“কলেজের বড় আপু ১২তম পর্ব

কলেজের বড় আপু
Sumon Al-Farabi
১২তম পর্ব
⬇⬇

আমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে কাপড় চেঞ্জ করে আবার বাইরে আসলাম । এসে দেখি উনি এখনো বসে আছে ।

– কি হলো এখনো বসে আছেন যে?

-…….

– কাপড় চেঞ্জ করবেন না ? ঠান্ডা লেগে যাবে তো।

– তাতে তোর কি?

– আমার কিছু না। আপনি বুঝবেন মজা ।

উঠার চেষ্টা করছে তবুও উঠতে পারছে না । মেয়ে দের একটা ঢং করাই লাগবে একটু লাগলে সেটা এমন ভাবে প্রেজেন্ট করতে হবে যে সবই যাতে মনে করে ইন্নানিল্লা হইছে । যত্তসব ।

– সাহায্য লাগবে ?

– দরকার নেই

কি জিনিস বানাইছো খোদ ? জানে একা পারবে না তবুও অন্যের সাহায্য নিবে না । এতো অহংকার যে কই রাখে একমাত্র তুমিই জানো আল্লাহ ।

নিজে থেকে এসে হাতটা ধরলাম ।

– ঐ তোর মতলব কি হাত ধরছিস কেন ?

– এই রে সাহায্য করতে গেলেও এখন মানুষ মতলব খোঁজে

হাত ধরে এগোতে লাগলাম । কিন্তু উনি এমন ভাবে হাঁটছেন যে রুমে যেতে না হলেও ২০ মিনিট লাগবে । তাই ওনাকে কোলে তুলে নিলাম ।

– এই কি করছিস

– যেভাবে হাঁটছেন সারা বছর ও রুমে যেতে পারবেন না।

– তুই আমায় নামা

-…….

– নামা বলছি । নয়তো ভালো হবে না কিন্তু

– কি খারাপ হবে সেটা পরে দেখা যাবে ।

– তোকে আমি ক্ষুন করবো

– তাতে কি জেলে তো আর আমি যাবো না ।

– নামা বলছি ।

একবারে খাটে গিয়ে নামিয়ে দিলাম ।

– এখন আপনি কাপড় চেঞ্জ করুন আমি বাইরে যাচ্ছি ।

– ওই শোন

– কি?

– কাপড় কে এনে দিবে

– ওহহ আচ্ছা । এই নেন।

– বাইরে যা ভুলেও দেখার চেষ্টা করবি না

– আপনাকে দেখা আর কলার গাছকে দেখা একই কথা । কোনো ফিলিংস নাই ।

– কি??

– তুই এখানে থাক আমি তোর সামনে চেঞ্জ করবো

– না থাক । আমি বাইরে যাই ।

– তুই এখানে দাড়িয়ে থাক ।

– আমি অন্য সব ছেলের মতো না । পায়ে তো ব্যাথ্যা পাইছেন । বাইরে যা বৃষ্টি হচ্ছে । মনে তো হয় না আব্বু আম্মু আজ আর বাসায় ফিরবে । আমাকেই আপনার পা মালিশ করতে হবে ।

– তো করবি

– হুম । তাই জন্য তেল নিতে যাচ্ছি আপনি চেঞ্জ করেন

– হুম ।

(দরজার কাছে গিয়ে আবার)

– একবার তো দেখছি ( বলেই দে দৌড় )

– হারামজাদা , কুত্তা, ছোটলোক

কে শোনে কার কথা । একটু পরে যখন আবহাওয়া ঠান্ডা হলো তখন রুমে তেল নিয় আসলাম । এমা এ যেভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে । মনে হচ্ছে খেয়ে ফেলবে।

– কোনটা পা

– এই টা।

– এদিকে আগাই দেন পা টা

– আস্তে ।

– আচ্ছা ।

পা মালিশ করছি তবে এরপর ঠিক কি হলো বলতে পারবো না। তবে শুনেছি বৃষ্টি তে সবাই রোমান্টিক হয় হয়তো আমার বেলাও তাই হলো।

ইশশ বৃষ্টি টা যদি কিছু দিন আগে হতো । তবে রাতে কি হইছে সেটা না বলাই ভালো । ঐটা আপনারা বুঝে নেন।

সকাল বেলা কারো কান্নার শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে গেল । চোখ খুলতেই চাচ্ছে না তবুও চোখ খুলে দেখি নীলাদ্রি কান্না করছে ।

– কি হয়েছে আপনার ? কাঁদছেন কেন?

-……..

– আরে বলবেন তো কি হইছে

– তুই ছোটলোক কুত্তা (আরো অনেক কিছু বললো)

( বুঝলাম কাল রাতের ঘটনার জন্য । ও সরি দূর্ঘটনার জন্য )

– আসলে আমি বুঝতে পারি নি । কি থেকে যে কি হয়ে গেল

– তুই চুপ থাক । ছোটলোক তুই সব ইচ্ছে করে করছিস।

– আপনি যেমন ভাবছেন তেমন না।

– তোকে আমি ক্ষুন করবো ( গলা চেপে ধরে)

– আরে লাগছে তো

– ( ধরেই আছে )

– ছাড়েন নয়তো মরে যাবো ।

– তুই মরলেই আমি খুশি হবো ।

অনেক কষ্ট করে নিজেকে সেফ করলাম ।

– তুই আর কোনো দিন আমার সাথে কথা বলবি না । আমি তোর চেহারা দেখতে চাই না । দূর হও আমার সামনে থেকে ।

আমি উঠে বাইরে এসে নাস্তা রেডি করে ওর সামনে নিয়ে গেলাম

– নাস্তা করো

– ( কোনো কথা বলছে না )

বুঝলাম কথা বলবে না। তাই নাস্তা ওর সামনে রেখে বাইরে চলে আসলাম ।

তবে আমার নিজেকে কন্ট্রোল করা উচিত ছিলো। আচ্ছা এখানে কি আমার একার দোষ ? উনিও তো নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারতো । আর আমি এসব ভাবছি কেন? উনি তো অন্য কেউ না আমার বউ। তবুও ইচ্ছার বিরুদ্ধে এমনটা করা ঠিক হয় নি।

আম্মু কে ফোন দিলাম ।

– হ্যালো

– আম্মু কখন আসবেন

– কেন?

– তাড়াতাড়ি আসেন

– কি হইছে

– কিছু না । উনি একটু পায়ে ব্যাথ্যা পাইছে

– কিভাবে

– বাইক থেকে পড়ে

– তোর আক্কেল কবে হবে বলতো

– আমি আবার কি করলাম

– তোরে কতো বার বলছি ধীরে চালাতে কথা কানে যায় না।

– তুমি তাড়াতাড়ি আসো তো

– মালিশ করাই দিছিস

– ওটা করাতে গিয়ে তো অঘটন ঘটে গেল

– কি ঘটে গেল ?

– কিছু না । তাড়াতাড়ি আসো। বাই।

ফোন টা কাটলাম । কিছু সময় পর আবার রুমে গেলাম । গিয়ে দেখি এখনো খায় নি। তবে এখন কান্না করছে না । কথা বলবো কি না এটা ভেবে ধীরে ধীরে সামনে এগোলাম।

– খান নি কেন?

-….

– খাইয়ে দিবো

এবার এমন করে তাকালো আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম । বুঝলাম আমার সাথে কথা বলবে না । তাই আর না জ্বালিয়ে বাইরে চলে আসলাম ।

বাইরে এসে নুসরাত কে ফোন দিলাম

– হ্যা সুমন বলো

– কই তুমি

– বাসায়। তুমি

– আমি ও। মনটা খারাপ তাই ফোন দিলাম ।

– কেন? কি হইছে ?

– তেমন কিছু না ।

– বলবে না ?

– বললাম তো তেমন কিছু হয় নি।

– ওহহ। আজ কিন্তু তুমি তোমার বাসায় নিয়ে যাবে

– আমার বাসায় আসবে ?

– হুম ।

– কেন ?

– তোমাকে রান্না করে খাওয়াবো বলে ।

– সত্যি

– হুম ।

– আরে আমি তো মজা করছি

– তো কি হইছে । আমি কি তোমাকে রান্না করে খাওয়াতে পারি না ?

– সেটা পারো ।

– তো আসো। আমায় নিয়ে যাও।

– আচ্ছা আসছি ।

এরপর আমি রেডি হয়ে বাইরে গেলাম । বাইরে আসার সময় ও দেখলাম তখন ও খায় নি।

নুসরাত এর সাথে দেখা করে একটু ঘুরলাম । এরপর বিকেলে ওকে নিয়ে বাসায় আসলাম ।

– আম্মু কখন আসলে?

– একটু আগে। ও কে?

– আমার বন্ধু । নুসরাত ।

– ওহহ।।।

– উনি কই?

– রুমে গিয়ে দেখি শুয়ে আছে ।

– ওহহ।।

– দুপুরে লাঞ্চ করছে

– জানিনা

– একটু পরে তুমি গিয়ে খাওয়াই দিয়ো

– আচ্ছা ।

নুসরাত আর আম্মু গল্প শুরু করে দিলো। তারা বেশকিছু সময় ধরে গল্প করলো।

– আজ থেকে যাও

– না আন্টি অন্য দিন

– আচ্ছা । সুমন এই সুমন

– হ্যা আম্মু

– ওকে বাসায় রেখে আয়।

– আচ্ছা । নুসরাত চলো

– হুম চলো

নুসরাত কে নিয়ে ওর বাসায় রেখে আসলাম। এসে আবার আম্মু কে বললাম

– খাওয়াইছো?

– হুম । কি হইছে ওর

– কাল পড়ে গেছে তো পায়ে ব্যাথ্যা পাইছে

– ওহহ। ওতো এমন চুপচাপ বসে থাকা মেয়ে না।

– হুম ।

এভাবে তিনদিন কেটে গেল । এই তিনদিন এ নীলাদ্রি আমার সাথে কোনো কথা বলে নি। এমন কি আমার দিকে তাকাও নি।

কেন জানিনা খুব কষ্ট হচ্ছে । আর তাতে আবার কাল পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে অনেক টেনশন ও হচ্ছে ।

পরের দিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে কলেজে গেলাম । বন্ধুরা মিলে একসাথে রেজাল্ট দেখবো তাই ।

অনেক টেনশন হচ্ছে না জানি কেমন হয় রেজাল্ট । ২ টার সময় রেজাল্ট দিলো। রেজাল্ট পাবলিষ্ট হওয়ার একটু পরেই আমরা আমাদের রেজাল্ট পেলাম

আমি খুব বেশি ভালো রেজাল্ট না করতে পারলেও যেটা করেছি সেটাকে উচু মানের ভালো রেজাল্ট বলা যায় আর আমি এতই অনেক খুশি ।

বাসায় গেলাম রেজাল্ট জানানোর জন্য । কিন্তু গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে কেউ কোনো কথা বলছে না । নীরব পরিবেশ ।

– আব্বু আমি

– চুপ থাক তুই আমার মান সম্মান কিছু রাখলি না।

– মানে?

– তোর দিয়ে যে এই কাজটা হবে সেটা আমি কোনো দিন ও ভাবিনি

– কি করলাম আমি

– আমি তোকে নিয়ে কত গর্ব করতাম কিন্তু সেই তুই সি সি। আমার আজ ভাবতেও ঘৃণা হচ্ছে যে তুই আমার ছেলে

– আমি কিছুই বুঝতে পারছি না

– কিছুই বুঝতে পারছিস না নাকি বুঝতে চাইছিস না।

– কি বলছো এসব

– এখন আমি মেয়েটা কে মুখ দেখাবো কেমন করে ।

– আমি সত্যি কি….

– আজ থেকে আমার কোনো ছেলে নেই । বেরিয়ে যা আমার বাসা থেকে

– আম্মু আমি তো কিছুই বুঝছি না

– তুই কি বুঝবি? আমি নিজেও তো কিছু বুঝছি না । নিজের বউকে কেউ এসব বলে? সি সি।

– ওকে বলো আমি যেন ওকে এই বাসায় আর না দেখি

আমি বুঝলাম নীলাদ্রি কিছু বলছে । দৌড়ে রুমে গেলাম ।

– নিচে আম্মু আব্বু কিসের কথা বলছে

– আমি কি জানি

– আপনি কি বলেছেন আমার নামে

– বলেছি তুই তোর বন্ধুর সাথে বাজিতে হেরে গেছিস তাই আমায় তোর বন্ধুর সাথে রাত কাটাতে বলছিস

– ঠাসসসসসসসসসসস। আপনাকে আমি ভালো ভাবতাম কিন্তু আপনি যে এতো টা নিচ তা বুঝতে পারি নি ।

– এটাতেই এতো রিয়েক্ট বাকি গুলো শুনলে তো মরেই যাবি

– আমি আর কিছু শুনতে চাই না । তোর মতো একটি বাজে মেয়ে অনেক বাজে কথাই বলবে হয়তো ।

– বলেছি না তোর জীবন আমি হেল করবো

– তুই তো মেয়ে জাতির কলঙ্ক । যে সামান্য প্রতিশোধ নিতে নিজে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ চরিত্র কে নিলামে তোলে ।

– বউ মা ওকে বেরিয়ে যেতে বলো

– আমায় জ্ঞান দিতে আসবি না। কি বলছে শুনিস নি বেরিয়ে যা।

– আমার উপর তোর রাগ ছিলো তুই আমায় মারতি মেরে ফেলতি কিন্তু আমার পরিবারের কাছে আমায় যে চরিত্র হীন প্রমান করলি এটা ( কিছু বলতে পারলাম না কান্না চলে আসলো)

একটা ব্যাগের মধ্যে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে বেরিয়ে গেলাম ।

– আম্মু ছোট বেলা থেকে আমি যা বলছি তাই বিশ্বাস করছো কিন্তু আজ আমায় কথা বলার সুযোগই দিলে না। আর আব্বু তুমি তো বলতে রাগের মাথায় কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে ঘটনা আগে পর্যবেক্ষন করতে কিন্তু আজ তুমি নিজেই …… । তবুও তুমি আগে যেমন আমার কাছে সবার উপরে ঠিক ছিলে এখন তুমিই ঠিক । তবে আব্বু কখনো এই সিদ্ধান্তের জন্য আপসোস করো না।

কথা গুলো বলেই চলে আসলাম । আম্মু বেশ কিছু বার ডাকলো কিন্তু পিছনে তাকাই নি ।

বাসা থেকে বের হয়ে সোজা ঢাকা চলে আসলাম । ঢাকার একটা ছেলের সাথে পরিচয় ছিলো তার কাছে উঠলাম । বেশ কিছু দিন তার কাছে থাকলাম । সিম চেঞ্জ করলাম

একদিন রাতে অন্ধকারে রাস্তা দিয়ে একা একা হাটছি । হঠাৎ একটা গাড়ি দেখি । এতো রাতে এখানে গাড়ি দারিয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে গেলাম । গিয়ে দেখি একটা লোক মনে হয় অসুস্থ ।

অনেক কষ্ট করে তাকে গাড়ি থেকে বের করলাম। আশেপাশে কেউ নাই যে তার সাহায্য নেব..

একা একাই তাকে পাশের হাসপাতালে নিয়ে গেলাম ।
পরের দিন লোকটা জ্ঞান ফিরলো। জানতে পারলাম লোকটা মাঝে মাঝে এমন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ।

লোকটা সুস্থ হওয়ার আগেই আমি বাসায় চলে আসি। কয়েক দিন পর আমায় লোক টা খুঁজতে আসে ।

লোকটার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তার পরিবারের সবাই বাইরে থাকে । অনেক ধনী হওয়া সত্ত্বেও তার কোনো সুখ নাই ।

– তুমি কি করো?

– কিছু না ।

– তোমায় একটা কথা বলি?

– হ্যা বলুন

– না করবে না তো

– আচ্ছা ঠিক আছে বলুন

– তুমি আমার কোম্পানি তে জয়েন করো

– কিন্তু আমার তো শিক্ষা গত যোগ্যতা নেই

– তুমি অন্যের জীবন বাঁচাতে জানো এর থেকে বড় কোনো যোগ্যতা নেই । তুমি কাল আমার অফিসে আসবে । এটা আমার অফিসের ঠিকানা ।

পরের দিন আমি ওনার অফিসে গেলাম। যাওয়ার পর পুরো অফিস টা আমায় ঘুরিয়ে দেখালো।

– তোমার নাম যেন কি

– সুমন

– ওহ হ্যা। সুমন এটা তোমার কেবিন। আর আজ থেকে তুমি আমার পারসোনাল এসিস্ট্যান্ট ।

– এতো বড় পদে

– আবার ।

– আচ্ছা স্যার।

– স্যার না। তুমি কি আমায় বাবা বলে ডাকতে পারবে

– বাবা বলে

– জানো অনেক দিন হয়ে গেল এই ডাকটা শুনি না। কেউ বাবা বলে ডাকে না । যারা ডাকতো তারা কোনো দিন ভুল করে ফোন করে না।

– কাঁদবে না। আমি তোমার ছেলে না। আমি ডাকবো এখন থেকে ।

– আচ্ছা । এখন থেকে আমরা একসাথে থাকবো

– কোথায়

– আমার বাসায়

– কিন্তু

– কোনো কিন্তু নয়।

– আচ্ছা ।

এভাবে কেটে যায় দুই বছর । এখন আমার গাড়ি বাড়ি টাকা সব আছে কিন্তু সেই প্রিয় মুখ গুলো আর দেখা হয় না। নীরব রাতে একা একা কান্না করি । জানিনা কান্নার শব্দ তাদের কাছে শোনায় কি না।

আজ চার বছর পর বাসার দিকে পথ ধরলাম । তবে খুবই সাধারণ পোশাকে । নিজেকে আর কন্ট্রোল করে রাখতে পারলাম না ।

বাসার সামনে আসতেই একটা ছোট্ট বাচ্চা চোখে পরলো। খুব বেশি হলে বয়স তিন চার বছর হবে ।

– এই থেলে কে তুমি ?

– তুমি কে

– আমি কে অধলা

– অধলা মানে

– অধরা মা ভিতরে আসো ।

– আম্মু কে দেনো আতথে

– কে মা। কে আসছে?

ভিতর থেকে নীলাদ্রি বের হয়ে আসলো। একি নীলাদ্রি এখানে ? ও চলে যায় নি? তার মানে অধরা আমার মেয়ে ।

– আম্মু আব্বু বাইরে আসেন

– কি হইছে রে মা

– বাইরে আসেন না

আম্মু বাইরে বের হয়ে আমায় দেখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে কথা না বলে কান্না করতে করতে ভিতরে গেলো।

আমি বুঝলাম এটা কিসের কান্না । কারণ আমার চোখ দিয়েও বইছে ।

দৌড়ে আম্মুর কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম । আব্বু দেখে আব্বুও কান্না শুরু করলো। নীলাদ্রি দূরে দাড়িয়ে নীরবে কাঁদছে ।

– আমায় ক্ষমা করে দিস বাবা

– এসব কি বলছো আব্বু । এমন কথা বলো না।

– নীলাদ্রি অধরা কে নিয়ে এদিকে আয়। এটা আমাদের পরিবারের আলো। যার দিকে তাকিয়ে এই তিনটি প্রান বেচে আছে ।

অধরা কপ কোলে নিলাম ।

– দাদু তুমি বলো না বাবা কই? এ হলো তোমার বাবা। নীলাদ্রি এদিকে আয় মা।

নীলাদ্রি কাছে আসতেই অধরাকে নামিয়ে দিয়ে একটা থাপ্পড় দিলাম ।

নীলাদ্রি কিছু না বলে কাঁদতে কাঁদতে রুমে চলে গেল ।
।।।
.
.
.
.
.
.
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here