“কলেজের বড় আপু ৪র্থ পর্ব

কলেজের বড় আপু
Sumon Al-Farabi
৪র্থ পর্ব
⬇⬇

এরপর থেকে চলতে শুরু হলো নতুন করে বন্ধুত্ব। নীলাদ্রি এখন আমার সাথে অনেক কিছু শেয়ার করে । মনে হয় ও ওর আগের কথা ভুলে গেছে । আমি তো ওটাই চাই ।
এর মাঝেই নীলাদ্রির এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল । এখন আর ওর সাথে তেমন ভাবে কথা হয় না । খুব মিস করি এখন ওকে । কিন্তু কিভাবে কি করবো ওর তো আশেপাশেও যাওয়া যাবে না ।
দিনগুলো কেমন জানি মৃত গাছের মতো শুষ্ক কাটছে । একদিন কলেজ থেকে বাসায় আসার সময় দেখলাম বাসার সামনে একটা গাড়ি পার্ক করা । কে আসতে পারে ? কে হয় হোক তাতে আমার কি? বাসার ভিতরে আসলাম ।
একি নীলাদ্রি এখানে ? কিভাবে সম্ভব ? আমার নামে কি বিচার দিলো না কি?
তা কি করে হয়? আমরা তো এখন ভালো বন্ধু । আবার হতেও পারে সাথে ওর বাবা আছে । টেনশনে মাথা কিছু কাজ করছে না ।
– নীলাদ্রি কেমন আছো?
– হুম ভালো। তুমি ?
– আমিও ।
– আমার আব্বু
– ওহ। আসসালামু আলাইকুম ।
আর কথা না বলে রুমে আসলাম । এসে চেঞ্জ করে বাইরে এসে দেখি ওরা চলে গেছে
– আম্মু ওরা কেন আসছিলো ?
– বিয়ের কথা বলতে
– কার বিয়ে ?
– তোর আর ঐ মেয়েটার
– কি বলো এসব ? আমার কি বিয়ের বয়স হইছে ?
– তোর আব্বুকে বল।
– তুমি বলো।
– তাহলে বিয়ের জন্য রেডি হয়ে নে।
কিছু মাথায় ঢুকছে না । শালা আজ নিজেকে পৃথিবীর সব থেকে বড় মাথা মোটা মনে হচ্ছে ।।।
রাতে একটা আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসলো
– হ্যালো
– কে?
– আমি
– আমি কে?
– তোমার হবু বউ
– ওহহ নীলাদ্রি । আচ্ছা এটা তুমি কেন করলে বলতো ???
– কি কেন করলাম ?
– এমনটা করার কোনো মানেই হয় না ।
– কি করবো বলো তোমায় যে ভালোবেসে ফেলেছি
– তো আমি কি করবো ? তোমার বোঝা উচিত তুমি সিনিয়র
– তো আমার কি ভালোবাসা অপরাধ
– কি করে যে বোঝাই ? তোমার না হয় বিয়ের বয়স হইছে তবে আমার কি বয়স হইছে ?
– আমার যখন হইছে তখন তোমার ও হইছে ।
– তোমাকে বোঝানো আমার পক্ষে সম্ভব নয় ।
– তোমাকে কেউ বোঝাতে বলছে ?
– ওকে বাই।
ফোন কাটলাম । কিছুতেই ভেবে পাচ্ছি না এই মেয়ে কবে থেকে আবার আমায় ভালোবাসতে শুরু করলো???
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে আসলো। কিন্তু কিছুতেই আব্বু কে বোঝাতে পারলাম না যে সামনে আমার পরীক্ষা আর নীলাদ্রি আমার সিনিয়র ।
অবশেষে বিয়ে করে ফেললাম । বাসর ঘরে
– তুই এখানে কি করিস?
– মানে ?
– তুই এই ঘরে কেন ?
– তাহলে কোথায় থাকবো। আর তুমি আমায় তুই করে বলছো কেন ।
– ঠাসসসসস। ছোট হয়ে আবার আমায় তুমি বলিস।
– মানে ?
– বলেছিলাম না তোর জীবন টা হেল করে দিবো । আর তার জন্য আমায় এসব নাটক করতে হয়েছে ।
– শুধু মাত্র প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তুমি এটা করলে?
– হুম । এখন তোর জীবন থেকে সুখ শব্দ হারিয়ে যাবে ।
– তুমি নিচ জানতাম তবে এতোটা নিচ জানা ছিলো না ।
– তোর সাথে বকবক করার সময় নাই ।
– তাই তো
– এই কি করছিস?
– ঘুমাচ্ছি
– এখানে
– নয়তো কোথায় ?
– আমি কি জানি?
– মানে
– তোর মতো একটা ছোট লোকের সাথে বেড শেয়ার করবো আমি ? কখনো নয়।
– অহংকার কিন্তু পতনের মূল ।
– তোর বকবক শোনার সময় নাই । তুই এখানে শুবি না।

আমি নিচে শুয়ে পরলাম । ভাবতে লাগলাম মানুষ এমন হতে পারে?
পরের দিন সকাল বেলা আম্মুর কাছে গিয়ে সব বললাম ।
আম্মু বললো বড় লোকের মেয়ের তো একটু আধটু অহংকার থাকেই। ভালোবাসা পেলে সব ঠিক হয়ে যাবে । তুই কিছু মনে করিস না ।
কিছু করার নাই । এখন আম্মুর কথা মতো চলতে হবে ।।।।
মেয়েটা কি অদ্ভুত ? আম্মু আব্বুর সাথে আবার খুব সুন্দর সম্পর্ক । আমার সাথে শুধু খারাপ ব্যাবহার করে.
.
.
.
.
.
.
to be continue

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here