#ওই আকাশটা আমার ছিল
#রোকসানা আক্তার
পর্ব-২০
পরের দিন সকালেই রহিমা মেয়ের বাড়িতে এসে হাজির হোন।তবে একা নয়।সাথে পিয়ারা বেগমও আসেন। আর সাথে করে মিষ্টি,সন্দেশ পাঁচ কেজি আনেন।মেয়ের বাচ্চা হবে। একটা খুশির ব্যাপার স্যাপার আছে না?সবাইকে মিষ্টি মুখ করাবেন আরো কত কি।পৃথী মিষ্টির প্যাকেট গুলো হাতে নিতে নিতে বলে,
“এত মিষ্টি-সন্দেশ কেনো আনলে?”
“এত মিষ্টি-সন্দেশ কোথায় দেখলি পৃথী?এই বাড়িতে পাঁচ কেজি মিষ্টি খুবই নগন্য!আমিতো লজ্জায় আছি।”
“মা এসব খাওয়ার এ বাড়িতে তেমন লোক নেই।”
“লোক নেই মানে?তোরা আছিস,কাজের লোকজন আছে আরো কত মানুষ!”
“মা অয়ন সবাইকে সেই প্রথমে ই মিষ্টি খাবিয়েছে।”
“একবার খেয়েছে দেখে কি হয়েছে আবার খাবে!”
“খামোখা কতগুলো টাকা নষ্ট হলো।কি দরকার ছিল ওতগুলো টাকা নষ্ট করার?”
“দূর বোকা মেয়ে,এসব বলে না।আমার নাত/নাতি হবার সুবাধে সবাইকে মিষ্টি মুখ করানো এটা আমার কর্তব্য না?নাহলে লোক মন্দ বলবে।”
“এখানে মন্দ বলার মতন কেউ নেই।”
“কাজের লোকরাই বলবে।”
“কইছে তোমারে!আচ্ছা এভাবে আর না দাঁড়িয়ে এবার ভেতরে আসো ত?”
“চল।”
পৃথী রহিমা এবং পিয়ারাকে বসার ঘরে নিয়ে যায়।রহিমা সোফার উপর বসতে যেয়ে চারপাশে চোখ বুলাতে বুলাতে বলেন,
“অয়নকে যে দেখছি না।সে বাসায় কি নেই?”
“নাহ।”
“কোথায় গেছে?”
“তোমরা আসার দুই মিনিট আগে কী দরকারে যেন একটু বাইরে গেছে।কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে।”
“আচ্ছা।”
বলেই রহিমা এবার মাথা সোঁজা করে বসেন।তারপর মেয়ের দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে,
“পৃথী?”
“হু?”
“অয়ন তোকে কেমন সুখে রাখে?খুব আদর করে ত?”
“হঠাৎ এ কথা যে?”
“তোর সুখ-দুঃখ জানা কি আমার কর্তব্য না? ”
“অবশ্যই কর্তব্য মা।মা আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে আমি বেশ ভালো আছি।”
“শুনে খুশি হলাম।আমি জানি অয়ন বাবা তোকে কখনোই অসুখী রাখবে না।”
“ভালোবাসার টানে পালিয়ে বিয়ে করেছে ওরা তো সুখে রাখবে না কি করবে?মেয়েকে ত দেখা যায় তোর ওই খুপরি বাসা থেকেও এখানে বেশ ভালো আছে।”
মুহূর্তে রহিমার মুখটা গম্ভীর হয়ে যায়।বুকে চেপে রাখা এতদিনকার পাহাড়সম কষ্টটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।সেই ছোট্ট থাকতে মেয়েটা তার বাবাকে হারায়।সুখ কী জিনিস তা সে জানে না।কতটা সংগ্রাম করে মেয়েটা বড় হয়েচে।কখনো মন খুলে ভালো খেতে পারে নি।ভালো পড়তে পারে নি।ভালো জায়গায় থাকতে পারে নি।যেদিকে তাকিয়েছে শুধু ই কষ্টে মাখামাখি হয়েছে।কিন্তু আজ এতটা বছর পর মেয়েটা যেন তার সুখের তরী পেয়েছে।অয়ন যে তার জীবনে দীপ্ত শিখা হয়ে অতীতের সব কষ্ট-আঘাত-দুঃখ মুছে দিতে এসেছে এ মহান আল্লাহর কৃপা।ভেবেই রহিমা “হা” করে জোরে একটা শ্বাস ছাড়েন।তারপর বলেন,
“আমি সবসময় দোয়া করি আমার মেয়ে এবং জামাই এভাবেই একে-অপরের পাশে থেকে বাকিটা জীবন পার করতে পারে।”
পৃথী ছলছলা চোখে রহিমার দিকে তাকায়।তাকিয়েই রহিমার দুইহাত নিজের কোলের দিকে টেনে এনে এবার আবেগ জড়ানো গলায় বলে উঠে,
“মা আমি যে অয়নকে এভাবে বিয়ে করেছি তুমি খুব কষ্ট পেয়েছ,তাই না?”
“নাহ কেন কষ্ট পাবো রে পৃথী।আমিতো আরো খুশি যে অয়নের মতন একটা ছেলে তোর জীবন সঙ্গী হয়েছে।”
“নাহ তুমি খুব কষ্ট পেয়েছো।আমার জন্যে সেদিন তোমার সম্মান চলে গেছে।সমাজের কাছে খুব ছোট্ট হয়েছো।সবাই অনেক কটু কথা বলেছে।প্লিজজ মা আমাকে ক্ষমা করে দাও। তুমি ক্ষমা না করলে আমি কখনোই সুখে থাকতে পারবো না।”
“দূর বোকা।বললাম ত কষ্ট পাই নি।একদমই কষ্ট পাইনি।আর কষ্ট পেলে কি আজ আর আসতাম?”
পৃথীর এবার তার চোখের কোণার পানিটুকু মুছে নেয়।তারপর,
“আচ্ছা এভাবে বসে বসেই খালি কথা বলবে নাকি?কিছু খাওয়া লাগবে না?তোমরা বসো ত আমি আসতেছি।”
বলেই পৃথী ব্যস্ত ভঙ্গিতে সোফা থেকে দাঁড়িয়ে কিচেনের দিকে চলে যায়।এমন সময় মেইন ডোর ঠেলে অয়ন ভেতরে ঢোকে।হাতে একটা শপিং ব্যাগ।শপিং ব্যাগে কী আছে তা এই মুহূর্তে বুঝা যাচ্ছে না।পরে পৃথী জিজ্ঞেস করলে জানা যাবে আর কি।অয়ন রহিমা এবং পিয়ারা বেগমকে দেখে জড়সড়ভাবে একটা টাসকি খায়।ব্যাসিকেলি রহিমাকে দেখে।রহিমা হঠাৎ এভাবে হাজির হবে অয়ন এটা নিয়ে অপ্রস্তুত ।খুবই অপ্রস্তুত।কারণ সাতমাস আগে সে রহিমাকে কথা দিয়েছিলো”যেই ছেলের সাথে পৃথী পালিয়ে গেছে সেই ছেলেকে ধরে এনে সেই ছেলের হাত-পা ভেঙ্গে ফেলে তার সামনে হাজির করাবে।”কিন্তু এখন সেই ছেলে যে সে ই!অয়নের ত এখন চোরচোরা অবস্থা।সে এদিক ওদিক ফের তাকিয়ে ভেতরের হার্টবির্ট গতিতা কমাতে ব্যস্ত হয়ে যায়।পিয়ারা অয়নকে দেখে ফেলে।বলে,
“ওই যে তোর জামাই বাবা।”
রহিমা আগ্রহ ভরা চোখ নিয়ে সেদিকে তাকায়।তাকাতেই ঝরঝরা কন্ঠে বলে উঠে,
“অয়ন বাবা?”
অয়ন না চাইতেও রহিমার দিকে তাকাতে বাধ্য হয়। উপায় নেই।না তাকালে একদম চোরের উপাধি পেয়ে যাবে।তখন বলবে “মেয়ে চোর।”তাই এগিয়ে,
“আসসালামু আলাইকুম? ”
“ওয়ালাইকুম আসসালাম।”(রহিমা এবং পিয়ারা দুজনেই সালাম গ্রহণ করেন)
“কখন এলেন আপনারা?আসবেন কল দিয়ে একবার জানাতে পারতেন।”
“তুমি যে পৃথীকে বিয়ে করেছ তখন আমাকে জানিয়েছো?”
অয়ন আাস্তে একটা ঢোক গিলে।পিয়ারা রহিমার হাতে ঝাঁটি দিয়ে বলে,
“দূর কি বলিস!তখন তোকে জানানোর সেই অবস্থাটা ছিল? তুই তো না পারিস মেয়েকে ফাহাদের হাতে সেদিনই তুলে দিস। কিন্তু তোর মেয়ে কি আর ফাহাদকে ভালোবাসতো?তাই পালিয়ে গেল।আর তার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করলো।তাই তোকে জানানোর প্রশ্নই আসে না?”
“মেয়ে ত আমাকে আগে বলে নি অয়নের বাবাজীর ব্যাপারে।তাহলে কী তখন আর ফাহাদের সাথে বিয়ে দিতে রাজি হতাম? ”
“তুই একজন মা।মা হিসেবে তোর মেয়ের মনের অবস্থাটা বুঝা উচিত ছিল রহিমা।”
“আই’ম চরি!”
এবার রহিমা এবং পিয়ারা অয়নের দিকে তাকায়।
“চরি কেন বাবা?”
“পৃথীকে পালিয়ে বিয়ে করেছি।আপনার মেয়েকে আপনার থেকে নিয়ে গেছি।এতে আপনার প্রতি খুবই অসম্মান হয়েছে।”
“কোনো অসম্মান টসম্মান হয়নি।কি বলতেছো তুমি এসব?”
“আমাকে ক্ষমা করে দিন মা।”
“খালা এদের এই দুজনকে আমার এখনতো মারতে ইচ্ছে করতেছে।এরা এভাবে আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছে কেন বলেন ত?”
পিয়ারা বেগম হেসে উঠেন।অয়নও তাই।এবং পৃথীও।পৃথী এতক্ষণে কিচেনের দরজার দিকটায় দাড়িয়েই ছিল।সে ওখান থেকে এখানে সব লক্ষ করেছিল।পৃথী টপকে বলে উঠে,
“মা এবং পিয়ারা নানুকল কিন্তু একমাস এই বাসায় থাকতে হবে।এত সহজে ছাড়ছি না।কী বলেন?”
“হ্যাঁ।শুধু একমাস না। প্রয়োজনে মৃত্যহ অব্দি এখানে থাকবে।”
“আল্লাহ বাচ্চা ছেলেমেয়ে দুটি কি বলে এসব?!” (রহিমা)
২৯.
রহিমার সেদিন দুইদিনের উপরে আর থাকা হয়নি।বাসার আসবাবপত্রগুলোতে কি কি সমস্যা হয়েছিল সেগুলো রিফায়ার করতে এখানে আসার দুইদিন আগে কাঠমিস্ত্রীকেমজানান।ওই কাঠমিস্ত্রী হুট করে পরশু কল করে অর্থাৎ, বেড়ানোর তৃতীয় দিনকালে বলে যে সে আসবাবপত্র গুলে রিফায়ার করতে বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।রহিমা পড়লো মহা বিপদে।এখন যদি এদের বলে,” আজ থাক। আর দুইদিন পর আবার আসতে।”তখন এদের লেজি ভাবটা দেখা যাবে।পরে একশোবা কল করলেও এদের পাওয়া যাবে না।এদের ঢের চেনা আছে রহিমা।তাই আর কি বাধ্য হয়েই চলে যেত হলো।
৩০.
অয়ন ইদানীং খুব টেনশনে আছে।বাইরে থেকে আসলেই রুমে ঢুকে পড়ে।আর রুমে ঢুকেই রুমের এদিক ওদিক জুড়ে পায়চারী করতে থাকে।পৃথীকেও আগের মতন এখন তেমনটা সময় দেয় না।পৃথীর যা যা লাগে তা কাজের লোকগুলোই এসে দিয়ে যায়।তারা এখন সার্বক্ষণিক পৃথীর আশপাশেই থাকে।তাদের এই আশপাশে ঘুরাঘুরিটা পৃথীর একদম বিরক্ত লাগে।সে মনে মনে খুব চাপা রাগ জন্মাতে থাকে অয়নের উপর।আর একটা মুহূর্তে রাগটা ঝেঁড়েও ফেলে।অয়ন রাতে পাশো ঘুমুতে আসলেই পৃথী তার শোয়ার স্থান থেকে উঠে বসে খপ করে অয়নের কলার চেপে ধরে,
“এই গ্যাংস্টার?আমাকে ইদানীং এতটা ইগনোর করছেন কেন,হ্যাঁ?আমাকে এখন আর দেখতে ভাল্লাগে না।মোটা হাতির মতন দেখতে লাগে সেজন্যে?নাকি একটা বাচ্চা জন্ম দিয়েই বুড়ির বয়সে চলে যাবো সে’কথা ভেবে?”
অয়ন পৃথীর এ’কথার পিঠে প্রথম দফায় পৃথীর দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে থাকে।দ্বিতীয় দফায় পৃথী আবার মুখ খুলতে গেলে ওমনি অয়ন পৃথীর ঠোঁটের উপর কিস বসিয়ে দেয়।
“কিস কেন?আমি কী কিস চাইছি?”
“বুড়ি,দেখতে হাতি এসব কথার উত্তর হলো এই কিসটা!তুমি যেমনই হবে পৃথী অয়নের একবিন্দু ভালোবাসাও তোমার থেকে কমবে না।সো কাইন্ডলি রিকুয়েষ্ট এসব কথা আমাকে আর কখনো বলবে না!”
পৃথী এবার অয়নের দিক আরো ঘেঁষে যায়।মাথাটা অয়নের কাঁধের উপর রেখে বলে,
“তাহলে ইদনীং আমার সাথে এমন করেন কেন? বেশি কথা বলেন না।দূরে দূরে থাকেন।কারণটা কী?হ্যাঁ?”
অয়ন পৃথীর মাথাটা কাঁধ থেকে বালিশের উপর আলতো নামিয়ে উঠে বসে।ফস করে একটা তপ্ত শ্বাস ছেড়ে বলে,
“পৃথী,আমার ড্রাগস বিজনেসে কোনো এক স্মাগলারের চোখ পড়েছে।ও তুখোড় ভাবে আমার বিজনেসের উপর যড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে!ও তার লোকদের দিয়ে আমাকে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।ওর এই হুমকিতে আমি কেনজানি আশ্বস্ত হতে পারছি না।ওর হুমকিতে মনে হচ্ছে ও আমার সবথেকে বড় কলিজাটায় হাত দিয়েছে।ওই শালা কে!ওই শালাকে না বের করা পর্যন্ত আমার শান্তি নেই!”
“কি হুমকি দিয়েছে?”
“আমি বলতে পারবো না পৃথী।তবে এটুকু শুনে রাখো কেউ যদি আমার স্ত্রী এবং আমার বাচ্চার উপর চোখ তুলে তাকায় … তাকে…. তাকে আমি সামনে পেলে কী যে করবো তা নিজেও জানি না!আমার স্ত্রী-বাচ্চা আমার জীবন।আমার হৃদপিণ্ড। আমার প্রাণ আমার সব সব।শালাকে এখন শুধু হাতের কাছে পেয়ে নিই।তারপর ওর জীবনে বাপের নাম ভুলিয়ে দেব!”
পৃথী এবার ধরে ফেলে অয়নের রাগ করার কারণ টা।ওই স্মগলার নিশ্চয়ই তাকে এবং তার পেটের বাচ্চাকে তুলে হুমকি দিয়েছে তাই এতটা খেপে আছে। তাই বলে এতটা খেপে যাবে!গ্যাংস্টারদের শত্রুদের অভাব থাকে না।খোঁচা মারানি দেওয়ার মতন হাজার হাজার লোক থাকে।এ লোকটি কি তা জানে না?ভেবেই পৃথী মুখটা গম্ভীর করে শোয়া থেকে উঠে বসে। তারপর অয়নকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে,
“যে যা ইচ্ছে বলুক গা।এতকিছু কানে নেওয়ার কোনো দরকার নেই।শত্রু থাকলে এরকম দুই একটি কথা শুনতে হয় ই।বুঝতে পেরেছেন?”
“জানি।কিন্তু ও শালাকে আমি ছাড়বো না।মেরেই ফেলবো!”
“মাইরেন যা খুশি কইরেন।এবার শুয়ে পড়েন।আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।”
“তোমার ঘুম আসলে তুমি ঘুমাও।আমি একটুপর ঘুমাবো।”
পৃথী আর কিছু বললো না।অয়নকে ছেড়ে দিলো।কাত হয়ে শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলো।অয়ন কয়েক মিনিটস সেভাবেই বসে রইলো।এরফাঁকে একবারও পৃথীর দিকে তাকালো না।তবে এবার তাকালো।তাকিয়েই দেখে পৃথী হাত পা নাড়াছে।এখনে ঘুমায় নি।অয়ন পৃথীর কাঁধে আলতো হাত রেখে,
“এখনো ঘুমাও নি? ”
পৃথী নৈঃশব্দ্যে অয়নের হাতটা ছাড়িয়ে নিল।তা দেখে অয়ন ভ্রু কুচকালো।কী ব্যাপার? পৃথী রাগ করলো নাকি? কিন্তু সে ত পৃথীকে রাগ করার মতন এখন তেমন কিছুই বলে নি।ভাবতে থাকে অয়ন।কিছুক্ষণ এভাবে ভেবেটেবে পরমুহূর্তেই অয়ন খুব হেসে উঠে।তারপূর সন্তপর্ণে মাথাটা এগিয়ে পৃথীর কাত করা গালের উপর আলতো রাখে।উষ্ণ জড়ানো গলায় বলে,
“ভালোবাসা দরকার?কাছে আসো ভালোবেসে দিই।”
চলবে…
(গল্প কেন দিই নি?কী কারণে দিই নি?কেন নানান অজুহাত দেখাচ্ছি তাদেরকে উত্তরটা দিচ্ছি–
আমার ফোনটা এখনো ভালো মতো ঠিক হয়নি। আপনাদের বললাম না লকডাউন মোটামুটি কমলে মোবাইলটা সার্ভিসিং করতে নিয়ে যাবো?তা নিই।কিন্তু ফোন মিস্ত্রি আমার ফোন ঠিক করে দিতে দিতে দশদিন লাগায়।তারপর পরশুদিন ফোনটা বাসায় আনি।ভাবলাম ঠিক হলো।কিন্তু এনে দেখি ঠিক হয়নি।তারপর বাধ্য হয়ে ফোন মিস্ত্রি লোককে আবার কল দিই।উনি বললেন প্রবলেম হলে নিয়ে যেতে।তা কাল আবার নিয়ে যাই।নিয়ে যাবার পর বুঝতে পারি লোকটির সার্ভিসিং এ কিছু ক্রুটি ছিল তাই ঠিক হয়নি।আবার সার্ভিসিং করতে হবে।তাই কাল আবার রেখে আসি।বলা যায় দৌড়াদৌড়ির মধ্যে আছি।তারপরও আপনাদের কমেন্টস এ দেখি আমি নাকি নানান অজুহাত দেখাই!)