাদের আলাদা করতে চাইছে, আচ্ছা এটা নিহারিকা আপুর কাজ নয় তো?

চলবে কি?

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here