এক ঝাঁক জোনাকির আলো পর্ব ১৩

#একঝাঁক~জোনাকির~আলো🍁
#writer~হাফসা~আলম 🍂
.
.
১৩.
সাফা রান্নাঘরে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। তাকে এখন কোন অংশেই খাবার চোরের চাইতে কম মনে হচ্ছে না।যদিও খাবার চুরি করার বিন্দু মাত্রও ইচ্ছে তার নেই।সাফা নিজেকে সম্পূর্ণ দরজার দিকে আড়াল করে মাথা কাৎ করে রান্নাঘর পর্যবেক্ষণ করছে।এত বড় রান্নাঘর সে আগে কখনো দেখেনি।রান্নাঘরের এক পাশে মোহনা আর এক পাশে ইফতেখার কাজ করছে।ইফতেখার রান্না করছে আর মোহনা সবজি কাটা কাটি করছে।সাফা রান্নার র ও পারে না তবুও সে রান্নাঘরে এসেছে। একা একা থাকতে ভালো লাগছে না।রাফা কোথায় যেনো গেছে।সাফা জানে না।সাফা এবার মাথা ঘুড়িয়ে নিবে এমন সময় ইফতেখার বলে………
—টুকটুকির মত উঁকিঝুঁকি না দিয়ে এদিকে চলে এসো মিষ্টির দোকান।
.
সাফা চকিতেই তাকায়।ঠাস ঠাস পা ফেলে এক প্রকার লাফিয়ে ইফতেখার পাশে দাড়ায়।ইফতেখার মুচকি হাসে।সাফাও দাঁত বেড় করে হাসে। সাফা বলে…..
—আপনি আমাকে দেখলেন কিভাবে??
—রান্নাঘরটাই এক মাত্র মহিলাদের ঘর বুঝলে।তাই এখানে একটা ফুলের পাপড়ি উড়ে আসলেও টের পাওয়া বড় ব্যাপার না।একা থাকতে ভালো লাগে না মা??
সাফা মাথা ঝাঁকায়।যার অর্থ হ্যাঁ। ইফতেখার হেঁসে এক হাতে জড়িয়ে নেয়।মোহান গাল টেনে দেয় আর বলে…….
—রাফা ঠিক নাম করন করেছে মিষ্টির দোকান একটা।
.
সাফা লজ্জা পায়।মাথা নিচু করে।ইফতেখার আবার মুচকি হাসে।সাফা এবার বুঝতে পেরেছে এই হাসি কথায় দেখেছে।এটা তো নিভ্রনীলের হাসির কার্বনকপি। সাফা বুঝতে পেরেছে ইফতেখারই নিভ্রনীলের মা।তাই একটু হেঁসে বলে……
—আপনার হাসি একদম আপনার ছেলের মতো।
.
ইফতেখারের মনে চাপা কষ্ট জন্মায়।সেই কষ্ট দেখা না গেলেও সাফা দেখে।তাই কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে।ইফতেখার মুখে হাসি টেনে বলে…..
—হুম ও আমার মতই দেখতে হয়েছে শুধু নাক আর চুলগুলো তার বাবার মত।আর চোখগুলো ভিন্ন ধাজের। ওর চোখ দেখে তো ছোট বেলায় কেউ মানতেই চাইতো না এটা আসল নাকি নকল।ওর দাদি তখন বলতো এটা আসলই।কিন্তু তবুও কেউ কেউ দী মত পৌষন করতো।তখন নিভ্র চোখে হাত দিয়ে কান্না করতো আর আদো আদো গলায় বলতো……
—এতা আতল..আতল আতল
বলেই দৌড় লাগাতো।আর কেউ গাল টানলেই রাগে মনে হয় চোখমুখ লাল হয়ে যেতো।গালে দুই হাত দিয়ে সে বড়দের বিশেষ করে মেয়েদের সামনে ঘুড়তো।বাচ্চা থেকেই সে রাগি আর জিদ্দি।তবে তোমার চোখটাও খুব সুন্দর। একদম নীলাভ আকাশ। (কথা গুলো বলেই ইফতেখার হাসে)
.
সাফা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে সে হাসি দেখে।অসাধারণ সে হাসি।বয়স তো কম হবে না তবুও কত সুন্দর লাগছে মহিলাটাকে।সাফা অবাক তার এই রূপ দেখে।কিছুক্ষণ পরেই সাফার মনে পরে সে ও তো গাল টেনে ছিলো।ইশশশ কি কাজ গুলোই না সে করেছে।সব কাজের জন্যে একবার স্যরি বলা লাগবে।সাফা মোহনার পাশ ঘেঁষে আদুরে কন্ঠে বলে…….
—আমি কাটি আন্টি??
—আরে না। ছুড়ি দিয়ে কাটতে গেলে যদি তোমার হাত কেটেঁ যায়।না বাবা দরকার নেই।রাফা এসে যদি দেখে তার মিষ্টির দোকানের কিছু হেয়েছে তবে তো শেষ।(বলেই দুজনে হাসে।সাফা মুখ গোমড়া করে।বলে………..
—প্লিজজজ আন্টি দেন না।আমি একটু কাটি প্লিজজজ প্লিজজজ…

সাফার এমন কথা শুনে মোহনা আর না করতে পারলো না।বলে…..
—আচ্ছা। কিন্তু সাবধানে।
—ঠিক আছে।

সাফা পেয়াঁজ কুঁচি করতে গিয়ে কেঁদে কেটে একাকার করে ফেলেছে।চোখ লাল হয়ে এসেছে।চোখ খুলতেও পারছে না আবার বন্ধও করতে পারছে না।তার এমন অবস্থার জন্য কখন যে হাতের আঙ্গুল কেটেঁ গেছে এটাও সে টের পেলো না।মুখ উপড়ে করে সে পেয়াঁজের উপড় ছুড়ি চালাচ্ছে।ইফতেখার আর মোহনা অন্যকাজে বিজি।সাফার মনে হচ্ছে তার হাতে খুব জ্বালা করছে।কিন্তু সে নিচের দিকে তাকাতে পারছে না।ইফতেখার ঘুড়ে তাকাতেই…….
—আল্লাহ বলে মৃদু চিৎকার করে।
.
সাথে সাথে মোহনাও এগিয়ে এসে দেখে এই অবস্থা। ইফতেখার সাফার আঙ্গুল চেপে ধরে।তার চোখ হাত দিয়ে মুছে দেয়। তাকে সামনের রুমে নিয়ে আসে।সাফার তো এবার খুব জ্বালা করছে।জানার পরে মনে হয় জ্বালাটা দ্বিগুণ হয়ে গেছে।সাফাকে সোফায় বসানো হয়েছে।ইফতেখার উত্তেজিত হয়ে বলে…..
—তুমি কেনো কাটতে গেলে মা।পারনা যা তা আগে শিখতে হয়।তারপরই করতে হয়।তুমিও না।
.
নিভ্র মাত্র হসপিটাল থেকে এসেছে।দরজা দিয়ে ডুকতেই ইফতেখার আর মোহনাকে সোফা ঘিড়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখে সে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো।হঠাৎ মাঝে বসে থাকা সাফাকে কান্নাজড়িত অবস্থায় দেখে সে থমকালো।দুপা এগিয়ে আসলো।এসেই নিচের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়। সাফার হাতের রক্ত ফ্লোরে পরে একটা বাজে অবস্থা হয়ে আছে।নিভ্র জানে সাফার রক্তে ফোভিয়া আছে।সাফা বলে…….
—আমি পারি আন্টি কিন্তু পেঁয়াজ গুলো ভালো না বুঝলেন!! তা না হলে আমাকে এত কাদঁতে হতো বলেন?(বলেই নিচের দিকে তাকাতে যায়)
.
তার আগেই নিভ্র এগিয়ে এসে হাটুগেড়ে বসে সাফার সামনে। নিভ্রের এমন কান্ডে সাফা থ মেরে তাকিয়ে থাকে।নিভ্রের সে দিকে তেমন পাত্তা নেই।সে উত্তেজিত গলায় বলে……
—সব সময় ফাজলামি করতে তোমার ভালো লাগে না??সব কিছুর লিমিট থাকে কিন্তু তোমার কেয়ারলেসের কোনো লিমিট নাই।ফাজিল মেয়ে একটা।নিজের প্রতি যত্ন বান হও।তুমি কি দুই বছরের বাচ্চা নাকি??ফাউল মেয়ে…ময়না(কাজের মেয়ে)ফার্স্টেএইড বক্স নিয়ে আয়।তাড়াতাড়ি।হাড়িআপ।
.
সাফা সহ বাড়ির সবাই হতভম্ভ নজরে দেখছে।ইফতেখারের তো চোখ বড় বড় হয়ে গেছে।সে এই পর্যন্ত এতটা উত্তেজিত হয়ে রোগী দেখতে দেখেনি নিভ্রকে।দুই জ্বাই অবাক হয়ে একজন আর একজনের মুখ দেখছে।সাফা নিভ্রকে দেখছে।এলোমেলো চুলে মাথা নিচু করে সাফার হাতের দিকে তাকিয়ে আছে।নিভ্র সাফার হাতটা টেনে নিজের কাছে নিয়ে নেয়।সাফা আপলক ভাবে দেখছে তাকে।সাদা শার্ট কালো প্যান্টে,শার্টের হাতা ভাজঁ করা,ডান হাতে এ্যাফ্রোন আর স্টেথোস্কোপ।ঘামে শরীর ভিজে আছে।সাফা মনে মনে বলে…..লোকটা একটু বেশিই সুন্দর। এত সুন্দর হওয়ার মানে হয় কোনো??না হয় না।কি দরকার এত সুন্দর হওয়ার??এই সুন্দর তাকে একটুও নাড়াতে পারেনি। কিন্তু ওই বুকের ধুকপুকানির শব্দটা তাকে নাড়িয়েছে।যখন নিভ্রের বুকে মাথা রেখেছিল তখনই কাঁপিয়েছে তাকে।ভয়ঙ্কর ভাবে আহত হয়েছে সে।দুই হৃদপিন্ডের শব্দ এক হওয়াতেই এই অনুভুতি তাকে ছুঁয়েছে।ইশশশ কি একটা অনুভুতি ছিল।সাফা চোখ বুজে নিঃশ্বাস নেয়।ময়না এগিয়ে এসে বক্স দেয়।নিভ্র যত্নের সাথে স্যাভলন তুলোয় লাগিয়ে সাফার কাটা হাতে লাগায়।সাফার একটা চাপা চিৎকার কানে আসে….
—উহহহ্..
.
সাফা নিচের দিকে তাকাতে চায়।নিভ্র শাসনের সুরে বলে…….
—নিচে তাকাবে না।তোমাকে কি আমি একবারো তাকাতে বলেছি??না বলিনি।তাই তাকাবে না। আর আপনি ওর মাথা চেপে ধরেন তো।ফাজিল মেয়ে যা বলবো তার বিপরিতটাই করবে ম্যাডাম।
.
ইফতেখার যেনো নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পাড়ছে না।তার ছেলে আজ এত বছর পরে তার সাথে কথা বলেছে।ব্যাপারটা সত্যিই তার কাছে খুবই আনন্দের।খুশিতে তার মুখ চকচক করে উঠে।এগিয়ে এসে সাফার মাথা জাপ্টে ধরে।যাতে তাকাতে না পরে।নিভ্র যত্নের সাথে সাফার হাতে ঔষুধ লাগিয়ে দেয়।জ্বালা যাতে না করে তাই মাঝে মাঝে ফু দিয়ে দিচ্ছে। বাড়ির কাজের লোক সহ সবাই অবাক।অভ্র দুই তালার সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে আছে।প্রথম থেকে সে তার মা আর কাকির কথা শুনে রুম থেকে এগিয়ে এসেছে।সাফাকে এভাবে দেখে তার ভয় হয়।তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসতেই নিভ্র তার আগেই এগিয়ে গেছে।তাই সিঁড়িতেই দাঁড়িয়ে পরে।বুকে হাত দিয়ে দ্রুত পায়ে হেঁটে নিজের রুমে চলে যায় অভ্র।দরজাটা বন্ধ করে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নেয়।না চাইতেও চোখ দিয়ে গড়গড় করে পানির ফোটা গাল বেয়ে গড়িয়ে পরে।অভ্র দু হাতে নিজের চোখ মুছে নেয়।আবার পানিতে গাল ভড়ে উঠে।অভ্র আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পরে।নিজের দিকে একবার তাকায়।লাল লাল চোখের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। নিজে নিজেই আবার বলে…..
—এত আবেগ কবে থেকে জন্মে গেছে তোর অভ্র??তুই তো এমন ছিলি না। তবে এখন কেনো??কেনো নিভ্রের প্রতি তোর জেলাসি কাজ করছে??সাফার জন্য??তবে কি এটাই প্রথম ভালোবাসা??তবে কি এটাই সেই ভয়ঙ্কর অনুভুতি?? তবে কি আমি প্রেমে পরেছি??
.
অভ্র বিছানায় বসে পরে।মাথায় হাত দিয়ে নিচের দিকে তাকায়।নিভ্রর কথা মনে হতেই সে উঠে দাড়ায়।তার ভাই তাকে অনেক ভালোবাসে।এমন কি সেও। একটা মেয়ের জন্য ভাইয়ের ভালোবাসায় কখনো ফাটল ধরবে না।কখনোই না।কথা গুলো নিজের মনে বিড়বিড় করে অভ্র।আর পাইচারি করছে।
.
.
ইফতেখারের মনে প্রশ্ন জাগে।শুধু তার না উপস্থিত সবার মনেই জাগে।কিন্তু কেউ সেই প্রশ্ন করার সাহস পায় না।নিভ্র দাড়িয়ে পরে।তার এতসময়ে এখন হুশ আসে।সাফার দিকে তাকিয়ে দেখে সে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে।নিভ্র বুঝতে পারে উত্তেজিত হয়ে সে সবার মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।কিন্তু এখন সে উত্তর দিবে কি??সাফার প্রতি এই অধিক যত্ন কেনো??এত কেনো কষ্ট লাগে সাফার কষ্ট হলে??কেনো সাফা আশেপাশে থাকলেই পৃথিবীটা অন্যরকম লাগে??সে নিজেই জানে না এর উত্তর কি।নিভ্র সাফার চোখের দিকে তাকায়।সাফা চোখ নামিয়ে নেয়।নিভ্র নিজের থেকে সবাইকে উদ্যেশে করে বলে…….
—এভাবে তাকিয়ে থাকার কি আছে??যে যার কাজে যাও। ডাক্তার হিসেবে রোগীকে দেখা আমার কাজ নাকি তোমাদের??
.
নিভ্রর এমন ঝাঁঝালো কথায় সবাই মাথা নিচু করে।নিভ্র আবার বলে…..
—এভাবে না থেকে যাও।আর তুমি (সাফার দিকে তাকিয়ে)মেডিসিন দিয়ে দিচ্ছি। টাইম টু টাইম মেডিসিন নিবে। ক্ষত তাড়াতাড়ি শুঁকিয়ে যাবে।
.
কিছুটা সামনে গিয়ে আবার সাফার দিকে তাকিয়ে বলে…..
—দুষ্টামির বয়স আর নেই।তাই এগুলো বাদ দেও।যা পারো না তা করার দরকার কি??বাসায় কি লোকের অভাব পরেছে নাকি??যতসব….
.
বলেই গটগট করে পা ফেলে সিঁড়ি বেয়ে উঠে পরে।তার মনে হচ্ছে আর বেশিক্ষণ থাকলে সে আরো উল্টাপাল্টা কাজ করে ফেলতে পারে।তাই সাফার থেকে দুরে থাকাই ভালো।মেয়েটা তাকে এভাবে যন্ত্রনার মুখে ফেলে দিচ্ছে কেনো??।ইফতেখারের মনে হচ্ছে এরা আগে থেকেই পূর্বপরিচিত। কিন্তু প্রশ্নটা করলো না।সাফাকে দাড় করিয়ে বলে….
—ও এমনই কিছু মনে করবে না বুঝলে।চলো রুমে….
.
.
সাফা নিজের বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে পরে।তার মনে প্রজাপতিরা ডানা ঝাপ্টে উড়ে বেড়াচ্ছে।মনের মাঝে সুপ্ত খুশিরা মুখে ফুটে উঠেছে।তার কি হচ্ছে তা জানা নেই।তবে সে প্রেম নামের ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত। আর সে জানে এই রোগের মেডিসিনও ডাক্তার সাহেবের কাছে আছে।আবার মনে হচ্ছে আছে তো??সাফা নিজের কাটাঁ হাতে চুমু খায়।তার মনে হচ্ছে সে নিভ্রের স্পর্শ গুলো ঠোঁটে ছোঁয়াচ্ছে।দুই হাত দুপাশে রাখে।চোখ রাখে শূন্যে। অনুভুতি মিশ্রিত নিঃশ্বাস নিচ্ছে সে।মন বলছে উড়ে বেড়াতে।চিৎকার করে বলতে সে প্রেমে পরেছে।আবার মনে মনে নিজের এমন কথাগুলো নিয়ে হাসে।সত্যিই কি প্রেমে পরলে সবাই পাগল হয়ে যায়??তার নিজেকে কেমন মাতাল মাতাল লাগছে।এই মাতালতায় নিজেকে খুজে পাচ্ছে না।হঠাৎ করেই হাতটা আবার চোখের সামনে রাখে।তার কাছে আজ অর্থহীন সবই প্রেম মনে হচ্ছে। তার মনে হচ্ছে এই ব্যান্ডেজেও প্রেম লুকিয়ে আছে।আছে নিভ্রর সেই ছোঁয়া।তার সবকিছু উলট পালট লাগছে।হঠাৎ করে সাফা উঠে বসে।মনে মনে ভাবে… নিভ্র তো সবদিকেই পারফেক্ট আর সে??তাকে তো নিভ্র মোটেও পছন্দ করে না।তবে কি হবে তার??প্রথম থেকেই এতো ঝগড়া করার কি ছিলো সাফা??নিজেকে নিজেই বকে সাফা।আবার বলে…নিভ্রনীল বলতেই হাজার মেয়ে হাজির হয়।এই হাজার মেয়ের মাঝে আমি এমনেই হারিয়ে যাবো।তখন কি উনি খুজে নিবে আমাকে??না তো।তবে আমার এই অনুভুতির কি হবে??

সাফা আর ভাবতে পারছে না।সে আবার চিৎ হয়ে শুয়ে পরে।চোখবুজে নিঃশ্বাস নেয়।কাটাঁ হাতটা বুকে রাখে।অদ্ভুত এক প্রশান্তি কাজ করছে তার মাঝে।আর মনের মাঝে এক জ্বালা হচ্ছে তার।
.
.
#চলবে…………..🍁

ভুলগুলো আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন…………..🍂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here