কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ পর্ব ১৯+২০

কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : 19+20
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
।।
কতক্ষণ পড়ে ডানা খাবার প্লেট নিয়ে আসল।
– এই নাও খেয়ে নাও।
– আমি নিজে হাতে খেতে পারব না।
– তাইলে ❓
– খাওয়ে দাও।
– ওকে হাঁ করো।
ডানা আমাকে খাওয়া দিতেছে আর আমি তাকিয়ে আছি ডানার চোখের দিকে।
– আমি জানি ডানা খায়নি তাই আমি প্লেট থেকে খাবার হাতে উঠিয়ে নিয়ে ডানার মুখে দিলাম ।
– দুজন দুজনকে খাওয়া দিতেছি হঠাৎ দেখলাম ডানার চোখে জল।
– কি হয়েছে জান পাখি ❓
– ছেড়ে যাবে না তো কখনও। এভাবেই ভাল বাসবে তো সারাজীবন❓
– তোকে ছেড়ে আমি কাকে নিয়ে থাকব। আর তুই না থাকলে তো আমার অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ তুই আমার জান, তুই আমার প্রাণ, তুই আমার কলিজা, তুই আমার হার্ট, তুই আমার নিশ্বাস প্রশ্বাস,। এগুলো ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচতে পারে না তেমনি তোকে ছাড়া আমিও বাঁচতে পারব না। তুই আমার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।
– খুব ভয় হয় যদি তোকে হারিয়ে ফেলি।
– একমাত্র মৃত্যু ছাড়া তোকে আর আমাকে কেউ আলাদা করতে পারবে না।
– একটু বেশি ভালবাসি রে তোকে।
– আমিও অনেক ভালবাসি তোকে।
– জানিতো।
– এই পাগলী ঘুমাবে না ❓
– ঘুম চোখ থেকে হারিয়ে গিয়েছে।
– ঘুমাতে হবে তো। না ছাড়া শরীর খারাপ করবে
– তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমায় ❓
– এই ঘড়ির দিকে একবার তাকিয়ে দেখছো ❓
।।
– জান্নাত
– হাঁ বাবা বলো।
– আমিতো একটু সিদ্ধান্ত চেন্স করলাম।
– বাবা তোমার কথা আমি বুঝতে পারছি না ❓
– আমি তো তোর আর রেজনের বিয়ের ডেট পেছাতে চাচ্ছি। এখন দুজন দুজনকে একটু সময় দে। এক সাথে ঘুরতে যা। এক সাথে দুজন লং ড্রাইভে কোথাও থেকে ঘুরে আয়। একসাথে দুজন ডিনার কর। মোট কথায় দুজন দুজনকে একটু সময় দে।
– কিন্তু বাবা রেজন।
– ওর বিষয়টা আমি দেখব।
– ওকে বাবা।
– ঘুমাবে না❓
– তুই যা ঘুমিয়ে পড় আমি পরে গিয়ে ঘুমাবো।
– গুড নাইট বাবা।
– গুড নাইট বেবি।
।।
– হুমম দেখছি তো।
– এতো রাতে তোমাকে আর আমাকে কেউ একসাথে দেখলে কেমন ভাববে বুঝতে পারছো বিষয়টা।
– কেউ কিছুই ভাববে না। তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে দাও তো । আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
– ওকে জান।
।।
ডানা আমার বুকের উপর মাথা রেখে আছে।
– এই পাগলী।
– হুমম।
– পাপ্পু দাও।
– ঘুম পাচ্ছে।
তাইলে আমি পাপ্পু দেই ❓
– না।
– কেন❓
– পাপ্পু দিলে আমার চোখ থেকে ঘুম হারিয়ে যাবে।
– তাইলে তো পাপ্পু দিতেই হবে ।
– ওকে দাও।
বুকের উপর থেকে মাথাটা তুলে ডানার ঠোঁটের উপর হামলা দিতে প্রস্তুত করে নিলাম।
ডানার দুটি ঠোঁট নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসলাম।
কতক্ষণ পড়ে হামলা শুরু করে দিলাম ডানার ঠোঁটের উপর।
মনে হচ্ছে যেন এক অজানা খুব গ্রাস করছে।
হটাৎই ডানা নিজের ঠোঁট দুটিকে রেজনের ঠোঁট থেকে রক্ষা করে নিল।
– মেরে ফেলবে নাকি ❓( শ্বাস নিতে সামান্য কষ্ট হচ্ছে)
– কি করব বলো অজানা সুখ থেকে বের হয়ে আসতে মন চায় না।
– অনেক হয়েছে এখন একটু শান্তিতে তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে দাও।
– হুমম সোনা।
কতক্ষণ পড়ে অনুভব করলাম ডানা গভীর ঘুমে মগ্ন।
ডানাকে ঘুমের মধ্যে যে এতো সুন্দর লাগে যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। মনে হচ্ছে যেন ঘুম পরী ঘুমিয়ে আছে আমার বুকের উপর। চাঁদের চেয়েও সুন্দর আমার ঘুম পরীটা। ডানাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে হটাৎই চোখ লেগে যায় আমার।
।।
ফজরের আযান শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল আমার।
– এই ডানা।
– কোন সাড়াশব্দ নেই।
– একটু সামান্য গাঁয়ে হাত দিয়ে ডাক দিলাম।
– ওই ডানা।
– হুমম।
– আযান হয়ে গেছে। উঠে নামাজ পড়ে নাও।
– একটু পড়ে উঠি প্লিজ।
– শয়তান বিরাজ করছে তোমার মাঝে। তাড়াতাড়ি উঠে নামাজ পড়ে নাও।
– বাবু আর একটু প্লিজ।
– মারব কিন্তু।
– ওকে বাবা উঠছি।
– চলো দুজন একসাথে ওজু করে আমি মসজিদ গিয়ে নামাজ আদায় করি আর তুমি বাসায় আদায় করো।
– ওকে বাবু চলো।
তারপর ওজু করে ডানাকে নামাজ পড়তে বলে আমি বেড়িয়ে গেলাম মসজিদের উদ্দেশ্যে।
মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করে বাসায় ফিরছি আর ভাবছি “” একমাত্র সালাত ই পারে একটা মানুষকে সুন্দর পথ দেখাতে। কারো যদি মন খারাপ থাকে সে যদি মন খারাপ অবস্থায় সালাত আদায় করে তাইলে সালাতের আদায় করা অবস্থায়ই তাঁর মন ভাল হয়ে যায়। আপনি যখনই গভীর টেনশনে থাকবেন তখনই নামাজে দাঁড়িয়ে যাবেন দেখবেন টেনশন অনেকটাই কমে যাবে “”
এসব ভাবতে ভাবতে বাসায় পৌঁছে গেলাম।
– বাসায় এসে ডানাকে খুঁজতে লাগলাম। খুঁজতে খুঁজতে রুমের দিকে চলে গেলাম।
– ধন্যবাদ জান। ( পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে)
পিছন থেকে সামনে নিয়ে এসে জড়িয়ে ধরলাম।
– ধন্যবাদ কেন❓
আজকে তোমার জন্যে বাবা আমার চায়ের প্রশংসা করছে।
– মানে ❓( খুশি মনে)
– আমি নামাজ আদায় করে সবার জন্যে চা বানালাম।
– তারপর বলো।
– আব্বু প্রথমে আমার হাতের চা খেতে চাইল না পরে আমি আর আম্মুর রিকুয়েস্ট করার পরে আব্বু চা টা খায়।
– তারপরে।
– আব্বু আমার চায়ের অনেক প্রশংসা করল।
– দেখতে হবে না বউ টা কার। প্রশংসা তো করতেই হবে।
– হুমম জান।
– এই আমার চা কই।
– তোমার চা টেবিলের উপর রাখা আছে।
– তাড়াতাড়ি সকল কাজ ছেড়ে রেডি হয়ে নাও ঘুরতে যাব।
– ওকে জান।
।।
রেজন ও ডানা বাইরে যাওয়ার জন্যে সম্পুর্ণ রেডি কিন্তু হঠাৎই জান্নাতের ফোন।

চলবে
কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : 20
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
– আব্বু প্রথমে আমার হাতের চা খেতে চাইল না পরে আমি আর আম্মুর রিকুয়েস্ট করার পরে আব্বু চা টা খায়।
– তারপরে।
– আব্বু আমার চায়ের অনেক প্রশংসা করল।
– দেখতে হবে না বউ টা কার। প্রশংসা তো করতেই হবে।
– হুমম জান।
– এই আমার চা কই।
– তোমার চা টেবিলের উপর রাখা আছে।
– তাড়াতাড়ি সকল কাজ ছেড়ে রেডি হয়ে নাও ঘুরতে যাব।
– ওকে জান।
।।
রেজন ও ডানা বাইরে যাওয়ার জন্যে সম্পুর্ণ রেডি কিন্তু হঠাৎই জান্নাতের ফোন। বিরক্তকর মনোভাব নিয়ে আছাড় মারতে গেলাম ফোনটা পরে ভাবলাম গার্লফ্রেন্ড বা বউকে রেখে থাকা যায় কিন্তু ফোন না ছাড়া থাকা যায় না। তাই দরকার নেই আছাড় দেওয়ার। আছাড় দেওয়ার চেয়ে ফোনটা সাইলেন্ট করে রাখি তাইলে সমস্যা হবে না।
প্রথম বার ফোন বাজতে বাজতে কেটে গেল। পরবর্তী কয়েক বার ফোন দেওয়ার পরেও ফোনটা রিসিভ করলাম না।
এভাবে প্রায় ২০ বারের উপরে ফোন দিয়ে বসল। আমি ভাবলাম হয়তো কোন ইম্পর্টেন্ট বিষয় না ছাড়া এতো বার ফোন দিবে কেন?
পরবর্তীতে ফোন দেওয়ার পরে ফোনটা রিসিভ করলাম।
– আসসালামুয়ালাইকুম। ( ঘুমিয়ে আছি এমন ভাব নিয়ে)
– ওয়ালাইকুমুস সালাম।
( জান্নাতের খুব রাগ উঠে গেছিল রেজনের উপর। পেলে মেরে ফেলতো এমন পরিস্থিতি।কারণ জান্নাত এতো বার কাউকে ফোন দেয় না। আর যদি কাউকে ফোন দেয় আর সে যদি ফোন না রিসিভ করে তাইলে জান্নাতের রাগ মাথায় উঠে আসে। কিন্তু রেজন সালাম দেওয়ার ফলে জান্নাতের রাগ নিমিষেই কমে যায়)
– এতো লেট হলো কেন ফোন ধরতে?
– ঘুমিয়ে ছিলাম তো। তুমিই তো বললে আজকে অফিসে আসতে হবে না। আজকে অফ ডে। তাই ফোন সাইলেন্ট করে রেখেছিলাম। যার জন্যে ফোনটা রিসিভ করতে পারি নাই।
– ওহহ স্যরি। আজকে বিদেশ থেকে কিছু কম্পানির লোকসম্ভার আসবে আমাদের কম্পানির প্রডাক্ট নিয়ে আলোচনা করতে তুমি প্লিজ তাড়াতাড়ি অফিসে চলে এসো।
– দেখ জান্নাত আজকে আমার কোনভাবেই বাড়ি ছেড়ে বের হবার মতো পরিস্থিতি নেই।
– কেন কি হয়েছে তোমার?
– কালকে যে পরিমানে জামাই আদর করে খাওয়াইছো তাতে পেটের অবস্থা খুব বাজে? এখন পর্যন্ত অগণিত বার বাথরুমে গেছি। শরীর টা একেবারে নয়ে পড়েছে। বিছানা ছেড়ে বাথরুমে একা একা যাইতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই আমি কিভাবে অফিসে যাব বলো তো।
– মেডিসিন নিছো?
– হুমম নিয়েছি।
– আমি কি আসব?
– তুমি শুধু শুধু এসে কি করবে তার চেয়ে তুমি আর ম্যানেজার সাহেব বিদেশীদের কন্ট্রোল করতে থাকো।
– ওদের আসতে লেট হবে। আমি বরং তোমাকে এক নজর দেখে আসি।
– আমি অফিসে নেই আর তুমিও যদি না থাকো তাইলে অফিস কে কন্ট্রোল করবে। তার চেয়ে তুমি অফিসে থাকো। ( রেজন চাচ্ছে না যে জান্নাত তাঁদের বাড়িতে আসুক)
– ঠিক বলছো। আর আজকে বিকেলে তুমি সুস্থ হলে একটু লং ড্রাইভে যাব।
– আগে তো শরীর সুস্থ হোক।
– ওকে তুমি রেস্ট নাও আমি একটু অফিসিয়াল কাজ গুলো করি।
– ওকে বাই।
– বাই।
।।
কথা বলা শেষ করে ডানার দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম ডানা দুই কোমরে দুই হাত নিয়ে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
– কি হয়েছে জান?
– (মনে হচ্ছে যেন রাগে গজগজ করছে। চোখ দিয়ে হয়তো আগুন ছুটবে)
– এই সোনা ময়না পাখি কি হয়েছে এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? তাড়াতাড়ি চলো লেট হয়ে যাচ্ছে।
( কথাটা বলেই ডানার হাত ধরলাম। হঠাৎই অনুভব হলো বিদুৎ শকের মতো আমার শক লাগল। আমি ছিটকে দূরে চলে গেলাম)
– এই জান কি হয়েছে বলো না।
– তলে তলে এতো দূর চলে গিয়েছিস?
– মানে?
– ওই কুত্তা শয়তান তুই জান্নাতের সাথে তুমি তুমি বলা শুরু করলি কবে থেকে।
– আচ্ছা বাবা আমরা এখন এক জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছি পরে বাসায় এসে এসব বিষয়ে আলোচনা করব ।
– না তোর এখনই বলা লাগবে। না ছাড়া আমি যাব না।
– আমার সব গুলো প্রশ্নের উত্তর দিবি তারপর বাইরে যাব। না ছাড়া কোন ভাবেই যাব না।
– ওকে তাইলে চলে রুমে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দেয়। এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে আর ভাল লাগছে না। চলো ভিতরে যায়।
– তোর এখানে দাঁড়িয়েই আমার সকল প্রশ্নের দিতে হবে।
– ওকে বাবা এখানেই দাঁড়িয়ে তোমার সকল প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। বলো তোমার কি প্রশ্ন?
– তুই জান্নাতকে তুমি বলা শুরু করলে কবে থেকে? আর কিসের জন্যে তুমি করে বলছিস সেটা অক্ষরে অক্ষরে উত্তর দে?
– জান্নাত তুমি করে বলতে বলছে আমায়।
– তোকে তুমি করে বলতে বললো আর তুই তুমি বলা শুরু করলি।
– হুমম তো কি করব বলো। জান্নাত তো আমার অফিসের বস, ও যায় বলবে আমায় তো তাই ই করতে হবে তাই না।
– এখন যদি জান্নাত তোকে আই লাভ ইউ বলতে বলে তাইলে কি তুই জান্নাতকে আই লাভ ইউ বলবি।
– না তা কেন বলব? আমি আই লাভ ইউ শুধু তোমাকে বলব।
– যাহ শয়তান তোর আই লাই ইউ আমি নিবো না। ( কিছুটা হাসি লুকিয়ে রেখে)
– তাইলে ফেরত দাও আমার আই লাউ ইউ।
– পারব না। তুই আগে আমার প্রশ্নের জবাব দে।
– আর কি প্রশ্ন?
– এখনও তো একটা প্রশ্নেই করা শেষ হয়নি। জান্নাত তোকে আই লাভ ইউ বলতে বললে বলবি না তাইলে তোকে তুমি করে বলতে বলল আর তুই তুমি বলা শুরু করে দিলি।
– তাইলে এখন উপায়?
– এখন থেকে তুই জান্নাতকে আপনি বা তুই করে বলবি।
– ওকে জান পাখি।
– নেক্সট কোন প্রশ্ন আছে?চ চলো লেট হয়ে যাচ্ছে
– হুমম আছে তো।
– ওকে তাইলে নেক্সট।
– কালকে তুই জান্নাতদের বাড়ি গিয়েছিলি কেন?
– আরে অফিসের কাজ কাজ ছেড়ে হটাৎই আমার জেনে উঠা বা বুঝে উঠার আগেই জান্নাত তাঁদের বাসার সামনে এসে বলে তাঁদের বাসায় নাকি চলে এসেছি। জোর করল তাই বাধ্য হয়ে যেতে হলো।
– তোকে যেতে জোর করল আর তুই চলে গেলি?
– স্যরি জান।
– তুই গেলি ভাল কথা কিন্তু ওদের বাসায় খাওয়া দাওয়া করলি কেন?
– ওর আব্বু আম্মু জোর পূর্বক আমার আমাকে খাওয়ালো।
– তাইলে তুই কালকে বাসায় আসতে এতো লেট করলি কেন?
– আরে জান ওর আব্বু আম্মু গল্পের আসর জমিয়ে রাখল যার জন্যে আসতে লেট হইলো।
– কি কি বিষয় নিয়ে গল্পের আসর জমে উঠে ছিল?
– আমাদের বিয়ে নিয়ে।
– মানে?
– আমার আর জান্নাতের বিয়ে নিয়ে।
– তার মানে তুই জান্নাতকে বিয়ে করবি?
– নতুন করে বিয়ে করে হবে বিয়ে তো হয়েই গেছে।
– কিহহহহ। তোর আর জান্নাতের বিয়ে হয়ে গেছে। ( কান্না জড়িত কন্ঠে)
– আমি কি কখনও বলছি আমার আর জান্নাতের বিয়ে হয়েছে?
– তাইলে?
– আমার আর তোমার বিয়ের কথা ভুলে গেছো।
– চল না আবার ওইভাবে বিয়ে করি।
– হুমম চল।
– বলো মা আলহামদুলিল্লাহ কবুল,( রেজন)
– কবুল।
– বলো কবুল,
– কবুল।
বলো কবুল।
– কবুল।
– কবুল, কবুল কবুল। ( ডানা)
আলহামদুলিল্লাহ। ( রেজন)
– এবার তুমি। ( ডানা)
বলো বাবা আলহামদুলিল্লাহ কবুল
– কবুল। ( রেজন)
বলো কবুল
-কবুল
– বলো কবুল
– কবুল
– কবুল কবুল কবুল। ( রেজন)


চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here