এক ঝাঁক জোনাকির আলো পর্ব ১৭

#একঝাঁক~জোনাকির~আলো🍁
#writer~ হাফসা~আলম 🍂
.
.
১৭.
নাকফুলটা সাফা রেখে দেয়।চোখেমুখে লজ্জার আভা স্পর্স্ট।সামনে তাকিয়ে খুঁজে খুঁজে সে পাচঁটি নাকফুল নেয়।নিভ্রর খুব ইচ্ছে হচ্ছে ওই পাশের একটা নাকফুল কিনতে।কিন্তু সে সাফার সামনে তা নিতে পাড়ছে না।সাফা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পায়েল দেখছে।একটা পায়েল পছন্দ হয়।কালো পাথরের।সেটা পায়ে পড়ার চেষ্টা করছে।কিন্তু নিচে বসতে পাড়ছেনা। নিভ্র খেয়াল করে।তাই নিজেই বসে পরে সামনে।নিভ্রকে হাটুগেড়ে বসতে দেখে সবাই অবাক।সাথে সাফাও।নিভ্রকে কেউ চিনতে পারছে না।তবুও ব্যাপারটা সবার কাছে আলাদা লাগছে।সবাই সরে দাঁড়ায়। বিস্তর জায়গা জুড়ে কিছুক্ষণ আগেও মানুষ গিজগিজ করছিলো।কিন্তু এখন সবাই তাদের ঘিড়ে দাড়ায়।সবার মাঝে তাদের আলাদা লাগছে।সাথে আবার দারুন লাগছে।নিভ্র নিজের এক হাটু অর্ধেক ভাঁজ করে আর এক হাটু সম্পূর্ন্য ভাঁজ করে বসে।সাফা চোখ বড় করে।হাত কচলায়। চারদিকে চোখ বুলায়।এবার নিভ্রর দিকে তাকায়।নিভ্র হাত পাতে।পাচঁ আঙ্গুল মেলে হাতটা সাফার সামনে ধরে।সাফা কাপাঁ হাতে পায়েলটা দেয়।নিভ্র সাফার পায়ে হাত দেয়।সাফা লাফিয়ে উঠে দু পা পিছিয়ে যায়।নিভ্র তাকায়।তারপর বলল…..
—-কি হলো পা দেও??
.
আশেপাশের মানুষ যেনো ফ্রিতেই সিনেমা দেখার সুযোগ পেয়েছে।তাদের মনে অদ্ভুত উত্তেজনা কাজ করছে।সাফা সবার দিকে তাকিয়ে ঢোক গিলে।সে ভাবতে পারছেনা নিভ্র তার সামনে হাঁটুগেড়ে বসে আছে।সাফা ঘামছে।অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু মানুষের জীবনে ঘটলে মানুষ বিচলিত হয়ে পরে।সাফার বেলায়ও তাই হচ্ছে।নিভ্র আবার বলল….
—-“হলো টা কি??”পা দিচ্ছ না কেনো??”

আমজনতা এবার সাহস পেলো মনে হয়।উৎসাহিত হয়ে তারা চেঁচামিচি করা শুরু করে।সবাই চেঁচিয়ে বলে…..
—-আরে এ মেয়ে পা দিচ্ছে না কেনো??ছেলেটা বসে আছে অনেক্ষন। পা দেও।

সাফার পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা একটা মেয়ে তার পাশের মেয়েকে বলল…
—উনাকে দেখতে নিভ্রনীলের মত না??
—অনেকটা। কিন্তু নিভ্রনীল জীবনেও মেলায় আসবে না??আর উনি অনেক বড় মাফের মানুষ। এত ভিড়ে মরতে আসবে বলে তোর মনে হয়??
—তাও কথা।(মেয়েটা নিরাশা হয়)
.
হঠাৎ করেই সাফার মনে ভালো লাগা কাজ করছে।মনে মনে সে বুক ফুলায়।সব মেয়েরা যেখানে নিভ্রনীলের জন্য পাগল সেখানে নিভ্রনীল তার বডি গার্ড হয়ে তার সাথে ঘুড়ছে। আগে নিজেকে মেয়ে ভেবে সে ভাবত আল্লাহ মেয়েদেরকে দুর্বল কেনো বানিয়েছে। কেনো ছেলেদের মত বানায় নি।কিন্তু সে আসল ব্যাপারটা আজ বুঝতে পেরেছে।ছেলেদেরকে মেয়েদের বডি গার্ড বানাবে তাই মনে হয় এমন করেছে তিনি।ব্যাপারটা ভেবে সাফার বেশ মজা লাগছে।এগিয়ে এসে নিভ্রর সামনে দাড়ায়।নিভ্র সাফার পায়ে হাত দেয়।সাফা শিউড়ে উঠে।জামা খাঁমছে দাঁড়িয়ে থাকে।চোখ তার নিভ্রতে আটকা।নিভ্র সাফার পা স্লিপার থেকে খুলে নিজের হাঁটুভাঁজে রাখে।সেলোয়ারটা একটু উপড়ে তুলে।সাফার ধবধবে পা দেখে নিভ্র হাঁসে। এটা ভেবে হাঁসে তার এখন মেয়েদের পাও ভালো লাগতে শুরু করেছে।নিশ্চিত কিছুদিন পরে তাকে পাবনায় ভর্তি হতে হবে।আগে থেকেই বুকিং করা বেটার হবে।উৎসুক জনতা হা করে দেখছে।কেউ কেউ এই দৃশ্য ক্যামেরা বন্ধি করছে।সাফা মনে মনে কবিতা মিলায়।তার এখন নিভ্রকে বলতে ইচ্ছে করছে মনের মাঝের কিছু লাইন।তার বলতে ইচ্ছে করছে…

..🍁🍁🍁তুমি নীলছে তারোকার ভীরে আমায় খুঁজে বেড়াও শুনেছি।সত্যি কি তাই?শুনেছি বৃষ্টি ভেজাঁ পিছঢালাই করা রাস্তায় দাড়িয়ে আমার পা টা তোমার হাটু ভাজেঁ নিয়ে আলত হাতে আমার ভিজাঁ পা জোড়ায় তুমি নুপুর পরাতে চাও??সত্যি কি তাই??শুনেছি তুমি একগুচ্ছ কৃষ্ণচূড়া হাতে আমার কাছে প্রেম নিবেদন করতে যাও??তাও কি সত্য?…………তবে আমি অপেক্ষায় রব তোমার………….. 🍁

কিন্তু মনের কথা তার মনেই পরে রইল। বলা আর হলো না।ঠাস ঠাস তালির শব্দ কানে বেজে উঠে সাফার।নিজের তৈরি কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই নিভ্র সত্যিই তার পায়ে নুপুরের বদলে পায়েল পরিয়ে দিয়েছে।সবাই যেনো খুশিতে আলখাল্লা হয়ে আছে।বাঙালী এমনই।কিছু জিনিসে এত এত খুশি হয় যে তারা এটা প্রকাশ করার আর কোনো মাধ্যম খালি রাখে না।আবার দুঃখে ভাসলে সে দুঃখ সকলের মাঝে ঢেলে দিতেও ভাবে না।সাদা পায়ে কালো পাথর দাড়ুন মানিয়েছে।নিভ্র মন দিয়ে কিছুক্ষণ তা দেখে।আর সাফা সবাইকে দেখছে।নিভ্র একবার সাফার দিকে মুখ তুলে তাকায়।দেখে সাফার এদিকে মনযোগ কম তাই সে পকেট থেকে ফোন বের করে পায়ের কিছু ছবি তুলে।তারপর পা ছেড়ে দাঁড়িয়ে পরে।

সাফা ফুচকার দোকানে বসে আছে।তার পাশেই নিভ্র।নিভ্র চোখমুখ খিঁচে আছে।যা দেখে সাফার বেশ হাসি পাচ্ছে।তবে হাসছে না।মুখ টিপে সে হাসি আটকে রাখছে।ফুচকার প্লেট আসতেই সাফা খাওয়া শুরু করে।নিভ্র ভূত দেখার মত তাকিয়ে সে খাওয়া দেখে।সাফা আড়চোখে চারপাশে একবার তাকায়।তারপর নিভ্রর মাক্স টেনে খুলে।নিভ্র আকর্ষীক ভাবে অবাক হয়।সাফা নিভ্রর মুখে ফুচকা ডুকিয়ে দেয়।আবার মাক্স টেনে লাগিয়ে দেয়।নিভ্র ফুচকা না চিবিয়ে সাফাকে দেখছে।নীলাভ চোখ লাল হয়ে আছে সাথে সারা মুখশ্রী। সাফা কিছুক্ষণ পর পর নাক টানছে।আর লাল ঠোঁটজোড়া দিয়ে উউ উ উ করে সাউন্ড করছে আর খাচ্ছে। নিভ্র ফুচকা জীবনে প্রথম মুখে দিয়েছে।টেস্টা তার তেমন ভালো লাগেনি।কিন্তু ফুচকায় তেমন ঝাল নেই তবুও সাফা এমন লাল হয়ে যাওয়া দেখে নিভ্র বুঝতে পারে সাফা ঝাল খেতে পারে না।তবুও কেনো খাচ্ছে নিভ্রর বোধগম্য হচ্ছে না।সাফা হাঁসফাঁস করছে।তার পিছনের সিটে বসা একটা ছেলে তার গায়ে হাত দিতে চাইছে।সাফা নোড়ে উঠে।নিভ্র সেদিকে তাকায়।সাথে সাথে তার চোখ লাল হয়ে উঠে।রাগ যেনো শরীর বেয়ে মাথায় জড়ো হচ্ছে। কপালের ঘাম আরো ঘারো রং ধারন করছে।নিভ্র রাগে ফঁসফঁস করছে।হাত মুষ্টি বদ্ধ করে নেয় সে।ছেলেটা যেই না সাফার কোমড়ে হাত দিবে তার আগেই নিভ্র চেয়ার ছেড়ে দাড়িয়ে হাত চেঁপে ধরে।ছেলেটা ব্যথায় চেঁচিয়ে উঠে।নিভ্র জায়গা বদলায়।ছেলেটার সামনে দাড়ায়।দেখেই বুঝতে পারে লাফাঙ্গা টাইপের ছেলে।এদের আর কাজ নেই দুনিয়াতে।ঘুড়ো, ফাঙ্কু ফুঙ্কু কর,আর মেয়েদের গায়ে হাত দেও।নিভ্র চোখ নামিয়ে নিচে তাকায়।সাফা নিভ্রর পাশ ঘেঁষে দাড়ায়।সে ভয় পাচ্ছে খুব।নিভ্রর শার্ট খাঁমছে দাঁড়ায় সাফা।নিভ্র সাফার দিকে একবার তাকায়।সাফা ভয়ে দুকদম পিছিয়ে যায়।এত লাল চোখ সে আগে দেখেনি।তার উপড় এত রাগ।সাফা নিভ্রর রাগের সাথে একটু পরিচিত কিন্তু এই রাগ ওই একটুর কাছে কিছুই না।ছেলেটা চেঁচিয়ে বলে…..
—-“এই পোলা তোর সাহস তো কম না।শালা আমার কলার ধরস??”
.
বেসস নিভ্রর আর কোনো কথা নেই। সেই লেভেলের উড়াধুনা পিটা শুরু।সাফা সমেত আমজনতা হা করে তা দেখে।কেউ এগিয়ে এলো না।সাফা ভয়ে কুক্রে যায়।তার হাত পা কাপঁছে।ছেলেটার মুখ রক্তাক্ত হয়ে গেছে।নিভ্র চেঁচিয়ে উঠে বলল…
—শালা বলা হচ্ছে না??আরে হারামজাদা যে ফুলে আমি মৌমাছি বসতে দিনা।যার গায়ে কারো স্পর্শ লাগতে দিলাম না।যার গায়ে ঘামের গন্ধ যাতে না লাগে তাই নিজে ঘামে ভিঁজে, ধাক্কা খেয়ে একাকার হলাম তাকে তুই অনায়াসেই ছুঁয়ে দিলি…(বলেই হাত মোছড়ে ধরে)
.
ছেলেটা চেঁচিয়ে উঠে।জনগনও রেগে গেছে।সাফা এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।নিভ্রর কথা তার কানে যাচ্ছে না।নিভ্র আবার বলল…..
—এই হাত দিয়ে আর মেয়েদের ছুঁয়ে দেখা তো দুর নিজের বউকেও ছুঁতে পাড়বি না।শালা… আমাকে বলে শালা।আরে শালা হলে তো ওই মেয়ে তোর বোন হবে তুই ওকে ছুঁতে গেলি কেন??
.
জনগণ প্রায় হামলে পরে।সাফা ভীড় ঠেলে নিভ্রর হাত চেঁপে ধরে।নিভ্র রাগে কিছুবুঝতে পাড়ছে না।সাফা টেনে নিভ্রকে বাইরে নিয়ে আসে।নিভ্রর হাত ধরেই দেয় এক দৌড়।নিভ্রও দৌড়ায়।নিভ্র দৌড়াচ্ছে আর সাফাকে দেখছে।রাগের মাথায় কি কি বলেছে তার নিজেরও মনে নেই।সাফা মাঝ রাস্তায় এসে দাড়ায়।হাঁটুতে ভড় দিয়ে সে হাঁপাতে শুরু করে।তার সাথে নিভ্রও শ্বাস নেয়।সাফা রাগি গলায় বলে….
—-“কয়েকটা ধমক দিলেই হতো এত মারামারির কি আছে বলেন??ভাগ্যিস ফুচকার টাকা আগে দিলেন তা না হলে পালাতাম কিভাবে??(সাফা বুকে হাত দিয়ে শ্বাস নিয়ে বলে কথাটা)
.
নিভ্র ভ্রুকুঁচকে তাকায়।তার এখন সাফার উপড়ও রাগ হচ্ছে। ইচ্ছে করছে সাফাকেও একটা দুইটা মেরে দিতে।কিন্তু এটা সে পাড়বে না।তাই চুপ করে কিছুক্ষণ সাফাকে দেখে।তারপর বলে……
—-“যে যেমন তার সাথে লাগতে হলে তেমন হতে হয় বুঝলে।তার লেভেলে নেমেই তাকে হেন্ডেল করতে হয়।এরা অসভ্যের জাত।এদের এভাবেই শিক্ষা দিতে হয়।আজ তুমি কাল হয় তো অন্য কারো গায়ে হাত দিবে তাই ভেঙে দিয়েছি।যাতে এমন কাজ আর না করে।আরে এরা পুুরুষ নামের কলঙ্ক।এরা এটা জানে না মেয়েদের গায়ে হাত দিতে পারলেই সে পুুরুষ হয় না।রাস্কেল একটা…..
.
সাফা নিভ্রর দিকে তাকায়।মন দিয়ে কথা গুলো শুনে।ভালো লাগে শুনে কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে সব মেয়ের জন্যেই তিনি এমন করবে ভালো কথা কিন্তু সবার জন্যই কি ফিলিংস একুই রকম থাকবে নাকি ভিন্ন।নিভ্র সাফা নির্জন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।রাস্তা ফাকা।তবে কিছু মানুষ এখনো মেলায় যাচ্ছে। হঠাৎ মেঘ ডেকে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়।বৃষ্টি বিনা নোটিশ এসেছে তাই কারোরি পিপারেশন নেই।নিভ্র ভিঁজে চুপ চুপ।সাথে সাফাও।নিভ্র সাফার হাত ধরে।টেনে কাছে নিয়ে আসে।সাফার মনে বিদ্যুৎ খেলে।সে চমকিয়ে তাকায়।নিভ্র মাক্স খুলে ফেলে।তার দম আঁটকে আসছে।নিভ্র সাফার হাত ধরে দৌড়ে পাশের একটা গাছের নিচে দাঁড়ায়।দুজনে তাকায় দুজনের দিকে।নিভ্র বলল….
—-“কিছুক্ষণ দাড়াঁতে হবে।বৃষ্টি না থামলে যেতে পাড়বো না।যদিও ভিঁজে গেছি তবুও রিক্স নেওয়া উঁচিত না।তোমার অসুবিধা হবে…..?”
—“না ”

মাথা নিচের দিকে কথাটা বলে।সাফা কাপঁছে।সে সম্পূর্ন্য ভেঁজে গেছে।নিভ্র এক হাত সাফার মাথায় দেয়।সাফা অবাক হয়ে সেটা দেখে।নিভ্রর এখন হুমায়ূন স্যারের একটা কথাই মনে আসছে……”দায়িত্ব জিনিসটা বড়ই খারাপ।এর থেকে যত দুড়ে থাকা যায় ততই ভালো”
কিন্তু না চাইতেও সে দায়িত্বে আটকা পরেছে।তবে সব দায়িত্ব কষ্ট এনে দেয় না কিছু দায়িত্ব আলাদা অনুভুতিরও জন্ম দেয়।
.
বৃষ্টি থেমেছে।দুজনেই ভিজেঁ অবস্থা খারাপ।তারা গাড়িতে উঠে বসে আছে।নিভ্র গাড়ি স্টার্ট দেয়।সাফা উড়নার নিচে হাত গুঁজে শীতে কাপঁছে। নিভ্র আড়চোখে সে দৃশ্য দেখে।সাফা চোখবুজে আছে।ঠোঁটজোড়া কাপঁছে ভূমিকম্পের মত।যা নিভ্রর মনে সুনামির মত ভয়ঙ্কর তুফান তুলছে।নিভ্র চোখ সরিয়ে নেয়।নিজেকে সংযত করতে শুরু করে।কিন্তু কিছুসময় পরে চোখ বেহায়াপনা শুরু করে।সে আবার সাফার দিকে তাকায়।তবে এবার সে ঘায়েল হয়।এক ঘুমন্ত কুমারীতে।যার মুখে বিন্দু বিন্দু পানির শিখা।সাফা উপরের ঠোঁট উল্টে বাচ্চাদের মত ঘুমাচ্ছে। ঠোঁটেও জমে আছে পানি।নিভ্র গাড়ি থামায়।এক হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে সাফার ঠোঁটের পানি মুছে দেয়।পিছনের সিট থেকে ব্লেজার নিয়ে সাফার গায়ে মুড়িয়ে দেয়। সাফার দিকে তাকিয়ে থাকে সে।সাফার এই ঘুমন্ত মুখ তাকে টানছে।সে ভাবতে পারছে না তার মত একটা ছেলে যে কিনা মেয়েদের পছন্দই করে না সে একটা মেয়ের প্রতি এত যত্নবান। কিভাবে এটা সম্ভব???হাউ ক্যান দিস পসিবল???

#চলবে___________🍁
ভুলগুলো আল্লাহ দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন______________🍂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here