কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : 21+22
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
বলো বাবা আলহামদুলিল্লাহ কবুল
– কবুল। ( রেজন)
বলো কবুল
-কবুল
– বলো কবুল
– কবুল
– কবুল কবুল কবুল। ( রেজন)
– তাইলে আবার নতুন করে স্বামী স্ত্রী। ( রেজন)
– হুমম রে কলিজা।
– চলো বের হই?
– হুমম চলো।
– আজকে কিন্তু রিক্সায় যাব? (ডানা)
– গাড়িতো আছেই তাইলে রিক্সা কেন?
– রিক্সায় করে গেলে প্রেমে রোমান্টিকতা বাড়ে।
– তাই জান।
– হুমম রে কলিজা।
।।
রিক্সায় উঠে গেলাম। দুজন পাশাপাশি সিটে বসে আছি। ডানা আমাদের মাঝে বিন্দুমাত্র জায়গা রাখেনি?
একজনের গাঁয়ের সাথে অন্যজনের গাঁ লেগে রয়েছে। এক অন্যরকম অনুভূতি বিরাজ করছে দুজনের মধ্যে।
– বাবু আমরা কোথায় যাচ্ছি এখন?
– আজকে সারাদিন তোমার জন্যে। তুমি যেখানে যেতে চাও সেখানেই যাব।
– বাবু রে আমার না ফুচকা খেতে খুব মন চাচ্ছে।
– না ফুচকা খাওয়া যাবে না।
( রেজন ফুচকা পছন্দ করে না)
– তাইলে আইসক্রিম খাবো ( আহ্লাদীর কন্ঠে)
– তোমার এমনিতেই ঠান্ডা আবার আইসক্রিম খেলে ঠান্ডা বেশি লেগে যাবে।
– নাহ না নাহ না আমায় নয়তো ফুচকা নয়তো আইসক্রিম খেতে দিতেই হবে। ( ন্যাকামি কন্ঠে)
– তাইলে ফুচকাই বেটার।
– ওকে বাবু।
।।
তারপর রিক্সাওয়ালা মামাকে লেকের পাশে যেতে বললাম।
দুজন পাশাপাশি বসে আছি বেঞ্চে। ফুচকাওয়ালা মামাকে বললাম ফুচকা দিতে।
দুজন পাশাপাশি বসে সকালের পরিবেশটা উপভোগ করছি। হালকা বাতাস হচ্ছে। বাতাসে ডানার চুল বার বার মুখে এসে পড়ছে আর ডানা বার বার চুল সরিয়ে নিচ্ছে। আমি আনমনে তাকিয়ে আছি ডানার দিকে। আমার কেন জানি খুব ভাল লাগছে ডানার চুল মাখা মুখ। আমি ডানার প্রতি খুব বিরক্ত হচ্ছি এটা ভেবে যে চুল সরিয়ে নিতে হবে কেন? এক অজানা ফিলিংস কাজ করছে। খুব ইচ্ছা হচ্ছে ডানার এই চুলগুলো নিজের মতো করে লুকিয়ে রাখি ডানার কানের পাশে।
হঠাৎই ভাবনার জগৎ থেকে বের হতে হলো ফুচকাওয়ালা মামার কথায়।
– এই যে মামা ফুচকা।
– মামা দুইটা প্লেটে ফুচকা দিয়েছেন কেন?
– তাইলে?
– এক প্লেটে ফুচকা দেন। আমাদের জন্যে একটা প্লেট ই যথেষ্ট।
– আপনি দুই প্লেটের ফুচকা এক প্লেটে করে দেন।
– ওকে মামা।
।।
কতক্ষণ পড়ে ফুচকাওয়ালা মামা আমার হাতে একটা প্লেট ধরিয়ে দিল।
– ধন্যবাদ মামা।
ফুচকার প্লেট টা ডানার হাতে ধরিয়ে দিয়ে
– এই নাও তোমার ফুচকা।
– তুমি খাবে না।
– না খাব না।
– হা করো
– খাব না।
– আমি খাওয়ে দিলে খাবে না?
– হুমম দাও।
– বড় করে হা করো।
– হা।
– জান আমি যদি হারিয়ে যায় তাইলে আমার জানকে কে আগলে রাখবে?
– কেন জান্নাত আছে তো। ( মৃদু হেসে বললাম)
– আমি তোক যে কি করব। ( বলেই কয়েকটা কিল ঘুসি বসিয়ে দিল)
– আরে জান মজা করছিলাম তো।
– তোর মজা আমি বের করছি দাঁড়া।
– তোর সাথে আর কথা বলব না যা।
– এমন শাস্তি দিবা না প্লিজ ।আমার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শাস্তি এটা। তুমি কথা না বললে আমি মারা যাব।
– তোর এই শাস্তিই পাপ্প।
– স্যরি রে জান।
– স্যরিতে কাজ হবে না।
– তাইলে কি করতে হবে?
– জড়িয়ে ধরতে হবে।
– পারব না।
– কেন? তাইলে আর তোর সাথে কথা বলব না।
– আরে বাবা একটা পাবলিক প্লেস।
– তো কি হয়েছে? জড়িয়ে না ধরলে কথা বলা বন্ধ।
– জান বুঝতে চেষ্টা করো।
– তুমি কি জড়িয়ে ধরবে নাকি…………
– ওকে বাবা ধরছি। ( কথা শেষ করতে না দিয়েই)
।।
ডানাকে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলাম। খুব ভাল অনূভূতি জাগ্রত হচ্ছে। মনে হচ্ছে যদি এই পাগলীকে এভাবেই জড়িয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে পারতাম।
– আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো ( কানের সাথে মুখ লাগিয়ে বিড়বিড় করে)
– কখনও না।
– যদি কোন কারনে ছেড়ে যাও।
– কোন দিন ও না।
– একমাত্র যদি মৃত্যুর পথযাত্রী না হয় তাহলে কেউ তোমাকে আমার থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। আর তোকে ছেড়ে যাওয়া মানে নিজেকে নিজেই মেরে ফেলা। আর আমি কখনও তোমাকে কারও হতে দিব না।
– আই লাভ ইউ জান।
– লাভ ইউ টু জান।
।।
কতক্ষণ পড়ে মনে পড়ল আমরা পাবলিক প্লেসে দুজন দুজনকে জড়িয়ে আছি।
– এই সবাই তো বিনা পয়সায় সিনেমা দেখে নিল সেদিকে খেয়াল আছে।
কথাটা বলা মাত্র যে যার মতো নিজের অবস্থান নিয়ে নিলাম।
ডানাকে ছাড়িয়ে তাকিয়ে দেখি চারপাশে লোকের ভীড় লেগে গেছে। খুব লজ্জিত হলাম দুজন। আমাদের সবাই বেস্ট অফ লাক জানিয়ে যে যার মতো উদ্দেশ্যে স্থলের দিয়ে অগ্রসর হতে লাগল।
।। অনেকটা জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে করতে লাঞ্চের সময় হয়ে আসল।
– এই জান ক্ষুধা লাগছে? ( ডানা)
– আমারও।
– কি করব এখন? বাসায় যাবে না ?
– লাঞ্চ করব তারপর কিছু কেনাকাটা করে তারপর বাসায় যাবো।
– ওকে তাইলে চলো লাঞ্চ ছেড়ে ফেলি।
– হুমম চলো।
।।
তারপর রেজন আর ডানা একটা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করার জন্যে পা বাড়ালো।
দুজন এক টেবিলে বসে লাঞ্চ করছে। খুব ক্ষুধার্ত যার জন্যে কোন দিকে নজর নেই দুজনের। দুজন ই ব্যস্ত লাঞ্চ নিয়ে।
হঠাৎই পেছন থেকে একটা মেয়ের কর্কশ ভাষা শুনতে পাই রেজন।
– বাহ্ বাহ্ রেজন বাহ্।
।
চলবে
কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : 22
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
তারপর রেজন আর ডানা একটা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করার জন্যে পা বাড়ালো।
দুজন এক টেবিলে বসে লাঞ্চ করছে। খুব ক্ষুধার্ত যার জন্যে কোন দিকে নজর নেই দুজনের। দুজন ই ব্যস্ত লাঞ্চ নিয়ে।
হঠাৎই পেছন থেকে একটা মেয়ের কর্কশ ভাষা শুনতে পাই রেজন।
– বাহ্ বাহ্ রেজন বাহ্।
দু’জনই কথাটা শুনে দাঁড়িয়ে গেল।
– জান্নাত তুমি এখানে ?
– হুমম আমি এখনো।
– আসলে জান্নাত মেডিসিন নিয়েছি যার জন্যে শরীরটা একটু হালকা লাগল তাই আম্মু বলল বাইরে থেকে ঘুরে আসতে।
– তুমি মেডিসিন নিয়ে সুস্থ হয়ে গিয়েছো ভাল কথা। বাইরে ঘুরতে আসবে সেটাও ভাল কথা, তাই বলে কাজের মেয়েকে সাথে নিয়ে আসবে? ( উচ্চ স্বরে)
– আমি তোমাকে বলেছিলাম তুমি সুস্থ হলে বিকেলে দুজন লং ড্রাইভে যাবো। আর তুমি আমাকে না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছো তাও আবার কাজের মেয়ের সাথে। ( স্বর বাড়িয়ে)
– তোমাকে না বলে বাইরে এসেছি তাই তোমার কি? তোমার সাথে কি আমার কথা ছিল তোমাকে জানিয়ে বের হবো? আর যার সাথে বাইরে আসি না কেন তাতে তোমার কি?
– তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছো আমি তোমার হবু স্ত্রী। আমার অধিকার আছে তোমার প্রতি অধিকার খাটানোর। কাজের মেয়ে নিয়ে ঘুরবে আর আমি সেটা মেনে নিবো।
– এটা পাবলিক প্লেস। এভাবে নিজের সম্মান নিজেই ডুবিয়ে দিচ্ছো কেন উঁচু গলায় কথা বলে ?
– এই জান্নাত শোন তোর সাথে আমার কিছু কথা বলার আছে।
– কিহহহহহহহ। তোর মতো ছোট লোকের বাচ্চা আমার নাম ধরে ডাকছিস, আবার সাথে তুই তুকারী করছিস।
– এই প্লিজ থামো কি শুরু করলে তোমরা। মনে হচ্ছে যেন আমরা সিনেমার শুটিং করছি আর সবাই এখানে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। দেখ সবাই কেমন হা করে তাকিয়ে আছে?
– আমরা বাইরে কোথাও গিয়ে কথা বলি।
– হুমম চলো। ( জান্নাত)
।।
তারপর জান্নাতের সাথে যারা ছিল তাদের জান্নাত বিদায় করে দিলো।
– কোথায় যাবো এখন আমরা?
– ………….. নদীর ধারে। ( নদীর নাম বলব না যদি আপনারা এসে আমাদের কথা শুনে নেন।)
– ওকে গাড়িতে উঠো।
– না আমরা রিক্সা করে চলে যেতে পারব।
– গাড়িতে উঠলে সমস্যা কি?
– আমরা অহংকারী মানুষের গাড়িতে উঠি না।
– কি আমি অহংকারী?
– হুমম অহংকারী।
– তুমি চলে যাও। আমরা রিক্সা করে আসতেছি।
– ওকে। তোমরা রিক্সা নিয়ে যেতে থাকো আমি তোমাদের পিছু পিছু যাচ্ছি।
– ওকে।
।।
তারপর আমরা একটা রিক্সায় উঠে গেলাম। আমি আর ডানা কেউ কোন কথা বলছি না। আমি এতো সময় ডানার দিকে ভাল ভাবে লক্ষ্য করি নাই । হঠাৎই তাকিয়ে দেখি আজকে ডানার মুখ দেখার মতো হয়েছে। ডানা রেগে যেন গুলগুলা হয়ে গেছে। চোখ মুখ লাল বর্ন ধারণ করেছে। চোখ মুখ দিয়ে যেন মনে হচ্ছে আগুন ছিটকে বের হবে। রাগলেও যে একটা মেয়েকে এতো টা সুন্দর তাঁর প্রমাণ ডানা।
– ওই জান কি হয়েছে? ( ডানার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম)
– কিছু না ( ঝাড়ি দিয়ে)
– কি হয়েছে বলো না সোনা ?
– ওই শাকচুন্নি শয়তানি জান্নাত আমায় ছোট লোক,কাজের মেয়ে বলে অপমান করলো আর তুই কিছুই বললি না।
– আচ্ছা বাবা এখন যদি কুকুর আমায় কামড় দেয় তাইলে কি আমি উল্টো কুকুরকে কামড়ে দিবো বলো । (হাবি জাবি পাগল বুঝ দিচ্ছি)
– হুমম এটাও ঠিক।
– জান্নাত আমাদের পিছনে তাই না? ( ডানা)
– হুমম
– তাইলে আরও ক্লোজ বসি দুজন। যাতে জান্নাত দেখে আর পুড়ে।
– ওকে।
– দুজন এতো টাই ক্লোজ হয়ে গিয়েছি যে আমাদের মাঝে বিন্দুমাত্র জায়গা নেই।
– জান মাথা রাখি তোমার কাঁধের উপর।
– হুমম রাখো।
ডানা খুব যত্ন করে মাথা রাখল রেজনের কাঁধে।
।।
অন্যদিকে ডানা আর রেজন কে এভাবে দেখে জান্নাতের মাথায় কাজ করছে না কি করবে। ইচ্ছা হচ্ছে পিছন থেকে মেরে রিক্সা উল্টিয়ে দিতে। কিন্তু রেজনের কিছু হবে জন্যে জান্নাত এমন কিছু করতে পারছে না।
কতক্ষণ পড়ে তাঁরা তাদের নিদিষ্ট স্থানে পৌঁছে যায়।
।।
আজকে যেন নদীর কোলাহলের শেষ নেই। বাতাসে ভেসে যাচ্ছে নদীর অসংখ্য, অগণিত ঢেউ। নদীর ঢেউ যেন ভয়ংকর ভূমিকা পালন করছে মানুষকে আতংকে রাখতে । কয়েকটা ভয়ংকর ঢেউ এসে যেন নদীর পাড় গুলো ধসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
হটাৎই কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের কথা মনে পড়ে গেল। তিনি নদীর পানি ও নদীর ঢেউয়ের সাথে মানুষের সুখ দুঃখের তুলনা করেছেন। নদীর ধারে আসলে মন খারাপ থাকলে কিছুটা হলেও মন ভাল হবার কথা। যার যতই দুঃখ কষ্ট থাকুক না কেন সামান্য সময়ের জন্যে হলেও ভুলে থাকা যায় দুঃখ কষ্ট । আমার যখনই মন খারাপ থাকে চলে যায় নদীর পাড়ে। আপনাদেরও মন খারাপ থাকলে নদীর ধারে যাবেন হয়তো মন ভাল হয়ে যাবে।
চলুন গল্পে ফিরে যায়।
।।
তিন জন পাশাপাশি বসে আছে নদীর পাড়ে গাছের ছায়ায়। ডান পাশের দিকে ডানা আর বাম পাশের দিকে জান্নাত। আর আপনারা তো বুঝতেই পারছেন আমি আছি দুজনের চিপায় ।
– জান্নাত তোমার সমস্যা কি বলো তো। ( নরম কন্ঠে)
– আমি তোমাকে ভালবাসি?
– ভালবাসি প্লাস আমি তোমার হবু বউ।
– তো কি হয়েছে ? আর আমি এই বিয়ে কোন দিনও করব না এই কথা আমি অনেক আগেই বলেছি।
– আমি তোমার হবু বউ তুমি আমাকে রেখে একটা কাজের মেয়ের সাথে ঘুরাঘুরি করছো।
– জান্নাত ভাল হবে না কিন্তু বলে দিলাম।( ডানা)
– কি করবি তুই?
– দেখ জান্নাত আমরা গরীব হতে পারি, কাজের লোক হতে পারি কিন্তু আমরাও মানুষ আমাদেরও যথেষ্ট সম্মান আছে।
– গরীবের আবার সম্মান?
– মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলে মনুষ্যকুল।
মহান আল্লাহ তার নিজ সুরুতে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে বানিয়েছেন সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলূকাত। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এটাও উল্লেখ করেছেন যে আমি মানুষের মাঝেই বিদ্যমান রয়েছি। মহান আল্লাহ যেমন তোর মতো বড় লোকের মধ্যে বিদ্যমান তেমনি আমাদের মতো গরীব মানুষগুলোর মধ্যে ও বিদ্যমান। আর আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেটে খাওয়া মানুষকে ভালবাসেন। একটা হাদিসের এসেছে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন খেটে খাওয়া মানুষের হাত পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ হাত। আরও একটি হাদিসে আছে আমি পারলে ওই হাতকে চুম্বন করতাম।
-দেখ জান্নাত আমার মতো গরীবের ঘরের মেয়ে কখনও নিজের শরীর সবার সামনে তুলে ধরবে না।সবার সামনে নিজেকে ফাজিল বদ মেয়ে আকারে তুলে ধরবে না। তাই সময় আছে ভাল হয়ে জীবন যাপন কর। আল্লাহ রাসুলের দেখানো পথ অনুসরণ কর। আর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় কর। তাতেই মঙ্গল নিহিত। আর আমাদের কে আমাদের মতো বাঁচাতে দে।
– আমি মুগ্ধ হয়ে ডানার কথা গুলো শ্রবণ করলাম। এই মেয়েটি এতো কথা জানলো কিভাবে? আরেক তরফায় প্রেমে পড়ে গেলাম ডানার।
– আমি যে ভাবেই হোক, আমার জীবনের বিনিময়েও হলে রেজনকে ভালবাসব?
– পৃথিবীর যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমি রেজনকে পেতে চায়।
– আমাকে এতো ভালবাসো?
– হুমম খুব ভালবাসি ।
– আচ্ছা তুমি আমার জন্যে কি কি করতে পারবে ?
– আমি পৃথিবীর সকল কিছু করতে পারি তোমার জন্যে।
– আমার জন্যে মরতে পারবে?
– হুমম পারব।
– ওকে ঠিক আছে ।
।।
রেজন তারপর তাঁর হাত থেকে ডানার দেওয়া আংটি ছুঁড়ে দিল নদীতে।
– জান্নাত তুমি কি পারবে আমার জন্যে ওই আংটি টি তুলে আনতে?
– না মানে !!!!!! দেখ রেজন তুমি যদি আমার দেহ চাও সেটা দিতে পারব কিন্তু আমিই যদি মারা যায় তাইলে আমার ভালবাসার কি হবে।
– দেহ দিয়ে কোন দিন ভালবাসার প্রমাণ হয়না।
– আচ্ছা ডানা তুমি কি পারবে আমার জন্যে ওই আংটি টি তুলে আনতে।
– হুমম ১০০ বার পারব। তোমাকে ভালবেসে যদি সামান্য আংটি তুলে আনতে না পারি তাইলে আর কিসের ভালবাসা।
– এখানেই কিন্তু অনেক গভীরতা। আমি শিওর মারা যাবে এখানে নামলে?
– তোমার জন্যে শতবার মরতে প্রস্তুত ।
কথাটা বলেই ডানা নদীতে নামতে যাবে তাঁর আগেই ডানার হাত ধরে ফেললাম।
– দেখছো জান্নাত এটাই ভালবাসা। যে ভালবাসায় মৃত্যুর ভয় থাকে না।
( জান্নাতকে উদ্দেশ্যে করে কথাটা বলেই দুজন পা বাঁড়লাম বাড়ির পথে।) ( জান্নাতকে উদ্দেশ্যে করে কথাটা বলেই দুজন পা বাঁড়লাম বাড়ির পথে।)
– আর জান্নাত ওখানেই থ মেরে বসে রইল।
।
চলবে।
।