“কলেজের বড় আপু ৯ম পর্ব

কলেজের বড় আপু
.
Sumon Al-Farabi
.
৯ম পর্ব
.
রাতে আমি নুসরাত কে ফোন দিলাম । যদিও ইচ্ছে ছিলো না তবুও দিলাম ।
– হ্যালো
– হুম সুমন বলো
– কেমন আছো?
– ভালোই। তুমি
– হুম । কি করো?
– কিছু না । তুমি
– তারা গুনি
– তাই বুঝি ।
– হুম ।
– তারা আবার গুনা যায় বুঝি
– কেন গুনা যায় না ।
– কিভাবে গুনা যায় বলো আমায়
– কেন ?
– আমিও গুনবো
– অনেক কঠিন । তুমি পারবে না ।
– শিখিয়ে দিলে ঠিকই পারবো
– ওহহ আচ্ছা
– হুম । এখন বলো
– চোখ বন্ধ করো
– চোখ বন্ধ করে গুনবো কিভাবে ?
– এই চোখ দিয়ে তো আর তারা গুনতে পারবে না । তো খোলা রেখে কি লাভ ।
– তাহলে
– মনের চোখ দিয়ে গুনতে হয় ।
– কিভাবে
– চোখ বন্ধ করে মনের মাঝে সম্পূর্ণ আকাশ টা কল্পনা করো।
– তারপর
– দেখবে তারা গুলো নিজে থেকেই একা একা ওয়ান বাই ওয়ান তোমার সামনে এসে present হবে ।
– তাই বুঝি ?
– হুম ।
– আচ্ছা তুমি এতো সুন্দর করে কথা বলো কিভাবে ?
– আমি তো জাদু জানি তাই ।
– আমায় শিখাবে?
– কেন ?
– আমিও বলতে চাই তোমার মতো করে
– তোমাকে শিখিয়ে আমার লাভ কি?
– মানে ?
– আমি কি পাবো ?
– কি চাওওওওওওও
– আরে আপনি আমার ফোন নিলেন কেন ?
– ( ফোন টা কেটে দিলো )
– ফোন কাটলেন কেন?
– কার সাথে এতো রসের কথা বলিস?
– আমার ইচ্ছে আমি আপনাকে বলতে যাবো কেন
– তো তুই কাকে বলবি
– দেখুন আমি আপনার বডিগার্ড । আপনার কাজে কোনো লোকসান হলে বকতে পারেন । কিন্তু জবাব দিহিতা করতে বাধ্য নই আমি
– মানে ?
– শুধু আব্বু বলছে বলে আপনাকে নিয়ে যাই আর আপনি আমায় বডিগার্ড বানাই দিলেন ?
– তো কি? তোর মতো ছোট লোক কে কি বলে পরিচয় দিবো
– কেন ? আমি আপনার স্বামী । সো আপনি সেটাই বলবেন ।
– স্বামী ? স্বামী মানে বুঝিস?
– কি
– তোকে বলে কি লাভ । এই নে তোর ফোন ।
ফোন দিয়ে চলে গেল । বুঝলাম না স্বামী মানে আবার কি?
পরের দিন সকাল বেলা নীলাদ্রি কে নিয়ে রাখতে গেলাম ।
– এই শোন
– হুম বলেন
-তুই বাসায় চলে যা।
– ওকে ।
– আর শোন
– হুম বলেন
– আজ আনার বাসায় ফিরতে লেট হবে
– কেন
– তোকে বলতে যাবো কেন? তুই আমার কে?
– তাই তো। ওকে ।
এরপর আমি পাশের একটি পার্কে একটু ঘুরতে যাই । তার ঠিক কিছুক্ষণ পরে নুসু আমায় ফোন করে।
– হ্যালো
– হুম বলো
– কই তুমি
– এই তো পার্কে
– নীলাদ্রি কই?
– উনি তো কলেজে
– তাই । তুমি কি এখন ফ্রি?
– হুম । কেন ?
– তাহলে কাল যে বললাম শপিং এ যাবো
– তো এখন যাবে
– একটা ক্লাস আছে শেষ করে যাবো
– ওকে ।
আমি একটু ঘুরলাম । এক দেড় ঘন্টা পর নুসরাত ফোন করলো
– হ্যা সুমন তুমি কই
– পাশেই
– তো আসো
– ওকে
একটু পরে আমি ভার্সিটির সামনে গেলাম ।
– আসছো?
– হুম ।
– তো চলো এখন
– কোথায়
– শপিং করতে
– ওহ। ওকে ।
– হুম ।
– আচ্ছা নীলাদ্রি ম্যাডাম কই
– কই যেন গেছে
– ওহহ। আচ্ছা চলো
– হুম ।
পাশের একটি শপিং মলে গেলাম । গিয়ে শপিং করা শুরু করলাম
– সুমন আজ আমি তোমার পছন্দ মতো কিছু কিনবো
– কেন
– আমার ইচ্ছে হচ্ছে তাই
– ওকে।
– এই তুই এখানে কেন?
– আপনি ?
– হ্য আমি । তুই এখানে কেন?
– আমি নিয়ে আসছি
– মনে ? নুসরাত তুই ওকে নিয়ে আসছিস কেন?
– ও যেমন তোর বডিগার্ড তেমনি আমার ও বন্ধু ।
– বন্ধু মানে
– ও তুই বুঝবি না। সুমন চলো
– এই তুই কই যাস? আমি বাসায় যাবো
– একটু অপেক্ষা করেন আমি নুসরাত কে নামিয়ে দিয়ে আসছি
– আমার থেকে নুসরাত তোর কাছে বেশি ইমপরটেন্ট হলো
– হুম । কারণ ও সম্পর্ক কে শ্রদ্ধা করতে জানে । ছোটলোক বলে কাউকে অপমান করে না
– তাই । ওকে তোকে পরে দেখছি নুসরাত তুই আমাদের সাথে আয়
– তোরা যা আমি সুমনের সাথে আসছি ।
– তুই এই ছোটলোক এর সাথে যাবি
– নীলাদ্রি ভালো করে কথা বল। ও অনেক ভালো একটা ছেলে ।
– তোর তো দরদ উতলে উঠছে
– হুম ।
– তো তুই বিয়ে করে নে
– সুমন যদি করে তবে আমার তো কোনো আপত্তি নাই ।
– বাহ। তুই তো পুরাই দিওয়ানা হয়ে গেছিস।
– হয়তো ।
– সুমন তুই আয়
-তুই যা না। ও আমার সাথে যাবে ।
– তুই থাক । আমি গেলাম ।
– আচ্ছা আপনি যান ।
– বাসায় তো আসতেই হবে তখন দেখবো তোর নুসরাত কই থাকে
– কেন রে তুই কি করবি
– সেটা তোর সুমন ভালো বুঝতে পারবে ।
আর কথা না বলে নীলাদ্রি চলে গেল। আমিও নুসরাত কে বাসায় নামিয়ে বাসায় আসলাম
এ কি বাসা তো পুরাই চুপচাপ । কেউ আছে নাকি নাই ?
– আম্মু আম্মু
আম্মুর ও তো কোনো সারা শব্দ নেই । উপর থেকে দেখি নীলাদ্রি আসছে ।
– ওরা কেউ বাসায় নেই
– কই গেছে
– তোরে বলবো কেন ?
– ওহহ আচ্ছা ।
– তুই শুধু দারা আমি তো আছি না? আজ তোর একদিন কি আমার একদিন
– তাই । ওকে আসেন দেখি কি করতে পারেন
তাড়াতাড়ি করে নামনে গিয়ে পা স্লিপ করে পড়ে যায় নীলাদ্রি ।
আমি প্রথমে ভাবলাম হয়তো প্রতিশোধ নেয়ার জন্য অভিনয় করছে
কিন্তু না। এতো সত্যি সত্যি ।
তাড়াতাড়ি করে নীলাদ্রি কে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম । ওর মাথা কেটে গেছে । অজ্ঞান হয়ে গেছে ।

আমি আম্মু কে ফোন দিলাম
– আম্মু
– হ্যা বল
– কই তোমরা
– কেন ?
– তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসো
– কেন ? কার কি হইছে
– নীলাদ্রি সিড়ি থেকে পড়ে গেছে ।
– কি বলিস? কি ভাবে
– তুমি তাড়াতাড়ি আসো।
– তুই থাক আমি এখনি আসছি
– তাড়াতাড়ি আম্মু
ফোনটা কেটে দিলাম । নিজেকে অনেক বড় অপরাধী মনে হচ্ছে ……..
…………….
……………
…………..
………….
…………
………..
……….
………
……..
…….
……
…..
….

..
.
to be continue

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here