#এক্সিডেন্টলি_প্রেম♥
#পার্ট-১৯♥
#Ayanaa_Jahan(Nusraat)♥
—- ওই ব্যাটা, মুততে আইছোস মুতোস না কেন? বয়!
রিভানের ঝাঁঝালো গলায় দেওয়া ধমকে ঠোঁট উল্টালো সানি। পকেট থেকে বেনসনের প্যাকেট বের করে দাঁত কেলিয়ে বললো,
—- তোরে কখন কইলাম আমি মুততে আইছি? বাহানা বুঝোস না? ছুডু থাকতে হিশু করার নাম করে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পুরা মাঠ চক্কর মারিস নি তাইলে! সো স্যাড!
রিভান চোখ বড়বড় করে তাকালো। অবাক কন্ঠে হতবাক হয়ে বললো,
—- ওরে বাটপার, ওরে চিটার! তুই ধোঁয়া ফুকতে আইছোস! খাঁড়া, নিশান্তরে যদি না কইছি….!
সানি ভয়েমাখা চোখে তাকালো। চটজলদি রিভানের সামনে দু হাত মেলে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে বললো,
—- পায়ে পড়ি তোর, অকাম-কুকাম করিস না। এমনিতেই মামার মাথায় আগুন ধরছে, তুই উল্টে ঘি ঢালতে যাস না প্লিজ! এই নে তোরে ফ্রি ফ্রি দুইডা সিগারেট দিতাছি তাও কইস না বাপ!
রিভান ভ্রু কুঁচকে ঠোঁট বাঁকালো। প্রতিবাদী সুরে চেঁচিয়ে বললো,
—- সানি লিওনের বাচ্চা, আমি স্মোক করি না জানোস না? যা দূরে যা, ওদিক যায়ে খায়ে আয়। ১ মিনিটের মধ্যে যেনো কাজ শেষ হয়। এর থেকে বেশি ওয়েট করতে পারবো না।
সানি দু-হাতে কান চেপে ধরে ভেতরের পর্দা বাঁচালো। এক ছুটে রোডের ওপারে গিয়ে এদিক-ওদিক চোখ বুলাতে বুলাতে সিগারেটে ম্যাচ ঠেকিয়ে আগুন ধরালো তৎক্ষণাৎ। সানি যেতেই কপালে স্লাইড করতে শুরু করলো রিভান। বিরক্তিতে জড়োসড়ো হয়ে ঘড়ি দেখলো। এখন সময় ৩ টা বেজে ১৭ মিনিট! দিন হতে হতে কোনোরকমে নওগাঁ পৌঁছে গেলেই হাফ ছেড়ে বাঁচে তারা।
কয়েক টান মেরে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অর্ধেক জলন্ত সিগারেটটা রাস্তায় ফেলে পা দিয়ে পিষে আগুন নেভালো সানি। উল্টোদিকে ফিরে তাকাতেই সামনে দিয়ে সা সা শব্দে ছুটে চললো দোতলা বাস। সানি ছোট্ট করে শ্বাস ফেললো। রিভানের বিরক্তিতে সিক্ত মুখখানা দেখে নিয়ে চটজলদি রাস্তা পাড় করবার তাগিদে ছুট লাগালো। কিন্তু ভাগ্য বলে এক চিরন্তন সত্য রয়েছে। যা চরম পরিহাসে রাস্তা পাড় করার সাথে সাথেই একদল মুখ বাঁধা লোকেরা ঘেরাও করলো দুজনকেই। রিভান-সানি চমকে ফিরে তাকালো। তাদের ঘিরে ধরে লাল রুমাল পরিহিত ৪ জন শক্তপোক্ত শরীরের লোক হাতে ছুড়ি জাতীয় অস্ত্রাধী নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যা দেখে চোখ বড়বড় করে ঢোল গিললো দুজনেই। একে-অপরের দিকে ভয়ে মাখা দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই তাদের মধ্যে একজন বলে উঠলো,
—- এক চুল পরিমাণ নড়বার চেষ্টা করলেই কিন্তু কাল্লা কাইট্টা হাতে ঝুলায় দিমু! চুপচাপ দাঁড়ায় থাক দুটায়!
রিভান বুঝলো এ নিঃসন্দেহে ডাকাত দল! নয়তো এরকম অস্ত্রসহ মুখ ঢেকে সম্মুখেই আক্রমণ চালাতো না কোনো মতেই। সানি ভয়ে আঁতকে উঠে রিভানের হাত খামচে ধরলো। কাঁপাকাঁপা গলায় মিনমিন করে বললো,
—- আপনারা কারা? আ….আমাদের কাছে কি চাই আপনাদের?
সাথেসাথেই তাদের মধ্যে সবথেকে লম্বা করে লোকটি ধমকে উঠে কর্কশ গলায় বললো,
—- এই চুপ! একদম চুপ! তাড়াতাড়ি মাল বাইর কর, কোনো কথা হইবো না। এই লালটু, মোছাদ্দেক, ব্যাটাদের কাছে যত মাল আছে খুঁইজা বাইর কর ফটাফট!
“যথা আজ্ঞা হুজুর!” বলেই তাদের মধ্যে দুটো পেট মোটা ডাকাত এগিয়ে এলো সানি-রিভানের দিকে। গায়ে হাত দেবার ভয়ে সানি চটজলদি সিগারেটের প্যাকেট বের করে এগিয়ে ধরলো। মিনমিন করে ক্ষীণ গলায় বললো,
—- ভাই আমার কাছে এই কয়টা মালই আছে৷ আমাদের ছেড়ে দেন প্লিজ! গায়ে হাত দিবেন না দয়া করে। আমরা এখনো বাচ্চাবাচ্চা পোলাপান!
রিভান সানির দিকে বিস্ফোরিত চোখে তাকাতেই ডাকাতদলের মাঝে একজন খপ করে সানির হাত থেকে সিগারেটের প্যাকেট কেড়ে নিয়ে দূরে ছুড়ে ফেলে দিলো। সানি কাঁদো কাঁদো চোখে নিজের প্রাণপ্রিয় সিগারেটের করুণ পরিণতি দেখে ঠোঁট উল্টালো। রিভান চটজলদি তাদের থামিয়ে রাখতে পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে বলে উঠলো,
—- ভা…ভাই! আপনাদের খুন-খারাবি করতে লাগবে না ভাই। এইযে আমাদের কাছে যতো টাকা-পয়সা আছে সব আপনাদের দিয়ে দিচ্ছি। প্লিজ আপনারা ওসব ছুড়ি নামান।
সানি বোকা চোখে রিভানের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করলো। অবশেষে বুঝলো যে ডাকাতেরা ঠিক কোন মালের কথা বলছে। নিজের বোকামির দরুন নিজের নিজের ওপরই চরম বিরক্ত হলো সানি। ডাকাত দলের সর্দার সানির ঘাড় চেপে ধরে ধমকের সুরে বললো,
—- লালটু, ওদের শুধু মানিব্যাগ না জামা কাপড়ও খুইলা নে। নিশ্চয়ই লুকায় রাখছে মালপাতি, নাইলে কিছু না কইতেও মানিব্যাগ ধরায় দিতো না।
—- জ্বি হুজুর আমারও তাই মনে হয়, এই তোরা খাঁড়ায় খাঁড়ায় কি দেখোস? জামা কামড় খোল!
লালটুর ধমক খেয়ে কেঁপে উঠলো সানি-রিভান। ডাকাত দলের দুজন এগিয়ে এসে তাদের শার্ট টেনে খুলতে নিতেই রিভান মুখটা কাঁদো কাঁদো করে বললো,
—- ভাই, ভাই একি করছেন? টাকা নিচ্ছেন নেন, জামা কাপড় দিয়ে কি করবেন? ল্যাংটা করে ছেড়ে দিলে রাস্তায় মুখ দেখাবো কি করে?
রিভানের কথার রেশ ধরে ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলার ভঙ্গি করলো সানি। শুকনো চোখ নিয়েই ঠোঁট উল্টে বললো,
—- আইজকা আর মান-সম্মান বাঁচান যাইবো না মামা। আমার ডাউট হইতাছে, দে মাস্ট বি গেয়!
—- মোছাদ্দেক মার কোপ! ব্যাটারা এমনি এমনি শুনবেনা কথা!
সর্দারের আদেশে মাথা ঝাঁকিয়ে মোছাদ্দেক নিজের হাতে থাকা লম্বা ছুড়িটা উঠিয়ে সানির গলায় চালাতে নিতেই ভয়ে আঁতকে উঠে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেললো সানি। রিভান চটজলদি আকুতির সুরে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে কাঁপাকাঁপা গলায় বললো,
—- ভাই, ভাই…ভাই! থামেন থামেন, আমরা খুলতেছি। যা আছে সব দিচ্ছি আপনাদের প্লিজ দয়া করে বাচ্চা বয়সী দুটো ছেলের জান নিবেন না।
বলেই একপ্রকার ঝড়ের গতিতে শার্ট-প্যান্ট খুলে ফেললো রিভান। রিভানের দেখাদেখি কাঁপাকাঁপা হাতে সানিও কাপড় খুলে হাতে ধরিয়ে দিলো ডাকাতদের। রিভান-সানি দুজনেই শুধু হাফপ্যান্ট আর স্যান্ডো গেঞ্জি গায়ে রেখে থামলো। রিভান নিজের পরনের হ্যাফপ্যান্টের পকেট এপার-ওপার বের করে দেখিয়ে অনুনয়ের সুরে বললো,
—- দেখেন সব দিয়ে দিছি আপনাদের। বিশ্বাস করেন আর দেওয়ার মতো কিচ্ছু নাই আমাদের। ভাই আপনারা আমাদের এবার ছাইড়া দেন প্লিইইইইজ!
ডাকাতেরা ঝটপট টাকাগুলো গুটিয়ে নিয়ে কাপড় ঝেড়ে দেখতে লাগলো। তাদের সর্দার রিভানের গলায় ছুড়ি চেপে ধরে বললো,
—- কে বলছে দেওয়ার মতো আর কিছু নাই? ওইযে দূরে যেই গাড়িডা খাঁড়ায় আছে ওনে থেইকাই তো নামলি তোরা, চল এবার গাড়ির মাল গুলো বের কর।
রিভান ডাকাত সর্দারের কথানুযায়ী ভয়ার্ত চোখে নিশান্তের বসে অপেক্ষা করা গাড়িটার দিকে তাকালো। নিশান্তের কাছে কম করে হলেও ১০ হাজারের ওপরে টাকা আছে। তারওপর যদি আজ ওরা না নামতো তাহলে এইরকম বিশ্রী একটা ইন্সিডেন্টও ক্রিয়েট হতো না। যার দরুণ ডাকাতেরা নিশান্ত অবধি পৌঁছাক তা রিভান চায় না কোনো কালেই। যে করেই হোক এখান থেকে মানে মানে কেটে পড়তে হবে তাদের। রিভান মনে মনে বুদ্ধি কষলো। ডাকাত সর্দারের পায়ের দিকে হাত দেখিয়ে ইশারা করে বলে উঠলো,
—- আরে ভাই, এইযে এখানে আরো ১০০ টাকার নোট পড়ে আছে, চোখে দেখেন না কেন?
রিভানের কথায় চটজলদি সচেতন চোখে নিজের পায়ের দিকে ঝুঁকে তাকালো ডাকাত সর্দার। রিভান ঠিক এই সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিলো এতোক্ষণ। বাকিরা টাকা কুড়াতে ব্যস্ত থাকায় রিভান সুযোগ বুঝে ডাকাত সর্দারের ঝুঁকতেই পিঠে হাতের কুনুই দিয়ে কিল বসিয়ে দিলো। শক্তপোক্ত শরীরে রিভানের করা আঘাতে ততটা ব্যথা অনুভব না করলেও টাল সামলাতে না পেরে বেকায়দায় পড়ে সামান্য দূরে সরে গেলো ডাকাত সর্দার। রিভান চটজলদি সানির হাত চেপে ধরলো। দ্রুত বেগে ছটতে শুরু করে বলে উঠলো,
—- আবে ভাগ সানি লিওন ভাগ……! প্রাণ বাজি রাইখা ভাগ…….!
সানি সমতালে রিভানের হাত ধরেই প্রাণপণে দৌড় লাগালো। রিভান-সানিকে পালাতে দেখে তেতে উঠলো ডাকাতেরা। তাদের সর্দার বাকিদের ধমক মেরে বললো,
—- ওই শালা বলদের দল, খাঁড়ায় খাঁড়ায় আমার চেহারা দেখোস ক্যা? ধর ব্যাটাদের….!
________________________
প্রায় ১০ মিনিটের মতো হয়ে গেলো ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না আসায় বিরক্তিতে চোখমুখ কুঁচকালো অন্বিতা। আনমনেই বিড়বিড় করে বললো,
—- ধুর! পরিবেশ এতো শান্ত কেনো? কি হচ্ছে কিছুই তো বুঝছি না। এরা মরলো নাকি? একটারও খোঁজ নেই কেনো এখনো?
বলেই মাথা উঁচু করে চোখের দৃষ্টি সরু করে আবছা কাচের দেয়াল ভেদ করে নজর বাহিরে ফেলার চেষ্টা চালালো অন্বিতা। খানিক উঁকিঝুঁকি মেরে রাস্তায় ঠিক কে বা কারা চলাচল করছে বুঝে নিতেই চোখ ফুটবলের সমান হয়ে এলো তার। সানি-রিভান পরনে শুধুমাত্র স্যান্ডো গেঞ্জি আর হাফপ্যান্ট, এই নিয়েই প্রাণপণে দৌড়ে ঠিক গাড়ির দিকে এগিয়ে আসছে। তাদের ঠিক পেছনেই মুখ রুমাল দিয়ে ঢাকা, পরনে কালো কুর্তির ন্যায় পোষাক পড়ে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে ধাওয়া করে চলেছে একদল লম্বা-চওড়া লোক। তাদের কারো কারো হাতে ধারালো ছুড়ি, লাঠি! যা দেখে অন্বিতা বুঝলো বিপদ এসে হানা দিয়েছে বিনা দাওয়াতেই। বাহির থেকে কাচের জানালা লাগিয়ে রাখায় কোনো শব্দ আসছে না ভেতরে। যার দরুন নিশান্ত বা অন্বিতা কারোর কানেই পৌঁছোচ্ছে না বাহিরের কোনো আওয়াজ। তবে এই মুহুর্তে চুপ থাকলে চলবে না। বিপদ আসন্ন! যেকোনো মুহুর্তে চলে যেতে পারে সানি-রিভানের প্রাণ। অবশেষে উপায় না পেয়ে ট্রাঙ্কের ভেতর থেকেই লাফাতে লাগলো অন্বিতা।
চোখ দুটো বুজে খুব মনোযোগ দিয়েই স্মৃতির পাল্টা উল্টেপাল্টে দেখছিলো নিশান্ত। হঠাৎ নিজের গাড়ির এমন ফড়িং এর মতো জাম্পিং ঝাপাং প্রসেস অন হওয়ায় চমকে উঠলো সে। স্টিয়ারিং চেপে ধরে বুঝবার চেষ্টা চালালো আদৌ এই কম্পন কোনো ভূমিকম্প ঘটিত কিনা। তবে সেরকম কোনো অনুভূতি না আসায় চটজলদি গাড়ির কাচ নামিয়ে মাথা বের করলো সে। তবে মাথা আর মাথার জায়গায় থাকলো না তার। ঝড়ের বেগে সানি এসে নিশান্তের মাথায় এসে বারি খেলো অগত্যাই। নিশান্ত এক হাতে মাথা চেপে ধরে তাড়াহুড়ো করে গাড়ির দরজা খুলতেই হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে পড়লো সানি-রিভান। নিশান্ত টাল সামলাতে না পেরে ঠাস করে পড়লো পাশের সিটে ওপর। তার ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো সানি। রিভান নিজেকে সামলালো কোনো রকমে। গাড়িতে আগে থেকে চাবি লাগিয়ে রাখায় আর এক মুহুর্ত না দাঁড়িয়ে ফুল স্পিডে অপটু হাতেই ড্রাইভিং শুরু করলো সে।
ডাকাতদের থেকে পিছু ছাড়িয়ে একটান মেরে বেশ কিছুদূর হেলেদুলে রাস্তার মাঝে ডিস্কোডান্স করে যাবার পর জোরেশোরে ব্রেক কষলো রিভান। এতোক্ষণ ধরে নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালানোর দরুন ট্রাংকের ভেতরে উল্টাউল্টি প্রসেস অন ছিলো অন্বিতার। তবে এবার হলো বড়সড় অঘটন! এতো জোড়ে ব্রেক কষায় ধাম করে অন্বিতার মাথা গিয়ে লাগলো গাড়ির শক্ত দেয়ালে। আকস্মিক এভাবে চোট লাগায় মাথাটা চক্কর মেরে উঠলো তার। চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করলো যে। অন্বিতার আর বোঝা হয়ে উঠলো না এর পরের কোনো ঘটনা, অচেতন শরীরটা ট্রাঙ্কের ভেতরেই ঢলে পড়লো তার।
নিজের ওপর থেকে সানির সরে বসতেই জোড়ে জোড়ে শ্বাস টানতে টানতে উঠে বসলো নিশান্ত। এতোক্ষণ যেনো নিঃশ্বাস আটকে আস্ত একটা পাহাড় বুকে চাপিয়ে বসে ছিলো সে। চোখ পিটপিট করে খুলতেই চোখ দুটো রসগোল্লা হয়ে এলো তার। নিশান্ত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সানি আর রিভানকে দেখে নিতেই ঠাস করে কপাল চেপে ধরলো নিজের। সানি-রিভান ঠোঁট উল্টালো। নিশান্তের শতশত প্রশ্নে মাখা চাহনি দেখে সানি কাঁদো কাঁদো ভাব নিয়ে ফার্স্ট টু লাস্ট সবটা খুলে বলতেই চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ করে রাগে ফোসফাস করতে লাগলো সে। ঝাঁঝালো গলায় বলে উঠলো,
—- মরতে লাগছিলি? মরোস নাই কেন? ওই ব্যাটা মরোস নাই কেন তোরা? শালা অকর্মার ঢেঁকি! দূর হ আমার চোখের সামনে থেকে! সিগারেট খাওয়া তাইনা? বলছিলাম না এলাকা ভালো না? তাও কোন আক্কেলে মুতার বাহানা দিয়ে সিগারেট টানতে গেছোস তুই? আর রিভান! তুই কেমনে সাপোর্ট করলি ওরে? লাইক সিরিয়াসলি! এখন যদি সত্যিই তোদের কিছু একটা হয়ে যেতো তাহলে কি জবাব দিতাম আমি তোদের বাসায়? আংকেল-আন্টিদের কাছে কোন মুখে বলতাম যে আমার জন্য তাদের ছেলেরা………!
আর কিছু বলার আগেই নিজেকে সামলে দাঁত দিয়ে ঠোঁট চেপে ধরলো নিশান্ত। সানি-রিভান ঠোঁট উল্টালো। সানি তাকে নানা কথায় ভোলাবার প্রচেষ্টা চালাতেই কোনো বাজে গন্ধ নাকে ঠেকায় চোখ-মুখ কুঁচকালো নিশান্ত। জিজ্ঞাসু গলায় সন্দিহান চোখে চেয়ে বললো,
—- ওয়েট ওয়েট! তোর গা থেকে এমন চিকা মরা চিকা মরা গন্ধ আসতেছে কেন?
.
.
.
চলবে…………………💕
(