#এক_জীবনে_অনেক_জীবন(২৭)
**********************************
রোজা’র যদিও রাঁধতে ভালো লাগে কিন্তু অফিস করার কারণে আর বাসায় রান্নার জন্য বাবুর্চি থাকায় তার কখনো রান্নাঘরে ঢোকাই হয় না । যদিও বাড়িতে তারা চারজন মানুষ কিন্তু দৈনিক রান্না হয় বারো-চৌদ্দজনের জন্য । ছয়তলা বাড়িটির পুরোটা জুড়ে তারা নিজেরাই থাকে । রোজা’র শ্বশুরের চার ভাইবোন আর তাঁদের ছেলেমেয়েরা মিলে ফ্ল্যাটগুলোয় থাকেন । প্রতিদিন তাই খাওয়ার সময় হলে চার-পাঁচজন চলেই আসে রোজা’দের ফ্ল্যাটে । দিন শেষের খাবারটা ভাইবোনকে নিয়ে গল্প আর আড্ডা দিতে দিতে খাওয়াটা রোজা’র শ্বশুরের খুব পছন্দ । রোজা’র কাছেও ভীষণ ভালো লাগে এই ব্যাপারটা । আজকের দিনের শহরকেন্দ্রিক পরিবারগুলো যেখানে একদম ছোট্ট গন্ডির ভেতর নিজেকে আটকে ফেলেছে, আগে থেকে ফোন না দিয়ে কেউ যখন আর কারো বাসায় যায় না, সেখানে এমন সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক সত্যি ভালোলাগার মতোই ।
আজ রোজা’র শাশুড়ি ইলিশ পোলাও রান্না করেছেন । তাঁর এই রান্নার সুখ্যাতি আছে । রোজা খুব আগ্রহ নিয়ে শাশুড়ির রান্না করা দেখলো । এই আয়োজন উপলক্ষে তার শ্বশুরের ভাইবোন সবাই এসেছেন ওদের বাসায় । বারো চেয়ারের বিশাল ডাইনিং টেবিলে কোনো চেয়ার খালি নেই । খাওয়া আর গল্প চলছে ধুমসে ।
হঠাৎ করে রোজা’র চাচী শাশুড়ি বললেন –
আচ্ছা রোজা তোমার বোনের কী পড়ালেখা শেষ ?
না চাচী । ওর আরো দু’টো সেমিস্টার বাকি আছে ।
অনেকদিন দেখি না ওকে, একদিন আসতে বলো তো এখানে ।
জি