“কলেজের বড় আপু ৫ম পর্ব

কলেজের বড় আপু
.
Sumon Al-Farabi
.
৫ম পর্ব
.
যাই হোক আব্বু আম্মুর সাথে তো ভালো ব্যবহার করে এতেই অনেক ।
সামনে পরীক্ষা তাই তাড়াতাড়ি করে একটু পড়তে বসলাম । ঠিক তখনি নীলাদ্রি আসলো
– কি রে কি করিস?
– কে?
– আমি
– ওহহ। তুমি ।
– তুই আবার আমায় তুমি বলছিস ?
– কেন ? আমি কি তুমি করে বলার অধিকার রাখি না ?
– তোর মতো ফকির আমায় তুমি করে বলার অধিকার রাখে না …
– তাহলে এই ফকির কে বিয়ে করলে কেন ?
– বিয়ে ? কিসের বিয়ে ?
– মানে ?
– হিহিহি।।।
– হাসির কি আছে ?
– তুই কিভাবে ভাবলি এটা সত্যি বিয়ে ?
– বিয়ে কখনো মিথ্যে হয় না ।।
– হয়। এই বিয়েটা মিথ্যে।
– তুমি কিছুই জানো না । তোমার সাথে আমার বিয়ে হইছে এখন এটাই আমাদের সংসার ।
– কিসের সংসার ? তোর জীবন টাকে হেল করে দেখ কিভাবে তোকে নর্দমায় ফেলে চলে যাই ।
– তুমি প্রমান করলে বড় লোকের মন বলতে কিছু থাকে না ।
– আর একবার যদি তুই আমায় তুমি বলিস তবে তোকে কি যে করবো আমি নিজেও জানি না ।
– আচ্ছা । আপনি যে অহংকার নিয়ে আছেন এই অহংকার কিন্তু বেশি দিন থাকবে না । কারণ এটা দীর্ঘদিন ধরে বিচরণ করে না । এটার পতন নিশ্চিত ।
– তোরে এতো জ্ঞান দিতে হবে না ।
আমি কিছু বললাম না । আবার পড়ায় মনোযোগ দিলাম ।
– এতো পড়ে কি করবি? সেই তো ফেলই করবি? আমার মতো রেজাল্ট জীবনেও করতে পারবি না।
– হয়তো আপনার মতো রেজাল্ট করতে পারবো না তবে ফেল ও করবো না ইনশাআল্লাহ ।
– হইছে । এতো না পড়ে বাসার কাজ শেখ । আব্বু কে বলে বাবার কাজের লোক হিসেবে একটা চাকরি দিবো।
– ধন্যবাদ । আশা করি এটার দরকার হবে না ।
– ফকির কখনো শালা ভালো বোঝে না ।
– আমি আপনাকে আপনি করে বলছি কারণ এটা নয় যে আপনাকে ভয় পাচ্ছি । এটা করছি কারণ আমার আব্বু আম্মু এটা আমায় শিক্ষা দিছে । সবাইকে সম্মান করতে শিখিয়েছেন। কিন্তু আপনি সেটা শিখেন নি। না এতে আমি আপনাকে কোনো দোষ দিবো না । হয়তো এটা আংকেল এর ব্যার্থতা।
– ঠাসসস। তোর সাহস হয় কি করে তুই আমার আব্বু কে ইনসালট করিস।
– সরি।।।
ছোটলোক কোথাকার ।
– একদিন এই অহংকার টা আপনার মাটিতে মিশে যাবে মিলিয়ে নিয়েন ।।।
– তোরে …..
( এর মাঝে আম্মু আসলো)
– কি ব্যাপার কি নিয়ে কথা বলছো?
– কিছু না আম্মু ।
– ওহহ। নীলাদ্রি তোমার আব্বু আসছে ।
– আপনি যান আম্মু আমি আসছি । এই তুমিও আসো।
– হুম ।
মেয়ে জাতিটাই কি এমন বহুরূপী ? কখন কোন রুপ ধারন করে তা বোঝা বড় কঠিন । হয়তো এটা তারা নিজেরাও ঠিক করে জানে না ।
কিছুক্ষণ পরে নীলাদ্রি র আব্বুর মানে শ্বশুর এর সামনে গেলাম । গিয়ে সালাম দিলাম ।
– বসো বাবা।
– হুম ।
– কেমন আছো বাবা
– হ্যা ভালো। আপনি ?
– ভালো আছি।
– তুই কেমন আছিস মা?
– আগে জামাই তারপর মেয়ে
– পাগলী মেয়ে ।
– বেয়াই আমি ওদের নিয়ে যেতে চাচ্ছি ?
– আচ্ছা ঠিক আছে ।
– কিন্তু আমার তো সামনে পরীক্ষা । আপনি বরং ওনাকে নিয়ে যান।
– নিজের বউকে কেউ আপনি বলে বাবা
– আসলে….
– আসলে হইছে কি জানো আব্বু ওকে আমি এতো করে বলছি তুমি বলতে কিন্তু ও বলছে না ।
– কেন?
– ও বলে এতো দিন আপনি করে বলছি অভ্যাস হয়ে গেছে তাই একটু সময় লাগবে অভ্যাসটা বদলাতে।
– ওহহ আচ্ছা । তো তোমরা গিয়ে রেডি হও।
– আচ্ছা আব্বু …. কি হলো বসে আছো যে? চলো
– আমি না যাই আপনি যান । আমার পরীক্ষা আছে।
– তো কি হইছে ? চলো ওখানে আমার বই গুলো তো আছেই আর যদি কোনো কিছু বুঝতে না পারো তবে আমি সল্ভ করে দিবো
– সেটাই তো বউ মা তো তোকে সাহায্য করতে পারবে । যা রেডি হয়ে নে।
আম্মুর কথা কখনোই অমান্য করতে পারি না । যদিও জানি গিয়ে আমায় অপমান করার রাস্তা টা সুগম করে দিচ্ছি । তবুও যেতে হবে ।।।
আম্মু আমার ব্যাগ গুছিয়ে দিচ্ছে ।
– আম্মু ঐ দুই টা বই দাও ।
– না আম্মু । এই তুমি বই কি করবে ?
– পড়তে হবে না ?
– আমার বইগুলো তো আছে তাই নয় কি?
– হ্যা। তাই তো। তোরা আয় আমি নিচে গেলাম ।
– আচ্ছা আম্মু ।
আম্মু চলে যাবার পর নীলাদ্রি আমায় ধীরে ধীরে বললো
– কি ভাবছিস? শ্বশুর বাড়ি গিয়ে জামাই আদর খাবি? তোরে আমি ভালো করে জামাই ষষ্ঠী করাবো।
– আমি কখনো সেটা আশাও করি না ।
– সেটাই বেটার।।। এখন চল।।
এরপর বাইরে এসে গাড়ি তে উঠলাম । গাড়িতে উঠার একটু পরে
– জীবনেও তো এমন গাড়িতে চড়তে পারবি না । আমার বাবার গাড়ির ড্রাইভার হোস।
– তা না হয় হোলাম। কিন্তু আমাদের বাইকে করে ঘুরতে কিন্তু আরো বেশি মজা ।
– তোর কি লজ্জা বলতে কিছু নেই ?
– কেন ?
– যতোই অপমান করি না কেন সবসময় হাসি মুখে কথা বলিস।
– কেন কোনো সমস্যা ?
– তোর হাসি আমার সহ্য হয় না ।
– আপনি হয়তো জানেন না হাসি মুখে কথা বলাও এক ধরনের ইবাদত ।
– তোরে জ্ঞান দিতে না করছি না । আগে বাসায় গিয়ে নেই তারপর দেখ কি করি ।
– কি আর করবেন অপমান ছাড়া ।
– তোর মুখ থেকে এই মুচকি হাসি দূর করবো । হেসে হেসে কথা বলা ভুলিয়ে দিবো।
– চেষ্টা করেন ।
একটু পরে বাসায় গিয়ে পৌছালাম । বাসা থেকে দুই তিন টা মেয়ে দৌড়ে আসলো। দেখে তো আমার সম বয়সী মনে হচ্ছে ।
– ভাইয়া কেমন আছেন ?
– বাহ। বোন কে বাদ দিয়ে ভাই আগে ।
– তোর সাথে পরে কথা বলবো ।
– থাক তোরা তোদের ভাই কে নিয়ে।
– আপনি তো দেখতে হ্যান্ডস্যাম। তবুও কেন এই বুড়ি সিনিয়র মেয়েকে বিয়ে করলেন ? আমরা কি ছিলাম না ?
– ঐ কে বললো রে এই কথা
– কি?
– আমি বুড়ি হইছি এটা কে বললো
– নিজের চেহারাটা একবার আয়নায় দেখ যা।
– তোরে সুযোগ মতো পাই আগে ।
– পরে দেখা যাবে। ভাইয়া আসেন আপনি ।
– চলেন।
– আপনি আমাদের আপনি করে বলছেন কেন ?
– তো কি বলবো ?
– তুমি করে বলবেন ?
-বলতে পারি তবে তোমাকেও তুমি করে বলতে হবে ।
– আচ্ছা । চলো।
– হুম চলো।।।।….
…………..
………….
……….
…….
…..
….

..
.
to be continue

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here