একতরফা ভালোবাসা পর্ব -০৩ ও শেষ

#একতরফা ভালোবাসা (শেষ পর্ব)
#মৌমিতা হোসেন

অফিসে শিউলির ভাইদের কাজে এমনিতেই তুহিনের মেজাজ খারাপ ছিলো। শিউলির কথায় তুহিন আরো রেগে যায়। তুহিনের অস্বস্তি চরমে পৌছায়। রাগে টেবিলের ওপরে পড়ে থাকা ফুলদানি নিয়ে ফ্লোরে ছুড়ে ভেঙে ফেলে। কিছু ভাঙার শব্দে সাবেরা বেগম,বোন,ভাবি সবাই ড্রইং রুমে ছুটে আসে। তুহিনের রাগ দেখে শিউলি ভয়ে কাঁপতে থাকে। তুহিন শিউলির দিকে তাকিয়ে শুধু বলে,”তোমাকে পড়ানো, ভালো চোখে দেখা সবটাই ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভূল। একবার না বলার পরেও তোমার ভাইদের আমার অফিসে পাঠিয়ে আমার যে সম্মান হানি ঘটিয়েছো এর জন্য আমি কখনোই তোমাকে মাফ করবো না। আর ভালোবাসা, বিয়ে তো রয়েছে অনেক পরের কথা। যদি সত্যি আমাকে ভালোবেসে থাকো তাহলে দয়া করে আমার পিছু ছেড়ে দাও। আমাকে আর বিরক্ত করোনা। আমার সামনে আর কোনদিন এসো না। আমার আর ভালো লাগছেনা শিউলি। আমি কোনদিনই তোমাকে ভালোবাসিনি আর ভালোবাসবো না। তোমাকে কোনদিনই আমি তেমন চোখে দেখিনি …দেখা সম্ভবও না।”

এ কথা বলেই তুহিন রেগে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। শিউলি চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। কি করবে,কি বলবে ভেবে পায়না।কারন ভাইদের এসবের কিছুইতো ও জানতো না। তাই আর কথা না বাড়িয়ে সাবেরা বেগমের কাছে থেকে বিদায় নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় চলে আসে।

ঐ ঘটনার পরে সপ্তাহ পার হয়ে যায় তুহিন বাসায় সবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সারাজীবন কখনো মায়ের অবাধ্য হয়নি তুহিন। বিয়ের ব্যাপারে আগেই বলার পরেও বারবার শিউলির কথা বলায় মায়ের উপর খুব অভিমান হয় তুহিনের। এদিকে বাসায় এসে ভাইদেরকেও কিছু বলতে পারে না শিউলি। কারন ও জানে ওর ভাইরা এসব শুনলে তুহিনের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। শিউলি বাসায় এসে সবাইকে বলে ,”আমি এখনি বিয়ে করতে চাইনা। অনার্স কমপ্লিট করার পর আমাকে বিয়ে দিও প্লিজ। আমি আরো একটু পড়তে চাই। আমাকে একটু পড়ালেখা করার সুযোগ দাও।”

বোনের পড়ালেখার প্রতি আগ্ৰহ দেখে ভাইরা বেশ খুশি হয়।যেহেতু ওনারা তেমন পড়াশোনা করেনি তাই বোনকে পড়ার ব্যাপারে বাধা দেয়না। আর ভাবে যে, পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকলে ঐ তুহিনের চিন্তাও হয়তো মাথা থেকে চলে যাবে। তাই সবাই আপাতত শিউলর বিয়ের জন্য ছেলে খোঁজা বন্ধ করে দেয়।”

সময় সময়ের নিয়মেই কাটতে থাকে। শিউলি পড়ালেখায় মন দেয়। সারাদিন কলেজ আর পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ততার ভান দেখালেও শিউলির রাতটা কাটে নির্ঘুমে, কেঁদে কেঁদে। তবে বাসায় কাউকে এসবের কিছুই বুঝতে দেয়না। তুহিনকে নিয়ে ভাবতে গিয়ে শিউলি নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেয়ের কথাও ভুলে যায়। ফলে এক সময় অসুস্থ হয়ে পরে। প্রায়ই প্রচন্ড পেট ব্যাথা করে শিউলির। তবুও কাউকে কিছু বুঝতে দেয়না আর ব্যাথার কথা কাউকে বলেওনা। আর ঐ দিনের পর থেকে তুহিনের বাসায়ও আর যায়না। মাঝে মাঝে অবশ্য অন্য নাম্বার দিয়ে তুহিনকে ফোন করে। তুহিন রিসিভ করলে ওর কন্ঠ শুনলেই আবার লাইন কেটে দেয়। এভাবেই কাটতে থাকে ওর দিন।

সাবেরা বেগমও ছেলেকে শিউলির ব্যাপারে আর কিছু বলেনা। আর তুহিনও বাসায় জানিয়ে দেয় যে, ও এখনি বিয়ে করবেনা। কিছু দিন যাক তারপর বিয়ের ব্যাপারে আবার ভাববে। অফিস নিয়ে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অফিসের নানা ব্যস্ততায় শিউলির কথা তুহিনের মাথায় আর আসে না। এভাবেই প্রায় এক বছর কেটে যায়। এর মাঝেই ফোনে এক মেয়ের সাথে তুহিনের পরিচয় হয়। নাম মিতা। প্রথমে বন্ধুত্ব হয়। পরে ধীরে ধীরে তুহিনের মিতাকে ভালো লেগে যায়। এই প্রথম কারো প্রতি তুহিন ভালোবাসা অনুভব করে। তুহিন যেমনটা চেয়েছিলো মিতা ঠিক তেমনটিই।শান্ত, শিক্ষিতো, ভদ্র, পরিবার এর সবাই ও শিক্ষিত। মিতা একটা স্কুলে শিক্ষকতা করছে। তুহিন দেরি না করে মিতার কথা বাসায় জানায়। অবশেষে তুহিনের কাউকে পছন্দ হওয়ায় সাবেরা বেগম বেশ খুশি হয়। সবাই মিলে মিতার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। তুহিনকে তাদের সবারও পছন্দ হয় তাই তারা আর দেরি করতে চায়না। খুব দ্রুত বিয়ের তারিখ ঠিক করে ফেলে।

এক মাস পরেই বিয়ে তাই সবাই বিয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে। খুব ব্যস্ততায় সময় কাটতে দিকে সবার। বিয়ের এক সপ্তাহ আগে একদিন হঠাৎ শিউলির মা-বাবা তুহিনের বাসায় আসে। অনেক দিন পর তাদের দেখে সাবেরা বেগম একটু অপ্রস্তুত হয়ে যায়। ভেতরে এসে বসতে বলে। বাসায় বিয়ের প্রস্তুতি দেখে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারে যে তুহিন এর বিয়ে। সাবেরা বেগম আর কি বলবে ভেবে পায়না। এর মাঝেই শিউলির কথা জিজ্ঞেস করলে শিউলির মা কেঁদে বলে,”আমার শিউলির ক্যান্সার হয়েছে ভাবি। কেমো দিচ্ছি। দেরি করে ধরা পরেছে তাই ডাক্তার বলেছে এখন আল্লাহ একমাত্র ভরসা। মেয়েটা হাসপাতালে ভর্তি। গতো দুই দিন ধরে বায়না ধরেছে শেষ বারের মতো একবার তুহিনকে একটু দেখবে। আর কোনদিন আমরা বা শিউলি তোমাদের বিরক্ত করবো না ভাবি। আমার মেয়েটার শেষ ইচ্ছা একটু পুরন করো ভাবি। মেয়েটার দিকে আমরা আর তাকাতে পারছিনা।”

তুহিনের বাবা -মা কি বলবে বুঝতে পারেনা। খুব কষ্ট পায়। শিউলিকে সেই ছোট্ট থেকে বড় হতে দেখেছে। ওর প্রতি মনে এমনি একটা ভালোবাসা ছিলো এখনো আছে। তাই ওর এমন অবস্থা মানতে সাবেরা বেগমের খুব কষ্ট হচ্ছিলো। সাবেরা বেগম বলে,”চিন্তা করোনা বোন। আমি তুহিনকে নিয়ে বিকেলে শিউলিকে দেখতে আসবো।”

তুহিন তখনই বিয়ের শপিং করে বাসায় আসে। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে তুহিন সবটাই শুনতে পায়। আর তখনই তুহিনের হাত থেকে ব্যাগগুলো পড়ে যায়। শিউলিকে না ভালোবাসলেও তুহিন শিউলিকে ছাত্রি হিসেবে বেশ পছন্দ করতো,স্নেহ করতো। মাঝে বিরক্ত হলেও পরে আস্তে আস্তে ওর প্রতি বিরক্তিটা কমে গিয়েছিলো। সত্যি বলতে শিউলির কথা তুহিন প্রায় ভুলেই যায়। আসলে কাজের চাপ ছিলো অনেক। আর মিতাকে পেয়ে এসব ভাবার সময়ও ছিলোনা তুহিনের। কিন্তু হঠাৎ শিউলির এমন অসুখের কথা শুনে ওর ভীষন খারাপ লাগে। শিউলির মা-বাবা তুহিনের সাথে কথা না বলেই চলে যায়। ভেতরে এসে মায়ের কাছে সবটা শুনে তুহিনের কেনো জানি ভালো লাগে না। তাই তুহিন মায়ের কথায় বিকেলে শিউলিকে দেখতে যাবে বলে ঠিক করে।

বিকেলে তুহিন আর সাবেরা বেগম দুজন মিলে হাসপাতালে যায় শিউলির সাথে দেখা করতে। বাইরে শিউলির মা-বাবা,ভাই সবাইকে দেখে তুহিন একটু ইতস্তত বোধ করতে থাকে। তবে তারা সবাই তুহিনকে দেখে বেশ খুশী হয়। তাই অপেক্ষা না করে ভেতরে যেতে বলে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে শিউলি তুহিনেরই অপেক্ষায় ছিলো।

তুহিন কেবিনে ঢুকে শিউলিকে দেখেই আঁতকে ওঠে। এ কোন শিউলিকে দেখছে ও। মাথায় চুল বেশির ভাগ নেই, চোখে পাপড়ি,ভ্রু কিছুই নেই। শুষ্ক মুখ, ঠোঁট। ফর্সা,সুন্দর অল্প বয়সী দেখতে মেয়েটার এমন পরিনতি দেখে তুহিনের বুকটা কেঁপে ওঠে। হেঁটে সামনে যাওয়ার মতো শক্তিও যেনো তুহিন পাচ্ছে না ।

এদিকে শিউলি তুহিনকে দেখে অপলক তাকিয়ে থাকে। মনে হচ্ছিলো তৃষ্ণার্ত চোখ দুটি প্রিয় মানুষটাকে দেখে চোখের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে। কিছুক্ষণ এভাবে তুহিনকে দেখে ইশারায় পাশে এসে বসতে বলে। শিউলির কথায় তুহিন সম্বিত ফিরে পায়। তুহিন ধীর পায়ে হেঁটে গিয়ে শিউলির সামনে টুল টেনে বসে। শিউলি সালাম দিয়ে বলে,”কেমন আছেন তুহিন ভাই?”

তুহিন অন্য দিকে তাকিয়ে বলে,”হুম আমি ভালো আছি। তুমি কেমন আছো শিউলি? তোমার এই অবস্থা কীভাবে হলো? তুমি কি আগে থেকে কিছুই বুঝতে পারোনি?”

তুহিনের কথা শুনে মৃদু হাসে শিউলি। শিউলি বলে,”বুঝলেই বা কি হতো তুহিন ভাই? আপনি কি আমাকে মেনে নিতেন?আপনি হীন এ জীবন থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। তাই আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। কারন বেঁচে থাকলে বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে হলেও কোন এক সময় আপনার জায়গায় আমার অন্য কাউকে বসাতে হতো। এমনটা হলে যে অনেক বড়ো অন্যায় হয়ে যেতো তুহিন ভাই। আপনার জায়গায় আমার পক্ষে অন্য কাউকে বসানো যে অসম্ভব।”

কথা বলতে বলতে হঠাৎ শিউলি কাশি শুরু করলে তুহিন একটু অস্থির হয়ে বলে,”আর কথা বলো না শিউলি। তোমার কষ্ট হবে, খারাপ লাগবে।”

তুহিনের কথা শুনে শিউলি মলিন হাসে। দু’চোখ ভরে দেখতে থাকে মনের মানুষটাকে। অশ্রুসিক্ত চোখে তুহিনের দিকে তাকিয়ে বলে,”আমার শেষ ইচ্ছা পুরনের জন্য ধন্যবাদ তুহিন ভাই। দেখেছেন আপনার কথা ঠিকই আমি রেখেছি। আর কোনদিন আমি আপনার সামনে আসবো না।” চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে থাকে শিউলির। চোখ মুছে শিউলি আবার বলে,”আপনি বিয়ে করছেন তুহিন ভাই? ভাইয়া বলেছে আপনার বিয়ের কথা। আচ্ছা!ভাবি বুঝি অনেক সুন্দর? আমার না খুব আফসোস হয় জানেন? আল্লাহ কেনো আপনার সাথে আমার জোড়া লিখলেন না? আমি কি খুব বেশি খারাপ?”

তুহিন কি বলবে ভেবে পায়না। যাওয়ার জন্য উঠে দাড়াতেই শিউলি বলে,” দেখেছেন কি কপাল আমার? আপনাকে তো পেলামই না। আপনার বিয়েটাও খেতে পারলাম না।”

তুহিনের আর ভালো লাগেনা। কেমন যেনো এক বাজে অনুভূতি হতে থাকে। চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে ওঠে। তুহিন শিউলিকে মলিন কন্ঠে বলে,” আমার উপর কোন রাগ রেখো না শিউলি। সত্যি বলতে কি তোমার প্রতি আমার কখনোই ভালোবাসা ছিলোনা বা হয়নি। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে আল্লাহর ইচ্ছাতেই হবে। তোমাকে ছাত্রী হিসেবে, এলাকার মেয়ে হিসেবে ভালো জানতাম। বিশ্বাস করো এর বেশি কোন কিছু কখনোই আমি ভাবিনি। ভালোলাগা আর ভালোবাসা এক নয় জানোই তো। কিন্তু তাই বলে তোমার এমন পরিনতি হবে সেটাও আমি কোনভাবেই মানতে পারছি না। চিকিৎসা চলছে। আল্লাহ চাইলে তুমি নিশ্চই সুস্থ হয়ে যাবে শিউলি। আমি চাই তুমি সুস্থ হয়ে নতুন করে জীবন শুরু করো।”

তুহিন কথা শেষ করে চলে যেতে নিলেই শিউলি আরও একটা ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে বলে,”একটি বারের জন্য আপনার হাতটা আমি একটু ধরবো তুহিন ভাই?এই প্রথম আর এই শেষ। আমি জানি আমার সময় প্রায় শেষ। একবারের জন্য আপনাকে একটু স্পর্শ করি?আর কোনদিন কোন আবদার করবো না তুহিন ভাই। সত্যি বলছি।”কথাগুলো বলেই শিউলি অঝোরে কাঁদতে থাকে।

শিউলির কান্না দেখে তুহিন শিউলির ইচ্ছা অপুর্ন রাখতে পারেনি। হাতটা এগিয়ে দিলে শিউলি ক্যানুলা লাগানো হাতটা আস্তে আস্তে এগিয়ে আনে। তুহিনের হাতটা ধরেই উচ্চস্বরে কাদতে থাকে আর বলে,”কেনো আমার সাথেই এমন হলো তুহিন ভাই? সত্যি আপনাকে আমি অনেক ভালোবাসি আর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনাকেই ভালোবাসবো। শুধু আপনাকেই ভালোবাসো।”

এবার আর তুহিন নিজের চোখের পানি আটকে রাখতে পারেনা। শিউলির কথার প্রেক্ষিতে কি বলা উচিত, কীভাবে শিউলিকে শান্তনা দেয়া উচিত সেসবের কিছুই তুহিনের মাথায় আসছেনা। বেশ কিছু সময় পর তুহিন হাতটা ছাড়িয়ে নেয়। চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে বিদায় নিয়ে চলে যেতে নিলে শিউলি আবার বলে, “ভালো থাকবেন তুহিন ভাই।ভালোবাসলে সব সময় তাকে পেতেই হবে এমন তো কোন কথা নেই। হ্যা ,আপনাকে পেলে হয়তো আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সুখী মানুষ হতাম। কিন্তু ভাগ্য আমাকে আপনার হতে দিলোনা। আমার একতরফা ভালোবাসা আমারই থেকে গেলো। এটা কোন ভাবেই আপনার মন গলাতে পারেনি। তাই এখানেও হয়তো আমারই ব্যর্থতা রয়েছে। আপনি চিন্তা করবেন না। আমি মন থেকে দোয়া করছি আপনি যেনো সুখি হন, ভালো থাকেন। সত্যি আমি মন থেকে দোয়া করছি তুহিন ভাই।”

তুহিন বলার মতো কোন কথা খুঁজে পায়না। শিউলির বেদনা ভরা চেহারা একবার দেখে নিঃশব্দে বের হয়ে যায় হাসপাতাল থেকে। শিউলিকে না ভালোবাসলেও তুহিন কখনোই ওর এমন পরিনতি চায়নি। আজ বুকের ভেতর কেমন যেনো তীব্র ব্যাথা হতে থাকে। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে নিঃশ্বাস ছেড়ে বেশ কিছু সময় খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রান খুলে একটু শ্বাষ নিতে চায়। কিন্তু না আজ কিছুই করতে পারছেনা তুহিন। তুহিনের কাছে ভালোবাসাকে খুব নিষ্ঠুর মনে হতে থাকে। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভাবতে থাকে…..শেষটা এমন করুন না হলেও তো পারতো!! শিউলির এমন অবস্থা হোক এটা যে ও কখনোই চায়নি। কখনোই না…..

সমাপ্ত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here